my unexpected love
part_8
Arohi_Ayat
.
ভাইয়ার সাথে গাড়িতে বসে কোথায় যাচ্ছি আমি নিজেও জানি না৷ বার বার ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করার পরেও এন্সার পেলাম না৷ ভাইয়া গাড়ি ড্রাইভ করছে ৷ জিজ্ঞেস করতে করতে একসময় আমি চুপ করে বসে রইলাম৷ আর ভাইয়া ত মানুষই চুপ! কিছুই বলে না কোনো প্রশ্নের উত্তরও দেয় না! এই কারনেই রাগ লাগে৷ কিন্তু হঠাৎ আমার মাথায় এলো সেই ভিডিওটার কথা! সেই ভিডিওটা দেখে আমি অনেক অবাক হয়েছিলাম কারণ ভাইয়াকে আমি বলেছিলাম আমাদের সবার ভিডিও করতে কিন্তু সেই ভিডিওটা তে শুধু মাত্র আমি একাই ছিলাম৷ মানে ভাইয়া ভিডিওই করেছে শুধু আমাকে একা৷ যখন আমি পা পিছলে পরে গিয়েছিলাম আর নিবির ভাইয়া আমাকে ধরেছিলো তারপরে আর ভিডিও নেই৷ মানে তখনই ভাইয়া ভিডিও করা বন্ধ করে দেয়৷ আর এখানে অবাক হওয়ার কারন হলো যে ভাইয়া শুধু আমাকে একা ভিডিও করেছে কেন?? এটাই বুঝলাম না! এই মুহুর্তে মাথার উপর অনেক জোর খাটাচ্ছি এই প্রশ্নের উত্তরটা ভাবার জন্য! এত মাথায় জোর দিলে আমার মাথাই নষ্ট হয়ে যাবে! আমি ভাবতে ভাবতে দেখলাম ভাইয়া গাড়ি থামিয়ে দিল৷ আমি ভাইয়ার দিকে তাকাতে ভাইয়া নেমে আমাকে নামতে বলল৷ আমিও গাড়ি থেকে নেমে ভ্রু কুচকে ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম
– তুমি আমাকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে এসেছো কেন? দেখো আমি কিন্তু মাত্র বাসা থেকে খেয়ে বের হয়েছি এখন পেটে কিছু ঢুকবে না! চলো ঘুরতে যাই এইখানে কি করবো?
– আমি একজনের সাথে দেখা করাতে নিয়ে এসেছি তোকে এখানে!
– কার সাথে?
ভাইয়া কিছু না বলে আমার হাত ধরে ভিতরে নিয়ে গেলো৷ ভিতরে ঢুকতে দেখলাম একটা মেয়ে বসে আছে৷ ভাইয়া আমাকে নিয়ে ওই টেবিলটায়ই গেলো৷ আমি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছি৷ মেয়েটাকে চিনা চিনা মনে হচ্ছে৷ ওহ-হো এটা ওইযে শপিং মলের মেয়েটা৷ ভাইয়ার সেই ক্লাস মেট! ভাইয়া আমাকে ওর সাথে দেখা করাতে নিয়ে এসেছে কেন? তার মানে ভাইয়া এই মেয়েটার সাথে নিশ্চয় রিলেশনে আছে হয়তো আজকে আমাকে সব সত্যি বলে দিবে কারণ আমি আগে গেস করে ফেলেছি ব্যাপারটা ! ভাইয়া আমাকে বসিয়ে তারপর বলল
– ও হচ্ছে মাইশা!
আমি একটু হাসার চেষ্টা করে বললাম
– আমি নিশা! আমাকে চিনতে পেরেছেন ত? ওইযে ওইদিন শপিং মলে দেখা হয়েছিলো যে!
মাইশা একটু ভাব নিয়ে বলল
– হুম! নিশান তুমি এখানে কাজের জন্য এসেছো ত?
আমি ভ্রু কুচকে তাকালাম৷ ভাইয়া বলল
– হুম! of course কাজের জন্যই এসেছি!
আমি জিগ্যেস করলাম
– কিসের কাজ!?
ভাইয়া বলল
– মাইশা আমার বিজনেস পার্টনার! ওর সাথে বিজনেসের কিছু কাজের জন্য এখানে এসেছি!
এটা বলে ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে এক ভ্রু উচু করে মাথাটা শুধু একটু নাড়ালো৷ আমি বললাম
– আচ্ছা তাহলে তোমরা বিজনেসের কাজের জন্য এসেছো তাহলে আমাকে কেন নিয়ে এসেছো? আমি কি করবো?
ভাইয়া বলল
– তুই কিছু করবি না শুধু এখানে চুপচাপ বসে থাকবি!
আমি ভ্রু কুচকে বললাম
– কেন?
ভাইয়া একটা সোজা কথা বলল
– আমার ইচ্ছা তাই!!
আমি ভাইয়ার দিকে কিছুক্ষন শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে আর কিছু বললাম না৷ ভাইয়া আমার জন্য একটা মিল্কশেক অর্ডার দিয়ে মাইশার সাথে নিজের বিজনেসের ব্যাপারে কথা বলা শুরু করলো৷ আমি এতক্ষন চুপচাপ বসে ওদের দিকে তাকিয়ে ছিলাম৷ ভাবছি ওদের সত্যিই কোনে রিলেশন নেই তাহলে? একবার ভাইয়ার দিকে আবার মাইশার দিকে আবার ওদের কাজের কথা গুলো একটু শুনছিলাম৷ এর মধ্যে আমার মিল্কশেক চলে এসেছে৷ আমি মিল্কশেক খাওয়া শুরু করলাম৷ আমি একটু হালকা বামে ঘুরে বসে বাহিরের দৃশ্য দেখতে লাগলাম৷ মিল্কশেকের স্টিকটা নিজের মুখে ঢুকিয়ে খেতে খেতে হঠাৎ ভাইয়ার দিকে তাকালাম৷ উফফ আমার হার্ট বিট বেরে গেছে এই মানুষটার দিকে হঠাৎ তাকিয়ে৷ মিল্কশেকে এক চুমুক দিয়েই ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি৷ গলা দিয়ে নামছে আর ভিতরে কেমন যেন এক আজব ফিলিং সৃষ্টি করছে৷ ভাইয়ার ভ্রু গুলো হালকা কুচকে আছে৷ চেহারাটা একেবারেই সিরিয়াস মুডে৷ এইভাবে সবসময় ভাইয়া সিরিয়াস মুডেই থাকে কিন্তু কাজের সময় হয়তো একটু আলাদা৷ অনেক মনোযোগ দিয়ে নিজের ল্যাপটপে কাজ করছে৷ এই প্রথম ভাইয়াকে কাজ করার রুপটাও দেখছি মানে এই মানুষটাকে যে কাজ করার সময় এমন মারাত্মক লাগে আজকে প্রথম দেখছি৷ পাশে বসে মাইশা আমার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ আমাকে ডেকে উঠলো৷ মাইশার ডাকে আমার হুশ ফিরলো আর এটাও বুঝতে পারলাম যে আমার মিল্কশেকটা শেষ৷ এক নিশ্বাসেই পুরোটা শেষ করে ফেলেছি৷ মাইশা বলল
– নিশা তোমার এখানে বোরিং লাগলে ওইযে একটু বাহিরে যেয়ে ঘুরে কেন আসো না?
আমি বললাম
– হুম! আমি একটু বাহিরে গিয়ে ঘুরে আসি!
ভাইয়া আমাকে বলল
– নাহ! চুপচাপ এখানে বসে থাক! কোথাও যাওয়া লাগবে না!
আমি আর কিছু না বলে চুপ চাপ বসে রইলাম৷ ভাইয়া আবার কাজে মন দিলো৷ একটু পরে পাশে তাকিয়ে দেখলাম একটা পিচ্চি মেয়ে আইস্ক্রিম খাচ্ছে৷ ওর আইস্ক্রিম খাওয়া দেখে সাথে সাথে আমার মুখে পানি চলে এলো৷ আমি ভাইয়াকে ডেকে উঠলাম
– ভাইয়া!
ভাইয়া আমার দিকে তাকাতে আমি বললাম
– আমি আইস্ক্রিম খাবো!!
ভাইয়া রেগে আমাকে বলল
– কালকে রাতে না তোর শরির পুরো ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিলো? একটা থাপ্পড় দিব যদি ঘুরেও আইস্ক্রিমের দিকে তাকাস! আইস্ক্রিম খাওয়া বন্ধ তোর এখন থেকে!!
আমি কিছু বলতে গিয়েও পারলাম না কারণ এখন কিছু বললে পরে এইভাবে ভাইয়া বকা খেতে হবে এইখানে সবার সামনে৷ আমি ভেংচি কেটে আবার ওইদিকে ঘুরে বসে রইলাম৷ হুহ! ভালো করে বললে কি হয়? এইভাবে সবার সামনে ধমক দেওয়ার কি আছে? ভাল লাগে না আমার! আমি রেগে উঠে দাড়ালাম৷ ভাইয়া সাথে সাথে গর্জন করে বলে উঠলো
– কোথায় যাচ্ছিস?
আমি দাত কটমট করে ছোট ছোট চোখ করে বললাম
–ওয়াশরুমে!!
এটা বলে ওয়াশরুমে চলে গেলাম৷ ওয়াশরুমে গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চেহারার দিকে তাকিয়ে নিজেই রাগে ফুসতে লাগলাম৷ ভাইয়া আমাকে এখানে কি জন্য নিয়ে এসেছে আমি বুঝতে পেরেছি৷ মানুষের সামনে আর মাইশার সামনে ইনসাল্ট করতে আমাকে নিয়ে এসেছে! আর আমাকে এখন মুর্তির মত বসিয়ে রেখেছে! ধুর! আমি হাত ধুয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে এলাম৷ বের হয়ে টিসু দিয়ে নিজের হাত মুছতে মুছতে দেখলাম একটা ছেলে এসে আমার সামনে দাড়িয়েছে৷ ছেলেটা আমাকে বলল
– হ্যালো!
আমি ভ্রু কুচকে বললাম
– হ্যালো! কে আপনি?
– আরে তুমিই ওই মেয়েটা ছিলে না যে কলেজে গল্প লিখার প্রতিযোগিতায় ফার্স্ট হয়েছিলে?
– হুম! আপনি জানলেন কিভাবে?
– আমি ত সেই কলেজেই পরি! কিন্তু আমি তোমার এক ক্লাস সিনিয়র!
আমি বললাম
– ওহহ! আপনি আমার গল্প পরেছেন?
– হুম! পরেছি ত! তুমি অনেক ভালো লিখো!
– থ্যাংক্স!
– আচ্ছা! এখন কি তুমি ফ্রি আছো?
– কেন?
– তাহলে একটু আমার সাথে এইখানেই একটু যাবে? তোমার সাথে কিছু কথা আছে!
– না না এখন আমি যেতে পারবো না সরি! একদিন নাহয় কলেজ গেলে কথা বলবো?!
হঠাৎ কোথা থেকে যেন নিশান ভাইয়া এসে আমাকে ডেকে বলল
– নিশা তুই এইখানে কি করছিস?
ভাইয়া আমার সামনে এসে বলল
– এটা কে? কার সাথে কথা বলছিস? চিনিস ওকে?
আমি বললাম
– না চিনি না কিন্তু এটা নাকি আমাদের কলেজেই পরে তাই আর কি কথা বলছিলাম!
– যাই হোক চিনিস না ভালো করে তাহলে কথা বলার কি প্রয়োজন?
পাশ থেকে ওই ছেলেটা বলে উঠলো
– আপনি কে শুনি!? ও আমার সাথে কথা বলছে তাতে আপনার কি!? আপনি ওর যাই হোন তাতে আমার কিছু না কিন্তু ও আমার সাথে কথা বলাতে আপনার এত প্রবলেম কেন?
সাথে সাথে ভাইয়া ছেলেটাকে একটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিল৷ আমি মুখে দুই হাত দিয়ে অবাক হয়ে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছি৷ ছেলেটা গালে হাত দিয়ে তাকিয়ে আছে৷ আর রেস্টুরেন্টের সবাই তাকিয়ে আছে ভাইয়ার দিকে৷ আর ভাইয়া ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আমাকে বলল
– তোকে যদি আর এইসব ফালতু মানুষের সাথে কথা বলতে দেখি নিশা এরপরে থাপ্পড়টা তোর গালে পড়বে!
এটা বলে ভাইয়া আমার হাত টেনে নিয়ে গেলো৷ আমি এখনো অবাক৷ ভাইয়া মাইশার কাছে গিয়ে বলল
– আজকে অনেক হয়েছে আমি তোমার সাথে আবার পরে সব ঠিক করে নিব!
এটা বলে আমার হাত ধরেই ভাইয়া বাহিরে চলে এলো ৷ আমাকে বলল
– গাড়িতে বস!
আমি গাড়িতে বসলাম ভাইয়াও গাড়িতে বসে পড়লো৷ আমি বললাম
– কি হয়েছে? তুমি এমন রেগে আছো কেন আজকে ভাইয়া!?
ভাইয়া আমার দিকে ঘুরে বলল
– এত কথা বলার কি দরকার এই ছেলেদের সাথে? আজকে থেকে কোন ফালতু ছেলের সাথে যেন তোকে কথা বলতে না দেখি?!
আমি ভাইয়ার মাথায় হাত রেখে বললাম
– এত রেগে যাচ্ছো কেন? শুধু শুধু? একটু ঠান্ডা করো মাথা!
আমি ভাইয়ার মাথায় হাত দিয়ে যেন ভাইয়ার মুহুর্তে সব রাগ কমে গেছে৷ ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে আমার হাত ধরে ফেলল৷ তার মাথা থেকে আমার হাত সরিয়ে কিছুটা রিল্যাক্স হয়ে বলল
– না আমি কই রেগে যাচ্ছি শুধু এই ছেলেটার কথা শুনে একটু রাগ লেগেছিলো!
আমি ভাইয়াকে বললাম
– তাহলে তুমি রেগে নেই?
– না!
– আচ্ছা তাহলে আমি তোমাকে যা জিজ্ঞেস করবো উত্তর দিবে?
ভাইয়া ভ্রু কুচকে আমার দিকে তাকালো৷ আমি বললাম
– আচ্ছা আগে বলো তুমি আমাকে এখানে কেন নিয়ে এসেছিলে? এইভাবে বসিয়ে রাখতে?
ভাইয়া বলল
– না তোকে দেখাতে যে মাইশা আর আমার মাঝে কিছুই নেই! তুই যে উল্টো পাল্টা গেস করেছিলি সেই সব কিছুই রাইট না! মাইশা শুধু আমার বিজনেস পার্টনার ব্যাস! আর কিছুই না৷ আর তুই আমি জানি যতক্ষন নিজের চোখে না দেখবি বিশ্বাস করবি না আর সারা দিনই তোর সেটা মাথায় ঘুরে! তাই তোকে দেখাতে নিয়ে এসেছি!
আমি বললাম
– তার মানে সত্যিই তোমার আর ওর মাঝে কিছু নেই?
– একটা কথা কয়বার বলতে হয় তোকে?
আমি ভেংচি কেটে বললাম
– হুহ! যাই হোক তুবুও তুমি আমাকে যে এতক্ষন এইভাবে বসিয়ে রেখেছো তারপর সবার সামনে এইভাবে ধমক দিয়েছো আমার একদম ভাল লাগে নাই!
– ত আমি কি করবো?
এটা বলে ভাইয়া সামনের দিকে ঘুরলো৷ আমি বললাম
– কি করবা মানে কি? আমাকে একটু খুশি করবা না?
ভাইয়া ভ্রু কুচকে বলল
– ওহ কি করবো তাহলে বল!
আমি বললাম
– আমাকে আইস্ক্রিম এনে দাও তাহলে দেখি!!
ভাইয়া বলল
– বলেছি না আমি আইস্ক্রিম খাওয়া চলবে না!
আমি মন খারাপ করে বললাম
– তাহলে আমাকে এখানে নিয়েই এসেছো কেন? শুধু এইভাবেই বকা দেওয়ার জন্য! আর কোথাও যাবো না আমি তোমার সাথে!
এটা বলে ওইদিকে ঘুরে রেগে বসে রইলাম৷ ভাইয়া বলল
– আচ্ছা! কিন্তু এখন একটাই আইস্ক্রিম খেতে পারবি এটার পরে যেন আর না খেতে দেখি! তাহলে খবর আছে!
আমি সাথে সাথে খুশি হয়ে বললাম
–ওকে! তাহলে যাও নিয়ে আসো!আমি আর চাইবো না পরে!
ভাইয়া রেগে আমার দিকে তাকিয়ে তারপর গাড়ি থেকে নামলো। আমি গাড়ির উইন্ডো দিয়ে দেখছি ভাইয়াকে৷ ভাইয়া একটা আইস্ক্রিম পার্লারে গিয়ে আমার জন্য আইস্ক্রিম দিতে বলল৷ আমি খুশি হয়ে ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি৷ ভাইয়া ঘুরে আমার দিকে তাকালো । আমি মুচকি হাসতে ভাইয়াও আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো সাথে সাথে আমার মুখের হাসি গায়েব হয়ে গেলো ৷ এই প্রথম ভাইয়া মুচকি হেসেছে তাও আমার দিকে তাকিয়ে! আমি প্রথম ভাইয়াকে এইভাবে মিস্টি হাসি দিতে দেখেছি! হাসিটা কেন যেন আমার বুকের ভিতরে গিয়ে লেগেছে৷ আমি বড় বড় চোখ করে আছি৷ কেন যেন অন্য রকম লাগছে৷ ভাইয়া আমাকে দেখে এইভাবে হাসাটা কেন যেন আমার মনে এক ঢেউ এর সৃষ্টি করেছে৷ হঠাৎ করে আমার মাথায় একটা প্রশ্ন জেগে উঠলো যেটা আমি কখনো ভাবিও নেই! ভাইয়া আমাকে ভালবাসে নাতো?
চলবে,,,
(ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন)