my_unexpected_love
part_11
Arohi_Ayat
.
কারেন্ট চলে গেছে হঠাৎ৷ আমরা দুইজিন সোফায় বসে ছিলাম৷ সারা ঘর অন্ধকার হয়ে গেছে আমি একটা চিৎকার দিয়ে তারাতাড়ি করে উঠে গিয়ে ভাইয়ার সামনে দাড়ালাম৷ ভাইয়া নিজের ফোনের টর্চ অন করে আমার মুখে লাইট ধরতে আমি মুখের সামনে হাত দিলাম ভাইয়া বলল
– কারেন্ট চলে গেলো! তুই এমন এখানে এসে দাড়িয়েছিস কেন?
আমি আমার মুখে হাত দিয়ে বললাম
– কি করবো! হঠাৎ অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম! তুমি লাইট টা আমার মুখের উপর থেকে সরিয়ে দাও আমি তাকাতে পারছি না!
ভাইয়া টর্চটা আমার মুখের উপর থেকে সরিয়ে উঠে দাড়ালো৷ আমি বললাম
– কোথায় যাচ্ছো?
ভাইয়া কিছু বলল না টর্চটা সামনের দিকে ধরে হাটা শুরু করলো৷ আমি তারাতাড়ি ভাইয়ার পিছনে গেলাম৷ ভাইয়া আস্তে আস্তে সিরি দিয়ে উপরে উঠতে লাগলো৷ আমিও আস্তে আস্তে উপরে উঠছি কিন্তু কিছুই দেখতে পারছি না৷ হঠাৎ উঠতে উঠতে সিরিতে পা মুচড়ে পরে গেলাম৷ সাথে সাথে ভাইয়ার শার্ট খামচে ধরে চিৎকার দিলাম৷ ভাইয়া পিছনে ঘুরে নিচের দিকে টর্চ ধরতে দেখলো আমি পরে আছি৷ ভাইয়া এক কোমোরে হাত গুজে বলল
– তুই পরলি কিভাবে? দেখে চলতে পারিস না? অন্ধ নাকি?
আমি কান্না জরিত কন্ঠে বললাম
– কিভাবে দেখবো? এই অন্ধকারে কি কিছু দেখা যায়? আর তুমি ত আমকে ফেলেই চলে যাও সবসময়! তুমি জানো আমি ভয় পাই তারপরেও আমাকে রেখে চলে যাচ্ছো! আরেকবারও তুমি এমন করিছিলে রাস্তায় আমার সাথে! এমন কেন তুমি! এই জন্যই তোমার সাথে একা থাকাটাই ভুল! তোমার কোন চিন্তাই নেই আমার ব্যাপারে!
আমার মুখের উপর টর্চ থাকায় ভাইয়ার মুখটা দেখতে পারছিনা কিন্তু ভাইয়া আমাকে দেখতে পারছে৷ আমার চোখ দিয়ে পানিই বের হয়ে গেছে৷ ভাইয়া কতক্ষন চুপ থেকে তার হাত বারিয়ে দিয়ে বলল
– উঠ!
আমি ভাইয়ার হাত ধরে উঠে দাড়ালাম৷ ভাইয়া বলল
– তুই আগে যা তাহলে!
– না,, না আমি আগে যেতে পারবো না আমার ভয় করে! তুমিই আগে যাও! কিন্তু আমাকে একটু ধরে নিয়ে যাও!
ভাইয়া বলল
– ওহহ মাই গড,, তোর মত ভিতু মেয়ে আমি আজ পর্যন্ত দেখি নি!
এটা বলে শক্ত করে আমার হাত চেপে ধরে সামনের দিকে হাটা দিল৷ আমার রুমের সামনে এসে ভাইয়া বলল
– যা,, গিয়ে এখন ঘুমা!
এটা বলে ভাইয়া আমার হাত ছেরে দিতে আমি তারাতাড়ি করে দুই হাত দিয়ে ভাইয়ার হাত ধরে বললাম
– দাড়াও দাড়াও! ঘুমাবো মানে কি? দেখছো না বাহিরে ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে আবার কারেন্ট নেই,, এখন আমি একা থাকবো? না না আমার ভয় করে! তুমিও আসো আমার সাথে!
ভাইয়া ভ্রু কুচকে বলল
– মানে কি?
– মানে কি আবার? তুমি এই সময় আমাকে একা ফেলে ঘুমাতে যাবে?
– তাহলে কি করবো এখন শুনি? তোর সাথে সারা রাত বসে থাকবো?
– না বসে থাকবে কেন ঘুমাবে!
ভাইয়া চুপ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ৷ আমি বললাম
– না আমার মানে আমার রুমে এসে ঘুমাও! কিছু হবে না! আসো প্লিজ প্লিজ!
ভাইয়ার হাত টেনে ধরে রুমে নিয়ে এলাম৷ আমার রুমে একটা লাইট রাখা ছিল আমি সেটা জালিয়ে দিলাম৷ এতে রুমে অনেকটাই আলো হয়েছে৷ আমি ভাইয়ার দিকে তাকাতে দেখলাম ভাইয়া আমার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে৷ আমি বললাম
– তোমার ঘুমে ধরেছে? তাহলে যাও ওই সোফায় গিয়ে শুয়ে পরো!
ভাইয়া রেগে আমার দিকে তাকিয়ে বলল
– তুই আমাকে জোর করে তোর রুমে নিয়ে এসেছিস আমি তাই এসেছি! এখন আবার আমাকেই সোফায় ঘুমাতে বলছিস?
এটা বলে ভাইয়া বেডে গিয়ে হেলান দিয়ে বসে পরলো৷ আমি বললাম
– তুমি এখানে ঘুমালে আমি কোথায় ঘুমাবো?
ভাইয়া বলল
– চুপ এত কথা বলার কোন প্রয়োজন নেই! চুপ করে এখানে এসে বসে থাক আর নাহলে ঘুমিয়ে থাক!
আমি বড় বড় চোখ করে বললাম
– আমরা দুইজনই কি বেডে ঘুমাবো নাকি?
ভাইয়া রেগে বলল
– বলছি না তোর ইচ্ছা হলে ঘুমা না ইচ্ছা হলে বসে থাক! আমি শুধু এখানে তোর জন্য বসে আছি তাছাড়া আমি ঘুমাবো না! আর কারেন্ট আসলে আমি চলে যাবো আমার রুমে!
– ওহ!
আমি গিয়ে বেডের ওই পাশে শুয়ে পরলাম৷ শরিরে চাদর টেনে ওই দিকে ঘুরে৷ একটু ঘুরে দেখলাম ভাইয়া ফোন টিপছে৷ আমি আবার ঘুরে ভাবছি আমার এমন হার্ট বিট দ্রুত চলছে কেন? এখন ভাইয়া আমার সাথে আছে বলে নাহলে আমি ত এতক্ষনে ভয়ে কি করতাম কে জানে? কয়েকদিন আগে আমার মনে হয়েছিলো ভাইয়া আমাকে ভালবাসে তখন আমার কেমন যেন মনে হয়েছিলো কিন্তু এখন এই কয়েকদিন যখন দেখছি ভাইয়া আমার সাথে বেশি কথা বলছে না আমার কেন যেন খারাপ লাগছে মানে কেমনই যেন মনে হচ্ছে৷ ভাইয়া ত বলেছেই ভাইয়া আমাকে ভালবাসে না,, এই কথাটা শুনে আমার তখন একটুও খারাপ বা কিছু মনে হয় নি৷ কিন্তু এখন কেন যেন মনে হয়,,,,,,,,,! জানি না কি মনে হয়! হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকে উঠতে আমি তারাতাড়ি উঠে ভাইয়ার সামনে গিয়ে ভাইয়ার হাত ধরে চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নেওয়া শুরু করলাম৷ ও আল্লাহ আমার বুক অনেক জোরে জোরে কাপছে৷ এমন হঠাৎ যদি কিছু হয়ে যায় আমি অনেক ভয় পেয়ে যাই৷ ভাইয়া ফোন রেখে আমার মাথায় হাত দিতে আমি চোখ খুলে ভাইয়ার দিকে তাকালাম৷ আমাকে এত জোরে জোরে শ্বাস নিতে দেখে ভাইয়া বুঝতে পারলো আমি অনেক ভয় পেয়ে গেছি৷ ভাইয়া আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো৷ আমি এক দৃষ্টিতে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি৷ ভাইয়াও আমার দিকে তাকিয়ে আছে৷ একটু পরে আবার বিদ্যুৎ চমকে উঠতে আমি ভাইয়ার শার্ট খামচে ধরে ভাইয়ার বুকে মুখ গুজে ফেললাম৷ ভাইয়া আমাকে তার সাথে চেপে ধরে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল
– রিল্যাক্স নিশা! এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই!
আমি ভয়ে কিছুক্ষন এইভাবেই ছিলাম,, আমার হুশ ফিরতে আমি তারাতাড়ি করে সরে গেলাম সেখান থেকে৷ ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে আছে৷ আর আমি দূরে সরে গিয়ে চুপ করে বসে আছি৷ এখন কি করবো বা বলবো বুঝতে পারছি না৷ দুইজনেই চুপ করে বসে আছি৷ হঠাৎ ভাইয়ার ফোন বেজে উঠলো৷ ভাইয়া ফোন হাতে নিয়ে রিসিভ করলো ফোনের স্পিকার অন করা৷ ওই পাশ থেকে মাইশা বলে উঠলো
– হ্যালো নিশান!
ভাইয়া বলল
– হুম!
– আমি কালকে সকালে আবার প্যারিস চলে যাচ্ছি!
ভাইয়া বলল
– ওহ!
– তুমি কি আমার সাথে যাবে না?
আমি ওদের কথা সবই শুনতে পারছি কারণ স্পিকার অন করা৷ ভাইয়া একবার আমার দিকে তাকিয়ে বলল
– না! আমি যাবো না এখন আমার এখানে আরো কিছু কাজ আছে!
– ওহ! নিশান শুনো আমি তোমাকে কিছু বলতে চাই!
ভাইয়া বলল
– হুম!
আমি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছি৷ মাইশা বলল
– নিশান,,, তুমি সবসময় আমাকে ফ্রেন্ড ভেবেছো আমি জানি! কিন্তু আমি,,,,,!
এইবার আমি আরেকটু মনোযোগ দিয়ে শুনতে লাগলাম৷ মাইশা বলল
– আমি,,,, আমি তোমাকে ভালবাসি নিশান! সেই কলেজ লাইফ থেকেই আমি তোমাকে ভালবাসি!!
এইবারো হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকে উঠলো কিন্তু আমি ভয় পেলাম না এইবার কারণ আমি ফোনে মাইশার কথা শুনেই অবাক!! ভাইয়া আমার দিকে তাকালো৷ আমি শান্ত ভাবে তাকিয়ে আছি৷ ভাইয়া আমার দিকে তাকাতে আমি কতক্ষন চুপ করে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে তারপর আমি হঠাৎই বলে ফেললাম
– তুমি কথা বলো আমি চলে যাই এখান থেকে!
এই কথাটা আমি নিজের অজান্তে বলেছি আর এই কথাটা বলে নিজেই কেন জানি কষ্ট পেয়েছি৷ আমি বুঝতে পারছি না এই মুহুর্তে আমার শরিরটা কার কন্ট্রোলে? কেন যেন নিজে নিজেই কান্না এসে পরছে৷ আমি সেখান থেকে উঠে চলে যেতে নিলে হঠাৎ ভাইয়া আমার হাত টেনে ধরে বলল
– কোথায় যাচ্ছিস? এখন তোর ভয় করবে না একা যেতে?
আমি ঘুরে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম
– না মানে আমি তোমাদের কথার মাঝে ডিস্টার্ব করতে চাচ্ছিলাম না!
– ডিস্টার্ব ত তুই অনেক আগেই করে ফেলেছিস আমাকে! আমার লাইফে এসে!!
আমি অবাক হয়ে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি৷ আমি বললাম
– কি বলতে চাও ভাইয়া?!
শুনতে পেলাম বেডের উপর রাখা ভাইয়ার ফোন থেকে এখনো মাইশার কথার আওয়াজ আসছে তার মানে ফোনটা এখনো কাটে নি৷ আমি ভাইয়া কে বললাম
– মাইশা ফোনে আছে ভাইয়া তুমি কথা বলো,, আর ছারো আমার হাত!!
ভাইয়া সেখানে পাত্তা না দিয়ে বলল
– সেই দিন তুই আমাকে যখন জিজ্ঞেস করেছিলি আমি তোকে ভালবাসি কিনা!? তখন আমার কাছ থেকে তুই হ্যা বা না কোন উত্তরই পাস নি,, কিন্তু আমি যতটুকু তোকে বলেছি তাতে তুই এইটাই ভেবে নিয়েছিস যে আমি তোকে ভালবাসি না! তাই না?
আমি ভ্রু কুচকে ভাইয়ার কথার আগা মাথা কিছু বুঝতে না পেরে বললাম
– কি বলছো ভাইয়া? একটু বুঝিয়ে বলো!
– কিছু বলছি না কিছু জিজ্ঞেস করছি,, তুই এখান থেকে চলে যাচ্ছিস কেন? কারণ আমি মাইশার সাথে কথা বলছি? তোর কি খারাপ লাগছে?,,,,,,,,,,,,, (কিছুক্ষন চুপ থেকে) তুই কি আমাকে ভালবাসিস??
এই কথা শুনে হঠাৎ কেন যেন আমার হাত পা কাপা কাপি শুরে হয়ে গেছে৷ আমি ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি৷ ভাইয়া আমার হাত ধরে একটু সামনে টেনে এনে এমন একটা ভয়ংকর শব্দে আমাকে বলল
– বলে দে যে তুই আমাকে ভালবাসিস!!! আমি শুনতে চাই,, বলে দে!!
আমার কেন যেন অনেক ভয় করছে৷ আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না৷ ভাইয়া আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যে আমার অনেক ভয় করছে৷ আমি কাপা কাপা গলায় বললাম
– আমি কেন বলবো এই কথা যে আমি তোমাকে ভালবাসি? তুমি কেন শুনতে চাও এটা? তুমি কি আমাকে ভালবাসো?
– নাহ! আমি তোকে ভালবাসি না!
আমি অবাক হলাম৷ চোখ দিয়ে পানিও গরিয়ে পড়লো৷ আমি ভাইয়ার থেকে হাত ছারিয়ে বললাম
– ভালবাসো না তাহলে কেন বলছো আমাকে এই কথা বলতে? মাইশা আপু তোমাকে ভালবাসে আর তুমি মাইশা পুকেই ভালবাসো তাই না? তাহলে আমি বুঝলাম না তুমি আমার সাথে এমন কেন করছো? তুমি আমাকে ভালবাসো না তাহলে আমিও তোমাকে ভালবাসি না!!
ভাইয়া আমার হাত ধরে আমাকে উল্টো করে আমার হাত পিছনে নিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে আমাকে ভাইয়ার সাথে একেবারে মিশিয়ে নিয়ে আমার কানের সামনে এসে রাগি কন্ঠে বলল
– আমি নিজের সাথে নিজে অনেক মিথ্যা কথা বলেছি আর এখন আমি টায়ার্ড হয়ে গেছি! তাই এখন তুই আমার সাথে মিথ্যা বলিস না! আমি জানি তুই আমাকে ভালবাসিস,, আর আমি এটা তোর মুখ থেকে শুনতে চাই তাহলে আমি নিজেকে শান্তি করতে পারবো! নাহলে আমি ত পাগলই হয়ে গিয়েছিলাম! আর তোর জন্যই হয়েছে সব! আমাকে ভাল না বাসলে আমার লাইফে এসেছিস কেন? আমাকে পাগল করার জন্য? অনেক আগেই আমি ভালবেসেছিলাম তোকে কিন্তু আমি কখনো ভাবিও নেই আর চাইও নেই যে আমি তোকে ভালবাসি!! ব্যাপারটা পুরোই আনএক্সপেক্টেড ছিল!! যখনি আমার ভিতরে তোকে দেখে কোন ফিলিং আসতো বা যখনি আমার মাথায় হুট করে এই কথা আসতো যে আমি তোকে ভালবাসি,, তখনি মাথাটা খারাপ হয়ে যেতো৷ সবার সামনে থেকে উঠে একা গিয়ে রুমে বসে হাজার বার এই কথাটা বলতেই থাকতাম যে না না না না আমি তোকে ভালবাসতে পারি না!! কিন্তু না মাথায় বার বার আসতোই তোর কথা তখন রাগে ইচ্ছা করতো মাথাই ফাটিয়ে দেই! কিন্তু জানিস আমি নিজেকে বাধা কেন দিতাম কারন আমি ভাবতাম আমি যদি এটা মেনে নেই যে আমি তোকে ভালবাসি কিন্তু তুই যদি আমাকে ভাল না বাসিস তাহলে,,,,,? তাহলে কি আমি পাগল হয়ে যাবো নাকি কি করবো এইসব কিছুও ভাবতাম৷ কারণ কাউকে জোর করে ভালবাসানো যায় না! প্রথমে ত আমি এখানে আসতেই চাই নি সবার সাথে কারণ আমি জানতাম এখানে তোকে দেখলে আমি আর থাকতে পারবো না! আর এখানে এসেছি যখন তখন কেন যেন আর তোকে একা ফেলে যেতে ইচ্ছে করছিলো না! আমি এখানে শুধু আছি তোর কারনেই!!! আমি অনেক বুঝিয়েছি আমার মন কে কিন্তু পারি নি এখানে থেকেই গেলাম শুধু তোর জন্য!!! আর এখনো আমি মেনে নিতে পারছি না যে আমি তোকে ভালবাসি!! এখনো মেনে নিতে পারছি না! আমি প্রথমে তোর মুখ থেকে শুনতে চাই যে তুই আমাকে ভালবাসিস! তাহলে আমি নিজেকে মানাতে পারবো,, আর আমি জানি তুই আমাকে ভালবাসিস!!
চলবে,,,,,,
(ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন❤️)