ভাঙ্গা গড়া,অন্তিম পর্ব-৫
Hiya Chowdhury
আয়ান নিজের জায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কারণ তার পা কোনো এক শিকলে বাঁধা। কোন মুখ নিয়ে বলবে যে অহমি তুমি বিয়ে টা করো না!কোন অধিকারের জোড় নিয়ে বলবে? আয়ান আসে অহমির গায়ে হলুদে। আদ্রাজের সাথেই অহমির বিয়ে। আয়ান আর অহমির সম্পর্কে টু শব্দ ও যাতে কেউ না জানতে পারে তাই সব কিছু ধামাচাপা দিয়ে সবার মুখ বন্ধ করে দিলো আলতাফ। আদ্রাজের সেদিন প্রথম দেখায় অহমির ভয়ার্ত মুখ শু শ্রী চাহনি সব এক অদ্ভুত মোহে ফেলেছিলো তাকে। এতো দিন বিয়ের জন্য না বলেছিলো শেষে আর না পারতে বিয়ের জন্য রাজি হয়।
অহমি কে সেদিন রাতে যেখানে ড্রপ করে দিয়েছিলো সেই বাড়ির সামনে এসে ও ভেতরে যাওয়ার সাহসে কুলায় নি। আদ্রাজ প্রথম বারের মতো মুখ ফুটে ইফাজ কে বলেছিলো অহমির কথা।নাম টা তখন অজানা ই ছিলো। শেষে অনেক কিছুর পর এই বিয়ে। অনেক বড় পাওয়া এটা তার। আদ্রাজের মনে একটাই প্রশ্ন অহমি কি তাকে চিনেছে?
যাই হোক। অহমি আয়ান কে দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো না। চোখের পানি বাঁধ মানছে না। পৃথিবীর কি অদ্ভুত রীতি। মানুষ কতো স্বপ্ন কল্পনা করে অথচ শেষে নিয়তি তার ইচ্ছে মতোই সব কিছু করে। আয়ান স্ট্রেজে উঠে হাতে হলুদ নিয়ে অহমির গালে লাগিয়ে দেয়। অহমি নিশব্দে কাঁদছে। আয়ান রেহানার কাছে দেওয়া কথা মতো অহমি কে হলুদ ছোঁয়া দিয়েই বাড়ি থেকেই বেরিয়ে যায়। আয়ানের মা জোনাকি নিয়ে মহা খুশি অথচ জোনাকি? সে কি আদৌ খুশি?
আদ্রাজ কে সবাই হলুদ লাগিয়ে অবস্থা খারাপ করিতে দিয়েছে। হুট করে ইফাজ অহমি কে কল দেয়। কল টা রিসিভ করে রেহেনা। ইফাজ অহমি কে দেখার কথা জানায়। অহমি রুমে এসে ফ্রেশ হতে যেতে নিবে তখনি রেহানা মোবাইল টা নিয়ে আসে।
–“অহমি মা আদ্রাজ তোকে দেখতে চাইছে। নে কল দিবে কথা বল!”
–“মা আমি এখন কথা বলতে পারবো না প্লিজ!”
–“তোর কথা বলতে হবে না। আমি কিছু জানিনা দেখ তুই আমার ওদিকে কাজ পড়ে আছে আমি যাই!”
আদ্রাজ সত্যি ই কল দেয়। সব কিছু বিষাক্ত লাগছে অহমির কাছে। ইচ্ছা করছে ফোন টাই ভেঙ্গে দিতে। আদ্রাজ দেখে অহমি কে হলুদ পরীর মতো লাগছে। মনে মনেই মাশাআল্লাহ বলে। ঠোঁটে বাঁকা হাসি ফুটে উঠল তার। অহমি নিজেকে বহু কষ্টে সামলে চুপ করে আছে। আদ্রাজের থেকে ফোন টা ছোঁ মেরে কেড়ে নেয় ইফাজ।
–“কি গো ভাবী লজ্জা পাচ্ছো নাকি এখানে নেই ভেবে আফসোস করছো? আচ্ছা শোনো ভাবী তোমার সাথে তো কথা বলার সৌদি ই হলো এখনো বলি আমার ভাইয়া না হেব্বি আনরোমান্টিক ছিলো। কিন্তু এই আনরোমান্টিক ছেলে টাকে কিভাবে তুমি তোমার প্রেমে ফেললে বলো তো?”
ইফাজ কথাটা বলে শেষ করার আগেই আদ্রাজ ইফাজের থেকে ফোন টা কেড়ে নেয়। দুর্ভাগ্য বশত কল টা ইফাজের শেষ কথাটা শোনার আগেই কেটে যায়। কল কেটে যাওয়ায় অহমি ফোন টা রেখে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়। ভীষণ ক্লান্ত লাগছে। হাঁপিয়ে উঠেছে এসবে। কেমন আজব নিয়ম তাই না নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো কষ্ট নিয়ে ও একটা মানুষ কে দিব্যি হাসতে হয়?
|
|
|
|
অহমি যেই ঘর টায় বসে আছে সেই ঘর কে বাসরঘর বলা হয়। অহমির সব পছন্দের ফুল দিয়ে সেটি সাজানো হয়েছে। ইফাজ ই রেহানা কে ফোন দিয়ে সব জেনে নিয়েছে। কিন্তু একটা ভুল তো করেই ফেলে। যা ছিলো বেলিফুল! বেলিফুলে প্রচুর এলার্জি অহমির। বেলিফুলের গন্ধ টা নাকে আসা মাত্রই হাত পা চুলকাতে থাকে অহমি। একদম ই সহ্য করতে পারে না সে। আদ্রাজ রুমে আসে এটা অহমির মাথায় ও নেই। সে বুঝতে পারছে না এখন তার কি করা উচিত। হাত পা প্রচুর পরিমাণে চুলকোচ্ছে বাজে একটা অবস্থা। আদ্রাজ সেটা লক্ষ্য করতেই চমকে উঠে।
–“আপনার কি কোনো সমস্যা হচ্ছে? একি আপনার হাত পায়ে কি হলো?”
–“আ্ স্ আসলে আমার বেলি ফুলে এলার্জি!”
–“সিট… দেখি আপনি সরে আসুন তো!”
অহমি বিছানা থেকে সরে দাঁড়ায়। আদ্রাজের এবার ইফাজের উপর রাগ হচ্ছে। না জেনে না বুঝে এই বেলিফুল কেন আনলো! আদ্রাজ অহমির সামনে এসে বললো,
–“আপনি ফ্রেশ হয়ে নিন….
অহমি আদ্রাজের কথা শুনে ওয়াশরুমে ঢুকে যায়। শাড়ি চেঞ্জ করে যে পড়বে তার জন্য ও সেলোয়ার বা কোনো শাড়ি ও নেয় নি। আদ্রাজ নিজেই বেলিফুল গুলো নিজের হাতে পরিষ্কার করে ঝুড়িতে ফেলে দেয়। বিছানা টাও পরিষ্কার করে ফেলে। খুশি করতে গিয়ে একেবারে সব তালগোল পাকিয়ে দিলো। গেলো তো সব গোল্লায়। এই জন্য ই বলে অতিরিক্ত করতে নেই। অতিরিক্ত কোনো কিছুই আসলে ঠিক নয় প্রমাণ হলো। আদ্রাজ বেলকনিতে ঝুড়িটি নিয়ে ফেলে ফুল গুলো ফেলে দেয়। অহমি শাওয়ার শেষে বাঁধলো বিপত্তি। সে তো কিছুই নিয়ে আসে নি!
এভাবে ওয়াশরুমে আর কতক্ষণ ই বা থাকবে? টাওয়েল টা পড়ে নেয় সে। দরজা হালকা ফাঁকা করে রুমের দিকে দেখলো আদ্রাজ রুমে আছে নাকি? কিন্তু নাহ তাকে দেখা যাচ্ছে না। অহমি পা টিপে টিপে বের হয়। চোরের মতো এদিক সেদিক তাকাতে গিয়ে ভুল ই করে ফেললো। আদ্রাজ হঠাৎ করে রুমে ঢুকে শক্ড হয়ে যায়। অহমির লজ্জায় মাটি ফাঁকা করে তার নিচেই ঢুকে পড়তে ইচ্ছে করছে। প্রথম দিনেই এমন একটা লজ্জাজনক মুহুর্তে পড়তে হবে ভাবতেই পারে নি। আদ্রাজ সঙ্গে সঙ্গে পেছন ফিরে যায়।
–“অহমি কে এমন ভাবে দেখবো কখনো ভাবিনি।”
ফর্সা গাল বেয়ে টুপ টুপ করে গলায় পানি চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে। আফিমের মতো এক অদ্ভুত নেশা গ্রাস করছে আদ্রাজ কে। হয়তো কোনো মেয়ের সামনে এই অবস্থা কোনো ছেলে-ই নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না। ঘোরের মধ্যে চলে যায়। আদ্রাজ অহমি কে লজ্জায় ফেলতে চায় নি তাই দরজা খুলে রুম থেকেই বেরিয়ে যায়।
অহমি হাঁপ ছেড়ে বাঁচল। কিন্তু এই মানুষ টি কি ভেবেছেন তাকে? ছিঃ ছিঃ চোখ তুলে তাকানোর আর মুখ নেই। অহমি শাড়ি পড়তে পারে নাবতাই একটা সেলোয়ার নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসে। অহমি দেখলো বিছানায় এখন আর বেলিফুল নেই! আদগরাজ করেছে এসব? বিছানায় বসে আছে আর ভাবছে এখন কি হবে? আয়ানের কথা মাথা থেকে বেরিয়েই গেছে।
হঠাৎ করে আয়ানের কথা মনে পড়ে যায়। ভেতর টা পাথরের মতো শক্ত হতে গিয়ে বারংবার তুলোর মতো নরম হয়ে যাচ্ছে। হু হু করে কেঁদে উঠে অহমি। কারো উপস্থিতি বুঝতে পেরে নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে অহমি। নাহ আদ্রাজ আসে নি। আদ্রাজের মা প্লেটে করে খাবার নিয়ে আসে। মুখে এক গাল হাসি। অহমি জোড় করে হাসার চেষ্টা করলো। উঠে গিয়ে শাশুড়ি মায়ের পা ধরে সালামের চেষ্টা করতে তিনি বাঁধা দিয়ে অহমি কে দাঁড় করায়।
–“ছিঃ মা তুমি আমার মেয়ের মতো।”
–“মায়েদের পায়ের নিচেই তো সন্তানের বেহেস্ত!”
–“লক্ষী মেয়ে আমার। তাই বলে আমার পা ধরতে হবে নাকি রে পাগলী!”
সত্যি বলতে আদ্রাজের মায়ের ব্যবহারে অহমি খুব অবাক। প্রথম দিনেই এতো টা আপন করে নিবে কল্পনার বাইরে ছিলো তার। শুধু অহমি ও তাদের আপন করে নিতে পারবে কিনা এটাই প্রশ্ন! আদ্রাজের সঙ্গে ইফাজ ও রুমে ঢুকে। ৩ জনকেই খাইয়ে দেন আদ্রাজের মা। খাওয়া শেষে কিছু কথা বলে তিনি হেসে চলে যায় কিন্তু ইফাজ যাচ্ছে. না। আদ্রাজ ইফাজ কে জোড় করে রুম থেকে বের করে দরজা বন্ধ করতে যাবে ইফাজ বলে
–“দেখো ভাইয়া কাজ টা কিন্তু ঠিক করলে না আমি কিন্তু চাইলে ক্যামেরা লাগাতে পারতাম তা তো করিনি তাও বের করে তাড়িয়ে দিলে হুহ!”
–“তবে রে!”
আদ্রাজ ইফাজ কে ধরতে যাবে ইফাজ হাসতে হাসতে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ইফাজের ইচ্ছা ছিলো আদ্রাজের বাসর ঘর মাটি করার কিন্তু তা আর হলো না। আদ্রাজ ও হাসছে। অহমি দুই ভাইয়ের কান্ড দেখছে।
আদ্রাজ অহমির কাছে এসে দাঁড়ায়। মৃদু স্বরে বললো
–“ছাঁদে যাবেন? আকাশে থালার মতো চাঁদ উঠেছে। চলুন না একটু জোছনা বিলাস করি!”
অহমি মাথা নাড়িয়ে সায় দিলো। অহমি হাঁটতে যাবে আদ্রাজ বাঁধা দিলো।
–“আমার প্ল্যানে তো পানি ঢেলে দিবেন দেখছি!”
অহমি চোখ বড় বড় করে তাকায়। কি প্ল্যানের কথা বলছে আদ্রাজ! অহমি ভয়ে কুঁকড়ে যায়। তার উপর আদ্রাজের এখন সম্পূর্ণ অধিকার আছে সে চাইলেই তাকে স্পর্শ করয়ে পারবে। বাঁধা ও দিতে পারবে না সে। অহমি এখন কি করবে? নিজেই ভয়ে আল্লাহ আল্লাহ করছে অহমি। আদ্রাজ অহমির ভয় পাওয়া দেখে বাঁকা হাসে। হুট করে অহমি কে কোলে তুলে নেয়। অহমি ফ্রিজের মতো জমে যায়।
ছাঁদে ও লাইটিং করা হয়েছে। খুব সুন্দর লাগছে ছাঁদ টা লাল নীল সবুজ হলুদ বাতি একবার জ্বলছে তো একবার নিভছে। এ যেনো আলো আঁধারের লুকোচুরি খেলা। অহমি দোলনায় বসতে ইশারা করলো আদ্রাজ। অহমি বসল পাশে আদ্রাজ ও বসে।
–“আপনি কপি খেতে পছন্দ করেন?”
অহমি মাথা নাড়ালো। আদ্রাজ অহমির দিকে এক কাপ কফি এগিয়ে দেয়। নিজেও এক কাপ নেয়। কপি খেতে ইচ্ছে করছে না তাও অল্প খেলো অহমি। আদ্রাজ বললো,
–“জানেন আমার ইচ্ছা ছিলো আমি আমার বউয়ের সাথে পাশাপাশি বসে দুজন একসাথে জোছনা বিলাস করবো। আজ সেই ইচ্ছা পূর্ণতা পেলো। আপনাকে ধন্যবাদ!”
আদ্রাজ কথা বলছে অহমি শুনে হ্যাঁ না এসব বলছে। অহমি বার বার আয়ানের ভাবনায় ডুবে যাচ্ছে অনিচ্ছা সত্ত্বেও। আজকের এই রাত টা নিয়ে তার ও তো কত স্বপ্ন ছিলো। সব কিছু ঠিক ই আছে শুধু মানুষ টা ই ভিন্ন। ভালোবাসার মানুষের বদলে অচেনা অপরিচিত একটা মানুষ। আদ্রাজ বলে উঠলো
–“আচ্ছা আমার কাছে কি চাওয়া আছে আপনার?”
অহমি চুপ। আদ্রাজ বললো,
–“আপনার চাওয়া আমি অবশ্যই পূরণ করবো। আপনার কাছে ও আমার চাওয়া আছে। আপনার আমাকে অনেক ভালোবাসতে হবে। আমি আপনার অতিত নিয়ে মাথা ঘামাবো না প্রমিস। যা অতীত হয়ে গেছে তাকে অতীত ই থাকতে দেন। একটা কথা মনে রাখবেন মানুষের অগ্রগতি সামনে পেছনে নয়। তাছাড়া অতীত নিয়ে পরে থাকলে আপনি কখনোই বর্তমান নিয়ে ভালো থাকতে পারবেন না। তাই অতীত ভুলে বর্তমান নিয়ে বাচুন ভাবুন! আর হ্যাঁ আমাকে ভালোবাসার পাশাপাশি আমার পরিবারের সবাই কে নিজের আপন জন ভেবে আগলে রাখতে হবে। কারণ আপনি এই বাড়ির বড় বউ।”
পুরো টা সময় আদ্রাজের কাঁধেই ছিলো অহমি মাথা। অহমি মাথা নেড়ে সায় দিলো। আদ্রাজ এতো সুন্দর করে কথা গুলো বললো যে অহমি ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও মুগ্ধের মতো শুনলো। কিছুক্ষণের জন্য তার মনে হলো আদ্রাজের মতো মানুষ হয়। এই পরিবারের সবাই আসলে খুব ভালো।
কিন্তু অহমি যে অতীতে ভেঙ্গে গুড়িয়ে গেছে। সেই ভাঙ্গা আঘাতের ক্ষত বিক্ষত হৃদয় কি শুকোবে কখনো? আদ্রাজ কি পারবে না নতুন করে অহমি কে গড়ে তুলতে?
পৃথিবীর সব মানুষ ই হয়তো এই ভাঙ্গা গড়া বাস্তবতার সাথে সামিল। কেউ ভেঙ্গে দেয়, তো কেউ ভেঙ্গে যায়, আবার কেউ বা গড়িয়ে দেয় এই তো নিয়তির প্রিয় নিয়ম। অহমি মনে মনে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো,
–“আয়ান তোমাকে আমি ভালোবেসেছি ভালোবাসি। তুমি আমার প্রথম ভালোবাসা। আমার জীবনের একটা অংশ। তোমাকে আমি বেঁধে রাখতে পারিনি তাই উড়তে দিয়েছি। তোমাকে তোমার মতো বাঁচতে হবে। কারণ তোমাকেই তো ভালোবেসেছি। তোমার কাছে যত চাওয়া পাওয়া ছিলো সব সময়ের বহমানতায় ভাসিয়ে দিয়েছি হ্যাঁ বাধ্য হয়েই। শুনেছি নদির একুল ভাঙ্গে ওকুল গড়ে। তুমি ও নিজেকে গড়ে নিও। আজ থেকে আমি অন্য কারো! ভালো থেকো নিজের মতো করে!”
আদ্রাজ দেখলো অহমি কি যেনো বিড়বিড় করে ঘুমিয়ে পড়েছে। আদ্রাজ অহমি কে কোলে তুলে রুমে নিয়ে এসে সযত্নে শুইয়ে দেয়। অহমি শুধু “আয়ান” বলে একটা শব্দ করলো। আদ্রাজ বুঝে ও মুচকি হাসলো। অহমির অজান্তেই আদ্রাজ অহমির কপালে ভালোবাসার পরশ এঁকে দেয়। দুজনেই ঘুমের দেশে ভিড় জমায়। পরের দিন সকালে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ঘুম ভেঙ্গে আদ্রাজ কে রুমে পায় না অহমি। রাতে তো তারা ছাঁদে ছিলো রুমে আসলো কি করে। পরে বুঝলো হয়তো আদ্রাজ তাকে নিয়ে এসেছে। অহমি ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরোতেই দেখে আদ্রাজ দাঁড়ানো। সে অহমির সিকে তার ফোন টা এগিয়ে দিয়ে বললো,
–“আম্মু ফোন দিয়েছে কথা বলবেন আপনার সাথে!!”
অহমি আদ্রাজের থেকে ফোন টা নিয়ে বেলকনির দিকে চলে যায়। আদ্রাজ মুগ্ধ নয়নে অহমি কে যতটুকু সম্ভব দেখেছে। মারাত্মক সুন্দর লাগছে আজ অহমি কে। অহমি কল ব্যাক করে। কিছুক্ষণ পর রেহানা ফোন রিসিভ করে বললেন,
–“জোনাকি যেই ছেলে টা কে ভালোবাসে, আজ ভোরে টাকা আর গয়না সমেত সেই ছেলেটার সাথেই পালিয়ে গেছে!”
সমাপ্ত
বি.দ্রঃ অনেকের পছন্দ হয়েছে বা না ও হতে পারে। মূলত এই গল্পটি কিছুটা কাল্পনিক বাকি টা বাস্তব। কিছু কিছু বাবা মা আছেন যারা সন্তানের ভালো বা নিজেদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে সন্তানের জীবন দুর্বিষহ করে দেন। যা মোটেও কাম্য নয়। এসব থেকে বিরত থাকুন।গল্পের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।
ভাইয়া সিজন 2 দেন প্লিজ 🙏🙏🙏 যেখানে অহমি আদ্রাজ কে ভালোবেসে ফেলবে আর আয়ান কে মন থেকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করবে
Apu aii story tar 2nd part chai na but golpo ta vlo hoyacha .kichu kichu golpo to purnota pai na tai apu season 2 deo na