love is like a Cocktail,Part: 05

love is like a Cocktail,Part: 05
Writer: Abir Khan

আবির আস্তে আস্তে গিয়ে যেই দরজা খুলতে যাবে ওমনি ওর কানে কেমন অদ্ভুত সব শব্দ ভেসে আসে৷ আবির জানে এসব শব্দ কেন হচ্ছে। কারণ দরজার ওপারে আদিম খেলায় ব্যস্ত কোন যুগল। ও আর একমুহূর্ত সময় নষ্ট না করে ঠাস করে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে যায় আর দেখে মাইশা একটা ছেলের সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় আছে। মাইশা হঠাৎ করে আবিরকে দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে যায়৷ আর নিজেকে ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা করে। ছেলেটাও আবিরের দিকে ভয়ে তাকিয়ে আছে৷ কারণ আবিরের চোখ পুরো লাল টকটকে হয়ে আছে। যেন চোখে আগুন জ্বলছে। আবির আসলে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। যাকে এতটা বছর ধরে ভালবেসে এসেছে সে এই ভাবে ওকে ধোকা দিবে! আবির কোন দিন স্বপ্নেও ভাবে নি মাইশা এমন একটা জঘন্য কাজ করবে৷ আবির ওকে কত সম্মান করতো, কতো সাপোর্ট করতো, কতো ভালবাসতো। আবিরের চারপাশে একমাত্র মাইশাই তো ওর সব ছিল। যাকে ভালবেসে যার মাঝে আনন্দ, হাসি, ভালো লাগা সব কিছু ছিল। কিন্তু সেই মাইশা আজ ওকে শেষ করে দিল। আবির নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছে না৷ ও হঠাৎ হাসতে হাসতে বলে,

– অনেক চিন্তা করে ভেবেছিলাম এবার ভালো হয়ে যাবো৷ তোর সাথে নতুন করে একটা জীবন শুরু করবো৷ কিন্তু দেখ দিলি না৷ তোরা আসলে চাস না আমি ভালো হই৷ তোরা কেউ চাস না৷

আবির কথা শেষ করে ওর স্যুটের ভিতরে হাত দিয়ে একটা গোল্ডেন মাস্ক বের করে সেটা পরে নেয়৷ দেশ বিদেশ পুরো পৃথিবীর সবাই জানে এই মাস্কটা কে পরে। আবির মাস্কটা পরতেই মাইশা আর ছেলেটা অসম্ভব ভয় পেয়ে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলে উঠে,

– কিং!
– ইয়েস। কিং। আমি সেই কিং যে দুনিয়ার বড়ো বড়ো মাফিয়াকে টক্কর দিয়েছে৷

আবির কথা শেষ করেই ওর পিছন থেকে একমাত্র ওর ব্যবহার করা আধুনিক ডেজার্ট ঈগল পিস্তলটা বের করে মাইশার আর ছেলেটার ঠিক কপাল বরাবর দুইটা গুলি করে৷ সাইলেন্সার লাগানো তাই কোন শব্দও হয় নি৷ মাইশা আর ওই ছেলের ডেড বডি বেডের উপর পড়ে আছে। আবির মাইশাকে এক নজর দেখে রুম থেকে বেড়িয়ে পড়ে৷ বাইরে এসে মাস্কটা আবার লুকিয়ে সোজা ওর গাড়ির কাছে চলে যায়। গাড়িতে উঠে নিলয়কে ফোন দেয় আবির৷ আর বলে,

– মাইশার বাসায় ঢাকার সব প্রেসদের পাঠা। বল কিং ইজ ব্যাক। আর সিসিটিভি ফুটেজটা..
– বলতে হবে না স্যার৷ সব হয়ে যাবে৷
– ওকে।

আবির ফোন রেখে গাড়ি নিয়ে সোজা ওর আন্ডারগ্রাউন্ড ফিল্ডে চলে যায়৷ যেখানে বিদেশি অনেক দামী আর্মস, বোমা, ট্যাংক আরও অনেক কিছু আছে৷ আবিরের সব লোকেরা ওখানে আছে।

দুপুর ১ টা বাজে ৩০ মিনিট,

– বস বস দ্রুত খবরটা দেখেন৷
– কেন কি হইছে?
– আগে দেখেন তো।

টিভি ছাড়তেই সব চ্যানেলে একটাই ব্রেকিং নিউজ,

– কিছুক্ষণ আগে রয়েল প্যালেস বিল্ডিং এ দুইটি লাশ পাওয়া গিয়েছে। লাশ দুটো একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে। তাদেরকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। গোপন সূত্রে জানা গিয়েছে কিং তাদেরকে মেরেছে। বিষয়টি সি আই ডি তদন্ত করে দেখবে বলে জানিয়েছে। তাহলে কি আবার কিং এর তান্ডব শুরু? জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।

টাইগার গ্যাং এর লিডার ইয়াস অট্টো হাসিতে ভেঙে পড়ে। হাসতে হাসতে ওর লোকদের বলে,

– ওই কিং কি পাগল হইছে নাকি? ওয় অগোরে মারতে গেল কেন? হাহা৷
– আসলেই বস বুঝতাছি না।
– অরে মারলাম আমরা আর ও মারে কারে। তাও আবার কেমন একটা সময়। হাহা৷ অয় একটা বলদ বুঝলি। অরে এবার শেষ করমু আমি। ও একবার বাঁচছে। বাট এবার আর না৷ হাহা৷

ইয়াসের কথা শেষ হতে না হতেই হঠাৎ ধাম ধাম করে চারদিকে অসংখ্য বোম ব্লাস্ট হতে থাকে। সাথে মেশিন গান এর শব্দ। ইয়াসের সাথে ছিল তারা ভয়ে এদিক ওদিক দেখতে থাকে। হঠাৎ ওদের একজন লোক দৌড়ে এসে অস্থির কণ্ঠে বলে,

– বস শেষ। কিং অ্যাটাক করছে ওর ফুল বাহিনী নিয়া। বাঁচান বস আমাদের বাঁচান৷

ইয়াসের পা দুটো থরথর করে কাঁপছে। কপাল বেয়ে ঘাম গড়িয়ে পড়ছে। ও কিছু বলতে যাবে ওমনি মেশিন গান দিয়ে ওর আশে পাশে যত লোক ছিল সব গুলোকে গুলি করে ঝাঝরা করে দেয় আবিরের লোকেরা। তারপর আবিরের এন্ট্রি হয়৷ মানে কিং এর। ইয়াস ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে,

– কিং প্লিজ আমাকে মাফ করে দে। আমি আর জীবনে তোর রাস্তায় আসমু না৷ প্লিজ আমাকে মাফ করে দে।

টাইগার গ্যাংকে পুরো নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে কিং। এখন শুধু বেঁচে আছে ইয়াস। কিং আস্তে আস্তে হেঁটে ইয়াসের কাছে যায়। ওর হাতের সেই স্পেশাল পিস্তলটা দিয়ে ইয়াসের পায়ে একটা আর হাতে একটা গুলি করে। ইয়াস জোরে চিৎকার করে উঠে। কিং ওর সামনে বসে হাসতে হাসতে বলে,

– তুই আমার জীবন থেকে একটা মাস কেড়ে নিয়েছিস। এই এক মাসের জন্য আমি আমার সব হারিয়েছি। কি করে ভাবিস আমি তোকে ছেড়ে দিব! নিজের ভালবাসার মানুষকে এই হাতে এই পিস্তল দিয়ে গুলি করে মেরেছি আজকে৷ তোকে ছেড়ে দিব? অসম্ভব।

বলেই আরেকটা হাতে গুলি করে কিং। ইয়াস আবার জোরে চিৎকার করে উঠে। আর বলে,

– প্লিজ আমাকে ছেড়ে দে৷ আমি বুঝি নাই। প্লিজ৷ আমার জানটা ভিক্ষা দে৷
– হাহা৷ তোদের কিং ভেবেছিল ভালো হয়ে যাবে৷ কিন্তু তোরা আসলে তা আর চাস না৷ নে কিং এর উপহার। মৃত্যু৷

বলেই কিং ইয়াসেরও কপাল বরাবর আরেকটা গুলি করে নিমিষেই ওকে শেষ করে দেয়। তারপর ওর ব্ল্যাক স্যাডো গ্যাং নিয়ে বেড়িয়ে আসে কিং। আর আসার আগে পুরো জায়গাটা অনেক বড়ো একটা টাইম বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেয়৷ মুহূর্তেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় জায়গাটা৷ আশেপাশে মানুষ শুধু ছোটাছুটি করতে থাকে ভয়ে। পুরো ঢাকা কেঁপে উঠে কিং এর তান্ডবে।

রাত এখন ১ টা বাজে। আবির ওর রুমে বসে আছে ওর স্পেশাল চেয়ারটায়। যেটায় শুধু কিং বসে। নিলয় আবিরের কাছে এসে বলে,

– স্যার পুরো দেশ বিদেশ সব খবর হয়ে গিয়েছে আপনার তান্ডবের। সবাই অনেক ভয় পাচ্ছে।
– ভেবেছিলাম শহরটা আর অস্থির করবো না৷ কিন্তু এবার আর আমাকে কেউ থামাতে পারবেন না নিলয়। এই শহরে এই দেশে একটাই মাফিয়া থাকবে আর সেটা হলো কিং। সবগুলাকে মেরে উড়িয়ে দিব টাইগার গ্যাং এর মতো। প্রস্তুতি নেও। রাশিয়ার এজেন্ট এর সাথে কথা বলো। ডেলিভারিতে যেন দেরি না করে।
– ওকে স্যার৷

নিলয় চলে যায়। আবিরের চোখে এখনো আগুন জ্বলছে৷ বারবার মাইশাকে অন্য সেই ছেলের সাথে দেখা দৃশ্যটা চোখে ভেসে উঠছে৷ যার জন্য আবিরের রক্ত আরো গরম হয়ে যাচ্ছে। ওর ভিতরের মাফিয়াকে বারবার জাগিয়ে দিচ্ছে এই বিষের মতো যন্ত্রণা। হ্যাঁ আবির হলো সেই কিং, যে বিশ্বের মধ্যে কয়েকজন বড়ো বড়ো মাফিয়ার একজন। ওর সব কাজ অস্র গোলাবারুদ নিয়ে। ওর বর্তমান টার্গেট হলো দেশে যত মাফিয়া আছে সব গুলোকে শেষ করা। পুরো দেশে শুধু ওর রাজত্ব চলবে৷ আবির কেন, কিভাবে এত তাড়াতাড়ি এত বড়ো মাফিয়া হলো তা কেউ জানে না৷ এমনকি নিলয়ও না৷ আবির যখন মাস্ক পরে তখন ও কিং হয়ে যায়৷ আর যখন মাস্ক খুলে ফেলে ফেলে তখন হয়ে যায় আবির। জনপ্রিয় নায়ক, আবির আহমেদ। কেন এই মুখোশের খেলা? উত্তরটা খুব সহজ। যাতে ওকে কেউ না চিনে। কারণ এত বড়ো জনপ্রিয় নায়ককে কেউ মাফিয়া বা কিং ভাববে না৷ এছাড়া যারা ওকে চিনতে পেরেছে বা চেনার চেষ্টা করেছে তারা কেউই আর এই দুনিয়াতে বেঁচে নেই। অবশ্য তারা সবাই খারাপ লোকই ছিল। কিং এর একটা রুলস আছে৷ ওর সাথে যে খারাপ করতে আসবে তাকেই ও শেষ করে দিবে৷ তাই ও কখনো সাধারণ মানুষদের কোন ক্ষতি করে নি আজ পর্যন্ত৷ আর পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংকে বাঘের মতো ভয় পায়৷ ওর গাড়ি দেখলে উলটো রাস্তা ফাঁকা করে দেয়৷ সবাই ওর হাতের মুঠোয়। এতটা ক্ষমতা ওর। কিন্তু আজ সব ক্ষমতাই শূন্য। ভালবাসার মানুষটা যে ধোকা দিয়েছে। অনেক বড়ো একটা ধোকা৷ আবির এখন ওর হাতে পিস্তলটার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে যেটা দিয়ে আজ মাইশাকে।শেষ করেছে। ওর ভিতরটা যে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে তা কেউ বুঝতে পারছে না৷ সেদিনের পর আরও একসপ্তাহ চলে যায়। আবির এখন আপাতত মিডিয়াতে মন দিয়েছে। যাতে ওর রাগটা কিছুটা কমে। আর তাছাড়া রাশিয়া দিয়ে ডেলিভারিতে লেইট হবে তাই ও মিডিয়াতে সনয় কাটাচ্ছে৷

অন্যদিকে জান্নাত আর হৃদয়ের মাঝে এই একমাসে ভালো একটা বন্ডিং হয়ে যায়। এমন একটা বন্ডিং হয় যে, হৃদয় যা বলে জান্নাত তাই ই করে৷ আর এটাই চাচ্ছিলো হৃদয়। এই একটা সুযোগের জন্য হৃদয় এত দিন জান্নাতের পিছনে লেগেছিল। হৃদয় জান্নাতকে নিয়ে ক্যাম্পাসের একটা নিরিবিলি জায়গায় যায়৷ ওরা একসাথে বসলে হৃদয় বলে,

– জান্নাত আজকে আমাদের সম্পর্কের একমাস পূর্ণ হলো। তাই আমি চাচ্ছি সবাইকে একটা পার্টি দিব৷ আমার পরিচিত একটা ক্লাব আছে৷ আমি আমার সব ফ্রেন্ডসদের বলছি আজ রাতে ওখানে পার্টি হবে৷ সবাই আসবে তোমাকে আর আমাকে শুভেচ্ছা দিতে। তুমি কিন্তু অবশ্যই আসবে৷ প্লিজ না করো না।
~ হৃদয় দেখো আমি ক্লাবে যাওয়া একদম পছন্দ করিনা৷ আর কখনো যাইও নি। আমার এসব পছন্দ না৷
– জান্নাত প্লিজ। আমি আমার সব বন্ধুদের বলেছি। আর পার্টিটাতো তোমার জন্যই। তুমি না আসলে কেমন হবে বলো? আমার মান সম্মান সব শেষ হয়ে যাবে আমার ফ্রেন্ডদের সামনে৷ প্লিজ না করো না৷
~ হৃদয় প্লিজ এভাবে বলো না৷ আমি পারবো না৷

হৃদয় এবার মুখটা একদম কালো করে অভিমানী কণ্ঠে বলে,

– ঠিক আছে আর আসতে হবে না৷ কি এমন হবে। সবাই আমাকে ছোট করবে, হাসাহাসি করবে। করুক। তুমি তো এটাই চাও৷ ওকে এটাই হবে৷

কথা গুলো বলে হৃদয় অন্যদিকে ফিরে দুঃখী হওয়ার অভিনয় করছে। জান্নাতের খুব খারাপ লাগে। কারণ ও এখন হৃদয়কে নিয়ে অনেকটা সিরিয়াস। ওর মনে হয় ও হয়তো হৃদয়কে ভালবেসে ফেলেছে৷ তাই ও হৃদয়কে কষ্টে দেখতে পারছে না৷ জান্নাত আর না পেরে বলে,

~ আচ্ছা আমি আসবো।

হৃদয় মুহূর্তেই খুব খুশি হয়ে জান্নাতের দিকে তাকিয়ে বলে,

– সত্যিইই?
~ হ্যাঁ। (হাসি দিয়ে)

হৃদয় জান্নাতের হাত ধরে বলে,

– থ্যাঙ্কিউ থ্যাঙ্কিউ সো মাচ। এই নেও৷ এখানে একটা দামী ড্রেস আছে, এটা পরে এসো।
~ না না৷ এসব লাগবে না৷
– আরে তোমার কাছে কি ক্লাবে যাওয়ার ড্রেস আছে নাকি? নাই তো। তাই এটা নিয়ে এসেছি।
~ হৃদয় তুমিও না, অনেক পাগল।
– হুম তোমার জন্য৷ হাহা।

জান্নাত ভীষণ লজ্জা পায় আর মনে মনে অনেক খুশি হয় হৃদয় এর মতো কাউকে ওর এত কাছে পেয়ে। জান্নাত ভাবে হয়তো আজ রাতে হৃদয় ওকে প্রপোজ করবে৷ তাই এত কিছু। জান্নাত অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে৷ এরপর হৃদয় জান্নাতকে বিদায় দিয়ে ওর বন্ধুদের কাছে গিয়ে ওদের সাথে একটা বড়ো প্ল্যান করে।

– শোন মালটাকে অনেক কষ্টে বুঝিয়ে ভাও করেছি ক্লাবে আনার জন্য৷ আমি যখন ওর সাথে কথা বলবো তোরা একজন ওর ড্রিংকসে এটা ঢেলে দিবি৷ ব্যাস সারারাত ওকে আমরা মিলে ভোগ করবো আর তারপর বাইরে পাচার। ঠিক আছে?
– ঠিক আছে মামা। খেলা হবে৷
– হ৷ এরকম বলদ মেয়ে জীবনে দেখি নাই৷ হাহা৷ চল৷

জান্নাত হৃদয় এর দেওয়া দামী ড্রেসটা পরে সময় মতো ক্লাবে চলে যায়৷ ও এতটাই অবুঝ একবার ভাবলো না হৃদয় ওর সাথে খারাপ কিছু করতে পারে। আসলে বাবা-মা হারা মেয়ে তো ও তাই কেউ একটু ভালবাসলে ওর কাছে অনেক বড়ো কিছু মনে হয়৷ সেখানে হৃদয় তো অনেক ধনী আর ফেমাস বয়৷ জান্নাত নামতেই হৃদয় ওর কাছে এসে বলে,

– ও এম জি! এত সুন্দরী লাগবে তোমাকে আমি ভাবতেই পারি নি। ওয়াও।

জান্নাত লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছে। ও আস্তে করে বলে,

~ এই প্লিজ লজ্জা দিবে না।
– হাহা। আচ্ছা চলো ভিতরে যাই। সবাই অপেক্ষা করছে।
~ ওকে।

হৃদয় জান্নাতের হাত ধরে ওকে নিয়ে ক্লাবে ঢুকে। জান্নাতের কেমন জানি উৎফুল্ল লাগছে৷ জীবনে প্রথম এমন কোন জায়গায় ও এসেছে৷ ভাবতেই কেমন অদ্ভুত জানি লাগছে ওর। কিন্তু জান্নাত জানে না একটু পর ও ওর সব হারাতে চলছে। এমনকি জীবনটাও৷ ওকে বাঁচানোর মতো এখানে কেউ নেই। কারণ পুরো ক্লাব জুড়ে শুধু হৃদয়ের লোক। হৃদয় জান্নাতকে নিয়ে…

চলবে…?

সবার ভালো সাড়া চাই। আর কেমন লেগেছে জানাবেন কিন্তু। সাথে থাকবেন সবসময়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here