জ্বীন রহস্য (love story) ❤Season 2,Part 16,17

জ্বীন রহস্য (love story) ❤Season 2,Part 16,17
Writer Maishara Jahan
Part 16

আরাব,,,,,,,,,,,, না আজ না তবে কাল রাতে হবে, তাড়াতাড়ি লকেট খুঁজো, লকেট না পাওয়া গেলে রিমিকে কাল বাচানো মুশকিল হয়ে যাবে।

অনেক ক্ষন পর ব্যাথা কমে,,, পুরো ঘরে লকেট খুঁজা হয় কিন্তু পায় না। রিমি এখন অজ্ঞান আছে।

ফারহান,,,,,,,,,, রিমির তো অন্য লকেট দিয়ে হবেও না,শুধু মাত্র ওর লকেট পবিত্র কুয়ার পানিতে ভিজানো হয়েছে যাতে ওর জ্বীন রুপ বাহিরে না আসে।

আরাব,,,,,,,,,, রিমান তোর গলার লকেট কোথায়।

রিমান,,,,,,,, এই যে আমার গলায়।

রিমান গলায় হাত দিয়ে দেখে কোনো লকেট নেয়।

রিমান,,,,,,,,,,,,, কোথায় গেলো কালকেই ছিলো, আমার গলা থেকে লকেট ওদাও আর আমি টের পেলাম না।

আরাব তার লকেট বের করে রিমানকে পরিয়ে দেয়।

রিমান,,,,,,, তোর লকেট আমাকে দিচ্ছিস কেনো।

আরাব,,,,,,,,,, এটা আমার থেকে তোর বেশি প্রয়োজন, তোর শক্তি এখনো পরিপূর্ণ না।

মুন সব কিছু দেখছে আর পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে,,,

মুন,,,,,,,,,,, এখানে পৃগ্ধ কার নাম।

সবাই মুনের দিকে তাকিয়ে থাকে।

আরাব,,,,,,,,,, ( আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম মুনের কথা )

ফারহান,,,,,,,,, হঠাৎ এই প্রশ্ন

মুন,,,,,,,,,,, আগে বলো এখানে পৃগ্ধ কে,,, আরাব তুমি বলো পৃগ্ধকে তুমি জানো না ও আমার সাথে কি করছে।

রিমান,,,,,,,,, পৃগ্ধ আবার তোমার সাথে কি করলো।

মুন,,,,,,, তুমি পৃগ্ধ তাই না।

ফারহান,,,,,,,,,,, পৃগ্ধ তো আরাবের নাম ছোট বেলায় ওকে সবাই এই নামেই ডাকতো।

মুন আরাবের দিকে তাকিয়ে নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

আমার এমন মনে হচ্ছে যেনো অন্ধকার মহা শূন্যে আমি হারিয়ে গেছি, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, চোখের পানি যেনো বাঁধা মানছে না৷

যাকে এতো দিন নিজের জীবন মানতাম সে-ই আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছে। এতো বছরের ঘৃণার কাছে ভালোবাসাটা কেনো জানি খুজে পাচ্ছি না হয়তো খুজার চেষ্টা করছি না।

রিমান,,,,,,,,,,,,, কি হয়েছে মুন, এমন ভাবে তাকিয়ে আছো কেনো আরাবের দিকে।

মুন,,,,,,,,, তোমরা জানো আমি কে। নাকি ভুলে গেছো,, কিন্তু আমি কিছুই ভুলিনি, না আমার মা বাবার মৃত্যু না নিজের বাড়িতে না যেতে পারার কষ্ট।

ফারহান,,,,,,,,, কে তুমি।

মুন,,,,,,,,,,,, আমি আরাবের বাবা মুগ্ধ এর ছোট ভায়ের মেয়ে আমি মুনতাহা ( আরাবের দিকে তাকিয়ে )

ফারহান,,,,,,,,,,,, শিরীন আন্টি আর মোহর আংকেল এর মেয়ে।

মুন,,,,,,,,,,, হুমম,,,, আমার সন্দেহ হয়েছিলো, কিন্তু এতো ভালো অভিনয় করেছে যে বুঝতেই পারিনি। আমি ভেবেছিলাম তুমি আমার জীবনে আলো নিয়ে এসেছো কিন্তু যে প্রথমই আমার জীবন অন্ধকার করে দিয়েছে সে,,,,,,,,

আরাব,,,,,,,,,,,, মুন আমি ইচ্ছে করে,,,,,,

মুন,,,,,,,, অযুহাত দিয়ো না কি হয়েছে সব আমারা নিজের চোখে দেখেছি। এতো দিন যা হয়েছে আমাদের মাঝে তার জন্য নিজের উপর ঘৃণা হচ্ছে।

মুন দৌড়ে বাহিরে চলে যায় কাঁদতে কাঁদতে।

রিমান,,,,,,, এতো বছর যার জানি নিজেকে কষ্ট দিয়েছিস সে এখন সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

আরাব,,,,,,,,,,,, ও আমাকে ছেড়ে চলে যাবে, আমি ওকে ছাড়া বাঁচবো না, যার চোখ আছ পর্যন্ত শুধু ভালোবাসা দেখেছি তার চোখে আজ ঘৃণা ছাড়া কিছুই নেয়। নিজেকে বুঝানোর সময় টুকু পেলাম না।

রিমান,,,,,,,,, আমি ওকে আটকানোর চেষ্টা করছি।

আরাব,,,,,,,,,, কোনো লাভ নেয়।

রিমান বাহিরে যায় মুনের পিছু পিছু।

রিমান,,,,,,,,,,, মুন মুন শুনো।

মুন,,,,,,,,,, আরাবের কোনো সুপারিশ আমি শুনতে চাই না।

রিমান,,,,,,,,,, ওর কথা বলতে আসি নি, তোমাকে অনেক খুঁজেছি কিন্তু পায় নি,,অনেক ভালো লাগছে তোমাকে ঠিক দেখে পিল্জ যেয়েও না।

মুন,,,,,,,,, আমি এখানে থাকতে পারবো না।

রিমান,,,,,,,,, রিমির জন্য পিল্জ, এখন ওর সবাইকে দরকার,ওর পাশে থাকতে হবে সবাইকে,, কাল ভালো ভাবে কেটে গেলে চলে যেয়ো। ছোটোবেলা রিমিকে নিজের বনের মতো ভালোবাসতে আজ তাকে মৃত্যুর মুখে রেখে চলে যাবে।

মুন,,,,,,,,,,,, পিল্জ এইসব বলে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করো না।

এই সময় আবার রিমির চিৎকার শুরু হয়, দুজন দৌড়ে যায়, গিয়ে দেখে রিমির অবস্থা খারাপ। রিমান গিয়ে রিমিকে জরিয়ে ধরে।

রিমান,,,,,,,,,,, তোর কিছু হবে না,,, কিছু হতে দিবো না তোর। ( কান্না করে )

রিমি ছটফট করছে রিমান দেখতে পারছে না তাই রিমির রুম থেকে বেরিয়ে যায়। বেরিয়ে দেখে বাহিরে দাঁড়িয়ে মাহুয়া কান্না করছে।

রিমান গিয়ে মাহুয়াকে জরিয়ে ধরে কান্না করে দেয়।

রিমান,,,,,,,, মাহু আমি দেখতে পারছি না রিমির এই অবস্থা, কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না। রিমির কিছু হয়ে গেলে মা বাবাকে কি জবাব দিবো।

মাহুয়া কিছু বলছে না শুধু কান্না করছে।

বিকেল হয়ে যায়,,, রিমি এখন একটু ঠিক আছে, অনেক চেষ্টা করেও কোনো উপায় পাওয়া যাচ্ছে না।

রিমি,,,,,,,,,, ফারহান আমার অনেক ভয় লাগছে।

ফরাহান,,,,,,,,,,৷ কিছু হবে না তোর চিন্তা করিস না কোনো না কোনো উপায় ঠিক বের হয়ে যাবে।

রিমি,,,,,,,,,, যদি আমি আর না থাকি তখন।

,,,,,,,, চুপ এই সব বলবি না,, তোকে ছাড়া আমি নিজেকে ভাবতে পারি না। তুই ছাড়া এই ফারহান অসর্স্পূণ। তোকে ছাড়া এই পৃথিবীতে থাকার কোনো কারন নেয়।

রিমি,,,,,, শুনতে ভালো লাগছে, কোন মুভি থেকে ডাইলক গুলো কপি করছেন।

ফারহান,,,,,,,,,,, মুভির নামটা মনে নেয়।

রিমি,,,,,,,,, ছোটোবেলা শুনেছি জ্বীনরা নাকি তিনটা উইশ পূরণ করে, তাহলে আমারটা করতে হবে, করো আমার উইশ পূরণ।

,,,,,,, কিন্তু আমি তো জ্বীন না।

,,,,,,, ও হ্যাঁ ভুলে গিয়েছিলাম। কেনো জ্বীন হলে না, তুমি জ্বীন হলে কোনো সমস্যাই হতো না।

,,,,,,,,,,,,, আল্লাহ কেনো বানালো না। আচ্ছা বলো কি তোমার তিনটা উইশ।

,,,,,,,,, তুমি জ্বীন নাকি যে পূরণ করে দিবে।

৷,,,,,,,,, বলো দেখি করতেও পারি।

,,,,,,,, ঠিক আছে শুনো,,, প্রথম তোমার সাথে যাতে আমার বিয়ে হয়। দ্বিতীয় আমাদের যাতে তিন চারটা বাচ্চা হয়।

,,,,,,,, তিন চারটা,, সরকারে একটার বেশি নিতে না করছে।

,,,,,,,,, আমি কষ্ট করে বাচ্চা পেটে নিমু, বাচ্চা ওয়ামু,,আমি পালমু খায়ামু সরকারের বাপের কি এতে।

ফারহান,,,,,,,, তৃতীয় উইশটান কি।

,,,,,,,,, তোমার মুখ থেকে i love u শুনা।

বলতে বলতে রিমি ফারহানের বুকে ঘুমিয়ে যায়৷

আমার একটাই উইশ তোকে সুস্থ দেখা, ভালো দেখা।

আরাব,,,,,,,,,,, রিমান ভাব তোর লকেট নিয়েছে, রিমি কিছু বলতে পারছে না।

রিমান,,,,,,, সেটাই তো মনে করতে পারছি না, আমার তো কিছুই মনে পরছে না।

মুন,,,,,,, তোমার গলার লকেটটা ধরে চোখ বন্ধ করে দেখতে চাও কে নিয়েছে।

রিমান গলার লকেটটা ধরে চোখ বন্ধ করে যা দেখতে পেলো তা সে জীবনেও ভাবেনি।

রিমান চোখ নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।

আরাব,,,,,,, কি দেখতে পেলি।

রিমান জবাব না দিয়ে মাহুয়ার দিকে তাকায়, মাহুয়া নিচের দিকে তাকিয়ে কান্না করছে।

রিমান,,,,,,,,, কেনো করলে এটা ( আস্তে আস্তে মাহুয়ার দিকে এগিয়ে যায় )

মাহুয়া চুপ করে শুধু কান্না করছে।

রিমান,,,,,,,,,, বলো কেনো সুযোগ নিলে আমার ( চোখে পানি এনে )

আরাব,,,,,,,,, কি দেখেছিস তুই।

রিমান,,,,,,,, বলো কেনো নিয়েছো লকেট ( মাহুয়ার দুই কাঁধ ধরে ঝাঁকিয়ে )

মাহুয়া,,,,,,,,,, সরি রিমান ( কান্না করে )

আরাব,,,,,,,,,, ঠিক আছে নিয়েছো কিন্তু এখন দিয়ে দাও।

রিমান,,,,,,,, কোথা থেকে দিবে লকেট তো বেঁচে দিয়েছে অন্য জ্বীনদের কাছে। কাল রাতে কি বলেছিলে নিচে কে জেনো বসে ছিলো।

যা বলেছো তাই বিশ্বাস করেছি, যা বুঝিয়েছো তাই বুঝেছি তবে এমন কেনো করলে ( চিৎকার করে ) তোমার জন্য আজ রিমির এই অবস্থা।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, সরি রিমান আমি যানতাম না এই লকেটের কারনে রিমির এই অবস্থা হবে, যানলে নিজের জান গেলেও এমনটা করতাম না।

রিমান,,,,,,,,,,, অনেক শুনেছি তোমার নাটক। এবার বলো কাকে দিয়েছো লকেট দুটো না হলে।

মাহুয়া,,,,,,,,,,,,,,, আমি জানি না তারা কারা, আমি তো এটাও জানতাম না যে ওরা জ্বীন, যেদিন যেনেছি তুমি জ্বীন সেদিন ওরা বলে জ্বীন। ওরা কারা আমি জানি না ( কান্না করে )

রিমান,,,,,,,,,, তোমার এই মিথ্যা চোখের পানি আমাকে গলাতে পারবে না।

আরাব,,,,,,,,,,, ওরা কি তাহলে মাহুয়ার কথা বলেছে কিন্তু ওরা একটা মানুষকে কেনো পাঠালো।

রিমান,,,,,,,,, কোন দিক দিয়ে মানুষ লাগছে ওকে ওতো জ্বীনের থেকে বেশি ভয়ংকর।

মাহুয়া,,,,,,,,,,, বিশ্বাস করো আমি ইচ্ছে করে কিছু করি নি।

রিমান,,,,,,,,,,, ভুলটা তোমার না ভুলটা আমার যে আমি তোমাকে সুযোগ নিতে দিয়েছি৷ তার মানে এতো দিন আমাদের মধ্যে যা ছিলো সব মিথ্যা, নাটক।

মাহুয়া,,,,,,,,,,,,, না রিমান সব মিথ্যা হতে পারে কিন্তু আমার ভালোবাসা না।

রিমান,,,,,,,, এই কথা তোমার মুখে ভালো লাগে না। দেখো তোমার জন্য আমার বোনের কি অবস্থা, ওর কিছু হয়ে গেলে এই রিমান কতোটা ভয়ানক হতে পারে তার ধারণাও করতে পারবে না।

আরাব,,,,,,,,,,,, রিমান শান্ত হ

রিমান,,,,,,, কিভাবে শান্ত হবো, আরে তুমি যদি আমার জানটাও চেয়ে নিতে হাসতে হাসতে দিয়ে দিতাম, কিন্তু তুমিতো আমার ভালোবাসাকেই খুন করে ফেলেছো। তোমার কারনে আজ রিমি মরতে বসেছে। কোনো দিন মাফ করবো না।

মাহুয়া,,,,,,,,,,,, রিমান

রিমান,,,,,,,,,,,, চলে যাও এখানে থেকে, তোমার চেহেরা দেখতে চাই না আমি,, বাহিরে যেমন ব্রজপাত হচ্ছে ঠিক তেমনি আমার মনে হচ্ছে, চলে যাও এখান থেকে না,,,,

মাহুয়া,,,,,,,,, রিমান আমার কথাটা তো শুনো,,

রিমান,,,,,,,,,,,,,, চলে যাও বলছি আমার সামনে থেকে ( চিৎকার করে )

মাহুয়া কান্না করতে করতে দৌড়ে বেরিয়ে চলে যায়।

মুন,,,,,,,,,, রিমান একটু পরে অন্ধকার হয়ে যাবে, দেখে মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে, ও কিছু চিনে না কোথায় যাবে।

আরাব,,,,,,, আমি গিয়ে নিয়ে আসি।

রিমান,,,,,,,,,,, কোথাও যাওয়ার দরকার নেয়, তোদের মধ্যে কেও যদি ওকে আনতে যাস তাহলে তার সাথে তখন থেকেই আমার সব সম্পর্ক শেষ।

বলে রিমান অন্য ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়।

আরাব মুনকে কিছু বলতে যায়, আর মুন চুপচাপ ঘর থেকে বেরিয়ে যায়৷

রাত হয়ে গেছে বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে, রিমান জালানার দিকে তাকিয়ে আছে।

মুন বারান্দায় দাঁড়িয়ে চোখের পানি ফেলছে। সেখানে আরাব আসে।

আরাব,,,,,,,,,,,,,, মুন

মুন,,,,,,,,, তুমি এখানে কেনো।

,,,,,,,,,,, মুন পিল্জ আমাকে মাফ করে দাও।

,,,,,,,,,,, করে দিবো মাফ, আগে আমার মা বাবাকে ফিরিয়ে দাও, এতো গুলো বছর যে আমার কাজ থেকে কেড়ে নিয়েছো সেগুলো ফিরিয়ে দাও, মাফ করে দিবো।

,,,,,,,,,,,,, তুমি চলে যাওয়ার পর ফিরে কেনো আসো নি৷

,,,,,,,,,,,, আমার সামনে নাটক করো না,, তুইতো ধোকা দিয়ে আমাদের জ্বীন রাজ্য থেকে বের করে সেখানে ঢুকার মহর চুরি করেছে।

,,,,,,,,,,,,,, আমি করেনি।

,,,,,,,, মিথ্যা বলো না, আমি নিজে দেখেছি তুমি আমাদের নিয়ে যাচ্ছো জ্বীন রাজ্য থেকে বাহিরে, জানি না কি করেছিলে হুশ ছিলো না তখন।

,,,,,,,,,,,, ( আমি তো এমন করেনি তাহলে এমন কে করলো )

মুন,,,,,,,,,,,,, চলে যাও আমার সামনে থেকে, তোমাকে দেখলে আমার মা বাবার রক্তে মাখানো শরীরটা মনে পড়ে যায়।

আরাব,,,,,,,,,,,, বিশ্বাস করো এমন কোনো দিন যায় নি বা এমন কোনো রাত যায় নি যেটাতে আমার ভুলের জন্য কষ্ট না পেয়েছি।

,,,,,,,,,, তুমি কষ্ট,, কষ্ট কাকে বলে যানো,,, ছোট বেলায় আমায় অচিনা শহরে ফেলে দিলে,, মা বাবার কবর দেওয়াটা দেখতে পারিনি, শেষ বারের মতো জরিয়ে ধরতে পারি নি।

নিজে নিজে বড়ো হয়েছি, আমার তিন সাথি না থাকলে হয়তো মরেই যেতাম। মানুষের সাথে বেশি কথা বলতাম না, ভয় লাগতো, একা একা থাকা যে কি কষ্ট তা তুমি কোনো দিন বুঝতে পারবে না।

নিজের রাজ্যে না ফিরতে পাওয়ার কষ্ট তুমি কি বুঝবে। এতো কষ্ট দিয়েও মন ভরেনি তাই আবার এসে আমার মনটাই ভেঙে দিলে৷

যাকে দেখে কষ্ট ভুলার চেষ্টা করতাম সে-ই আমার সব কষ্টের মূল কারন। মনে যাচ্ছে তোমাকে এখনি মেরে দিয়,কিন্তু পরিস্থিতি এমন যে কিছু করতে গিয়েও পারবো না,এতোটা নিষ্ঠুর না তোমার মতো।

আরাব,,,,,,,,,,,,, কি বলবো বুঝতে পারছি না।

,,,,,,, কিছু বলার আছে তোমার,, দয়া করে আৃার সামনে আসবে না, যানি না ঠিক কতো ক্ষন নিজেকে আটকে রাখতে পারবো।

বলে আরাবকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়।

,,,,,,,,,,,,

রিমান একা বসে আছে বাহিরে তাকিয়ে বৃষ্টি দেখছে আর মাহুয়ার কথা ভাবছে।

মাহুয়াতো এমন জঙ্গলে ভয় পায়, তার মধ্যে রাত, ও বলেছিলো এখান থেকে সে একা যেতে পারবে না, কোনো গাড়ি এখন পাওয়া যাবে না,তার মধ্যে এই বৃষ্টি।

আমি কেনো ওর কথা ভাবছি,ভাববো না ওর কথা ধোঁকা বাজ ও, আমার মনটাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিয়েছে।

এই সময় মুন আসে।

মুন,,,,,,,,,, রিমান মানছি তোমার ভালোবাসা বিশ্বাস সব ভেঙে দিয়েছে মাহুয়া, কিন্তু ও একটা মেয়ে, তুমি ওকে এমন জায়গা একা কিভাবে ছাড়তে পারো।

বাহিরে কি জোরে বৃষ্টি হচ্ছে দেখো, আর মাহুয়া কোনো জ্বীন নয় ও একটা মানুষ, বিপদ আসলে নিজেকে বাঁচাতে পারবে না। আমি শুধু জ্বীন এর বিপদের কথা বলছি না।

তুমি ভালো করে যানো এখানে অনেক খারাপ ছেলে ঘুরা ফিরা করে, ওর বিপদ শুধু জ্বীনে না মানুষে ও, সবার আগে তোমার এটা চিন্তা করা উচিত ও একটা মেয়ে কিছু খারাপ হয়ে গেলে নিজেকে মাফ করতে পারবে তো।

রিমান,,,,,,,,,,, নাহহ এমন কিছু হবে না।

রিমান আর কিছু না ভাবে তাড়াতাড়ি বেড়িয়ে পড়ে। গাড়ি নিয়ে বের হয়।

যাওয়ার সময় আশেপাশে ভালো করে দেখে যাচ্ছে।

রিমান,,,,,,,,,, আশেপাশে দাঁড়ানোর মতো কোনো জায়গা নেয়, আর মাহুয়া বেশি দূর হেঁটে যেতে পারবে না।

কিন্তু দেখতে পারছি না কাওকে, আল্লাহ ওর যাতে কিছু না হয়৷ জীবনে মাফ করতে পারবো কি না জানি না তবে এভাবে তোমাকে মরতেও দিতে পারবো না।

অনেক দূর যাওয়ার পর রিমান কাওকে দূরে পড়ে থাকতে দেখে, দেখতে মাহুয়ার মতোই লাগছে।

রিমান ভয়ে কাঁপতে থাকে তাড়াতাড়ি সে গাড়ি থেকে বেরিয়ে দৌড়ে যায়। গিয়ে দেখে মাহুয়ার শরীর রক্তে মাখানো, মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে।

বৃষ্টির পানিতে রক্ত বার বার ধুয়ে গেলেও আবার তাজা রক্ত বের হচ্ছে, মাহুয়া অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে৷

রিমান গিয়ে মাহুয়াকে জরিয়ে ধরে।

রিমান,,,,,,,,, মাহু মাহু কি হয়েছে তোমার,, পিল্জ উঠো,, মাহু,,, আম সরি,, সরি সব আমার জন্য হয়েছে। পিল্জ একবার উঠো।

অভিনয় করছো তাই না,, পিল্জ এমন করো না, পিল্জ উঠো।

মাহুয়ার অবস্থা দেখে ভালো মনে হচ্ছে না। রিমান মাহুয়াকে ধরে চিৎকার করছে।

চলবে,,,,,,,,

জ্বীন রহস্য (love story) ❤
Season 2
Writer Maishara Jahan
Part 17

মাহুয়ার অবস্থা দেখে ভালো মনে হচ্ছে না, রিমান মাহুয়াকে ধরে চিৎকার করছে।

রিমান তাড়াতাড়ি করে মাহুয়াকে গাড়িতে উঠায়, রক্ত পরা যেনো বন্ধ হচ্ছে না, বিদুৎ গতিতে গাড়ি চালায় মিনিটে সে বাসায় চলে আসে।

এমনিতে রিমানের জাদু সহজে কাজ করে না, তবে আজ ঠিক মতোই কাজ করছে, কোনো ভুল নেয়।

রিমান মাহুয়াকে কোলে নিয়ে ভিতরে নিয়ে যায়, মাহুয়ার পুরো শরীর ঠান্ডা পড়ে যায়, প্রচন্ড বৃষ্টিতে দুজনে ভিজে একাকার। গা ভেয়ে পানি পরছে।

রিমান মাহুয়াকে নিয়ে শুয়িয়ে দেয়।

মুন,,,,,,,,,,, কি হয়েছে মাহুয়ার।

রিমান,,,,,,,,, জানি না রাস্তায় এভাবে পড়ে ছিলো, ফারহান কোথায় ওকে দেখতে বল। সব সব দোষ আমার ( কান্না ভরা কন্ঠে )

মুন,,,,,,,,৷ ফারহান রিমির রুমে আমি ডেকে আনছি।

মুন গিয়ে ফারহানকে ডেকে নিয়ে আসে। সাথে আরাব ও আসে।

ফারহান,,,,,,,,, ওর এই অবস্থা কি করে হলো।

রিমান,,,,,,,,,,,, তুই আগে মাহুকে দেখ ওর কি হয়েছে, ও চোখ খুলছে না কেনো।

ফারহান মাহুয়াকে চেক করে।

ফারহান,,,,,,,,,,,, অনেক গভীর জখম দেখা যায়, কোনো জানোয়ারের কাজ এমন মনে হচ্ছে। ব্যাথায় অজ্ঞান হয়ে গেছে।

রিমান,,,,,,,,,,,,, ওর সাথে কোনো দূর্ঘটনা হয়নি তো,

ফারহান,,,,,,,,,,,,,, মানে, এটা তোর দূর্ঘটনা মনে হচ্ছে না।

রিমান,,,,,,,,,,,,, আমি এটার কথা বলছি না, মাহুর গায়ে অনেক আঘাতের চিহ্ন, ওর সাথে কিছু খারাপ হয়নি তো। ( ভীষণ ভয়ে )

ফারহান,,,,,,,,,,,,, না তেমন কিছু হয়নি। কিন্তু ওকে এমন ভাবে মেরেছে কে।

রিমান,,,,,,,,,,,, যে এটা করে থাকুক তাকে আমি আমি ছাড়বো না, খুঁজে বের করে মৃত্যুর যন্ত্রণা কাকে বলে তাকে বাঁচিয়ে রেখে বুঝাবো।

আরাব,,,,,,,,,,, এটা কোনো মানুষের কাজ লাগছে না, স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কোনো বাদী জ্বীনের কাজ। এই জ্বীন গুলো অনেক শক্তি শালী হয়।

রিমান,,,,,,,,,,,, ওদের আমি ছারবো না ( রাগে রিমানের হাত গলার রগ বেরিয়ে গেছে,রিমানের চোখ নীল হয়ে গেছে )

ফারহান,,,,,,,,,,,,, শান্ত হ রিমান,,আমি ব্যান্ডেজ করে করে দিয়েছি, মুন তুমি ওর জামা কাপড় পাল্টে দাও।

মুন,,,,,,,,,,, হুমম

আরাব,,,,,,,,,, চল রিমান তুইও জামা কাপড় পাল্টে নে।

সবাই বেরিয়ে পড়ে, মুন মাহুয়ার জামা কাপড় পাল্টে দেয়। রাত গভীর সবাই বসে ভাবছে কি করা যায়। এই দিকে মাহুয়ার অবস্থা খারাপ, আর কাল রিমির সাথে কি হবে কে জানে।

আরাব,,,,,,,,,,,, এই জরিবুটি গরম পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াবে মাহুয়াকে তাহলে ওর জখম তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।

রিমান,,,,,,,,,,,, আচ্ছা এইসব কিছু কে করছে, কি তার কারন, তাদের কোথায় পাবো, যদি জানতেই না পারি ওরা কোথায় থাকে তাহলে মারবো কিভাবে।

আরাব,,,,,,,,, এই সব প্রশ্নের উত্তর শুধু এক জায়গায় পাবো।

রিমি,,,,,,,, কোথায়??

আরাব,,,,,,,,,,,, #জ্বীন_রহস্য কিতাবে, এতেই আছে সব কিছুর উওর।

ফারহান,,,,,,,,,,, কিন্তু এই কিতাব তোকে কোনো জবাব দিবে না, জবাব জানতে হলে আগে তকে জ্বীন রাজ্যের রাজা হয়ে এই কিতাবের মালিক হতে হবে।

রিমান,,,,,,,,,, কিন্তু আরাব তুই তো অনেক আগেই মানা করে দিয়েছিস, তুই সিংহাসনে বসতে চাস না।

মুন,,,,,,,,,,, সিংহাসনে বসতে হলে যোগ্যতা লাগে, আর একটা খুনির সেই যোগ্যতা কোনো দিনও হয় না।

আরাব,,,,,,,,,,,, কিন্তু সিংহাসনে আমি বসবো, আমার সব প্রশ্নের জবাব চাই, আর এই সব কিছু শেষ করতে হলে বাস্সা তো আমাকে হতেই হবে।

মুন,,,,,,,,,,,,, জ্বীন রাজ্যের দুর্ভাগ্য যে তোমার মতো একটা রাজা পাবে।

আরাব,,,,,,,,,,, এটাতো সময়ি বলে দিবে।

মুন রাগে চলে যায়।

রিমান,,,,,,,,,,, হঠাৎ ডিসিশন পাল্টালি যে, তুই তো বলেছিস যে তুই কোনো দিন সিংহাসনে তো দূরের কথা জ্বীন রাজ্যে যাবি না।

আরাব,,,,,,,,,,,,,, আমার সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো, এখন ভুলটাকে সুধরে নেওয়ার পালা।

ফারহান,,,,,,,,,,,,,, মানে।

আরাব,,,,,,,,,,,,,, মানে যে ভুল আমি করি নি তার শাস্তি আমি অনেক বছর ভুগেছি কিন্তু আর না।

ফারহান,,,,,,,,,, ভুল করিস নি মানে।

আরাব,,,,,,,,,,, মানে,, মুন বলেছে তাকে অজ্ঞান করে নাকি আমি জ্বীন রাজ্যের বাহিরে দিয়ে এসেছি, তার প্রবেশ মহর ও নাকি আমি নিয়েছি। ও নাকি দেখেছে।

কিন্তু আমি এমন কিছুই করি নি। তাহলে আমার রুপ ধরে কে করেছে, আর বাকি রইলো মুনের মা বাবার কথা, আমার মনে হয় না আমি ওদের মেরেছি৷

আমি কাল অনেক গভীর ভাবে ভেবেছি, ঐই রাতে আমি প্রচন্ড রেগে ছিলাম, রেগে আমি ওদের রুমে গিয়েছিলাম ঠিক আছে, কিন্তু নিজের আপন জনদের মেরে ফেলবো এতোটা রাগ অসম্ভব।

রুমে প্রবেশ করার পর আমার আর কিছু মনে নেয়,জ্ঞান ফিরার পর আমার হাতে তালোয়ার ছিলো, তালোয়ারে রক্ত, আমি মাটিতে পড়ে আছি।

উঠে দেখি মুনের মা বাবার রক্তে মাখানো লাশ পড়ে আছে। ঠিক সে মূহুর্তে সবাই চলে আসে রুমে, আর এই পরিস্থিতিতে সবাই কিভাববে।

আমি বলে ছিলাম যে আমার কিছু মনে নেয়, কিন্তু কাকু বলেছিলো, নতুন শক্তি পেয়েছি তাই রাগ উঠলে হুশ থাকে না, কারন এখনো আমি আমার শক্তি সামলাতে পারছি না।

কথাটা আমিও বিশ্বাস করেছিলাম কারন এটা সত্যি ছিলো তখন আমার রাগ উঠলে নিজেকে সামলাতে পারতাম না।

কিন্তু তখন নিজেকে এতোটা অপরাধী মনে হচ্ছিল যে একটা জিনিসের দিকে খেয়ালি করিনি। যা কাল মনে পড়লো।

রিমান,,,,,,,,, কি??

আরাব,,,,,,,,,,,, জ্বীনদের তালোয়ার অনেক গরম হয়, আর তালোয়ার গরম তখন হয় যখন তালোয়ার চালানো হয়। আর আমার তালোয়ার তো আগুনের মতো গরম হয়ে যায়।

যা সহজে ঠান্ডা হয় না। আমি প্রায় ৫/৬ মিনিট অজ্ঞান ছিলাম এর মধ্যে হয় যা কিছু হওয়ার। যখন আমার জ্ঞান ফিরে তখন তো আমার তালোয়ার একদম ঠান্ডা ছিলো।

আর আমি ছাড়া আমার তালোয়ার কেও চালাতে পারে না। এখন তো আমার নিজেকে নির্দোষ মনে হচ্ছে। এর পিছনে যদি অন্য কারো হাত থাকে, তাহলেতো তাকে বের করতেই হবে।

রিমান,,,,,,,,,, তাহলে এগুলো তুই মুনকে বল।

আরাব,,,,,,,,,,, ও এখন আমার কোনো কথা বিশ্বাস করবে না। প্রমান সহো দেখাতে হবে। নিজেকে নির্দোষ প্রমান করা খুব জরুীরি আমার জন্য।

মুন দরজার আড়াল থেকে সব শুনছে।

মুন,,,,,,,,,,, বিশ্বাস তো এখনো হচ্ছে না আমার,, তবে তুমি যেগুলো বলছো যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে আমার থেকে বেশি খুশি আর কেও হবে না।

খুব অল্প সময় আছে তোমার কাছে, একবার সব জামেলা শেষ হয়ে গেলে তোমাকে বাঁচিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে যাবে আমার জন্য।

সকালে,,,,,,,,,,,,,

ফারহান চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছে আজ কি হবে। সময়টা যেনো আজ খুব তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছে, ফারহান বার বার ঘড়ি দেখছে।

রিমি,,,,,,,, কি হলো বার বার ঘড়ি দেখছো কেনো, হাতটা দাও।

রিমি হাত থেকে ঘড়িটা নিয়ে ফেলে দেয়।

ফারহান,,,,,,,,, এটা কি করলি।

রিমি,,,,,,,,,, এভাবে বার বার ঘড়ি দেখলে সময় থেমে যাবে না বরং আরো কষ্ট বেরে যাবে। আরে কিছু হবে না আমার।

ফারহান,,,,,,,,,,,, আমার খুব ভয় করছে রিমি আজ। মনের ভিতর অজানা ভয় কাজ করছে।

রিমি,,,,,,,,,,, আরে কিসের ভয়, দেখো আমি ঠিক আছি, আর আমার কিছু হবে না। এতো তাড়াতাড়ি আমি তোমার গাঢ় থেকে যাবো না।

ফারহান,,,,,,, ঠিক তো।

,,,,,,,,, হুমম ( তোমাকে সাহস গো দিয়ে দিলাম কিন্তু আমার নিজের মনে অনেক ভয় কাজ করছে।মনে হচ্ছে আর তোমাকে দেখতে পারবো না, এটাই হয়তো সবার সাথে শেষ দেখা। )

,,,,,,,,,,,,,,,

রিমান মাহুয়ার রুমে যায়, ভিতরে ডুকে দেখে মাহুয়া মাথা ধরে বসে আছে, মাহুয়ার জ্ঞান ফিরেছে দেখে চলে যেতে চাই রিমান। মাহুয়া মাথা তুলে রিমানকে দেখে ফেলে।

মাহুয়া,,,,,,,,,, রি রিমান আমি এখানে কিভাবে আসলাম৷ তুমি নিয়ে এসেছো।( অনেক কষ্টে কথা বলছে,একটা শব্দ বলে আটকে যাচ্ছে )

রিমান,,,,,,,,,,, আমি কেনো নিয়ে আসবো, আরাব নিয়ে এসেছে।

,,,,,,,,, ওও তাহলে আমাকে দেখতে এসেছো।

,,,,,,,,,, চেহেরা দেখতে চাই না তোমার, ভুল করে চলে এসেছি। ( পিছনে ফিরে সব কথা বলছে )

মাহুয়ার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, সেটা তার আওয়াজ শুনেই বুঝা যাচ্ছে, তার উপর কান্না করছে।

রিমান,,,,,,,,, কথা বলতে পারছো না তো বলছো কেনো৷ এমনিতে তোমার বকবক শুনার কারো কাছে সময় নেয়, চুপচাপ শুয়ে থাকো।

বলে চলে যায়, আরাব আর মুনকে পাঠিয়ে দেয়।

মুন,,,,,,,,,,, এখন কেমন লাগছে,,

মাহুয়া,,,,,,,,,,, ভালো

মুন,,,,,,,,,,, সুপটা খেয়ে নাও তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে।

মাহুয়া,,,,,,,,,, ঠিক আছে,,,, আরাব ভাইয়া ধন্যবাদ আমাকে কাল রাতে এখানে নিয়ে আসার জন্য।

আরাব,,,,,,,,,, আমি নিয়ে আসি নিতো,, রিমান নিয়ে এসেছে তোমাকে।

মুন,,,,,,,,,, তোমাকে এই অবস্থায় দেখে রিমান পাগল হয়ে গেছিলো৷

আরাব,,,,,,,,, কি হয়েছে সব পরপ জিজ্ঞেস করবো, এখন তোমার কথা বলা ঠিক হবে না, গলা অনেক চেপে ধরেছিলো তাই কথা বলতে হচ্ছে তাই না৷ তুমি রেস্ট নাও।

আরাব চলে যায়, মুন মাহুয়াকে খায়িয়ে দিচ্ছে।

মাহুয়া,,,,,,,,,,,,( এখনো ভালোবাসো আমায়, প্রচুর ভালো বাসো,এখনো আমার জন্য চিন্তা করো, আমারি দোষ তোমার এই ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারিনি আমি )

বিকেল হয়ে গেছে সবার মনে ভয়টা মনে হয় গেঁথে গেছে, যতো সময় যাচ্ছে ততো সবার সবার মনে ভয় বেরে যাচ্ছে।

রিমান মাহুয়ার রুমের সামনে থেকে যাওয়ার সময় কান্নার আওয়াজ শুনে দাঁড়িয়ে যায়৷ রিমান একটু দরজা ফাঁক করে দেখার জন্য ভিতরে হচ্ছে।

মাহুয়া ভিতরে নামাজ পড়ে, কান্না করে বলছে রিমিকে বাঁচিয়ে দিতে, ওর কিছু হলে নিজেকে কোনো দিন মাফ করতে পারবো না।

মাহুয়া নামাজ পড়ে উঠে, রিমান যেতে নেয়, আর মাহুয়া পড়ে যায়, শব্দ পেয়ে রিমান পিছনে তাকায়, দেখে মাহুয়া পড়ে গেছে,তখন আর নিজেকে আটকে রাখতে পারেনি,

তাড়াতাড়ি গিয়ে মাহুয়াকে ধরে উঠায়, বিছানায় বসায়৷

মাহুয়া,,,,,,,,,,,, ঘৃণা করো আমাকে তাহলে কেনো উঠালে আমাকে৷

,,,,,,,,,,, কি করবো তোমার মতো এতোটা পাথর না আমি।

,,,,,,,,,,,,, আমি কেনো করেছি, সত্যি মিথ্যা কিছু যানতে চাওনা।

,,,,,,,,,,,, সত্যি আমার জন্য এটাই তুমি প্রতারক ভালোবাসার নাটক করে শুধু ঠকাতে যানে।

,,,,,,,,,,, কেনো করেছি জিজ্ঞেস তো করো।

,,,,,,,,, জানা আছে আমার কেনো করেছো, নিশ্চয়ই কোনো লোভ দেখিয়েছে, তোমার নিজের তো কেও নেয় যে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দিবে। অবশ্য ভালো হয়েছ তোমার মা বাবা নেয় থাকলে হয়তো লজ্জায় মুখ দেখাতে পারতো না।

,,,,,,,,,,, রিমান ( ধমক দিয়ে )

,,,,,,,,,( এক হাত দিয়ে গাল চেপে ধরে মুখের কাছে এসে ) চুপ একদম, চুপ,, শুধু তোমার জন্য আমার বোন আজ মৃত্যুর মুখে, ওর কিছু হয়ে গেলে কোনো দিন মাফ করবো না।

কি অবস্থা করে দিয়েছো আমার, না তোমায় মারতে পারছি, না বেঁচে থাকতে দেখতে পারছি।

এই ভাবে গাল চেপে ধরে রাখায় মাহুয়া ব্যাথা পাচ্ছে, ব্যাথায় তার চোখে পানি চলে এসেছে, রিমান মাহুয়ার চোখে পানি দেখে ছেড়ে দেয়।

মাহুয়াকে ছেড়ে, রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

রাত বারোটা বেঝে যায়, সময় এসে গেছে, যেটার জন্য সবাই ভয়ে ছিলো। সবাই হল রুমে বসে আছে, ফারহান রিমিকে গিরে রেখেছে৷

বারোটা বাঝতেই, রিমির প্রচুর ঘাম ছুটতে থাকে। হাত পা কাঁপতে থাকে, ফারহান রিমিকে শক্ত করে ধরে রেখেছে, হঠাৎ রিমির চোখের রং পালটে যায়, নীল বর্ণ ধারন করে।

রিমি ফারহানকে এক ঝটকায় ফেলে দেয়। পাগলের মতো চিৎকার করতে থাকে। কেও তাকে আটকে রাখতে পারছে না। রিমি তার নিজের মধ্যে নেয়।

ঘরের সব জিনিস ভেঙে ফেলে রিমি,, পিছনে জামা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে রিমির, প্রচন্ড ব্যাথায় রিমি চিৎকার করছে নিজের চুল নিজে ছিড়ে ফেলছে৷

তিন জনে রিমিকে চেপে ধরে। রিমি ছটফট করছে, এক সময় রিমির শরীর হীম ঠান্ডা হয়ে যায়৷ ঘন ঘন শ্বাস ফেলছে,শরীরের সব শক্তি যেনে শেষ।

হার্ট বির্ড করা বন্ধ করে দিচ্ছে, আবার চালু হচ্ছে এমন, রিমির চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। চোখের সামনে অন্ধকার নেমে এসেছে।

মনে হচ্ছে কোনো অতল গভীর সমুদ্রে তলিয়ে যাচ্ছি, নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে, সবার আওয়াজ আসছে, কান্নার আওয়া।

আর বোধ হয় ফারহানের বউ হওয়া হবে না, মা বাবার সাথে দেখা করার জন্য ঘরে ফিরা হবে না। ভাইয়ের সাথে দুষ্টমি করা হবে না।

ফারহান আর আমার সফর এই পর্যন্তই ছিলো হয়তো, তোমার সাথে আমার আর কোনো স্বপ্ন পূরণ হবে না, হবে না এক সাথে পথ চলা, ভালো থেকো তুমি।

চলবে,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here