Three Gangsters_💕,Part-14

Three Gangsters_💕,Part-14
Sumaiya_Moni”

বডিগার্ড এসে ওমর, নীল,রাফি দের উদ্দেশ্যে বলতে লাগলো ।
.
বডিগার্ড: বস এই resort এর সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ।

ওমর: অন কর…।

বডিগার্ড লেপটপে ফুটেজ অন করে ওমর,নীল,রাফি ওদের সামনে ঘুরিয়ে ধরেরলো । প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখে বুঝতে পারলো ওরা তিন জন কিভাবে পালিয়েছে।

নীল: নিজেদের খুব চালাক মনে করে ওরা…..[ গম্ভীর কন্ঠে ]

রাফি: পালিয়ে যাবে কোথায় ধরা তো পড়তেই হবে…[ রাগি গলায় ]

ওমর: পালিয়ে গিয়ে কাজটা একদকি ঠিক করে নি….[ রেগে ]

সাব্বির: ভাই।

নীল: বল কোন খবর পেয়েছিস?

সাব্বির: এখনো কোন খবর পাওয়া যায় নি। তবে এখান থেকে ভোর ৪টার সময় ৫টা বাস ছেড়ে গেছে। তিনটা কক্সবাজার,২টা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ।

রাফি: গুড…কক্সবাজার ও চট্রগ্রামের বাস স্টানে লোক পাঠিয়ে দেও। আমি সিউর এই দুই স্টানের মধ্যে যে কোন একটা স্টানে ওরা ঠিকি নামবে। Go First…..।

সাব্বির: ঠিক আছে ভাই ।……[ বলেই রুমের বাহিরে বেরোতে নিয়ে ফাহিমের সামনা সামনি পরে ]

ফাহিম: এ ভাই ওয়া কি হুনলাম..আফা রা নাহি পালাইছে.?

সাব্বির: হ্যাঁ! তারা পালিয়েছে।…..[ বলেই চলে যায় ]

ফাহিম মাথা চুলকাতে চুলকাতে রুমের ভিতরে প্রবেশ করে ।

ওমর: আমি একটা জীনিস বুঝতে পারছি না,ওরা টাকা কোথায় পেল? ওদের কাছে তো কোন টাকা ছিল না।

নীল: আমিও এটাই ভাবছি?

ফাহিম: ভাই কালকে রাইতের ভেলায় সাব্বির যে কথা আফা রে টাহা দিছে হেইডা আপনেরা জানেনা?

ওমর: হোয়াট! সাব্বির কথা কে টাকা দিয়েছে মানে?

ফাহিম: হয় মুই সত্য কথা কইতাছি। কার রাইতের ভেলায় সাব্বির, মুই,আফা রা তিন জন মিললা গেম খেলছি। তখন দিছে টাহা।

রাফি: গেমস! কিসের গেম?

ফাহিম কাল রাতের খেলার কথা ওদের তিন জন কে বললো।

নীল: ওয়াও….হোয়াট এ আইডিয়া! খুব ভালোই বুদ্ধি আছে দেখছি মিশুর! মিশু ভালো করেই জানতো ওদের কাছে টাকা নেই,তাই এই খেলাটা সাব্বির ও ফাহিমের সাথে খেলে ওদের ফায়দা উঠিয়েছে।

ওমর: হুমমম……।

রাফি: সাব্বির এই কথাটা আগে কেন বলেনি?…..[ রেগে ]

ওমর: রিলেক্স! হয়তো ভুলে গিয়েছে ।

নীল: ওদের তিন জনের ফোন সুইচড অফ।

ওমর: পাগল নাকি পালিয়ে গিয়ে ফোন অন রাখলে আমার ওদের লোকেশন ট্রেস করে জেনে যাবো না ওরা কোথায় আছে। ওদের কে এতো বোকা মনে করিস না।
They are lot intelligence?……..[ গম্ভীর কন্ঠে ]
.
.
.
এদিকে ওরা এখনো কক্সবাজার পৌঁছাতে পারে নি। আর সাব্বির বডিগার্ড দের কক্সবাজার ও চট্রগ্রামের বাস স্টানে লোক পাঠিয়ে দিয়েছে। সকাল পেরিয়ে,দুপুর হয়ে গেল,দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। এখনো ওরা পৌঁছাতে পারে নি । রাত ৯টার দিকে ওরা কক্সবাজার পৌঁছে যায় । বাস থেকে নেমে রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে আলোচনা করতে লাগলো।

নিশু : মিশু এসে তো পড়লাম বাট এখন কি করবি?

কথা: মিশু তোর bf কে একটা কল দে?

মিশু: আচ্ছা দিচ্ছি চল মোবাইলের দোকানে চল। আমার ফোন দিয়ে কল দেওয়া যাবে না। আর ফোন অন ও করা যাবে না। ফারহাদের নাম্বার আগে থেকেই একটা কাগজে লিখে রেখেছি আমি।

কথা: ভালো করেছিস,এবার চল দোকানে যাওয়া যাক ৯:১০ বাজে দোকান বন্ধ করে ফেলতে পারে।

নিশু: হ্যাঁ মিশু তাড়াতারি চল।

মিশু: আচ্ছা আয়।

মিশু,নিশু,কথা কিছু দূর হেটে একটা মোবাইলের দোকানে প্রবেশ করলো।

মিশু: এই যে ভাইয়া ফোনে কথা বলা যাবে?

দোকান দার: জ্বী আপু….নাম্বার বলেন।

মিশু: 018360………..

দোকান দার: এই নেন আপু রিং হচ্ছে…[ বলেই মোবাইলটা মিশু কে দিল ]

মিশু: ওহ! ধরছে না কেন এই ছেলেটা….ধরেছে…..হ্যালো ফারহাদ আমি মিশু?…..[ উওেজিত কন্ঠে ]

ফারহাদ: মিশু তুমি? এতো দিন কোথায় ছিলে? আর এটা কার নাম্বার?…… [ চিন্তিত স্বুরে ]

মিশু: এতো কিছু বলার সময় নেই,তুমি আগে তোমাদের বাস স্টানে চলে আসো। আমি নিশু,কথা কক্সবাজার বাস স্টানে দাঁড়িয়ে আছি।

ফারহাদ: কিহ!…….সত্যি নাকি মজা করছো?……[ বেশ অবাক হয়ে ]

মিশু: সত্যি প্লিজ তুমি তাড়াতারি চলে আসো…..প্লিজ প্লিজ প্লিজ ফারহাদ।

ফারহাদ: জাস্ট ১০মিনিটের মধ্যে আমি আসছি…… তুমি ওইখানেই বসো ।……[ বলেই ফোন কেঁটে দিয়ে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ]

মিশু: ফারহাদ আসছে…..[ হাসি দিয়ে বললো ]

নিশু: Thanks God…..।

কথা: খুব খুদা লেগেছে মিশু…..।

মিশু: ফারহাদ আসুক তারপর হোটেলে গিয়ে কিছু খেয়ে নিবো নে ওকে!

কথা: ওকে।

ফারহাদ ১০মিনিটের জাগায় ৮মিনিটেই বাস স্টানে চলে আসে । বাইক থেকে নেমে সেই নাম্বারে আবার কল দেয়।

দোকান দার: আপু সেই নাম্বার থেকে কল এসেছে।

মিশু ফোন টা হাতে নিয়ে রিসিভ করে কথা বলতে লাগলো।

মিশু: হ্যালো!

ফারহাদ: কোথায় তোমরা?

মিশু: মোবাইলের দোকানের সামনে ।……[ বলেই ডানে বামে তাকাতে লাগলো ] ফারহাদ…..আমি এখানে!……[ হাত জাগিয়ে বললো ]

ফারহাদ ফোন কেটে দিয়ে ওদের কাছে যেতে লাগলো।

ফারহাদ: আমি কি সপ্ন দেখছি মিশু বিশ্বাস করতে পারছি না তুমি এখানে?

মিশু ফারহাদ কে জোরে একটা চিমটি দিল……।

ফারহাদ: আউচচচ……

মিশু: এবার বিশ্বাস হয়েছে?

ফারহাদ: হয়েছে…. বাট এই দেশে কেন কি হয়েছে হঠাৎ করে…….।

মিশু: সব কথা পরে হবে আগে এখান থেকে চলো । এখানে বেশিক্ষন থাকা ঠিক হবে না।

ফারহাদ: কেন?

নিশু: পরে বলি ভাইয়া আগে এখান থেকে চলেন।

ফারহাদ: ওদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে না মিশু।

মিশু: সব পরে হবে আগে চলো এখান থেকে।

ফারহাদ: আচ্ছা চল আমাদের বাসায় চলো। আম্মু তোমাদের কে দেখলে খুব খুশি হবে।

মিশু: আচ্ছা চলো।

মিশু ফারহাদের বাইকে উঠলো। নিশু ও কথা রিক্সা দিয়ে আসতে লাগলো।
.
.
.
.
বডিগার্ড রা এখনো কক্সবাজার ও চট্রগ্রাম পৌঁছাতে পারে নি। এই কথা ওমর,নীল,রাফি ওরা শুনে রাগে ফায়ার হয়ে যাচ্ছে । ফারহাদের বাসায় এসে সবার সাথে পরিচিত হয় ওরা। ওদের একটা রুম দেওয়া হয় রেস্ট নেবার জন্য। খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফারহাদ ওদের রুমে আসে। মিশু, নিশু,কথা ফারহাদ কে প্রথম থেকে সব কথা খুলে বলে।

ফারহাদ: এই তোমরা কি করেছো জানো? বাঘের খাঁচা থেকে পালিয়ে এসেছো। 3.G রা যদি জানতে পারে তোমরা এখানে তাহলে কি হবে একবার ভেবে দেখো।………[ কিছুটা ভয় ভয় বললো ]

মিশু: ভাবার দরকার নেই জানি আমরা। প্লিজ দোস্ত আমাদের hide করে রাখ। তুমি না আমার Best Friend।[ অনেকেই bf কে boy friend মনে করেছে জানি 😒 ] প্লিজ দোস্ত….. [ করুন স্বুরে ]

ফারহাদ: আমি তোমাদের hide করে যদি পাতালেও রাখি তাহলেও ওরা এক দিন না এক দিন ঠিকি তোমাদের খুঁজে বের করবেই। ওদের কে তোমরা চিনো না।

কথা: চিনি জানি……।

ফারহাদ: তাহলে? আর তোমরা পালিয়ে এসেছো ভালো কথা কিন্তু তোমাদের বোরখা বা মুখ ডাকার দরকার ছিল। 3.G দের লোক রা এসে যদি বাস স্টানে জিজ্ঞাসা বাদ করে পাবলিক দের আমি সিউর ওরা তোমাদের কথা বলে দিবে আর সাথে আমার ঠিকানাও বলে দিবে কেননা ওইখান কার দোকান দার রা কম বেশি আমাকে চিনে। আমি এই এলাকার ছেলে।

মিশু: আল্লাহ্ এটা তো আগে ভেবে দেখি নি। এখন কি হবে…….[ ভয় জড়ানো কন্ঠে ]

কথা: কি আর হবে আমরা শেষ……[ মন খারাপ করে বললো ]

নিশু: প্লিজ ভাইয়া কোন একটা আইডিয়া বের করুন?

ফারহাদ: নো আইডিয়া নিশু।

কিছুক্ষন চুপ করে রইলো ওরা। মিশু,নিশু,কথা গালে হাত দিয়ে বসে রইলো। হঠাৎ করেই মিশু বলে উঠলো।

মিশু: আইডিয়া পেয়েছি।

নিশু, কথা,ফারহাদ: কি আইডিয়া?

মিশু: আমি ফারহাদ কে বিয়ে করবো?

নিশু ও কথা এটা শুনে জোরে জোরে কাশতে লাগলো।

ফারহাদ হা করে তাকিয়ে আছে মিশুর দিকে।

মিশু: থাম তোরা আমি serious…..।

নিশু: হাই হাই আল্লাহ্ একি হইলো? শেষ মেষ আমার বোনটা পাগল হয়ে গেল….[ কান্নার ভান করে ]

কথা: হ রে নিশু…..এখন ওরে পাবনায় পাঠাতে হইবো।

মিশু: Shut up……[ জোরে ধমক দিয়ে ] ফারহাদ ফারহাদ…….[ জোরে ডাক দিয়ে ]

ফারহাদ এতক্ষন হা করে ছিল মিশুর ডাকে হচকচিয়ে উঠলো ।

ফারহাদ: হ্যাঁ হ্যাঁ বলো বলো…..।

মিশু: কোথায় হারিয়ে গেলে?

ফারহাদ: বিয়েতে I mean কোথাও না!

মিশু: আমি কি বলেছি সেটা শুনেছো তুমি?

ফারহাদ: দেখো মিশু এটা ফাজলামো করার সময় নয়। তুমি……..

মিশু: I’m serious……really…।

নিশু: তুই কি ঠিক আছিস মিশু?

মিশু: দেখ আমার কথাটা আগে শোন। তারপর তোরা যা মন চায় তাই বলিস।

কথা: বল শুনি?

নিশু: বলতে থাক।

ফারহাদ: হ্যাঁ! বলো মিশু?

মিশু ওদের কে যা বললো সেটা শুনে ওরা হা হয়ে গেল……..।
.
.
.
.
.
.
.
Continue To……….😑

[ গল্পের মধ্যে উল্টা-পাল্টা কিছু হয়ে গেলে আমার কিন্তু কোন দোষ নেই 😒 ]