3 Star,পর্ব-৬,৭
Ariyana Nur
বিকেলে রাহা আর নুর বসে রয়েছে ডাক্তার এর চেম্বারে।সিথির শরীর ভালো না।তাই রাহা নুর কে এক প্রকার যোর করেই নিয়ে এসেছে।
আপু আমার না ভালো লাগছে না।
চুপ কর ডাক্তার এর কাছে কেউ ভালো লাগলে আসে না।
আমি কেন জেতে চাচ্ছিনা তাতো তুমি জানো না।আমার মাথা যদি গরম হয়ে যায় তাহলে কি করব আমি নিজেও জানি না।(মনে মনে)
মান নুরের সাথে রাহাকে দেখে প্রথমে অবাক হয়ে গেল।পরে নিজেকে সামলিয়ে নুর কে জিগ্গেস করল কেমন আছো?
নুর: ভালো অনেক ভালো মহা ভালো।তাই তো এখানে আসতে হল।
রাহা:নুর এটা কেমন কথা। ডাক্তার এর সাথে কেউ এই ভাবে কথা বলে।সরি বল।
মান:সমস্যা নেই আপু নুর তো আমার ফ্রেন্ড।(মুখে জোর পূর্বক হসি টেনে )
রাহা কিছু বলতে যাবে এমন সময় রাহার কল আসে।
রাহা:নুর তুই কথা বল আমি আসছি।
নুর যেন রাহার কথায় আকাশের চাদ পেয়ে গেল।নুর শুধু মাথা নাড়ালো।
মান: বল কি সমস্যা?
সিথি:বলবেন তো আপনি কি সমস্যা?
মান কিছুটা অবাক হয়ে বলল মানে!!
মানে বুঝতে পারতাছেন না আমি কি বলতে চাই।আপনার জন্য আজকে আমার বোন আবার কেন কান্না করছে?কি করেছেন আপনি?
তার মানে তুমি সব যান???
না আমি সব জানিনা। কিন্তু এটা জানি যে আপু আপনাকে পছন্দ করে। আমি বুঝিনা আমার আপুর মতো চিপ, মিডেল ক্লাস মেয়েদের সাথে আপনার এতো কিসের কথা??
মান অবাক হয়ে নুরের দিকে তাকিয়ে আছে!!!
অবাক লাগছে তাই না।আবাক লাগারি কথা মনে আছে আপনি যে দিন আপুকে আজে বাজে কথা বলেছিলেন সেদিন ২য় বার আপনার কাছে আপুর নামবার থেকে কল যায়। সেটা আমি দিয়েছিলাম।
মান নুরের কথা শুনে মাথা নিচু করে রাখে।মানের যে সত্যি আজ কিছু বলার নেই।
কি হল কথা বলছেন না যে?
আমি সেদিন রাগের মাথায় এমন করেছি।আমাকে কি একটি বার মাফ করা যায় না। আর আমারা এ বিষয়ে পরে কথা বলি রাহা আপু আছে?
রাহা আপু আধা ঘন্টা ও ফোন রাখবে না।
কেন কি করেছ?
বিনিময়ে নুর একটা মুচকি হাসি দিল।তাতেই মান বুঝে গেল নুর কিছু করেছে।কেননা নুরের বেপারে অনেক কিছুই জানতে পেরেছে সিথির কাছ থেকে।
নুর তুমি পারও।এবার বল কি করতে হবে।
আমার কিছু শর্ত আছে যদি মানেন তাহলে আমি আপনাকে হেল্প করব।আর যদি না মানেন আমার আপুর ধারের কাছেও আসতে দিব না।
ঠিক আছে শর্তে রাজি।এখন বল কি করতে হবে।
বেশি কিছু না ১মে আপনার লাভ স্টোরি বলতে হবে।কোথায় কখন আমি বলে দিব।
তুমি একটু বেশি বড়দের মত কথা বলছ না।সিথি জানলে যে তোমাকে কি করবে
আমি একটু না অনেক বড়।এখন চুপ করেন।আপু আসছে। সার আমার ঔষধ কি নিয়মিত খেতে হবে।খেলাধুলা করলেতো সমস্যা হবে না।আমি সব সব করব আপনি যা যা বললেন।
আর এদিকে মান হা করে তাকিয়ে আছে।নুরের কথা সব ওর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
রাহা:নুর সার তোকে এসব বলেছে?
নুর:সার কে জিগ্গেস কর আমার কথা বিশ্বাস না হলে।সার আপনি আবার বলবেন pls আমার বোন আমার কথা বিশ্বাস করছে না।(চোখ দিয়ে ইশারা করে)
মান নুরের ডাকে সভাবিক হল।কি মেয়ে রে বাবা নিজের কথা কি করে অন্যের ঘারে চাপানো যায় তা এর কাছ থেকে শিখতে হবে।এর থেকে বেচে থাকতে হবে।( মনে মনে )
রাহা:সার…কিছু মনে করবেন না ও কি কোন ভাবে আপনাকে ব্লাকমেইল করছে?ওকে দিয়ে তো আবার বিশ্বাস নেই।
রাহার কথা শুনে মানের কাশি উঠে গেল নুর পানির গ্লাস এগিয়ে দিতেই মান ধক ধক করে সব পানি খেয়ে ফেলল।
রাহা :আপনি ঠিক আছেন?
মান: আমি ঠিক আছি আর আমাকে কোন ভাবে ব্লাকমেইল করে নাই।ও যা বলল সব করতে পারবে শুধু বাহিরের খাবার বেশি খেতে পারবে না।
নুর:আপু সত্যি করে বল তো তুমি আমার আপন বোন তো?আমার কথা তুমি কেন বিশ্বাস করছো না।😳
রাহা:চুপ কর ড্যামা বাজ।
মান রাহা আর নুরের কথা শুনে ফিক করে হেসে দিল।আর নুর ওর দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইল।
মান: সরি..সরি..কিছু মনে করবেন না।আপনাদের বোনদের বনন্ডিং দেখে অনেক ভালো লাগল।মনে হয় আপনারা সমবয়সী। আপনাদের মধ্যে কত মিল। সেদিন তো দেখলাম নুরের জন্য আপনারা কতটা আস্থির হয়ে গেছিলেন।সত্যি আপনাদের মত বোন পাওয়া ভাগ্যের বেপার।
নুর:আমাদের মধ্যে সিথি আপু হলো সবার থেকে বেশি আদরের।তার জন্য আমারা সব করতে পারি।আসি সার।চল আপু।
এই বলে নুর আর রাহা চলে গেল।
মান ওদের যাওয়ায় দিকে তাকিয়ে রইল।নুর যে মান কে ছোট খাট ঠেড দিয়ে গেল তা মানের বুঝতে সমস্যা হলো না।
🌙🌙🌙🌙
নুর:আপু…..
রাহা:কি হয়েছে
চল না আজকে ছাদে ঘুমাই।কত দিন হয়ে গেছে আমারা ছাদে ঘুমাই না।
ঠিক আছে কিন্তু নুহা?
ওর তো ঠাণ্ডা লেগে যাবে।ওতো ফ্লোরে ঘুমাতে পারে না।
ঐ তোমার কি হইছে বলবা?আমাদের বাড়িতে কি কাথা- বালিশ,লেপ-তোশক নাই?যে আমার মেয়েকে ছাদে নিয়ে ফ্লোরে শোয়াব?
আল্লাহ!!আমি কি বললাম আর ও কি বলতাছে।
হইছে আর বলতে হবে না।আজকে আমারা ছাদে ঘুমাব এটাই ফাইনাল।আর কোন কথা নাই।তুমি না বরং কিছু রান্না কর রাতে ছাদে নিয়ে খাবার জন্য।
আপনাকে আর বলতে হবে না।আমি যাচ্ছি।
রাহার কথা শুনে নুর রাহাকে জরিয়ে ধরল।
তুমি আমার বেষ্ট আপু।
হইছে আর পাম দিতে হবে না।তোদের ভাইয়া বলছে আমি নাকি এমনি ফুলে যাচ্ছি।
আল্লাহ কই তুমি আমি নাকি তাকে পাম দিতেছি? আমি তোমাকে পাম দিতেছি না।আর তুমি তো দিন দিন আর সুন্দর হচ্ছো একে বারে গুলু মুলু কিউট মিনি হাতি।😁😁
তবেরে দাড়া তুই
নুর কে আর কে পায় সে তো দৌড়ে পালায়।
চলবে,
3 Star,পর্ব-৭
Araiyana Nur
নুর সিথির রুমে গিয়ে দেখে সিথি শুয়ে আছে।নুর আস্তে করে সিথির মাথার সামনে গিয়ে বসে।তারপর ভালো ভাবে দেখে সিথি ঘুমিয়ে ছে কি না।
কিছু বলবি???
হুম আমি তো মনে করেছি তুমি ঘুমিয়ে রয়েছ।এই সময় শুয়ে আছ যে??
এমনি ভালো লাগছে না।
আপু আজকে না আমারা ছাদে ঘুমাব।আমি বড় আপুকে রাজি করিয়েছি।
ভালোই হবে আনেক দিন হল ছাদে ঘুমাইনা।
ঠিক বলেছ আমিতো আপুকে রান্না করতে পাঠিয়ে দিয়েছি।😁
ভালো করেছিস।এবার চল আমারাও গিয়ে তাকে সাহায্য করি।
হুম চল।
রাহা আর মিসেস খান রাতের খাবার টেবিলে সাজাচ্ছে আর টুকটাক কথা বলছে।
মিসেস খান:রাহা সবাইকে ডাকদে।খাবার ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।
রাহা:সিথি,নুর তোরা কোথায়?তারাতারি খেতে আয়।
নুর:তুমি আমাদের খেতে ডাকছো কেন? তুমি ভুলে গেছ আমি কি বলেছিলাম।
মিসেস খান:আজকে কিছু হবে না।তোদের বাবা আজকে অসুস্থ।
নুর: কি হয়েছে মা বাবার? শরীর কি বেশি অসুস্থ??
মিসেস খান: না পেসারটা বেড়ে গেছে।তাই বলছি আজ না কাল তোরা যা মন চায় করিস।
সিথি:সমস্যা নাই মা।বাবা কোথায় খাবার খাবে না
রাহা:নুহা গেছে বাবাকে ডেকে আনতে।
একটু পর নুহা আর মি:খান টেবিলে এসে বসল।
সিথি:বাবা তুমি ঠিক আছ
মি: খান :হুম আমি ঠিক আছি।
নুর:কোথায় ঠিক আছ?পেসারের ঔষধ ঠিক মত খাওনা কেন?কত দিন বলেছি ঔষধ টা ঠিক মত খেতে?
মি: খান:মামনি আমি ঠিক আছি।
সিথি:নুর তুই বলছিস ঔষধ খাওয়ার কথা!!!
রাহা:পরেরে ভালোই বলতে পারে।নিজের খেতে গেলে যত সমস্যা।
নুর: বাবা তুমি কিছু বলবে?দেখ কেমন করছে আমার সাথে।(কাদে কাদো হয়ে)
মি: খান:ঐ তোরা থামবি আমার মাকে জালাস না।
রাহা:ঐতো তোমার মা আমরা তো কিছু না।
মি: খান: কে বলল তোমরা কিছুনা তোমরা তো মার বোন খালা।
সিথি:দেখলে আপু বাবা সব সময় শুধু ওর পক্ষ নেয়।আমরা তো কেউ না।
রাহা:তাতো দেখতেছি
মিসেস খান : কি শুরু করলি তোরা দেখতাছো উনি অসুস্থ।
মি খান: আহা…তুমি থাম বলতে দেও ওদের।ওরা বলবে না তো কে বলবে।
আর কে বলছে তোমারা কেউ না।তোমরাই তো আমার সব।
আকাশে তো একটা চাদ আর আল্লাহ্ আমার ঘরে তিনটা চাদ দিয়েছে।আমার আর কি লাগে।
এই বলে মি: খান তিন মেয়েকে আদর করে দিল।
নুহা: নাভাই তুমি আম্মু, মামনি আর মনিকে আদর দিলে আমাকে দিলেনা কেন? আমি তোমার সাথে থাকি না।
মি: খান: সরি নানা ভাই এই যে আদর দিয়ে দিচ্ছি।এবার খুশিতো
নুহা : হুম এবার ঠিক আছে।আর তুমি তাদের চাদ বলছ আমার আম্মুতো বলে আমরা তিন বোন 3 Star।
রাহা:হয়েছে আর পাকামো করতে হবে না।চুপ করে খাও।
নুহা:নাভাই তুমি ভুলে গেছ তুমি না কোন আঙ্কেলের কথা বলবা
রাহা: আঙ্কেল!!কোন আঙ্কেল??
বাবা ও কিসের কথা বলছে?
মি:খান: আনেক দিন ধরে আমার এক বন্ধুর ছেলের জন্য সিথির কথা বলছিল।আমি বাড়িতে আসতে বলেছিলাম ও বলল আগে ছেলে মেয়ে পছন্দ করুক তার পরে বাড়িতে যাওয়া যাবে। আর তাছাড়া ও সিথিকে দেখেছে।
নুর:না….( চিৎকার দিয়ে )
আপুকে এতো তারাতারি বিয়ে দিব না…..
মিসেস খান: দেখতে আসলেই তো বিয়ে হয়ে যায় না। আর সিথি কোন কথা বলছে না তোর এতো সমস্যা কেন।
নুর সিথির দিকে তাকিয়ে দেখে সিথি চুপচাপ খাবার খাচ্ছে।
নুর:এর আবার হল কি? যদি আপুর অন্য কোথায় বিয়ে হয় তাহলে তো আমার মান জিজু বিধবা হয়ে যাবে। না আমি থাকতে তা হতে দিব না।যা করার আমাকে করতে হবে।(মনে মনে)
মি: খান: সিথি কাল বিকেলে তাহলে দেখা করতে যাচ্ছ।কোথায় তা আমি পরে তোমাকে জানিয়ে দিব।
সিথি:ওকে বাবা।
নুর : বাবা আমিও যাব আপুর সাথে।আমারও তো একটা পছন্দ আছে যেহেতু আমার দুলা ভাই হবে।😳
মি: খান: ঠিক আছে।তুমি ওর সাথে যেও।
এই বলে মি: খান তার রুমে চলে গেল।
মিসেস খান: নুর আমি আগেই বলে দিচ্ছি ঐখানে গিয়ে কোন উলটা পালটা করবি না।যদি করছ তাহলে তোর খবর আছে।
নুর:আমি কিছু করব না মা সত্যি।
রাহা: মনে যেন থাকে
নুর:ওকে
(মনে মনে-তোমরা তো আর জাননা আমি কেন যাচ্ছি।ঐবেটার আমার বোন কে দেখতে আসার সখ মিটিয়ে দিব। শয়তানি হাসি দিয়ে )
পরের দিন বিকেলে নুর আর সিথি বসে আছে রেস্টুরেন্টে।ওনেক ক্ষন হয়ে গেছে ছেলে আসার খবর নাই।আজ দুই বোনই বরকা পরে হিজাব দিয়ে মুখ ডেকে নিয়েছে। একটু পরে এক জন ছেলে ওদের সামনে আসল।
…… হাই…. আমি তালাভ।আপনি সিথি রাইট
নুর: আসসালামু আলাইকুম ওহ রহমাতুল্লাহি ওবারকাতুহু
জ্বি আমি সিথি।প্লিজ বসেন।
নুরের কথা সুনে তালাভ অবাক হয়ে গেল
আর এদিকে সিথি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে।
সিথি:আল্লাহয় জানে ও আজ কি করে।আল্লাহ বাচাইও।(মনে মনে)
তালাভ:সরি আমার আসতে একটু দেরি হয়ে গেল।প্লিজ কিছু মনে করবেন না।(বসতে বসতে)
নুর: সালাম দিলে আগে সালামের জবাব দিতে হয় ভাইয়া। আপনি মনে হয় ভুলে গেছেন।
তালাভ:জি আমি সালামের জবাব নিয়েছি। তো আপনার সাথে উনি কে?
নুর:আমার ছোট বোন।
সিথি এদিকে চুপ করে বসে আছে।এখন কিছু বলতেও পারছে না।কেননা কিছু বলতে গেছে নুর আরো উলটা পালটা করবে।তাই চুপ থাকাই ভাল।
তালাভ: কি খাবেন বলেন?
নুর:ধন্যবাদ আমারা কিছু খাব না।
তালাভ:তো পড়াশুনা কেমন চলছে।
নুর:ভাল অনেক ভাল।আর
মানে!!!!
মানে আর কি কি জানার আছে? জিগ্গেস করতে পারেন।সমস্যা নাই।
ঠিক আছে আপনার যদি সমস্যা না থাকে তাহলে জিগ্যেস করি।
কি কি করতে পারেন?
সারাদিন ফেসবুক,মোবাইল চালাতে পারি।মুভি দেখতে পারি।আর.. আর..🤔ও মনে পরেছে সবচেয়ে বড় কাজ মারামারি করতে পারি।কিছু দিন আগে তো একটারে এমন মার মারছি দুদিন হাসপাতালে ছিল।
নুরের কথা সুনে তালাভের চোখ বড় বড় হয়ে গেল।আর সিথি মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।
ঘরের কাজ কি কি পারেন?
ঘরের কাজ সব পারি।আর আমার মত এত দ্রুত কাজ কেউ করতে পারে না।যেমন ধরেন একটা গুছানো রুমকে ময়লা করতে আমার ৫মিনিট লাগবে না।
তালাভ:কি মেয়েরে বাবা এমন মেয়ে আর একটা দেখেছি কি না সন্দেহ আছে।আর মেয়ে দেখতে আসলে কি কি জিগ্গেস করে আমি তো নিজেই জানি না।কেন যে আসতে গেলাম।আল্লাহ আমায় বাচিও এই ডেনজারাস মেয়ের থেকে।(মনে মনে)
সিথি:কি হচ্ছে এমন ভাবে কথা বলছ কেন?ঠিক করে কথা বল।(নুরের কানে কানে)
তালাভ:তো মিস: রান্না বান্না কেমন পারেন? আমার মা নেই যদি আমাদের বিয়ে হয় সংসারের দায়িত্ব তো আপনাকেই নিতে হবে।
নুর:আপনি মনে হয় ভুলে গেছেন আমি চাকরি করি।আমার সকালে বের হলে বাসায় আসতে বিকেল হয়ে যায়।আর রইল রান্না বান্না তাতো আমি আমার বর কে দিয়ে করাব।আর যদি না করে তাহলে খাবার বন্ধ।তাতেও যদি না হয় তাহলে বাড়িতে ঢুকতে দিব না।আর তাতেও যদি কাজ না হয় তাহলে নারী- নিরযার্তনের কেস দিয়ে দিব।আমারে কাজ করে খাওয়াবিনা যা এবার জেলে গিয়ে কাজ করে খা।দেখ কেমন লাগে।
নুরের কথা শুনে তালাভের যায় যায় অবস্থা।
আর সিথিতো পারছে না হাত পা ছরিয়ে কান্না করে।ওর ছোট্ট বোন যে এতো ডেনজারাস হয়ে গেছে তা ওর জানা ছিল না।
চলবে,