জ্বীন রহস্য(love story)❤Season 2,Part 12,13
Writer Maishara Jahan
Part 12
,,,,,,,না ঐটা ব্যাথা করছে না, তুমি কাঁধ টিপে দাও ঐটাই হবে।
,,,,,,,,,,,, ড্রামাবাজ
,,,,,,,,,,,
ফারহান,,,,,,,,,,, বিকেল হয়ে গেছে, এখনি রিমির ছুটি হবে, একেতো বৃষ্টি হচ্ছে তার মধ্যে রিমির গাড়ি মনে হয় খারাপ হয়ে গেছে, জোর করে হলেও ওকে আমার সাথে নিয়ে যাবো।
ফারহান অনেক খন দাঁড়িয়ে থাকার পর দেখে রিমি আসছে।
রিমি যেতে নিয়ে আবার দাঁড়িয়ে যায় বৃষ্টিতে ভিজলে আবার যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে। রিমি সামনে তাকিয়ে দেখে ফারহান আসছে ছাতা মেলিয়ে। মনে রাগ থাকলেও ভালোবাসার অনুভূতিটা এখনো আছে।
রিদি,,,,,,,,,,,, ফারহান আমাকে পৌঁছে দাও না ( পথ আটকিয়ে )
ফারহান,,,,,,,,,,,, রিদি আমি,,,,,
রিদি,,,,,,,,, দেখো না করো না,আমি ছাতা আনি নি আবার গাড়িও,, আমি এমনি অসুস্থ যদি বৃষ্টিতে ভিজি তাহলে অনেক অসুস্থ হয়ে যাবো।
ফারহান,,,,,,,,, ঠিক আছে আসো।
ফারহান রিমির দিকে তাকিয়ে রিদিকে এক ছাতায় করে নিয়ে যাচ্ছে।
রিমি কষ্টে অভিমানে দৌড়ে চলে যায় বৃষ্টির ভিতর। ফারহান রিদিকে গাড়িতে রেখে আবার আসে রিমিকে নিতে কিন্তু কোথাও পায় না। একজন কে জিজ্ঞেস করে।
ফারহান,,,,,,,,,,,, এখানে রিমি ছিলো কোথায় সে।
,,,,, স্যার ওতো দৌড়ে চলে গেছে।
ফারহান,,,,,,,,, চলে গেছে!!
ফারহান গাড়ি নিয়ে যায় আর রিমিকে রাস্তায় খুঁজে খুঁজে যায়।
ফারহান,,,,,,,,,,,,,, রিদি রাস্তায় রিমিকে দেখতে পেলে বলবে আমায়।
রিদি,,,,,,,,, ও এই বৃষ্টির মধ্যে হেঁটে হেঁটে যাবে নাকি নিশ্চয়ই কোনো গাড়িতে উঠে গেছে চিন্তা করো না।
ফারহান,,,,,,,,,,, ( রিদি মনে হয় ঠিক বলছে। )
ফারহান রিদিকে পৌঁছে দিয়ে বাসায় চলে যায়, বাসায় পৌঁছে সাওয়ার নিয়ে রিমির বাসায় ফোন দেয়।
ফারহান,,,,,,,,,,,, আসসালামু আলাইকুম আন্টি।
মা,,,,,,,,,,, ওয়ালাইকুম আসসালাম,,,, কেমন আছো।
,,,,,, জ্বী আন্টি ভালো,, রিমি কি বাসায় এসেছে।
,,,,,,,, না এখনো আসেনি,, কেনো???
,,,,,,,,,, কিছু না, আন্টি আমি পরে ফোন করছি।
বলে ফোন রেখে দেয়৷
,,,,, বাসায় যায়নি মানে, এতো ক্ষনে হেঁটে হেঁটে আসলেও বাসায় পৌঁছে যাওয়ার কথা, এই পাগলিটা আবার উল্টা পাল্টা কিছু করে না বসে।
ফারহান দৌড়ে যায় , গাড়ি নিয়ে আশেপাশে অনেক খুজে, কিন্তু পায় না, এবার ফারহান গাড়ি থেকে নেমে বৃষ্টির মধ্যে খুঁজছে কেও নেয়ও যে কিছু জিজ্ঞেস করবে।
এদিক সেদিক অনেক খুঁজে রিমিকে অবশেষে একটা বেঞ্চে বসে থাকতে দেখে ফারহান রিমি রিমি করে ডাকছে কিন্তু সারা দিচ্ছে না,
ফারহান দৌড়ে যায় রিমির পিছনে দাঁড়ায়,,
,,,,,, তকে আমি সেই কখন থেকে ডাকছি শুনতে পারছিস না, আর এই বৃষ্টিতে ভিজছিস জ্বর হওয়ার জন্য।
রিমি কোনো জবাব দেয় না। ফারহান এবার একটু স্থীর হয়ে রিমি কাধে হাত দেয়। কাধে হাত দিতেই রিমি হঠাৎ চোখ বড়ো বড়ো করে জোরে পিছনে তাকাই চোখ যেনো লাল হয়ে আছে।
ফারহান চমকে যায় হাত সরিয়ে নেয়, রিমি তাকিয়ে অজ্ঞান হয়ে বেঞ্চে পরে যায়, ফারহান তাড়াতাড়ি ধরে।
,,,,,,,,,,, রিমি এই রিমি, কি হয়েছে তোর চোখ খুল আমি এসে গেছি।
রিমির কোনো সারা শব্দ না পেয়ে ফারহান তাকে কোলে করে নিয়ে যায়, গাড়িতে বসিয়ে ফারহানের বাসায় নিয়ে যায়।
রিমির শরীর পুরো ঠান্ডা হয়ে গেছে, শীতে কাঁপছে। ফারহান রিমিকে নিয়ে শুয়ায়, এক মহিলা সার্বেন্ট দিয়ে তার ড্রেস চেন্স করায়।
তারপর ফারহান রিমিকে বুকে জরিয়ে ধরে চুল মুছে দিয়ে হেয়ার ড্রায় দিয়ে চুল শুকচ্ছে। রিমি এখনে অজ্ঞান।
,,,,,,,,,, সরি রিমি এই সব কিছু আমার জন্য হয়েছে এর জন্য শুধু আমি দায়ি, তোর কিছু হয়ে গেলে আমি বাঁচবো না৷ পিল্জ ঠিক হয়ে যা৷ ( চোখে পানি এনে )
,,,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,, চলো আমি তোমায় ছেড়ে দিয়ে আসি৷
মাহুয়া,,,,,,,,, কোথায়??
,,,,,,,,,,,,,, টয়লেটে
,,,,,,,,, কিহহহ
,,,,,,, তুমিও অদ্ভুত প্রশ্ন করো রাত হয়েছে বৃষ্টি পড়ছে বাসায় ছারার কথায় বলবো রাস্তায় ছাড়ার কথাতো বলবো না।
মাহুয়া,,,,,,,, সরাসরি বললেই হতো 😒😒
,,,,,,,, চলো এবার।
,,,,,,,,, হুমম চলো।
মাহুয়া আর রিমান গাড়ি দিয়ে যাচ্ছে, মাহুয়া আস্তে আস্তে রিমানের দিকে যাচ্ছে, কিছু খন পরে রিমানের সাথে মিশে যায়।
রিমান,,,,,,,,, আজ পরিবেশটা বেশ রোমান্টিক তাই না।
,,,,,,,,, কচু রোমান্টিক, রাস্তা এতো অন্ধকার কেনো আজ।
,,,,,, আরে বৃষ্টি হচ্ছে না তাই হয়তো রাস্তার লাইট খারাপ হয়ে গেছে।
,,,,,,,,, আমার অনেক ভয় করছে একে তো আশেপাশে জঙ্গল তার উপর বৃষ্টি।
,,,,,,,, এতে এতো ভয় পাওয়ার কি আছে। চিন্তা করো না কোনো ডাকাত টাকাত আসলে কিছু করতে পারবে না এই বডি এমনি এমনি হাওয়া খেয়ে বানায় নি। 😎😎
,,,,,,,, আরে রাখেন আপনার বডি ডাকাত আসলে আমি একাই একশত,, যদি কোনো জ্বীন-ভূত চলে আসে না তাহলে বেরিয়ে যাবে আপনার সব বডি।
রিমান,,,,,,,,,, তুমি জ্বীন ভয় পাও।
,,,,,,,,,,, আরে ওদের নাম নিয়েন না যদি সত্যি সত্যি চলে আসে তখন। আমি জ্বীন ভূতে অনেক ভয় পাই।
,,,,,,,,,,,, খাইছে,,,,,,,,, জ্বীনে ভয় পাওয়ার কি আছে।
,,,,,,,,,, কি আছে মানে,, ওরা জ্বীন ভয়ানক দেখতে।
,,,,,,,,, হেন্সাম ও হতে পারে।
,,,,,,,, জ্বীন আবার হেন্সাম কোন মুভিতে দেখছেন। আবার কি না কি খায় রক্ত,,,,,,
,,,,,,,,,,, ছিঃ ভাত মাছ এগুলোই খায়।
,,,,,,,,, হুমম কাচা মাছ খায়।
,,,,,,, সবাই কাচা মাছ খায় না।
,,,,,,,, আপনার চাচা লাগে তো যে সব জানেন।
,,,,,,,,, আচ্ছা কোনো হেন্সাম, যে ভালো রান্না করা মাছ ভাত খায় এমন জ্বীন তোমার সামনে আসলে কি করবা৷
,,,,,,,,,,, দৌড়ে পালাবো।
,,,,,,,,,,, কিন্তু কেনো।
,,,,,,, আরে জ্বীন তো জ্বীনি, দেখা গেলো সুন্দর রুপ ধরে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে পরে একা পেয়ে নিজের ভয়ংকর রুপে এসে গাড় মটকে দিবে তখন।
,,,,,,,,,, সবাই এমন না।
,,,,,,,,, আরে দূরর ওদের সবাবি এমন। হয়েছে এখন চুপ থাকো ওরা যদি শুনে আমারা ওদের নামে এই সব বলছি তাহলে ওদের খারাপ লাগবে।
,,,,,,,,, আসলেও অনেক খারাপ লাগে। কি হবে আমার৷
,,,,,,,,,,, কিছু বললে৷
,,,,,,,,,, না। তোমার বাসা এসে গেছে, বৃষ্টি ও থেমে গেছে।
,,,,,,,,, ঠিক আছে আমি যায় এখন।
,,,,,, হুমম।
মাহুয়া গাড়ি থেকে নেমে একটু দূরে গিয়ে ফ্লাইং কিস দেয়। আর রিমান ধরার মতো ভাব করে।
মাহুয়া,,,,,,,,,, বাই
,,,,,,, বাই মাহু
,,,,,,,,,,,,,,,,
আরাব,,,,,,,,,,, রাত হয়ে গেছে এখন চলো ঘুরে আসি।
মুন,,,,,,,,,, বৃষ্টিতে সব ভিজে আছে, এই সময় যাবো।
আরাব,,,,,,,,, চলো তোমাকে আমার সব থেকে একটা পছন্দের জায়গাই নিয়ে যায় যেখানে বৃষ্টি হয়নি৷
,,,,,,,, ঠিক আছে চলো।
আরাব মুনকে নিয়ে সুন্দর জায়গায় নিয়ে যায়। চারপাশে সবুজ ঘাস তাদের মাঝে নানা ধরনের ফুল,, বরো বরো গাছে কোনো পাতা নেয় শুধু ফুল, রাস্তায় ফুলের পাপড়ি পড়ে আছে পাতার মতো,
সামনে একটা ছোটো নদী একিয়ে বেঁকিয়ে গেছে, নদীর পাশ ছোটো তাই ওপারও দেখা যাচ্ছে, ঐদিকেও ঠিক একি রকম
মুন,,,,,,,,,, wow এতো সুন্দর জায়গা তুমি কোথায় পেলে, এতো সুন্দর জায়গা ও পৃথিবীতে আছে আমি জানতাম না।
,,,,,,,,,,, এই জায়গার ব্যাপারে বেশি কেও জানে না৷
,,,,,,,৷ তাই,,, আর দেখো আকাশে কতো গুলো তারা, চাঁদ ও পুরোটা দেখা যাচ্ছে।
,,,,,,,,, এটা শহরের থেকে অনেক দূরে তাই এতো তারা দেখা যাচ্ছে, রাতেও পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
মুন কিছু না ভাবে এদিক সেদিক দৌড়া দৌড়ি শুরু করে দেয়, ফুল দেখে বাচ্চাদের মতো করছে।
আরাব মুনের এই বাচ্চাদের মতো আচরণ দেখে হাসছে৷
মুন,,,,,,,,,,,, যানেন আপনি আমার ফুল অনেক পছন্দ।
আরাব,,,,,,,,, জানি তাইতো এখানে নিয়ে এসেছি। কিন্তু তুমি আস্তে লাফা লাফি করো।
মুন এদিক সেদিক যাচ্ছে কখনো এই ফুলে ঝাকি দিচ্ছে কখনো ঐই গাছে আর আরাব তার পিছন পিছন যাচ্ছে।
মুন হাতে অনেক গুলো ফুলের পাপড়ি এনে আরাবের কাছে এসে আরাবের মাথায় ছিটিয়ে দেয়।
আর খিল খিল করে হাসতে থাকে। আরাব মুনের দিকে তাকিয়ে মুনকে হেছকা টান দিয়ে কাছে এসে কিস করতে থাকে৷
মুন ও চোখ বন্ধ করে দেয়। কিছু খন পর আরাব মুনকে ছেড়ে দেয়, ঘটনা চক্রে কেও কাওকে দেখছে না,
মুন লজ্জায় লাল হয়ে যায়, আরাব ও মাথা চুলকাতে চুলকাতে অন্য দিকে দেখছে। তারপর দুজনে হাটা শুরু করে কিছু খন ধরে আরাব মুনের হাত ধরে, মুন যেনো কেঁপে উঠে।
মুন,,,,,,,,,, ( মনে হচ্ছে এখনি আমার হার্ট বুক ফেটে বেরিয়ে আসবে )
একটু পর আরাব মুনের হাত শক্ত করে ধরে এদিক সেদিক দেখতে থাকে৷
আরাব,,,,,,,,,,, কে সামনে আয়।
মুন,,,,,,,, কি হয়েছে আরাব।
,,,,,,,, এখানে কেওতো আছে,,,, কে সাহস থাকলে সামনে আয়।
মূহুর্তে সামনে ভয়ংকর অনেক গুলো মেয়ে জ্বীন হাজির হয়৷
আরাব,,,,,,,, কারা তোমরা
,,,,,,,,, এতো সুন্দর ফুল বাগানে পরীতো থাকবেই, আর সুন্দর জিনিস ভয়ংকর হয় অনেক।
আরাব,,,,,,,,, আগে তো দেখিনি।
,,,,,,,,,,, এতো এখন দেখে নিন।
মুন,,,,,,, কোনো পরী উদ্দেশ্য ছাড়া এভাবে সামনে আসে না তাও আবার সবাই এক সাথে হয়ে,কি উদ্দেশ্য তোমাদের।
,,,,,,,,,,,,, আমাদের উদ্দেশ্য আরাব ভালো করেই জানে।
আরাব,,,,, ,, আমাকে জানো তাহলে মারতে এসেছো, ওকে, মুন সরে যাও।
মুন,,,,,,,,, সরে যাও মানে আমি লড়াই করতে পারি না।
আরাব,,,,,,,,,,, মনে তো হয় না 😅😅
মুন,,,,,,,,,, 😑😑 মন তো তোমার ঠিকি বলে,,আমি না পারলে কি হয়েছে আমার সাথিরা তো পারে, আমি তাদের ডাকছি।
আরাব,,,,,,,,, তাদের দরকার হবে না, এদের আমি একাই সামলে নিবো।
মুন,,,,,,,,, পারবে না, এরা লড়াই করতে গিয়ে এমন এমন কাজ করবে যে তুমি লজ্জায় ওদের দিকে তাকাতে পারবে না লড়াই করবে দূরের কথা।
মুনের কথা শেষ হতে না হতে আরাব লাড়াই শুরু করে দেয়৷
মুন,,,,,,,,, আমার কথার কোনো দামই নাই। 😑😑
লাড়াইয়ের মাঝখানে পরীরা আরাবকে ধোকা দেওয়ার জন্য নিজের বিভিন্ন অঙ্গ দেখানোর ভান করছে, আর আরাব বার বার চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
এতে সে ঠিক মতো লড়াই করতে পারছে না।
আরাব,,,,,,,, মুন কিছু করো।
মুন,,,,,,, মাসির কথা বাঁসি হয়লে ফলে। মুন তার সাথিদের ডাকে তিন জন এসে লাড়ায়ে যোগ দেয়।
সেই ভাবে লড়াই হচ্ছে।
আরাব,,,,,,,,, এদের দেখি কিছুই হচ্ছে না, এরা লজ্জা পায় না।
মুন,,,,,,,,, না এদের এতো আপনার মতো লজ্জা নেয় মেয়েদের দেখে।
আরাব,,,,,,,,, কিন্তু কেনো।
মুন,,,,,,,, কারন এরা মেয়ে, আমার সাথি তিন জন মেয়ে।
আরাব,,,,,,, এরা মেয়ে দেখে মনে হচ্ছে না, মনে হচ্ছে শক্তি কাপুরের ভাই। তাহলে তুমি এমন হলে কি করে।
মুন,,,,,,,, দেখেন,,,,,
আর কিছু বলতে যাবে তখন দেখে পিছন থেকে একটা পরী আসছে আরাবকে আঘাত করতে, মুন আরাবকে সরিয়ে দেয়, আরাবের জায়গায় মুনের হাত একটু কেটে যায়।
আরাব,,,,,,,,,, মুন তুমি ঠিক আছো।
আরাব ঐ পরীকে মেরে ফেলে, মুনের রক্ত দেখে আরাব পাগল হয়ে যায়, একে একে সবার উপর হামলা করে ধোকা দেওয়ার কোনো সুযোগ দেয় না।
পরিস্থিতি খারাপ দেখে পরীরা চলে যায়, আরাব মুনের কাছে আসে।
,,,,,,, কতোটা কেটে গেছে,, বেশি ব্যাথা করছে।
,,,,,,,,,, আরে চিন্তা করো না অল্প একটু কেটেছে।
,,,,,,,, তুমি পাগল এভাবে কেও নিজের জান বিপদে ফেলে।
,,,,,,,, যদি তোমার কিছু হয়ে যেতো তখন, কি করতাম আমি।
আরাব তাড়াতাড়ি মুনকে বাসায় নিয়ে যায় আর ব্যান্ডেজ করে দেয়।
মুন,,,,,, এবার তোমার বাড়ি যাও।
আরাব,,,,,,, হুমম খেয়াল রেখো নিজের, আর কিছু হলে আমাকে ডাক দিবো।
মুন,,,,,,,,, ঠিক আছে।
,,,,,,,,,,,
গভীর রাত ফারহান রিমিকে জরিয়ে ধরেই ঘুমিয়ে পড়েছে,, কিছু খন পর রিমির হুশশ ফিরে,, সে নিজেকে ফারহানের বুকে আবিষ্কার করে,
অভিমানে ফারহানকে ধাক্কা মারে।ফারহান লাফ দিয়ে উঠে।
ফারহান,,,,,,,,,,, কি হয়েছে কি হয়েছে রিমি ( অর্ধেক ঘুমের মধ্যে )
রিমি,,,,,,,,,, আমি এখানে কি করে এলাম আমি তো বাসায় যাচ্ছিলাম।
ফরাহান,,,,,,,,,,, বৃষ্টিতে ভিজে জ্বরে অজ্ঞান হয়ে গেছিলি। বৃষ্টিতে ভিজতে কে বলেছে তোকে।
,,,,,,,,,,, আমার ইচ্ছা,,, মা বাবা নিশ্চয়ই অনেক চিন্তা করছে।
,,,,,,,,,, না আমি ফোন করে বলে দিয়েছি তুই এখানে।
,,,,,,,,, আপনি এভাবে আমাকে ধরে শুয়ে আছেন আংকেল আন্টি দেখলে কি বলবে।
,,,,,,,, মা বাবা কাজে বাহিরে গেছে।
,,,,,,,,,, ও এর সুযোগ নিচ্ছেন,, আমও ভাবতাম আমার চরিত্রে দোষ আছে এখন তো দেখি আপনিও ঠিক না।
,,,,,,,,,,,, রিমি,, কি বলছিস।
,,,,,,,,, থাকবো না আমি এখানে,, চলে যাবো।
,,,,,,,, কোথায় যাচ্ছিস, এই জ্বর নিয়ে, তাছাড়া এখন গভীর রাত কাল সকালে দিয়ে আসবো নে।
,,,,,,,,, আমি এখনি যাবো, থাকবো না আপনার সাথে।
রিমিকে ধরে রাখা যাচ্ছে না, ফারহানকে ফেলে সে দৌড়ে বাড়ির বাহিরে চলে যায়। ফারহান গিয়ে ধরে।
,,,,,,,, পাগলামো করিস না রিমি ভিতরে চল এতো রাতে বাহিরে বের হওয়া ঠিক না তোর জন্য।
,,,,,,, আমি যাবোই।
বলতে না বলতে কয়েকটি জ্বীন এসে হাজির।
রিমি,,,,,,,, এরা এখানে কেনো, এরা সব সময় আমার আশেপাশে থাকে, তাই বলে এতো রাতে।
ফারহান,,,,,,,,, চলে যান না হলে ভালো হবে না।
এরা তাদের রুপ পাল্টিয়ে ভয়ংকর রুপে আসছে।
রিমি,,,,,,,, কি হচ্ছে এই সব,,,,
ফারহান,,,,,,,,, তুই ঘরে যা জ্বরে উল্টা পাল্টা দেখছিস।
রিমি,,,,,,,, ঠিক,,, এক মিনিট আমি জ্বরে ভুল দেখলে আপনি দেখলেন কি করে। তার মানে এই সব সত্যি, কি হচ্ছে।
,,,,,,,,, আমরা তোমায় নিতে এসেছি,, তুমি মানুষ না জ্বীন তাই জ্বীন রাজ্যে থাকবে।
রিমি,,,,,,, কি বলছে ওরা ফারহান।
ফারহান,,,,,,,, আমি থাকতে রিমিকে নিয়ে যেতে পারবে না,, চলে যাও বলছি।
সবাই ফারহান কে ধরে, রিমি ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। ফারহান ওদের মারছে কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না, একজন রিমিকে ধরেছে,,
দুজন ফারহানকে,, ফারহানের গলা চেপে ধরেছে।
,,,,,, একে মেরে পরে রিমিকে নিয়ে যাবো।
রিমি,,,,,,, না ছারো ফারহানকে,, ছাড় বলছি ( কান্না করে )
চলবে,,,,,,,
জ্বীন রহস্য (love story) ❤
Season 2
Writer Maishara Jahan
Part 13
,,,,,,,,,, একে মেরে পরে রিমিকে নিয়ে যাবো।
রিমি,,,,,,,, না ছারো ফারহানকে,,, ছার বলছি ( কান্না করে )
জ্বীনরা ফারহানের গলা শক্ত করে ধরে রেখেছে, ফারহান এবার শ্বাস নিতে পারছে না।
ফারহান,,,,,,,,,, আরাব, রিমান তাড়াতাড়ি আয়,, আরাব রিমান!!!
রিমি,,,,,,,,,,,,, ছাড়, ছাড় বলছি,, আমি যেতে রাজি আছি ছাড় 😭😭
ফারহান,,,,,,,,,, কোথাও যেতে দিবো না তোমাকে। আরারারাবব রিমান,,
আরাব আর রিমান আসে,, তাদের এই অবস্থা দেখে আরাব আর রিমান হামলা করে,, ফারহান এসে রিমিকে ধরে।
রিমি,,,,,,,,, কি হচ্ছে এই সব ভাইয়ারা হঠাৎ করে কিভাবে এসে পড়লো। আমার মাথা ব্যাথায় ফেটে যাচ্ছে।
ফারহান,,,,,,,,,, নিজের মাথায় বেশি জোর দিস না,, সব ঠিক আছে কিছু হবে না তোর।
আরাব আর রিমান তাদের তারিয়ে দেয়। রিমি অজ্ঞান হয়ে যায়, তাকে ফারহান কোলে করে নিয়ে ঘরে নিয়ে যায় বিছানায় শুয়িয়ে দেয়।
ফারহান,,,,,,,,,, এখন কি করবো ওর সামনে এতো কিছু হয়ে গেলো প্রশ্ন তো অবশ্যই করবে।
আরাব,,,,,,,,,, কিছু একটা বলে,,,
রিমান,,,,,,,,,, এতো সহজে মানবে না ও সব ওর চোখের সামনে হয়েছে।
আরাব,,,,,,,,, তাহলে সত্য বলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেয়।
ফারহান,,,,,,,,,,, কিন্তু ওকে সত্যিটা বলা ঠিক হবে।
রিমান,,,,,,,, আমাদের উচিত ছিলো আগেই ওকে সব বলে দেওয়া, ওর শরীর দুর্বল হলেও রিমি দুর্বল না।
আরাব,,,,,,,,, ঠিক আছে কাল সকালে দেখা যাবে, রিমির জ্ঞান না ফিরা পর্যন্ত আমারা এই ঘরে থাকবো, ওর জ্ঞান ফিরলে আমাদের না দেখতে পারলে ভয় পেয়ে যাবে৷
ফারহান,,,,,,,,, হুমম।
সকালে,,,,,,,,,,,
সকালে রিমি চোখ খুলে,, মাথাটা এখনো খুব ভাড়ি হয়ে আছে, চোখ খুলে কোনো মতে উঠে দেখে ফারহান তার পাশে তার হাত ধরে বসে ঘুমিয়ে পরেছে,,,
আরাব চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছে,, রিমান সোফাতে ঘুমিয়ে পড়েছে, সবাই তাকে কতো ভালোবাসে এটা দেখে তার চোখে পানি চলে এসেছে।
তখনি কাল রাতের কথা মনে পরে যায়। তখন ফারহান জেগে যায়।
ফারহান,,,,,,,, রিমি তুই উঠে গেছিস,, কেমন লাগছে এখন।
ফারহানের কথা শুনে আরাব আর রিয়ান ও উঠে যায়।
রিমান,,,,,,,,,, সব ঠিক আছে তো
আরাব,,,,,,,, শরীর খারাপ লাগছে না তো।
রিমি,,,,,,,,, কাল রাতে কি হয়েছিল,, ওরা কে ছিলো,, রিমান৷ ভাইয়া আর তুমি হঠাৎ করে কিভাবে আসলে।
ফারহান,,,,,, ঐটা তোর স
রিমি,,,,,,,, স্বপ্ন ছিলো এটা তো বলবেন না কারন স্বপ্ন আর বাস্তবের মধ্যে তফাক আমি জানি।
রিমান,,,,,,,,, আরে তেমন কিছুই ছিলো না এতো ভাবিস না।
রিমি,,,,,,,,, কিছুই ছিলো না মানে,, কাল কিছু নরমাল ছিলো না। আর আমি জ্বীন এটা কেনো বলছিলো, বলো বলছি,, ( হাঁপাতে হাঁপাতে )
ফারহান,,,,,,,,,,, তোর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে,, তোর গাঁয়ে এখনো অনেক জ্বর,, তুই আগে রেস্ট নে।
রিমি,,,,,,,,, না আগে আমাকে সব বলো, আমি আর ভাবতে পারছি না পিল্জ বলো৷
আরাব,,,,,,,, ঠিক আছে, ঠিক আছে বলছি মাথায় কোনো চাপ নিস না,, আগে বল যেটা বলবো সেটা শুনার পর বেশি চাপ নিবি না।
রিমি,,,,,,,,, তাড়াতাড়ি বলো আমার ভয় লাগছে।
আরাব,,,,,,,,,,, আমি একজন জ্বীন,,,
রিমি,,,,,,,,, ভাইয়া এটা মজা করার সময় তুমি বলো।
আারব,,,,,,,,,, মজা না সত্যি,, আমি আমার মা বাবা সবাি জ্বীন।
রিমি হা করে রিমানের দিকে তাকায়
রিমান,,,,,,,,, আমিও জ্বীন।
রিমি,,,,,,,,, কিহহহ পাগল হয়ে গেলে নাকি।
রিমান,,,,,,,,,, এটা সত্যি,, আমি মা আর তুই আমারা জ্বীন শুধু বাবা ছারা।
এবার রিমি ফারহানের দিকে তাকায়।
ফারহান,,,,,,,,, আমি আমার মা বাবা সবাই মানুষ।
রিমি,,,,,,,, বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে কিভাবে সম্ভব।
রিমান,,,,,,,,, মনে আছে ছোটো বেলায় মা একটা কাহিনি শুনাতো যেখানে মেয়েটা জানতো না সে জ্বীন তার তিন বন্ধু ছিলো, আসলে এটা একটা গল্প ছিলো না এটা আমাদের মা বাবার জীবনের কাহিনি ছিলো৷
রিমি,,,,,,,,, কিন্তু মার তো এমন কিছু দেখিনি।
রিমান,,,,,,, কারন বিয়ের পর মার সব শক্তি চলে যায়।
রিমি,,,,,,,, আমি জ্বীন হলে আমার শক্তি কোথায়।
ফারহান,,,,,,,, তোমার বিশ বছর হলে সব শক্তি চলে আসবে।
রিমি,,,,,, তাহলে রিমান ভাইয়ার শক্তি আগে কেনো এসেছে৷
আরাব,,,,,,, কারন তকে তোর শক্তি লুকানোর জন্য একটা জিনিস খাওয়ানো হয়, যাতে তোকে একটা সাধারণ মানুষের মতো দেখা যায়৷ কিন্তু এর শুধু বিশ বছর পর্যন্ত কাজ করে।
রিমি,,,,,,,, কেনো খাওয়ানো হয়েছে এটা আর আমাকে কারা কেনো নিয়ে যেতে চায়।
আরাব,,,,,,,,,, যখন তুই আন্টির পেটে ছিলি তখন আন্টির নয় মাসের সময় তার এক বান্ধবী হিংসামী করে সিফরিতি জুস খায়িয়ে দেয়,যেটা একটা জ্বীনের মৃত্যুর কারন হতে পারে।
তুই যেহেতু আন্টির গর্ভে ছিলি তাই এর প্রভাব তোর উপর পরে। তুই পৃথিবীতে জম্ম গ্রহণ তো করিস কিন্তু তোর অবস্থা ভালো ছিলো না, যখন তখন মৃত্যু হতে পারে।
তোকে শুধু একটি গাছের পাতার রস খেলে বাঁচানো যাবে, আর এই গাছটি পৃথিবীতে একটিই আছে, আর এই গাছের মালিক যে তার অনুমতি ছারা এই গাছের একটি শুকনো পাতা নেয়াও সম্ভব না।
সে ছিলো জ্বীন রাজ্যর উল্টো দিকে, সে অনেক খারাপ জ্বীন তাই তাকে জ্বীন রাজ্য থেকে বের করে দিয়েছে।
কোনো উপায় না পেয়ে আমার বাবা মা আর তোর বাবা যায় আনতে।
সে পাতা দিতে রাজি হয়েছে কিন্তু তার একটা সর্ত আছে।
রিমি,,,,,,,,,,, কি????
রিমান,,,,,,,,,,, যুবতী হলে তোকে তার কাছে দিয়ে আসতে হবে।
রিমি,,,,,,, কিহহহ!!!!
রিমান,,,,,, হুমম বাবা অনেক ভাবে,কিন্তু তোকে আর বাঁচানোর আর কোনো রাস্তা নেয় তাই কষ্ট হলেও বাবা রাজি হয়ে যায়।
পাতার রস খেয়ে তুইতো বেঁচে যাস কিন্তু তোর শরীর দুর্বল হয়ে যায়।
রিমি,,,,,,,,,, তো কিছু দিন পরে আমি আমার শক্তি পেয়ে যাবো।
ফারহান,,,,,,,, না।
রিমি,,,,,,, কেনো।
আরাব,,,,,,,,,, আমরা তোর শক্তি আসতে দিবো না।
রিমি,,,,,,,, কিন্তু কেনো।
আরাব,,,,,,,,,, তোর শক্তি আসতে থাকলে তোর অনেক কষ্ট হবে যাকে মরণ যন্ত্রণা বলে, আমার মার মতো তোর ও ব্যাথা উঠতো কিন্তু তোর গলার লকেট যেটা আমাদের সবার কাছে আছে সেটার জন্য উঠছে না।
এটার জন্য তোর শক্তি ও আসবে না,ভুলেও এটা গলা থেকে খুলবি না, তোর শরীর বেশি কষ্ট সহ্য করতে পারবে না, এতে তোর মৃত্যু হতে পারে। এর কারণে তুই কোনো মানুষকে বিয়েও করতে পারবি না।
তুই মানুষ কে বিয়ে করলে তোর শক্তি যাবে না তাই আরো বেশি কষ্ট হবে, একটি জ্বীন মানুষেমানুষের সন্তান জম্ম দেওয়া অনেক কঠিন, আন্টি সহ্য করে নিলেও তোর শরীর নাও পারতে পারে।।
রিমি ফারহানের দিকে চোখের পানি নিয়ে তাকায়।
রিমি,,,,,,,,, ( এ কারনে আমার থেকে দূরে থাকতে ) তাহলে আমাকে বিদেশ কেনো পাঠানো হলো।
রিমান,,,,,,,, কারন আমি আমার শক্তি সামলাতে পারছিলাম না, যখন তখন অঘটন ঘটে যেতো,,এখন কন্ট্রোলে আনতে পারলেও ভালো করে পারি না।
তাই বাবা মা চাইতো না তুই এইসব কিছু জানিস, তাই তোকে বিদেশ পাঠানো হয়, আর এখন তোর ওপর বিপদ আছে তাই তোকে ফিরিয়ে আনা হয়।
রিমি,,,,,,,, এটা আমার জীবন নাকি স্টার জলসার নাটক যে একটার পর একটা জামেলা আসতেই থাকে শেষ হয় না।
রিমান,,,,,,,,,,, জীবনটা তেজ পাতা হয়ে গেছে।
রিমি,,,,,,,, তোর জীবনের আবর কি হয়ছে যা হওয়ার তো আমার হয়ছে।
ফারহান,,,,,,,,, এক মিনিট তুমি এতো কিছু শুনার পর মাতায় কোনো চাপ নেও নি,, কিছুই তো হয়নি।
রিমি,,,,,,, আপনি চান আমি চাপ নিয়।
ফারহান,,,,,,, না কিন্তু
রিমি,,,,,,, চাপ নিয়ে আর কি হবে যা হওয়ার তো হয়েই গেছে, এখন কথা হলো আগে কি হবে।
আরাব,,,,,,,,,,,, চিন্তা করিস না আমরা তোর কিছু হতে দিবো না।
রিমি,,,,,,, আরে এটার কোনো চিন্তা নেয় আমার, আমি জানি তোমরা কিছু হতে দিবা না আমার।
আরাব,,,,,,,, তো কিসের চিন্তা
রিমি,,,,,,,, জীবনে কি বিয়ে করতে পারমু না ( আস্তে )
রিমান,,,,,,,,, কি বললি।
রিমি,,,,,,, কিছু না।
রিমান,,,,,,,, কিছু তো একটা শুনলাম মনে হলো,, এ বি সি কিছুতো একটা।
রিমি,,,,,,, ভাই যা তো তুই এখান থেকে ভালো লাগতাছে না।
রিমান,,,,,,,,, নিয়ে গেলে তো তোকে এখান থেকে নিয়েই যামু,,
রিমি,,,,,,, আমি মান করছি 😒😒
রিমান,,,,,,, এই তোর না জ্বর এতো কতা কেমনে কস।
রিমি,,,,,,, ঠিকি তো ভুলে গেছিলা,, ও মা কি খারাপ লাগছে ( কম্বল গায়ে দিয়ে গুটি সুটি মেরে শুয়ে )
রিমান,,,,,,, ড্রামাভাজ।
ফারহান,,,,,,,,, সত্যি সত্যি ওর গায়ে অনেক জ্বর। আমি তোমার জন্য সুপ বানিয়ে আনছি।
আরাব,,,,,,,,, আমার জন্য এক কাফ কফি
রিমান,,,,,,, আমার জন্যেও আর কফির সাথে অন্য কিছু হলে ভালো হতো।
ফারহান,,,,,,,,, কিচেনে কফি আছে, ডিম, নুডস আডা ময়দা সব আছে যার যেটা মনে চাই সে নিজে বানিয়ে বানিয়ে খাও, আমি তোদের সেফ না।
রিমান,,,,,,,, আমাদের তো কোনো ইজ্জতি নেয় এই বাড়িতে। 😑😑
আরাব,,,,,,,, মেহমানের সাথে এমন করে 😒😒
ফারহান,,,,,,,,,, কে মেহমান এখানে আমি কোনো মেহমান দেখছি না। আমি সুপ বানাতে গেলাম কারো কিছু খেতে মনে চাইলে বানিয়ে খেতে পারো।
এটা বলে ফারহান চলে যায়।
আরাব,,,,,,, যা রিমান বানিয়ে নিয়ে আয়।
রিমন,,,,,, কেনো রে,, এখানল বড়ো কে তুই তাই বড়দের কর্তব্য ছোটোদের খাওয়ানো তাি যাও ভাই।
আরাব,,,,,,, এখানে ছোটো কে তুই তাই বড়দের কথা মানতে হয়,, যা।
রিমান,,,,,,, তুই যা।
আরবা,,,,,,,, না তুই যা, আমার ভালো লাগছে না কাল রাত ঘুমাতে পারি নি।
রিমান,,,,,,,, আমি মনে হয় নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিলাম।
রিমি,,,,,,,, আরে থামো তোমরা,,, এক কাজ করি আমিই বানিয়ে নিয়ে আসি।
রিমান,,,,,, ঠিক আছে যা।
আরাব,,,,,,, আমার জন্য ও
রিমি,,,,,,, আমি অসুস্থ আমাকে দিয়ে কাজ করাবে।
রিমান,,,,,,,,, কাজ করবি না তাহলে বললি কেনো।
রিমি,,,,,,,,, আমি বলছি তাই বলে তোমরা মানা করবে না।
আরাব,,,,,,,,,, কেনো করবো,, বলতে এলি কেনো।
রিমি,,,,,,,,, তাই বলে একটা অসুস্থ নিষ্পাপ বাচ্চাকে দিয়ে কাজ করাবে।
রিমান,,,,,,, কে বাচ্চা ভাই,, তুই?? যে কিনা বিয়ে বিয়ে বলে পাগল হয়ে যাচ্ছে।
রিমি,,,,,,,,, আমি কি তোর মতো ছেছরা,,, ছার আমার ভালো লাগছে না আমি শুয়ে পরলাম ( নাকে মুখে কম্বল দিয়ে )
রিমান,,,,,,,, এখন তো লুকাবেই।
ফারহান,,,,,,,, হয়ছে আর ঝগড়া করা লাগবে না, এই নে তোদের কফি,
রিমান,,,,,,, আরে বা,, সাথে শুধু বিস্কিট 🙄🙄
ফারহান,,,,,,,,, না খেলে রেখে দে। রিমি উঠো তোমার জন্য চিকেন সুপ এনেছি।
রিমান,,,,,,,, ভালোই 😕😕
রিমি উঠে ফারহান রিমিকে খায়িয়ে দেয়, আর রিমান আরবা তাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
ফারহান,,,,,,,, আমাদের দিকে না তাকিয়ে কফি খা।
রিমি,,,,,, ভালো লাগছে না আমি খাবো না।
ফারহান,,,,,,, একটু খাও
রিমান,,,,,,,,, তুই চাইলে তোর এই ভয়ের সাথে শেয়ার করতে পারোস।।
রিমি,,,,,,,, কুত্তারে খাওয়ামু তাও তোরে দিমু না 😒😒
রিমান,,,,,,,,,,, শয়তান 😑😑
খাওয়া শেষে রিমান রিমিকে তাদের বাসায় নিয়ে যায়।
চলবে,,,,,,,