Three Gangsters_💕,Part-19

Three Gangsters_💕,Part-19
Sumaiya_Moni

ওরা চুপ চাপ গালে হাত দিয়ে ভাবতে লাগলো। কিছুক্ষন চুপ করে ভাবার পর হুট করে ওরা তিন জন এক সাথে বলে উঠলো।

মিশু, নিশু,কথা: সিসি ক্যামেরা……….. [ চোখ বড় বড় করে ]
.
.
মিশু: তার মানে হল রুমে সিসি ক্যামেরা লাগালো আছে……….[ অবাক হয়ে ]

নিশু: হ্যাঁ! এটাই হবে।

কথা: আর না হলে নীলের এই কথাটা জানতে পারতো না।

মিশু: তাহলে এর মানে এটা বুঝায় ওরা অফিসে বসে আমাদের কে দেখেছিল।……….[ অবাক হয়ে ]

নিশু: আরে হ হ….।

কথা: এই জন্য সাব্বির ও ফাহিম ফারহাদের কথা বলতে বার বার নিষেদ করে ছিল।…..[ অবাক হয়ে ]

মিশু: সাব্বির,ফাহিমার বাচ্চা। আমাদের এই কথাটা ওইখানে বললে কী হতো। ওগো দুটা রে আজকা খাইছি?……[ রেগে ] ওই ওদের দুই জন কে এই রুমে ডাক দিয়া নিয়ে আয়….ইচ্ছা মত কেলামু দুটারে।

নিশু: দাঁড়া ডাক দিতাছি। তোরা পজিশন মত থাক।

কথা: হ তুই যা ডাক দিয়া আন দুটারে ।

নিশু সাব্বির ও ফাহিম কে উপরে বসেই আদুরে কন্ঠে ডাক দিতে লাগলো।

নিশু: সাব্বির,ফাহিম তোমরা একটু এখানে আসো না…..তোমাদের কে একটা কথা বলার ছিল…..[ ন্যাকা কন্ঠে ]

সাব্বির, ফাহিম নিশুর ন্যাকা কন্ঠে ডাক শুনে ভ্রু কুঁচকে উপরের দিকে তাকায়।

ফাহিম: আফা আননের কী হইছে? আননে‌ এই ভাবে ডাহেন ক্যা মোগো।

সাব্বির: কী হয়েছে আপু?

নিশু: বেশি কথা বলিস? উপরে আসতে বলছি না তোগো! তাড়াতারি উপরে আয়…….[ ঝাড়ি দিয়ে বললো ]

সাব্বির ও ফাহিম চার পাঁচ ভাবতে ভাবতে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে লাগলো । নিশুর সামনে দাঁড়িয়ে বললো?

সাব্বির: বলেন আপু কেন ডেকেছেন?

ফাহিম: হ কইয়া হালান আফা?

নিশু: আমার সাথে আয়?……..[ বলেই নীলের রুমের দিকে হাঁটা ধরলো ]

সাব্বির ,ফাহিম নিশুর পিছনে পিছনে যেতে লাগলো । নিশু রুমের ভিতরে ঢোকার পর সাব্বির,ফাহিম যেই না রুমের ভিতরে পা রাখলো নিশু তখনি দুইটা কে ধাক্কা মেরে বিছানায় ফেলে‌দিয়ে দরজা লক করে দিল।

সাব্বির,ফাহিম অবাক হয়ে গেছে নিশুর এই ব্যবহারে।

ফাহিম: ওয়া কী আফা ধাক্কা মারলেন ক্যা?

সাব্বির: আপু কী হয়েছে আপনারা আমাদের দিকে এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?

মিশু: কী হয়েছে সেটাই তোদের দেখাবো। নিশু, কথা attack………[ বলেই বালিশ,জামার হেংকার,চিরনি দিয়ে উরাধুরা মারতে লাগলো ]

ফাহিম: আফা মোগো মারতাছেন ক্যা মোগো ছাইরা দেন……অহহহ…..উহুহহহ…..।

সাব্বির: আপু ব্যাথা পাইতাছি আর মাইরেন না।……[ করুন স্বুরে ]

মিশু: ওই তোরা থাম….[ এক পা বিছানার সামনে উঠিয়ে বলতে লাগলো ] এবার বল বাসায় যে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে সেটা আমাদের কেন বলিস নি ?…….[ রেগে ]

সাব্বির: আপু আপনারা তো আমাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন নাই‌ । জিজ্ঞেস করলে ঠিকি বলতান।

ফাহিম: হ হ জিজ্ঞাইলে কইতাম।…..[ মাথা ঝাকিয়ে ]

মিশু: ওই attack…… [ আবারো উদুম কেলানো শুরু করলো ওদের কে ]

ফাহিম: আফা আফা বুঝতে পারছি মোগো ভুল হইছে। আগেই আপনাগো কওয়া‌ উচিত ছিল এহন মাফ কইরা দেন।……….[ কাঁদো কাঁদো কন্ঠে ]

সাব্বির: হ মাফ কইরা দেন।

মিশু: ওই থাম….তখন কেন বলিস নি যখন আমি ফারহাদের কথা বলেছিলাম?

ফাহিম: কইছি না তখন ওপেন দ্যা দরজা ওপেন দ্যা দরজা শুনেন নাই আপনারা।…….[ কিছুটা জোর গলায় ]

নিশু: ওই বলদের হাড্ডি তোর ইংলিস বাইটটা তোরে খাইয়ে‌ দিমু। বালের‌ ইংলিস কস। আজকের পর থেকে তোর মুখ থেকে কোন ইংলিস যেনো না শুনি।

ফাহিম আবুল…….।

কথা: ওই সাব্বিরের বাচ্চা তুই তখন এই কথাটা বলিস নাই কেন সেটা বল?……..[ রেগে ]

সাব্বির: তখন বললে ভাইয়ারা শুনে ফেলতো আর আমাকে বকা দিতো তাই বলি নাই।……[ ভয় পেয়ে ]

নিশু: কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে বল?…….[ ধমক দিয়ে ]

সাব্বির: এই বাড়ির ভিতরে ও বাহিরের চার দিকে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। শুধু ভাইয়াদের তিন রুম ও আমার আর ফাহিমের রুমে লাগালো নাই। আর ওয়াশরুমেও‌ লাগানো নাই।

কথা: কী? এতো জাগায় ক্যামেরা লাগানো আছে ।……..[ অবাক হয়ে ]

ফাহিম: তাইলে মনে হরসেন কী? তিন গ্যাংস্টারস গো বাড়ি,নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা লাগালো থাকবই ।

সাব্বির: হ্যাঁ! আপু ফাহিম ঠিক বলেছে।

মিশু: আরে ইয়ার তার জন্যই আজকে এই বাঁশটা খাইলাম আমি…….[ বলেই ধুপ করে বিছানায় বসে পড়লো‌ ]

ফাহিম: কোন জাগাইদ্দা বাঁশটা খাইলেন আফা?

মিশু চোখ রাঙিয়ে ফাহিমের দিকে তাকায়।

ফাহিম চুপ হয়ে যায়।

নিশু: এই যা তোরা রুম থেকে বেরিয়ে যা।

সাব্বির ও ফাহিম রুম থেকে বেরিয়ে যেতে নিলে সাব্বির আবার ফিরে এসে বলতে লাগলো ।

সাব্বির: আপু আপনারা এই ক্যামেরার ব্যাপারে জানেন যেটা ভাইয়া দের বলবেন না প্লিজ?

কথা: বলবো না যা।

সাব্বির: আচ্ছা আপু ধন্যবাদ ।……[ খুশি হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায় ]

মিশু: এতো দিন যা যা করছি আমরা সবটাই ওরা দেখেছে তাই না।

নিশু: সেটা আবার বলতে?

কথা: হ….।

মিশু: হারামজাদা তিনটা…….।

নিশু: মিশু গালি দিস না দেয়ালেরও কান আছে।

মিশু: ওপসস……..[ মুখ চেপে ধরে ]
.
.
.
জাহিদ হাউজ…..

জাহিদ: কোন খবর পেয়েছো?

মেহেদি: বস মিশু এখন সুস্থ আছে। আর নীল,ওমর রাফি ওরা কী করে কোথায় যায় সেই খবর ঠিক মত জানতে পারছি না। কেননা ওরা কাউলে কিছুই বলে যায় না। অনেক চাকাল ওরা।

জাহিদ: চালাকি আর কত দেখাবে? আমিও দেখতে চাই কত দূর যেতে পারে ওরা। মেহেদি আমাদের সব লোক দের alert থাকতে বল। যে কোন সময় ওদের কে কাজে দরকার পড়তে পারে।

মেহেদি: জ্বী বস। আমি ওদের কে বলে দিচ্ছি ।
.
.
.
.
.
রাতে…..

এক সাথে সবাই ডিনার করতে লাগলো। আজকে একটু বেশিই চুপ চাপ সবাই। নিশু, মিশু, কথা চুপ চাপ মাথা নিচু করে খাচ্ছে। সাব্বির, ফাহিম ও চুপ চাপ করে খাচ্ছে। এই কয়দিনে ফাহিম ,সাব্বির খাবারের সময় গল্প জুড়ে দিত । আর আজ হঠাৎ করে চুপ থাকায় ওদের তিন জন কে বড্ড ভাবাচ্ছে। খাবার শেষ করে ওমর, নীল, রাফি যে যার রুমে চলে গেল। ওরা একটু হাপ ছেড়ে বাঁচলো।

ফাহিম: আফা আপানাগো……….[ বাকিটা বলার আগেই নিশু মুরগির লেগ পিস ফাহিমের মুখে ঢুকিয়ে দেয় ]

ফাহিম চুপ হয়ে যায় ।

নিশু: চুপ খেতে থাক…একটা কথাও বলবি না। কথা বললেই!!!…….[ রেগে কাঁটা চামিছ দেখিয়ে ]

ফাহিম ভয়তে কাচুকাচু হয়ে বসে রইলো। সাব্বির এটা দেখে মুখ খুলে কিছু বললো না।

নিশু,কথা,মিশু খাবার শেষ করে ঘুমাতে চলে গেল। যে যার মত করে শুয়ে পড়লো।

সকালে ওরা অফিসে যাবার পর সাব্বির ও ফাহিম নাগিন ডান্স করতে করয়ে নিশুর রুমে প্রবেশ করলো। ওদের এই‌ অবাল মার্কা ডান্স দেখে ওরা না হেসে পারলো না।

মিশু: কিরে তোরা দুই জন কী পাগল হয়েছিস নাকি?…… [ হেসে ]

নিশু: পাবনায় সিট বুক করতে হবে?…….[ হেসে]

কথা: থাম তোরা তোদের ডান্স দেখে আর হাসতে পারছি না। পেট ব্যাথা হয়ে গেছে। ……….[ পেট ধরে হেসে ]

ফাহিম: আফা জানেন কী হয়েছে?

মিশু: না জানিনা বল কী হয়েছে?

সাব্বির: ও বাল্লে বাল্লে …….বিয়া খাবো তিনটা বিয়া খাবো?………[ ডান্স করছে আর বলছে ]

কথা: বিয়ে খাবি মানে? কার বিয়ে?

ফাহিম: আপনাগো বিয়ে?

মিশু: ও আচ্ছা আমাগো বিয়ে…….।

নিশু,মিশু,কথা: কী?………..আমাদের বিয়ে মানে?………. [ অবাক হয়ে ]

সাব্বির: হ্যাঁ! আপনাদের বিয়ে ?…….[ ডান্স করে ]

নিশু,মিশু, কথা এখনো হা করে আছে । ওরা ঠিক বুঝতে পারছে না সাব্বির ও ফাহিম‌ কী বলছে?

কথা: দেখ মজা করবি না ,সত্যি করে বল………।

ফাহিম: সত্য কথা আফা…..।

নিশু: বাট কবে ?

সাব্বির: সেটা জানি না । তবে আমার আর আপু আপু ডাকতে ইচ্ছা করে না। ভাবি ভাবি ডাকতে মন চায়।

ফাহিম: হ রে এক সাথে তিনটা ভাবি পামু…….।

মিশু, নিশু, কথা এখনো ঘোরের মধ্যে আছে। এটা কী সত্যি নাকি মিথ্যা সেটাই বুঝার চেষ্টা করছে।

মিশু: আচ্ছা আমাদের কেন জানাই নি এই ব্যাপারে?

কথা: হ্যাঁ ! সেটাই আমাদের কেন বলে নি?

নিশু: নাকি এর মধ্যে কোন রহস্য আছে?

সাব্বির: কোন রহস্য নাই রাতেই সব কথা জানতে পারবেন? কিন্তু তার আগে আরেকটা সারপ্রাইজ আছে সেটা বলতে পারবো না। ফাহিম চল!

ফাহিম: হ ভাই চল মোগো মেলা কাম আছে।

ওরা দুই জন রুম থেকে চলে যায়। মিশু,নিশু, কথা ওরা বোকা বলে ঘাস খাচ্ছে। সব ওদের মাথার উপর দিয়ে গেল!

মিশু: কথা,মিশু এখন কী হবে?

কথা: বিয়ে হবে?

নিশু: কী?

কথা: আরে সাব্বির যাবার আগে কী বললো সারপ্রাইজ আছে নাকি? কিসের সারপ্রাইজ রে?

মিশু: কেমনে কমু?

নিশু: কনফিউজড…….।
.
.
.
.
সারা দিনেও সাব্বির,ফাহিম কে বাসায় দেখা যায় নি। নীল,ওমর, রাফি দের ফোন কল আসে নি। ওরা ভেবেই পাচ্ছে না হুট করে কী হলো ওদের।

মিশু: ধেৎ সাব্বিরের ফোন বন্ধ বলছে?

কথা: ফাহিমের ফোনও বন্ধ বলছে।

নিশু: বুঝতে পারছি না ওরা কী করতে চাইছে।

মিশু: আমিও ঠিক বুঝতে পারছি না ধুৎ….।

সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেল এখনো ওরা বাসায় ফিরে নি। নিশু, মিশু, কথা খাবার খেতে বসেছে। খাবার যেনো গলা দিয়ে নামছেই না ওদের। ওদের‌ মনের মধ্যে একটাই চিন্তা ঘুর পাক খাচ্ছে ওরা দুই জন গেল কোথায়। জোর করে দু চার নালা খেয়ে হাত ধুয়ে উঠে পড়লো। খাবারেই রুচি পাচ্ছে না। যে যার রুমে গিয়ে চিন্তায় ভিবোর । সারা দিন ভাবতে ভাবতেই ওদের সময় কেঁটে গেল। সন্ধ্যার দিকে সাব্বির ও ফাহিম বাসায় আসে। নিশু,কথা মিশুর রুমে ছিল। সাব্বির,ফাহিম মিশুর রুমে প্রবেশ করলো। ওদের দুই জন কে দেখে ওরা একটু সস্থি পেল এবং নানা ধরনের প্রশ্ন জুড়ে দিল।

কথা: তোরা দুই জন সারা দিন কোথায় ছিলি?

নিশু: তোদের ফোন বন্ধ কেন?

মিশু: আর ওই তিন জনের খবর কী ? তাঁরা কোথায়?

সাব্বির,ফাহিম কিছু না বলেই ওদের হাতে থাকা তিনটি শপিং ব্যাগ ওদের সামনে ধরলো।

কথা: এটা কী?……..[ জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে ]

সাব্বির: মিশু আপু এই প্যাকেট টা আপনার। কথা আপু এটা আপনার। নিশু আপু এই টা আপনার। ……..[ ওদের তিন জনের হাতে শপিং ব্যাগ গুলো দিয়ে বললো ]

মিশু: এটাতে কী আছে?…….[ ভ্রু কুঁচকে ]

কথা: এটা আমাদের কেন দিচ্ছিস?

সাব্বির: এতো প্রশ্নের উওর দিতে পারবো না। এটার ভিতরে গাউন আছে ভাইয়া রা আপনাদের জন্য পাঠিয়েছে। তাড়াতারি করে ড্রেস গুলো পড়ে রেডি হয়ে নিন। আমরা নিচে ওয়েট করছি ।

ফাহিম: তাড়াতারি রেডি হইবেন। দেরি হইলে ভাইয়ারা কিন্তু রাগ হরবে।

সাব্বির,ফাহিম রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

মিশু: ধুর কী হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না।

নিশু: সব প্লেনের মত মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে ।

কথা: ওয়েট দেখি কী আছে‌ এটার ভিতরে?

কথা শপিং ব্যাগের ভিতরে হাত দিয়ে একটা বেগুলি রঙের গাউন বের করলো। যেটা দেখে কথা অবাক। ওর দেখা দেখি মিশু শপিং ব্যাগের ভিতরে হাত দিয়ে ব্লু রঙের একটা গাউন বের করলো। নিশুর শপিং ব্যাগে ছিল লাল রঙের গাউন। গাউন তিনটি ফুল হাতা সহো নেটের অতি সুন্দর পাথর দিয়ে কারুকাজ করা ছিল। ওদের ভিশন পছন্দ হয় গাউন তিনটি।

মিশু: ওয়াও……[ খুশি হয়ে ]

নিশু: অনেক সুন্দর তাই না।…..[ খুশি হয়ে ]

কথা: হুমমমমমম।………..[ খুশি হয়ে ]

নিশু: 3.G তিনটার চয়েজ আছে।

মিশু: হুমমম ।

কথা: চল তাড়াতারি করে রেডি হয়ে নেই। দেরি হলে 3.G তিনটা রাগ করবে।

নিশু : হ্যাঁ! চল।

মিশু, নিশু,কথা গাউন তিনটি পড়ে রেডি হয়ে ন্যায়। আজকে ওরা হালকা সাজ সেজেছে। হঠাৎ করেই ওদের আজ সাজতে মন চাইছে। চোখে গাড়ো কাজল,ঠোঁটে লাল লিপস্টিক,চুল গুলো ছেড়ে দিয়েছে। তিন জনকেই খুব সুন্দর লাগছে। [ আজকে 3.G তিন জন ওদের দেখে পাগল হয়ে যাবে 😁 ] ওরা রেডি হয়ে নিচে নামতে লাগলো। গাউন তিনটি বেশ বড় ছিল। তাই গাউন ধরে ধরে হাঁটতে হচ্ছে ।

সাব্বির,ফাহিম ওদের দেখে হা…….।

ফাহিম: ওরে মুই ক্রাশ খাইছি………😍.

সাব্বির: আপু অনেক সুন্দর লাগছে আপনাদে,মনে হচ্ছে আকাশ থেকে তিনটি পরি নেমে এসেছে।……[ মুচকি হেসে ]

মিশু, নিশু,কথা ওরা তিন জন কিছুটা লজ্জা পেল।

মিশু: হয়েছে আজাইরা প্যাচাল বাত দে এখন কোথায় যাবি যেটা বল?

সাব্বির: আসেন আমাদের সাথে।

নিশু: এখন আমরা কোথায় যাবো?

ফাহিম: দেখতেই পারবেন,আহেন মোগো লগে।

সাব্বির, ফাহিম বাহিরের দিকে হাঁটা ধরলো । মিশু, নিশু, কথা সাব্বির ও ফাহিমের পিছন পিছন যেতে লাগলো । ওদের মনে মধ্যে প্রশ্ন ।যেটার উওর সাব্বির দিচ্ছে না। মিশু, নিশু,কথা গাড়ির সামনে এসে দাঁড়াবার সাথে সাথেই বডিগার্ড রা গাড়ির দরজা খুলে দিল। মিশু,নিশু,কথা তিন জন তিনটি গাড়িতে উঠে বসলো। গাড়ি ওদের গন্তব্যে যেতে লাগলো। মোট ছয়টা গাড়ি এক সিরিয়ালে যাচ্ছে । মাঝখানের তিনটি তে নিশু, মিশু,কথা পিছনে একটা বডিগার্ড দের। সামনের একটাতে সাব্বির,ফাহিম পরেকটাতে বডিগার্ড রা। সাব্বির ফোন হাতে নিয়ে কাকে যেনো কল দেয়।

সাব্বির: হ্যালো…. আমরা আসছি তাদের তিন জন কে নিয়ে…… ।

…ওপর পাশ থেকে এই কথাটা শুনা মাএই ফোন কেঁটে দেয়।

ঘন্টা খানিক পর বড় একটা বাড়ি ভিতরে প্রবেশ করলো। গাড়ি ভিতরে প্রবেশ করার সাথে সাথে মেইন গেট লাগিয়ে দেয়া হল। পরা পর সিরিয়াল মতো ওকে একে গাড়ি থেমে গেল। বডিগার্ড রা এসে দরজা খুলে দিল। মিশু, নিশু,কথা ওরা ওদের গাউন ধরে গাড়ির বাহিরে নেমে পড়লো। বাড়িটার দিকে তাকিয়ে ওদের চোখ ধাদিয়ে যায়। ওদের কাছে মনে হচ্ছে ওরা কোন এক রাজপ্রাসাদে এসেছে। আর ওরা সেই প্রাশাদের কুইন। হালকা সাদা রঙ দিয়ে ডিজাইন করা বাড়িটি। বাড়ির এক পাশে সুন্দর সুইমিংপুল। ছোট ছোট নানা রকমের বাতির আলো সুইমিংপুলের মধ্যে পড়াতে আকাশি রঙের পানি গুলো চিকচিক করছে। ওপর পাশে তিনটি বেঞ্চ আছে এবং নানান ধরনের ফুল গাছ লাগালো। সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর বাড়িটি। নিশু, মিশু,কথা এতক্ষন অবাক হয়ে বাড়িটির দিকে তাকিয়ে ছিল। সাব্বিরের কথায় ওদের ঘোর ভাঙে।

সাব্বির: আপু আপনারা ভিতরে যান।

মিশু: তোরা আসবি না।

ফাহিম: আপনেরা যান মোরা আসছি।

মিশু, নিশু, কথা আর কিছু বললো না। হেঁটে হেঁটে বাড়ির ভিতরে যেতে লাগলো। ওদের মনের মধ্যে এক অজানা অনুভুতি কাজ করছে । বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় ,ভিতরে যেতে সংকোচবোধ করছে। বাড়িটির দরজা লাগানো ছিল। মিশু হাত দিয়ে দরজা ধাক্কা দেবার সাথে সাথে খুলে যায়। বাড়িটি এখন ওদের কাছে ভৌতিক মনে হচ্ছে । একটা ডিম লাইট জ্বালানো আছে। ভিতরে আর কোন লাইটের আলো দেখতে পাছে না। মিশু,নিশু,কথা ওদের কেমন ভয় ভয় করছে। ওরা পিছনে তাকিয়ে সাব্বির ও ফাহিম কে ডাকতে নিলে দেখে পিছনে কেউ নেই। এটা দেখে ওরা আরো ভয় পেয়ে যায়। এতো তাড়াতারি ওরা কোথায় চলে গেল এটাই ভাবছে ওরা।

নিশু: মিশু,কথা আমার খুব ভয় করছে। সাব্বির, ফাহিম আমাদের কোথায় নিয়ে এলো।……..[ ভয় জড়ানো কন্ঠে ]

কথা: আর ওরা এতো তাড়াতারি উদাও হয়ে গেল কী করে?……..[ ভয়ে ভয়ে বললো ]

মিশু: আমিও ঠিক এটাই বুঝতে পারছি না।…..[ চিন্তিত স্বুরে ]

নিশু: ভিতরে যায় চল। বাহিরে থাকাটা ঠিক হবে না বোধ হয়।……[ ভয় ]

কথা: আমারো তাই মনে হয়।

মিশু: ভিতরে চল তাহলে…।

প্রথমে মিশু,তারপর নিশু,শেষে কথা বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো। হেঁটে ভিতরে যাবার সাথে সাথে দজরা ঠাস করে বন্ধ হয়ে গেল। ওরা‌ তিন জন একটু কেঁপে উঠলো। এবং ভয় পেয়ে যায়।

মিশু: ভয় পাশ না মনে সাহস রাখ।……[ নিশু, কথা কে সান্তনা দিয়ে ]

নিশু: হুমমম ।

কথা: এখন কী করবো বাহিরে কিভাবে যাবো।….[ ভয় ভয় বললো ]

মিশু কিছু বলতে যাবে ঠিক সেই সময় ডিম লাইট অফ হয়ে যায়। ওরা এবার আরো ঘাবড়ে যায়। সারা বাড়িতে এখন শুধু অন্ধকারে ছেঁয়ে আছে। কেউ কাউ কে দেখতে পর্যন্ত পাচ্ছে না। মিশু,নিশু,কথা ভয়তে এক জন আরেক জন কে জড়িয়ে ধরে । আর ভাবতে থাকে কেন যে এখানে আসতে গেল। ওমন, নীল,রাফি দের কথা খুব মনে পড়ছে ওদের । ভয়তে কাঁপা কাঁপি শুরু হয়ে গেছে ওদের। হুট করেই তিনটি আলো ওদের তিন জনের গায়ের উপর পড়ে। হঠাৎ আলো পড়াতে ওরা কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। সেই আলোর সাথে গোলাপের পাপড়ি ঝোড়ে পড়তে লাগলো ওদের গায়ের উপরে। ওরা এবার ওদের কে ছেড়ে দাঁড়িয়ে একবার উপরে আরেকবার ওদের মুখের দিকে চাওয়া চায়ি করছে। হঠাৎ করেই গিটারের আওয়াজ ওদের কানে ভেসে আসতে লাগলো । আওয়াজ অনুসারে সেদিকে তাকিয়ে দেখে।
.
.
.
.
.
.
Continue To……..😒