Three Gangsters💕,Part-2

Three Gangsters💕,Part-2
Sumaiya Moni”.

সাব্বির: [ গালে হাত দিয়ে রাগী মুড নিয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে ]

আশে পাশের মানুষ ভয় পেয়ে যায়। কারন ওরা জানে না কার লোকের গায়ে হাতে তুলেছে।

পিছনে গাড়ির ভিতরে বসে ওরা তিন জন দেখছে। ওমর রাগে গাড়ি থেকে নামতে গেলে নীল ও রাফি বাঁধা দেয়।

মিশু: তাড়াতারি গাড়ি পাশে শরাতে বল । নাইলে আরো কয়েকটা থাপ্পর দেবো।….[ বেশ রেগে ]

নিশু: যাহ তাড়াতারি….. [ সাব্বিরের উদ্দেশ্যে কে করে বললো ]

সাব্বির আসে পাশে তাকিয়ে দেখে সবাই ওর দিয়ে তাকিয়ে আছে। রাস্তায় জামেলা করতে চায়না বিধায় সাব্বির ড্রাইভার কে বলে গাড়ি তিনটি পাশে শরাতে বললো।গাড়ি পাশে চেপে যাওয়াতে এম্বুলেন্সটি চলে গেল। জাবার আগে বয়স্ক লোকটি ওদের কে ধন্যবাদ দিয়ে গেল।সাব্বির এখনো রাগী মুড নিয়ে ওদের দিয়ে তাকিয়ে আছে।

মিশু সাব্বিরের কাছে গিয়ে বললো…….

মিশু: ওই ছ্যাচড়া শোন স্যরি থাপ্পর দেবার জন্য। কথায় আছে না সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা করতে হয়। ঠিক এই রকমটাই তোর সাথে হইছে,তবে আমরা আঙুল বাঁকা করি না চামিচ দিয়ে ঘি উঠাই…..বুঝতে পেরেছিস…….. [ ভ্রু জাগিয়ে ]

নিশু: চাল যা ফুট…. [আঙুল জাগিয়ে বললো ]

সাব্বির এখনো রাগী মুড নিয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে ।

কথা: ওই এভাবে তাকিয়ে আসিছ কেন রে….. যা এখান থেকে…..[ শার্টের কলার ধরে গাড়ির সামনে ধাক্কা দিয়ে বললো ]

সাব্বির গাড়ির উপর পড়ে গিয়ে পিছনে ওদের দিকে একবার রাগি চোখে তাকিয়ে রাগে গজগজ করতে করতে গাড়ির ভিতরে গিয়ে বসলো।

মিশু,নিশু,কথা ওরা ওদের স্কুটারে গিয়ে বসলো। ততক্ষন জ্যান ছেড়ে গেছে। ওরা ওদের গন্তব্যে চলে গেল। মিশু,নিশু রেস্টুরেন্টে পৌছে গেল। কথা ওই স্কুটার নিয়ে ওর অফিসে চলে এলো।আজকে ওদের একটু দেরি হয়ে গেছে ।
.
.
.
.
O.N.R Group of Company……

গাড়ি এসে থামলো অফিসের সামনে। বডিগার্ড রা এসে গাড়ির দরজা খুলে দিল । ওমর,নীল,রাফি গাড়ি থেকে বেরিয়ে এলো। ওদের কে দেখে সবাই সালাম দিল। ওরা গম্ভীর মুড নিয়ে লিফটে উঠে ওদের কেবিনে চলে এলো। সাব্বির ওদের পিছনে ছিল।সাব্বির ও ওদের সাথে কেবিনে প্রবেশ করলো…ওমন,নীল,রাফি যে যার চেয়ারে গিয়ে বসলো….. সাব্বির সোফায় রাগী মুড নিয়ে বসে আছে……..

নীল: রাস্তার কী হয়েছিল সাব্বির…… [ সারগ্লাস খুলে টেবিলের উপর রেখে বললো ]

সাব্বির:………..

রাফি: সাব্বির……..

সাব্বির: ওই মেয়ে গুলো আমাকে পাবলিক প্লেসে থাপ্পর মেরেছে…আমি ওদের কে খুন করে ফেলবো……[ রাগী গলায় ]

ওমর: You Know সাব্বির এক হাতে কোনদিনও তালি বাজে না। কি হয়েছিল সেটা বল………[ গম্ভীর কন্ঠে ]

সাব্বির ওইখানে যা যা হয়েছে সব ওদের কে বললো………

রাফি: ভুল করেছে ওরা… বড্ড ভুল করে ফেলেছে……থাপ্পর তিনটা নয় আরো দুইটা দেওয়ার দরকার ছিল তোকে…….।

সাব্বির:[ আহম্মক হয়ে গেছে ]……

নীল: হ্যাঁ! ঠিক বলেছিস রাফি…. ওই মেয়ে তিন জন ওদের যাবার জন্য গাড়ি শরাতে বলে নি একজন মুমূর্ষু রুগিকে hospital এ নিয়ে যাবে তার জন্য গাড়ি শরাতে বলেছে…..

সাব্বির:………

ওমর: কঁপাল ভালো জুতোর বারি খাস নি…..[ মৃদ হেসে ]

সাব্বির: ভাই তোমাদের কাছে এটা মজা মনে হচ্ছে । আমার ইজ্জতের ফালুদা করে দিল ওই তিন জন মেয়ে……….।

ওমর,নীল, রাফি মুচকি মুচকি হাসছে……

সাব্বির: হাসো বেশি করে হাসো…আমার ও দিন আসবে তখন আমিও আমার ২৮টা দাঁত বের করে তোমাদের দেখিয়ে দেখিয়ে হাসবো…….[ অভিমানি স্বুরে ]

রাফি: যেটা হাসিস এখন ডিলের পেপার নিয়ে আয়…….
.
.
.
.
জাহিদ হাউজ…..

জাহিদ : বড় ভুল করে ফেললি তোরা…আমার লোককে মেরে বড় ভুল করে ফেলেছিস। এর মাসুল তোদের দিতে হবে ওমর,রাফি,নীল ।….[ রাগী কন্ঠে ]

মেহেদি: বস পরের প্লান কি আমাদের…..

জাহিদ: সময় হলে ঠিক জানতে পারবে…..[ বলেই হাতে থাকা মদের গ্লাস মুখে তুলে নিল ]

রাতে…..

দিল মেরা না সুনে,দিলকি মে না সুনুও
দিল মেরা না সুনে,দিলকা মে কেয়া কারু…..

[মিশু রান্না করছে আর গান গাচ্ছে।পিছনে নিশু ও কথা লুকিয়ে লুকিয়ে গান শুনছিল।মিশু হঠাৎ করে পিছনে তাকায়েই ওরা লুকিয়ে পড়ে। মিশু ওদের কে দেখে ফেলে ]

মিশু: কেমন যেনো চুন্নি চুন্নি খুশবু আসছে…মনে হয় চুন্নি দুইটা আসে পাশেই আছে…… [ নাক দিয়ে গন্ধ নিয়ে বললো ]

নিশু: চল ধরা পড়ে গেছি…..[ কথা কে বললো ]

কথা: হ্যাঁ চল…..

মিশু: সো আপনারা লুগিয়ে লুকিয়ে কী শুনছিলেন???

নিশু: তোর গান….

কথা: তুই তো অনেক ভালো গান গাইতে পারছ…আমাদের কে একটা গান গেয়ে শুনা না……।

মিশু: থাক আর আলু পাম দিতে হবে না…..

নিশু: আরে না আমরা তো মুলা পাম দিচ্ছিলাম…….[ হাসি দিয়ে বললো ]

কথাও মিটমিটিয়ে হাসতে লাগলো……..

মিশু: ফান করছিস আমার সাথে…যা আজকে রাতে তোদের খাওয়া বন্ধ…….

নিশু: এই রে……আরে মিশু মনি রেগে যাচ্ছিস কেন..আমরা তো দুষ্টমি করছিলাম……

কথা: হ্যাঁ হ্যাঁ দুষ্টমি করছিলাম….

মিশু: কোন কিছুতেই কাজ হবে না……

নিশু: বোন না আমার খালা থুক্কু ভালা…..তুই রাগ করলে আমাদের জ্বালা…

কথা: হ হ….

মিশু:…😒

O.N.R হাউজ……

ওমর ওর গান রুমাল দিয়ে মুছচ্ছে…..

রাফি ফোন টিপছে……

নীল ফ্রিজ থেকে জুস বের করে হেঁটে হেঁটে সামনের রুমে এসে যেই না জুস মুখে দিবে ঠিক তখনি চোখ পড়ে সাব্বিরের উপর। সাব্বির ডায়েরীতে কি যেনো লিখছে আর ছিড়ে নিচে ফেলে দিচ্ছে । ৪-৫টা মোড়ানো কাগজ নিচে ফালানো আছে। নীল হেঁটে গিয়ে সাব্বিরের পাশের সোফায় বসে পড়লো ।

নীল: সাব্বির কী লিখছিস এতো মনযোগ দিয়ে…??

সাব্বির: ভাই একটা গল্প লিখছিলাম….[ মাথা চুলকিয়ে ওর ২৮টা দাঁত বের করে বললো ]

নীল: কী গল্প? নাম কি গল্পের??… [ বলেই জুস মুখে দিল ]

সাব্বির: ভাই গল্পের নাম হচ্ছে “পারলে তুমি,না পারলে আমি”……….[ হাসি দিয়ে বলে নীলের দিকে তাকালো ]

নীল গল্পের নাম শুনে বড় শরো একটা বিষুম খেলো। ওর মুখের জুস গুলো সব সাব্বিরের মুখে গিয়ে পড়লো।সাব্বির চোখ বন্ধ করে ফেললো….নীলের নাক দিয়ে জুস পড়তে লাগলো।জোরে জোরে কাশতে লাগলো নীল।মাথায় হাত দিয়ে থাপ্পর মারতে লাগলো………..পাশের রুম থেকে ওমর ও রাফি তাড়াতারি করে এই রুমে এসে দেখে নীল বিষুম খেয়ে কাশছে আর সাব্বির চোখ বন্ধ করে আছে ।

সাব্বিরের অবস্থা দেখে বুঝে যায় ওর সাথে কি হয়েছে । ওমর ও রাফি হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে….হাসির শব্দ পেয়ে সাব্বির সামনে তাকিয়ে দেখে ওমর,রাফি হাসছে। নীলের বিষম কিছুটা কমেছে….ওদের দুই জনের হাসি দেখে নীল ও জোরে জোরে হাসতে লাগলো…….সাব্বির বেচারা আহম্মকের মত ওদের দিকে তাকিয়ে আছে…….

রাফি: কি হয়েছে আর সাব্বিরের এই অবস্থা কেমনে হলো……[ হাসতে হাসতে বললো ]

নীল: সাব্বির একটা গল্প লিখছে সেটার নাম শুনে আমি বিষুম খেলাম আর ওর এই অবস্থা………[ বলেই হাসতে লাগলো]

ওমর: নাম কি গল্পের??? …..

নীল: পারলে তুমি না পারলে আমি……. [ বলেই আরো জোরে হাসতে লাগলো ]

রাফি,ওমর ওরাও জোরে জোরে হাসতে লাগলো…..

সাব্বির: আমি কিছুই বলবো না…আমার এই গল্পটা যখন পানলিক হবে ও বই যখন বের হবে তখন তোমাদের হাসি বের হয়ে যাবে……😒

নীল,ওমর,রাফি আরো হাসতে লাগলো……

সাব্বির:………. [ তাকিয়ে ওদের হাসি দেখছে ]

রাফি: যাহ আগে তোর চেহারা ধুয়ে আয়….তোকে সেই দেখাচ্ছে…….

ওমর: হুমমমমম…..

সাব্বির উঠে সেখান থেকে চলে গেল……

নীল: ভাই আজকে অনেক হাসলাম….

ওমর: আমিও রে…..

রাফি: যাই বলিস না কেন…গল্পের নামটা কিন্তু সেই ছিল………

নীল: হুমমম…..

ওমর: ওই তোরা কি ভুলে গিয়েছিস দুই দিন পর কিন্তু সাব্বিরের জন্ম দিন। আমি চাই ওর জন্মদিন উপলক্ষে বড় পার্টির আয়োজন করতে,তোরা কি বলিস??

নীল: আমিও চাই বড় পার্টির আয়োজন করতে….

রাফি: আয়োজন করবো কিন্তু সাব্বির যেনো এটা না জানে…..ওকে সারপ্রাইজ দেবো..

ওমর : হুমম ঠিক আছে… এবার চল ডিনার করতে যায়। সাব্বির মনে হয় রাগ করেছে ।

নীল: ওর রাগ আর পানি এক কথা…..

রাফি: হুমম…

ওরা ডিনার করে যে যার রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো…..
.
.
.
.
সকালে…..

মিশু: ওই উঠ তাড়াতারি দেরি হয়ে যাচ্ছে আমাদের…..[জোরে জোরে নিশু ও কথার কোমড়ে লাথি দিয়ে ]

নিশু: মিশু কুত্তি তোর খবর আছে……[ রেগে ]

কথা: অহহ আমার মাঝা…কুত্তি…..

মিশু: কুত্তিনি উঠ তোরা…..

নিশু: উঠতাছি দাঁড়া….

O,N,R হাউজ…..

সাব্বির:সালা আয় তোর আজকে খবর আছে…..[ একটা ছেলের শার্টের পিছনের কলার ধরে টানতে টানতে বাড়ির ভিতরে নিয়ে আসছে ]

ছেলেটি: ভাইজান মোরে ছাইরা দেন….মুই চুরি হরি নাই….মোরে ছাইরা দেন ভাই……[ মিনতি স্বুরে ]

সাব্বির: কোন ছারা ছারি নাই….তোর খবর আছে আজকে….. [ ছেলেটি কে ওমর,রাফি,নীল ওদের সামনে ছুড়ে মারলো ]

ছেলেটি পড়ে গিয়ে উঠে হাত জোর করে সেই একি কথা বলতে লাগলো……

ওমর: কি হয়েছে ওর..ওকে এবাবে টেনে নিয়ে আসলি কেন? কি করেছে ও???……[ গম্ভীর গলায় ]

ছেলেটি: ভাইজান ভাইজান মুই……..

সাব্বির: ওই চুপ…..একটাও কথা বলবি না……[ ঝাড়ি দিয়ে বললো ] ভাই ও একটা চোর…আমাদের বাড়ির আসে পাশে দুই দিন ধরে গুর গুর করছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে ওকে। আজকেও উঠি-ঝুকি মারছিল। বডিগার্ড রা এটা দেখে আমার কাছে এনে দেয়।আমি ওকে আপনাদের কাছে নিয়ে আসি….. জাহিদের ইনফরমার ও হতে পারে ….বলেন তো শেষ করে দেই শালা কে……… [ পিছন থেকে গান বের করে ছেলেটির মাথায় তাক করে বললো ]

ছেলেটি: ভাই ভাই মোরে মাইরেন না….মুই কারো লোক না। মুই একটা চোর। পেটের দায়ে চুরি করি। মোরে মারবেন না ভাই….[ কান্না স্বুরে ]

ওমর: গান নিচে নামা সাব্বির….. তুই আমাদের বাড়িতে কেন উকি ঝুকি মারছিলি???

ছেলেটি: চুরি করার জন্য ভাই….[ মৃদ স্বুরে ]

সাব্বির: দেখেছেন ভাই দেখেছেন….ওরে মন চাইতাছে কি…….[ রেগে ]

রাফি: সাব্বির চুপ কর….. তুই জানিস আমরা কে???

ছেলেটি: জানতাম না ভাই….পরে আজকা সকালে এক লোহের কাছে জিজ্ঞাইসি । হেই লোকে কইলো আপনারা নাকি বড় তিন গাঙ স্টার(গ্যাংস্টার)।ওইডা হুইননা মুই ভয় পাইয়া গেছি। তাই‌ মুই আপনেগো বাড়ি দেখার জন্য উকি মারছিলাম। হেরপর তহনি ওই মোড়া মোড়া লোকরা আমারে ধইরা হের কাছে নিয়া আহে….[ সাব্বির কে দেখিয়ে বললো ]

নীল: তোমার মা-বাবা,ভাই-বোন কেউ নেই…???

ছেলেটি: না স্যার মোর এই দুনিয়াতে আপন কেউ নাই…..মোর একটা চাচা ছিল করিম চাচা। হে মোরে হের পোলার নাহান ভাবতো। হের একটা পোলাও ছিল ।আমাগো দুইজনরে সে অনেক ভালবাসতো। কিন্তু অনেক বছর আগে কি যেনো হয় ছিল। করিম চাচা ও তার ছেলেরে কোথায় যেনো হারাইয়া যায়।তহন থেইক্কা আমি একা হইয়া যায়। পেট বাঁচাইতে মুই চুরি হরতে থাকি।………[ কান্না করে বললো ]

সাব্বির: ওই তোর নাম কি ফাহিম???

ছেলেটি: হ আপনি জানলেন কেমনে মোর নাম ফাহিম??……[ অবাক হয়ে ]

সাব্বির: আমি সাব্বির…. করিম হোসেন আমার বাবা ছিল।

ফাহিম: দোস্ত তুই ভালা আছোস…মুই তোরে কত জাগাতে খুঁজছি…..[ উঠে সাব্বির কে জড়িয়ে ধরে]

সাব্বির: আমিও রে……ভাই ওর আমার ছোট কালের বন্ধু ফাহিম…..

রাফি: এবার ওরে মেরে ফেল……

সাব্বির: ভাই এটা কি বলেন…ও আমার বন্ধু ওরে কেমনে মারি??

নীল: আগে কেন মারতে চেয়েছিলি???

সাব্বির: তখন তো জানতাম না।

ওমর: শোন রাগের মাথায় কোন ডিসিশন নিবি না। মাথা ঠান্ডা করে সব সময় কাজ করবি….মনে থাকবে??

সাব্বির: হ ভাই…..

রাফি: যা ওকে নিয়ে ভিতরে যা….

সাব্বির: আচ্ছা ভাই…..আয় ফাহিম…

ওরা চলে গেল অফিসে…..

সারা দিন কাজের মধ্যে দিয়ে ওদের দিন কাঁটলো…..

রাতে……

মিশু: ওহ তিন দিন বন্ধ পাইছি….এই তিন দিনে খামু আর ঘুমামু……

নিশু: হ আমিও রে…..

কথা: বাট আমার কোন ছুটি নাই…. [ দুঃখি কন্ঠে ]

মিশু: ভালো হইছে….

নিশু: হ একদম…..

কথা: তোরা ঠিক কি সেটাই বুঝতে পারছি না…..

মিশু: না বুঝলে নাই…..

নিশু: হু….

একদিন ওদের ভালই ভালই কেঁটে গেল….

জম্মদিনের দিন…

O.N.R হাউজ…..

সাব্বির: ভাই ভাই একটা কথা ছিল????

ওমর: বল তাড়াতারি কি বলবি হাতে সময় নেই???

সাব্বির: ভাই বাসায় পার্টির আয়োজন করছেন ঠিক আছে কিন্তু কি উপলক্ষে সেটা কি জানতে পারি??

ওমর: সব কিছু তোর না জানলেও চলবে….যা তোর কাজে যা।….[ বলেই চলে যায় ]

সাব্বিরের মন খারাপ হয়ে যায়….নীল ও রাফির কাছে একি প্রশ্ন করেছিল।ওরাও সাব্বির কে কিছুই বলে নি…..সাব্বির মন খারাপ করে বসে রইলো…..

ফাহিম: দোস্ত আজকা বাড়িতে বড় পরটি(পার্টি)। কিন্তু কিললেইগ্গা দিছে ক তো……?

সাব্বির: ওটা পরটি না পার্টি হবে গাধা…..

ফাহিম: ওই হইলো আর কি…কিললেইগ্গা দিছে ক না ??

সাব্বির: জানি না…..

ফাহিম: ও ও..যাগ্গে আজকা মন,পেট,দিল বইরা খামু পরটি…….[ দাঁত সব কয়টা বের করে বললো ]

সাব্বির: খেতে থাক গাধা কোথাকার……[ বলেই উঠে চলে যায় ]

ফাহিম: তুই মোরে গাধা কইতে পারলি…..থাক কইছো তো কি হইছে কেউ তো হুনে নাই…….. [ ডানে বামে তাকিয়ে বললো ]
.
.
.
.
.
সকাল থেকে কথার চিল্লা পাল্লাতে মিশু ও নিশু ঘুমাতে পারছে না। কানের উপর বালিশ রেখে ঘুমানোর চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুতেই ওর চিল্লানিতে ঘুমাতে পারছে না।

কথা: স্যার প্লিজ আমি একা কিভাবে করবো….ওরা কেউ……

……আমি কিচ্ছু শুনতে চাইনা। যেখান থেকে পারো।দুই জন লোক কে নিয়ে এখনি 3.G.H এ চলে যাও। আমিও আসছি বাকি দের নিয়ে।

কথা: স্যার স্যার….

টু….টু…..টু……

কথা: সকাল সকাল এটাই হবার ছিল…..[ সামনে থেকে ঘুরে পিছনে তাকিয়ে দেখে মিশু ও নিশু বিছানায় বসে রাগী চোখে ওর দিকে তাকিয়ে আছে ]

মিশু: কথা বলা শেষ???

নিশু: নাকি আরো বলবি??

কথা: দেখ না দোস্ত আমি……

মিশু: দেখা কি দেখাতে মন চাইতাছে দেখা আমরা দেখতে চাই…..?

নিশু: হ তাড়াতারি দেখা…..

কথা: ওহ আল্লাহ্….. আচ্ছা আমার কথা শোন তোরা…আমার যেই দুই জন পাটনার ছিল ওদের শরীর ভালো না।তাই ওরা দুই জন আজকে আসতে পারবে না।এখন স্যার বলছে দুই জন লোক ঠিক করতে। তাদের নাকি আলাদা টাকাও দিবে ।এখন কথা হইছে গিয়া আমি এখন দুইজন লোক কোথায় পাবো………[ পায়চারি করতে করতে বললো ]

হুট করেই কথার চোখ যায় মিশু ও নিশুর দিকে। মিশু ও নিশু কথার চাওনি দেখে বুঝে যায়।

মিশু: না কথা….একদমি না….[ হাত জাগিয়ে ]

নিশু: আমার দিকে তাকাবি না…ভুলেও না….

কথা: হিহিহিহি!!! পেয়ে গিয়েছি…….[ হাসি দিয়ে বললো ]

শুরু হলো কথার Emotional blackmail.অনেক ভাবে বুঝিয়ে শুজিয়ে ওদের দুই জন কে রাজি করিয়েছে।মিশু ও নিশুর দিন টাই মাটি করে দিল কথা।ওরা রেডি হয়ে 3.G.H এ পৌছে গেল। বেচারিরা জানেও না ওরা কাদের বাসায় এসেছে।
.
.
.
.
.
.
.
Continue To…..😁.

[ভুরক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ভালো থাকবেন সবাই ]