Three Gangsters💕,Part-5

Three Gangsters💕,Part-5
Sumaiya Moni”

ওমর: বেশি কথা বলা পছন্দ করি না। যেটা বলেছি সেটা কর যা।

সাব্বির শপিং ব্যাগটা হাতে নিয়ে সোজা ওর রুমে চলে গেল। কালো রঙের মাঝে গোন্ডেন শুতোর কারুকাজ করা শট পান্জাবী ও ধুতি পায়জামা পড়ে রুম থেকে বেরিয়ে হল রুমে এলো।ও হল রুমে আসার সাথে সাথে বস লাইট অফ হয়ে যায়।

সাব্বির কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। হুট করেই একটা লাইট সাব্বিরের গায়ের উপর পড়ে। সাব্বির কিছুটা অবাক হয়ে যায়। আসে পাশে তাকিয়ে কাউ কে দেখতে পায় না। হঠাৎ করেই তিনটি কন্ঠে কিছু কথা ভেসে আসছে ওর কানে। যেখান থেকে কন্ঠের স্বর ভেসে আসছে সাব্বির সেদিকে তাকিয়ে দেখে ওমর,নীর,রাফি বলতে বলতে আসছে……..

Happy Birthday to you…..
Happy Birthday to you…..
Happy Birthday to Sabbir…..
Happy Birthday to you…….

সাব্বির বুঝতে পেরেছে আজ ওর জন্মদিন ‌ছিল। ও আজ এটাও বুঝতে পেরেছে ওমর,নীল,রাফি ওকে কতটুকু ভালোবাসে। এই সব ভাবতেই ওর চোখ পানিতে ভোরে উঠে।

সাব্বির: তার মানে আজ আমার জন্মদিন‌ উপলক্ষে পার্টির আয়োজন করা হয়েছে….. [ মনে মনে ]

ওমর: light on…..

বলার সাথে সাথে সব লাইট এক সাথে জ্বলে উঠলো। নীল,ওমর, রাফি সাব্বিরের দিকে তাকিয়ে দেখে ওর চোখে পানি।

ওমন: কি হয়েছে সাব্বির তুই কাঁদছিস কেন??…..[ সাব্বিরের কাধে হাত দিয়ে ]

সাব্বির: ……………

নীল: কি হয়েছে বল??

রাফি: কথা বলছিস না কেন? তোর কি এই সব পছন্দ হয় নি?

সাব্বির: ভাই আপনারা আমার জন্মদিনের কথা মনে রেখেসেন। আমি তো ভাবছিলাম আপনারা ভুলে গেছেন।……….[ কান্না কন্ঠে ]

ওমর: তুই আমাদের ছোট ভাই। তোর জন্মদিনের কথা কিভাবে ভুলে যাই বল।

নীল: তোকে সারপ্রাইজ দেবো বলেই এই‌ পার্টির আয়োজন করা হয়েছে।

রাফি: কান্না থামা। আজকে খুশির দিনে কাঁদতে নেই।

সাব্বির ওদের তিন জন কে জড়িয়ে ধরলো।

নীল,ওমর,রাফি ওরাও সাব্বির কে জড়িয়ে ধরে ।

ওমর: হয়েছে,এবার নে কেকটা কাঁট…

সাব্বির: [ চোখ মুছে কেক কেঁটে ওমর, নীল,রাফি কে খাইয়ে দিল ]

সবাই পার্টি এনজয় করছে।

এদিকে,,,

মিশু,কথা,নিশু পা টিপে টিপে বাড়ির সামনে এসে গেট থেকে বেরিয়ে আটোতে উঠলো।

কথা: আজকের মত বেঁচে গেছি রে।…..[ বুকে হাত দিয়ে বড় একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললো ]

মিশু: কথা চুন্নির জন্য হয়েছে এই সব।

নিশু: প্লিজ এখানে শুরু হয়ে যাস না তোরা। বাসায় গিয়ে যতো পারিস ঝগড়া করিস।

মিশু: বাসায় তো যাইতে দে,তারপর দেখ কি করি।……[ কিছুটা রাগি কন্ঠে ]

কথা: দেখমু নে তুমি কোন বালডা হালাও….।

মিশু: কথাআআআআআ……[ দাঁত কটমট করে ]

নিশু: ও আল্লাহ্ আমারে উঠাইয়া নেউ….।

মিশু: আমি তোরে উঠাইয়া দেই…?

নিশু: চুপ কর বোন তোর পায়ে পড়ি আমি….।

ওরা চুপ হয়ে গেল…..
.
.
.
.
.
ওমর: মনে হচ্ছে আমি কিছু ভুলে গেছি?

নীল: কি ভুলে গেছিস??…….[ ড্রিংসের গ্লাস হাতে নিয়ে ]

রাফি: কি সেটা তো বল…?

ওমর: কি কি….আরে ওই মেয়ে তিন জন কই। ওদের কথা তো‌ ভুলেই গেছি…. ।

নীল: শালা আগে‌ মনে করবি না..।

রাফি: তাড়াতারি চল, গিয়ে দেখি ওরা আছে নাকি‌ চলে গেছে….।

ওমর: চল।
.
.
.
.
ওমর : বডিগার্ড বডিগার্ড….

বডিগার্ড: জ্বী বস বলুন ।

রাফি: ওই মেয়ে তিন জন কোথায়। আছে নাকি চলে গিয়েছে??

বডিগার্ড: বস তারা কিছুক্ষন আগেই চলে গিয়েছে… ।

নীল: শিট…….আচ্ছা এনামুল হক কে ডাক দিয়ে আমাদের কাছে নিয়ে আসো ।

বডিগার্ড: ওকে বস।

ওরা‌ তিন জন ভিতরে চলে যায়।

এনামুল হক ওদের সামনে গিয়ে বললো।

এনামুল হক: আমাকে ডেকেছেন??….. [ কিছুটা ভয় জড়ানো কন্ঠে ]

ওমর: হুমমম…..[ গম্ভীর গলায় ]

রাফি: ওই মেয়ে তিন জনের ফোন নাম্বার আর ওদের বাসার Address আমাদের দেও….[ গম্ভীর গলায় ]

এনামুল হক: কে..কেন ওরা কি কোন ভুল করেছে।…
[ কাঁপা কাঁপা স্বুরে ]

নীল: যেটা বলা হয়েছে সেটা বল….পাল্টা প্রশ্ন পছন্দ করি না……… [ কিছুটা রাগী গলায় ]

এনামুল হক: ওদের এক জনের নাম্বার আছে । বাকি দুই জনের নাম্বার নেই ?

রাফি: বাকি দুই জনের নাম্বার নেই কেন??……[ গম্ভীর গলায় ]

এনামুল হক: বাকি দুই জন আমার এখানে কাজ করে না। ওদের নাম ও আমি জানি না।শুধু কথা আমার এখানে কাজ করে। কথার নাম্বার আছে আমার কাছে ।

নীল: তাহলে আজকে ওরা দুই জন এখানে কেন ‌এসেছিল??

এনামুল হল ওদের কে সব খুলে বললো।

ওমর: [ নামটা সুন্দর কথা- মনে মনে] আচ্ছা কথার নাম্বার টা দেও আমাকে ।…….[ গম্ভীর কন্ঠে]

এনামুল হক কথার নাম্বার ও ওদের বাসার ঠিকানা ওদের কে দিল।

ওমর: এবার আপনি আসতে পারেন।

এনামুল হক সেখান থেকে চলে গেলেন।

ওমর: ভাই কথার নাম্বার তো আমি পেয়ে গেছি। এবার তোদের ওই দুই জনের নাম্বার তোরাই জোগাড় করে নে।………[ বলেই চলে যায় ]

রাফি: কি Selfish দেখ..?

নীল: হুমম দেখলাম তো।
.
.
.
সকালে…

মিশু,নিশু,কথা একজনের গায়ের উপর আরেক জন উঠে এলোমেলো হয়ে নিরিবিলি ঘুমুচ্ছে।কারো কোন হুশ নেই..!কাল কে রাতে না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েছে ওরা। কথার ফোন বেজেই যাচ্ছে বেজেই যাচ্ছে,ফোন ধরার নাম গন্ধও নেই। মিশু নড়ে চড়ে উঠলো।

মিশু: আমার গা এতো ভার ভার লাগছে কেন!! [ তাকিয়ে দেখে কথা ও নিশুর হাত পা ওর গায়ের উপর ] ফেসচুন্নি দুইডা সর আমার গায়ের উপর থেকে থেকে [ বলেই এমন জোরে ধাক্কা দিল কথা নিচে পড়ে গেল,নিশু খাটের কোণায় ভারি খেলো ]

কথা: মা গো…..

নিশু: বাবা গো….

মিশু: আমার গায়ের উপর উঠে ঘুমাচ্ছি। খাটে জাগার কি ‌অভাব পরছে নাকি….?

কথা: তার জন্য এতো জোরে ধাক্কা অহ্হহ ! দিবি….[ কোমড়ে হাত দিয়ে ]

নিশু: আমরা মাথায় ব্যাথা পাইছি রে অহহহ….!

মিশু: ভালো হইছে…উচিত হইছে ।

কথা: কুত্তি….!

হুট করেই আবার কথার ফোন বেজে উঠলো।

কথা: হায় আল্লাহ্ স্যার কল দিয়েছে…[ ফোন হাতে নিয়ে ] …….হ্যালো স্যার…..

এনামুল হক: কতবার ফোন দিয়েছি…ফোন ধরছো না কেন ? তাড়াতারি অফিসে চলে আসো….![ ঝাড়ি দিয়ে বলেই ফোন কেটে দেয় ]

কথা: আজ আমার ১২টা বাজাবে স্যার… ভিষন রেগে আছেন তিনি…. [ বলেই বাথরুমে চলে গেল ]

নিশু: মিশু চল আমাদের ও কাজে যেতে হবে। রেডি হয়ে নে।

মিশু: হুমমমমম……।[ বিরক্তি নিয়ে ]

ওরা যে যার কাজে চলে গেল।

O.N.R. Group of Company……..

সাব্বির: বস বাকি মেয়ে দুই জনের নাম্বার পেয়েছি। ……..

ওমর: তোকে না বলেছি আমাদের বস বলবি না??

সাব্বির: ওপস….ভুলে বলে ফেলেছি ভাই ।

নীল: নাম্বার দে সাব্বির…. ।

সাব্বির ওদের কে মিশু ও নিশুর নাম্বার দিল।

রাফি: ওদের নাম জানতে পেরেছিস সাব্বির??

সাব্বির: হ্যাঁ! পেরেছি ভাই! ঠোঁটের পাশের তিলওয়ালা মেয়েটার নাম মিশু! তিল ছাড়া টার নাম নিশু।

নীল: মিশু….[ মনে মনে ]

রাফি: নিশু….[ মনে মনে ]

ওমর: তার মানে ওদের নাম হচ্ছে কথা,মিশু,নিশু ।

সাব্বির: জ্বী ভাই ।

রাফি: আর কিছু জানো ওদের বিষয়ে।

সাব্বির সব কিছু বললো ওদের বিষয়ে । কোথায় কাজ করে কি কাজ করে সেটাও বললো।

ওমর: তার মানে ওরা এতিম?

রাফি: আমাদের মতো।

নীল: হুমমম……..আচ্ছা তুই যা। বাকি ডিলের পেপার গুলো রেডি কর।

সাব্বির: আচ্ছা ভাই।
.
.
.
.
মিশু,নিশু,কথা কাজ শেষ করে সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফিলছিল। ওদের গলিতে আসার পর পরি কয়জন বখাটে ছেলে ওদের কে টিচ করতে লাগলো। ওদের মধ্যে মেইন তিন জন মিশু,নিশু,কথা কে পছন্দ করে।তাই ওদের কে দেখলেই ওই তিন জনের ভালোবাসা উপচে উপচে পড়ে।

রাহাত: ও ফুলটুসি কই যাও। আমাদের কাছে আসো না।

জুয়েল: আরে একটু কথা শুনে যাও না কথা।

রেজবি: ও মিশু রানী…..?

ওরা স্কুটারে চড়ে যাচ্ছিল ওদের কথা শুনে মিশু স্কুটার জোরে ব্রেক করে রাগি লুক নিয়ে তিনজনে পিছনে তাকায় । ওরা ওদের চেহারা দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।

জুয়েল: থাক তোমরা যাও কথা শুনতে হবে না।…..[ আমতা আমতা করে বললো ]

মিশু আবার ও গাড়ি চালিয়ে সেখান থেকে চলে গেল।

মিশু,নিশু, কথা বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে ন্যায়। ঘুমতে যাবে ঠিক সেই সময় ওদের ফোন বেজে উঠলো।

মিশু: বাহ্!! এক সাথে তিন জনের ফোন বেজে উঠলো।

নিশু: দেখো দেখি কারবারটা!!!

কথা: কোন জগতের দুলাভাই এখন কল দিল??

মিশু: দাঁড়া দেখতাছি????…….[ ফোন রিসিভ করে ]
কেডা!??

—এভাবে কেউ কথা বলে??

মিশু: আপনার কাছ থেকে কি কথা শিখতে হবে? ইউ কেডা??

—আমি নীল!

মিশু: .নীল কেডা??

নীল: 3.G…

মিশু:…[ ভয় পেয়ে গেল ] আ..আ..আপনি… [ কাঁপা কাঁপা স্বুরে ]

নীল: হ্যাঁ! আমি। এভাবে কেউ কথা বলে??…….[গম্ভীর কন্ঠে ]

মিশু: স…স্যরি । [ কাঁপা কাঁপা স্বুরে ]

নীল: স্যরি বলতে হবে না। কি করছো এখন??

মিশু: ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম!

নীল: ওওও। ঠিক আছে ঘুমাও রাখি তাহলে।

মিশু: রাখ শালা…[ বিড়বিড় করে ]

নীল: কি বলয়ে.??

মিশু: বলছিলাম ঘুমাবো।

নীল: ও..আচ্ছা রাখি। গুড নাইট।

মিশু: আচ্ছা।

টু….টু…টু…..

মিশু: ওহ আল্লাহ্ পরানডা ফিরা পাইছি মনে হয়। [ বুকে হাত দিয়ে ] কিন্তু এই নীল না ডীল আমার নাম্বার পাইলো কোথায়???
.
.
.
.
.
কথা: হ্যালো কে?

—-আমি ওমর !….[ গম্ভীর কন্ঠে ]

কথা: আপনি ওমর তাতে আমার কি ??

ওমর: কথা আমি ওমর….3.G…[ গম্ভীর কন্ঠে ]

কথা: [ জিব্বায় কামড় দিল ] স্যরি আমি আসলে! আসলে! ভুলে গেছি….[ মৃদ স্বুরে ]

ওমর: এতো তাড়াতারি ভুলে যাও কি করে?

কথা: কি করে জানি না বাট ভুলে গেছি….[ নিচু স্বুরে ]

ওমর: যাই হোক,কি করছো?

কথা: কিছু না …[ আস্তে করে ]

ওমর: কিছু না করলে ঘুমাও গিয়ে…গুড নাইট।

কথা: আচ্ছা আচ্ছা….. [ বলেই ফোন ঠাস করে কেঁটে দেয় ] এই ওমেরা আমার নাম্বার পাইছে কোথায়?? ভাব্বার বিষয়।
.
.
.
.
.
নিশু: ওই মিয়া এতো রাতে একটা অবোলা,অসোহায়,পিচ্চি মেয়েকে কল দিছেন কেন??…..[ ঝাড়ি দিয়ে ]

—ওহ! স্যরি,তুমি যে অবোলা,অসহায়,পিচ্চি একটা মেয়ে সেটা আমি জানতাম না।…..

নিশু: এখন জানতে পেরেছেন,তাহলে ফোন রাখেন।

—নিশু ফোন কাঁটবা না।

নিশু: আল্লাহ্……….[ বলেই জোরে টান দিল ]

— কি হইছে??…..[ উওেজিত কন্ঠে ]

নিশু: আপনি আমার নাম ও জানেন……. [ অবাক হয়ে ]

— সব জানি???

নিশু: আপনি কে?

—রাফি!

নিশু: কোন টফি ? ঠিক চিনলাম না তো??

রাফি: রাফি বলেছি টফি বলি নাই…….[ কিছুটা রাগী গলায় ]

নিশু: শুনেন আপনি রাফি না টফি যেটাই হোন না কেন। এতো রাতে আর কল দিবেন না। যদি আবারো কল দেন,তাহলে আপনার জীবনেও বিয়ে হবে না। এই বলে দিলাম…….[ বলেই ফোন কেটে দেয় ]

টু…..টু……টু…..

রাফি রাগে ফোসফোস করছে। ওর মন চাইতেছে নিশুকে কয়েকটা থাপ্পর দিতে।
.
.
.
.
মিশু: ওই এই নীল আমার নাম্বার কোথায় পেল রে??

কথা: আমি কিভাবে বলবো? ওই ওমরও যে আমার নাম্বার পেয়েছে কোথায় আমি তো সেটাই ভাবছি।

নিশু: কি বললি তোরা………[ অবাক হয়ে বললো ]

মিশু: কেন তুই কানে শুনতে পাস নাই। কান কি তোর বয়রা হয়ে গেছে নাকি??

কথা: তিন গ্যাংস্টার রা মানে নীল,ওমর আমাদের নাম্বার পেলো কোথায় সেটা বলছি । তোকে কে কল দিয়েছিল রে??

নিশু মাথায় হাত দিয়ে চুপ করে রইলো।

মিশু: কি হইছে বলবি তো।

নিশু: আরে ওই রাফি কল দিয়েছিল। আর আমি তাকে চিনতে না পেরে বকা-ঝকা দিয়ে ফোন কেটে দিয়েছি।

কথা: বাহ্…..নিজের কবর নিজেই খুধাই করছেন দেখি,ভালো হয়েছে!!

মিশু: একদম ঠিক হইছে।

নিশু: তোরা আমার বান্ধবি নাকি অন্য কিছু??

কথা: বিপদের সময় আমরা কাউ কে চিনি না।

মিশু: হ…কথা চল আমরা ঘুমিয়ে পড়ি।

নিশু: বাহ্! দুইটা হিরা,মানিক বান্ধবি পাইছি আমি।

কথা: প্রশংসা করার জন্য আমাদের ঠেং দেওয়া হল নেও খাও।….[ পা নিশুর মুখের সামনে জাগিয়ে দিয়ে ]

নিশু: সামনে থেকে সর….হারামজাদি দুইডা।

মিশু: দেখ আমি যদি গালি দেওয়া শুরু করি তো রাত পার হয়ে যাবে। তাই ভালো করে বলছি ঘুমিয়ে পর।

নিশু: জানি….।

ঘুমিয়ে পরলো ওরা তিন জন।
.
.
.
জাহিদ হাউজ…..

জাহিদ ড্রাগস নিয়েছে,তাই সোফার উপর মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে আছে।

মেহেদি: বস সব মাল জাহাজে উঠানো শেষ। আপনি বলয়ে জাহাজ ডুবাইের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে।

জাহিদ: ……[ হাতে সাধা নেশা জাতীয় পাউডার রেখে হাত নাকের সামনে ধরে জোরে উপরের দিকে নিঃশ্বাস নিল ] জাহাজ ছেড়ে দিতে বলো…….. [ নেশা কন্ঠে ]

মেহেদি: ওকে বস।……[ ফোন করে লোকদের বলে দেয় ]
.
.
.
.
ওমর,নীল,রাফি দের কাছে এই খবর পৌছে যায় । জাহিদের দলে ওদের কিছু লোক আছে সেটা জাহিদ ও জাহিদের লোকেরা জানে না।
.
.
.
সকালে….

পরেরদিন খবরের জানা যায় ড্রাগস পাচার কারিদের Three Gangsters দের লোকেরা পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়। জাহিদ এই খবর শুনে অনেক রেগে যায়।পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য গাঢাকা দিয়ে থাকে।

মিশু,নিশু,কথা আজকে তাড়াতারি বাসায় চলে এসেছে। ওদের উদ্দেশ্যে আজ ওরা মেলায় যাবে। ওদের বাসার পাশের এলাকায় বড় মেলা বসেছে। তাই ওরা সেজে গুজে মেলাতে চলে যায়।মেলাতে ঘুরছে,এটা ওটা দেখছে।ওদের উপর যে কারো নজর আছে সেটা ওরা বুঝতে পারে নি। তিন মুট রেশমি চুড়ি পছন্দ হয়েছিল ওদের। কিন্তু ওদের কাছে টাকা কম ছিল বিধায় চুড়ি গুলো কিনতে পারে নি ,এর জন্য কিছুটা মন খারাপ হয়ে গেল ওদের। তা ছাড়া ভালই মজা করেছে ওরা মেলাতে। সন্ধ্যার দিকে ওরা বাসায় এসে পরে।
.
.
.
মিশু: চুড়ি গুলো খুব সুন্দর ছিল তাই না।

কথা: হুমমম,, অনেক সুন্দর ছিল।

নিশু: টাকা বেশি থাকলে কিনে ফেলতাম।

মিশু কিছু বলতে যাবে ঠিক সেই সময় ওদের দরজায় কে যেনো নক করে।

ঠকক…ঠকক…

মিশু: দাঁড়া আমি দেখছি…..।

মিশু দরজা খুলে যা দেখলো,তাতে ওর মাথা পুরাই গরম হয়ে গেল।
.
.
Continue To……😁.