শুভ্র_রঙের_প্রেম পর্বঃ১৯
#রুবাইদা_হৃদি
রাতের আঁধার ছাপিয়ে সূর্যের আলো বিস্তার করলেও আমার মনের মাঝে অন্ধকারে ঢাকা৷ সব কিছু বিতৃষ্ণাময় ঠেকছে৷ ফুঁপিয়ে কান্না করার নিদারুণ ইচ্ছা জাগলেও চুপ মেরে বসে আছি৷ নীতি আমার পাশে বসতেই নড়েচড়ে বসলাম আমি৷ অস্ফুট ভাবে বললাম,
–‘ উনি কি এসেছেন?? ‘
–‘ না৷ ‘ নীতির ছোট জবাবটা দুমড়ে মুচড়ে দিলো আমায়৷ তবে কি,সে ব্যাক্তিগত কাউকে সময় দিতেই এসেছে?? তবে আমার জন্য তার অপ্রকাশিত না বলা অনুভূতি গুলো মিথ্যে??
–‘ ইনানী বিচ আর হিমছড়ি যাওয়ার জন্য সবাই বের হবে সাতটায়৷ অলরেডি সাড়ে ছয়টা হয়ে গেছে৷ উঠে ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে নে৷ ভাইয়া ঠিক চলে আসবে৷ ‘ আমি নীতির কথা শুনে পূর্ণ দৃষ্টি মেলে তাকালাম৷
–‘ ভাইয়া?? ‘
–‘ স্নিগ্ধ ভাইয়া আমাদের ক্লাস নেয় বাট উনি তো পার্মানেন্ট না আর স্যার হিসেবে জয়েন করে নি৷ আমাদের ডিপার্টমেন্টে হারুন স্যার চলে গেলেন আর ওই সময়টাতেই ভাইয়া এসেছেন৷ ‘
–‘ তুই জানলি কি করে? ‘ আমার কথা শুনে নীতি জবাব দেওয়ার আগেই জান্নাত বলল,
–‘ স্নিগ্ধ স্যার জয়েনিং এর আগেই ভিসি স্যার বলেছিলেন সবাইকে সে নাকি এমনি এসেছে৷ আবার চলেও যাবেন কিছুদিনের মধ্যে তার কাজ শেষ হলে৷ ‘
–‘ কাজ মানে?? আর আমি কেন জানি না সব?? নীতি স্যার জয়েন করার আগে তুই আমি রাহাত কেউ এক সপ্তাহ ক্লাসে আসি নি তাহলে তুই জানলি কি করে?? ‘
নীতি মুখ কাঁচুমাচু করে এদিক ওদিক তাকিয়ে বলল,
–‘ উনার কি কাজ সেটা তো জানি না৷ তবে সেদিন রাতে যখন আমাদের হলের বাইরে এসে স্নিগ্ধ ভাইয়া চিন্তিত ভাবে বলেছিলেন,
‘ নীতি, একটা হেল্প করতে পারবে? ‘
তখন আমি উনাকে জিজ্ঞেস করতেই সে তোর নাম্বার চাইলো সাথে বাসার এড্রেস৷ সিরিয়াসলি দোস্ত বিলিভ কর,ভাইয়ার চোখে মুখে ক্লান্তি ছিলো সেই সাথে অস্থিরতা৷ আমি দেওয়ার আগে জিজ্ঞেস করেছিলাম,’ এতো রাতে কেন দেখা করবেন স্যার ?? ‘
তখন ভাইয়া ম্লান হেসে বলেছিলো,আমি তোমার বড় ভাইয়ার মতো বিশ্বাস রাখো আমার প্রতি৷ আর স্যার হিসেবে সাক্ষাৎ আর কিছুদিনের৷
ভাইয়াকে সত্যি বড় ভাইয়ার স্থানে বসিয়েছি আর এখন জিজু৷’
নীতির কথা শুনে আমি চোখ বড় বড় করে তাকালাম৷ লোকটা ভারী অদ্ভুত! কিন্তু গেলেন কোথায়?? আমাকে অনমনা হয়ে বসে থাকতে দেখে নীতি তাড়া দিয়ে বলল,
–‘সবাই ছেড়ে চলে যাবে জলদি কর৷ ‘
–‘ কালকে তুই ইচ্ছা করেই ডাকিস নি আমায় তাই না?? ‘
প্রশ্নসূচক চোখে তাকিয়ে আছি৷ এই মেয়েটাও রহস্যে মোড়া হয়ে গেছে৷ আমার বেস্টু আর কাজ করে অন্যের হয়ে৷ আমার তীক্ষ্ণ চোখে দৃষ্টিতে নীতি মিইয়ে গেলো৷ আশেপাশে চোখ বুলিয়ে দেখলো কেউ নেই৷ ধপ করে বিছানায় বসে আমার হাত টেনে নিয়ে বলল,
–‘ অপেক্ষা করো জানু সব জানতে পারবি৷ ‘
–‘ তারমানে তুই জানিস উনি কোথায়?? প্লিজ বল কোথায় উনি৷ ‘
নীতি চুল ঠিক করতে করতে সিরিয়াস ভাবে বলল,
–‘ আমি সত্যি জানি না ভাইয়া কোথায়৷ কাল সকালের পর দেখাই হয় নি আর৷ ‘
নীতি মিথ্যা বলছে না সেটা ওর চোখেমুখে প্রকাশ পাচ্ছে৷ আমি উঠে দাঁড়ালাম৷ যেখানেই যান আপনি ফিরে আসলে সেদিনের মতো চড়.. না না চড় মারা যাবে না একদম৷ পেয়েছি! আপনাকে বালুর ছুঁড়ে মারবো৷ কি পেয়েছেন আপনি?? হুহ্! ফিরে আসুন দেখাবো আমি কে ৷
___________________________
চারদিকে উচ্ছ্বাস! সবাই হাসি মুখে এগিয়ে চলেছে স্বাধীন ভাবে আনন্দ করার জন্য৷ একরাশ আনন্দ আর ফ্রেন্ডদের সাথে হাসি-মজা যেন আকাশ ছোঁয়া৷ কক্সবাজার মেইন শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরেই হিমছড়ি আর সেখান থেকে আরো দূরে ইনানী৷ আমরা ইনানী সমুদ্র সৈকতে যাবো আগে৷
আমাদের স্পট থেকে কলাতলী পৌছে আরেকটা টিম গঠন করা হলো জিপে যাওয়ার জন্য৷ ভাগ্যক্রমে আমি,নীতি,জান্নাত, রাহাত আর মাধবী একসাথে৷ রাহাতের পাংশুটে মুখে দেখে সবাই ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই ও ইনোসেন্ট ফেস করে বলল,
–‘ ওই ভাবে তাকাও কেন সব? আমার ফারিহা অন্য জিপে৷ এই অন্যায় মেনে নেওয়া যায়? কই ভাবলাম নতুন নতুন প্রেম উপভোগ করবো তা নয় ওই রাজ্জাক বিচ্ছেদ ঘটায় দিলো৷ ‘
–‘ ভাইয়া রাজ্জাক স্যার হবে৷ ‘ জান্নাত বিরক্তি চোখে তাকিয়ে বলতেই রাহাত হুংকার ছেড়ে বলল,
–‘ রাখো তোমার স্যার৷ আমার অকালে বিচ্ছেদের জন্য ব্যাটাকে আর কিছু বলি নাই তাই তো সৌভাগ্য৷ ‘
আমি চোখ-মুখ কুঁচকে তাকালাম৷ সব কথা অসহ্য লাগছে৷ গম্ভীর স্বরে বললাম,
–‘ চুপ না করলে ধাক্কা মেরে ফেলে দিবো৷ আর একটা সাউন্ড যেন জিপে না হয়৷ ‘
–‘ ওই নীতি,ওরে ছ্যাকা দিলো কে?? এমন বেরসিক এর মতো আচরণ করতাছে কেন৷ ‘
–‘ কাল থেকেই দেখছি ওর মন খারাপ! কি হয়েছে তোর?? ‘
রাহাত আর মাধবীর কথা শুনে নীতি ইশারায় চুপ থাকতে বলে৷ এর মাঝে আবার ফারিহা নামক সদ্য প্রেমিকা ন্যাকা কান্না করে আমাদের জিপে উঠে বসে৷মেয়েটার স্বভআব ফ্যাসফ্যাসে৷ কথায় কথায় কান্না করে৷ ইকোনমিকস নিয়ে পড়ছে এই মেয়ে৷ আল্লাহ মালুম এক পাগলের সাথে আরেক পাগলের জুটি কি করে মেলালেন৷
দুইটাই এক ধাঁচের! কখনো বিরক্তিকর আবার কখনো প্রাণ খুলে হাসার কারণ৷ তবে আমার দুনিয়ার সব কিছুই বিরক্ত লাগছে সেই সাথে কষ্ট৷ কষ্টের সমুদ্রের রাণী মনে হচ্ছে৷ আর এই সব কিছুর দায়িত্ব আছেন,’ মেহেরাব হোসেন স্নিগ্ধ৷ ‘
শোঁ শোঁ করে বাতাসের দাপট এসে লাগছে৷ জিপ ছেড়েছে অনেকক্ষণ হলো৷ মাঝে এসেই সব গুলো জিপ একে একে থেমে গেলো৷ রাজ্জাক স্যার জিপ থেকে নেমে উচ্চস্বরে বললেন,
–‘ আমরা এখানে নাস্তা করবো তারপর ইনানীর উদ্দেশ্য আবার যাত্রা করবো ৷ ‘
উনার কথা শুনে সবাই নেমে গেলেও আমি বসে রইলাম৷ এখানে নামার কোনো মানেই হয় না৷ তবে কাঙ্খিত একজনের গলার আওয়াজ পেয়ে উঁকি দিতেই দেখি সে দাঁড়িয়ে আছে৷
সাদা রঙের শার্ট সাথে ব্ল্যাক জিন্স পড়ে হাসি মুখে সামির স্যার,রাজ্জাক স্যারের সাথে কথা বলছেন৷ সমুদ্র থেকে ভেসে আসা উত্তাল হাওয়া প্রশান্তি না দিতে পারলেও তাকে একনজর দেখে অশান্ত যাওয়া মন হঠাৎ করেই শান্ত হয়ে গেলো৷
আমি স্তব্ধ চোখে তাকিয়ে আছি৷ ধীর পায়ে নেমে তাদের থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়ালাম৷ কিন্তু সে তাকাচ্ছে না৷ বাকি স্যারদের সাথে কথা বলায় ব্যস্ত৷
আমার দিকে কিছুক্ষণ বাদে একনজর তাকাতেই আমার ঠোঁটের কোণে হাসি ফুঁটে উঠে ৷তবে তার চোখে আমাকে খোজার আকুলতা কেন দেখতে পাচ্ছি না??
আমি এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে আছি৷ তারা আমাকে রেখেই এগিয়ে গেলন।
সুগন্ধা বিচ৷ তবে আমি কেন সুগন্ধ পাচ্ছি না?? কেন পাচ্ছি না মুগ্ধতা??
সাময়িক উপেক্ষা এতো কষ্ট কেন দিচ্ছে!
আমি হাল না ছেড়ে রেস্টুরেন্টের ভেতর উনাদের দিকে এগিয়ে গিয়ে নিঁচু স্বরে বললাম,’ আসসালামু আলাইকুম স্যার এন্ড ম্যাম৷ ‘ আমার সালামে সবাই ঘুরে তাকিয়ে উত্তর দিলেও উনি বিরবির করে কিছু একটা বলে উঠে চলে গেলেন৷ আমি যাবো তার আগেই মোহনা ম্যাম বললেন,’ হৃদিয়া তোমার টিমের মেইন লিড তুমি পালন করতে পারবে?? ‘
–‘ জি! ম্যাম পারবো৷ ‘
–‘ যাও তাহলে খেয়ে নাও৷ ও হ্যাঁ,তোমাদের সাথে স্নিগ্ধ স্যার থাকবেন৷ ‘
আমি দুদিকে মাথা হেলিয়ে নম্র পায়ে হেঁটে এলাম৷ তাকে দেখার চেয়ে না দেখার ব্যথা বেশি না উপেক্ষা করার! তবে আপনার অহেতুক উপেক্ষা আমি পাত্তা দেই না মিস্টার৷ আপনার চেয়ে বেশি উপেক্ষা করার শক্তি আমার আছে..!
সুগন্ধা বিচ থেকে বেরিয়ে পরলাম আবার! জিপের এক সাইডে রাহাত,ফারিহা,মাধবী বসেছে৷ আর অন্য পাশে আমি, জান্নাত আর নীতি আর উনি ড্রাইভারের সাথে৷ জান্নাত একনাগাড়ে আমার সাথে কথা বলে চলেছে৷ হুট করে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘ জানো হৃদিপু, আমার একটা মহান ইচ্ছা জেগেছে৷ ‘
ওর কথা শুনে সবাই কথা থামিয়ে তাকালো৷ আমি মিষ্টি হেসে বললাম,’ কেমন ইচ্ছা?? ‘
–‘ তোমার জা হওয়ার তীব্র ইচ্ছা৷ সারাদিন একসাথে থাকবো আমরা৷ কি মিষ্টি তুমি৷ এতো ভালো লাগে তোমায় মনে হয় নিজের সাথে রেখে দেই৷ ‘
জান্নাতের কথা শুনে আড়চোখে তাকালাম উনার দিকে৷ আচ্ছা? উনার কি কোনো ভাই আছেন?
উনার সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই আমার এইটা ভেবে আরো একধাপ মন খারাপ বেরে গেলো৷ আমার ভাবনার মাঝেই নীতি ফোঁড়ন কেটে উনাকে উদ্দেশ্য করে বলল,
–‘ ভাইয়া আপনার কোনো ছোট ভাই আছে ?? ‘
নীতির এমন কথা শুনে কাঁশি উঠে গেলো উনার৷ সবাই অবাক চোখে তাকাতেই নীতি আমতা আমতা করে বলল,
–‘ ভাইয়ার সম্পর্কে জানার জন্য জিজ্ঞেস করেছি৷ ‘
–‘ হ্যাঁ,দুটো ভাই আছে৷ ‘ উনার স্বাভাবিক উত্তর শুনে নীতি উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে উঠলো,
–‘ জান্নাত তোমার লাইন সেট৷ ‘
জান্নাত না বুঝে ফ্যাল ফ্যাল চোখে তাকিয়ে আছে৷ আমি চোখ গরম করে তাকাতেই নীতি চুপ হয়ে যায়৷ কিন্তু মাধবী বলে উঠে,
–‘ এর মানে কি নীতি??’
–‘ সামনে তাকাও সবাই৷ ‘ স্নিগ্ধ স্যার বলতেই সবাই সামনে তাকাই দেখি,সারি সারি সুপারি বাগান সেই সাথে জলরাশিতে নৌকা ও ট্রলার ভাসছে৷ এ যেন কল্পনায় আকা চিত্র! বড় বড় ঢেউ আমরা জিপে থেকেই দেখতে পেলাম আছড়ে পড়ছে সমুদ্র তীরে৷
কিছু মূহুর্ত পরেই আমরা হিমছড়ি ছাড়িয়ে ইনানীর দিকে এগিয়ে গেলাম৷ ফেরার পথে হিমছড়ি ঘুরা হবে৷
চব্বিশ কিলোমিটার পথে কেউ কারো সাথে কথা তো দূর চোখে চোখ রেখে তাকাই নি পর্যন্ত৷ কাল কতো কিঁছু ছিলো আর আজ?? বিষাদের ছায়া গুলো এতো জলদি কেন আসে??
আমি দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম৷ তখুনি সে আমার দিকে ঘুরে তাকালো কিন্তু এইবার আমি মুখ ঘুরিয়ে নিলাম৷
তবুও কোনো কথা বললেন না সে৷ সবাই ব্যস্ত আর আমরা ব্যস্ত লুকোচুরি তে!
জিপ ইনানী এসেই থেমে গেলো৷ চারদিকে হাজারো ছোট-ছোট পাথর ঝিনুক বিছানো৷ মনে হচ্ছে,কেউ নিখুঁত ভাবে বিছিয়ে রেখেছে৷
সবাই মোটর বাইকে ঘুরবে৷ নীতি,জান্নাত আর আমি ঝাউবনের দিকে এগিয়ে গেলাম৷ কাঁকড়া গুলো ঘুরছে কোনো পিছুটান ছাড়া৷ আমাকে রেখেই জান্নাত আর নীতি পাথর কুড়াতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেই তো যাচ্ছে৷
আমি একজায়গায় উদাস ভাবে দাঁড়িয়ে আছি৷ অবাধ্য চোখ উনাকেই খুজে চলেছে৷
কিছুটা দূরেই ফোনে কথা বলছেন সেই সাথে হাসছেন৷ ঢেউয়ের আছড়ে পড়া সেই সাথে তার নিদারুণ হাসি তৃপ্তি সহকারে দেখে আমিও নীতিদের সাথে লেগে পড়লাম৷ ট্যুর কেন মাটি করবো?? আমিও হাসবো সমুদ্রের প্রত্যেকটা ঢেউয়ের সাথে নিজেকে বিলীন করবো৷
চারদিকে ডাবের ছড়াছড়ি সেই সাথে হাজারো পাথর৷ বোট গুলো দুলছে ঢেউয়ের তালে৷ সবাই মোটর বাইকে ঘুরছে৷ সূর্যের তীক্ষ্ণ আলো পাথরের উপর পরতেই ঝিলমিল করে উঠছে৷ সমুদ্রে গর্জন জানান দিচ্ছে তার রাজত্ব৷
আমাদের ফেরার কথা দুটোর দিকে থাকলেও সবাই নিয়ম ভেঙে ঘুরতে ঘুরতে পাচটা বাজিয়ে ফেলে৷ সেই নিয়ে রাজ্জাক স্যার একদফা শাসিয়েছে সবাইকে৷
ইনানী থেকে বেরিয়ে আবার ছুটলাম ফেরার জন্য৷ এর মাঝে হিমছড়ি যাওয়ার পথেও একরাশ উদাসীনতা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে৷
হিমছড়ি যাওয়ার আগেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে মাগরিবের আজান ভেঁসে আসে৷
থার্ড ইয়ারের ব্যাচের জন্য সবাই এমন সিচুয়েশনে পরেছে৷ স্নিগ্ধ স্যার সবাইকে বললেন,হিমছড়ির পাশেই একটা রিসোর্ট আছে সেখানে থাকতে৷ কাল সকালে এখানে ঘুরে কক্সবাজার যাওয়া যাবে৷ শেষে সবাই রাজি হতেই রিসোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা দেই আমরা৷
রিসোর্টে গিয়েই আরেক বিপত্তি রুম সিমীত৷ ম্যানেজ করে রুম পাওয়া গেলেও একেকটা রুমে দশজন করে থাকতে হবে৷ নীতি,জান্নার আর মাধবী পারলে কেঁদে দেয়৷ আমার ভাবান্তর নেই৷
সবাই বাইরে আজও গিটার হাতে বসে আছে৷ প্রত্যেক টা দল আজ এক হয়ে গান করছে৷ সমুদ্রের গর্জনের সাথে গান দারুণ উপভোগ্য৷
আমি বালুর উপর বসে আছি নীতি ওরা সামনে হঠাৎ মোবাইলে একটা ম্যাসেজ আসতেই চমকে উঠি৷ ম্যাসেজ সেন্ড বায়,তোমার একান্ত আপজন৷
আমার ভ্রু কুঁচকে এলো! এইটা আবার কে?? আমি তো এই নামে কারো নাম সেভ করি নি৷ ম্যাসেজ ওপেন করতেই দেখি লেখা,
” ভোর হওয়ার অপেক্ষাতে তোমার অপেক্ষার অবসান৷ ”
চলবে..
~” আমি তাড়াহুড়ো করে ধাপ করেই সব এগিয়ে দিতে পারি বাট খাপছাড়া হবে আর আমি তা করতে চাই না।রি-চেক দিই নি ভুল ক্রটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। আর একটা কথা,
হৃদিম নিদ্রা ছিলো আমি হৃদিয়া রহমান হৃদি করেছি আশা করি বুঝতে পেরেছেন~♥