তুমি_শুধু_আমারই_হও #দ্বিতীয়_অধ্যায় #অরনিশা_সাথী |৪|

#তুমি_শুধু_আমারই_হও
#দ্বিতীয়_অধ্যায়
#অরনিশা_সাথী

|৪|

ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। শান্ত এখনো সেখানেই বসে আছে। কত রাত নির্ঘুম কাটায় ছেলেটা। যার কারণে শান্ত’র চোখদুটো লাল টকটকে হয়ে আছে। কাল রাতে তো এক সেকেন্ড এর জন্যও দু’চোখের পাতা এক করেনি ছেলেটা। নিষ্পলক খাদের দিকেই তাকিয়ে আছে শান্ত। হঠাৎ করেই ওর কানে নুপুরের আওয়াজ এসে বারি খায়। শান্ত’র ভাবনায় ছেদ ঘটে৷ ঘাড় ঘুরিয়ে পাশে তাকিয়েই দেখলো একটা মেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ের দিকে। হাতে ফুলের ঝুড়ি। মেয়েটা পড়নে সাদা স্কার্ট আর বেগুনি রঙের ফতুয়া৷ বুকে আড়াআড়ি ভাবে বেগুনি উড়না কোমড়ের কাছে এনে বেঁধে রেখেছে। লম্বা চুলগুলো দু-পাশে বিনুনি করা। মেয়েটার সাথে আরো একটা মেয়ে আছে। দুজনেই সমবয়সী। কোনো কথা নিয়ে দুজনে হাসতে হাসতে প্রাণোচ্ছল ভাবে এগিহে যাচ্ছে পাহাড়ের দিকে। মিনিট পাঁচেক বাদেই পাহাড়টা৷ তার কিনার ঘেঁষেই একটা ছোট দু পায়ের রাস্তা নিচের দিকে নেমে গেছে। সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে মেয়ে দুটো। শান্ত গাড়ির ডিকি থেকে নেমে দাঁড়ালো। মেয়ে দুটো শান্ত’কে ক্রস করে যাওয়ার সময় ফুলের ঝুড়ি হাতে থাকা মেয়েটা একবার শান্ত’র দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। ঘাড় কাত করে পরপর কয়েকবার চোখের পলক ফেলে শান্ত’কে দেখে মেয়েটা। পাশের মেয়েটা সেই মেয়েটাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
–“এই ফুল দাঁড়ায় পড়লি যে? চল চাচী ঘুম তে উঠে না দেখলে আবার চিল্লাফাল্লা শুরু কইরবে।”

মেয়েটার ডাকে ফুল শান্ত’র থেকে চোখ সরিয়ে নিলো। অতঃপর পাশের মেয়েটার হাত ধরে বললো,
–“হ্যাঁ রুমকি চল।”

শান্ত তখনো একদৃষ্টে ফুল নামক মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে৷ ওর চোখকে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না ও। দেখতে অবিকল নূরের মতো। শুধুমাত্র সাজসজ্জা অনেকটা পাহাড়ি মেয়েদের মতো। ফুল আর রুমকি শান্ত’র চোখের আড়াল হয়ে যেতেই শান্ত’র হুশ ফিরে। দ্রুত কদমে এগিয়ে যায় সেই রাস্তাটার দিকে। কিন্তু কোথাও ওদের ছায়াটাও দেখা যাচ্ছে না। শান্ত সেখানেই হাটু গেড়ে বসে চিৎকার করে বললো,
–“নূর_____”

বলেই দুহাতে চুল খামচে ধরে মাথা নিচু করে নিলো। কাঁধে কারো স্পর্শ পেতেই মাথা তুলে তাকায় শান্ত। পাশে উৎসব আর অর্নিকে দেখতে পেয়ে দ্রুত উঠে দাঁড়ায় শান্ত। উৎসবের হাত ধরে অস্থির কন্ঠে বললো,
–“উৎসব ভাই আপনি___”

–“তুমি এখানে এভাবে বসে কি করছো শান্ত?”

শান্ত আগের ন্যায় অস্থির কন্ঠে বললো,
–“উৎসব ভাই, নূর বেঁচে আছে। আমার নূর বেঁচে আছে।”

উৎসব অবাক চোখে তাকায় শান্ত’র দিকে। উৎসব শান্ত’কে শান্ত করার চেষ্টা করে বললো,
–“কি বলছো এসব? নূর কি করে___”

উৎসবের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে অর্নি বললো,
–“আপনি কেন বুঝতে চাইছেন না? নূর সত্যিই বেঁচে আছে। আমিও নূরকে দেখেছি।”

–“অর্নি তোমার দেখাটা ভুলও হতে পারে।”

–“আচ্ছা আমার দেখা ভূল মানলাম। কিন্তু শান্ত ভাই নূরের কথা কেন বলছে? আচ্ছা শান্ত ভাই আপনি কেন বলছেন নূর বেঁচে আছে?”

শান্ত এতক্ষণে অর্নিকে খেয়াল করলো৷ অর্নি’র সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
–“তুমি ফিরে এসেছো? তোমার খোঁজ___”

–“আমি নিখোঁজ ছিলাম না।”

শান্ত অবাক চোখে তাকালো। অর্নি শুরু থেকে সবটা বললো শান্তকে। সব শুনে শান্ত বললো,
–“অর্নি ঠিক বলছে ভাই। আমিও নূরকে দেখেছি। এই খানে একটু আগে৷ আমরা দুজনে নিশ্চয়ই ভূল দেখবো না?”

ওদের দুজনের কথাগুলো এবার উৎসবকে ভাবাচ্ছে। অর্নির কথা এতোদিন ততটা গুরুত্ব না দিলেও আজ ওর কথা বিশ্বাস করতে বাধ্য হচ্ছে। সত্যিই তো দুজন মানুষ তো আর ভূল দেখবে না। অর্নি’র জোড়াজুড়িতেই উৎসব অর্নিকে এখানে নিয়ে এসেছে। আর এত্ত ভোরবেলা আসার কারণ একটাই। যাতে অর্নির খোঁজ ইশা বা ওই অজানা লোকটা না পায়। দিনের আলোয় নিশ্চয়ই কারো না কারো চোখে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো৷ যা এত্ত ভোরবেলা নেই। উৎসব শান্ত’কে বললো,
–“তুমি ঠিক কি দেখেছো শান্ত?”

শান্ত সবটা বললো ওদের৷ সব শুনে উৎসব বললো,
–“ফুল মেয়েটা যদি নূর হয় তাহলে তোমাকে চিনলো না কেন? আর ও আমাদের নূর হলে এখানে পড়ে আছে কেন এখনো?”

–“হতে পারে ওর মেমোরি লস হয়েছে।”

অর্নি’র কথায় শান্ত সহমত প্রকাশ করে বললো,
–“অর্নি মানে ভাবী হয়তো ঠিক বলছে। আমি সিয়র ওটা নূর।”

–“আচ্ছা তাহলে তুমি থামালে না কেন ওকে? যেতে কেন দিলে?”

–“আমি স্পিচলিস হয়ে গেছিলাম, এভাবে হুট করে এরকম___”

–“আচ্ছা, আচ্ছা! শান্ত হও এবার। চলো নিচের ওই গ্রামটাতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখি একবার।”

উৎসবের কথায় শান্ত তৎক্ষনাৎ মাথা নাড়ালো। অতঃপর তিনজনে ওই রাস্তা ধরে নিচের গ্রামটাতে নেমে গেলো।

পুরো গ্রামে মোট ছাব্বিশটার মতো পরিবার আছে। মোটামুটি সকল পরিবারের সাথেই কথা বলা শেষ। এখন মাত্র আর চারটা পরিবার বাকী আছে। শেষ এই চারটা বাড়ি খুঁজলেই খোঁজা শেষ হয়ে যাবে। অর্নি বাড়ির দরজায় কড়া নাড়লো। বেশ কয়েকবার কড়া নাড়ার পর রুমকি নামের মেয়েটা বেরিয়ে এলো। শান্ত দ্রুত কদমে রুমকির সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
–“তোমার সাথেই তো নূর ছিলো। নূর কোথায়? ওকে ডাকো।”

কথাটা বলে শান্ত ঘরের দিকে উঁকিঝুঁকি মারলো। রুমকি অবাক কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
–“নূর? কোন নূরের কথা কইতাছেন আপনি?” এইহানে নূর নামের কেউ থাকে না।”

–“মিথ্যে বলছো কেন তুমি? কিছু সময় আগেই তো তোমার সাথে ছিলো ও। উৎসব ভাই ও মিথ্যে বলছে, নূর___”

–“রিল্যাক্স শান্ত। আমি কথা বলছি, তুমি শান্ত হয়ে দাঁড়াও।”

উৎসবের কথায় শান্ত কিছুটা স্থির হলো। দু পা পিছিয়ে দাঁড়ালো। উৎসব রুমকির সামনে দাঁড়িয়ে বললো,
–“সকালে তুমি আর একটা মেয়ে ফুলের ঝুড়ি হাতে কোথাও গিয়েছিলে? কি যেন নাম ছিলো মেয়েটার___”

–“ফুলের কথা কইতাছেন আপনারা?”

শান্ত আবারো অস্থির হয়ে বললো,
–“ও ফুল নয়, ও আমার নূর।”

রুমকি অবাক দৃষ্টিতে শান্ত’র কান্ড দেখছে। উৎসব রুমকিকে বললো,
–“হ্যাঁ, ফুল কোথায়? ওকে একটু ডেকে দিবে?”

–“ওর বাড়ি তো আর দুইটা বাড়ি পরেই। চলে আমার সাথে, আমি নিয়া যাইতাছি।”

–“চলো।”

অতঃপর সকলে মিলে রুমকির পিছু নিলো। এই পাড়ার আরো কয়েকজন মানুষজন উৎসব ওদের সাথেই যাচ্ছে। সবাই উৎসুক দৃষ্টিতে দেখে যাচ্ছে সবকিছু। রুমকি ফুলদের বাড়ি এসে দেখলো ফুলের মা লাউয়ের মাচা থেকে লাউ কাটছে। রুমকির ডাকে তিনি কাঁচি আর লাউ ঘরের সামনের মাটির বারান্দায় রেখে আঁচলে হাত মুছে উৎসব ওদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। এত সকাল সকাল এই পাড়ার এত মানুষ আর অচেনা তিনটা মুখ দেখে ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকালেন সেদিকে। রুমকি বললো,
–“চাচী ফুল কই? ওরে ডাকো তো।”

–“ক্যান? আর তোর লগে এরা কারা আইছে?”

রুমকি একবার শান্ত’র দিকে তাকিয়ে বললো,
–“চাচী এই লোকে আমগো ফুলরে নূর বইলা দাবী করতাছে।”

রুমকির কথায় ফুলের মা চমকে তাকালো শান্ত’র দিকে। বিচলিত কন্ঠে বললো,
–“এইহানে কোনো নূর থাকে না। ও আমার মেয়ে আমার ফুল।”

উৎসব এগিয়ে গিয়ে ফুলের মাকে সবটা বুঝিয়ে বললো। ফুলের মা কিছুতেই ফুলকে ডাকতে রাজি না। অবশেষে সবার জোড়াজুড়িতে ফুলকে ডাকতে বাধ্য হলেন তিনি। ফুলকে দু বার ডাকার পরই ফুল গামছা দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ালো। ফুলকে দেখে উৎসব চমকে গেলো৷ ফুল দেখতে সত্যিই নূরের মতো। এবার আর শান্ত এবং অর্নির কথা অস্বীকার করতে পারলো না উৎসব। ফুল গামছাটা উঠানে টাঙানো রশিতে ঝুলিয়ে রেখে ওর মায়ের পাশে এসে দাঁড়ালো। ফুল ড্যাবড্যাব করে উৎসব অর্নি আর শান্ত’র দিকে তাকিয়ে আছে। ডান দিকে ঘাড় কাত করে আবারো পরপর কয়েকবার চোখের পলক ফেলে দেখলো ওদের তিনজনকে। শান্ত গিয়ে ফুলের সামনে দাঁড়িয়ে ফুলের দুগালে হাত রেখে বললো,
–“থ্যাংক গড তোমার কিছু হয়নি নূর। আমি জানতাম আমার নূরের কিচ্ছু হতে পারে না। আমার নূর আমাকে একা ফেলে কিছুতেই যেতে পারে না আমি জানতাম। কিন্তু তুমি এখানে কি করছো? আমাদের কাছে ফিরে যাওনি কেন? কিছুক্ষণ আগে আমাকে দেখেও ওভাবে চলে এলে কেন নূর? এই নূর কথা বলছো না কেন তুমি?”

বলেই ফুলের কপালের সাথে কপালে লাগালো শান্ত। শান্ত’র স্পর্শ পেয়ে ফুলের ভিতরটা কেমন যেন করে উঠলো। ফুলের সর্বাঙ্গ কেঁপে উঠলো। ফুলের মা একটানে শান্ত’র থেকে ফুলকে ছাড়িয়ে নিলো। ফুলকে নিজের পেছনে আড়াল করে ঝাঁজালো কন্ঠে বললো,
–“বাড়ি আইসা আমার যুবতি মাইয়ার লগে কিসব অসভ্যতামি শুরু করছেন আপনে? এহনই আমার বাড়ি থাইকা বাইর হইয়া যান কইতাছি।”

শান্ত আবারো ফুলের কাছে এগোতে গেলে ফুলের মা কড়া গলায় বললো,
–“খবদ্দার আমার ফুলের দিকে আর এক পা আগাইবেন না।”

–“ও ফুল না। আপনাদের কোথাও ভুল হচ্ছে, ও আমার নূর। আমার বিবাহিতা স্ত্রী ও।”

ফুলের মা শান্ত’র কথা কিছুতেই মানতে ইচ্ছুক না। পাড়ার মানুষ জনও শান্ত ওদের এখান থেকে চলে যেতে বলছে। উৎসব বললো,
–“আমাকে একটু ফুলের সাথে কথা বলতে দিন প্লিজ।”

অনেক রিকুয়েষ্ট করে উৎসব ফুলের মায়ের থেকে অনুমতি পেলো। উৎসব ফুলের কাছে গিয়ে ওর হাতটা ধরে বললো,
–“নূর আমি ভাইয়া, তোর উৎসব ভাইয়া। আমাকে চিনতে পারছিস না তুই?”

ফুল কিছু বললো না। অর্নি গিয়ে উৎসবের পাশে দাঁড়ালো। উৎসব অর্নিকে দেখিয়ে ফুলকে বললো,
–“এই যে দেখ অর্নি, তোর বেস্ট ফ্রেন্ড প্লাস তোর ভাবী৷ ওকেও চিনতে পারছিস না তুই? অর্নিকে বাঁচাতে গিয়েই তো খাদে পড়ে গিয়েছিলি তুই, মনে নেই তোর?”

অর্নি শক্ত করে ফুলকে জড়িয়ে ধরলো। তারপর ফুলকে ছেড়ে ফুলের গালে হাত রেখে বললো,
–“দোস্ত আমাকে চিনতে পারছিস না? প্লিজ ফিরে চল না। আমি তুই রুশান আবার আগের মতো ভার্সিটি যাবো। মজা করবো আড্ডা দিবো। সেসব দিন অনেক মিস করি দোস্ত প্লিজ ফিরে চল না।”

ফুল দূরে সরে দাঁড়ালো। অর্নি বললো,
–“কথা বলছিস না কেন? কিছু তো বল দোস্ত।”

ফুল কাঁপা কাঁপা স্বরে বললো,
–“ক্ কারা আপনারা?”

শান্ত কিছু বলতে গেলেই ফুলের মা বললো,
–“মেলা হইছে। শুনছেন ফুলের কথা? ও আপনাগো চিনে না৷ এবার আপনারা বিদায় হোন।”

কথাটা বলে ফুলের মা ফুলকে নিয়ে ঘরে চলে গেলো। ফুল পেছন ফিরে একদৃষ্টে অদ্ভুত ভাবে শান্তকে দেখেছে শুধু। ফুলের মা ঘরে গিয়ে দরজায় খিল দিতেই ফুলের পলক পড়ে। পাড়ার লোকজন আরো অনেক কিছু বলে টলে উৎসব ওদের ওখান থেকে চলে যেতে বলে। শেষে বাধ্য হয়ে উৎসব ফিরে যায়। শান্তকে কিছুতেই নেওয়া যাচ্ছিলো না। উৎসব জোর করেই শান্তকে নিয়ে যায়। আশ্বাস দেয় ফুল যদি নূর হয়ে থাকে তাহলে ঠিক ওকে এখান থেকে নিয়ে যাবে ওরা। আর উৎসব ফোন করে একজনকে বলে এই ফুলের পুরো ডিটেইলস জেনে উৎসবকে জানাতে।

গোসল শেষে চুল মুছতে মুছতে বের হলো উৎসব। এবারেও পড়নে শুধু টাওয়াল। অর্নির মেজাজ বিগড়ে গেলো। এই লোকটার সমস্যা কি? যখন তখন ঘরে মধ্যে এভাবে টাওয়াল পড়ে ঘুরে বেড়ায় কেন? অর্নি ঝাঁজালো কন্ঠে বললো,
–“এই আপনার সমস্যা কি বলেন তো? এভাবে টাওয়াল পড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেন?”

উৎসব বাঁকা হেসে বললো,
–“তোমার বরের এমন রুপ দেখে মেয়েরা পাগল হয়ে যায়। আর আমার বউ তো দেখছি আমার এই রুপ দেখলে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠছে দেখছি।”

–“রুপ না ছাই। যারা আপনারা এরকম রুপ দেখলে পাগল হয়ে যায় তাদের চয়েজ ভালো না।”

চলবে~

|রি-চেক হয়নি, ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। আমার দাদু অসুস্থ, ডক্টর দ্রুত অপারেশন করাতে বলেছে যার জন্য গল্প নিয়মিত দিতে পারছি না। এখন থেকে একদিন পর পর গল্প দিবো|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here