Three Gangsters_💕,Part-17

Three Gangsters_💕,Part-17
Sumaiya Moni”

মিশু চুপটি করে শুয়ে আছে। নিশু,কথা নীলের রুমে প্রবেশ করে । নিজেদের মনের মধ্যে অনুতপ্তবোধ কাজ করতে । নিশু,কথা মিশুর পাশে বসে বলতে লাগলো।
.
.
নিশু: মিশু বোন আমাকে মাফ করে দে..আমার জন্যই আজ তো এই অবস্থা…… [ মাথা নিচু বলে করুন স্বুরে বললো ]

কথা: আমকেও মাফ করে দে বোন….তখন আসলে রাগের মাথায় ওই সব বলে ফেলেছিলাম।…..[ করুন স্বুরে ]

মিশু বড় একটা নিঃশ্বাস টেনে বলতে লাগলো……

মিশু: মা-বাবা কে দেখেনি সেই ছোট্ট বেলা থেকে…..অনাথ আস্রমে বড় হয়েছি। যখন বুঝার জ্ঞ্যান হয়েছে ঠিক তখন থেকে তোদের দুই জন কে আপন বোনের মত মনে করেছি। সব সময় তোদের মুখে হাসি দেখতে চেয়েছি। তোদের কষ্ট হলে যে আমারও বড্ড কষ্ট হতো। আমি যে তোদের খারাপ চাইতে পারি নারে বোন। পারলে তোরা আমাকে মাফ করে দিস। আমি তোদের জীবন নষ্ট করে দিয়েছি।……[ কান্না জড়িত কন্ঠে ]

নিশু: এভাবে বলিস না মিশু। তুই যে আমাদের বোন ।আমাকে মাফ করে বোন….[ হাত জোর করে ]

কথা: তোকে অনেক কিছু বলেছি দয়া করে আমাকে মাফ করে দে….[ কান্না করে বললো ]

মিশু দু হাত দিয়ে বসা অবস্থায় ওদের দুই জন কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিল। নিশু,কথাও কাঁদছে।

মিশু: হয়েছে আর কাঁদতে হবে না। কান্না থামা…….[ নিশু ও কথার চোখ মুছে দিয়ে বললো ]

নিশু: জানিস মিশু কাল কি হয়েছে?

মিশু: না বললে কিভাবে জানবো আমি ?

কথা: নীল ভাইয়া সত্যিই তোকে অনেক ভালোবাসে সেটা কালকে তাকে দেখেই আমি বুঝতে পেরেছি?

মিশু: মানে?

নিশু: [ কাল রাতের যা যা হয়েছে সব কথা মিশুকে বললো ] কাল সারা রাত তোর জন্য দু চোখের পাতা এক করতে পারে নি ভাইয়া । আমি কথা অনেক বার বলেছি। তোর পাশে থাকবো নীল ভাইয়া কে বাসায় চলে যেতে কিন্তু ভাইয়া এক কথায় না করে দেয়। তারপর আমরা বাসায় এসে পরি ।আর নীল ভাইয়া সারা রাত তোর কাছে থেকে যায়।

কথা: নীল তোকে কতটা ভালোবাসে সেটা আমরা কালকেই বুঝতে পেরেছি মিশু।

মিশু: ওমর,রাফি? ওরা তোদের কে ভালোবাসে না ?

নিশু: জানি না।

কথা: আমিও জানি না। তুই রেস্ট নে‌ আমরা এখন যাই।

নিশু: হ্যাঁ! আমারা এখন যাই । পরে আবার আসবো।

কথা: কোন কিছুর দরকার হলে নীল ভাইয়া কে বলবি । আর আমরা তো আছিই!

নিশু, কথা রুম থেকে চলে যায়। মিশু নিজে নিজে ভাবনার সাগরে ডুব দিল নীলের কথা ভাবতে ভাবতে। মিশুর ভাবনার ছেদ পড়লো নীলের ডাকে।

নীল: এই যে ম্যাডাম কখন থেকে ডাকছি….কোথায় হারিয়ে গেলেন ?……[ গম্ভীর কন্ঠে ]

মিশু নীলের দিকে তাকিয়ে দেখে নীল একটা টাওয়াল পেচানো অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। নীলের সাধা ধবধবে উন্মুক্ত বুকের দিকে তাকিয়ে লজ্জায় মিশু চোখ নামিয়ে ন্যায়।

নীল: কিছু বলছি কিন্তু?

মিশু কিছুটা বিবর্তবোধ করছে।

মিশু: হুমমমমম……[ বলেই চুপ হয়ে যায় ]

নীল মিশুর উপর এক রাশ রাগ নিয়ে ট্রেসিং টেবিল সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। অন্য একটা টাওয়াল দিয়ে চুল মুছতে শুরু করে। মিশু আড়চোখে নীল কে দেখছে। নীল আয়নাতে মিশুকে দেখে বুঝে যায় মিশু ওকে দেখছে। নীল বাঁকা হাসে। ওয়ারড্রব থেকে টিশার্ট ও প্যান্ট বের করে নিয়ে চেঞ্জিং রুমে চলে যায় । মিশু একা একা বসে থাকে রুমে।

শুধু মিশু একা নীলের রুমে থাকবে না। ওমর কথা কে ওর রুমে আর রাফি নিশু কে ওর রুমে থাকবে সেটা ওদের দুই জন কে বলে দিয়েছে। কেননা যদি মিশুর মত ওরাও উল্টা-পাল্টা কিছু করে বসে‌ এই ভয়তে । নিশু,কথা পড়েছে চিপার মধ্যেই। কিছু বলতেই পারছে না শইতেও পারছে না।
.
.
.
.
“জীবন টা এত বিচিত্র কেন? বিচিত্র বলেই তো এটা জীবন। বিচিত্র না হলে তো এটাকে জীবন বলা যায়না। বিচিত্রতা আছে বলেই জীবনে সুখের স্বাদ টুকু উপলব্ধি করতে পারি নি। আদৌ সুখ নামক বস্তুটি আমাদের কাছে ধরা দিবে কী? অজানা আমাদের কাছে।….[ মনে মনে কথা বললো ]

পিছন থেকে ওমর ওর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সেটা কথা টের ও পায় নি। হালকা কাশিতে কথার ধ্যান ভাঙলো। কথা তাকিয়ে দেখে ওমর ওর পাশে দাঁড়ানো।

ওমর: কী পালাবার প্লান করছ নাকি?……[ কিছুটা গম্ভীর কন্ঠে ]

কথা: ……….[ কথা মাথা নিচু করে চুপ মেরে আছে ]

ওমর প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে কথার দিকে।

ওমর এক রাশ বিরক্তি নিয়ে রুমে চলে আসে।
কথা কিছুটা শস্থি পায় ওমর চলে যাওয়া তে।
.
.
.
“নিশু বারান্দায় দাঁড়িয়ে মেঘলাময় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে । আকাশের বেশ কিছু অংশ মেঘে ডেকে আছে। মনে হচ্ছে এখনি ঝুম করে বৃষ্টি বর্ষিত হবে আকাশ থেকে”।

রাফি: নিশু কী দেখছো?

নিশু: উড়োজাহাজ…….[ উপরের দিকে তাকিয়েই বললো ]

রাফি: হোয়াট!

নিশু হঠাৎ করেই বুঝতে পেরেছে ও কি বলেছে। থমথম খেয়ে বললো।

নিশু: আকাশ আকাশ…মেঘলা আকাশ দেখছিলাম।……

রাফি: ওওও…..ভালো লাগে আকাশ দেখতে?

নিশু:……………

রাফি: নিশু আমি…….[ বাঁকিটা বলার আগেই রাফির ফোন বেজে উঠে। ফোন রিসিভ করে বারান্দা থেকে চলে যায় ]

নিশু বড় একটা নিশ্বাস ফেলে আকাশ দেখতে বেস্ত হয়ে পড়ে।
.
.
.
.
রাতে…

সাব্বির ও ফাহিম নীলের রুমে আসে মিশুকে দেখতে।

সাব্বির: আপু আপনি এখন কেমন আছেন?

মিশু: হ্যাঁ! ভালো আছি।

ফাহিম: আফা আপনি‌ এইডা কী হরলেন। আপনের দেহি অনেক সাহস..।

মিশু ফাহিমের কথা মৃদ হাসে।

মিশু: সাব্বির একটা কথা জিজ্ঞেস করি তোমাকে।

সাব্বির: জ্বী বলেন আপু।

মিশু: ফারহাদ, রাহাত,রিদয় কে ছেড়ে দিয়েছে নাকি…….?

সাব্বির: আপু তাদেরকে তখনি ছেড়ে দিয়েছে এবং তাদের hospital এ ভর্তি করিয়ে দিয়েছে। আপনি টেনশন করবেন না।

মিশু সাব্বির কথায় কিছুটা শস্তি পেল। মনে মনে কিছুটা খুশি হয় ।

সাব্বির: আপু যতটা খারাপ ভাবসেন আমার ভাইয়া দের ততটা খারাপ আমার ভাইয়া রা নয়। এক বার তাদের সাথে মিশে দেখেন তাহলেই বুঝতে পারবেন তাঁরা কেমন লোক। উপর থেকে ঠিকি অনেক কঠিন কিন্তু ভিতর থেকে অনেক নরম তাদের মন।

মিশু কিছু বললো না চুপ করে সাব্বিরের কথা শুনে গেল।আরো কিছুক্ষন কথা বলে সাব্বির ও ফাহিম রুম থেকে বেরিয়ে যায়। নীল রুমে এসে মিশুকে ঔষধ খাইয়ে শুইয়ে দিল। উপর পাশে নীল ও শুয়ে পড়লো।আর কড়া গলায় বলে দিল সকালে ঘুম ভেঙে গেলেও যেন বিছানা থেকে না উঠে।

এদিকে রাফি বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে আছে। নিশু বিছানার নিচে দাঁড়িয়ে হাতের নখ খুটছে। নিশু রাফির সাথে এক বিছানায় ঘুমুতে সংকোচ বোধ করছে । বিয়ের আগে এবাবে এক বিছানায় ঘুমুনটা ওর কাছে ভালো লাগছে না। তাই কথা না বলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। রাফি নিশুকে এবাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলে উঠলো।

রাফি: আপনি কী ঘুমাবেন নাকি এবাবেই দাঁড়িয়ে থাকবেন।…….[ গম্ভীর কন্ঠে ]

নিশু: আমি এখানে ঘুমাবো না।…….[ মৃদ স্বুরে ]

রাফি: আপনার ইচ্ছা আমি ঘুমাচ্ছি…..আপনি ওইভাবে দাঁড়িয়ে থাকুন।……[ বলেই উপর পাশে ফিরে শুয়ে পড়লো ]

নিশু: টফির বাচ্চা ভাব দেখাস দাঁড়া এক সাথে ঘুমানোর শখ বের করবো আমি [ মনে মনে ]

নিশু বিছানার মধ্যে একটা কোলবালিশ দিয়ে রাফির উপর পাশে শুয়ে পড়লো। রাফি এটা দেখে কিছুটা বাঁকা হাসলো।
.
.
.
.
কথা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। ওমরের সাথে এক বিছানায় ঘুমানোর কোন ইচ্ছা নেই ওর। কিছু করারও নেই ওর। এটা ভেবেই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে কথার।

ওমর: আপনি কী ঘুমুতে আসবেন নাকি বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকবেন?……[ গম্ভীর কন্ঠে ]

কথা এক তিন ভাবতে ভাবতে বারান্দা থেকে এসে বিছানা থেকে একটা বালিশ নিয়ে সোফায় গিয়ে শুয়ে পড়লো ।

ওমর: আচ্ছা তো এই ব্যাপার। কোন সমস্যা নেই কথা মনি। তুমি ঘুমাও…..[ মনে মনে ]
.
.
.
.
.
গভির রাতে….

নিশু ইচ্ছা করে ওর হাত পা সব রাফির গায়ের উপর উঠিয়ে দিল। রাফি ঘুমের মধ্যে ওর বুকের উপর কিছুটা বারি বারি অনুভব করলো । চোখ মেলে তাকিয়ে এই কান্ডা দেখে রাফি কী করবে বুঝতে পারছে না।

রাফি: এ কেমন ঘুম রে বাবা….এইভাবে কেও ঘুমায়।

আস্তে করে নিশুর হাত পা ওর বুকের উপর থেকে সরিয়ে নিশুকে ঠিক করে শুইয়ে দিল। কিছুক্ষন পর সেই একি ভাবে হাত পা রাফির গায়ের উপর‌ উঠিয়ে দিল। রাফি আবার ও নামিয়ে দিল। নিশু মুচকি হেসে আবার ও উঠিয়ে দিল। রাফি এবার বিরক্ত হয়ে নিশুকে টেনে কাছে এনে ওর বুকের সাথে মিশিয়ে ধরলো। নিশু মনে মনে অবাক। এটা হবে সেটা‌ ওর ভাবনার বাহিরে ছিল। এখন কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না।

নিশু: আল্লাহ্ করতে চাইলাম কী আর হয়ে গেল কী? এখন কী করবো?…..[ মনে মনে ]

রাফি তো পরম যত্নে নিশুকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে। নিশু অনেক বার সরতে গিয়েও সরতে পারে নি। রাফি ওকে শক্ত করে ধরে রেখেছে। নিশুও কিছুক্ষন পর ঘুমের দেশে পাড়ি দিল রাফির সাথে।
.
.
.
ওমর কথা কে সোফা থেকে কোলে উঠিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিল। ওমর কথার উপর পাশে শুইয়ে কথা কে ওর বুকের মাঝে জড়িতে ধরে শুইয়ে পড়লো। কথা টের পায় নি ও এখন ওমরের বাহু ডোরে আবদ্ধ আছে।
.
.
.
সকালে……

মিশুর ঘুম ভাঙলেও শুয়েই রইলো ও। নীল আগেই বলে দিয়েছে যেন ওকে বিছানা থেকে ওঠা না হয়। নীলের আগে ঘুম ভাঙলেও শুয়ে থাকতে হবে। মিশু মাথাটা তুলে নীলের মুখের দিকে তাকালো। জানালার কাঁচের ফাঁক দিয়ে হালকা রোদের ঝিলিক এসে নীলের মুখের উপর পড়েছে। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নীলের দিকে!। ঘন ঘন দুটো ভ্রুয়ের নিচে দুটো টানা চোখ, চোখের পাপড়ি গুলোও খুব ঘন আর সুন্দর। গালে খোঁচা খোঁচা দাড়িগুলো একটু বড় হয়ে গেছে। শুভ্রতা ছেয়ে আছে গালে, নাকে মুখে। ঠোঁটের উপরে ছোট্ট একটা কালো কুচকুচে গাড়ো তিল । যেটা দেখতে খুবি মায়াবি লাগছে। আগে কখনই নীলকে কাছ থেকে এবাবে দেখেনি মিশু। হঠাৎ করে নীল নড়ে চড়ে উঠে। মিশু ওর চোখ সরিয়ে ন্যায় নীলের দিক থেকে। নীল চোখ মেলে মিশুর দিকে তাকিয়ে দেখে মিশু চেয়ে আছে উপরের দিকে।

নীল: Good morning mishu moni…..[ বলেই মিশুর কঁপালে আলতো করে চুমু এঁকে দিল ]

মিশু নীলের ছোঁয়া পেয়ে চোখ বন্ধ করে নিল। নীল বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হবার জন্য ওয়াশরুমে চলে যায়। ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে মিশুকে ধরে ধরে ওয়াশরুমে নিয়ে যায়। মিশু ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে নীলের কাঁধে ভর দিয়ে হেঁটে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ে। নীল সার্ভেন্ট কে বলে খাবার নিয়ে আসতে বলে।
.
.
.
নিশু ঘুম থেকে উঠতে নিলে হঠাৎ অনুভব করে কারো দু বাহুর মধ্যে আবদ্ধ আছে। কাল রাতের কথা মনে পড়ে যায় নিশুর। নিশু রাফির বুকের কাছে ওর মাথাটা রেখে রাফির বুকের ঢিপঢিপ আওয়াজ শুনতে লাগলো। নিশুর কাছে অদ্ভুত এক ভালো লাগা কাজ করছে। চোখ বন্ধ করে আছে নিশু। নিশুর কাছে মনে হচ্ছে রাফির হার্টবিট প্রতিটা স্পন্দনে বলছে,”নিশু ভালোবাসি তোমাকে,অনেক বেশি ভালোবাসি নিশু”।
এভাবে থাকতে থাকতে রাফি চোখ মেলে তাকালো। নিশুকে ওর বুকের মাঝে আবদ্ধ দেখে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো । নিশু এবার আর শুয়ে থাকতে পারলো না রাফির হাত সরিয়ে লাফ দিয়ে উঠে পড়ে।রাফি কিছুটা অবাক হয়ে যায় নিশুর এমন কান্ডে ।

রাফি ভ্রু কুঁচকে নিশুর দিকে তাকিয়ে বললো।

রাফি: What?????

নিশু কিছু না বলেই ওয়াশরুমে চলে যায়। রাফি নিশুর যাবার দিকে তাকিয়ে আছে ।
.
.
.
কথার ঘুম পুরা হয়েছে দেখে উঠতে নিয়ে উঠতে পারেনা। চোখ মেলে দেখে ওমর ওকে জড়িয়ে ধরে পরম আবেশে শুয়ে আছে।

কথা: হাই হাই আমি তো সোফায় ছিলাম এখানে কী করে আসলাম? মনে হয় এই ওমেরা আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। ওমেরার বাচ্চা…….[ মনে মনে ]

কথা মাথাটা একটু তুলে ওমরের দিকে তাকালো । একটা নিষ্পাপ বাচ্চাদের মত ঘুমুচ্ছে। জানালার কাঁচের ফাঁক দিয়ে রোদ এসে পড়েছে ওমরের চেহারাতে ।
ফর্সা মুখে লাল রোদ পড়ে কেমন রাঙা হয়ে উঠেছে চেহারাটা। গালে খোঁচা খোঁচা দাড়িগুলো বেশ বড় হয়ে গেছে। চোখে মুখে আছে অদ্ভুত এক মায়া। নাকটা লম্বা। গলা থেকে বুকের দিকে নামলে গেঞ্জির উপরের বোতাম দুইটা খোলা থাকায় উনমুক্ত ফর্সা বুকটা খুবি সুন্দর দেখাচ্ছে। ফর্সা বুকে দু একটা লোম উঁকি দিচ্ছে। অদ্ভুত এক মায়া ছড়াচ্ছে ওমরের চেহারা থেকে। কথা অনেক্ষণ এভাবে চেয়ে চেয়ে এসব ভাবতে লাগলো। ওমর চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে কথা ওর দিকে তাকিয়ে আছে । কথাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে কথার কঁপালে আলতো চুমু এঁকে দিয়ে বললো?

ওমর:”Good morning kotha moni”…..

ওমরের উষ্ণ স্পর্শে কথা পরম আবেশে চোখ বুজে ন্যায়। ওমর কথার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো। করা হুট করে চোখ মেলে ওমরের চোখে চোখ পরাতে লজ্জা পেয়ে যায়। হালকা ধাক্কা দিয়ে ওমরকে সরিয়ে কথা উঠে চলে যায়। ওমর গালে হাত দিয়ে কথার যাবার দিকে তাকিয়ে আছে ।
.
.
.
.
সবাই এক সাথে ব্রেকফাস্ট করে ন্যায়। ওমর, রাফি ,সাব্বির অফিসে চলে যায়। নীল মিশুর কাছে থেকে যায় মিশুকে দেখা শুনা করার জন্য।

এভাবেই খুনশুটিতে ওদের দিন গুলো কাঁটতে লাগলো।
১০দিনে মিশু অনেকটায় সুস্থ হয়ে উঠে। এই দশদিনে নীল মিশুর অনেকটা কেয়ার করে এবং ভালোবাসার শাস্তি তো আছেই। মিশু কথা না শুনতে চাইলে জোর করে সেই কাজটা করিয়ে সারে নীল। প্রথম প্রথম মিশুর কাছে বিরক্ত লাগলেও এখন ওর অভ্যাস হয়ে গিয়েছে ।মিশু এখন অনেকটা দূর্বল হয়ে পড়ে নীলের উপর। শুধু মিশু না কথা ও নিশু ও অনেকটা দূর্বল হয়ে পড়ে ওমর ও রাফির উপর। ওমর,নীল,রাফি এটা বুঝতে পারে। কিন্তু নিশু ভালোবাসাকে বিশ্বাস করতে পারছে না। আদৌ কী সত্যিই রাফি ওকে ভালোবাসে নাকি মিথ্যা সেটা ওর অজানা ।

নিশু বারান্দার গ্রিল ধরে এক কোণায় দাঁড়িয়ে আছে। ওর মনে মধ্যেই নানান প্রশ্ন উঁকি দিয়ে যাচ্ছে। আদৌ এই প্রশ্নের উওরের দেখা মিলবে কিনা সেটা ওর অজানা । হঠাৎ অনুভব করলো ওর কাধে কেউ হাত রেখেছে। পিছনে ঘুড়ে দেখে কথা সাথে মিশুও আছে।

কথা: কী হয়েছে নিশু?

মিশু: তোর কী মন খারাপ? নাকি প্রশ্নের উওরের খোঁজ করছিস?

মিশুর মুখে এই কথাটা শুনে অসহায় দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকায়। মিশু ঠিক ওর মনের কথাটি বুঝতে পেরেছে।
বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলতে লাগলো।
.
.
.
.
.
Continue To…….😐