গল্প-জ্বীন রহস্য,(পর্ব-০৬ ও শেষ)

গল্প-জ্বীন রহস্য,(পর্ব-০৬ ও শেষ)
লেখক- Riaz Raj

তাজকিয়া তাকিয়ে থাকে। রিয়াজ দৌড়ে ব্যালকনিতে এসে এক লাফ দেয়৷ তাজকিয়া জানালা দিয়ে স্পষ্ট দেখে,রিয়াজ ব্যালকনি থেকে লাফ মেরে নিছে নয়,উপরের দিকে উড়ে উঠে গেছে।

তাজকিয়া হতভাগার মতো তাকিয়েই আছে। এইটা সে কি দেখলো। হয়তো এমন ঘটনার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিলো না। তাজকিয়া দৌড়ে এসে ব্যালকনিতে দাঁড়ায়। উপরে কাওকেই দেখা যায়না। চিন্তায় পড়ে যায় সে। কি করবে,বা কি ভাবছে,সেটাই জানেনা সে। নিজেকে এক রকম পাগল পাগল মনে হচ্ছিলো তার। তাজকিয়া ব্যালকনি থেকে আবার ফিরে আসতে চাইলে,কেও পিছন থেকে তার হাতটা ধরে ফেলে। হটাৎ কারো স্পর্শ পেয়ে তাজকিয়া থমকে দাঁড়ায়। তবে তার বিশ্বাস ছিলো এইটা রিয়াজ। এবং তার ধারণা ভুল হয়নি। রিয়াজ তাজকিয়ার হাত ধরে দাড় করায়। কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে,রিয়াজের মুখ রক্তাক্ত হয়ে আছে। মনে হচ্ছে কারো সাথে যুদ্ধ করে এসেছে। তাজকিয়া প্রশ্ন করার আগেই,রিয়াজ বলল,
– কথা বেশি বলার সময় নেই। তাড়াতাড়ি চলো। হাতে সময় কম।
তাজকিয়া কিছু বুঝতে পারেনা। রিয়াজ তার হাত ধরে টান দেয়। আর এক টানেই তাজকিয়া রিয়াজের বুকে চলে আসে৷ এই প্রথম তাজকিয়া রিয়াজের বুকে তার মাথা রেখে শান্তি পায়। রিয়াজ তাজকিয়াকে নিয়ে আবার এক লাফ দেয়। ভয়ে তাজকিয়া চিৎকার দিয়ে উঠে। কিন্তু লাভ নেই,ততক্ষণে রিয়াজ শূণ্যের উপরে ভাসছে। তাজকিয়া ভয়ে চোখ বন্ধ করে দেয়।

চোখ মেলে তাজকিয়া নিজেকে একটা জঙ্গলে আবিষ্কার করে। রিয়াজকে এখনো জড়িয়ে ধরে আছে সে। তাজকিয়া মুখটা তুলে রিয়াজের দিকে তাকায়। কিন্তু রিয়াজের দৃষ্টি ছিলো সামনে। অর্থাৎ তাজকিয়ার পিছনে। তাজকিয়াও রিয়াজের দৃষ্টি ফলো করে পিছনে তাকায়। আর দেখে, বড় বড় চারজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। তাদের গায়ে সাদা পাঞ্জাবি। দেখতে অনেক লম্বা। তাদের মুখ কালো কুৎসিত। চোখ আগুনের মতো লাল। আর হাতের নখ অনেক বড়। তাজকিয়া এক নজর দেখেই রিয়াজকে শক্ত করে আবার জড়িয়ে ধরে৷ রিয়াজ তাজকিয়াকে বলল,
– ভয় পাবার কিছু নেই। আমি আছি।
রিয়াজের কথায় আবার সাড়া দেয় তাজকিয়া। রিয়াজ তাজকিয়াকে পাশে দাড় করিয়ে,সামনে থাকা জ্বীনগুলোর সাথে কথা বলা শুরু করে। রিয়াজ নিজেই বলল,
– আমি আমার ওয়াদা ফিরিয়ে নিচ্ছি। আমার দ্বারা এমন হবেনা।
– তুমি ভুলে যাচ্ছো,তুমি একটা জ্বীন।
ওদের কথা শুনেই তাজকিয়া রিয়াজের দিকে তাকায়। ভয়ের চাহনিতে। রিয়াজ তাজকিয়াকে মাথা নাড়িয়ে শান্তনা দিলো। এরপর রিয়াজ সেই জ্বীন গুলোকে বলে,
– হ্যাঁ, আমি জ্বীন। তো আমাকে কেনো মানবজাতির সাথে জীবনযাপন করতে বলা হয়েছে। কেনো আমাকে জ্বীনরাজ্যে জায়গা দেওয়া হয়নি। ভালোবাসা কি,তা কেনো শেখানো হয়েছে। মায়া জন্মায় কিভাবে , সেটা কেনো আমাকে উপলব্ধি করতে হয়েছে।
– ভুল বোঝার কিছু হয়নি। মানব জাতির সাথেই যেহেতু আমাদের এই কাজ,তাই মানব জাতিকে আগে বুঝা লাগবে। আর তোমাকে মানব জাতিতে পাঠিয়েছি,যাতে মানুষের মন তুমি সহজে বুঝতে পারো। জ্বীনরাজ্যের অভ্যাস তোমার ভিতর একবার চলে এলে,তুমিও কখনো মানুষকে হাতের মুঠোয় আনতে পারতে না। সব কিছু মিলিয়ে,তোমাকে মানবজাতির কাছে পাঠানো হয়।
– আমি আর পারবো না। এইবার আমি মানুষ হতে চাই। আজ আমার মনেও মানুষত্ব কি,তা প্রকাশ পেয়েছে। আমি আর জ্বীন রাজ্য পেতে চাইনা। মানুষ হয়েই বাচতে চাই।
– তুমি ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছো৷ তোমার এই ভুলের জন্য জ্বীনরাজ্যে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে।
– জ্বীনরাজাকে বলে দিন।আমি আমার ওয়াদা ফিরিয়ে নিয়েছি। আমি মানুষের মাঝে মানুষ হয়ে বাচতে চাই।
– মহারাজ রেগে গেলে ভালো কিছু হবেনা। এরচেয়ে ভালো হবে, তুমি এই মেয়েকে আমাদের হাতে তুলে দাও। আজ ১৬ বছর পর এই দিন আসছে। এই দিনের জন্য জ্বীন রাজ্যের সবাই অপেক্ষা করেছিলো।
– হ্যাঁ, এই দিনের জন্য আমিও অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু একটা মানুষের জীবন নিয়ে,একটা জ্বীনকে জ্যান্ত করা কি নিয়মে পড়ে? এইটা সম্পুর্ন অন্যায়।
– আমি তোমাকে বোঝাতে পারছিনা,তুমি কত বড় ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছো। মহারাজের আদেশ অমান্য করা কত বড় শাস্তি হতে পারে,তোমার ধারণা আছে?
– হুম।সাথে আমার এই ধারণাও আছে যে,জ্বীন আর মানুষ হত্যা করা মহাপাপ। আমি এমন পাপ করতে পারবো না।
– দেখো রিয়াজ। আমরা আর পারছিনা। তুমি নিজেও বিপদে পড়ছো,আর আমাদেরও বিপদে ফেলতাছো।
– অন্যায়ের মোকাবিলা করার জন্য আমি সব ধরনের লড়াই করবো।
– সীমা লঙ্ঘন করে ফেলতাছো রিয়াজ। এইবার কিন্তু আমাদের রাগিও না। নয়তো এই মেয়ে আর তুমি। দুজনেই মরবে।
– সাহস থাকে তো এই মেয়ের গায়ে একবার স্পর্শ করে দেখাও।

৪ টা জ্বীনই রেগে গেলো প্রচুর। এদিকে তাজকিয়া কিছুই বুঝতে পারেনা। তাকে নিয়ে কেনো এতো কথা হলো,এর পিছনে রহস্য কি। তার কিছুই জানেনা তাজকিয়া৷ কিন্তু তাজকিয়া এইটা বুঝতে পারে,১৬ বছর ধরে তাজকিয়াকে নিয়ে এই জ্বীনরা ফলো করছে। এদিকে চারটা জ্বীনই রেগে গিয়ে ফুলতে থাকে। রিয়াজও কম না,সেও রেগে আগুন হয়ে আছে। হটাৎ একটা জ্বীন উড়ে এসে তাজকিয়ার গলা ধরতে চায়।তখনি রিয়াজ তাদের সমান লম্বা হয়ে যায়৷ আর সাথে সাথে সেই জ্বীনের গলা উল্টো ধরে ফেলে। কিছু না ভেবেই রিয়াজ জ্বীনটাকে মাটিতে আছাড় মারে। প্রায় এক ফুট মাটির নিছে ঢুকে যায় জ্বীনটা। রিয়াজ রাগে ভয়ংকর একটা আওয়াজ ছাড়ে। তাজকিয়া এখন রিয়াজকে দেখেও ভয় পেয়ে যায়। রিয়াজেরও চোখ আগুনের মতো লাল হয়ে যায়। দেহের গঠন জ্বীনের মতোই লম্বা হয়ে যায়৷ আর রিয়াজের শরীর থেকে একটা সাদা আলো বের হচ্ছে,যা একটা পাঞ্জাবির মতোই দেখায়। রিয়াজ মাটি থেকে সেই জ্বীনকে তুলে,আকাশের দিকে ছুড়ে মারে। জ্বীনটা নিমিষেই কোথাও হারিয়ে যায়। বাকি ৩ টা জ্বীন। তারা দাত বের করে। আর বিশাল বড় হা করে এগিয়ে আসে রিয়াজের দিকে। রিয়াজ একজনের গলা চেপে,অন্যজনের মুখ চেপে ধরে,কিন্তু আরেকজন হুট করে এসে রিয়াজের ঘাড়ে কামড় বসায়। রিয়াজ দুইজনকে দুই হাতে আছাড় মারে। এরপর কামড় দেওয়া জ্বীনটাকে ধরে মাটিতে আছাড় মারে। ৩ টা জ্বীনই হেরে গিয়ে হার মেনে নেয়।
আর তখনি একটা আলো উপর থেকে নেমে আসে। তাজকিয়া আর রিয়াজ সেই আলোর দিকে তাকাতে তাকাতে,অজ্ঞান হয়ে যায়।

ধীরে ধীরে দুজনেরই চোখ মেলে। রিয়াজ অনুভব করতে পারে, আশেপাশে অনেক জ্বীন আছে। সাথে সাথে রিয়াজ উঠে যায়। এবং আশেপাশে তাকিয়ে দেখে, তাকে জ্বীন রাজ্যে আনা হয়েছে। চারপাশে মাঠ,আর মাঠের সাইডে একটা বিশাল চেয়ার। সেই চেয়ারে মহারাজ বসে আছে। রিয়াজ পাশে তাকিয়ে দেখে,তাজকিয়া শুয়ে আছে সেখানে। জ্বীনরাজা গলার স্বর ছেড়ে বলল,” তুই বেয়াদবি কেনো করেছিস,আমার রাজ্যের জ্বীনদের কেনো মেরেছিস”। জ্বীনরাজার ধমকে পুরো মাঠ কাপতে লাগলো। এবং তাজকিয়ারও চোখ খুলে যায়৷ তাজকিয়া চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে এই অবস্থা। ভয়ে সে রিয়াজের পিছনে গিয়ে লুকায়৷ রিয়াজ জ্বীনরাজাকে বলা শুরু করে৷
– মহারাজ,ক্ষমা করবেন। কিন্তু আমার দ্বারা এইটা কখনো সম্ভব না।
– এই মেয়ের দাদা আমাদের খাইরুল জ্বীনকে গোলাম বানিয়ে কি করেছে মনে নেই?
– হ্যাঁ মনে আছে। খাইরুল জ্বীনকে শক্তিশালী বানাতে গিয়ে মেরে ফেলেছিলো৷ কিন্তু এতে তো মানুষটার দোষ নেই। উনি ভুল করে কয়েকটা মন্ত্র পড়েছে বলেই খাইরুল জ্বীন মারা যায়। আর সাথে তো এই মেয়ের দাদাও মরেছে। তবে এর শাস্তি তাজকিয়া কেনো পাবে।
– ওর দাদা মরার আগে একটা মন্ত্র পড়ে, তার মেয়ের দেহে শক্তি দেয়। অর্থাৎ তার মৃত্যুর পর, খাইরুল জ্বীন এই মেয়ের মা।অর্থাৎ শায়েলা বেগমের গোলাম থাকতো। কিন্তু শায়েলা বেগম বিয়ে করে ফেলায়, সেই শক্তি চলে এসেছে এই মেয়ের দেহে। ওর দাদা মারা গেলেও, খায়রুল এখনো মরেনি। এই মেয়ের হৃদপিণ্ড বের করে,তাজা রক্ত খাইরুলের দেহে ফেললেই,আবার সে জিন্দা হবে।
– মহারাজ,ভুল মাফ করবেন। খাইরুল জিন্দা নয়। তাকে জিন্দা করছেন আপনি। আপনার কথা অনুযায়ী আমি মরিয়ম বেগমের গর্ভে গেছিলাম সেই ২৫ বছর আগে। নতুন জন্ম হওয়ায় কিছু মনে ছিলো না। রাজ্যের জ্বীনরা আমায় ধীরে ধীরে সব মনে করায়। ছোটবেলা থেকেই আমি এই মেয়েকে নজতে রেখেছি। তার যাতে বিয়ে না হয়,সব কিছুতে খেয়াল করেছি। মানবজাতির সাথে মিশেছি। আমার পুরো ২৫ বছর আমি মানুষের সাথে তাল মিলিয়েছি। কিন্তু তখন আমি বুঝতাম না। আমি শুধু আদেশ পালন করায় ব্যাস্ত ছিলাম। আপনার কথা অনুযায়ী আমি এই মেয়েকে বিয়ে করেছি। বিয়ের পর তার সাথে প্রতিনিয়ত খারাপ ব্যবহার করেছি। শুধু দায়িত্ব পালন করার জন্য। তার মনে আমার জন্য যাতে একটুও ভালোবাসা না থাকে,সেই ব্যবস্থা করায় ব্যস্ত ছিলাম। বিয়ের আগে তার সাথে অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়েছি। শুধুমাত্র তাকে ডিপ্রেশনে ফেলে আমার দিকে ঝুকাতে। আমার প্রতিটি স্পর্শ সে চিনতে না পারলেও,তার মনে আমি আমার জায়গা করে রেখেছি। যাতে অন্য কাওকে বিয়ে করে,সেই শক্তি খরচ না করে। কিন্তু আজ আমি বুঝতে পারছি, আমি অন্যায় করে এসেছি। হিসেব করলে সে এখন আমার স্ত্রী। আমি জ্বীন জাতি ত্যাগ করে মানুষ হতে চাই। কাওকে জিন্দা করার জন্য,আমি কখনো কারো জীবন শেষ করতে পারিনা।

রিয়াজের মন্তব্য শুনে সব জ্বীনেরা নিজেদের মাঝে কথা বলা শুরু করে৷ কিন্তু জ্বীনমন্ত্রি ব্যাপারটা মানতে পারেনি। কারণ খাইরুল জ্বীন ছিলো মন্ত্রির বাবা। জ্বীনমন্ত্রী হুংকার ছেড়ে বলল,” তোর এতো বড় সাহস,জ্বীনরাজার কথার উপরে কথা বলিস। জ্বীনরাজাকে জ্ঞান দিস। তোর মৃত্যু আজ আমার হাতে”। এইটা বলেই মন্ত্রি বাতাসের গতিতে রিয়াজের দিকে ছুটে আসে। রিয়াজ হটাৎ ভয়ংকর রুপ ধারণ করে বসে। এরপর হাতের নখ বড় করে,সেও দৌড় দেয়। মন্ত্রি কাছাকাছি আসতেই,রিয়াজ হাতের নখ মন্ত্রির এক চোখে ঢুকিয়ে দেয়। শুধু নখ ঢুকায় নি,মন্ত্রির চোখ তুলে নিয়ে আসে। মন্ত্রি মাঠে পড়ে ধড়পড় করা শুরু করলো,সেই মুহুর্তে বাকি জ্বীনরা ক্ষেপে যায় রিয়াজের উপর।রিয়াজও প্রস্তুতি নেয় লড়াই করার জন্য। এদিকে এসব দেখে জ্বীনরাজা ধমক দিয়ে বলল,” থামো সবাই”। জ্বীনরাজার কথায় সবাই আবার শান্ত হয়ে যায়। এরপর জ্বীনরাজা বলতে লাগলো,
– রিয়াজ তার অবস্থান ঠিক রেখে কাজ করেছে। হোক জ্বীনরাজ্য,আর হোক মানবজাতি। সব কিছুতেই ভালোবাসার শক্তি প্রবল।তোমরা কেও রিয়াজের সাথে লড়াই করে পারবেনা। কারণ তোমরা লড়াই করবে রাজ্যের জন্য,আর সে করবে ভালোবাসার জন্য। যেখানে মৃত্যুকে কেও একটুও ভয় করেনা। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রিয়াজ এবং তাজকিয়াকে মানবজাতির অধীনে দেওয়া হবে। আজ থেকে রিয়াজ তার সকল জ্বীনশক্তি ত্যাগ করবে।

জ্বীনরাজার কথা শুনে রিয়াজ এবং তাজকিয়া,দুজনেই খুশি হয়। এদিকে জ্বীনরাজা আবার একটা আলো ছুড়ে মারে তাদের দিকে। সাথে সাথে রিয়াজ আর তাজকিয়ার চোখ ঝাপসা হতে লাগলো।

পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙ্গে রিয়াজের। চোখটা মেলেই সে লাফিয়ে উঠে। এইটা কেমন স্বপ্ন দেখেছে সে। আদৌও কি এইটা সপ্ন ছিলো? নাকি সত্য। রিয়াজ নিজেও জানেনা। আর তখনি তাজকিয়া চা বানিয়ে, রিয়াজের সামনে রাখে। রিয়াজ চা নিয়ে টেবিলে রাখে, এরপর তাজকিয়াকে টান দিয়ে বুকে নিয়ে আসে। তাজকিয়া লাজুক চেহারা নিয়ে বলল,
– দুষ্টু ছাড়ো,আম্মু চলে আসবে তো।
– আসুক,তাতে আমার কি। আমার বউকে আমি যখন তখন আদর করবো।
– শুনো না,কাল রাতে আমি একটা স্বপ্ন দেখেছি। খুবি বাজে ছিলো। তবে বেশ মজা পেয়েছি। পুরো মুভির মতো কাহিনি ছিলো।
– আমিও তো একটা দেখেছি। হাহাহা,আমার আর তোমার মাঝে কত মিল।
– হ্যাঁ গো হ্যাঁ৷ তুমি আমার জামাই বলে কথা।
– তোমার কপালে এইটা কিসের আঘাত?
– জানিনা,ঘুম থেকে উঠার পরই দেখে যাচ্ছি।
– একটু সাবধানে তো চলতে পারো। আচ্ছা বাদ দাও। আসো একটু ইয়ে করি…
– ইয়ে কি?
– ইয়ে মানে ওইজে ইয়ে।
– কি ইয়ে মানে ইয়ে করতেছো৷
– এই মাইয়া বুঝেনা কেন। চল,ইয়ে কি তোকে বুঝাই। ( বলেই তাজকিয়াকে বিছানায় ফেলে,রিয়াজ ঝাপিয়ে পড়ে)

পুরো ঘটনা স্বপ্নের মতো তাদের জীবনে থেকে যায়। দুজনের কাছেই,সব কিছু স্বপ্ন হিসেবে রয়ে গেলো। তবে কি এইটা আসলেই স্বপ্ন ছিলো? নাকি জ্বীনরাজা তাদের মস্তিষ্ক থেকে সব মুছে স্বপ্নতে পরিনত করে ফেলেছে। রহস্য।
কিছু রহস্য আসলেই রয়ে যায়,যার সমাধান থাকেনা। তেমনি এইটাও একটা রহস্য৷ কিন্তু এর সমাধান করবেন আপনি। কমেন্ট আর গ্রুপে জানিয়ে দিন,আপনার কি মনে হয়।

সমাপ্ত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here