Three Gangsters💕,Part-1

Three Gangsters💕,Part-1
Sumaiya Moni

—আরে মিশু স্কুটার ব্রেক কর সামনে গাড়ি আছে ধাক্কা লেগে যাবে।

—চুপ কর কিছু হবে না ।

—প্লিজ মিশু গাড়ি ব্রেক কর । সামনে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে দেখ।

—আরে চুপ কর না…….

ঠাসসসসসসসসসস……

ওদের স্কুটার জোরে ধাক্কা লেগে গেল কালো রঙের একটা গাড়ির সাথে। গাড়িটির ডান পাশের লাইট ভেঙে মাটিতে পড়ে গেল। ওরা স্কুটার থেকে নেমে মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

—এটা কি করলি রে মিশু এখন কি হবে…..[ অবাক হয়ে].

—এখন এটার ক্ষতি পূরন কে দিবে….

—ধুর আমি এটা ইচ্ছে করে করেছি নাকি…

— এখন যদি…..[বাঁকিটা বলার আগেই ওদের সামনে তিন জন যুবক এসে দাঁড়ায়]…

যুবক তিন জন দেখতে বেশ Handsome । উচ্চতা ৬ কি ৭ ফুুট হবে, কালো রঙের টিশার্ট, ব্লাক কালারের প্যান্ট, চুল গুলো স্পাইক করা,দেখতে পুরাই হিরো হিরো লুক। ওরা কিছুক্ষন হা করে তাকিয়ে রইলো ওদের দিকে।ওদের মধ্যে ওমর নামের ছেলেটি বলে উঠলো।

ওমর: হেই! কি করলে এটা….অন্ধের মতো গাড়ি চালাও?…….[ বেশ রেগে]

নীল: গাড়ি চালাবার সময় চোখ কোথায় থাকে…. [ রেগে ]

রাফি: গাড়ি চালাতে পারো না যখন,তখন গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হও কেন??…..[ রেগে ]

মিশু: ওয়েট! আপনাদের প্রশ্নের উওর একটা একটা করে দিচ্ছি । প্রথমত….আমরা অন্ধ নয়। দ্বিতীয়…চোখ সামনেই ছিল। তৃতীয়….গাড়ি চালাতে পারি বাট আজকেই প্রথম স্কুটার নিয়ে বের হলাম। প্রশ্ন শেষ ..এবার আমরা আসি । এই চল…..

ওমর: হেই স্টুপিড মেয়ে,এটার ক্ষতি পূরন কে দিবে??…[ রেগে ].

নিশু: ওয়েট….স্টুপিড কে??…..[ কোমড়ে হাত দিয়ে ]

ওমর: তোমরা তিন জন…….

মিশু: আমরা স্টুপিড…..[ রাগি কন্ঠে ].

নীল: ইয়াপ…..

কথা: আমরা যদি স্টুপিড হয়,তাহলে আপনারা হচ্ছেন স্টুপিডেন বাবা,চাচা,খালু,কাকা,দাদা,নানা ইত্যাদি ইত্যাদি বুঝতে পেরেছেন………..

ওমর: You………[ রেগে কথার কাছে যেতে লাগলে রাফি থামিয়ে দেয় ]..

রাফি: ভাই ভাই থাম আমি দেখছি…… এটার ক্ষতি পূরন দিয়ে যেতে হবে তোমাদের…[ রেগে ]..

নিশু: এবার কি করবি রে মিশু…আমাদের কাছে থেকে তো ক্ষতি পূরন চাচ্ছে…[ফিস ফিস করে মিশু ও কথা কে বললো ]

কথা: হ্যাঁ! সেটাই তো ভাবছি..এই মিশুর বাচ্চার জন্য সব হইছে।…[ ফিস ফিস করে ].

মিশু: আরে দাঁড়া,দেখ না কি করি।….[ ফিস ফিস করে বললো ].

ওরা তিন জন ওদের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে ।

নীল: ফিস ফিস করা বন্ধ করো…….[ গম্ভীর কন্ঠে ]..

মিশু : দিচ্ছি তো টাকা,আমাদের কে কি ভিখারি মনে হচ্ছে নাকি। এই নিন ৫০০টাকা।…..[ টাকা বের করে ওদের সামনে ধরলো ].

ওমর: হোয়াট! ৫০০টাকা…..[ বেশ অবাক হয়ে ].

রাফি: এই মেয়ে এই হেড লাইট টার দাম কত জানো??……[ ধমকের স্বুরে ].

মিশু : সেটা যেনে আমাদের কি জুড়াবে শুনি?…যা দিচ্ছি সেটা নিয়ে কেঁটে পরুন.

নীল: কি পরবো?

নিশু: চলে যান চলে যান…এবার বুঝতে পেরেছেন….[ চিল্লিয়ে ]

ওমর: আমাদের কে দেখে ছোট লোক মনে হচ্ছে…… [ রেগে ]

নিশু: তা নয়তো কি?

কথা: বড় লোক বলে তো মনে হচ্ছে না…..

মিশু: যদি বড় লোক হতেন তাহলে আমাদের কাছ থেকে এই সামান্য লাইট ভাঙার ক্ষতি পূরন চাইতেন না……[ সেই ভাঙ্গা হেড লাইট টায় লাফি মেরে বললো ]

যে টুকু ভালো ছিল সেই টুকুও ভেঙে মাটিতে পড়ে গেল।

নীল: হেই! তোমরা কিন্তু তোমাদের লিমিট ক্রস করছো। Who do we know????……[ আঙুল তুলে ]..

নিশু: বাহ্ নিজেদের কে নিজেরাই চিনে না,তাহলে আমরা কিভাবে চিনবো?…..

কথা: হ সেটাই!!!

মিশু: আচ্ছা দাঁড়ান আমি চিনিয়ে দিচ্ছি….. [ এটা বলে চার পাশে কিছু একটা খুঁজতে লাগলো ]

হুট করেই মিশুর চোখ পরে একটা মাইকের বক্সের দোকানে। মিশু দৌড়ে সেই দোকানের ভিতরে গিয়ে ছোট একটা মাইক নিয়ে এসে ওদের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে লাগলো………..

মিশু: শোনো শোনো ভাই ও বোনের….একটি বিষেশ গোশনা। এই তিন জন ব্যাক্তি হ্যাঁ হ্যাঁ এই তিন ব্যাক্তির কথাই বলছি…তাঁরা তাদের পরিচয় গুলিয়ে থুক্কু হারিয়ে ফেলেছে। তাই যদি কোন সৎরিদয় ব্যাক্তি তাদের পরিচয় জেনে থাকেন তাহলে দয়া করে ওনাদেরকে তাদের ঠিকানায় পৌছে দিবেন ধন্যবাদ।…….

মিশুর কান্ড দেখে ওদের তিন জনের রাগের মাএা আরো ভেড়ে যায়।‌নিশু ও কথা মুখ টিপে টিপে হাসছে।
মিশু মাইক জায়গা মতো রেখে নিশুদের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো । ততক্ষনে রাস্তার লোক জন এদিক সেদিক ছুটা-ছুটি করতে লাগলো । মিশু, নিশু,কথা কিছুটা অবাক হলো, ওদের তিন জনের দিকে চোখ পড়তেই দেখে ওরা তিন জন রেগে পুরো আগুন হয়ে গিয়েছে ।

মিশু: আরে টেনশন নিবেন না…খুব তাড়াতারি আপনাদের পরিচয় আপনারা পেয়ে যাবেন। এখন আমরা যায়।…….[ মুচকি হেসে বললো ]

এটা বলে স্কুটারে বসে তাড়াতারি করে চালিয়ে সেখান থেকে কালটি মারলো।

ওরা তিন জন সেই আগের ন্যাই দাঁড়িয়ে আছে।

সাব্বির: বস আনুমতি দিলে মেয়ে তিন জন কে মেরে……..

ওমর: নাহ্…তাঁর কোন দরকার নেই..এখান থেকে চলো.আর জাহিদের লোক দের উপর নজর রাখো.[ রেগে ].

সাব্বির: ওকে বস….

ওরা ওদের গাড়িতে বসে সেখান থেকে চলে গেল।
এবার আসি ওদের পরিচয় পএে……

ওমর,নীল,রাফি এরা হচ্ছে তিন বন্ধু। দেখতে ফ্লিমের হিড়োদের চেয়ে কম নয়। ওরা তিন জন Three Gangstar..বাংলাদেশে রাজ করে ওরা তিন জন। ওদের কে সাধারন মানুষ তো ভালো পুলিশ রাও ভয় পায়। ওদের বাবা রা তিন বন্ধু ছিল।খুব ভালো সম্পর্ক ছিল তাদের মধ্যে । নাম্বার 1 বিজনেস ম্যান ছিল এই তিন বন্ধু। তাদের এই বন্ধুত্ব অনেকেই ভালো চোখে দেখতো না। শক্ররা তাদের মারার জন্য অনেক প্লান করেছিল।কিন্তু তারা তাতে শফল হয় নি। ওদের বয়স যখন ১৪বছর ছিল তখন বাড়িতে ওমরের জন্মদিন উপলক্ষে বড় পার্টির আয়োজন করা হয়। সবাই বাড়ির ভিতরে পার্টিতে মেতে ছিল। নীল,ওমর,রাফি ওরা তিন জন বাহিরে গার্ডেনে বসে খেলছিল। ঠিক তখনি বম-ব্লাস্টিং হয়। মারা জান ওদের বাবা মা। ওদের সামনে বাড়িটি আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। এক মিনিটের মধ্যে সব শেষ হয়ে যায়। ওরা তিন জন এতিম হয়ে যায়। ওরা তিন জন ও ওদের গাড়ির ড্রাইভারের ছোট ছেলে সাব্বিরও বেঁচে যায়। তারপর থেকে ওরা একা একা বড় হতে থাকে। ওরা যতো বড় হতে থাকে ততই ওদের মনের মধ্যে সেই প্রতিশোদের আগুন বাড়তে থাকে।দিন যত যায় ওরাও তত কঠোর হতে থাকে। মানুষের মনের মধ্যে ওদের জন্য ভয় জাগিয়ে তোলে,আর আস্তে আস্তে হয়ে উঠে গ্যাংস্টার। ওরা ওদের বন্ধুতের জন্য জান দিতে রাজি আছে ।একে অপর কে অন্ধের মতো বিশ্বাস করে। সাব্বির কে ওরা ওদের ছোট ভাইয়ের মত মনে করে। এভাবেই ওদের দিন কাঁটতে থাকে।জাহিদ শেখ ওদের চিরো শক্র।আজকে‌ ওরা জানতে পেরেছে জাহিদের খাশ লোক একটা রেস্টুরেন্টে বসে ড্রাগস ছাপলাই করবে। তাই নীল,ওমর,রাফি ওরা ছদ্মবেশ নিয়ে সেই রেস্টুরেন্টের সামনে গাড়িতে বসে অপেক্ষা কর ছিল।কিন্তু সেই মেয়ে গুলো ওদের প্লান এ পানি টেলে দিল। আসে পাশের লোক জন ওদের কে চিনে ফেলেছিল। তাই লোক জন ওদের কে দেখে ওইভাবে ছুটা-ছুটি করছিল।

মিশু মনি, নিশু মনি,কথা মনি,ওরা তিন বান্ধবি। দেখতে ঠিক-ঠাক আছে। ওদের তিন জনের তিনটি সুন্দর্যের গুন আছে। মিশু মনি,মিশুর ঠোঁটের নিচে ছোট একটা তিল আছে যেটাতে ওর চেহারায় সুন্দরতা আরো বাড়িয়ে তুলে। নিশু মনি,নিশুর হাসি দিলে ওর দু লাগে ঢোল পরে,মিশু ও কথার কাছে নিশুর টোল পরা গাল দুটু খুব ভালো লাগে তাই বিনা কারবে নিশু কে কাতুকুতু দিয়ে হাসায় যাতে ওর টোল পরা গাল দুটু দেখতে পারে।কথা মনি,কথার চুল অনেক লম্বা। যে কোন ছেলে কথার চুখ দেখলেই ক্রাশ খেতে বাধ্য। ওদের মা-বাবা কেউ নেই। ছোট কাল থেকেই এতিম খানায় পড়া-লেখা করে বড় হয়েছে । এখন ওরা একটা ছোট রুম ভাড়া করে থাকে।মিশু ও নিশু একটা 5 স্টার রেস্টুরেন্টে কাজ করে। কথা বিয়ের ডেকোরেশনের কাজ করে। ওরা ওদের লাইফ নিয়ে খুব ভালই আছে। ওরা একটা নতুন স্কুটার কিনেছে। অনেক দিন যাবত স্কুটার চালানো শিখেছে ওরা।আজ মিশু স্কুটার চালাবার সময় এই কান্ড ঘটায়।

হিহিহিহিহি……

নিশু: একটুর জন্য বেঁচে গেলাম রে কথা…

কথা: ঠিক বলেছিস।

মিশু: বাট তখন ওইখান কার লোক গুলো ওইভাবে ছুটা-ছুটি করছিল কেন?

নিশু: হ্যাঁ! আমিও এটাই ভাবছি।

কথা: ওই তিনটি ছেলের দিকে কেমন ভয় ও আতংক নিয়ে তাকাচ্ছিল আর দৌড়াচ্ছিল..মনে হচ্ছে ওই ‌ছেলে গুলো তাদের কে খেয়ে ফেলবে।

মিশু: হুমমমম! সেটাই ভাবভার বিষয় ।

নিশু: আরে ছোর না ইয়ার…..

কথা: হুম ছোর দিয়া..তবে আজকে কিন্তু আমি রান্না করতে পারবো না।

মিশু: হ্যাঁ হ্যাঁ সেটা দেখা যাবে আগে উপরে তো যায়।

নিশু: হ্যাঁ! আগে রুমে চল……।

O.N.R House…..

ওমর: শিট একটুর জন্য জাহিদের লোককে ধরতে পারলাম না………[ রেগে ]

নীল: ওই মেয়ে গুলো কে ইচ্ছে করছে খুন করে ফেলি………[ উঁচু কন্ঠে ]

রাফি: সান্ত হ ভাই….সাব্বির আছে ওইখানে ও ঠিক…….

ক্রিং….ক্রিং….ক্রিং…..

রাফি: সাব্বির কল দিয়েছে…….হ্যাঁ বল সাব্বির…?

সাব্বির: বস রানা কে ধরেছি…

রাফি: ওকে আমাদের কাছে নিয়ে আসো…quick….[ ধমকের স্বুরে ]

সাব্বির: ওকে বস…..।

রাফি: রানা ধরা পরেছে……।

ওমর ও নীল এটা শুনে বাঁকা হাসলো……

কিছুক্ষন পর…….

সাব্বির রানা কে টানতে টানতে নিয়ে এসে ওমরের পায়ের উপর ফেললো। রানা পায়ের উপর পরে আস্তে করে চোখ তুলে তাকিয়ে সামনের ওমর কে দেখে ভয় পেয়ে যায়।

ওমর: বল জাহিদ কোথায় কোথায় ড্রাগস ছাপলাই করে ওর গোডাউন কোথায় কোথায় আছে ??…….[ গান ঘুরাতে ঘুরাতে গম্ভীর গলায় ]

রানা:……………..

নীল,রাফি রাগী চোখে তাকিয়ে আছে রানার দিকে।

ওমর: বল……..

জোরে বিকট শব্দ হয়……

ওমর গান দিয়ে শুট করে দুটু বুলেট রানার পায়ে ঠুকিয়ে দিল। রানা চিৎকার দিয়ে উঠলো। ব্যাথায় কাতরাতে থাকে রানা।

নীল: বল বলছি……..[ রানার চুল ধরে উপরের দিকে জাগিয়ে ]

রানা: ব…ব…বলবো না……

নীল:…..[ ওর গান দিয়ে আরো দুইটা বুলেট রানার মাথায় গেথে দিল ] তুই আমাদের কোন কাজের না।তাই তোকে বাঁচিয়ে রেখে কোন লাভ নেই আমাদের…… [রাগি গলায়]

রানা সেখানেই মারা যায়।রক্তে সারা ফ্লোর ভেসে যাচ্ছে ।

রাফি: ওর লাশ কেঁটে টুকরো টুকরো করে আমাদের টমি দের দিয়ে আসো। অনেক দিন পর্যন্ত মানুষের মাংস ওরা খায় না…..আজকে খুশি হয়ে যাবে।……….[ গম্ভীর কন্ঠে ]

সাব্বির: জ্বী বস। এই লাশটা নিয়ে যাও….

দুইজন বডিগার্ড রানার লাশ টেনে নিয়ে গেল।

ওমর,নীল,রাফি যে যার রুমে গিয়ে শাওয়ার নিল।

পরের দিন…..

মিশু,নিশু,কথা কড়া রৌদ্দের মধ্যে জেমে আটকা পরে রাস্তায় স্কুটারের উপরে বসে আছে।

নিশু: ওহ! আর কত ক্ষন লাগবে কে যানে ধুর…..।

কথা: ঘামিয়ে অস্থির হয়ে গেলাম আমি….।

মিশু : আমি মনে হয় খুব সুখে আছি।

নিশু: দেখ ঝগড়া করার মুড একদমি নেই…।

কথা: আমারও….।

মিশু: আমার মনে হয় আছে?

নিশু: চুপ থাক প্লিজ। এতো তেড়া কথা বলিস কেন মিশু ।

ওরা আগের মতো চুপ করে বসে রইলো, হুট করেই মিশুর নজর পরে একটা এম্বুলেন্সের উপর।

মিশু : স্কুটার থেকে নাম তোরা।

নিশু: কেন??

কথা: কেন নামবো?

মিশু: আগে নেমে দাঁড়া তারপর বলছি…।

ওরা স্কুটার থেকে নামলো।

মিশু: আমার সাথে আয়।

ওরা মিশুর সাথে সাথে যেতে লাগলো।

মিশু: এই যে ভাইয়া কি হয়েছে ওনার? [সেই এম্বুলেন্সের সামনে গিয়ে একজন মধ্য বয়স্ক লোক কে জিজ্ঞেস করলো ]

লোকটি: আফা আমার মা আজ সকালে স্টক করেছে,হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু এই জ্যামের কারনে গাড়ি আগে যেতেই পারছে না।……[ কান্না স্বুরে ]

মিশু: আপনে অপেক্ষ করুন ভাইয়া আমরা রাস্তা কিলিয়ার করে দিচ্ছি। নিশু,কথা তোরা ওই দিকে যা।

নিশু: ওকে….

কথা: ওকে….

ওরা তিন জন সব ড্রাইভার কে বলে গাড়ি সরিয়ে দিল। মিশু সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখে 3স্টার লেখা কালো রঙের তিনটি গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।সেই গাড়ি গুলো ছিল ওমর,নীল,রাফি দের। নিশু দৌড়ে প্রথম গাড়িটার কাছে গিয়ে গ্লাসে টোকা দিয়ে বললো।

টকককক…..টকককক….

গ্লাস নামিয়ে সাব্বির বললো……..?[সেদিন সাব্বির ওদের কে দেখেনি,তাই চিনতে পারিনি]

সাব্বির: হোয়াট????

মিশু: ভাইয়া..পিছনের এম্বুলেন্সে একজন মুমূর্ষু রোগি আছে…আপনি যদি আপনাদের গাড়ি গুলো একটু পাশে সরিয়ে নিতেন, তাহলে খুব উপকার হতো।…[ বিনয়ি স্বুরে ]

সাব্বির: পারবো না আমাদের তাড়া আছে…..[ মুড নিয়ে বললো ].

মিশু: প্লিজ ভাইয়া…!

নিশু: প্লিজ ভাইয়া..আপনাদের গাড়িটি সরিয়ে দিলেই ওই গাড়িটি এখান থেকে যেতে পারবে।

সাব্বির: পারবো না বলেছিলা…যদি টাকা লাগে তাহলে বল টাকা দিচ্ছি বাট তারপর ও কানের কাছে গেন গেন করিও না।

কথা: ভাইয়া প্লিজ…..

সাব্বির: যাও তো এখান থেকে……[ ঝাড়ি দিয়ে বললো ]

মিশু,নিশু,কথার এবার রাগ উঠে যায়। মিশু হাত বাড়িয়ে গাড়ির দরজা লক অন করে দরজা খুলে সাব্বিরের কলার ধরে বাহিরে বের করেই………….

ঠাসস….ঠাসস….ঠাসস..

সাব্বির: [ গালে হাত দিয়ে রাগী মুড নিয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে ]

আশে পাশের মানুষ ভয় পেয়ে যায়। কারন ওরা জানে না কার লোকের গায়ে হাতে তুলেছে।
.
.
.
.
.
.
.
Continue To……..😁