#মিশেছো_আলো_ছায়াতে
#Writer_Sintiha_Eva
২+৩
#part : 02
🍁🍁🍁
মেঘা: শা’লা খ’চ্চর তুই আমার ওড়না দিয়ে ময়লা মুছলি কেনো।
তুহিন : ওহহ এটা তোর ছিলো আমি ভেবেছি কার না কার তাই জায়গা টা পরিষ্কার করে বসলাম। ( দাঁত কেলিয়ে)
তুহিনের এমন দায়সারা ভাবে মেঘা দাঁত কিড়মিড় করে বলে,,,
মেঘা : জু’তা খুলে মারমু ফাজিল পোলা আবার দাঁত কেলায়।
তুহিন : তুই আমারে জুতা মা’রবি আর আমি বসে থাকবো হুহহহ।
তুহিনের কথায় মেঘা পা থেকে জুতা খুলে তুহিনের দিকে ছুড়ে মারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত জুতো তুহিনের গায়ে না লেগে সায়নের বন্ধু আয়াশের গায়ে লেগে যায়। আয়াশ ফোন থেকে চোখ সরিয়ে চোখ পাকিয়ে মেঘার দিকে তাকাতেই মেঘা ইনোসেন্ট ফেস করে কান ধরে বলে,,,,
মেঘা : সরি সরি সরি ভাইয়া একটু মিসটেক হয়ে গেছে।
আয়াশ কিছু না বলে একটা রাগী লুক দিয়ে ফোনের দিকে নজর দেয় পুনরায় । মেঘা এক দৌড়ে গিয়ে তুহিনের চুল টেনে ধরে চুল টানতে শুরু করে। আচমকা এমন হওয়ায় উপস্থিত সবাই হতভম্ব হয়ে যায়।
তুহিন : মেঘাকি বাচ্চি চুল ছাড় আমার ফিউচার বউয়ের হকের জিনিসে হাত দিবি না।
মেঘা : শাট আপ তোর চুলেই হাত দিয়েছি অন্য কোথাও দেয় নি। তোর জন্য আমার টার্গেট মিস হয়ে গেছে অস’ভ্য একটা।
তুহিন : চুল ছাড় বলছি নয়তো আমি ও তোর চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলবো।
মেঘা : হাহ ধরে দেখ না হাত ভে’ঙে ফেলমু শখ কতো!
মেঘার কথায় তুহিন ও মেঘার চুল টানতে শুরু করে। অন্যদিকে দুজনের ঝগড়া দেখে সবাই বোকা বনে যায়। কেউ এদের দেখে বলবে এরা দুইজন ডাক্তার এখনো ওয়ান-টু এর বাচ্চাদের মতো ঝগড়া করেছে। ঝগড়ার এক পর্যায় মেঘা তুহিনের চুল ছেড়ে কুশন নিয়ে তুহিন কে মা’রতে শুরু করে। তুহিন কি আর বসে থাকার ছেলে তুহিন ও পাশ থেকে কুশন নিয়ে মেঘাকে মা’রতে শুরু করে।
সিমথি মাত্রই নিচ থেকে উপরে নিজের রুমে আসে। কিন্তু রুমে সামনে এসে নিজের রুমের এই অবস্থা দেখে চোখ কপালে। ভেতরে গিয়ে তুহিন আর মেঘা কে এভাবে মারামারি করতে দেখে একটা তপ্ত শ্বাস ফেলে।
সিমথি : আবার শুরু হয়েছে। ( বিড়বিড়িয়ে)
সিমথিকে দেখে রোদেলা হাসতে হাসতেই বলে,,,
রোদেলা : আরে ভাই তোরা থাম দুজন। পেছনে দেখ কে দাঁড়িয়ে আছে
তুহিন : তুই চুপ কর ফ’কি’ন্নি !
সিমথি : তুহিন মেঘা দুইজনই স্টপ মা’রা’মা’রি বন্ধ কর।
আচমকা সিমথির ভরাট কন্ঠস্বর সুরে দুজনই দুজনকে ছেড়ে সোজা হয়ে দাড়ায়। এই মুহূর্তে দুজনের মুখ দেখে চেনার উপায় নেই এরা একটু আগে এমন করেছে দুজনই পুরো নিষ্পাপ শিশুর মতো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। সিমথি জোরে একটা শ্বাস নিয়ে সবার দিকে তাকায় রুমে সবাই আছে তুহিন, মেঘা, রোদেলা, রোজ, ইফাজ,আদি,আয়াশ,রিক সিমথির আরো কয়েকজন কাজিন এদের এখানে থাকার মূল উদ্দেশ্য আড্ডা দেওয়া। সিমথি পুরো রুমে দিকে একবার চোখ বুলায় অতঃপর কাভার্ডের কাছে গিয়ে হাতে জামা-কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে অগ্রসর হয়। যেতে যেতে তুহিন মেঘাকে উদ্দেশ্য করে বলে,,,,,
সিমথি : অনলি টুয়েন্টি মিনিটস অগোছালো রুম এসে যেনো গোছানো দেখি নয়তো দুইটারই খবর আছে।
আর কি তুহিন মেঘা দুজনই রুম গোছাতে শুরু করে আর একজন আরেকজনকে দোষারোপ করছে। ওদের অবস্থা দেখে উপস্থিত সবাই উচ্চস্বরে হেসে উঠে।
বেশ কিছুক্ষণ পর সিমথি শাওয়ার নিয়ে এসে দেখে রুম একদম ফিটফাট আর সবাই আড্ডা দিচ্ছে। সিমথি ভেজা তোয়ালপ টা মেঘার মুখে ছুঁড়ে মারে মেঘা রাগী চোখে তাকায় সিমথি তা দেখে আলতো হাসে। ব্যঙ্গ স্বরে বলে,,,
সিমথি : তোর ওই রাগ সাময়িক সো প্যারা নাই চিল। বাই দ্যা ওয়ে আমি আসলে সবাই এমন থুম মেরে যাও কেনো বাঘ নাকি আমি আজব।
রোজ : সিমথিপু তোমার তো বিয়ের দিন আসার কথা ছিলো তাহলে
সিমথি : কাজ পড়ে গিয়েছিলো রেড রোজ। বাদ দাও সবাই কেমন আছো
ইফাজ : থাম তুই।
সিমথি : ওকেহহ।
” মে আই কাম ইন ”
পুরুষালি কন্ঠে সবাই দরজার দিকে তাকায় তুহিন মেঘা রোদেলা একসাথে চিল্লিয়ে বলে উঠে,,,
_ তন্ময়য়য়য়য়য়য়য়
সঙ্গে সঙ্গে সবাই কানে হাত দেয় মাগো মা এদের গলা নাকি ফাটা স্পিকার।
তন্ময় ভেতরে ঢুকেই মেঘা আর রোদেলার মাথায় চাটি মারে অতঃপর সিমথির পাশে গিয়ে ধপপ করে বসে পড়ে। সিমথি কিছুটা সরে বসলে তন্ময় ও সিমথির দিকে কিছুটা এগিয়ে যায় এদের দুইজনের কাহিনি দেখে মেঘা তুহিন আর রোদেলা মিটিমিটি হাসতে থাকে। অন্যদিকে আদি রাগী চোখে তন্ময়ের দিকে তাকায়। তন্ময় হলো মিমের ভাই পেশায় একজন সাংবাদিক। তন্ময়, মেঘা, তুহিন, রোদেলা আর সিমথি হলো ছোটবেলার ফ্রেন্ড সার্কেল। তন্ময় কে নিজের দিকে এগুতে দেখে সিমথি ভ্রু কুঁচকে বলে,,
সিমথি : কি ব্যাপার তুই এভাবে এগুচ্ছিস কেনো।
তন্ময় আমতা আমতা করে বলে,,
তন্ময় : রেগে আছো।
সিমথি : হু আর ইউ?
তন্ময় : আরে কাজে আটকে গিয়েছিলাম তো তাই লেট হলো। সরিহহহ
সিমথি : বাদ দে তোর যা ইচ্ছে কর আমার কি।
তন্ময়: আরে ইয়ারর সরি
সিমথি : এভাবে না কান ধরে দশ বার উঠবস কর
সিমথির কথায় তুহিনরা হেসে দেয় তন্ময় মুখটা লটকিয়ে বলে
তন্ময়: সিয়ু দিজ ইজ নট ডান ওকে
সিমথি: বললাম তো তোর ইচ্ছে
তন্ময় কিছু না বলে দশবার কান ধরে উঠবস করে তা দেখে আদি বাদে বাকি সবাই হাসতে হাসতে শেষ।
সিমথি : ব্যস ব্যস অনেক হয়েছে। ভাবীপুর সাথে দেখা করেছিস
তন্ময় : ইয়াপপ। রাগ কমেছে তোর
সিমথি : রাগ করলে তো কমবে
কথাটা বলে সিমথি নিচে চলে যায়। অন্যদিকে তন্ময় সিমথির কথায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় মানে টা কি এতোক্ষণ ধরে যে ওকে দিয়ে উঠবস করালো তার মানে ইচ্ছে করে এমন করিয়েছে ভেবেই তন্ময় গাল ফুলায়।
______________
রাত তখন দুইটা বাজে সবাই ঘুমে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। আচমকায় সিমথির ঘুম ভেঙে যায়। সিমথি বিছানা থেকে উঠে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায় কিন্তু সেখানে ও ভালো না লাগায় সিমথি ছাঁদের উদ্দেশ্য পা বাড়ায়। ছাঁদে গিয়ে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস নেয়। অনেক বছর ধরে দমিয়ে রাখা অনুভূতি গুলো বেসামাল হয়ে উঠেছে। কিন্তু এটা সিমথি চায় না সিমথি আর আগের মতো পাগলামি করতে চাই না। অনেক কষ্টে নিজেকে কঠিন আবরণে আবৃত করেছে এই আবরণ সিমথি এতো সহজে খুলবে না। বেশ কয়েক বছর আগের একটা স্মৃতি সিমথির মনে পড়ে যায় ঢুব দেয় সেই স্মৃতির পাতায়।
সিমথি ড্রয়িংরুমে বসে হোমওয়ার্ক করছিলো তখন সিমথি ইন্টারে পড়ে। তখনই সায়ন আর আদি বাড়িতে আসে। সায়ন এসেই কিছু একটা আনতে উপরে চলে যায়। সিমথি আদির দিকে তাকিয়ে একটা টেডি স্মাইল দেয় আদি বিরক্তিতে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
সিমথি : ও মা আদি আজ তোমাকে কিন্তু দারুণ লাগছে আফটার অল আমার ফেভারিট কালার পড়েছো তো তাই একটু বেশিই সুন্দর লাগছে
সিমথির কথায় আদি রাগী চোখে তাকিয়ে বলে,,,
আদি : তোর থেকে আমি বয়সে বড় হয় সায়ন, আয়াশ আর রিক কে যেমন ভাইয়া বলিস আমাকে ও তেমন ভাইয়া ডাকবি বে’য়া’দব।
সিমথি : ভাইকে তো ভাই ‘ ই ডাকি আর আয়াশ ভাইয়ারা আর তুমি কি এক নাকি ইউ নো না আই লাভ ইউ সো মাচ
আদি : ডাফার একটা আরেক দিন এসব বললে আমি সায়ন কে বিচার দেবো গট ইট
সিমথি : দাও না আমি ও তো বলছি দাও তাহলে আমার আর তোমার বিয়ে টা তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে আর তুমি ও আমার হয়ে যাবে হাউ ইন্টারেস্টিং তাই না
আদি : সিয়া ( ধমকে)
সিমথি : এভাবে রাগ দেখিও না জামাই জান বুকের বা পাশে ছ্যাত করে উঠে
আদি : দেখ সিয়া আদিবা আমার কাছে যেমন তুই ও তেমনই
আদির কথায় এবার সিমথি কিছুটা রাগী গলায় বলে,,
সিমথি : আদিবা তোমার মায়ের পেটের বোন হয় আমি নয় তাই ভুলেও এই কথা বলবে না। কেনো বুঝো না আদি আমি তোমাকে সত্যিই অনেক ভালোবাসি বিলিভ মি
আদি : দেখ সিয়া আমি তোকে ভালোবাসি না এন্ড নেক্সট টাইম এসব বলার ট্রাই করবি না আমি তোকে ওয়ার্নিং দিচ্ছি
আদি উঠে চলে যেতে শুরু করে সিমথি কথায় থেমে যায়।
সিমথি : একদিন তুমি ও আমাকে ভালোবাসবে আর এটা সিমথি জাহান সিয়ার প্রমিস একদিন তুমি ও আমাকে ভীষণ করে চাইবে কাছে পেতে চাইবে ভালোবাসতে চাইবে মিলিয়ে নিও
সিমথির কথায় ওইদিনও পাত্তা না দিয়ে আদি চলে যায় সিমথির চোখ থেকে দু ফোঁটা পানি গাল গড়িয়ে পড়ে কিন্তু ঠোঁটের কোণায় মুচকি হাসি লেগে থাকে।
অতীত থেকে সিমথি বেরিয়ে আসে নিজের বোকামি গুলো মনে পড়তেই হেঁসে উঠে আপনমনে এই হাসি আছে একরাশ না পাওয়ার কষ্ট অভিমান। সিমথি বিড়বিড় করে বলে,,,,
সিমথি : সিমথি জাহান সিয়া ইউ আর রিয়েলি এ্যা ক্রেজি ওম্যান!
” সেই পাগলামি করা মেয়েটা কেই আমার চাই ”
আচমকা পুরুষালি কন্ঠস্বরে সিমথি পেছন ফিরে। নিজের অতি নিকটে আদি কে দেখে সিমথি পেছনে সরে যায়। ছাঁদে এদিক টা উন্মুক্ত তাকায় সিমথি পড়ে যেতে নেয়। সেই মুহুর্তে আদি সিমথির হাত ধরে নিজের দিকে টান দেয়। ফলস্বরূপ সিমথি এসে আদির বুকের উপর পড়ে সঙ্গে সঙ্গে আদির পুরো শরীর কেঁপে উঠে একটা মেয়ের ছোঁয়ায় ও বুঝি এতটা নেশা থাকতে পারে কই আদির তো জানা ছিলো না। সিমথি আদি বুকের হৃদপিণ্ডের দ্রুত ওঠা-নামা অনুভব করছে খুব কাছ থেকে। এভাবে বেশ কয়েক সেকেন্ড পেরুতেই আচমকা সিমথি আদি কে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়। চোখ মুখ রক্তবর্ণ ধারণ করে রাগান্বিত সুরে হালকা চেঁচিয়ে বলে,,,
সিমথি : Live me alone মিস্টার চৌধুরী।
সিমথির আচমকায় এহেন রূপে আদি চমকে উঠে কি হলো মেয়েটা একটু আগে ও তো মুখে সরলতার ছাপ ছিলো হঠাৎ কি হলো।
আদি : এতো রাতে ছাঁদে কি করছিস।
সিমথি : বাই এনি চান্স কৈফিয়ত চাইছেন এক্সকিউজ মি প্লিজ সিমথি জাহান সিয়া কারো প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নয়।
আদি : সিয়া আমি জাস্ট জিজ্ঞেস করছি সেই অধিকার ও নেই
সিমথি : রাইটস বাট কিসের আপনি কে আমাকে এসব জিজ্ঞেস করার আমার যখন যেখানে ইচ্ছে আমি তখন সেখানে যাবো।
আদি : সিয়া এভাবে কথা বলছিস কেনো আগে তো তুই এমন ছিলি না।
সিমথি : ওহ নো মিস্টার চৌধুরী আগে আমি এমন ছিলাম না ওমন ছিলাম, ওমন ছিলাম না এমন ছিলাম এসব বাদ দেন। এখন আমি এমনই প্লিজ লিভ।
সিমথির কথায় আদি রেগে যায়। আচমকায় সিমথির দু বাহু চেপে ধরে রাগান্বিত সুরে বলে,,,
আদি : এমন বিহেভ করছিস কেনো আর আপনি আপনি করছিস কেনো বুঝতে পারছিস না আমার কষ্ট হচ্ছে আমি নিতে পারছি না তোর এই রূপ টা।
সিমথি : আদি ভাইয়া ছাড়ুন কেউ আসলে উল্টাপাল্টা কিছু ভাববে।
আদি : হাহ সিমথি জাহান সিয়া কাউকে ভয় পায় নাকি।
আদির কথায় সিমথি উত্তর দেয় না পাশ কাটিয়ে চলে আসতে নিলে সিমথির হাত ধরে আটকে দেয় আদি। সিমথি এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে নিয়ে কিছু বলতে নিলে আদি সিমথির সন্নিকটে গিয়ে দাঁড়ায় মাঝে একটু ফাঁক সিমথি শান্ত দৃষ্টিতে আদির দিকে তাকায়।
আদি বেসামাল গলায় বলতে শুরু করে,,,
আদি : কি হয়েছে তোর আমার কোনো কাজে কষ্ট পেয়েছিস। আমাকে বল আমি শুধরে নেবো। হঠাৎ করে বাইরে কেনো চলে গিয়েছিলি আর আমার সাথে যোগাযোগই বা কেনো বন্ধ করে দিলি। তুই জানিস আমার কি হাল হয়েছিলো, একটা বার ও ভাবলি না আমার কি হবে।
আদির কথায় সিমথি তাচ্ছিল্যের সুরে বলে,,,
সিমথি : আপনার কষ্ট কেনো হলো বলুন তো ফিলিংসটা সঠিক হোক বা ভুল হোক সম্পূর্ণ টা আমার দিক থেকে ছিলো আপনার দিক থেকে কিছুই ছিলো না। এতোবছর পর আমার এসব নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগছে না। আমি ও ভুলে গেছি আপনি ও ভুলে যান।
আদি : কোনটা ভুলে যাবো এতোগুলো বছর তোর জন্য ওয়েট করেছি এটা নাকি তোর জন্য আমার ফিলিংসটা।
আদির কথায় সিমথি কিছু না বলে ছাঁদ থেকে নেমে আসে। ওর কেনো যেনো এসব শুনতে একদম ভালো লাগছে না। এতোবছর পর দমে যাওয়া অনুভূতির সাথে আর সাক্ষাৎ করতে চাইছে না সিমথি কারণ একটাই প্রতারণা আর বিশ্বাসঘাতকতা। সিমথি রুমে এসে বিড়বিড়িয়ে বলে,,,
সিমথি : আপনি একজন প্রতারক আদি একজন বিশ্বাসঘাতক। আপনি আমার অনুভূতির সাথে প্রতারণা করছেন আপনার মাফ নেই, মাফ নেই আপনার। আপনি একজন বিশ্বাসঘাতক।
আদি ছাঁদেই মেঝেতে বসে পড়ে একটা ভুলের শাস্তি কেউ এভাবে ও দিতে পারে সিমথি এতোটা কঠোর কিভাবে পারলো নিজেকে করতে। আদি নিজেকে সামলে বিড়বিড়িয়ে বলে,,,
আদি : এতো বছর আমি তোর অপেক্ষায় ছিলাম। একবার যখন আমি তোর নাগাল পেয়েছি তোর আর ছাড় নেই। তুই আবারো আমাকে ভালোবাসি আবারো আগের মতো পাগলামি করবি এটা আদিত্য চৌধুরী আদি’র প্রমিস।
চলবে,,,,,
#মিশেছো_আলো_ছায়াতে
#Writer_Sintiha_Eva
#part : 03
🍁🍁🍁
সিমথি : কি আশ্চর্য আমাকে এভাবে টানছিস কেনো!
সিমথির কথা রোজ দাঁড়িয়ে পড়ে। অতঃপর গাল ফুলিয়ে বলে,,,
রোজ : আসার পর থেকে আমাদের একটু ও সময়,দাও নি সিমথিপু। ছাঁদে সবাই ট্রুথ ওর ডিয়ার খেলছে তুমি ও চলো।
সিমথি : আমার কাজ আছে রোজ তোরা খেল গিয়ে। আর এই সন্ধ্যায় কেউ ছাঁদে থাকে।
সিমথির কথা রোজ মুখ খিঁচে বায়না ধরে বসে।
রোজ : নাহহহহ তুমি ও খেলবে। এতো কাজ করতে হবে না। আর সন্ধ্যায় তো কি হয়েছে। কাল থেকে তো সবাই আবার আগের লাইফে লিড করবে। তুমি ও হসপিটাল জয়েন করবে তখন তো তোমাকে বেশী সময় পাবোই না। আজকেই খেলি চলো না প্লিজ প্লিজ।
সিমথি : কিন্তু,,,
সিমথি কে কিছু বলতে না দিয়ে রোজ সিমথি কে টানতে টানতে ছাঁদে নিয়ে যায়। অগত্যা সিমথি ও বাধ্য হয়ে যায়। ছাঁদে পৌঁছাতেই চোখ যায় ছাঁদের বিপরীত পাশে পাটি বিছিয়ে বসে থাকা মানুষগুলোর উপর। সবাই বসে আছে আর টুকটাক কথা বলছে। রোজ সিমথিকে নিয়ে সবার সামনে দাঁড়ায়।
রোজ : দিজ ইজ নট ফেয়ার আমাদের রেখে সবাই বসে পড়লে কেনো। আমার কোথায় বসবো? ( গাল ফুলিয়ে)
ইফাজ : তুই ওদিকে বসে যা আর সিমথি এখানে বসুক
রোজ কিছু না বলে ইফাজ কে ঠেলে আদির দিকে ফাঁকা জায়গায় পাঠিয়ে নিজে বসে সমথিকে ঠান দিয়ে নিজের সাথে বসায়। ইফাজ বিড়বিড়িয়ে বলে,,,,
ইফাজ : পা’গ’ল মেয়ে একটা। এই পা’গ’ল কিভাবে আমার বোন হলো যে।
রোজ: কি বিড়বিড় করছিস নিশ্চয়ই আমাকে পা’গ’ল বলছিস। তোর চৌদ্দ গোষ্ঠী পা’গ’ল আমি আর সিমথিপু বাদে ( ভেংচি কেটে)
রোজের কমন ডায়লগের মধ্যে একটা।রোজের কথায় ইফাজ থতমত খেয়ে যায় চুরি করে ধরা পরার মতো চোরের মতো মুখ করে রোজের দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা শুরু করে তা দেখে সবাই মুচকি হাসে। এটা প্রতিটা ভাই বোনের সম্পর্ক এমনই হওয়া দরকার। যেখান ভালোবাসা-খুনসুটি, আদর-শাসনে পরিপূর্ন। বোন যতই ছোট হোক না কেনো বড় ভাইকে বোনের সামনে মাথা নত করতেই হয়। আবার সেই ভাই’ই বিপদে উপরওয়ালা-মা-বাবার পর চতুর্থ ব্যক্তির মতো আশ্রয়দাতা হয়ে যায়।
সায়ন: ইফাজ বাদ দে মেয়ে মানুষ পারবি না
সায়নের কথায় সিমথি ভ্রু কুঁচকে তাকায় কিন্তু কিছুই বলে না কারণ সায়নের সাথে আপাতত সিমথির কথা অফ। সায়ন এবার ও হতাশ হয়। ভেবেছিলো এখন হয়তো সিমথি ওর সাথে ঝগড়ার ছলে হলেও কথা বলবে কিন্তু সে আর হলো কই। কালকের কাহিনী কে কেন্দ্র করেই যে সিমথি সায়নের সাথে কথা বন্ধ করেছে সেটা সায়নের ও জানা। মিম সিমথির কতটা পছন্দের একজন মানুষ এটা সায়ন জানে। তার জন্যই রহিমা বেগম আর তরীকে শক্ত গলায় কিছু না বলাতেই সিমথি ওর উপর ছটে আছে এটা সায়ন খুব ভালোই অনুধাবন করতে পারছে। এই রাগ ভাঙ্গাতে ও সায়নের বেশ কষ্ট হবে তা সায়নের জানা হয়ে গেছে।
মেঘা : এভাবে বোর হতে ভালো লাগছে না চলো না খেলা স্টার্ট করিইই
মেঘার কথায় সবাই সহমত জানায়। খেলা স্টার্ট হয় প্রথমই বোতলের মুখ পড়ে এসে মেঘার দিকে। সঙ্গে সঙ্গে মেঘার মুখটা ছোট হয়ে যায়। মেঘার মুখ দেখে আয়াশ মুচকি হেসে বলে,,,,,
আয়াশ : বেশি লাফালে এমনই হয়
আয়াশের কথায় মেঘা তিড়িং বিড়িং করে উঠে।
মেঘা : আমাকে লাফাতে দেখেছেন হা।
আয়াশ : মেয়ে মানুষের সাথে আমি কথা বলি না। নেহাৎ ই একজন ভদ্র ছেলে আমি।
আয়াশের কথায় মেঘা মুখ ভেংচি কেটে ব্যঙ্গ স্বরে বলে,,
মেঘা : আচ্ছা আপনি সায়ন ভাইয়ার সেই বন্ধু টা না যে আমাদের ক্লাসমেট কে প্রপোজ করেছিলেন।আবার বলছে “আমি মেয়ে মানুষের সাথে কথা বলি না ”
হাহহ!
মেঘার কথায় আয়াশ প্রচন্ড জোরে একটা বিষম খায়। সিমথি বাদে উপস্থিত সবাই শব্দ করে হেসে উঠেমেঘার কথা বলার ধরন দেখে। আয়াশ অবাক হয়ে মেঘার দিকে তাকায় এতোবছর আগের কথা এখনো ভুলেনি এই মেয়ে।
আয়াশ : ওটা ডেয়ার ছিলো অর নাথিং।
মেঘা : ও মা তাই। প্রমাণ করুন ওটা ডেয়ার ছিলো নয়তো বিশ্বাস করবো কেনো।
আয়াশ : প্রমাণ আর বিশ্বাস দুইটাই আমার ফিউচার বউকে করাতে আমি অলওয়েজ রাজি বাট Obviously সেই ফিউচার বউ টা তুমি নও। তাহলে তোমাকে কেনো প্রুভ দেবো এন্সার মি।
আয়াশের কথায় আবারো সবাই হেসে উঠে। মেঘা দাঁত কিড়মিড় করে কিছু না বলে দমে যায়। মেঘার মুখের ভঙ্গিমা দেখে আয়াশ নিঃশব্দে হাসে।
রোদেলা : ওকে গাইস এবার থামো। মেঘ বল কি নিবি ট্রুথ না ডেয়ার
মেঘা : Obviously ডেয়ার। ইউ নো না আমি অলওয়েজ সাহসী।
রোদেলা : ওকেহ।
তুহিন : ওকে কে ডেয়ার দেবে?
মেঘা : এই দাঁড়া দাঁড়া আয়াশ ভাইয়া ডেয়ার দিলে হবে না। উনি একটা নাউজুবিল্লাহ মার্কা পাবলিক।
আয়াশ : তোমার সাথে আমি কি করলাম যে এটা বললা।
মেঘা : আমি আবার অপরিচিত ছেলে মানুষের সাথে কথা বলিনা। ( মুখ ঘুরিয়ে )
রোদেলা : থাম ভাই তোরা ওকে আমিই দিচ্ছি। তুই একজন বৃদ্ধ মহিলার এক্টিং করে দেখা।
রোদেলার ডেয়ার শুনে মেঘা মুখ টা লটকিয়ে ফেলে বাকি সবাই হেসে দেয়।
মেঘা : বেস্ট ফ্রেন্ড নামে কলঙ্ক তুই দু’ষ’মন ও ভালো তোর থেকে।
রোদেলা : যাও যাও সোনা থুক্কু বুড়ি মা।
রোদেলার কথায় সবাই হেসে দেয়। মেঘা উঠে ছাঁদে ওপাশ থেকে একটা ওড়না নিয়ে মাথায় ঘোমটা দেয় আর একটা লাঠি কোণা থেকে নিয়ে এসে লাঠিতে হাত দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ওদের সামনে আসে।
মেঘা : বুঝলে মিনসে আজকা আকাশ ডা দেইখা মনে হইতাছে ঝড় হইবো। তোমার আর কাজে গিয়া দরকার নাইগা। আমার একটাই মিনসে তাও আবার এইডা চিকন চাকন। এরে ও যদি ঝড়ে উড়াইয়া নিয়া ফালে আমার কিতা হইবো কও। তুমি ছাড়া এই ছুডু মুডু জীবনে আর কেডা আছে। ( এতোটুকু বলেই নেকা কান্না শুরু করে)
মেঘার কথার বলার ভঙ্গিমা, হাত নাড়ানোর স্টাইল আর চলার ধরন দেখে সবাই হাসতে হাসতে শেষ। সিমথি ঘাড়ে স্লাইড করে কোনোমতে হাসি আটকায়। এই দৃশ্য টা কারোর চোখে না পড়লেও তন্ময় আর আদির চোখে পড়ে। তন্ময় একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
তন্ময় : সিমথি কি কোনোদিন স্বাভাবিক হবে আর ( মনে মনে)
মেঘা : নাও আমার এক্টিং দেখে তো বহুত হাসলা এল্লা নিজেরা করো।
তুহিন : কিসব ভাষাই না দিলি
মেঘা : All credit gose to Megha
রোদেলা : হুহহহ। ওকে আবার শুরু করো।
এবার একে একে সবার দিকে বোতলপড়লে কেউ ট্রুথ আবার কেউ ডেয়ার নিয়ে নিজেদের টাস্ক পূরণ করে। এবারের টার্নে বোতল এসে পড়ে রোদেলার দিকে। রোদেলা চোখ বন্ধ কর হালকা চেঁচিয়ে বলে,,,,
রোদেলা : আমি ডেয়ারররর
রোদেলার কথায় তুহিন আর মেঘা ওর পিঠে একটা কিল বসিয়ে দেয়।
তুহিন : হা’রামি ট্রুথ নে বলতাছি।
রোদেলা : হাহহ আসছে তুমি নিজেও তো ডেয়ার নিছিলা তখন আমি কিছু কইছি।
মেঘা : সত্যি কথা বলার সাহস নাই ভীতু একটা।
রোদেলা : যা খুশি ভাব আমার জামাইয়ের বাপের ছেলের বউয়ের কি।
রিক : আচ্ছা বাদ দাও। তুমি বরং তোমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের সবার একটা করে মোমেন্ট দেখাও।
রোদেলা : ওকেহহ ( খুশি হয়ে) এট ফাস্ট কার টা দেখাবো।
রোজ : তোমার ইচ্ছে রোদাপু
রোদেলা : ওকে তাহলে প্রথমে মেঘা কে দিয়েই স্টার্ট করি।
রোদেলা উঠে যায়।
রোদেলা : যখন কোনো ছেলে ওকে প্রপোজ করে তখনের টা দেখায়।।
” আমি বুঝি না এদের কি কপালে চোখ নেই আমাকে কেনো প্রপোজ করে। আমি কি ওদের একবার ও বলছি এদের আমি পছন্দ করি, আজব। এদের বাড়ির মানুষ গুলো এদের একটু শাসন করতো যদি তাহলে নিজের বউ রেখে অন্য কোনো মেয়ের পেছনে ঘুরতো না। মুখপোড়ার দল, হনুমান আফ্রিকার জঙ্গলে যা যা পাওয়া যায় সব এরা। না মানে তোরা জাস্ট ভাব একবার আমার ইন ফিচার বর যদি জানতে পারে আমার সংসার গড়ার আগেই তো ভেঙ্গে যাবে। তাহলে আমার না হওয়া বাচ্চা কাচ্ছা গুলার কি হবে এ কথা একবারো ভাবে এই ছা’গল গুলা। তোদের কপালে জীবনে ও বউ জুটবে না দেখে নিস আরেক বার আয় না প্রপোজ করতে ঝাঁটা মারবো এ্যাহহ আসছে ভালোবাসা দেখাইতে। ”
রোদেলা ড্রামা শেষে হাসতে হাসতে থেমে যায়। মেঘা গাল ফুলিয়ে রোদেলার দিকে তাকায়। বাকি সবাই হাসতে হাসতে মেঝেতে গড়াগড়ি খেতে শুরু করে। রোদেলা হাসি থামিয়ে তুহিনের ক্যারেক্টার স্টার্ট করে।
” বন্ধু নামে কলঙ্ক তোরা এতোবছরে ও একটা জিএফ এনে দিতে পারলি না। তোদের রেখে কি লাভ। আমার সামনে দিয়া যখন মানুষ জোড়ায় জোড়ায় হাইটা যায় ফাইটা যায় আমার বুক টা ফাইটা যায়। ”
তুহিন : রোদের বাচ্চা থাম বলছি।
মেঘা : আহারে দোস্ত আমাদের লজ্জা পাইছে।
রোদেলা : ওকে এবার তন্ময়।
” দেখ ফ্রেন্ডশিপে আমি অলওয়েজ লয়াল কিন্তু তাই বলে তোরা আমার সাথে এমন করবি। কি আর করি একটা রিলেশনই করি তাও এটা ভাঙার জন্য উঠে পড়ে লাগছোস । বন্ধু মানেই হারামির দল। এই কয়েকদিন আগেই ট্রিট দিলাম রিলেশনে যাওয়ার। রিলেশনে আছি দুই বছর কিন্তু তোরা মাসের পর মাস ট্রিট চাস। মাঝে মাঝে আমি ভাবি কি ভাই আমি কি প্রতিদিন রিলেশনে যায় নাকি। ভাই-বোন তোদের মতো বেস্ট ফ্রেন্ড কারো না হোক। আমারেই জ্বালা অন্য কাউরে না। ”
মিম : কি রে ভাই তুই রিলেশনে আছিস
মিমের কথায় তন্ময় শুকনো ঢোক গিলে সিমথির দিকে তাকায়।
রোদেলা : ওকে নেক্সট সিমথি। তন্ময় ভাই একটু আসবি এখানে ওর ক্যারেক্টারে তোকে লাগবে।
তন্ময় উঠে রোদেলার কাছে যায়।
” দেখ আমি সিরিয়াস ফা’জলামির মুডে নেই। ওই মেয়ের সাহস কিভাবে হয় তন্ময়ের গায়ে হাত তোলার হাউ ডেয়ার সি? ”
তন্ময় : দেখ সিমথি বাদ দে যা হবার হয়ে গেছে।
” ওকে বাদ দিলাম। গাল টা এদিকে নিয়ে আয় ”
তন্ময় গাল এগিয়ে দিতেই রোদেলা ঠাসস করে তন্ময়ের গালে থাপ্পড় মারে তন্ময় এক লাফে পিছনে সরে যায় বাকি সবাই হা হয়ে যায়।
তন্ময় : সিমথি তুই ও এতো জোরে মারিস না এই রোদেলা যেই থাপ্পড় লাগাইছে।
সিমথি : দিজ ইজ নট ডান রোদ শুধু শুধু ওকে মারলি।
রোদেলা : হিহিহি তোর ক্যারেক্টার করা ইজি না এটা আমার দ্বারা পসিবল না। ওকে এবার আমার ডেয়ার ডান হয়ে গেছে আমি বসলাম। এবার বাকি আছে আদি ভাইয়া, সিমথি আর তন্ময়।
এই বলে রোদেলা বোতল ঘুরায়। এবারের টার্নে বোতল এসে সিমথির দিকে পড়ে। সবাই চিল্লিয়ে উঠে।
সিমথি : ট্রুথ
মেঘা : তের সব সত্যিই তো জানা ডেয়ার নিতি তাহলে একটা গান শুনতে পারতাম।
সিমথি : সো সরি বুঝতে পারিনি রে আর আমি এতো মানুষের সামনে গান গাইবো বলে তোর মনে হয়।
আয়াশ : ওর সব সত্যি তোমরা জানো আমরা তো জানি না।
মিম : আমি কুয়েশ্চন করি।
সিমথি : ওকে।
মিম : কাউকে ভালোবাসো।
মিমের কথায় সিমথি থমকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তন্ময়,তুহিন, মেঘা, রোদেলার মুখ আধার হয়ে আসে। আদিরা সিমথির মুখের দিকে থাকায়।
সায়ন : বাসলে বলতেই পারিস আমার কোনো আপত্তি নেই।
সায়নের কথায় সিমথি একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দেয়।
সিমথি : ভালোবাসতাম ( তাচ্ছিল্যের সুরে)
সিমথির কথায় সবাই চমকায় শুধু মেঘারা বাদে।
রিক : এখন আর বাসো না
সিমথি জোরপূর্বক মুখে হাসি টেনে বলে,,,
সিমথি : নিয়ম তো একটা কুয়েশ্চন করার এমন আই রাইট
রিক : ইয়াহ বাট
সিমথি : তোমরা কন্টিনিউ করো আমি আসছি বাই কাজ আছে।
সিমথি দ্রুত পায়ে চলে যায় সবাই সিমথির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। কেউই কিছু বুঝতে পারলো না মেঘারা ও বাই বলে সিমথির পেছন পেছন চলে আসে। সঙ্গে সঙ্গে হাসি-খুশি পরিবেশ নিরব হয়ে যায় আদি সবার অগোচরে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
আদি : আম সরি সিয়াজান তোকে এতোটা কষ্ট দেওয়ার জন্য ( মনে মনে)
( বিঃদ্রঃ গল্পের নায়িকা হচ্ছে সিমথি জাহান সিয়া পেশায় একজন ডক্টর। গল্পের নায়ক আদিত্য চৌধুরী আদি একজন বিজনেস ম্যান )
চলবে,,,,,
( কাল থেকে গল্পের মেইন প্লট স্টার্ট হবে। ভালোবাসা অবিরাম ❤️)