জ্বীন রহস্য (love story)❤Season 2,Part 24

জ্বীন রহস্য (love story)❤Season 2,Part 24
Writer Maishara Jahan

রিমান,,,,,,,, আমার হঠাৎ এমন লাগছে কেনো, মনের ভিতর একটা অজানা কষ্ট হচ্ছে কেনো। মনে হচ্ছে কেও আমাকে ডাকছে।

সকালে,,,,,,,,,,,,,

মাথাটা খুব ব্যাথা করছে, চোখ খুলতে মন চাইছে না। তাও খুব কষ্টে চোখ খুলি। কোথায় আছি আমি, এটা তো আমার কোনো পরিচিত জায়গা না।

কোনো মতে বিছানা থেকে উঠি, অনেক বড়ো একটা রুমে আছি আমি, ঘরে কোনো জানালা নেয়,একটা বিশাল দরজা আছে।

অনেক চেষ্টা করার পরেও খুলছে না। আমি কোথায় কিভাবে আসলাম কিছু মনে নেয়। এখন আমার ধৈর্য্যের সিমা পার হয়ে গেছে।

জোরে জোরে চিল্লানো শুরু করলাম।

,,,,,,,,,,, কেও কি নেয় এখানে,, আমি এখানে কি করে আসলাম। কে এনেছে আমাকে, ভাইয়াআআ,, ফারহান কেও আছো। ভাইয়াআআ ফারহান ( চিৎকার করে বলছে রিমি )

,,,,, কোথায় আমি,, কেও আছে নাকি, হ্যালোওওওও

এক মিনিট আমি তো সাধারণ মানুষ না, একবার ট্রাই করা যাক।

রিমি তার শক্তি দিয়ে এখান থেকে যেতে চাই কিন্তু কোনো লাভ হয় না। দরজাটাও খুলতে চাই কিন্তু কোনো লাভি হচ্ছে না।

অনেক ক্ষন চেষ্টা করার পরে রিমি ক্লান্ত হয়ে বসে পরে। তখনি দরজা খুলার আওয়াজ হয়। রিমি উঠে দাঁড়ায়।

দরজা খুলার সাথে সাথে কিছু মহিলা আসে, সাইডে সিরিয়ালে দাঁড়ায়, কারো হাতে জামা কাপড়, কারো হাতে খাবার, কারো হাতে কসমেটিক।

রিমি,,,,,,,,,, কারা আপনার,, আমাকে এখানে কেনো নিয়ে এসেছেন।

কোনো জবাব নেয়।

রিমি,,,,,,,,,, আরে বোবা নাকি আপনারা,, আচ্ছা বোবা হলে ইশারায় বলেন, কি পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে আছেন৷

,,,,,,,,,, ওরা পুতুলের মতোই,, আমার কথাই চলে, তোমার কথার কোনো জবাবা দিবে না কারন আমি মানা করছি।

রিমি দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে একটা সুদর্শন পুরুষ আসছে, একদম ফিটফাট, লম্বা, হেন্সাম, কোর্ট প্যান্ট পড়ে জেন্টারমেন।

রিমি এক ব্রু উঠিয়ে জিজ্ঞেস করে।

রিমি,,,,,,,,,,, কে আপনি।

,,,,,,,, আমি আবরাম।

,,,,,,,,,,,, আরাব ভাইয়ার কিছু লাগেন।

,,,,,,,,,,,, সম্পর্কে কিছু লাগিনা, তবে ওর মা বাবাকে খুব ভালো করে জানি আর তোমার মা বাবাকেও।

,,,,,,,,,,,,, আমি এখানে কিভাবে আসলাম।

,,,,,,,,,, হুমম তুমি,, ( বিছানায় বসে ) তোমার যে ভাইয়া তোমাদের বাসায় ছাড়ার দায়িত্ব নিয়েছিলো সে তোমাদের চরম শত্রু, সে দিয়ে গেছে, এটা আমাদের প্লেন।

রিমি,,,,,,,,,, মাহুয়া ভাবী কোথায়।

,,,,,,,,, আমার শুধু তোমাকে চাই, তাই তোমাকে রেখে দিয়েছি আর তোমার ভাবি তার জায়গা মতে আছে।

,,,,,,,,,,, আমাকে কেনো আনছেন, কে আপনি।

,,,,,,,,,, আমি সে যে তোমার জান বাঁচিয়ে ছিলো, ছোট বেলায় যখন তোমার জান যায় যায় অবস্থা তখন তোমার বাবা এসেছিলো ভিক্ষা চাইতে।

,,,,,,,,,,, তার মানে আপনি সে যে বলেছিলো আমি যুবতী হলে নিয়ে যাবে।

,,,,,,,,, জ্বী,,,,,,, সত্যি তুমি তোমার মার মতোই অনেক সুন্দরী, তোমার মুখে তোমার মায়ের চেহেরা ভেসে উঠছে। ( রিমির চারপাশে ঘুরে রিমিকে দেখতে দেখতে বলছে )

,,,,,,,,,,,, আপনি আমার মার কি হোন।

,,,,,,,,,,, প্রেমিক

,,,,,,,,, কিতা ( মুখ বেকিয়ে )

,,,,,,,,, হুমম এক কালে তোমার মার সাথে আমার বিয়েও ঠিক হয়েছিলো কিন্তু তোমার বাবা এসে সব গন্ডগোল লাগিয়ে দিয়েছে। তোমার মামা মামি আমাকে জ্বীন_রাজ্য থেকে বের করে দিয়েছে।

,,,,,,,,,, মজা করার জন্য আপনি আমাকেই পেয়েছেন ।

,,,,,,,,,,, আমাকে দেখে মনে হচ্ছে আমি মজা করছি ( কিছুটা রাগে )

,,,,,,,,,,, ও মজা করছেন না,,, তা আপনার বয়স কতো।

,,,,,,,,, কতো মনে হয়৷

,,,,,,,, মনে তো হচ্ছে ২৫/২৬,,, কতো??

,,,,,,,, তোমার হবু স্বামীর বয়স শুনে তোমার ভালো নাও লাগতে পারে।

,,,,,,,,, হবু স্বামীইইই,,,ও হিসাবে তো আপনার আমার মাকে কিটনাপ করে বিয়ের হুমকি দেওয়ার কথা, আমাকে না ।

,,,,,,,,,,, বিয়ে তো আমি তোমাকেই করবো,, তার জন্য আগে থেকে নিজের মনকে রেডি করো না হলে পড়ে খুব কষ্ট হবে।

,,,,,,,,,, আমি কোনে দিনও আপনাকে বিয়ে করবো না, তার দুটো কারন না দুটো না তিনটা।

,,,,,,,,,, তোমার কারন শুনার কোনো কারন নেয় আমার তাও বলো শুনি।

,,,,,,,, ১. আপনি আমার মার প্রেমিক ছিলেন ২. আমি ফারহানকে ভালোবাসি ৩.আপনি ভালো মনের মানুষ মানে জ্বীন না।

,,,,,,,,,, হুমম সব ঠিক আছে কিন্তু এই ফারহানের নাম তোমার মন থেকে মুছে দাও না হলে ওকে দুনিয়া থেকে মুছে ফেলতে আমার বেশি দেড়ি লাগবে না।

,,,,,,,,,, এতোটা সহজ না,, আমার ফারহানকে শুধু আমি না আমার আরো দুই ভাই মন দিয়ে ভালোবাসে হয়তো আমার থেকে বেশি তারা আপনাকে ফারহানের কাছেও আসতে দিবে না।

,,,,,,,,, দেখা যাবে,, কিন্তু তোমাকে কে বাঁচাবে।

,,,,,,,,, খুব তাড়াতাড়ি আমার রিমান,আরাব ভাইয়া আর ফারহান আসবে আর এখান থেকে নিয়ে যাবে।

,,,,,,,, ওরা জানতে পারলে তো,, তোমার ফারহান এখন অন্য মেয়ের সাথে রোমান্স করছে তুমি ভেবে।

,,,,,,,,, কিহহহ হতেই পারে না।

,,,,,,,, তোমার রুপে অন্য কাওকে পাঠিয়ে দিয়েছি, তার সাথে হয়তো।

,,,,,,,,,,, কখনো না,, আমার রুপে একজন কেনো হাজারটা পাঠালেও ফারহান ঠিকই বুঝে যাবে।

,,,,,,,, আচ্ছা কিভাবে।

,,,,,,,, এটাকেই ভালোবাসা বলে, ভালোবাসার মানুষের প্রতেকটা স্পর্শ চিনা থাকে, তা আপনি কোনো দিনও বুঝবেন না।

,,,,,,,,,,, আচ্ছা না বুঝলাম,, একটা কথা বলো তোমার মা আর তুমি কি জ্বীনদের মাঝে কাওকে খুজে পাও না, মানুষের প্রেমেই পরতে হয়, কি এৃন আছে ওদের মাঝে যা আমাদের নেয়।

,,,,,,,,,, ভালোবাসা হয়ে যায়,, আপনি বুঝবেন না।

,,,,,,,,, তো বুঝাও না,, ঠিক আছে বিয়ে পরে বুঝিও। ভেবেছিলাম কিছু দিন পর বিয়ে করবো কিন্তু তোমাকে দেখার পর না ভাবছি বিয়েটা কিছু দিনের মধ্যেই করবো।

,,,,,,,,, কিহহ করবো না বিয়ে আপনাকে।

,,,,,,, সে দেখা যাবে,এখন ফ্রেশ হয়ে খেয়ে রেডি হও।

,,,,,,, কে কেনো রে রেডি হবো।

,,,,, আরে ভয় পেয়ো না ডার্লিং জাস্ট এমনি। ঠিক আছে আমি এখন আসি পরে আবার আসবো আর হে জাদু করার চেষ্টা করোনা এখানে তোমার কোনো জাদু কাজ করবে না। বাই ডার্লিং।

বলে চলে যায়।

,,,,,,,, তোর ডার্লিং এর গুষ্টি কিলাই,, এক মিনিট আমার রুপে আবার কাকে পাঠালো। যাকেই পাঠাক ফারহান তাকে নিশ্চিত ধরে ফেলবে।

যদি না ধরতে পারে, আবার এখন ফারহানা কেমন চেন্স হয়ে রোমান্টিক হয়ে গেছে, এর জন্য যদি কিছু মিছু করে ফেলে,,, তাহলে শুনে রাখো ফারহান তোমাকে আমি ড্রেনে চুবিয়ে শুদ্ধ করাবো।

,,,,,,,,,,,,,,

রিমান চোখ কচলাতে কচলাতে নিচে আসে,, এসে দেখে ফারহান সোফায় শুয়ে আছে আর আরাব বসে চা খাচ্ছে।

আরাব,,,,,,,, কিরে কি হয়েছে এমন দেখাচ্ছে কেনো।

রিমান,,,,,,,,,, মাথাটা ব্যাথা করছে। ফারহানের কি হয়েছে।

ফারহান,,,,,,,,,,, কিছু না এমনি ভালো লাগছে না।

রিমান ও এসে সোফায় বসে। তখন রিমিও নিচে নামে।

রিমি,,,,,,, তোমরা কি করছো।

রিমান,,,,,,,,,, নাচছি,,, দেখছিস না বসে আছি,, আর সকাল সকাল তুই কেনো নিচে নেমেছিস, তকে কতো বার বলেছি না সকাল সকাল তোর চুন্নীর মতো মুখটা দেখলে আমার দিনটা ভালো যায় না,, যা উপরে যা।

আরাব,,,,,,,৷৷ এখন বাজবে একটা ঝগড়া, এদের শান্তি নেয় শরীরে।

রিমি,,,,,,,,,, ঠিক আছে আমি উপরে যাচ্ছি, বলে সোজা উপরে চলে যায়।

রিমান, আরাব হা করে রিমির দিকে তাকিয়ে আছে, ফারহান শুয়া থেকে উঠে বসে রিমির যাওয়া দেখে, একদম স্বাভাবিক কোনো রাগ নেয়।

রিমান,,,,,,, রিমি কেমন চেঞ্জ হয়ে গেছে।

ফারহান,,,,,,,,,, কালকে কেমন অদ্ভুত বিহেভ করছিলো, কেনো যানি ওকে আমার রিমি মনেই হয় না৷

আরাব,,,,,,,,,,, আমারো কেমন ঘটকা লাগছে।

রিমান,,,,,,,,,,, মাহুয়াকেও কেমন লাগছিলো।

আরাব,,,,,,,,,, কেও আবার ওদের সাথে কিছু করে দেয়নি তো।

রিমান,,,,,,,,,, আমার কেনো জানি বিষটা অন্য কিছু লাগছে, দেখনা তোর জ্বীন_রহস্য কি বলে৷

আরাব,,,,,,,,, হুমম

মুন,,,,,,,,,, কিন্তু এখানে না চলো রুমে, এখানে করা সেফ হবে না৷

আরাব,,,,,,,,,, হুমম চলো।

সবাই মুনের রুমে যায়, আরাব কিতাব খুলে যানতে চাই রিমি আর মাহুয়ার সাথে কি হয়েছে।

,,,,,,,,,,, তার বন্ধী অবস্থায় আছে,আলাদা স্থানে,,,,,,,,

ফারহান,,,,,,,,,,, কিন্তু ওরা তো আমাদের সাথে আছে তাহলে,,,

মুন,,,,,,,, মানে রিমি আর মাহুয়াকে ধরে নিয়ে গেছে।

রিমান,,,,,,,,,, আর এখানে যারা আছে তারা,

আরাব,,,,,,,,, তাদের পাঠানো জ্বীন৷

রিমান,,,,,,,,, এখনি তাদের আমি শেষ করে দিবো ( রাগে )

মুন,,,,,,,,,, দাঁড়াও এখন এদের তাল মতে ধরতে হবে যাতে পালাতে না পারে। তাড়াহুড়ো করলে জানতে পারবো না কোথায় আটকে রেখেছে।

ফারহান,,,,,,,,,, পুরো এক দিন হয়ে গেছে তাদের আটকে রেখেছে আর আমরা শান্তি মতো বসে আছি।

রিমান,,,,,,,,, না জানি কি অবস্থাই আছে তারা।

আরাব,,,,,,,,,, রিমিকে নিয়ে গেলে যাবে আবরাম, ওর রিমির বেশি ক্ষতি করবে না।

ফারহান,,,,,,, কে আবরাম, আর ক্ষতি করবে না এটা কিভাবে বলতে পারছিস।

আরাব,,,,,,,,,, যে রিমিকে বাঁচিয়েছিলো সেই আবরাম আর কিছু জানি না, ও রিমিকে কাছে রাখতে চাই।

ফারহান,,,,,,,,,, কেনো।

আরাব,,,,,,,,,, শুনেছি তার কেও নেয়, বুড়ো কালে হয়তো কাওকে পাশে চাই নাতিন টাতিন হিসাবে,যে ওর খেয়াল রাখবে কিন্তু

রিমান,,,,,,,,,, কিন্তু মাহুয়াকে ওর কোনো দরকার নেয় তাই মাহুয়ার ক্ষতি করতেই পারে। উফফ কি করবো আমি।

,,,,,,,,,,,,,,,

মাহুয়ার গায়ে পানি ঢেলে দেওয়ায় মাহুয়া চোখ খুলে, গায়ের ব্যাথায় এখনো ভালো করে নড়তে পারছে না।

মাহুয়া,,,,,,,,, কারা তোমরা আমাকে এখানে কেনো এনেছো, রিমি কোথায় ( অনেক কষ্টে থেমে থেমে বলছে )

,,,,,,,,,,, রিমি ওর নিজের জায়গাই আছে, নিজের চিন্তা আগে করো।

,,,,,,,, কারা আপনারা, আমাকে কেনো অত্যাচার করছেন।

,,,,,,,,, আমাদের মালিকের কথা না শুনে ভলো করোনি, বলেছিলো সব লকেট এনে দিতে কিন্তু মাত্র দুটো দিছো, আবার সবাইকে সত্যি কথা বলে তাদের সাথে মিলে গেছো তার শাস্তি এটা।

,,,,,,,,,,, কে আপনার বস।

,,,,,,,,, আমি

মাহুয়া পিছনে তাকিয়ে দেখে অবাক হয়ে যায়।

,,,,,,,,,,, ইশান ভাইয়া আপনি।

ইশান,,,,,,,,,, হুমম আমি, কি অবাক হলে।

,,,,,,,,,, আপনাকে আমাদের বাসায় দিয়ে আসতে বলেছিলো, আর আপনি কোথায় নিয়ে আসলেন, বিশ্বাসের এই মূল্য দিলেন।

,,,,,,,,,, এই সব ফালতু কথা আমাকে বলে লাভ নেয়। আর কে বলেছে আমাকে বিশ্বাস করতে।

মাহুয়া,,,,,,,,,,,,, আমাকে এনে এমন অত্যাচার করছেন কেনো কি করেছি আমি।

,,,,,,,,,, বেশি কিছু করো নাই তবে তোমার একটা বড়ো ভুল, আমি যাদের ঘৃণা করি তাদের তুমি ভালোবাসো। আমার জীবনে সবচেয়ে বেশি ঐ তিনজনকে বেশি ঘৃণা করি।

,,,,,,,,,, ওরা আপনার ভাই লাগে কেনে ঘৃণা করেন।

,,,,,,,,,,, মানি না ভাই,, ওরা নাকি আমার থেকে বেশি ভালো, বুদ্ধি মান শক্তি শালী তো এখন খুঁজে বের করুক তোমাকে।

,,,,,,,,,,, রিমান ঠিকি আসবে আমাকে নিতে।

,,,,,, হুমম ততো দিন পর্যন্ত তুমি বেঁচে থাকলে হয়। তোমাকে মারলে আমার মনে হয় আমি রিমানকে মারছি,অনেক আনন্দ হয়। ওদের কষ্ট দেখলে কি ভালো যে লাগে।

,,,,,,,,,,এই কষ্ট বেশিদিন থাকবে না।

,,,,,,,,, সারা জীবন থাকবে,,, রিমির জন্য ফারহান পাগল হয়ে যাবে,রিমান বোন আর তোমার শোখে মারাই যাবে আর আরাব আমার জানের ভাই ও সরি শত্রু তার কিজার বন্ধুদের এভাবে দেখে ও কি করে ভালো থাকবে।

,,,,,,,,,,,,, শয়তান তোর আশা কোনো দিন পূরন হবে না দেখে নিস। আর সবাই ঠিকি বলতো তুই ওদের মতো কোনো দিন হতে পারবি না। আর তুই দুর্বল বলেই পিছন থেকে হামলা করেছিস৷

,,,,,,,,,,,, একটু বেশি বলে ফেলেছো, এটা বলা উচিত হয়নি। এটা কেনো করলে, এখন আমার রাগ হচ্ছে রাগটা কমাতে হবে, কি ভাবে কমায় কিভাবে পেয়েছি ( পাগলের মতো এপাশ ওপাশ করে )

মাহুয়ার ভয় লাগছে ইশানকে এভাবে দেখে, ইশান চাবুক দিয়ে মাহুয়াকে পিটাতে থাকে, মাহুয়া ব্যাথায় চিৎকার করতে থাকে।

ইশান,,,,,,,,,, কি করবো আমি আমার রাগ কমছে না, আরো জোরে চিৎকার করো। ( মাহুকে মেরে )

মাহুয়া,,,,,,,,,,,,, রিমান,,,,,,, রিমান,,,,,, ( করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায় )

ইশান,,,,,,,,,, এখন চলে যাচ্ছি আবার আসবো।

,,,,,,,,,,

রিমিকে অনেক জোরা জোরি করা হয় কিন্তু সে না আবরামের দেওয়া কাপড় পড়ে না খাবার খায়, মুখ ফুলিয়ে বসে আছে।

আবরাম এগুলো শুনে রাগে রিমির রুমে আসে।

আবরাম,,,,,,,,,, কি হয়েছে খাচ্ছো না কেনো, আমি চাই না আমার বউ না খেয়ে অসুস্থ হয়ে যাক বা অসুন্দর হয়ে যাক।

রিমি,,,,,,,,,,,, আংকেল বলছিলাম কি।

,,,,,,,,,, আংকেল কে আংকেল।

,,,,,,,,, কেনো আপনি,,, দেখেন আপনাকে দেখে আংকেল ডাকতে কেমন লাগছে কি হিসাবে তো আংকেলই লাগেন যেহেতু আম্মুর প্রেমিক।

,,,,,,,,,, নিজের হবু স্বামীকে আংকেল ডাকছো।

,,,,,,,, কিসের স্বামি আপনি আংকেল।

,,,,,,,,, ডোন্ট কল মি আংকেল।

,,,,,,,,, আংকেল কে আংকেল ডাকবো না তো কি ডাকবো।

,,,,,,,,, ভালো হবে না বলে দিচ্ছি।

,,,,,,,, আংকেল, আংকেল আংকেল ( চিল্লিয়ে )

আবরাম শক্ত করে রিমির দুই বাহু ধরে, রিমি ভয়ে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।

,,,,,,,,, আর এক বার আংকেল ডাকলে, বিয়ের পরে যেটা হয়না সেটা বিয়ের আগে করবো তোমার সাথে,, যদি সেটা না চাও তাহলে চুপচাপ থাকো।

বলে রিমিকে ছেড়ে দেয়৷

আবরাম,,,,,,,, আর হ্যাঁ চুপচাপ জামা কাপড় পাল্টে নাও, না হলে আমি নিজের হাতে পাল্টিয়ে দিবো, এটা তো চাও না তাই না, আর খাবারটাও ভদ্র ভাবে খেয়ে নিবে না হলে।

একটা ডেবিল মার্কা হাসি দিয়ে চলে যায়।

চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here