জ্বীন রহস্য (love story)❤Season 2,Part 33,34
Writer Maishara Jahan
Part 33
আরাব,,,,,,,,,, আমাদের কেও পাত্তা ও দিচ্ছে না, কি আর করার আয় আমরা শুয়ে পড়ি।
তারা তিনজনে খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়ে।
সকালে,,,,,,,,,,,,,,,
রিমান, আরাব ফারহান ঘুমের মধ্যে একটু চাপাচাপি অনুভব করে।
রিমান,,,,,,,,,,, ফারহান তোর পা সরা আমার উপর থেকে না হলে লাথি দিয়ে বিছানা থেকে ফেলে দিবো বলে দিলাম। ( ঘুমের মধ্যে )
ফারহান,,,,,,,,,,,,, আমার পা আমার কাছেই আছে, তোর মতো বাঝে অভ্যাস নেয় আমার। ( ঘুমের মধ্যে )
আরাব,,,,,,,,,,,,, রিমান ঐদিকে যা, আমি পড়ে যাবো, এতো বড়ো খাট তাও জায়গা হয়না,, সর এখান থেকে ( ঘুমের মধ্যে চিল্লিয়ে )
,,,,,,,,,,,, চুপচাপ ঘুমা না,, এতো কথা কিসের ( বিরক্তি নিয়ে )
রিমান,,,,,,,,,, এটা আবার কে বললো।
রিমান কোনো মতে চোখ খুলে তাকায়, দেখে আর বাবা তার উপর পা রেখে শুয়ে আছে, হঠাৎ মুখের সামনে বাবার চেহেরা দেখে রিমান চিৎকার করে উঠে বসে।
সাথে সাথে রিমানের দুই সাইডে ফারহান আর আরাব শুয়ে ছিলো তারা পড়ে যায়।
আরাব,,,,,,,,,,,,, আল্লাহ আমার কমর কি হয়ছে কি।
ফারহান,,,,,,,,,, রিমানের বাচ্চা।
দুজনে উঠে দেখে রিমানের বাবা রিয়াদ বিছানায় শুয়ে আছে, সবাই তার দিকে আম্মুক ভাবে তাকিয়ে আছে দেখে রিয়াদ উঠে।
বাবা,,,,,,,,, আগে কি কখনো দেখিস নি, এভাবে তাকিয়ে আসিস কেনো।
আরাব,,,,,,,,,,, আংকেল আপনি এখানে।
বাবা,,,,,,,,, আরে দূরর,, তদের বিয়ের জন্য মেহমান আসা শুরু করে দিয়েছে, কাল রাত থেকে।
রিমান,,,,,,,,, তো কি হয়েছে, তারা নিশ্চই তোমার রুমে থাকবে না,, তাদের জন্য অনেক রুম আছে।
বাবা,,,,,,,,, তার জন্য না, কালকে জ্বীন রাজ্যে থেকেও অনেকে এসেছে।
ফারহান,,,,,,,,, হ্যা তো।
রিয়াদ,,,,,,,,,, কাল রাতে তোর মা বলেছে তার বোনদের সাথে থাকবে গল্প করবে, তাই তাদের রুমে চলে গেছে আমাকে একা রেখে।
আরাব,,,,,,,,,,,, তো।
রিমান,,,,,,,,,, আরে বুঝস না,, চারপাশে জ্বীন তাই ভয়ে আমাদের রুমে চলে এসেছে৷
বাবা,,,,,,,,, চুপ আমি ভয়ে আসি নি,, ভাবলাম তোরা ভয় পাবি তাই আসলাম।
রিমান,,,,,,,,,, বাবা আমরা তিনজন ছিলাম ভয় কিসের,, আর তাছাড়া তুমি আমাদের মাঝখানে কিভাবে আসলা,, রুমে সোফা ছিলো সেখানে শুতে পারতা৷
বাবা,,,,,,,,,, ভয় করে,, না মানে আমি সোফায় শুতে পারি না।
আরাব,,,,,,,,,,, আংকেল এতো বছর হলো আপনাদের বিয়ে হয়েছে এখনো ভয় কাটেনি।
বাবা,,,,,,,,,, ঐই কে ভয় পায়,,, আরে সব জ্বীন এসেছে মানলাম পেত্নীর জাত ও এসেছে।
রিমান,,,,,,,,, বাবা বলো কি ( রিমান তার বাবাকে ঝাপড়ে ধরে ) এতো ভয়ানক চেহেরা নিয়ে এসেছে বিয়েতে তো মানুষও এসেছে তারা ভয় পাবে না৷
বাবা,,,,,,,, তারা সবাই মানুষের চেহেরা নিয়ে এসেছে।
ফারহান,,,,,,,,,,, রিমান আংকেলের ব্যাপারটা না হয় মানলাম কিন্তু তুই তো জ্বীন তুই কেনো ভয় পাচ্ছিস।
রিমান,,,,,,,,,,,, দূরর বাবা আপনার কলিজা এতো ছোট কেনো। ( রিয়াদকে ছেড়ে দিয়ে )
বাবা,,,,,,,,, মানে
রিমান,,,,,,,,,,, আপনার জন্য আমার কলিজাও ছোট হয়ছে।
বাবা,,,,,,,,,, এই তুই বড়ো হয়ছিস কেন,, তোর এতো বিয়ে করা লাগবে কেনো,, তোর জন্য ওরা সবাই এসেছে,, বড়ো হয়ছিস কেন, বড়ো হয়ছিস কেন ( রিমানের ঘাড় নিচে করে, কনুই দিয়ে রিমানের পিঠে মারতে মারতে )
রিমান,,,,,,,,,, দূররর বাবা জম্ম হয়ছি তো বড়ো তো হমুই।
বাবা,,,,,,,, এই তুই জম্ম হয়লি কেন,, তুই জম্ম হয়লি কেন। ( আবার মারতে মারতে )
রিমান,,,,,,,,,,,, দূরর ছাড়ো,, আমি কি ইচ্ছে করে হয়ছি নাকি,,তোমরা কন্ট্রোল করতে পারলা না অথবা,,,
আরাব,,,,,,,, এই থাম,, যেমন ছেলে তেমন বাবা৷
রিমান +বাবা,,,,,,,৷ মানে
আরাব,,,,,,,,, মানে নির্লজ্জ,,,,,,, না মানে ভালো আর কি।
ফারহান,,,,,,,,,, চল একটু বাহিরে বেরিয়ে দেখি কি অবস্থা, অনেক আওয়াজ শুনা যাচ্ছে।
সবাই রুমের দরজা খুলেই দেখে সবাই কাজে ব্যাস্থ , তখনি একটা লোক এসে বলে,,
,,,,,,,, আরে ভাই বিয়ের বাড়িতে কেও এতো দেরি করে উঠে, নেন তাড়াতাড়ি কাজ করেন, ঘরের মানুষিতো বিয়ের কাজে সাহায্য বেশি করে।
রিমান,,,,,,,,,, আমার বিয়ে আমি কেনো কাজ করমু৷
,,,,,,,, ওও আপনার বিয়ে,, তাহলে আপনি করেন।
আরাব,,,,,,,,,,, জীবনে দেখছেন নিজের বিয়েতে নিজে কাজ করতে।
,,,,,,,,, ওও আপনারও বিয়ে,,,,,,, তাহলে আপনি,,
ফারহান,,,,,,,,,,, জীবনে বিয়ে এক বারি হয়,,আর সেই দিনে আমি কাজ করবো হুহহ
,,,,,,,, জীবনে বিয়ে দুই তিন বার ও হয়,, তা ভাই আপনারও বিয়ে হচ্ছে নাকি ( রিয়াদকে বলে )
বাবা,,,,,,,, আমার অনেক আগেই হয়ে গেছে।
,,,,,,,, না আবার করবেন নাকি,,,
বাবা,,,,,,,,, চল বাগ এখান থেকে,, য়াওল ফাওল লোক কোথা থেকে আসে এই সব।
ছেলে ধমক শুনে ভয়ে দৌড় দেয়।
উপর থেকে নিচে তাকিয়ে দেখে নাচের প্রেস্টিজ চলছে৷
ফারহান,,,,,,,,, সবার কথা না হয় মানলাম কিন্তু বিয়ের কন্যারা এভাবে নাচছে কেনো।
বাবা,,,,,,,,, আজ মেহেদি+ সংগিতের অনুষ্ঠান তাই।
আরাব,,,,,,,,, আজ না গায়ের হলুদ মেহেদী কোথা থেকে এলো৷
বাবা,,,,,,,, কাল রাতে ঠিক হয়েছে এইটা।
রিমান,,,,,,,, দোস্ত দেখছস আমাদের বিয়ে আর আমরাই জানি না কি কি হবে।
ফারহান,,,,,,,,,, তাহলে তো আমাদেরও নাচ শিখতে হবে।
বাবা,,,,,,,, তদের শিখে লাভ নেয়।
আরাব,,,,,,,, কেনো,জানি আমরা ভালো নাচতে পারি তাও একটু প্রস্তুতির ব্যাপার আছে না।
বাবা,,,,,,,,, এখানে তোমাদের কোনো কাজ নেয়, এটা মেয়েদের অনুষ্ঠান ছেলে প্রবেশ নিষেধ।
রিমান,,,,,,,,, আমরা ছেলে না,,
বাবা,,,,,,, তো কি তুই।
রিমান,,,,,, না মানে ছেলে আমরা কিন্তু কোনো বাহিরের ছেলে নাকি আমরা তো বর তাই যেতে পারবো তাই না।
ফারহান,,,,,,, ঠিক
বাবা,,,,,,,, কিসের ঠিক,, ওদের অনুষ্ঠানে গেলে ঝাটা দিয়ে পিটাবে।
সবাই নিচে যায় বসে বসে নাচ দেখে।
ফারহান,,,,,,,, মা কিছু দাও তো খুধা লাগছে আমাদের।
ফা,,মা,,,,,,,, টেবিলে আছে নিয়ে নিয়ে খা জ্বালাস না।
আরাব,,,,,,,,,,, আমাদের বিয়ে,,
আ,,,মা,,,,,, তো কি করবো কোলে করে নাচবো।
রিমান,,,,,,,,, মার হাবা,,,
রি,,মা,,,,,,,, তোরা আর কতো নাচবি,,, আয় এদিকে আয় আমি তোদের খায়িয়ে দিচ্ছি ।
মুন+মাহুয়া+রিমি,,,,,,,,, ঠিক আছে।
রিমান,,,,,,,,,, মা আমাদের ও তো বিয়ে।
রি,,মা,,,,,, ওদের আর তোদের এক হলো নাকি,, চুপচাপ নিয়ে খা৷
আরাব,,,,,,,,,,,,,,রিমান তুই জেনো কি বলিস, হ্যা,, এতো বড়ো অবিচার ধর্মে সইবে না বলে দিলাম।
সন্ধ্যার দিকে, এর আগে রিমান,ফারহান,আরাব,,, মাহুয়া, রিমি, মুন এর পাশেও যেতে পারে নি, কেও না কেও এসে পড়েছে, তিন জনের মন মেজাজ খারাপ তার উপর ওদের তিন জনকে কড়া ভাবে না করে দিয়েছে যাতে ওদের অনুষ্ঠানে না আসে।
আর এই জন্যই সব ছেলেদের বাগান বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে ।
রিমান,,,,,,,,, দেখনা বাড়ি থেকে কি গান বাজনার আওয়াজ আসছে, না জানি কি করছে।
ফারহান,,,,,,,, নাচ,, অভিনয় এই সবি করবে আর কি।
আরাব,,,,,,,,,, আমি যাবো দেখতে,,,এনি হাও,, চল বাবাদের গিয়ে বলি।
রিমান,,,,,,,,,, বাবা দেখো না,, জোরে জোরে গান বাঝছে,, মনে হয় সবাই অনেক আনন্দ করছে। না জানি ওখানে কি কি হচ্ছে,, দেখতে ইচ্ছে করছে।
রি,,বাবা,,,,,,,,, ওখানে কি কি হয় আমরা সবাই জানি অনেক বার দেখেছি।
ফারহান,,,,,,,, কিভাবে।
আ,,বাবা,,,,,,,, ছদ্মবেশে লুকিয়ে দেখেছি।
রিমান,,,,,,,,,,, ( ছেছরা ) তো এখন যাবে না।
রি,,,বাবা,,,,,,, না নিজের মেয়ের মেহেদীর মধ্যে কিভাবে যায় লজ্জার একটা ব্যাপার আছে না।
রিমান,,,,,,,,,,, বাবা তোমার শালিরা কিন্তু হেব্বি সুন্দর😉😉, তারা নাচছে হয়তো বা। 😏
রি,,বাবা,,,,,,,,, আর শালিদের নাম নিস না,, তোর মার সামনে শুধু শালিদের সুন্দর বলেছিলাম,, পুরো ১০ দিন আমাকে একা রেখে চলে গেছে।
রিমান,,,,,,,, মা দশ দিন বাপের বাড়ি ছিলো।
রি,,,,,বাবা,,,,,, আরে না আমাকে তার বাপের বাড়ি রেখে এসেছিলো।
রিমান+আরাব+ফারহান + তাদের বাবা,,,,🤣😂🤣
রি,,,বাবা,,,,,,,, তোরা তো হাসবিই,, আমার চলে যেতো আর কিছু দিন হলে। তরা যা এখান থেকে,, আমরা তিন বন্ধু একটু বাহিরে যাবো, হাটা হাটি করবো।
আরাব,রিমান,ফারহান সেখান থেকে হতাশা নিয়ে চলে আসে।
আরাব,,,,,,,,, আমি অদৃশ্য হয়ে যাবো দেখতে।
রিমান,,,,,,,,,, আমিও
ফারহান,,,,,,,,,,, কামিনো,,, আমার কি হবে,, আমাকে না নিয়ে গেলে আমিও যেতে দিবো না৷
রিমান,,,,,,,,,,, এ ওরে শারি পড়া,, ওরে শারি পড়িয়ে নিয়ে যাবো। আমি মুভিতে দেখেছি এমন।
ফারহান,,,,,,, তোর মুভির গুষ্টি কিলাই,, আমি শাড়ি পড়তে পারবো না,,, আই এম এ মার্চো ম্যান।
রিমান,,,,,,, ও আমার মার্চো ওয়ালাটা,, শারি পড়লে চল না হলে আমরা গেলাম।
আরাব,,,,,,,,, আরে পড়েনে না,, কেও দেখবে নাকি,, আমরা আমরাই তো৷
ফারহান,,,,,,,,,, ঠিক আছে চল,,, আমি কিন্তু শাড়ি পড়তে পারি না।
রিমান,,,,,,,, আমরা আছি কি করতে
রিমান আরাব কোনো মতে ফারহানকে শাড়ি পড়ায়।
ফারহান,,,,,, এটা কিভাবে পড়াইছস,, ঠিক মতো হাটতে পারছি না।
রিমান,,,,,,,, দাঁড়া এক মিনিট একটু হেসে নেয়।
আরাব,রিমান গড়া গড়ি করে হাসছে। ফারহান অসহায় ভাবে দাঁড়িয়ে আছে, বিরক্তি ভাব নিয়ে।
রিমান আরাব, ফারহানকে শাড়ি পড়িয়ে নিয়ে যায়, গিয়ে রিমান ফারহান অদৃশ্য হয়ে যায়।
ফারহান,,,,,,,,, কুত্তা কই তোরা আমি একা একা হাঁটতে পারবো না৷
আরাব,,,,,,, চুপ থাক তোর পাশেই আছি,, চিন্তা করিস না। চুপচাপ গিয়ে বসে পড়।
রিমান আরাব ফারহানকে নিয়ে বসাই, সবাই মিলে মজা করে অনুষ্ঠান দেখছে৷
সবাই নাচছে, অভিনয় করছে,, তিনজনে দেখে দেখে মজা নিচ্ছে।
,,,,, কয় জন মিলে অভিনয় করেছে, যেখানে শেখাচ্ছে কিভাবে স্বামীকে সায়েস্তা করা যায়, ঘরের কাজ করানো যায়, নিজের হাতের মুঠে রাখা যায়।
রিমান,,,,,,,,,,,, এই সব দেখে দেখে মেয়েরা শিখে,,আমাদের তো কেও বউ কন্ট্রোলে রাখার উপায় বলে দেয় না।
আরাব,,,,,,,, এই উপায় কারো কাছেই নাই।
ফারহান,,,,,,,, আমাদের গুলো এমন করবে না।
তখনি রিমি বলে উঠে আমিও এমন করবো,, বুঝাবো মজা এই রিমি কি হুহহ।
রিমান,,,,,,,,, মার হাবা,,,, বিচারা ফারহান আমাদের শহিদ হয়ে যাবে।
সাথে সাথে মুন আর মাহুয়াও বলে উঠে আমরাও এমন করবো।
রিমান,,,,,,,,,, আস্তাত ফিরুল্লা,, কি বলে।
ফারহান,,,,,,,,,, চুপচাপ বসে বসে দেখ,, না জানি আরো কতো কি বাকি আছে৷
কিছু খন পর একটা পার্লার থেকে মহিলা এসে ফারহানের হাত ধরে। ফারহান টান দিয়ে সরিয়ে নেয়।
,,,,,,, আরে হাত দিন,, মেহেদী দিয়ে দিয়,, এখন সবাইকে দিচ্ছি পরে বউদের দিবো তখন কিন্তু পাবেন না, দেখেন সবাই মেহেদী দিচ্ছে।
ফারহান কোনো কথা বলছে না,, মেয়েটা ফারহানের হাত জোর করে নেয়।
,,,,,,, এ কি আপনার হাত এমন ছেলে ছেলে কেনো।
রিমান,,,,,,,, উঠ বেটা।
ফারহান তাড়াহুড়ো করে উঠে দৌড় দিতে গিয়ে সবার মাঝখানে পড়ে যায়,, সবাই ফারহানের দিকে তাকিয়ে আছে, শাড়ি অর্ধেক সরে যায়।
আরাব,,,,,,,,,, ফারহান এবার তোর কি হবে।
ফা,,,মা,,,,,,, ফারহান তুই এখানে।
ফারহান,,,,,, হিহিহি,,,মা তোমাকে দেখতে এসেছি।
রিমি,,,,,,, শাড়ি পড়ে।
ফারহান,,,,,,, কিসের শাড়ি ( ফারহান তাড়াতাড়ি শাড়ি খুলে ফেলে।
আ,,,মা,,,,,,, বাকি দুইটা কই।
রিমান,,,,,,,, বাগ আরাব বাগ।
ফারহান,,,,,,,,, ওরা তো নেয়। আমি এখন যায়।
ফা,,মা,,,,,,,, দাঁড়াও এখানে যখন এসেছো তাহলে শাস্তি তো পেতেই হবে।
ফারহান,,,,,,, শাস্তি,,,, রিমান আরাব বাঁচা।
আরাব,,,,,,, বাঁচানোর উপায় তো নেয়,, তাহলে ও একা শাস্তি পাবে কেনো।
রিমান,,,,,,,, চিন্তা করিস না আমরা আছি,,, তোর বন্ধু এক সাথে শাস্তি ভোগ করবো।
আরাব আর রিমান সবার সামনে আসে।
ফা,,,মা,,,,, তোরাও আছিস,, তাহলে ঠিক আছে শাস্তি শুন।
রিমান,,,,,,, বন্ধুর জন্য যে কোনো কিছু।
আরাব,,,,,,,,,, জানও দিতে পারবো।
ফারহান,,,,,, এ নাহলে বন্ধু।
ফা,,,মা,,,,, শাস্তি হলো,, শাড়ি পড়ে হিল পড়ে,সবার মাঝখানে চিকনি চামিলি গানে মেয়েদের মতো নাচতে হবে৷
এটা শুনে রিমান আর আরাব পিছনে সরে, যায়।
ফারহান,,,,,,,,, কি হলো ভাই, পিছনে গেলি কেনো।
রিমান,,,,,,, তোকে নাচতে হবে না তার জন্য জায়গা দিচ্ছি।
ফারহান,,,,,,,,, তোরা আমার সাথে না শাস্তি ভোগ করবি৷
আরাব,,,,,,,,,, তুই ভুল করেছস আমরা কেনো শাস্তি পাবো।
ফারহান,,,,,,,, হারামি তোরা,,,
পা,,মা,,,,,,,, তোমারা ওর সাথে আসোনি।
রিমান,,,,,,,,, একদমি না,, এই সব বাঝে কাজ আমরা করি না,,, ফারহান আমাদের ডাকছিলো তাই ভাবলাম বিপদে পড়লো নাকি তাই আসলাম।
ফারহান,,,,,,,,,,, শালা তোরা বলে আমার জন্য জান দিয়ে দেস।
আরাব,,,,,,, জান দিবো বলে ছিলাম মান সম্মান দিবো বলি নি।
ফারহান,,,,,,,,,, কুত্তা তোদের ভালে হবে না দেখিস,মা ওরাও আমার সাথে এসেছিলো।
রিমান,,,,,, কোনো প্রমান আছে।
আ,,,মা,,,,,, ফারহান এই জায়গায় আছে এটাই প্রমান,,তোরা জীবনে কোনো কিছু একা একা করেছি,দেখ বিয়েটাও এক সাথেই করছিস। তিন জনের শাস্তি হবে।
রিমান,,,,,,,,, এটা কিন্তু ঠিক না,দরকার পরলে ফারহানকে সারা রাত নাচাও তাও আমাদের যেতে দাও৷।
আরাব,,,,,,,, হুমম ঠিক।
ফারহান,,,,,,,,,,,,,, শালা দাঁড়া ( মারতে যায় )
ফ,,মা,,,,,,,, চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকো।
রিমি,,,,,,,,,, আরে একটু নাচো দেখি কেমন লাগে।
ফারহান,,,,,,,, ( নাচ দেখবা তাই না দেখাবো পরে ) রাগি ভাবে তাকিয়ে।
ফা,,,মা,,,,,,,, এই ঐ তিন জন কে,,ঐযে লুকিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে কেনো যাচ্ছো,,হাঁটার ইশ্টাইল দেখে তো মনে হচ্ছে ছেলে,, ঐ কে আছিস শারি খুলে দেখ কে।
ঐ তিন জন দৌড় দিতে যায় কিন্তু ধরা খেয়ে যায়।
আ,,,মা,,,,,,,,, তাদের মুখটা একটু খুলুন,,, এই গোমটাটা খুল তো কেও।
রিমি গোমটা টান দিয়ে খুলে দেখে, আরাব,রিমান ফারহান এদের বাবা শাড়ি পড়ে এসেছে।
রিমান,,,,,,,,, মার হাবা, তা আপনারা এখানে।
আরাব,,,,,,,,,,, তোমরা না বলে এখানে আসবা না।
রিমান,,,,,,,, যখন তুমি বলছিলা মেয়ের সংগীত এ আসলে তোমার লজ্জা লাগবো, তখনি আমার সন্দেহ হয়ছিলো, তোমার আবার লজ্জা। ওরে আমার লজ্জা বতীরে।
রি,,বাবা,,,,,,,, চুপ বাপের সাথে কেও এভাবে কথা বলে।
রিমান,,,,,,,, কোনো বাপে এরকম ও করে না।
আরাব,,,,,,,,,,,,, কি ভদ্রলোকি না সাজছিলো আমাদের সামনে।
ফারহান,,,,,,,, যাক বেঁচে গেছি আমার একা নাচা লাগবো না।
রিমান,,,,,,,, দেখ ও আছে ওর নাচ নিয়ে,,,, এখন কোনো শাস্তি হবে না কারণ আমাদের শাস্তি দিলে বাপেদেরও দিতে হবে।
রি,,বাবা,,,,,, ঐ কি কস আমরা নাচবো তাও আবার শাড়ি পড়ে হুহহ।
রি,,,মা,,,,,,,, জ্বী,, নাচতে হবে।
ফা,,মা,,,,,,,, তোরা নাচবি না তদের ঘাড় নাচবে।
আ,,,মা,,,,,,,, সোজা সোজা মতে নাচো না হলে তোমাদের সাথে ঠিক একটা ভালো হবে৷
মুন গিয়ে শাড়ি আর হিল নিয়ে আসে,, সবাইকে জোর করে শাড়ি পড়ানো হয়, হিল পড়ানো হয়।
রিমান,,,,,,,,, এই দিনও দেখতে হলো, এই সব হয়েছে ফারহানের বাচ্চা তোর জন্য।
ফারহান, আরাব,রিমান,, তারা রিমি,মাহুয়া মুনের কাছে সাহায্য চাই,, ওরা সোজা না করে দেয়।
আরাব,রিমান,,,,,,, মনে রাখবো হুহহ
চিকনি চামিলি গান ছাড়ে, আর ওদের নাচতে বলে।
ওরা কোমর দুলিয়ে দুলিয়ে নাচছে, আর একেক জনে পড়ে পড়ে হাসছে। বিচারারা হিল পড়ে ভালো মতো দাঁড়াতে ও পারছে না।
রিমি,,,,,,,,, আরে হচ্ছে না আরেকটু দুলাও। (চিৎকার করে)
মাহুয়া,,,,,,,,,, আরে রিমান সারা দিন বডি দেখিয়ে রেড়াও এখন একটু বেলি ডান্স দাও। ( চিৎকার করে )
মুন,,,,,,,,,, আরাব কি রোবটের মতো নাচছো,একটু ফিলের সাথে নাচো।
ফারহান আরাব আর রিমান শাড়ি খুলে, হিল খুলে, গান পাল্টিয়ে “তেরা দিয়ান কিদার হে এ তেরা হিরো ইদার হে”
গান ছেড়ে, তিন জনে এক সাথে ডান্স করা শুরু করে। সব মেয়েরা হা করে তাকিয়ে দেখে আর ওয়াও ওয়াও বলে চিল্লাচ্ছে। সাথে আবার তাদের বাবাও যোগ দেয়,,, এই বয়সেও কম না সেই ডান্স করছে৷
সবাই হা করে আছে, মাহুয়া, মুন রিমি এদের হিংসে লাগছে।
মাহুয়া,,,,,,, দেখে মেয়েরা কিভাবে দেখছে মনে হয় খেয়ে ফেলবে।
আরাবের মা গান বন্ধ করে দিয়ে ছয়জনকে গাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।
রিমান,,,,,, এতো বড়ো অপমান হুমম,,,প্রথমে গাড় ধরে নাচালো আর এখন গাড় ধরে বের করে দিলো, এই অপমান সইবো না বলে দিলাম। (চিৎকার করে )
ওমনি আরাবের মা দরজা খুলে, আর রিমান ভয়ে লাফ মারে।
আ,,,মা,,,,,,,,, কি হয়ছে ( রাগে )
রিমান,,,,,,,, কিছু না।
আ,,,মা,,,,,,, চুপচাপ এখান থেকে চলে যাও বলে দিলাম।
আ,,,,বাবা,,,,,,,, জানু ব,,,,,,
আ,,,মা,,,,,,,, রাখো তোমার জানু,,চুপচাপ চলে যাও।( বলে দরজা বন্ধ করে দেয় )
সাথে সাথে সবাই হাসা হাসি লাগিয়ে দেয়।
ফা,,বাবা,,,,, চল দোস্ত মন খারাপ করিস না।
আরাব,,,,,,, হুমম চলো আর ভালো লাগছে না।
আ,,,বাবা,,,,,,, তোরা কোথায় যাবি নিজেদের মতো থাক,,,, চল দোস্ত আমরা ঐদিকে গিয়ে আড্ডা দিয়।
রিমান,,,,,,,,,, চল দোস্ত আমরাও যায়।
অনেক ক্ষন আড্ডা দিয়ে।
রিমান,,,,,,,,, এতো ক্ষনে নিশ্চয়ই আমাদের বউদের ঘুমাতে পাঠাবে,কালকে আবার গায়ের হলুদ আছে৷
আরাব,,,,,,,,,,,এদের মজা না বুঝালে হবে না,, আমার ভিষণ রাগ হচ্ছে।
ফারহান,,,,,,,, ঐ দেখ মাহুয়ার জালানার বাতি জ্বলছে তার মানে বাকি দুজনও রুমে চলে এসেছে।
রিমান,,,,,,,,,, চল সবাই বুঝাবো মজা,, কি পাইছে কি।
তিন জনে লুকিয়ে পাইপ দিয়ে উঠে বারিন্দা দিয়ে রুমের ভিতরে যায়।
রিমি শুয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফারহান দেওয়ালের সাথে হেলান দিয়ে হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছে।
ফারহান,,,,,,,,,, জানেমান ( ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে )
রিমি পিছনে তাকিয়ে দেখে ফারহান দাঁড়িয়ে আছে।
রিমি,,,,,,,,,, তু তু তুমি এখানে। ( ভয়ে )
ফারহান,,,,,,,,, হ্যাঁ আ আ আমি এখানে।
,,,,,,,,,,, এতো রাতে এখানে কেনো এসেছো।
,,,,,,,,, কেনো এসেছি,,, আচ্ছা কি যেনো বলেছিলে,( সামনে এগোতে এগোতে )
,,,,,,, কই কিছু নাতো। ( পিছাতে পিছাতে )
,,,,,,, হ্যাঁ ভালো করে কমর দুলাতে।
,,,,,,,,,, আমি তো তোমাকে বলি নাই আমি তো ভাইয়াকে বলছি।
,,,,,,,,,, কিন্তু আমি তো আমার নাম শুনেছি।
,,,,,,,,,,, ভু ভু ভুল শুনেছো ভুল।
,,,,,,,,,,,, আরো কি জেনো বলছিলে,, ঐ অভিনয়টা দেখে।
রিমও দেওয়ালের সাথে ঠেকে যায়, ফারহান রিমির দুই সাইডে হাত দিয়ে রাখে।
,,,,,,,,,, আমাকে ঐ অভিনয়ের মতো অত্যচার করবে, বিয়ের পর মজা বুঝাবে,, রিমি কি জিনিস সেটা বলবে তাই তো।
,,,,,,,,,,, আ আমি তো ম ম মজা করছিলাম।
,,,,,,,,, মনে তো হচ্ছিল না,, এতো কিছু বলে ফেলেছো তো এর শাস্তি তো পেতে হবে,, ওও আবার হাতে মেহেদী দেওয়া,, এখনো ভালো করে শুকায়নি।
,,,,,,,,, এখুনি ধুতে যাবো।
,,,,,,,,,,,,,, আগে এক কাজ করো,, আমাকে কমর দুলাতে বলছিলে না, এখন তুমি দুলাও।
,,,,,,,, মানে
,,,,,,,,,,,নাচো তাড়াতাড়ি না হলে তোমার আজকে খবর আছে,, ডান্স বেবি ডান্স।
রিমি মুখে বিরক্তি ভাব নিয়ে ডান্স করছে। ফারহান বিছানায় শুয়ে শুয়ে দেখছে।
,,,,,,,,, হচ্ছে না তো কোমরটা দুলাও,,,আর মুখে হাসি ছাড়া নাচ টা চিনি ছাড়া চা এর মতো লাগছে।
রিমি মুখে জোর করে হাসি এনে নাচছে।
,,,,,, এভাবে নাচে না আমি দেখাচ্ছি কিভাবে নাচে।
এতো কষ্ট করে গল্প লেখি,,আর আপনারা কমেন্ট করেন না সার্থপর 😕😕😒😒
চলবে,,,,,,,,
#জ্বীন_রহস্য (love story) ❤
Season 2
Writer……………….. #Maishara_Jahan
Part…………. 34
রিমি মুখে জোর করে হাসি এনে নাচছে।
ফারহান,,,,,,,,, এভাবে নাচে না আমি দেখাচ্ছি কিভাবে নাচে।
ফারহান দাঁড়িয়ে রিমির কাছে এসে কমরে হাত দিয়ে পিছনে পিঠে ধরে, রিমির নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম,একদম শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ফারহান,,,,,,,,,, কি হলো এমন রোবটের মতো দাঁড়িয়ে আছো কেনো। ( কানের কাছে এসে )
রিমি,,,,,,,,,,,, কি ক ক করছো,, ছা ছা ছারো।
,,,,,,,,,,, ছাড়বো না ( আরো শক্ত করে ধরে )
,,,,,,,,,,, এ এটা কি কিন্তু ঠি ঠি ঠিক না।
,,,,,,,,,,,,, আজ তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে,, নাচো জান,,,,
,,,,,,,,,, কিহহহ,, এভাবে অসম্ভব।
,,,,,,,,,, জানেমান নাচো না হলে,,
,,,,,,, না ঠিক আছে,,,
ফারহান রিমিকে দুই হাত দিয়ে ধরে রিমির চোখের দিকে তাকিয়ে আছে, রিমি লজ্জায় ফারহানের চোখের দিকে তাকাতে পারছে না, রিমি নিচের দিকে তাকিয়ে নিজের বডি মুভ করছে।
,,,,,,,,,,,, জানেমান তুমি তো দেখি আমাকে মেরে ছাড়বে,, একদম নাগিনের মতো বডি মুভ করছো।এটা আমার বিষ ছাড়া নাগিন।
রিমি ফারহানের দিকে তাকায় আর সাথে সাথে ফারহান তার ঠোঁট রিমির ঠোঁটে লাগিয়ে দেয়, রিমির চোখ বড়ো বড়ো হয়ে যায়।
রিমি ফারহানকে ঠোঁটে জোরে কামড় মারে,ফারহান চিৎকার দিয়ে সরে যায়।
রিমি,,,,,,,,,,, এই নাগিনের কিন্তু অনেক বিষ আছে তো সাবধানে থাকবে।
,,,,,,,,,,,,, বিষ দাঁত কিভাবে বের করতে হয় তা আমার ভালো করে জানা আছে।
বলে রিমিকে ধরে কিস করতে থাকে, রিমি ছুটানোর চেষ্টা করে কিন্তু লাভ হয় না, ফারহান রিমির মাথার দুপাশে শক্ত করে ধরে কিস করতে থাকে।
তখনি দরজায় টুকা পড়ে,,,
রি,,মা,,,,,,,,, কিরে রিমি তোর রুম থেকে কিসের চিৎকারের আওয়াজ শুনলাম৷
ফারহান রিমি ছুটাছুটি করছে কোথায় লুকাবে,, অবশেষে রিমির বিছানার কম্বলের নিচে লুকায়।
রিমির মা আসে।
রি,,,,, মা,,,,,, কিরে কিসের আওয়াজ আসছিলো।
রিমি,,,,,,,,, মা ওই ওই মোবাইলে ভিডিও দেখছিলাম।
,,,,,,, এতো রাতে কিসের ভিডিও হুমম চুপচাপ ঘুমা,,,, তোর বিছানায় এটা,,, ( বিছানার দিকে তাকিয়ে )
ফারহান ভয়ে শেষ, ধরা পড়লে আর নিস্তার নেই।
রিমি,,,,,,,,,, ম ম মা ঐটা আসলে আসলে কো কোলবালিশ,, জানোই তো আমি কোলবালিশ ছাড়া ঘুমাতে পারি না। তুমি এখন যাও আমি ঘুমাবো।
,,,,,,,, তোর বিশ্বাস নেয়,, যা হাত ধুয়ে তুই বিছানায় শু তারপর আমি যাবো।
রিমি লাফ দিয়ে গিয়ে তাড়াতাড়ি হাত ধুয়ে চলে আসে।
,,,,, মা এবার তুমি যাও।
,,,,,, আগে তুই বলেন বিছানায় শু,,
রিমি সাবধানের সাথে কম্বলের তলে ডুকে,, জেনো দেখা না যায়। সেই সুযোগে ফারহান হাত আস্তে আস্তে রিমির কোমর থেকে পেটের দিকে যাচ্ছে। রিমি না পারছে কিছু করতে না পাড়ছে কিছু বলতে।
রিমি,,,,,,,, মা এবার তুমি যাও।
রিমির মা লাইট অফ করে চলে যায়, সাথে সাথে রিমি উঠে বসে।
,,,,,, ছাড়ো,, ছাড়ো
ফারহান ও উঠে বসে ।
,,,,,,, যাও এখান থেকে,,,
,,,,,,,,, সরি এখন যেতে পারবো না,, একটু পর যাচ্ছি,, তুমি ঘুমাও আমি যাচ্ছি।
রিমি ব্রু কুচকিয়ে তাকায়।
,,,,,, সত্যি কিছু করবো না,, শুধু তুমি ঘুমালে চলে যাবো।
,,,,,,,,,,,
রিমান মাহুয়ার রুমে ডুকে দেখে,, মাহুয়া তার হাতের দিকে তাকিয়ে মেহেদীর রং কেমন হয়েছে সেটা দেখছে।
রিমান আস্তে আস্তে মাহুয়ার কাছে গিয়ে তার মাথা মাহুয়ার ঘাড়ে রাখে৷
রিমান,,,,,,,,,,, তোমার মেহেদীর রং এ কি আমাকে দেখার চেষ্টা করছো।
মাহুয়া চমকে যায়, পিছনে ফিরে দেখে রিমান।
মাহুয়া,,,,,,,, ও তুমি , আমি ভাবলাম কে না কে ( বুকে হাত দিয়ে ) আর এতো রাতে তুমি এখানে কি করো, তুমাকে না ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে।
,,,,,,,, কিহহহ
,,,,,,,, না মানে,, এটাই তো হয়ে ছিলো ( চাপা হাসি দিয়ে )
,,,,,,, খুব হাসি পাচ্ছে তাই না,,, কি বলছিলে আমাকে অত্যাচার করবে ঐ অভিনয়ের মতো, আর আমি নাচতে পারি না ( মাহুয়ার সামনে যেতে যেতে, আর মাহুয়া পিছোতে থাকে )
,,,,,,,, ওটা তো মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে।
,,,,,,, তাই না,, আরো কতো বেজ্জুতি হয়ছে,,তার শাস্তি তো পেতে হবে, এক কাজ করো কান ধরে উঠবস করো যতো ক্ষন না আমি থামতে বলছি।
,,,,,, মামার বাড়ির আবদার নাকি,, করবো না, কি করবে।
,,,,,, কি করবো,,,ও তুমি কি জেনো বলছিলে, আমি সবার সামনে কাপড় খুলে বডি দেখায়,,, এখন যদি কান ধরে উঠবস না করো তাহলে ( মাহুয়ার জামা কাপড়ের দিকে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দেয় )
মাহুয়া তাড়াতাড়ি তার দুহাত দিয়ে নিজের সামনের দিকে ধরে।
,,,,,,,,, মানে।
,,,,,,,, মানে কান ধরে উঠবস না করলে আমি তোমার গায়ের জামা কাপড় ( নিজের শার্টের হাতা উপরে উঠাতে উঠাতে )
,,,,,,,,,, আপনি এটা করতে পারেন না।
,,,,,,,, আমি অনেক কিছুই করতে পারি৷ ( রিমানের দুহাত মাহুয়ার দিকে বাড়াতে বাড়াতে )
,,,,,,,, স্টপ আমি উঠবস করছি,, করছি।
,,,,,, গুড গার্ল।
মাহুয়া কান ধরে উঠবস করা শুরু করে, রিমান টেবিলের উপরে বসে দেখছে আর হাসছে।
,,,,,,,, এখন এই ব্লেকমেইল করছে কিন্তু বিয়ের পর কি করবে,, তখন বুঝাবো মজা (আস্তে আস্তে )
,,,,,,,,,, আমার কান কিন্তু অনেক ভালো,, বিয়ের পরেরটা পরে দেখা যাবে, এখন একশত বার কান ধরে উঠবস করো।
,,,,,,, কিহহহ৷
,,,,,,, জ্বি,,,,,,, আহহহ এটা হাজারো স্বামীর ইচ্ছে থাকে কিন্তু করতে পারে না,, আমি সফল হতে পেরেছি,, মজাই লাগছে।
মাহুয়া দশ বারো বার উঠবস করার পরে, কমর ধরে দাঁড়িয়ে আছে৷
,,,,,, কি হলো দাঁড়িয়ে পড়লে যে,, করো করো।
,,,,,, (কান ধরে উঠবস থেকে বাঁচতে গেলে কিছু একটা করতে হবে।)
মাহুয়া রোমান্টিক একটা ভাব নিয়ে রিমানের কাছে যায়।
,,,,,,,,,,, বলছিলাম কি জানু, কাল দিন পরে আমাদের বিয়ে, তারপর আমরা হানিমুনে কোথায় যাবো।
,,,,,,,,,, যেখানে তুমি বলবে জান।
,,,,,,,,,,( মনে হয় কাজ হয়েছে।)
,,,,,,,,,, কিন্তু কান ধরে উঠবস করো।
,,,,,,,,, ( শয়তান ) শুনোনা আমি বলছি কি আজ না তোমাকে অনেক হেন্সাম লাগছে ( কাছে গিয়ে )
,,,,,,,,, আর তেল লাগাতে হবে না, যাও গিয়ে কান,,,,,,
আর কিছু বলার আগে মাহুয়া রিমানের কলার ধরে নিচে ঝুঁকিয়ে গালে কিস করে দেয়, রিমান হা করে থাকে, দুজন দুজনার দিকে তাকিয়ে আছে।
হঠাৎ রিমান টেবিল থেকে নেমে মাহুয়ার কমরে ধরে উঠিয়ে টেবিলে বসিয়ে দিয়ে হাত মাহুয়ার দুগালে রেখে কিস করতে থাকে।
মাহুয়া চাওয়া স্বত্তেও রিমানকে দূরে সরাতে ইচ্ছে করছে না, সেও চোখ বন্ধ করে কিস করতে থাকে, রিমান মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে আবার চোখ বন্ধ করে দেয়৷
,,,,,,,,
আরাব রুমে এসে মুনকে না পেয়ে, বিছানায় শুয়ে শুয়ে, সিস বাজাতে থাকে, মুন ওয়াস রুম থেকে বেরিয়ে আরাবকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়।
,,,,,,,,, এখানে কি করছো।
,,,,,,,,,,,, দুটো কাজ করতে এসেছি।
,,,,,,,,, কি কি, ( ব্রু কুচকিয়ে )
,,,,,,, প্রথম আমার উপর সবার সামনে হাসা হাসি করার জন্য প্রতিশোধ নিতে, দ্বিতীয় একটু রোমান্স করতে।
,,,,,,,, দুটো থেকে কোনোটাই হবে না, যাও এখান থেকে না হলে,,,
,,,,,,, না হলে ( বিছানা থেকে উঠে )
,,,,,,,,, না হলে আমি সবাইকে ডাকবো।
,,,,,,,, ডাকো,,,, আমার কোনো সমস্যা নেয়, এখানে তুমি চিৎকার করে ক্লান্ত হয়ে গেলেও কেও শুনবে না।
,,,,,,,,,,, কিহহ কেনো,,,, আন্টিইইই,,, কেও আছেন ( চিৎকার করে )
,,,,,, শুধু শুধু তোমার গলায় জোর দিয়ে লাভ নেয়, আর তোমার জাদু আমার জাদু ভাঙতে পারবে না৷
,,,,,,,,,,, কি চাই তোমার ।
,,,,,,,,,, হুমম কিছুতো চাই, কি চাই, কি চাই হুমম তোমার গলার সাইডের তিলটা আমার খুব ভালো লাগে৷
,,,,,,,,, এখন কি এটা তুলে দিয়ে দিবো নাকি।
,,,,,,,,, না, এদিকে তাকালে না কেমন একটা নেশা কাজ করে ( গলার তিলটার দিকে তাকিয়ে, মুনের কাছে যেতে লাগে )
মুন পিছনে যেতে নিয়ে বিছানায় পড়ে যায়,আরাব মুনের উপরে উঠে বসে।
,,,,,,,,, ক ক কি করছো,, কি চাই তোমার ( ভয়ে )
,,,,,,,,,, তোমার এই তিলের কাছে একটা লাভ বাইক একে দিতে চাই।
,,,,, কিহহ কামড় দিবে,, কখনোই না,, সরো ( আবিরকে ধাক্কা দিয়ে উঠতে চাই, কিন্তু মুনের দুহাত ধরে আবার শুয়িয়ে দেয় )
,,,,,,,, তোমার পার্মিশন কে চাইছে,, আমার যা দরকার তা আমি নিয়ে ছাড়বো৷
বলে সরাসরি কামর বসিয়ে দেয়, মুনের চোখ বেরিয়ে আসার মতো, মুন মুখ বুঝে সহ্য করছে, আরাব কামর দিয়ে আবার সেখানে কিস করে,,, মুনের জেনো সব ব্যাথা ঘায়েব হয়ে যায়৷
,,,,,,,,,, আরাব এটা কিন্তু ঠিক হলো না, কি,,,,,,
আর কিছু বলার আগে মুনের মুখ বন্ধ করে দেয় তার ঠোঁট দিয়ে,, মুনও তার হাত দিয়ে আরাবের পিঠে খামছে ধরে।
,,,,,,
বেশ অনেক ক্ষন পর তিন জন আবার এক জায়গায় জরো হয়৷ একেক জন একেক চাপা মারতাছে,
ফারহান,,,,,,,,, তোর বোনকে আজকে কান ধরে উঠবস করায়ছি তারপর কান টেনে দিছি ইচ্ছে মতো, পড়ে মাফ চাইছে৷
আরাব,,,,,,,,,,, আমি তো মুনকে অনেক ক্ষন একপায়ে দাঁড় করিয়ে রাখছি,, পড়ে কান ধরে মাফ চাইছে৷
রিমান,,,,,,,,, আমিও একশত বার কান ধরে উঠবস করাইছি তারপর এক পায়ে দাঁড় করিয়েও রাখছি, আমাকে অনেক ভোলানোর চেষ্টা করছে কিন্তু কোনো লাভ হয় নাই, পরে হাত পা ধরে মাফ চাইছে।
আরাব,,,,,,,,, চল এখন শান্তিতে ঘুম আসবো,, ঘুমায় গিয়ে। কাল তো আবার গায়ের হলুদ।
চলবে,,,,,