এই তুমিটা আমার❤,পর্ব:০৩,০৪
মাহিয়া_মেরিন
পর্ব:০৩
হাসপাতালের বারান্দায় মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। সারাদিন ফুপির ছোটখাটো অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে।। কি দরকার ছিল উনার এখানে আসার?? ফুপি চলে যাওয়ার পর এই নিয়ে ভাইয়ার সাথে একদফা রাগারাগি করে এখন একা একা দাঁড়িয়ে হাসপাতালের রাতের পরিবেশটা উপভোগ করছি। হঠাত বুঝতে পারলাম,,কেউ একজন ফোনে কথা বলতে বলতে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। কণ্ঠটা পরিচিত মনে হওয়ায় পাশে ফিরে দেখি ডাক্তার শুভ্র। হয়তো উনার মায়ের সাথে কথা বলছেন…
–হ্যা আম্মু,,,আমার বাসায় আসতে একটু দেরি হতে পারে। তুমি চিন্তা করো না। আর,,আমার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।(শুভ্র)
বুঝতে পারলাম উনি এখনও আমাকে খেয়াল করেননি। আজ উনি সারাদিনে যতোবার বাবাকে দেখতে এসেছেন,,ততবারই আমার দিকে তাকিয়ে একটা ভুবন ভুলানো হাসি দিয়ে সকালের ওই ঐতিহাসিক মুহূর্তের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। এখন যদি আবার আমাকে দেখেন তাহলে না জানি কি বলবেন। তারচেয়ে এখান থেকে চলে যাওয়াই ভালো।। যেই ভাবা সেই কাজ,,,চুপচাপ সেখান থেকে চলে আসবো তখনি….
–আরে মিস মাহিরা!! আপনি হঠাত এখানে??(শুভ্র)
–((কথায় আছে না? যেখানে বাঘের ভয়,,সেখানে রাত হয়ে!! আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে)) জি,,,এমনই আসলাম।
–ওহ আচ্ছা। আপনার বাবা এখন কেমন আছেন??
–এখন অনেকটাই ভালো আছে।
–ভালো। কাল সকালে তো উনাকে বাসায় নিয়ে যাবেন। ভালো মতো খেয়াল রাখবেন উনার।
–((অবাক হয়ে তাকিয়ে)) কালকে সকালে বাবাকে বাসায় নিয়ে যাবো??
–হুমম,,,আপনার ভাই আপনাকে বলেননি?? আপনার বাবা এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন। বাসায় ঠিক মতো খেয়াল রাখলে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন। তবুও যদি কোন সমস্যা হয়,,তাহলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন।
–((মানে কালকের পর উনাকে আর দেখতে পাবো না!!!)) জি,,ধন্যবাদ।
শুভ্র একটা মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেলেন। আমি এখানও আগের মতো করেই দাঁড়িয়ে আছি। বুঝতে পারছি না,,,আমার এখন কি করা উচিত? বাবাকে বাসায় নিয়ে যেতে পারবো ভেবে খুশি হওয়া উচিত নাকি শুভ্রকে আর দেখতে পাবো না ভেবে কষ্ট পাওয়া উচিত?
আচ্ছা,,,শুভ্রর জন্য আমার মনের অনুভূতিটা আসলে কি?? শুধু কি ভালোলাগা? নাকি অন্য কিছু?? খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে কেবিনে চলে আসলাম।
–ভাইয়া,,,কাল সকালে নাকি বাবাকে বাসায় নিয়ে যেতে পারবো। কথাটা তুমি আমাকে বললে না কেন??
–বলার সুযোগ দিয়েছিলি তুই??তার আগেই তো আমার উপর রাগারাগি করি কেবিনের বাহিরে চলে গেলি।(মেঘ)
–কালকে কখন যাবো??
–সকালে ডাক্তার এসে দেখে যাবেন। তারপর..।।(মেঘ)
মনটা খারাপ হয়ে গেল। এই প্রথম কারো জন্য আমার মনে এক অজানা অনুভূতির জন্ম নিয়েছিল। হয়তো নিয়তি চায় না,,,এই অনুভূতি আরও গভীর হোক। তাই তো শুরুতেই দুজনের পথগুলো আলাদা করে দিলো। কিন্তু,,উনাকে ভুলে থাকা কি আমার জন্য আদৌ সম্ভব হবে!?
🍁সকালে…..
বাবাকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ,,,শুধু ডাক্তার সাহেব এসে বাবাকে দেখে যাবেন সেই অপেক্ষা। আমিও বসে আছি শেষবার ডাক্তার শুভ্রকে দেখার জন্য। উনার সাথে আর হয়তো দেখা নাও হতে পারে,,,আবার ভাগে থাকলে দেখা হতেও পারে।
কিছুক্ষণ পর অন্য একজন ডাক্তার সাথে সেই নার্স আসলেন বাবাকে দেখার জন্য। নার্সের কাছে জানতে পারলাম,,,ডাক্তার শুভ্র নাকি ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে একজন রোগী নিয়ে ব্যস্ত আছেন। তাই উনি আসতে পারবেনা বলে ডাক্তার সাদকে পাঠিয়েছেন।।। ডাক্তার বাবাকে ভালোভাবে চেকআপ করে ছাড়পত্র দিয়ে দিলেন। ভাইয়াকে ভালোভাবে ঔষধের সময়সূচি বুঝিয়ে দিলেন। বাবাকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার বেহায়া চোখ জোড়া বারবার শুধু তাকেই খোঁজে যাচ্ছিলো। কিন্তু ভাগ্যে হয়তো শেষ দেখাটাও লেখা ছিলো না।।।
আজ সাতদিন হলো হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে এসেছি। এই সাতদিনে এমন কোন মুহূর্ত নেই যে উনার কথা মনে পড়েনি। উনার মায়াবী মুখ আর হৃদয়ে দাগ কাটা হাসিটা বারবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আমার এমন অবস্থা দেখে ভাবি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।
–মিহু!! এভাবে আর কতোদিন উনাকে নিয়ে ভাববে?? উনার জন্য তোমার মনে শুধু মাত্র একটা আবেগ জমে আছে। সময়ের সাথে সাথে এই আবেগ কেটে যাবে,,,,তাই বলছি কাল থেকে আবার ভার্সিটি যাওয়া শুরু করো। নিজেকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকলে উনার কথা বেশি মনে পড়বে না।(ভাবি)
–((একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে)) হুম।।তুমি ঠিক বলেছো ভাবি।আমিও ভাবছি কাল থেকে ভার্সিটি যাওয়া শুরু করবো।
–এইতো ভালো মেয়ে। যাই হোক,,,অনেক রাত হয়েছে। ঘুমিয়ে পড়ো।(ভাবি)
🍁পরদিন সকালে,,,,
বাবাকে অনেক বুঝিয়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। ভার্সিটিতে প্রবেশ করতেই কথা আর ছড়া এসে আমাকে ঘিরে ধরলো।
–কিরে মিহু!! কেমন আছিস তুই এখন?? আর আঙ্কেল কেমন আছেন??(কথা)
–আমি ভালো আছি। আর বাবা এখন আগের থেকে অনেকটাই ভালো আছে।
–যাক,,শুনে ভালো লাগলো। আজ অনেকদিন পর ভার্সিটিতে আমরা একসাথে হলাম। অনেক গল্প করবো আজকে,,,কিন্তু এখন চল ক্লাসে যাই।(ছড়া)
–হুম!! তোদের নোটগুলো আমাকে দিস তো।
–আচ্ছা,,ঠিক আছে।(কথা)
ক্লাস শেষে,,,
–মিহু,,কথা!! আমার বাসায় চল। তোদের একটা সারপ্রাইজ দিবো।(ছড়া)
–কি এমন সারপ্রাইজ দিবি তুই?? (কথা)
–উফফ,,গেলেই তো দেখতে পারবি।(ছড়া)
–ঠিক আছে। আমি বাবাকে ফোন করে জানিয়ে দেই।
ছড়ার সাথে তাদের বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। ভার্সিটি থেকে ছড়ার বাসায় যেতে হলে হাসপাতালের বাস্তার সামনে দিয়ে যেতে হয়। আমাদের রিকশা যখন হাসপাতালের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল তখনি একজনের দিকে আমার চোখ স্থির হয়ে যায়।। আস্তে করে বলে উঠলাম….শুভ্র!!!
উনি হাসপাতাল থেকে বের হচ্ছেন। খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও উনাকে আবারো দেখতে পারলাম। যাকে ভুলে যাওয়ার জন্য এতো চেষ্টা করে যাচ্ছি তাকেই আবার দেখলাম!!! আচ্ছা,,,এভাবে উনার প্রতি আমার এই অনুভূতিটা ভুলে যাওয়ার আগে একবার যদি উনার সামনে প্রকাশ করি তাহলে কি হয়?? এরপর যদি উনি না বলেন তাহলেও তো মনকে বোঝাতে পারবো। যেই ভাবা সেই কাজ,,,,কাল থেকে চেষ্টা করবো আমার মনের এই প্রথম অনুভূতিকে শুভ্রর কাছে প্রকাশ করার।
চলবে🍁
এই তুমিটা আমার❤
মাহিয়া_মেরিন
পর্ব:০৪
🍁রাতে,,,
বইয়ের ভেতর মুখ গুজে বসে আছি। কিন্তু পড়ায় কিছুতেই মন বসছে না।। মাথায় শুধু একটাই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে,,,শুভ্রর কাছে মনের অনুভূতিটা কিভাবে প্রকাশ করবো?? সে কি আমার অনুভূতির গুরুত্ব দিবে?? নাকি সামরিক আবেগ ভেবে অস্বীকার করে দিবে?? আচ্ছা,,তাকে কিভাবে গিয়ে কথাগুলো বললো?? কিভাবে বলবো,,,এই তুমিটা কি আমার হবে??
ধুর!! মাথায় কাজ করছে না কিছুই।
এমন সময় ভাবি রুমে প্রবেশ করে মিহুকে চিন্তিত অবস্থায় দেখে….
–কি হয়েছে মিহু?? (ভাবি)
–ভাবি,,,আমি ঠিক করেছি শুভ্রর কাছে আমার মনের অনুভূতিটা প্রকাশ করবো। তারপর যদি সে না করে দেয় তাহলেও আমি নিজেকে বোঝ দিতে পারবো। মূল কথা হলো,,,আমি একটা চেষ্টা করতে চাই।
–((একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে)) মিহু,,,যদি উনি না করে দেয় তাহলেই কি তুমি সহজে তাকে ভুলে যেতে পারবে?? আচ্ছা,,,ধরে নিলাম উনার মনেও তোমার জন্য একই অনুভূতি আছেন।। তুমি উনার কাছে তোমার অনুভূতি প্রকাশ করার পর তিনিও রাজি হয়ে গেলেন।। কিন্তু তারপর?? তুমি বাবাকে উনার কথা বলতে পারবে? যদি বাবা রাজি না হয় তখন??
–((সত্যিই তো!!! বিষয়টা এতো গভীর ভাবে তো ভেবে দেখিনি।। ধুর!! মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে আমার)) আমি কিছু জানি না ভাবি। শুধু জানি,,,আমি শুভ্রকে নিজের মনের কথা বলবো। তারপর যাই হবে,,,তখন দেখা যাবে।
–তোমার যা ভালো মনে হয়।।((ভাবি))
🍁পরদিন…
ভার্সিটিতে এসেই কথা আর ছড়ার পাশে বসে আছি। তারা আপনমনে বকবক করে যাচ্ছে। আর আমি ভাবছি তাদেরকে কিভাবে আমার প্ল্যানে রাজি করানো যায়। অনেক চিন্তা ভাবনা করে….
–((একটা সিরিয়াস মুড নিয়ে))আমি তোদের কিছু বলতে চাই।।।
দুইজনই কথা বন্ধ করে আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে…
–তোকে বলতে হবে না,,,আমরা সব জেনে গেছি।।(কথা)
কথাটা শুনে বুকে ধক করে উঠলো। তারা জানলো কিভাবে?? শুভ্রর কথা তো আমি ভাবি ছাড়া আর কাউকে বলিনি,,,,তাহলে???
–ত..তোরা কিভাবে জানলি?? ভাবি বলেছে তোদের??(আমতা আমতা করে)
–কাউকে বলতে হবে নাকি??দেখ মিহু,,,আমরা তোর ফ্রেন্ড। তোকে দেখলেই তো আমরা সব বুঝতে পারি। আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না এতো বড় একটা কথা তুই আমাদের থেকে লুকিয়ে রেখেছিলি।((কথা))
–((একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে)) আমি ভেবেছিলাম আজকে তোদের সবকিছু বলবো। কিন্তু তার আগেই তো তোরা সব বুঝে গেলি!! যাক ভালোই হয়েছে। এবার আমাকে তোরা সাহায্য করবি কিনা বল।।
–কোন সাহায্যই করবো না তোকে।। তোর যে বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে,,কথাটা আমাদের আগে বললি না কেনো??((ছড়া))
–((ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে))ম..মানে?? বিয়ে? কার বিয়ে?? কিসের বিয়ে? এইসব কি বলিস তুই??
–আরে,,ছড়া।। মিহুর হবু বর নিশ্চয়ই দাঁত পড়া বুড়া,,,তাই হয়তো বলতে লজ্জা পাচ্ছে??((কথা))
কথাটা বলেই দুজন হাসতে হাসতে কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছে। এদিকে তাদের এসব কথা শুনে আমার মাথায় পাহাড় সমান রাগ উঠে যাচ্ছে তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে…
–থামবি তোরা??? আমি এখন কিছু সিরিয়াস কথা বলতে চাচ্ছিলাম…আর তোরা মজা করছিস??
–((দুজন অনেক কষ্টে নিজেদের সামলে নিয়ে)) আচ্ছা ঠিক আছে,,,,বল।
তাদের প্রথম থেকে সব খুলে বললাম। শুভ্রর সাথে প্রথম দেখার মুহূর্ত,,উনার প্রতি আমার মনের প্রথম অনুভূতি। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে আসার পর উনাকে একনজর না দেখতে পাওয়ার অনুভূতি।
সব শোনার পর দুজন আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।
–মিহু,,,তুই একজনকে ভালোবেসে ফেলেছিস!!! যেই মেয়ে কোন ছেলের দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে দেখতো না আজ সেই মেয়ে শুভ্র নামের একজনের প্রেমে বিভোর হয়ে আছে!!(ছড়া)
–আমার মনে হয়,,,এতো সহজে উনার কাছে তোর মনের অনুভূতিটা প্রকাশ করা একদম ঠিক হবেনা। প্রথমত তুই এখনো উনাকে ভালোভাবে চিনিস না,,জানিস না। তার থেকেও বড় কথা হলো,,,মাত্র তিনদিনের পরিচয়ে তোর মনে শুভ্রর জন্য অনুভূতি তৈরি হলেও,,,শুভ্রর মনে তো এমন অনুভূতি নাও হতে পারে। এখন তুই উনাকে মনের কথাগুলো বললেই দিলে উনি ডিরেক্ট তোকে না করে দিবে।((কথা))
–((কথাগুলো মন দিয়ে শুনলাম,,আসলেই তো!! আগে আমার শুভ্রর সম্পর্কে জানতে হবে।)) তাহলে এখন আমার কি করা উচিত??
–আমার কাছে একটা প্ল্যান আছে।(ছড়া)
🍁🍁
রিকশা নিয়ে ছড়ার সাথে তার বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। আসলে,,ছড়া তার বাসায় যাওয়ার আগে আমাকে হাসপাতালের সামনে নামিয়ে দিয়ে যাবে। গতকাল ঠিক এই সময়েই শুভ্রকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেছি। ভাগ্য ভালো থাকলে হয়তো আজকেও দেখা হয়ে যেতে পারে।
–হাসপাতালের সামনে তো চলে আসলাম,,,কিন্তু এতো মানুষের মাঝে উনাকে খুঁজে না পেলে?? আর তুই কি সিওর,,,উনি এই সময় হাসপাতাল থেকে বের হবেন??(ছড়া)
–((সত্যি কথা বললে ছড়া কিছুতেই আমাকে এখানে থাকতে দিবে না)) হ্যা হ্যা। তুই এতো চিন্তা করিস না তো।। শুভ্রর সাথে দেখা না হলেও কিছুক্ষণ পর আমি বাসায় চলে যাবো। তুই বাসায় যা।
–ঠিক আছে,,,আমি যাই। বিকেলে কল দিয়ে সব খবরাখবর জানবো। টাটা।(ছড়া)
–হুম,,টাটা।
ছড়া তো চলে গেলো,,,কিন্তু শুভ্রকে কোথায় পাবো? আমি কি একবার হাসপাতালের ভিতরে গিয়ে তাকে দেখে আসবো?? আরে না না,,,কথা বলেছে কিছুতেই শুভ্রকে বুঝাতে দেওয়া যাবে না যে আমি তার সাথে দেখা করতে এখানে এসেছি। এখানে দাঁড়িয়েই অপেক্ষা করি। উনি হয়তো এখনি আসবেন।
প্রায় দুই ঘন্টা হয়ে গেছে হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পায়ে ব্যথা হয়ে গেছে,,,কিন্তু শুভ্রর দেখা এখনও পাইনি। যখনই মনে করি বাসায় চলে যাই,,,সে আর আসবে না। তখনই মনে হয় এখনই হয়তো শুভ্র আসবে। কিন্তু আজকে আর অপেক্ষা করা কোনভাবে সম্ভব না,,,বাবা হয়তো চিন্তা করছে। তাই শেষ একবার হাসপাতালের গেটের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে,, রিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসি।
মনটা একদম ভালো নেই। তার এতোটা কাছে থেকেও তাকে একনজর দেখার সুযোগ হলো না। কিন্তু আমি এতো সহজে দমে যাওয়ার মতো মেয়ে না। কথায় আছে….একবার না পারিলে দেখো শতবার।।। আমি কাল আবার যাবো,,,শুভ্রর জন্য অপেক্ষা করতে।
চলবে🍁