গল্পঃ বউ এর প্যারা,পর্বঃ ৫
লেখকঃ রোহান
রিমঝিম আর মারিয়া তর্কাতর্কি লাগলো,এক পর্যায়ে ঠাস করে কিসের যেনো শব্দ হলো,কিছু বুঝলাম না,এদিক সেদিক তাকাতেই দেখি মারিয়া গালে হাত দিয়ে আছে,তার মানে মারিয়াকে চর মারছে রিমঝিম।।
আমিঃ রিমঝিম এটা ঠিক করলে না,ও আমার বান্ধবী হয়,,
রিমঝিমঃ যা পারে তাই হোক,তাই বলে তোমাকে জরায়ে ধরবে নাকি হা,
আমিঃ ও এমনই,,তাই বলে পাবলিক পেস এ এমন ব্যবহার করবে,,
রিমঝিমঃ ওরে আরো মারবো,শালী আমার বরকে টাস করা,,
আমিঃ Please এখন চলো,
বলেই আমরা চলে আসলাম,আসার আগে মারিয়াকে বললাম ফোনে কথা হবে,দেখি মেয়েটা নিশ্চুপে কাঁন্না করছে,আজ রিমঝিম খুব বারাবারি করলো,হয়তো অন্য কোনো মেয়ে থাকলেও এমনই করতো,
কেননা মেয়েরা স্বামীর বাগ কাউকে দিতে চাই না,,
বাসায় এসে দেখি কোনো রান্না করেনি আম্মু,আমরা বাইর থেকে নিয়ে আনতে চাইছিলাম,কিন্তু আনা হলো না ঔ ঘটনার জন্য,,
রিমঝিমঃ যাও রান্না করো।।
আমিঃ কাকে বলছো,,
রিমঝিমঃ তোমাকে,
আমিঃ আমি কেনও করবো,,তোমরা ৩ টে মেয়ে আছো কি করতে,,
আম্মুঃ আমি করছি রান্না,,
রিমঝিমঃ না আম্মু,,আপনের ছেলেকে আজ শাস্তি দিবো রান্না করায়ে নিয়ে,,
আম্মুঃ কি করছে শয়তানটা,,
রিমঝিমঃ অন্য মেয়েদের সাথে জরাজরি,,
আম্মুঃ তাহলে আজ থেকে ৩ দিন তুই রান্না করবি,,
আমিঃ না আম্মু,,এতো বড় শাস্তি দিও না,,
রিমঝিমঃ তুই যাবি কি না,,
আমিঃ যাচ্ছি তো,,
বলেই রান্না করতে চলে আসি,আসার আগে সবাইকে একটি কথাই বলছি,আমার ছেলে হলে সবাইকে দেখে নিবো,তারা এটা শুনে সেই হাঁসি,আমিও লজ্জা পেয়ে দৌড় দিয়ে রান্না ঘরে আসলাম,,
ম্যাচে থাকতে রান্না করে খাইতাম,তাই রান্না করতে কোন সমস্যা হলো না,,
কিন্তু খাবার খাওয়ার সময় সমস্যা বাধলো,,
আমিঃ রিমঝিম খাবার রেডি চলে এসো,
রিমঝিমঃ যাচ্ছি,,
তারপর সবাই এক সাথে বসতেই,,
রিমঝিমঃ খাবার বেরে দিবে কে হা,,
আমিঃ খুব খুদা লাগছে গো,,
রিমঝিমঃ তা হবে না,,আমরা খাবো তুমি আমাদের খাওয়াবে,,তারপর তুমি একা একা খাবে।।।
আমিঃ দেখে নিবো তোমাদের😡😡😡
এমন করেই ৩ দিন গেলো,এই ৩ দিনে অনেক কিছু হয়ছে,যেমন রিমঝিম চুপি চুপি এসে আমাকে পিছোন দিক থেকে জরায়ে ধরছে রান্না করার সময়,
মাঝে মাঝে তার স্বারীর আচল দিয়ে ঘাম মুছে দিছে,তখনও ঘেমে যাওয়া কপালে কিস করছে,
যতই আমাকে প্যারা দিকনা কেনও,তার ভালোবাসা আমাকে সব কষ্ট ভুলে দেই,,,
রিমঝিমঃ রোহান,,
আমিঃ বলো,,
রিমঝিমঃ আজ না ঘুমালে হয় না,,
আমিঃ কেনও,,
রিমঝিমঃ আজ মনটা খুব খারাপ গো,,
আমিঃ কেনও,,কি হয়ছে আমার সোনা টার,,
রিমঝিমঃ আজ আমার এক বান্ধবীর বেবি হয়ছে,,
আমিঃ এতে মন খারাপের কি আছে শুনি,,
রিমঝিমঃ আমারও বেবি চাই,,
(বলেই আমার বুকে মুখ লুকাইছে)
আমিঃ তাহলো চলো কাজ শুরু করি,,
রিমঝিমঃ কিসের কাজ,,
তারপর আর কোনো কথা না বলেই আমরা বেবি নেওয়াতে বিজি,,
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে খাবার খেতেই বাসার কলিংবেল বেজে উঠে,,রিমঝিম দড়জা খুতে গেলো…..
আমিঃ কে আসছে রিমঝিম,
রিমঝিমঃ তোমার বান্ধবী,
আমিঃ কি!!
আল্লাহ আজ আবার কি পরীক্ষাই ফেললে,,
রিমঝিমঃ ভিতরে আসেন,
তারপর দেখি মারিয়া আর তার স্বামী ভিতরে ডুকলো,,
মারিয়াঃ কেমন আছিস রে,,
আমিঃ ভালো,তোরা কেমন আছিস
মারিয়াঃ ভালো ছিলাম না,তবে আজ খুব ভালো আছি,,
আমিঃ আচ্ছা সব শুনবো,তার আগে বসেক তোরা,
তারপর রিমঝিমকে বললাম কিছু নাস্তা রেডি করতে,মারিয়ার স্বামী এই প্রথম আমার বাসায় আসলো,,রিমঝিম তাই করতে গেলো,,
আমিঃ এখন বল কি হয়ছে।।
মারিয়াঃ তোর বউ কোথাই,,
আমিঃ নাস্তা আনতে গেছে,,
মারিয়াঃ নাস্তা পরে,আগে সবাইকে এখানে ডাক।।
আমিঃ আচ্ছা,,
(তারপর সবাইকে ডাকলাম)
আমিঃ এখন বল,,
মারিয়াঃ এই তুমি বলো না,আমার লজ্জা করতেছে,,
শান্তঃ ভাইয়া মারিয়া প্রেগনেন্ট,,
(শান্ত হলো মারিয়ার স্বামী)
আমিঃ সত্যি,,
শান্তঃ হা ভাইয়া,,
আমিঃ কতোদিন পর তোমাদের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে ভাই।
তারপর রিমঝিমকে বললাম খাবার রেডি করতে,আমিও সাহায্য করলাম,রিমঝিমের মন খারাপ হয়তো বা,কি জন্য বুঝতেছি না।।।
খাবার শেষে মারিয়ারা চলে যেতে চাইলো,,
রিমঝিমঃ আপু শুনেন,,
মারিয়াঃ হা বলেন আপু,,
রিমঝিমঃ সেদিনের জন্য সরি,,
মারিয়াঃ আমি কিছু মনে করিনি,,
রিমঝিমঃ আপনেরা এতো ভালো বন্ধু, তা আজ আমি বুঝতে পারলাম,,please মাফ করবেন আপু,,
মারিয়াঃ মাফ করতে পারি,তবে আমার বাসায় গেলে
রিমঝিমঃ আচ্ছা যাবো,,তবে কয়েকদিন পর,,
মারিয়াঃ ওকে।।।
তারপর মারিয়ারা চলে গেলো,রিমঝিম আমাকে ডেকে রুমে নিয়ে আসে,
রিমঝিমঃ রোহান আমার বেবি আজকেই চাই,,
আমিঃ কি করে আজকে বেবি হবে হা,,মাথা ঠান্ডা করো,আল্লাহ ঠিকই আমাদের ছেলে সন্তান দিবে,,
রিমঝিমঃ না না,,আমি মেয়ে চাই,,
আমিঃ না আমার ছেলে চাই
এই মেয়ে ছেলে নিয়ে খুব মারামারি,রুমের কিছু ঠিক নেই,সব আসবাবপত্র এলোমেলো হলে গেছে,রিমঝিম এসব দেখে ধপাস করে খারে বসে পরলো,,
আমিঃ কি হলো তোমার,,
রিমঝিমঃ এগুলো কে করলো,,
আমিঃ আমরা,,
রিমঝিমঃ আমরা মানে,,দাড়াও আমি আম্মুকে বলছি,,
বলেই দৌড়+++++++++++
আম্মুকে নিয়ে এসে,,
আম্মুঃ কে এগুলো করছে,
আমিঃ রিমঝিম আর আমি,
আম্মুঃ তারাতারি ঠিক করো,,
আমিঃ একা পারবো না,
আম্মুঃ তুই পারবি কি পারবি না সেটা জানি তো,,
আমিঃ আচ্ছা করতেছি,,
আসলে আমি খুদা শয়তে পারিনা,,তাই কিছু কাজ করে নেওয়ার জন্য আমার খাবারের উপর দিয়েই করে নেই,,যদি বলি করবো না,তাহলে সেদিন খাবার বন্ধু,এমন কি আমার রুম থেকে বের হওয়ায় বন্ধ।।
তাই ব্যদ্ধ হয়ে কাজ করি,,
কাজ করতে করতে ঘুমে যায়,চোখ খুলে দেখি আমার সব শেষ
চলবে