জ্বীন রহস্য(love story)❤Season 2,Part 10,11
Writer Maishara Jahan
Part 10
মাহুয়া,,,,,,,,, ( দেখবো কাল কি করে রাগ করে থাকেন )
সকালে,,,,,,,,,,,,
মা,,,,,,,,,,,, রিমি উঠ আর কতো ঘুমাবি সকাল ১০ টা বাজে৷
রিমি,,,,,,,,,,, কিহহহ ( তাড়াতাড়ি উঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ) মা সকাল ৮ টা বাঝে 😑😑
মা,,,,,,,,,,,,, এতো সময় করে উঠলে আর শশুর বাড়ি যাওয়া লাগবে না।
রিমি,,,,,,,,,,, আর শশুর বাড়ি, আমার মনে হয় না আর শশুর বাড়ি যাওয়া হবে।
মা,,,,,,,,, মানে।
রিমি,,,,,,,, তুমি বুঝবা না,, কিসের জন্য ডাকছো এইটা আগে বলো।
মা,,,,,,,,,,,, ফারহান তোর জন্য একটা বড়ো বক্স পাঠায়ছে।
রিমি,,,,,,,,, কোথায় তাড়াতাড়ি দাও,, কই কই দেখি না তো।
মা,,,,,,,,,, এতো পাগল হওয়ার কি আছে, ঐ দেখ টেবিলে৷
রিমি লাফ দিয়ে টেবিল থেকে বাক্সটা নিয়ে আসে, তাড়াহুড়ো করে বাক্সটা খুলে।
বক্সে একটা নীল গ্রাওন ছিলো আর মেচিং জুতো এয়ার রিং, আরো অনেক কসমেটিক্স,,,
মা,,,,,,,,, এতো পুরো দোকান দিয়ে গেছে।
রিমি,,,,,,,,, মা দেখা হয়েছে তো আমার জন্য নাস্তা নিয়ে আসো না।
মা,,,,,,,, ঠিক আছে ( মেহেরিমা চলে যায় )
রিমি ফারহানকে ফোন করে।
ফারহান,,,,,,,, হ্যাঁ বল কেমন হয়েছে।
,,,,,,,, অনেক সুন্দর কিন্তু এতো মেকাপের জিনিস কেনো পাঠালে, এতো গুলো দিয়ে আমি কি করবো।
,,,,,,,,, আরে আমি কি জানি নাকি মেয়েরা কি কি ব্যবহার করে, কসমেডিক্স শপে ডুকে মাথা ঘুরে গেছে এতো প্রকারের জিনিস তাই যা চোখের সামনে পরছে তাই নিয়ে আসছি।
রিমি,,,,,,,, আমাকে নিয়ে গেলে কি হতো, আচ্ছা যাই হোক কখন আসবা আমার বাসায়৷
ফারহান,,,,,,,,,,, পার্টি আরাবের বাসায় তোমার বাসায় কেনো আসবো।
,,,,,,, আমাকে পিকাপ করতে।
,,,,,,, পারবো না রিমানকে বলো।
,,,,,,,, আরে ভাইয়া ভাবীর সাথে আসবে।
,,,,,,,,, কে ভাবি
,,,,,, আরে কিস গার্ল।
,,,,,, ওওওও ঠিক আছে আমি আসবো।
,,,,,,,,,, ওকে আমি অপেক্ষা করবো৷
সন্ধ্যায় ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ফারহান রিমির বাসায় আসে,,,,,,,,
ফারহান,,,,,,,,,,, রিমি তাড়াতাড়ি আয়, কোথায় তুই
,,,,,,,,,,,,,,আসছি
কিছু খন পর রিমি নীল গ্রাওন, হালকা মেকাপ চুল ছেড়ে নিচে আসে, ফারহান বসা থেকে উঠে যায়, আর হা করে রিমির দিকে তাকিয়ে থাকে।
রিমি ফারহানের সামনে এসে লজ্জায় মুশকি হাসি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ফারহান এখনো তাকিয়ে আছে।
রিমান,,,,,,,,,, হয়তো বসে পর না হলে কেমন লাগছে বলে ফেল এমন হেবলার মতো তাকিয়ে থাকার কি আছে।
রিমানের কথায় হুশ আসে ফারহানের।
ফারহান,,,,,,,,,,,, তুই এখানে।
রিমান,,,,,,,,,, হ ভাই বাবা এখনো বাসা থেকে তারিয়ে দেয় নাই।
ফারহান,,,,,,,,,,,, না মানে তুই পিকাপ করতে যাস নাই৷
রিমান,,,,,,,,,, কাকে।
ফারহান,,,,,,,,,, কিস গার্লকে
রিমান,,,,,,,,,, কারে,,, কিস গার্ল আবার কি এই মেয়ে কি সবাইকে কিস দেয় নাকি।
রিমি,,,,,,,,,, আরে না ফারহান ভাবীকে বলছে।
রিমান,,,,,,,,,,,,, ভাবি,, আরে বা আমার বিয়ে হয়ে গেলো আর আমিই জানি না।
রিমি,,,,,,,,, আরে দূরর ঐদিন যে তুই ঐ মেয়েকে কি,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,, বুঝছি,, ও চলে আসবে এখন চল না হলে দেড়ি হয়ে যাবে।
ফারহান,,,,,,,,, এর আবার কি হলো।
রিমি,,,,,,,, কে জানে,,,,, আচ্ছা এটা বলো আমাকে কেমন লাগছে।
,,,,,,,,, হুমম ঠিক ঠাক৷
,,,,,, ঠিক ঠাক 😒😒😒
আমরা তিন জন আরাব ভাইয়ার বাসাই পৌঁছায়,, খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।
আরাব,,,,,,,, তরা সবাই এসে পরেছিস,,,আরে বা রিমিকে তো আজকে প্রিন্সেস এর মতো লাগছে।
রিমি,,,,,,, সত্যি ভাইয়া thank you… তোমাদেরও আজ হেব্বি লাগছে,, তিন এক ড্রেস,, সাদা শার্ট কালো কোর্ট প্যান্ট, Just wow
তখনি মুন আসে কালো একটা জর্জেট শারি, চোখে কাজল হালকা মেকাপ লাল লিপস্টিক দিয়ে।
আরাব যেভাবে তাকিয়ে আছে মুনের দিকে তা দেখে সবাই আরাবের দিকে এক বার তাকায় আরেক বার মুনের দিকে।
রিমান,,,,,,,,,, ভাই চোখ খুলে পড়ে যাবে সাবধানে।
আরাব রিমানের কথায় তক্কা না করে মুনের দিকে যায়।
আরাব,,,,,,,,, তুমি এসে গেছো,, আমি ভাবছিলাম কখন আসবে।
রিমি,,,,,,, ভাইয়া এনি কে।
ফারহান,,,,,,,,, জাস্ট ফ্রেন্ড তাই না আরাব 😁😁
আরাব,,,,,,,,, হুমম জাস্ট ফ্রেন্ড।
রিমান,,,,,,,,,, তোর এই ফ্রেন্ডকে তো আগে দেখি নি, আর ফ্রেন্ড বলতি তাও মানতাম কিন্তু ফ্রেন্ডের আগে যেভাবে জাস্ট লাগাইছিস এতে জাস্ট না টু মাচ বুঝা যাচ্ছে।
আরাব,,,,,,,,,, তুই সব সময় এতো বেশি বুঝোস কেন। মুন এরা আমার বন্ধু কম ভাই রিমান ফারহান আর ও রিমি আমাদের বোন।
রিমি,,,,,,,,,, হ্যালো ভাবী মানে আপি,, তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।
মুন,,,,,,,, thanks,,, তুমাকেও।
তখনি রিদি আসে।
রিদি,,,,,,,, হাই ফারহান
ফারহান,,,,,,, হাই
রিদিও রিমির মতো সেম ড্রেস পড়ে এসেছে। রিমি ফারহানের দিকে কটমট করে তাকায়।
রিমি,,,,,,,,,, আমার মতো ড্রেস ফারহান 😡😡
ফারহান,,,,,,,,, কি আমি কিনে দেয় নি।
রিদি,,,,,,,,,,, আমাকে কেমন লাগছে ফারহান।
ফারহান রিমির দিকে এক বার তাকায় আরেক বার রিদির দিকে৷
,,,,,, ভালো৷
রিমি,,,,,,,,,, ফারহান এটা কি তোমার পার্টি যে তুমি ওকে ইনভাইট করছো।
ফারহান,,,,,,, আমি কেনো করবো
আরাব,,,,,,,, আমি করেছি।
রিমি,,,,,,,, কেনো
আরাব,,,,,,, কারন ও শুধু ফারহানের না আমাদের ও ক্লাসমেট ছিলো তাই,,,
রিদি,,,,,,,, আমি একটু আসি।
রিমি,,,,,,,, আরে সারা জীবনের জন্য যা না।
আরাব,,,,,,,, রিমি তোর এতো সমস্যা কি, এক ড্রেস পরেছিস বলে।
রিমি,,,,,,,, আগে বলো কাকে বেশি সুন্দর লাগছে আমাকে নাকি ওকে।
আরাব,,,,,,,,, তোকে তোকে। 😅😅
রিমি,,,,,,,,,, ফারহান বলো কাকে বেশি সুন্দর লাগছে৷
ফারহান,,,,,,,,, তোমাকে 😅😅
রিমান,,,,,,, কিছু পুড়ে যাওয়ার গন্ধ পাচ্ছি,,,,, যাই হোক আমাকে জিজ্ঞেস করবি না।
রিমি,,,,,,, না তোর মতা মতের কোনো প্রয়োজন মনে করি না।
রিমান,,,,,,,,, সত্যি কথা বলি তো তাই। থাক তোরা আমি যাই।
রিমি,,,,,,, কই যাবি সামনে দেখ তোর কিস গার্ল।
রিমান সামনে তাকিয়ে দেখে মাহুয়া আসছে সাদার মধ্যে হালকা পিংক গ্রাওন পড়ে, চুল ছাড়া একদম হালকা মেকাপ, নিজের ড্রেস সামলাতে সামলাতে আসছে৷
রিমানের চোখ আটকে গেছে৷
আরাব,,,,,,,, এটা কে ( রিমানের কানের কাছে গিয়ে)
রিমান,,,,,,,, মাহু ( অন্য মানুষক্য হয়ে ) কিছু খন পর নিজের চোখ সরিয়ে ফেলে।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, হ্যালো স্যার।
রিমান,,,,,,,, হুমম
রিমি,,,,,,,,,, কেমন আছেন ভাবী।
রিমান,,,,,,,,, কিসের ভাবী ও শুধু আমার সেক্টারি আর কিছু না।
বলে চলে যায়,,,,,,
ফারহান,,,,,,,,, এর আবার কি হলো।
রিমি,,,,,,,,, ভাইয়া কি তোমার সাথে রাগ করেছে।
মাহুয়া,,,,,,,,, হুমম
রিমি,,,,,, তাহলে রাগ ভাঙাও গিয়ে।
মাহুয়া রিমানের পিছে পিছে যায় রিমান এক জয়গা বসে যেখানে অনেক গুলো মেয়ে ছিলো, মেয়েরা গায়ের সাথে গেষে গেষে কথা বলছে।মাহুয়া দাড়িয়ে দেখছে।
মাহুয়া,,,,,,,, দেখ কি সুন্দর কথা বলছে, আরে রিমানের কোলে বসে পর সবাই, আর ও কেমন ঐখানেই বসে আছে, কেনো আর জায়গা নেয়। এক মিনিট আমার এমন লাগছে কেনো, আমি ওকে ভালো,,,,,,,,,,, না না
ফারহান আর রিদি সোফায় বসে ছিলো রিমি গিয়ে তাদের মাঝখানে গিয়ে ধাক্কিয়ে বসে পড়ে।
রিদি,,,,,,,,,,, ঐদিকে আরো অনেক জায়গা আছে।
রিমি,,,,,,,,, আমিও ঐটাই বলছি।
ঐদিকে রিমানকে সবাই গান গাইতে বলছে,, রিমানও একটা রোমান্টিক গান গাইতে শুরু করে।
আরাব মুনের দিকে তাকিয়ে রাগে ফুলছে,, ছেলের সাথে হেসে হেঁসে কথা বলছে, কিছু খন পরতো মুন তার চুল খোপা করে ফেলে এতে তার পিঠ অনেকটা দেখা যায়।
সাদা পিঠ কালো কাপরে ফুটে গেছে, কয়েকটা ছেলে বার বার পিছনে গিয়ে পিঠ দেখছে, এবার আরাব তার রাগ সামলাতে না পেরে মুনের সামনে যায়।
গিয়ে ছেলেদের দিকে রাগী ভাবে তাকায়, তার তাকানো দেখে ওরা এখান থেকে সরে যায়, সবার নজর এখন রিমানের দিকে তাই আরাব মুনকে হাতে ধরে টেনে অন্য ঘরে নিয়ে যায়।
মুন,,,,,,,,,,, আরাব কি করছো।
আরাব,,,,,,,,,,, অনেক সক না নিজের সুন্দর দেহ সবাইকে দেখানোর
মুন,,,,,,,,, আরাব মুখ সামলে কথা বলো।
আরাব ,,,,,,,, তো আর কি বলবো সবাইকে দেখানোর জন্যই তো শারী পরে এসেছো৷
মুন,,,,,,,, আরাব,,,,,,, হ্যাঁ সবাইকে দেখানোর জন্যই পরেছি কি করবে।
এবার আরাবের রাগ প্রচুর বেড়ে যায়, নীল চোখ লাল হয়ে যায়, মুনকে জোরে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে মুনের ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়,
মুন ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু লাভ হচ্ছে না, ব্যাথায় মুন ছটফট করছে, আরাব মুনকে কিস করতে করতে মুনের পিঠে তার নোখ বসিয়ে দেয়।
মুন এবার ব্যাথায় কান্না করে দেয়। অনেক খন পর আরাব মুনকে ছেড়ে দেয়। মুন কান্না করছে।
আরাব,,,,,,,, এবার নিজেকে ঠিক করে নিচে আসো।
মুন,,,,,,,, ঠিক করে মানে ঠিক করার মতো কিছু রাখছেন, কেনো করলেন এমন, আপনি একটা সাইকো ডেবিল একটা, থাকেন আপনি আমি আর থাকবো না৷
বলে মুন ঘায়েব হয়ে যায়।
আরাব,,,,,,,,, মুন মুন,,, দূররর রাগ উঠলে কিছু মাথায় থাকে না। কালকে কথা বলতে হবে।
ঐদিকে রিমান গান গেয়ে বসে আছে মেয়েদের সাথে, যেখানে যায় ঐদিকেই মেয়েরা সাথে সাথে যায়।
মাহুয়া কথা বলতে চাইলে মুখ গুরিয়ে নেয়।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, স্যার মেয়েদের সাথে কথা বলা শেষ হয়ে থাকলে একটা কথা শুনবেন।
রিমান,,,,,,,,,,,, বলো।
,,,,,,,,,,, আমাকে একটু বাসায় পৌঁছে দিবেন।
একজন মেয়ে,,,,,,,,,, কেনো রিমান কি তোমার সার্বেন নাকি।
মাহুয়া,,,,,,,,,, সেটা বলি নি এখন রাত ১ টা বাঝে এতো রাতে কিভাবে যাবো।
মেয়ে,,,,,,,,,,, সেটা তোমার ব্যাপার,,, কোথা থেকে আসে এই সব।
মাহুয়া,,,,,,,,, আমি একাই যেতে পারবো।
রাগে বেরিয়ে যায়। বাহিরে এসে দাঁড়িয়ে আছে কোনো গাড়ির দেখাও নাই। আশেপাশে জঙ্গলের মতো ভয় ও করছে।
মাহুয়া সূরা পরতে পরতে চলতে শুরু করে।
,,,,,,, আজ যদি আমার কেও থাকতো তাহলে নিতে আসতো। ভয়ে ভয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে, পিছন থেকে রিমান গাড়ি নিয়ে এসেছে। গাড়ি থামিয়ে জালানা দিয়ে বলছে।
,,,,,,, গাড়িতে উঠো।
,,,,,,, না লাগবে না আমি একাই যেতে পারবো।
,,,,,, চুপচাপ গাড়িতে বসো।
,,,,,,,,, বললাম তো লাগবে না।
,,,,,,,, ঠিক আছে তোমার ইচ্ছা এতো রাতে শুধু খারাপ মানুষ থাকেনা জ্বীন-ভূত ও ঘুর ঘুর করে তাই বলছিলাম।
এটা শুনে মাহুয়ার লোম দাঁড়িয়ে পড়ে তাড়াতাড়ি গাড়িতে বসে।
রিমান গাড়ি চালানো শুরু করে।
মাহুয়া,,,,,,,,, মেয়েরা আপনাকে আসতে দিলো।
,,,,, কোন মেয়েরা।
,,,,,,,, কিছু খন আগে যে গা গেষে গেষে কথা বলছিলেন ( মুখ ভেঙ্গিয়ে )
,,,,,,,,, কেনো তোমার কোনো সমস্যা।
,,,,,,,,, না আমার আবার কি।
কিছু খন পর মাহুয়ার বাসার সামনে পৌঁছায়।
রিমান,,,,,,,, যান এখন।
,,,,,,,,,, মাফ করবেন না।
,,,,,,,,,, একটা চরিত্র হীনের সাথে বেশি খন থাকা ঠিক না।
,,,,,,,,, অনেক হয়ছে এবার বন্ধ করেন,,আপনি কি পাইছেন টা কি, আপনি আমাকে কিস করবেন আর আমি কিছু বলতেও পারবো না, আমি তো শুধু বকেছি অন্য কেও হলে মার দিতো।
ভুল করেছেন আপনি ক্ষমা আমি চাইছি। এই এক কথা নিয়ে বসে আছে, আপনি আমার বয় ফ্রেন্ড নাকি যে কিস করলে কিছু বলবো না। প্রপোজ করছেন আমায়, আমি আপনাকে হ্যাঁ বলছি তাহলে ( একদমে বলে সব কথা )
রিমান,,,,,,,,, তো কি করবো ভালোবাসি তোমায় কিন্তু তুমি তো বুঝো না, আমি যদি বলি ভালোবাসি তোমায় তাহলে কি তুমি রাজি হবা,,,, হবে না কারন আমার জন্য তোমার মনে ধারনা আছে যে আমি একটা খারাপ,,,,,,
আর কিছু বলার আগে মাহুয়া রিমানের টাই ধরে টান দিয়ে কিস করে দেয়, রিমানের চোখ রসগোল্লার মতো হয়ে গেছে।
মাহুয়া কিস করে গাড়ির দরজা খুলে দৌড় দিতে যায় কিন্তু পারে না কারন সিট বেল লাগানো ছিলো।
রিমান এখনো শকে আছে, সে বড়ো বড়ো চোখ করেই মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে সিট বেল খুলে দেয়। আর মাহুয়া দেয় দৌড়। এক দৌড়ে ঘরের ভিতর।
রিমান এখনো হা করে বসে আছে।
রিমান,,,,,,,, কি হলো আমি স্বপ্ন দেখছি না কি বাস্তব।
,,,,,
মুন,,,,,,, এটা কি করলাম কি করতে গিয়েছি আর কি করে আসলাম,, এটা করারতো কোনো প্লেন ছিলো না।
,,,,,
ফারহান,,,,,,,,,, রিমি গিয়ে শুয়ে পরো।
,,,,,, না যতো ক্ষন এই রিদি না যাবে ততোখন আমি যাবো না।
,,,,,,, রিমি।
রিদি,,,,,,,,, ফারহান আমাকে পৌঁছে দাও না।
ফারহান,,,,,,,,,, রিদি তুমি ড্রিংক করেছো।
রিদি,,,,,,, সরি সরি বন্ধুরা বললো তাই মানা করতে পারি নি। ( ফারহানের গায়ে পড়ে )
রিমি,,,,,,,, ছাড় ছাড় ফারহানকে।
রিদি,,,,,,,,, চুপ ছারবো না, চলো না বেবি।
রিমি,,,,,,,,, বেবি,, ও শুধু আমার বেবি।
ফরাহান,,,,,,,, রিমি দেখছিস তো ও ড্রিংক করেছে,,, আমি ওকে ছেড়ে দিয়ে আসছি।
রিমি,,,,,,, কোনো দরকার নেয়, ওর ড্রাইভার কে বলো ছেড়ে দিতে।
রিদি,,,,,,,,,,, আমার আর ফারহানের মাঝখানে আসবে না।
রিমি,,,,,,, আমি আসি নি শুরু থেকে ছিলাম। ও পুরোটা আমার।
রিদি,,,,,, ফারহানকে আমার করে নিবো এখনি।
বলে রিদি ফারহানের মাথায় ধরে কিস করতে যায়, আর রিমি তা দেখে রিদিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে ফারহানের ঠোঁটে কিস করে দেয়।
কিস করে বলে,,
রিমি,,,,,, ফারহান I love you
ফারহান রাগে রিমিকে থাপ্পড় মারে।
চলবে,,,,
জ্বীন রহস্য (love story) ❤
Season 2
Writer Maishara Jahan
Part 11
কিস করে বলে,,,
রিমি,,,,,,, ফারহান I love u
ফারহান রাগে রিমিকে থাপ্পড় মারে।
ফারহান,,,,,,,,,,,, রিমি পাগল হয়ে গেছিস, কিছু বলছি না তার মানে এই না যে তুই যা ইচ্ছা করবি।
রিমি,,,,,,,,,, তুমি আমাকে মারলে। ( কান্না করে )
,,,,,,,,, হ্যাঁ, কারন তুই বিদেশে থেকে লজ্জা শরম সব ভুলে গেছিস। লজ্জা করে না নিজের ভায়ের সাথে এমন করতে, ভাবতে পারিনি বিদেশে গিয়ে তোর চরিত্র,,,,,,,,
রিমি,,,,,,, বেস অনেক হয়েছে, আমার চরিত্র সম্পর্কে আর কোনো কথা বলবেন না। কি মনে করেছো আমি তোমার সাথে এমন করি বলে সবার সাথে করি।
আমি তোমাকে ভালোবাসি তাই তোমার পিছে পাগল, শুধু এখন থেকে না ছোট বেলা থেকে, বিদেশে গিয়েও শুধু তোমাকে ভালোবেসেছি।
এতো ভালোবাসি তাই অবহেলা করো না,, যে দিন না থাকবো সে দিন বুঝবে।
ফারহান,,,,,,,,,, রিমি,,,,
রিমি,,,,,,,,, আর বলা লাগবে না আপনাকে, আমি ভালোবাসে ছিলাম তোমার এই সুন্দর মনকে, কিন্তু যে মন আমার ব্যাপারে এতো নিম্ন ধারণা রাখতে পারে সেটা ভালো হতে পারে না। তাই আজ থেকে এখন থেকে আপনি আমার জন্য শুধু আমার বাবার বন্ধুর ছেলে এর বেশি কিছু না। ( কান্না করে )
রিমি দৌড়ে উপরে উঠে রুমে ডুকে দরজা বন্ধ করে কান্না করতে থাকে৷
ফারহান,,,,,,,,,,,, আমার থেকে দূরে থাকা তোর জন্য ভালো। পারলে মাফ করে দিস। ( চোখের কোনায় পানি নিয়ে )
অনেক রাত ফারহান ছাদে দাঁড়িয়ে আছে, আকাশে চাঁদ নেয় তাও তাকিয়ে আছে। এখন রিমান আর আরাব আসে ছাদে,,,,,,
আরাব,,,,,,,,,,, এতো রাতে এখনো ছাদে দাঁড়িয়ে আছিস।
ফারহান,,,,,,,,, তোরা এখনো ঘুমাসনি।
রিমান,,,,,,,,, কিভাবে ঘুমাবো আমার এক বোন কান্না করে বালিশ ভিজাচ্ছে আরেক ভাই মনে কষ্ট নিয়ে ছাদে দাঁড়িয়ে আছে।
আরাব,,,,,,,,, কেনো কষ্ট দিলি রিমিকে,, ও তোরে খুব ভালোবাসে আর তুইও তো রিমিকে পাগলের মতো ভালোবাসিস ছোট থেকে।
ফারহান,,,,,,,,,,,, এই ভালোবাসার কোনো পরিণাম নেই। আমরা দুজন কোনো দিন এক হতে পারবো না।
রিমান,,,,,,,,, চেষ্টাতো কর।
ফারহান,,,,,,,, কি চেষ্টা করবো জানিস না একটা মানুষ আর জ্বীনের বিয়ের পরিণাম কি,, মেহেরিমা আন্টির সব শক্তি চলে যায় আর তা যাওয়ার সময় আন্টির অবস্থা কি হয়েছিলো জানিস না।
আন্টি তো সয়ে নিয়েছে কিন্তু রিমি পারবে না, কারন ওর শরীরের অবস্থা তো যানিস,,, ওর জন্য আমি ডক্টর হয়েছি যাতে ওর সব সমস্যা দূরর করতে পারি কিন্তু ওর সমস্যা এ চিকিৎসা দিয়ে ঠিক হবে না।
রিমান,,,,,,,,,, ও তোকে না পেলে এমনিও বাঁচবে না,, এক বার চেষ্টা করে তো দেখ, হয়তো রিমির কিছু হবে না।
ফারহান,,,,,,,,,, আমি রিমির জীবনের সাথে কোনো রিক্স নিতে পারবো না। রিমির কাছ থেকে দূরে থেকেও ওকে দেখতে তো পারবো, এটা যাতে না হয় ওর কাছে যেতে গিয়ে ওকে সারা জীবনের মতো হারিয়ে ফেলি।
আরাব,,,,,,,,,,, আমার মনে হয় না তুই থাকতে পারবি, যখন রিমি তোর সামনে ছিলো না তখন তুই ওকে দেখার জন্য ছটফট করতি এখন তো চোখের সামনে।
রিমান,,,,,,,, ঠিক আছে চল এখন।
,,,,,,,, হুমম
সকালে,,,,,,,,,,,,
সবাই নিচে বসে আছে, রিমি রেডি হয়ে নিচে নামে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে কাল সারা রাত কান্না করছে ঘুমায়নি।
আরাব,,,,,,,,,,, এতো সকাল সকাল উঠে পরছোস যে।
রিমি,,,,,,,, আগে বাসায় যাবো তারপর ঐখান থেকে কলেজে যাবো।
রিয়ান,,,,,,,, ঠিক আছে খেয়ে যা।
রিমি,,,,,,,,,, না আমার ভালো লাগছে না, পরে খেয়ে নিবো৷
আরাব,,,,,,,,,, কিছু খেয়ে যা৷
রিমি,,,,,,, না ভাইয়া,ভালো লাগছে না।
ফারহান,,,,,,,,, চল আমি দিয়ে আসি।
রিমি,,,,,,,,,,, না ভাইয়া লাগবে না।
ফারহান,,,,,,,,,, ভাইয়া ( কথাটা কাঁটার মতো বুকে লাগলে মনে হলো ) বেশি কথা বাড়াস না চল।
রিমি,,,,,,,,,,, আমার গাড়ি আছে আর আমি গাড়ি চালাতেও পারি তাই আপনাকে কষ্ট করতে হবে না ভাইয়া৷ আমি আসলাম।
বলে চলে যায়। ফারহান ও তার পিছে পিছে যাই। রিমি গাড়ি চালাচ্ছে আর খেয়াল করছে ফারহান ও তার পিছনে গাড়ি নিয়ে আসছে।
রিমি বাসায় যায়,,কিছু খন পর বেরিয়ে দেখে ফারহান তাদের বাড়ির বাহিরে গাড়িতে এখনো বসে আছে, রিমি না দেখার বান করে গাড়ি করে কলেজে চলে আসে।
রিমি চুপচাপ ক্লাসে চলে যায়, আশেপাশে ফারহান থাকলেও না দেখার বান করে থাকে৷
,,,,,,,,,,,,,
রিমান মাহুয়ার বাসার সামনে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, কিছু খন পর মাহুয়া বের হয়। মাহুয়া সামনে যেতেই রিমান হন বাঝায়,
মাহুয়া পিছনে তাকিয়ে রিমানকে দেখে সামনে জোরে হাঁটা শুরু করে ,
রিমান,,,,,,, আরে ও হ্যালো।
রিমান গাড়ি আগে নিয়া যায়,মাহুয়া হাঁটছে আর রিমান গাড়ির ভিতর থেকে বলছে।
রিমান,,,,,,,,,, গাড়িতে উঠো।
মাহুয়া,,,,,,,,, আপনি এখানে কেনো।
,,,,,,,,, আরে এদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম তাই ভাবলাম তোমাকে নিয়ে যায়।
,,,,,,,৷ কিন্তু আপনার বাসা তো উল্টো দিকে।
,,,,,,,, এইদিকে একটা কাজের জন্য এসেছিলাম। বসো আমাদের গন্তব্য তো একি।
,,,,,,, হুমম
মাহুয়া গাড়িতে বসে, রিমান গাড়ি চালাচ্ছে, কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারছে না, মাহুয়া তো বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে, রিমানের দিকে ফিরতে লজ্জা বোধ করছে৷
রিমান,,,,,,,,,,, মাহু কালকে,,,,,,,
মাহুয়া,,,,,,,, কালকে পার্টিতে অনেক মজা হয়েছে ( তাড়াতাড়ি করে বলে )
,,,,,,,,,,, তাতো হয়েছে কিন্তু রাতে
,,,,,,,,, হুমম রাতে ঘুম ভালো হয়েছে আমার,,,, আর আপনার।
,,,,,,,,, আমি একটুও ঘুমাতে পারি নি। এবার আমার কথা শুনো 😤😤
,,,,,,,,,, ঘুমাতে পারেননি তো ঘুমের ঔষধ খেতেন। 😅😅
,,,,,,,,,, 😡😡 আরে কাল রাতে যে তুমি
,,,,,,,,,৷ কাল রাতে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য thanks।
এবার রিমানের রাগ হয়, রিমান গাড়ি থামিয়ে মাহুয়ার মুখের সামনে যায় মাহুয়া গাড়ির জালানার সাথে লেগে যায় রিমান হাত দিয়ে জালানায় ধরে মাহুয়ার চোখের দিকে রাগে তাকিয়ে আছে৷
রিমান,,,,,,, কাল,,,
রিমি,,,,,,, কাল ,,,,,,,
রিমান,,,,,, আমার কথার মাঝে কথা বলবা না,,, না হলে তোমার জন্য ভালো হবে না।
,,,,,,, হুমম ( মাথা নাড়িয়ে )
,,,,,,,,, বলো কাল রাতে কিস কেনো করেছিলে, ভালোবাসো 🤨🤨
,,,,,,,, চুপ,,,,,,,
,,,,,,, কি হলো বলো।
,,,,,,, আপনি তো চুপ থাকতে বলেছেন।
,,,,,,,,,, আচ্ছা অন্য সময় তো তোমার মুখে কসটেপ মারলেও চুপ করানো যায় না। জবাব দাও ভালোবাসো কি না।
,,,,,,,,,, একটু সময় লাগবে।
,,,,,,,,,, আমার কাছে কোনো সময় নাই, বললে এখনও বলো৷
,,,,,,, আরে একটু সময় দেন।
,,,,,,,, ঠিক আছে আমরা অফিস পৌছানো পর্যন্ত সময় দিলাম।
,,,,,, এতো সময় আর ২/৩ মিনিটে অফিস চলে আসবে৷
,,,,,,,,,, আমার ১ মিনিট অনেক দাম আছে বুঝছো
,,,,,,, ও আচ্ছা আমি এতো দামি মানুষ আমার কাছে রাখতে পারবো না।
,,,,,,,, কে বলেছে আমার দাম আছে, আমি একদম ফ্রি,, ওকে ২ ঘন্টা সময় দিলাম।
,,,,,,,,, thanks এতো সময় দেওয়ার জন্য, এবার চলেন৷
,,,,,,,,,,,,
আরাব,,,,,,,,,,, এতো সময় হয়ে গেলো মুন এখনো আসছে না কেনো৷ নিজের উপরি রাগ হচ্ছে। এক বার মুনের বাসায় যায়।
আরাব মুনের বাসায় যেতে নেয় আর মুন চলে আসে।
,,,,,,, তুমি আসছো, আমি এখনি তোমার বাসায় যেতে নিয়েছিলাম৷
,,,,,,,,,, আমি রিযাইন দিতি এসেছি।
,,,,,,,, কেনো
,,,,,,,,,,, আমার মন চেয়েছে তাই।
,,,,,,,, মুন পিল্জ আমার কথাটা শুনো।
,,,,,,,, শুনবো না।
,,,,,,,, পিল্জ, এখানে বসো শুনো একটা বার কথা শুনো।
,,,,,,,, জ্বী বলেন জি বলবেন আমার তাড়াতাড়ি যেতে হবে।
,,,,,,,,,, মুন আম রেলি সরি,,,, পার্টিতে তোমাকে সবাই ঐভাবে দেখছিলো আমার ভালো লাগছিলো না, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি তাই কেও তোমাকে ঐভাবে দেখবে আমি সয্য করতে পারবো না।
তোমাকে দেখার ছুঁয়ার অধিকার শুধু আমার অন্য কারো না। আর রাগ অনেক বেশি, রাগ উঠলে নিজেকে সামলাতে পারি না। আর কখনো এমন হবে না।
মুন,,,,,,,,,,, প্রমিজ।
আরাব,,,,,,,,,, প্রমিজ,,,,, মাফ করে দিয়েছো তো আমায়।
মুন,,,,,,,, এতো সহজে না, আজ রাতে আমাকে সুন্দর একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে।
আরাব,,,,,,,,,, ডান,,,,,
,,,,,,,
লাঞ্চের সময় ফারহান কেন্টিনে বসে আছে অপেক্ষা করছে রিমির, রিমি আসতেই হাসি চলে আসে ফারহানের, কিন্তু রিমি খাবার নিয়ে তাদের ক্লাস মেটের সাথে বসে।
ফারহানের পাশে রিদি বসে, ফারহান বার বার রিমিকে দেখছে কিন্তু রিমি স্বাভাবিক ভাবে সবার সাথে কথা বলছে খাবার খাচ্ছে।
ফারহান,,,,,,,,, ( তোর দুষ্টামি গুলো অনেক মিস করছি রে )
রিদি,,,,,,,, কি হলো খাচ্ছো না কেনো৷
ফারহান,,,,,,,,, ভালো লাগছে না।
রবিন,,,,,,,,, আজ আমাদের সাথে খেতে বসলে যে।
রিমি,,,,,,,,, কেনো কোনো সমস্যা আছে।
রবিন,,,,,,,, সমস্যা কেনো থাকবে, এটা তো আমাদের সৌভাগ্য।
রিমি,,,,,,,, তাই নাকি
রবিন,,,,,,৷ হুমম,,,, প্রতিদিনের মতো আজো তোমায় অনেক সুন্দর লাগছে।
রিমি,,,,,,,,,, thank you..
রবিন,,,,,,,,, তুমি কি সিঙ্গেল।
রিমি,,,,,,,, হুমম কেনো।
রবিন,,,,,,,, এমনি,,, এতো সুন্দর মেয়ে সিঙ্গেল বা।
ফারহানের এই সব কথা শুনে রাগে উঠে চলে যায়, রিমি এক বার তাকিও আবার ফিরিয়ে নেয়।
সারা দিন রিমি ফারহানের দিকে একবারও তাকানি,
ফারহান,,,,,,,, ( এমন মনে হচ্ছে সারা দিনে কিছুই করিনি, কিছুই ভালো লাগছে না )
রিমি যেতে নেয় আর ফারহান তার পথ আটকায়।
রিমি,,,,,,,,,,, কি হয়েছে ভাইয়া।
ফারহান,,,,,,,,,, কি শুরু করেছিস ইগনর করছিস কেনো।
,,,,,,,,,,, ভাইয়া আমার সাথে কথা বললে আপনার মান সম্মান নষ্ট হয়ে যাবে, তাই দূরে থাকুন।
,,,,,,,,, রিমি কালকের জন্য সরি।।
,,,,,,,,,,, সরি বলবেন না আপনি আমার চোখ খুলে দিয়েছেন, আমার চরিত্র ঠিক করার চেষ্টা করছি।
,,,,,,,,,,, রিমি সরি।
,,,,,,,, ভাইয়া আমার ক্লাসের সময় হয়ে গেছে আমি এখন আসি।
বলে চলে যায় রিমি, ফারহান দাড়িয়ে আছে।
ফারহান,,,,,,,,, ( তোর থেকেও বেশি কষ্ট হচ্ছে আমার রিমি )
,,,,,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,,,,, এখন বলো আমাকে ভালো বাসো।
মাহুয়,,,,,,,, একটু পর বলছি,এখন কাজ আছে যান।
রিমান,,,,,,,,,,, না এখনি বলা লাগবে।
মাহুয়া,,,,,,, না।
রিয়া,,,,,,,,,, স্যার আপনার নাকি শরীর ভালো না আজ, আপনি বসেন আমি ম্যাসাজ করে দিচ্ছি।
মাহুয়া,,,,,,,, কোনো ম্যাসাজ দেওয়া হবে না।
রিয়া,,,,,,,,,, কেনো তুমি বলার কে।।
মাহুয়া,,,,,,,, খবর দার ওর গায়ে হাত দিয়েছো তো।
রিয়া,,,,,,,,,,, কেনো তুমি কি ওর মা লাগো।
মাহুয়া,,,,,,,,,,, না ওনার গার্লফ্রেন্ড লাগি, শুনেছো।
রিমান,,,,,,,,, না শুনেনি আবার বলো।
রিয়া,,,,, শুনেছি
রিমান,,,,,,,, আমার থেকে বেশি যানো, তুমি শুননি,, আবার বলো কি লাগো।
মাহুয়া,,,,,,,,,, গার্লফ্রেন্ড লাগি, ম্যাসাজ দরকার পরলে আমি দিবো, তোমার দরকার হবে না।
রিমান,,,,,,, আরে হ্যাঁ আমার কাধ অনেক ব্যাথা করছে নাও একটু টিপে দাও না ( চেয়ারে বসে )
,,,,,,,, গলা ব্যাথা করছে না।
,,,,,,,,, না ঐটা ঠিক আছে, তুমি কাধ টিপে দাও ওটাই হবে।
,,,,,,, ড্রামাবাজ ।
চলবে,,,,,,,