জামাই ৪২০ (পর্ব ০৫)
Tisha Islam Nabila
তিশা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে….ওর মাথায় ঘুরছে ওকে সুস্থ করতে এসেছে মানে??আর মিষ্টি কেন বললো সম্রাট??এসব ভাবতে ভাবতে তিশা সেন্সলেস হয়ে….ওখানেই লুটিয়ে পড়ে যায়..!!
আকাশঃ কিউটিপাই…..
আবিরঃ তিশা কি হলো??
ওরা ছুটে যায় তিশা’র কাছে..!!
আরসাল চৌধুরীঃ তিশা মামনি চোখ খোল…..
আকাশঃ মামা ওকে হসপিটালে নিয়ে চলো..!!
আবির তিশা কে কোলে তুলে….তাড়াতাড়ি গাড়িতে ওঠায়….এরপর গাড়ি স্টার্ট দিয়ে হসপিটালে চলে আসে….হসপিটালে ডক্টর তিশা কে কেবিনে নিয়ে যায়….কেবিনে নিয়ে সেন্স আনার ট্রাই করছে…..
আকাশঃ ডক্টর কি হলো??
ডক্টরঃ ওনার মাথায় চাপ থেকেই….উনি সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে….ডোন্ট ওয়ারী আমি ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছি….আর স্যালাইন ও দিয়ে দিচ্ছি….একটু ওয়েট করুন সেন্স এসে যাবে..!!
ওরা বাইরে গিয়ে বসে….এদিকে সম্রাট বাড়ি এসে ধপ করে সোফায় বসে….সম্রাটে’র মা তাড়াতাড়ি এসে বলে…..
—-সোম কি হলো??
সম্রাটঃ নাথিং আম্মু..!!
সম্রাটে’র মাঃ তোর চোখমুখ এমন লাগছে কেন??
সম্রাটঃ বলছি তো কিছুনা…..
রেগে বলে সম্রাটে’র চাচী চলে আসে..!!
সম্রাটে’র চাচীঃ একিরে কি হলো??
সম্রাটঃ মামনি আমি বলছি কিছুনা…..
চাচী কে মামনি বলে সম্রাট….দুজনেরই খটকা লাগছে….বাট সম্রাট যেই রাগী এটা ভেবে চুপ করে আছে….সম্রাট রুমে গিয়ে দরজা আটকে দেয়..!!
সম্রাটে’র মাঃ কি হলো বলো তো??
সম্রাটে’র চাচীঃ বুঝতে পারছি না……
রুমে ফ্লোরে বসে আছে সম্রাট….আর ভাবছে কি কি করতো….সম্রাট খাবার নিয়ে রুমে গেলেও খেতো না….অত খাবার কেউই খেতে পারবে না….সব রেখে দিতো আর পরে বিলিয়ে দিতো….সেদিন রাতে চকলেট খেয়ে….সম্রাট বেলকনিতে গিয়েই বমি করে দেয়….আর কিছুটা অসুস্থ হয়ে যায়….যার কারনে রাত ১০টায় রুমে আসে….এরপর তিশা যখন আইসক্রিম খাওয়ায়….আইসক্রিম খেয়ে সম্রাট বাগানে চলে যায়….ওইদিন ও বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে….এসে ঔষুধ খায় কারন আইসক্রিমে ওর এলার্জি….আর ফেবার হয়ে যায় অনেক সময়….আর রাতে আইসক্রিম খেয়ে শুয়ে পড়ে….সেই রাতে ও সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিলো….কিন্তুু তিশা ভেবেছিলো ঘুমিয়ে পড়েছে….সবটা ভেবে সম্রাট তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে বলে..!!
—-আর কবে চিনবে তুমি আমাকে??মিষ্টি তুমি তোমার বজ্জাত জামাই কে ভুলে গিয়েছো??আমি পারলাম না তোমাকে সব মনে করাতে….গত ১বছর তুমি সব ভুলে গিয়েছো….আমি ব্যর্থ পারিনি তোমাকে আগলে রাখতে….কি হলো এসব করে??সেই আমি রেগে গেলাম আজকে….সবটা সামনে চলে এলো….রাগটা কেন কন্ট্রোল করতে পারিনা??১বছর আগেও এই রাগের জন্যই….তোমার বিপদ হয়েছিলো আর আজ আবার….সেই আমি নিজের আসল রুপে চলে এলাম….মিষ্টি আমি চেন্জ হয়ে গিয়েছি….আমি আর আগের মতো রাগিনা……
বলে কান্নায় ভেঙে পড়লো সম্রাট….কাঁদতে কাঁদতে সব ভাঙচুর করছে..!!
সম্রাটঃ কেন আমার এত রাগ??রাগের জন্যই সবাই দুরে সরে যায়….আমি এখন কি করবো??কি করে মনে করাবো সবটা মিষ্টি কে??
এরমাঝে সম্রাটে’র ফোন এলো….তাকিয়ে দেখলো আরসাল চৌধুরী……
সম্রাটঃ হ্যালো বাপি..!!
আরসাল চৌধুরীঃ সম্রাট কোথায় তুমি??
সম্রাটঃ বাড়ি বাট হোয়াট হ্যাপেন্ড??
আরসাল চৌধুরীঃ তিশা সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে…..
সম্রাটঃ হোয়াট??
আরসাল চৌধুরীঃ হ্যা তুমি যাওয়ার পরই..!!
সম্রাটঃ আমি এক্ষুণি আসছি…..
সম্রাট চোখে মুখে পানি দিয়ে….গাড়ির চাবি নিয়ে বেরিয়ে এলো..!!
সম্রাটে’র মাঃ কোথায় যাচ্ছিস??
সম্রাটঃ হসপিটালে…..
উনি ভাবলো নিজের চেম্বারে যাচ্ছে….তাই আর কিছু বললো না….সম্রাট গাড়ি স্টার্ট দিয়ে তাড়াতাড়ি ড্রাইভ করছে….ফোন করে কোন হসপিটালে জেনে নিলো….এরপর সেখানে গিয়ে পৌছালো..!!
আবিরঃ তুমি??
সম্রাটঃ মিষ্টি কোথায়??
আকাশঃ আব জিজু ও কেবিনে…..
সম্রাট কেবিনে ঢুকে গেলো….সম্রাট কে দেখেই তিশা বললো..!!
—-তুমি এখানে??
সম্রাটঃ ইয়েস আমার সাথে চলো…..
তিশাঃ মানে কোথায় যাবো??
সম্রাটঃ তোমার শ্বশুর বাড়ি..!!
তিশাঃ আমি আমার বাড়ি যাবো…..
সম্রাটঃ হ্যা শ্বশুর বাড়িই তোমার বাড়ি..!!
তিশাঃ আমি যাবোনা ওকে??
তিশা নেমে দরজার কাছে গেলো….সম্রাট খপ করে হাত ধরে ফেললো……
তিশাঃ আরে কি করছো??
সম্রাটঃ বললাম তো আমার সাথে যাবে..!!
আরসাল চৌধুরীঃ ও যখন না করছে তখন……
সম্রাটঃ নো বাপি ও আমার সাথেই যাবো..!!
তিশাঃ আমি তোমাকে স্বামী বলে মানিনা….তো শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার প্রশ্নই আসে না……
সম্রাটঃ তুমি মানো আর না মানো….তুমি আমার বিয়ে করা বউ জান….তাও ১বার না ২বার বিয়ে করা বউ….সো নো মোর টক এন্ড কাম উইথ মি..!!
বলে তিশা কে কোলে নিয়ে চলে গেলো….আকাশ আর আবির অবাক হলো……
আবিরঃ ২বার বিয়ে করা বউ মানে??
চলবে…..