গল্পের নাম:প্রেম পায়রা,পর্ব ১৮
লেখনীতে:অজান্তা অহি (ছদ্মনাম)
কিয়ৎক্ষন পরে কাঁধে কারো স্পর্শ পেয়ে চোখ তুলে তাকালো নিশান।তুলি চিন্তিত মুখে দাঁড়িয়ে আছে।নিশান তুলির বাম হাতটা দু হাতের মুঠোয় পুড়ে নিল।তার ভেতরে ভাঙচুর হয়ে যাচ্ছে।বাবার কিছু হলে সে নিজেকে ঠিক রাখতে পারবে না।কিছুতেই না!
তুলি নিশানের পাশের চেয়ারে বসে পড়লো।নিশানের থেকে হাতটা ছাড়িয়ে পানির বোতলের ছিপি খোলার চেষ্টা করলো।হসপিটালের সামনের দোকান থেকে সে মাত্র পানির বোতল কিনে ফিরলো।
বোতলের ছিপি খুলে সে নিশানের দিকে বাড়িয়ে দিল।শীতল গলায় বলল,
—‘একটু পানি খান।ভালো লাগবে!’
নিশান বোতল হাতে নিল না।মাথা নেড়ে অসম্মতি জানাল।তুলি জোর করে তার হাতে বোতল গুঁজে দিল।মানুষটার চোখ মুখ কেমন শুকিয়ে গেছে।পানি খেলে একটু ভালো লাগবে।
তুলির দিকে এক পলক চেয়ে অনিচ্ছা নিয়ে সম্পদ বোতল উঁচু করে পানি খেল।কয়েক ঢোক খেয়েই নামিয়ে রাখলো।তুলি তার হাতটা চেপে ধরে আশ্যস্তের সুরে বলল,
—‘বাবার কিছু হবে না।আপনি চিন্তা করবেন না।উনি ঠিক হয়ে যাবেন।’
—‘মা কোথায় তুলি?’
—‘মা বড় খালামণির সাথে বাহিরে বসে আছে।এখানে থাকলে আরো কান্নাকাটি করবে।আমি জোর করে এক টুকরো কেক আর পানি খাইয়ে দিয়ে এসেছি।আপনি কিছু খাবেন?’
নিশান দূর্বলভাবে মাথা নেড়ে না জানায়।তুলি আর জোর করে না।
তার শ্বশুর মশাই ঠিকঠাক ছিলেন।রাতের বেলাও খাবার টেবিলে অনেক গল্প গুজব করেছেন।নানা রকমের দার্শনিক কথা বলেছেন।তার প্রতিটি কথা থেকে যেন জ্ঞান ঝড়ে পড়ে।তুলি মুগ্ধ শ্বশুরের প্রতিটি কথায়।
আজ ভোরবেলা হঠাৎ করে সিদ্দিকুর রহমানের সুগার ফল করেছে।সম্পূর্ণ শরীর ছেড়ে দিয়েছে একদম।কোনো কথা বলতে পারছিল না।রেসপন্স করছিল না।শরীর নিস্তেজ হয়ে আসছিল।ভয় পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
—‘নিশান ভাই, বড় বাবা কেমন আছে?’
আচমকা প্রশ্নে নিশানের বুকের ভেতর ধ্বক করে উঠে।কন্ঠটা তার খুব পরিচিত।সে অস্বস্তি নিয়ে মুখ তুলে তাকায়।তিথি ভয়ার্ত চেহারা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।চোখ মুখ ফোলা ফোলা।দেখে বোঝা যাচ্ছে সারা রাস্তা কান্না করেছে।গালে এখনো পানির শুষ্ক বলিরেখা।
কতগুলো দিন,কতগুলো মাস পর তিথি তার সাথে কথা বললো।নিজে থেকে কিছু জিগ্যেস করলো।নিশানের বুকের উক্তপ্ত মরুভূতি যেন একটু শীতল হলো।তিথির পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সম্পদের উপর নজর পড়তে সে চোখ সরিয়ে নিল। নিজেকে সামলে ক্ষীণ স্বরে বলল,
—‘বুঝতে পারছি না।কেবিনের ভেতর ডাক্তার চিকিৎসা দিচ্ছে।’
তিথি ঠিক মতো দাঁড়াতে পারছে না।বড় বাবাকে সে প্রচন্ড ভালোবাসে।এই মানুষটার জন্য তার জীবন আজ এত রঙিন।সে বেঁচে রয়েছে।জীবনে সুখ পেয়েছে,শান্তি পেয়েছে, ভালোবাসা পেয়েছে!সর্বোপরি পেয়েছে তার ব্যক্তিগত সম্পদকে।মানুষটার কাছে সে যে চিরকৃতজ্ঞ।সৃষ্টিকর্তা যে তাকে অথই সমুদ্রের একখন্ড ভাসমান কাঠের টুকরো হিসেবে বড় বাবাকে পাঠিয়েছিলেন।তার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।
তিথির মাথা ঘুরছে।চিন্তা শক্তি সব লোপ পেয়েছে।চারপাশ কেমন ঘোলাটে মনে হচ্ছে।হাত পা অসাড় হয়ে আসছে।চোখ বন্ধ করতে চটজলদি সম্পদ তাকে ধরে ফেলে।তুলি এগিয়ে এসে বলে,
—‘ভাইয়া আপুকে চেয়ারে বসিয়ে দিন।’
সম্পদ এক হাতে তিথির হাত ধরে, আরেক হাতে কাঁধ চেপে ধরে।তিথি এলোমেলো ভাবে পা ফেলে চেয়ারে গিয়ে বসে পড়ে।সম্পদ নিজেও তার পাশের চেয়ারে বসে।তিথিকে এক হাতে আগলে নিশানের দিকে তাকালো।গম্ভীর গলায় বলল,
—‘নিশান,বড় বাবাকে কেবিনে নিয়েছে কতক্ষণ হলো?’
—‘আধ ঘন্টার মতো হবে।’
—‘বড় মা কোথায়?’
—‘হসপিটালের বাইরে খালামণির সাথে।’
সম্পদ তিথির দিকে তাকালো।তার চোখে চোখ পড়তে তিথি হঠাৎ শব্দ করে কেঁদে উঠলো।নিশান বাঁধা দিয়েও কান্না থামাতে পারলো না।এক হাতে হালকা করে বুকে জড়িয়ে মাথায় হাত বুলাল।মাথাটা ঘুরিয়ে নিশানের দিকে চেয়ে বলল,
—‘নিশান তোমায় ভীষণ অগোছালো লাগছে।এত চিন্তা করার কিছু নেই।বড় বাবা ঠিক হয়ে যাবেন।তুমি বরং ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে এসো।হাতে মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দাও!’
সম্পদ তুলিকে ইশারা করতে নিশানের কাঁধে হাত রাখলো।নিশান সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়লো।এক পলক তিথির দিকে তাকালো।তিথি সম্পদের বুকটা নিজের একমাত্র আশ্রয়স্থল,ভরসার স্থান,নিজের কমফোর্ট জোন বানাতে পেরেছে দেখে তার ভালো লাগলো।ঘুরে দাঁড়িয়ে তুলির পিছু পিছু ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়াল।
নিশার আর তুলি চলে যেতে সম্পদ আশপাশে তাকালো।কিছুটা দূরে সারি সারি চেয়ারের উপর বেশকিছু উদ্বিগ্ন মুখ দেখা যাচ্ছে।সবারই বিধ্বস্ত চেহারা।সে তিথির দিকে তাকালো।
তিথির মাথাটা বুক থেকে তুলে চোখের পানি মুছে দিল।মাথা নেড়ে কাঁদতে বারণ করলো।সম্পদ জানে না সে মিথ্যে অভিসারের একটা জটিল জাল সৃষ্টি করছে কি না!তবুও মুখ ফুটে বলে,
—‘তিথি, একদম কান্না করে না।বড় বাবার কিছু হবে না।উনি সুস্থ হয়ে যাবেন।’
তিথির চোখের অনিশ্চয়তার মেঘ কেটে ক্ষীণ আশার আলো ফুটে উঠে।সে হাতের তালুতে গাল মুছে উঠে দাঁড়ালো।নিচু স্বরে বলল,
—‘বড় মায়ের সাথে দেখা করবো।’
৩০.
দেড় হাত চওড়া বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে সম্পদ।তার দৃষ্টি আকাশপানে।আকাশে ঘন কালো মেঘ জমেছে।জমাকৃত মেঘগুলো একজায়গা স্থির নেই।ব্যস্ত নগরীর ব্যস্ত মানুষের মতো ক্রমাগত ছুটোছুটি করছে।এক টুকরো মেঘ এক জায়গা থেকে ভেসে আরেক জায়গা যাচ্ছে।সেই শূন্য জায়গা এসে জমা হচ্ছে অন্য মেঘের টুকরো।
মানুষের জীবনটা অনেকটা অাকাশের মতো!এই জীবনে আবির্ভাব ঘটা মানুষগুলো একেকটা মেঘের টুকরো।যে মেঘের টুকরো গুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পর ভেসে যায়।কেউ স্রোতের টানে গা ভাসিয়ে হারিয়ে যায়!কেউ বা আশ্রয় দাতা আকাশকে দূর্যোগ থেকে বাঁচানোর জন্য বাধ্য হয় নিজেকে সরিয়ে ফেলতে।কেউ আবার আকাশকে একা না করে খুঁটি গেড়ে আকাশের বুকে থেকে যায়।একটা সময় দূর্যোগের ঘনঘটা কেটে গিয়ে রোদ ঝলমলে হয়ে যায়।তখন আকাশের সাথে সাথে মেঘের টুকরোও হাসে!
দক্ষিণ পশ্চিম কোণে বিজলি চমকালো।সম্পদ আগ্রহ নিয়ে সেদিকে চেয়ে রইলো।দক্ষিণ পশ্চিম কোণের আকাশ উত্তপ্ত লোহার মতো লাল হয়ে আছে।মনে হচ্ছে আকাশের ওই খন্ডে আগুন লেগেছে।যে আগুন একমাত্র বৃষ্টির ফোঁটা নিভাতে পারবে।
দূর থেকে মেঘের গুড়গুড় ডাক শোনা গেল।সম্পদ বুঝতে পারলো আজ রাতে বৃষ্টি হবে।ভয়ানক বৃষ্টি।এখনো বাতাস উঠেনি।চারিদিক কালো হওয়া শুরু করেছে।স্তব্ধ, গুমোট পরিবেশ!
সম্পদের প্রচুর গরম লাগছে।সে শার্টের উপরের দুটো বাটন খুলে ফেলল।আপাতত সে আছে তিথির বড় বাবার বাড়ি।বিকেল তিনটার দিকে সিদ্দিকুর রহমানকে রিলিজ করে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।এখন তিনি মোটামুটি সুস্থ।ডাক্তারের রিপোর্ট সম্পদ দেখেছে।বয়স বাড়ার সাথে সাথে সিদ্দিকুর রহমানের শরীরে নানা রকম ইমব্যালান্স দেখা দিচ্ছে।তাকে কড়া নজরে রাখতে বলেছে।খাবারের ব্যাপারে অধিক সচেতন হতে বলেছে।
দেখতে দেখতে ঝড়ো বাতাস শুরু হলো।সম্পদের ভেতরটা শীতল হয়ে গেল।সে আড়চোখে দরজার দিকে বার বার তাকাচ্ছে।তিথি সেই বিকেল থেকে বড় বাবার রুমে বসে আছে।একটিবারের জন্য বের হয়নি।
হতাশ মুখে সম্পদ রেলিং ঘেঁষে দাঁড়াল।আবছা অন্ধকারে হাতটা গ্রিলের ফোঁকর দিয়ে বাইরে গলিয়ে একটা গুল্ম লতা টেনে আনার চেষ্টা করলো।তিথি পেছন থেকে নিচু স্বরে বলল,
—‘কি করছেন?’
সম্পদ অস্ফুট একটা শব্দ করলো।সরে এসে তিথির দিকে চাহনি গভীর থেকে গভীরতর করে বলল,
—‘এভাবে কেউ পেছনে এসে দাঁড়ায়?ভয় পেয়ে গেছিলাম তো!এমনিতে ঝড়,বৃষ্টি,অন্ধকার!’
তিথির ঠোঁটের কোণে ক্ষীণ হাসির রেখা ফুটে উঠলো।চারিদিকে অন্ধকার নেমে গেছে।অন্ধকারের নিজস্ব আলোয় সম্পদের ভীত চেহারা তার নজরে এলো।শব্দহীন পদধ্বনি তুলে সে এগিয়ে গিয়ে সম্পদের বুকে মিশে গেল।
সম্পদের অস্থির ভাব কেটে গেল।তিথির পিঠে হাত রেখে বলল,
—‘কিছু বলবে?’
—‘তুলি কনসিভ করেছে।দুই-আড়াই মাস হয়তো।কেউ জানে না!আমাকে প্রথম বললো।’
তিথির কন্ঠের অতিরিক্ত স্বাভাবিকতা চিন্তার ঝড় বইয়ে দিল সম্পদের মনে।তিথি ঠিক আছে তো?তার হাত দুটো শক্ত হয়ে এলো।তিথিকে নিজের বুকের খাঁচায় পুড়ে নিয়ে বলল,
—‘তোমার মন খারাপ তিথি?’
তিথি আশ্যস্তের সুরে বলল,
—‘আমার মন খারাপ কেন হবে?বরং এটা ভেবে ভালো লাগছে যে নিশান ভাই তুলিকে মেনে নিয়েছে।দূর্ঘটনা দিয়ে শুরু করা চারটে জীবন নিজেদের লক্ষ্য খুঁজে পেয়েছে।একে অন্যের হাত আঁকড়ে ধরতে পেরেছে।’
অবশেষে জমে থাকা মেঘের বাঁধ ভাঙা প্লাবন ঘটলো। বৃষ্টির ফোঁটা পড়ছে।গুড়িগুড়ি নয়!বড় বড় ফোঁটা।বৃষ্টির ছাট গায়ে পড়তে সম্পদের ঘোর কাটে।হাত দুটো ঢিলে করে তিথিকে বলে উঠে,
—‘ভেতরে চলো।ভিজে যাবে!’
সম্পদের বাহুডোরে থাকা তিথির হাত দুটো আরো শক্ত হয়ে আসে।মৃদু স্বরে বলে,
—‘ভেতরে যাবো না।এভাবেই থাকবো।’
সম্পদ আস্তে করে ঘুরে রেলিং এর দিকে পিঠ দিয়ে দাঁড়ায়।যাতে করে তিথির গায়ে বৃষ্টির ফোঁটা না পড়ে।বৃষ্টির বেগ বেড়ে যাচ্ছে।ঝুপঝুপ করে ঝড়ে পড়ছে আকাশপথের অদৃশ্য ঝর্ণাধারা।সম্পদের পিঠের দিকে শার্ট সম্পূর্ণ ভিজে গেছে।সেখানে হিমশীতল ঠান্ডা।কিন্তু বুকের ভেতর উষ্ণতায় ভরে যাচ্ছে।বাহুডোরে থাকা তিথির শ্বাস প্রশ্বাস বৃষ্টির মতোই দ্রুত থেকে দ্রুততর হচ্ছে।
৩১.
তুলি কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে।নিশান দরজার ছিটকিনি আটকে ভেতরে ঢুকলো।তুলিকে এভাবে শুয়ে থাকতে দেখে চিন্তা হলো।খাবার টেবিলেও তুলি দুই লোকমা ভাত মুখে পুড়ে উঠে পড়েছে।খাওয়ার রুচি নেই নাকি!
এগিয়ে গিয়ে বিছানায় বসে পড়লো সে।তুলির মুখের উপর থেকে পাতলা কাঁথাটা সরাতে চাইলো।তুলি সরাতে দিল না।শক্ত হাতে টেনে ধরে রইলো।নিশান ভীত কন্ঠে বলল,
—‘তুলি কি হয়েছে তোমার?জ্বর এসেছে নাকি?শীত করছে?কাঁথা গায়ে দিয়েছ কেন?দেখি কাঁথা সরাও তো!’
তুলি কাঁথা সরাল না।ভেতর থেকে স্পষ্ট সুর তুলে বলল,
—‘জ্বর আসবে কেন?বাহিরে ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে।সেজন্য শীত করছে।’
—‘তুমি মুখের উপর থেকে কাঁথা সরাও।’
—‘সরাব না!’
নিশান আর বাক্য ব্যয় করলো না।একটানে তুলির মুখের উপর থেকে কাঁথা সরিয়ে ফেলল।তুলি বিস্ফারিত নয়নে তার দিকে তাকাল।নিশান সে দৃষ্টি উপেক্ষা করে ডান হাতটা উঁচু করে তুলির কপাল স্পর্শ করলো।জ্বর নেই!ভ্রু কুঁচকে সে হাতটা তুলির গলার খোলা অংশে রাখে।তুলি হালকা কেঁপে উঠে।পরমুহূর্তে নাক মুখ কুঁচকে রিনরিনে গলায় বলে উঠে,
—‘আপনার গা থেকে গন্ধ আসছে।সরে যান!’
নিশানের চোখ দুটো কোটর থেকে বের হওয়ার উপক্রম হয়।তুলির মতো পুঁচকে মেয়ের সাহস তরতর করে এতটা বেড়ে গেছে?তাকে, এই নিশান মাহমুদকে বলছে তার গা থেকে গন্ধ বের হচ্ছে!সে তুলির দিকে ঝুঁকে বলল,
—‘তোমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের একটা নষ্ট হয়ে গেছে তুলি।তোমার ঘ্রাণশক্তি কার্যক্ষমতা হারিয়েছে।’
—‘কিচ্ছু হারায়নি।আপনার গা থেকে পঁচা বটপাতার বিটকেলে গন্ধ বেরোচ্ছে।থু!’
নিশানের মুখোশ্রী বিস্ময়ে হাঁ হয়ে গেল।গত পরশুদিনও এই মেয়ে তার ব্রাশহীন অবস্থায় চুমু খেয়েছে আর আজ?তাকে বিস্ময়ের উচ্চ শিখরে রেখেই তুলি তাকে ধাক্কা মেরে একলাফে উঠে পড়লো।মুখে হাত চেপে ওয়াশরুমে ঢুকে হড়বড় করে বমি করে দিল।
(চলবে)