#মন_মোহনায়_ফাগুন_হাওয়া
#লেখিকা: #নুরুন্নাহার_তিথী
#পর্ব_১০
চৈত্রের শেষ দিন। আজ ফ্রিওনার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ছুটির দিন হওয়ায় শেহজাদ, ফ্রিশা ও ফ্রিশার দাদুমনি, দাদুভাই, চাচ্চুকে নিয়ে এক পরিচিত এতিম খানায় এসেছে। এতিম বাচ্চাদের জন্য আজ শেহজাদ দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেছে। আসছে পর থেকে ফ্রিশা বাচ্চাদের সাথে খেলছে। শেহজাদ দাঁড়িয়ে থেকে নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে সেই দৃশ্য দেখছে। হুট করে ফ্রিশা দৌড়াদৌড়ির মধ্যে একটা ইটের সাথে লেগে পড়ে যায়। ফ্রিশা কান্না করার আগেই শেহজাদ তা দেখে ছুটে যায়। হাঁটু ও হাতের কনুই ছিঁ*লে র*ক্ত বের হচ্ছে। আরও কয়েক জায়গাতেও ব্যাথা পেয়েছে। ওখানে ইটের সুড়কিও ছিল। ফ্রিশা ইতোমধ্যে ঠোঁট ভেঙে কাঁদছে। শেহজাদ ওকে কোলে করে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে বসায়। তারপর গাড়িতে থাকা ফার্স্টএইড বক্স থেকে তুলো ও সেভলন নিয়ে আস্তে আস্তে ড্রেসিং করছে। মিসেস শাহিদা তার অসুস্থ ছেলের হুইলচেয়ার আগলে গাড়ির কাছে আসেন। তারপর ফ্রিশার কা-টা স্থান দেখে আফসোস করে বললেন,
“ইশ! কতোটা ছিঁ*লে গেছে দেখেছ! বারবার মানা করার পরেও সেই দৌড়াদৌড়ি করছেই। এখন ব্যাথাটা কে পেল? শেহজাদ, চলো বাড়ি ফিরে যাই। তোমার ফুফাকে কল করে আসতে বলি। বাচ্চাদের খাওয়াও তো শেষ। ফ্রিশাকে এখন মেডিসিন খাওয়াতে হবে। নয়তো জ্বর এসে যাবে।”
“হ্যাঁ। আমি ওকে মেডিসিন খাইয়ে দিচ্ছি। আপনি ওর কাছে থাকুন। স্যারকে আমি ডেকে আনছি।”
শেহজাদ ফ্রিশাকে সিটে ঠিক করে শুইয়ে দিয়ে হাঁটুর নিচে কুশন দিয়ে চলে যায়। একটু পর ড: আকবর রেহমানকে ডেকে নিয়ে এসে গাড়িতে উঠে বাড়ি ফিরে আসে।
___________
শনিবার দুপুরের দিকে মীরার কাছে ইন্টার্ভিউয়ের জন্য মেইল এসেছে। সোমবার তার ইন্টার্ভিউ। মীরা লাঞ্চ ব্রেকে মেইলটা দেখে রাইমাকে জানাতে চাইলো। রাইমা সবে স্যান্ডুইচে কয়েক বা**ই*ট দিয়েছে। তখন সামনে বসা মীরাকে চুপ করে বসে থাকতে দেখে ভ্রু কুঞ্চন করে প্রশ্ন ছু*ড়ে,
“কী-রে? খাচ্ছিস না কেন?”
বলে আবার খেতে লাগে। মীরা ইতিউতি করে বলে,
“আসলে, আমি কালকে ঢাকা যাব।”
রাইমার মুখে খাবার থাকায় সে ইশারায় কারণ জানতে চায়। জবাবে মীরা বলে,
“সোমবারে ইন্টার্ভিউ আছে।”
রাইমা চকিতে চাইলো। মুখের খাবারটা গিলে হড়বড়িয়ে শুধায়,
“ইন্টার্ভিউ মানে? কী-সের?”
“ভার্সিটিতে এপ্লাই করেছিলাম। ওরা ডেকেছে।”
“কবে করলি? আমাকে তো বললি না।”
রাইমা উতলা হয়ে আছে। সেইসাথে তার অভিমান মিশ্রিত সুর। মীরা লম্বা নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল,
“দেখ রাই, তুই তো জানিস সব। আব্বু-আম্মু দেশে ফিরতে বলছে। ফোন করলেই বলে। জিনিয়া পরশু রাতে জানালো একটা ভালো বি ক্যাটাগরির প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সার্কুলার ছেড়েছিল এবং ওইদিনই এপ্লাইয়ের লাস্ট ডেইট ছিল। ও একপ্রকার জোর করেই এপ্লাই করিয়েছে। তাছাড়া আমিও তো ভালো অপশন খুঁজছিলাম। এটা ভালোই লাগলো। আমি এ ক্যাটাগরির প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে পড়াশোনা করেছি। সেখানে সিজিপিএ ৩.৮ মানে অনেক ভালো রেজাল্ট। টিচিং প্রফেশনটা ভেবেছিলাম যদিও বা কখোনো জয়েন করি তবে পিএইচডি করলে তারপর। এখন জিনিয়ার কথায় ভেবে দেখলাম মন্দ হয় না ব্যাপারটা।”
রাইমা হতাশচিত্তে স্যান্ডুইচে কা**ম*ড় দিয়ে বলে,
“ওকে, তবে চলে যাচ্ছিস?”
মীরা মলিন দৃষ্টিতে চাইলো। রাইমা দৃষ্টি নিচু করে ফের বলে,
“অবশ্য যেতে তো একদিন হবেই। কতোদিন আর একা অন্য একটা দেশে পড়ে থাকবি!”
“প্লিজ ইয়ার। এভাবে মুখ ভাড় করে থাকিস না।”
মীরার করুণ স্বরে রাইমা ছোটো করে হেসে বলে,
“আমি তোর কারণে কষ্ট পাইনি। কিন্তু তোকে ছাড়া থাকতে হবে এটা ভেবে খারাপ লাগছে। কষ্ট হচ্ছে। অভ্যাস হয়ে গেছিস তুই। তিন বছর হতে চলল আমাদের ফ্রেন্ডশিপের। তোর মনে আছে? প্রথমদিন? আমরা দুজন বাঙালি। বাকিরা আমাদের ভাষা ঠিকঠাক বুঝে না। অন্যকারও সাথে মন খুলে কথাও বলতে পারতাম না। তখন তোর সাথে নিজের ভাষাতে কথা বলে শান্তি পেতাম। তারপর থিউরির সব ক্লাস শেষ হওয়ার পর জাস্ট রিসার্চের সময় এই ছোটো ফ্লাটে চলে আসলাম। রিসার্চের জন্য ভার্সিটির ল্যাবে রাত ৯-১০টা অবধিও মাঝেসাঝে থাকতে হতো। দুই বছর হবে এই ফ্লাটটাতে।”
মীরার চোখে পানি জমলো। যেকোনো সময় গাল গড়িয়ে দরিয়া বইতে সময় নিবে না। রাইমারও একই অবস্থা। রাইমা নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
“এখন ইমোশোনাল না করে খা তো। টাইম নেই।”
অতঃপর সে মাথা নিচু করে দ্রুত খেতে লাগলো। মীরা হালকা হেসে খেতে শুরু করে।
________
ইন্টার্ভিউ দিয়ে মীরা বের হলো। ইন্টার্ভিউ ভালোই হয়েছে। এটাতে টিকে গেলে আরেকটা ইন্টার্ভিউ হবে। ৪-৫দিনের ছুটিতে এসেছে। ছুটি নিবে বলে রবিবারও সন্ধ্যা অবধি জব করে তারপর রাত আটটার ফ্লাইটে দেশে এসেছে (যদিও এসব আন্দাজ করে বলা)। কালকে একবার ভার্সিটিতেও যেতে হবে।
বাড়ি ফিরে মীরা হতবাক! ভাবির কাছ থেকে জানলো ঘটক কিছু ছেলের ছবি ও বায়োডাটা নিয়ে এসেছে। এবারে আবার প্রথম ঘটক। দ্বিতীয় জনকে আর বলেনি। শারমিন বলে,
“এবারে সব প্রবাসী ছেলের বায়োডাটা নিয়ে এসেছে।”
মীরা সাফসাফ মানা করে দেয়,
“আমি প্রবাসী বিয়ে করব না। আমি দেশে জবের জন্য ইন্টার্ভিউ দিতে এসেছি, দেশে জব করলে হাসবেন্ড প্রবাসে থাকবে এটা কেমন? দ্বিতীয়বার যারা দেখতে এসেছিল, ওদের তো আমাকে নিয়ে দুটো প্রবলেম ছিল। আমি জব করি আবার ইন্ডিয়াতে। যদিও আমি ওদের মনোভাবে বুঝেই বলেছিলাম যে ওই জবটাই করব। ওদের আমার জব করাটা নিয়েই আসল আপত্তি ছিল। কিন্তু এখন আমি যখন পিএইচডি করব, তখন তো প্রবাসী কাউকে বিয়ে করলে সে আমার জন্য নিজের জব ছেড়ে সেই দেশে শিফট হবে না। প্রবাসীদের ফ্যামিলি বউকে চোখে চোখে রাখে। আবার হাজারটা রোস্ট্রিকশন। দেখব যে আমাকে বাড়ি থেকে বেরোতেই দিবে না।”
নিধি ও শারমিন বিষয়টা ভাবলো। অতঃপর নিধি বলল,
“তুমি বাবাকে এখন কিছু বলো না। চুপচাপ থাকো। যেই কাজের জন্য এসেছ, সেটা করো।”
শারমিনও হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলিয়ে বলে,
“হুম। ঠিক তাই। তাছাড়া কয়েকদিন পর নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হবে। তার আগেই সব ফাইনাল করতে হবে। তাই মনে হয় যদি সিলেক্ট হয় তবে দ্রুতই হবে। তুমি সেসব চিন্তা করো না। ফ্রেশ হয়ে আসো। তারপর খেয়ে নাও। দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে।”
“হুম।”
মীরা নিজের ঘরে ফ্রেশ হতে চলে যায়।
বিকেলে মীরার বাবা মীরাকে ডেকে জানায়,
“আগামীকাল তোমাকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে। তৈরি থেকো।”
মীরা খুব একটা গুরুত্ব না দিয়ে বলে,
“আসুক। আমি কাল একবার ভার্সিটিতে যাব। কাজ আছে।”
রফিক তালুকদার পালটা কিছু বলবেন, তার আগেই মীরা সেখান থেকে চলে আসে। আসর ও মাগরিবের নামাজ পড়ে একটু ঘুমাবে।
_______
শেহজাদ আজ ফ্রিশার ক্লাস শেষে স্কুল থেকে সরাসরি ভার্সিটিতে নিয়ে এসেছে। কারণ, মিসেস শাহিদা উনার ছেলে শাদিবকে নিয়ে হসপিটালে যাবেন। ফ্রিশা তো একা বাড়িতে থাকতে পারবে না। তাই নিয়ে এসেছে। এখানে এসে ফ্রিশা বেশ খুশি। কিছুটা সময় তার বেশ আনন্দেই কে*টেছে। বাড়ি ফেরার সময় ফ্রিশা তার দাদাভাইকে বলে,
“দাদাভাই, আমি কিন্তু কালকেও আসব।”
শেহজাদ সামনে ড্রাইভ করতে করতে প্রশ্ন ছু*ড়ে,
“কেন? আজ তোমার দাদুমনি ছিলেন না বলে নিয়ে এসেছি। কালকে তো তিনিই তোমাকে আনতে যাবেন।”
ড: আকবর বলেন,
“আহ্হা শেহজাদ, আসুক না। আমিই ড্রাইভারকে বলে ও-কে আনিয়ে নিব। আজকে ও কতো অানন্দ করেছে।”
“কী দরকার? ফুফিমনি বাসায় একা থাকবেন। তাছাড়া ওর হোমওয়ার্কগুলো বাকি থেকে যাবে। আজকেও তো করেনি।”
“থাকুক। কালকে ও আগে আমার কাছে বসে হোমওয়ার্ক করবে। তারপর খেলবে।”
“পরে কিন্তু প্রতিদিন আসতে জেদ করবে!”
ফ্রিশা দ্রুত জবাব দেয়,
“করব না। প্রমিস। প্লিজ বাবা। জাস্ট ফর টুমোরো।”
শেহজাদ হতাশ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলে,
“ওকে। বাড়ি ফিরে আগে সব হোমওয়ার্ক শেষ করবে।”
ফ্রিশা খুশি হয়ে আনন্দ ধ্বনি করে তার দাদাভাইকে জড়িয়ে ধরে। শেহজাদ লুকিং মিররে তা দেখে হালকা হাসে।
______
মীরা ভার্সিটিতে এসেছে কিছু পেপারওয়ার্ক করতে। চেয়ারপার্সনের রুমের বাহিরে ফ্রিশাকে দেখে কিছুটা অবাক হয়। ফ্রিশা তাকে দেখে ছুটে এসে উৎফুল্ল চিত্তে বলে,
“হাই আন্টি। হাউ আর ইউ?”
মীরা একটু নিচু হয়ে ফ্রিশাকে আদর করে বলে,
“অ্যাই অ্যাম ফাইন। হাউ আর ইউ বার্বিডল?”
“এতোগুলা হ্যাপি!”
ফ্রিশার জবাবে ও জবাব দেওয়ার ভঙ্গিতে মীরা হেসে ফেলে। মীরা ওর ড্রেসআপ দেখে জিজ্ঞাসা করে,
“তুমি স্কুল থেকে এসেছ?”
“হুম। বাবা তো রাজিই হচ্ছিল না। দাদাভাই বলাতে রাজি হয়েছে।”
“ওহ আচ্ছা।”
“তুমি ক্লাস করতে এসেছ?”
মীরা হেসে জবাব দেয়,
“না বাচ্চা। আমি একটা কাজে এসেছি। একটু পর চলে যাব।”
ফ্রিশা মন খারাপ করে বলে,
“কিছুক্ষণ থাকো না। আমি তোমার সাথে খেলব। আন্টিরা বিজি এখন।”
মীরা ভাবলো কিছু। তার মা পইপই করে বলে দিয়েছেন যেন বিকেল চারটার আগে বাসায় আসে। এখন ঘড়িতে প্রায় সাড়ে বারোটা বাজে। ফ্রিশার সাথে কিছু সময় থাকতে পারবে। অতঃপর রাজি হয়ে গেল মীরা। নিজের কাজটা শেষ করতে আগে চেয়ারপার্সনের অফিস রুমে যায়। ড: আকবর রেহমান, মীরাকে দেখে খুব খুশি হোন। ফ্রিশা ছিল বলে তিনি মীরাকে আজকে কাজ ছাড়া বেশি কিছু বলেননি। তারপর মীরা ও ফ্রিশা ভার্সিটি ট্যুর দিতে বেরিয়ে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পর ওরা ভার্সিটির কাছে এক রেস্টুরেন্টে যায়। খাওয়া-দাওয়া শেষে মীরার হঠাৎ সময়ের কথা খেয়াল হলে সে ফোনের স্ক্রিণে সময়ের দিকে নজর দেয়। প্রায় দুপুর দুইটার ঘর ছুঁইছুঁই। মীরা তড়িঘড়ি করে ফ্রিশাকে বলে,
“ফ্রিশা, চলো। আন্টির এবার যেতে হবে। নয়তো আন্টির মা আন্টিকে ব*কবে।”
ফ্রিশা মুখ ছোটো করে বলে,
“এখনি চলে যাবে?”
“হুম। তোমার বাবাও তো তোমাকে খুঁজেছিল। তোমার দাদাভাই কলও করেছিল। বেশি দেরি করলে টেনশন করবে তো।”
“ওকে চলো।”
মীরা, ফ্রিশাকে নিয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে ভার্সিটিতে যায়। এদিকে শেহজাদ চেয়ারপার্সনের রুম থেকে অস্থির পায়ে বেরিয়ে ফোন কানে নিয়ে লিফ্টের দিকেই আসছিল। তখনি মীরার ফোন বেজে ওঠে। মীরা তখন সবে লিফ্ট থেকে নামবে। ব্যাগ থেকে ফোন বের করতে করতে লিফ্ট থেকে নামা মাত্রই কেউ একজন ছোঁ মে*রে ফ্রিশাকে নিজের কাছে নিয়ে নিয়েছে। মীরা চকিতে তাকালে শেহজাদকে দেখে স্বস্থি পায়। কিন্তু শেহজাদের চোখ-মুখ মোটেও স্বাভাবিক না। তৎক্ষণাৎ শেহজাদ কিছুটা রূঢ় স্বরে শুধায়,
“হোয়ার ডিড ইউ টেক ফ্রিশা?”
মীরা খানিক চমকে ওঠে। তারপর আমতা আমতা করে বলে,
“আসলে স্যার! একটু রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম।”
“আমার পারমিশন নিয়েছ?”
মীরা মাথা নাড়ে। শেহজাদ একই স্বরে আবার প্রশ্ন ছুড়ে,
“তাহলে?”
এবার ফ্রিশা উত্তর দেয়। তার বাবা যে তার আন্টির উপর রাগ করেছে তা সে বুঝতে পেরেছে। তাই বলে,
“আমি আন্টিকে বলেছিলাম। অ্যাই ওয়াজ হাঙ*রি, বাবা। প্লিজ বাবা, ডোন্ট বি এং*রি।”
শেহজাদ নিভলো। চোখ বন্ধ করে লম্বা শ্বাস নিয়ে ফের চোখ মেলে বলে,
“ওকে। থ্যাংক ইউ, মীরা। অ্যাই উইল হ্যান্ডেল হার।”
মীরা জোরপূর্বক সৌজন্য হাসে। তারপর ফ্রিশা আদর করে বায় বলে চলে আসে। বাড়ি ফিরতে ফিরতে চারটা বেজে গেছে। মীরা দ্রুত কলিংবেল চা*পে।
চলবে ইনশাআল্লাহ,
গল্পে স্লো যাচ্ছে কারণ হুট করে আমি বিয়ে বা মিল তো দেখাতে পারব না। প্লিজ বুঝুন।
ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা করবেন। কপি নিষিদ্ধ।
গল্পটি সম্পর্কে রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপ লিংক নিচে দেওয়া হলোঃ
https://facebook.com/groups/holde.khamer.valobasa/