love is like a Cocktail,Part: 10(last part)
Writer: Abir Khan
~ দাঁড়ান।
আবির মাথা তুলে ওর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বলে,
– কি বললে?
~ দাঁড়াতে বলেছি দাঁড়ান৷
আবির কথা না বাড়িয়ে দাঁড়ায়। ও ভাবে জান্নাত হয়তো ওকে আরেকটা থাপ্পড় দিয়ে যাবে৷ কিন্তু আবির দাঁড়াতেই জান্নাত ওকে সম্পূর্ণ অবাক করে দিয়ে ওর বুকের সাথে নিজেকে মিশিয়ে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। আর খুব লজ্জাসিক্ত কণ্ঠে বলে,
~ নিন এবার একটু শান্ত হন৷ আপনি বলেছেন না আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরলে আপনি শান্তি অনুভব করেন৷ নিন এবার একটু শান্তি অনুভব করে স্বাভাবিক হন৷ তাও এরকম করবেন না প্লিজ। আমার কষ্ট হচ্ছে।
আবির যেন অবাকের চরম মাত্রায়। বিশ্বাসই হচ্ছে না জান্নাত এমন কিছু করবে৷ ও ঠিকই বলেছে, আবির এখন অনেক ভালো অনুভব করছে। কখন যেন মনের অজান্তেই আবিরও জান্নাতকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। দুজন দুজনের মাঝে একদম মিশে আছে। কোন কথা নেই। চরম নিস্তব্ধতা। জান্নাত লজ্জায় আবিরের বুকে মুখ লুকিয়ে চোখ দুটো বন্ধ করে ওকে জড়িয়ে ধরে মনে মনে ভাবছে, এ কেমন অনুভূতি? এ কেমন ভালো লাগা? আর এ আমি কি করছি? আর কেনই বা করছি? আমি তো এমন না। তাহলে কেন ওনাকে এতটা আপন করে নিলাম? কেন ওনার স্পর্শ আমাকে অজানা এক অনুভূতি দিচ্ছে? কেনই বা আমারও এত ভালো লাগছে? ঠিক কি আছে ওনার মাঝে? আচ্ছা উনিও কি আমার মতো সেইম অনুভূতিটা উপলব্ধি করেছেন? হয়তো করছেন।
আবিরও জান্নাতকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চোখ দুটো বন্ধ করে ভাবছে, এই মেয়েটা সেই প্রথম থেকেই আমাকে ভালো করে যাচ্ছে। আর বিনিময়ে আমি শুধু ওকে কষ্টই দিচ্ছি। তবে আর না৷ আজ থেকে ওর সব দায়িত্ব আমার৷ আর সেটা সারাজীবনের জন্য৷ আমি ওকে কখনো ছাড়বো না৷ ওকে শুধু আমার হয়েই থাকতে হবে। কিন্তু আমি যে কালো দুনিয়ায় বসবাস করি সেটা তো ওর জন্য দুঃস্বপ্ন। ও কিভাবে আমার সত্যটা মেনে নিবে৷ আচ্ছা আমি যদি ওকে অনেক ভালবাসি ওকি আমায় মাফ করবে না? ও কি আমাকে ভালবেসে মেনে নিবে না? আমি তো ইচ্ছা করে এ দুনিয়ায় ঢুকিনি। বাধ্য হয়েছি ঢুকতে। ও কি সবটা বুঝবে না? জানি না আমি। কিন্তু ওকে আমি হারাতে চাই না৷ কখনো না।
আবির আরও শক্ত করে জান্নাতকে ওর সাথে জড়িয়ে ধরে। জান্নাত সেটা বুঝতে পেরে মনে মনে ভাবে, হয়তো আবির ওকে অনেক বেশি পছন্দ করে। নাহলে এভাবে মনের সব কথাগুলো বলে দিতে পারতো। আবির চায় না ও চলে যাক৷ আবির বলেছে ওকে সারাজীবন পাশে চায়। এর মানে আবির ওকে.. জান্নাতের মুখখানা লজ্জায় লাল হয়ে যায়। ওরা দুজন দুজনকে নিয়ে ভাবছে। হঠাৎই দরজায় কে যেন নক করে। ওরা সাথে সাথে একে অপরেরকে ছেড়ে দেয়। দুইজনই খুব লজ্জা পাচ্ছে। আবির দ্রুত মনিটরের কাছে গিয়ে দেখে নিলয়। ও দরজা খুলে বাইরে যায়৷ আবির বাইরে আসলে নিলয় বলে,
– স্যার চার্লি আজকে রাতে ১০০টা মেয়েকে পাচার করবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে। ডকের লোকদের নাকি অনেক টাকা খাইয়েছে। তাই সবাই চুপ। এখন কি করবো?
– রাশিয়া দিয়ে ডেলিভারি হয়েছে না?
– জি স্যার গতকালই।
– সবাইকে রেডি হইতে বলো। আজকে চার্লির পুরো গ্যাং শেষ করবো। অনেক সহ্য করেছি আর না। ওর জন্য অনেক ছোট ছোট মেয়েরা তাদের জীবন হারিয়েছে৷ আর না।
– স্যার একটা কথা বলি?
– বলো।
– আপনি একজন অনেক বড়ো মাফিয়া। কিন্তু আমার এ পর্যন্ত মানে আপনার সাথে যতদিন আছি, আমি আজ পর্যন্ত আপনাকে কোন খারাপ কাজ করতে দেখিনি। বরং আপনি আপনার ক্ষমতা দিয়ে সবসময় খারাপকে ধ্বংস করেছেন। যেগুলো দেশের আইনের লোকদের করা উচিৎ। কিন্তু করছেন আপনি। কেন স্যার? একজন মাফিয়া তো কখনো এমন হয় না!
আবির নিলয়ের দিকে তাকিয়ে ওর কাঁধে হাত রেখে বলে,
– তুই ভুল ভাবছিস৷ আমি আমার জন্যই এসব করছি। এই শহরের কিং বা মাফিয়া একজনই থাকবে সেটা হলাম আমি। এখনো ওরা খারাপ হলে আমার তো কিছু করার নাই। কারণ ওরা শেষ না হলে আমি সামনে আগাতে পারবো না।
– তাহলে স্যার নেহাল স্যারকে আপনি মারলেন না কেন? সেও তো মাফিয়া ছিল?
আবির চুপ হয়ে যায়। নিলয় হাসতে হাসতে বলে,
– স্যার আর কেউ না জানলেও আমি জানি, আপনি কত ভালো একটা মানুষ। আপনি কিং হয়েই দেশের সাধারণ মানুষদের আড়ালে থেকে সাহায্য করে যাচ্ছেন৷ আমাদেরও মনমানসিকতাও সেভাবে আপনি বানিয়েছেন। স্যার আপনি আমাদের সবার গর্ব৷ আপনার জন্য আজ অনেক মেয়ে বেঁচে যাবে। আমি ধন্য আপনার সাথে কাজ করে। আমার জীবন দিয়ে হলেও আপনাকে আমি রক্ষা করবো।
– চুপ কর পাগল। আমি আমার খেয়াল রাখতে পারবো। এখন থেকে তোর সবচেয়ে বড়ো দায়িত্ব তোদের ভাবীকে দেখে শুনে রাখা।
– কি বলেন স্যার আমাদের জান্নাত ম্যাম?
– হুম।
– ওহ! স্যার আমি অনেক খুশি। ম্যামটা অনেক ভালো। আমাদের সবার অনেক পছন্দ হয়েছে৷ আপনার জন্য একদম পার্ফেক্ট।
– হুম। এবার যা। রাতের প্রস্তুতি নে৷
– ওকে স্যার৷
– আজকে চার্লিকে নিজ হাতেই আমি শেষ করবো।
নিলয় চলে গেলে আবির আবার ওর রুমে ঢুকে৷ ঢুকে দেখে জান্নাত বসে আছে চুপচাপ করে। ওকে কেমন জানি অন্যরকম লাগছে। আবির ওর কাছে গিয়ে বলে,
– কি হয়েছে? কোন সমস্যা?
জান্নাত মাথা নিচু করে মাথা নাড়িয়ে না বলে। আবির বুঝতে পারে না হঠাৎ ওর কি হলো। ও আবার জিজ্ঞেস করে,
– তুমি কি ঘুমাবে? চাইলে একটু ঘুমাতে পারো। আমি তাহলে সোফায় শুয়ে পড়ি।
জান্নাত কিছু বলে না। মাথা নিচু করে বসে থাকে। আবির কিছুই বুঝতে পারে না হঠাৎ ওর কি হলো। তাই ও ওর কাছে এসে ওকে ধরতে যাবে ওমনি জান্নাত অশ্রুতে ভরা নয়ন নিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলে,
~ কিং!
আবির স্তব্ধ হয়ে যায় জান্নাতের মুখে কিং শুনে। ও একদম অবাক হয়ে যায়। আবির ভাবছে তাহলে জান্নাত কি ওদের কথা শুনে ফেললো? আবির নোয়া থেকে দাঁড়িয়ে যায়। জান্নাত উঠে দাঁড়িয়ে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলে,
~ আপনি তাহলে সেই কিং? যাকে দেশে বিদেশের সবাই অনেক ভয় পায়। যে হাজার হাজার মানুষকে মেরেছে। সেই আপনি? সেদিন তাহলে শত্রুদের গুলি খেয়েই আমার কাছে আমার জীবনে এসেছিলেন? এখন সব বুঝতে পারছি আমি।
আবির মাথা নিচু করে আছে। কারণ যেটার ভয় ও করছিল সেটাই হয়ে গেল। জান্নাত আবিরের কাছে এসে ওকে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে,
~ এত বড়ো একটা কথা আপনি আমাকে বলেন নি। ভাগ্য ভালো আমি একটু আগে লুকিয়ে শুনে ফেলেছি। আপনি নাকি আপনার পরিচয় যে জানে তাকে মেরে ফেলেন। নিন এবার আমাকেও মেরে ফেলেন। শেষ করে দেন৷ এত বড়ো একটা ক্রিমিনালের সাথে কিভাবে থাকবো আমি! আজকেও আবার যাবেন মানুষ মারতে।
– জান্নাত ওরা ভালো না৷ ওরা ১০০ টা মেয়েকে বাইরের দেশে পাচার করে দিচ্ছে। ওদের মেরে না ফেললে ওদের কখনো থামানো যাবে না৷
~ মানুষ মারতে খুব ভালো লাগে তাইনা? এক কাজ করুন না, আমাকেও মেরে ফেলেন। তাহলেই তো ঝামেলা শেষ।
– সেটা আমি কখনো পারবো না। কারণ তুমি আমার কাছে একটা স্পেশাল মানুষ। চেয়েছিলাম তোমাকে নিয়ে নতুন একটা জীবন শুরু করবো। কিন্তু মনে হচ্ছে তুমি তা চাও না৷
~ আপনার মতো মাফিয়া কখনো ভালো হবে না৷ আপনার আর হৃদয়ের মাঝে কোন তফাৎ নেই৷ ঘৃণা করি আমি আপনাকে ঘৃণা।
আবির স্তব্ধ হয়ে জান্নাতের দিকে তাকায়। ও আস্তে আস্তে জান্নাতের কাছে এসে ওকে ধরে বলে,
– কি বললে? তুমি আমাকে ওর মতো একটা জানোয়ারের সাথে তুলনা করলে? কি করেছি আমি হ্যাঁ? কতগুলো সমাজের ময়লা গুলো পরিষ্কার করেছি। এতে কি সাধারণ মানুষের লাভ হয় নি? আগে সবাই গুন্ডা সন্ত্রাসীদের ভয় পেতো। আর এখন ভয় পায় কিং কে। কিন্তু বলতে পারবা কিং কি কখনো কোন সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিয়েছে? কিংবা ক্ষতি করেছে?
~ আমাকে দিয়েছে। কিং আমাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে। আমার সাথে প্রতারণা করেছে৷ আমাকে মিথ্যা বলেছে।
আবির জান্নাতকে ধাক্কা মেরে বিছানায় ফেলে দিয়ে ওর উপর উঠে ওকে জড়িয়ে ধরে বলে,
– কারণ আমি তোমাকে হারাতে চাই না৷ ভালো লাগে তোমাকে। হয়তো ভালও বেসে ফেলেছি। তাই আমার যেটা ভালো মনে হয়েছে আমি সেটাই করেছি। এবং করবোও। দেখি কে কি করে৷
~ আমি চলে যাবো।
– দিব না৷
~ আমি থাকবো না আপনার সাথে।
– যেতে দিব না।
~ আমি কান্না করবো অনেক।
– আমি থামিয়ে দিব।
~ কিভাবে?
– এভাবে।
আবির জান্নাতের ঠোঁটটাকে একদম নিজের করে নেয়। জান্নাত কোন বাঁধা দেয় না। কেন দেয় না ও নিজেও জানে না। দীর্ঘ অনেকটা সময় ওরা এভাবেই থাকে। এই নতুন স্পর্শ নতুন অনুভূতি ওদের মাঝের সব দূরত্ব দূর করে দেয়। আবির ওকে ছাড়লে জান্নাত হাসতে হাসতে বলে,
~ আপনি যদি কিং হন আমি হলাম আপনার কুইন৷ আপনি কি ভাবছেন অভিনয় শুধু আপনিই করতে পারেন? জি না আমিও পারি। আপনি হয়তো জানেন না সাধারণ মানুষ আপনাকে কত ভালবাসে। কারণ সবাই অন্ধ না৷ সবাই জানে আপনি বরাবরই বড়ো বড়ো খারাপ মাফিয়াদের শেষ করে যাচ্ছেন। সবাই আপনাকে ভয় পায় ঠিক কিন্তু মনে মনে অনেক ভালবাসে এবং দোয়াও করে।
– সিরিয়াসলি? তুমি এত দুষ্টু? আমাকে এভাবে বোকা বানালা?
~ হুম। আসলে দেখতে চাচ্ছিলাম আপনি সত্যিই আমাকে চান কি না৷
আবির আবার জান্নাতের ঠোঁটটাকে নিজের করে নিয়ে ওকে ছেড়ে বলে,
– কি মনে হয়?
~ বলবো না। (লজ্জাসিক্ত কণ্ঠে)
– বলতে হবে না৷ আমি সব বুঝি।
~ একটা কথা জানতে চাই।
– বলো।
~ আপনি কিং হলেন কিভাবে?
– আমার যখন দশ বছর তখন আমার বাবা মাকে অনেক বড়ো একটা মাফিয়া মেরে ফেলে। একদম আমার সামনে। ওই মাফিয়াটা আমাকে না মেরে কি বলেছিল জানো?
~ কি?
– তোর বাবা মাকে আমি মেরেছি। চিনে রাখ আমাকে। পারলে কোন দিন আমার মতো বড়ো মাফিয়া হয়ে আমাকে মেরে দেখাস। বলেই ও হাসতে চলে যায়। আমার বাবা একজন পুলিশ ছিল। সে ওই মাফিয়ার বিরুদ্ধে একশনে যাওয়াতে ও আমার বাবা মা দুইজনকেই আমার সামনে মারে। সাইকো ছিল ও। তবে ও অনেক বড়ো একটা ভুল করেছে আমাকে না মেরে। সেই ছোট আবিরের মাথায় অনেক বড়ো মাফিয়া হওয়ার ইচ্ছা হয়। কারণ ওই মাফিয়াকে মারতে হবে খুব তাড়াতাড়ি। ছোট্ট আবির সে সুযোগটাও পেয়ে যায়৷ অন্য একটা মাফিয়া ওকে নিজের ছেলে করে নেয়৷ আর ওকে সব কিছু শেখায়৷ ব্ল্যাক স্যাডো গ্যাং এর আসল লিডার ছিল সে। কিন্তু এখন আমি। কারণ সে আর বেঁচে নেই। আত্নহত্যা করেছে। কেন শুনবে?
~ কেন?
– কারণ সে মাফিয়া হয়ে ভুল করেছে। তার পুরো জীবন অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। সেদিন আমি ভাবি, মাফিয়া যখন হবো একটা ভালো মাফিয়া হবো। আর অনেক বড়ো একটা মাফিয়া। সবার প্রথম ওই মাফিয়াকে মারি। তারপর একে একে অনেক মাফিয়াকে মারতে থাকি। কারণ আমি চাইয়া কেউ স্বপ্নেও ভাবুক সে মাফিয়া হবে৷ এভাবেই আমার মাফিয়া হওয়া। মাঝে মাঝে খুব কান্না পায় নিজেকে দেখে৷ আমার একটা স্পেশাল জায়গা আছে সেখানে বাবা-মার ছবি দেখে তাদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরে অনেক কাঁদি। সারারাত কাঁদি। কেউ জানে না। কেউ বুঝে না।
~ আজকে ওই মেয়েগুলোকে বাচিঁয়ে নতুন একটা জীবন শুরু করবেন আমার সাথে? আপনি অভিনয় করবেন। আর আমি হবো আপনার সেক্রেটারি। সবসময় আপনার পাশে থাকবো।
– নাহ! তুমি আমার বউ হবে৷ সেক্রেটারির চেয়ে বউয়ের দাম বেশি৷
~ তাহলে তাই হবো৷ শুধু কিং টাকে মেরে ফেলেন চিরতরে। অনেক করেছেন সবার জন্য৷ এবার নিজের ভবিষ্যতের কথা ভাবুন৷
আবির জান্নাতের দিকে তাকিয়ে আছে। ও হঠাৎ হাসতে হাসতে বলে,
– তুমি অনেক চালাক জান্নাত অনেক। তুমি জানো ঠিক কি করলে আমাকে কাবু করতে পারবে৷ কিভাবে আমাকে দুর্বল করতে পারবে৷
~ হ্যাঁ জানি। কারণ আমিও চাই না আপনাকে হারাতে। এই খারাপ মারামারি জগতে থাকলে আপনাকে হারানোর ভয়ে আমি শে…..
– চুপ। ভালবেসে ফেলেছি তোমাকে। হারাতে চাই না। জানো আমরা কিন্তু একদম এক। তাই হয়তো শেষমেশ আমাদের মিল হলো।
~ বিয়া করবেন কবে সেটা বলেন। এভাবে বিয়ে ছাড়া হুটহাট আদর করলে কিন্তু চলে যাবো।
– হাহা কই যাবা?
~ তাও ঠিক। আমার তো যাওয়ার কোন জায়গাও নেই।
– আছে তো। এই যে আমার বাসাটা। কোথাও যেতে হবে না তোমাকে। এখানেই থাকবে৷ খুব তাড়াতাড়ি আবির আহমেদ বিয়ে করবে তার জান্নাতকে৷ আর অচিরেই কিং হারিয়ে যাবে৷ তবে একটা বিশাল ধামাকা করে।
কথা শেষ করেই আবির জান্নাতকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। আর বলে, কখনো তোমাকে ছাড়বে না৷ কখনো না। খুব ভালবাসি তোমাকে।
– সমাপ্ত।
—-> অনেকের প্রিয় অপ্রিয় গল্প ছিল এটা৷ এই গল্পটা পড়ে মনে হতে পারে শেষ হয়েও শেষ হয় নি। আসলে কিছু গল্পের কখনো শেষ হয় না। তাই আমিও চেয়েছি এই গল্পটা যেন শেষ হয়েও না শেষ হয়ে থাকে। যারা সাথে ছিলেন তাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আর হ্যাঁ এই গল্পটা কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন কিন্তু। আমি অপেক্ষায় থাকবো।
আবির খান।
Accha writer Abir Ahmed ki story tar motoi sundor naki alada??
😂😂same question
😂😂same question