#প্রাণেশ্বরী #Writer_Asfiya_Islam_Jannat #পর্ব-১৪

#প্রাণেশ্বরী
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat
#পর্ব-১৪

আঁধার নিমজ্জিত কক্ষে স্বল্প আলো। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় শৈথিল্য আবহাওয়া। বিছানার উপর অচৈ’ত’ন্য, নি’স্তে’জ অবস্থায় পড়ে আছে প্রাণ। হুশ নেই তার কোন। কক্ষে পিনপতন নীরবতা বিরাজমান হওয়ায় দুই নর-নারীর ফিসফিসানি ধ্বনি পরিস্ফুট। কন্ঠস্বর দুটি বার বার প্রাণের কর্ণকুহরে বারি থেকেই ধীরে ধীরে বোধশক্তি ফিরে পেতে শুরু করে সে। আধনিভন্ত দৃষ্টিতে আশপাশ পর্যবেক্ষণ করার দুরূহ চেষ্টা। অকস্মাৎ প্রাণ নয়নের ক্রোধান্বিত কন্ঠ শুনতে পায়। নয়ন বলছে, “এটা কি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে না জেসিকা? কথা কিন্তু এটা ছিল না আমাদের।”

জেসিকা বিরক্তিমাখা কন্ঠে বলে, “তুমি এত রিয়্যাক্ট করছো কেন? খারাপ কি বলেছি আমি?”

“রিয়্যাক্ট করবো না তো কি? কথা ছিল প্রাণ নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারালে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি পেপারে ওর থেকে সিগনেচার নিব এবং পরবর্তীতে যখন আমার ওর বিয়ে হবে তখন পেপারগুলো সাবমিট করে ওর সকল সম্পত্তি আমি আমার নামে করে নিব। আর ধীরে ধীরে ওকে মানসিক রোগী প্রমাণিত করে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরিয়ে আনব সাথে তোমার জায়গায় পরিপক্ব করে দিব। এরপর ওকে আজীবনের জন্য কোন এক এসাইলামে ভর্তি করে নিজেও বিয়ের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসব। সেখানে এখন তুমি পুরো প্ল্যান পাল্টে কি করতে চাইছো? প্রাণকে সঁপে দিতে চাইছো কোন এক ডিরেক্টরের হাতে? মাথা গিয়েছে না-কি তোমার?”

জেসিকা আশ্বস্ত কন্ঠে বলে, “বিশ্বাস কর আমার এই প্ল্যান আগেটার চেয়েও দ্বিগুণ ভালো৷ এতে জল তোমাদের বিয়ে পর্যন্ত গড়াবেই না।”

নয়ন বিক্ষুব্ধ কন্ঠে জিজ্ঞেস করে, “তাই! শুনি তোমার প্ল্যান কি? চাইছো কি করতে?”

“এখন প্রাণকে দিয়ে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি পেপারে সাইন করিয়ে নিয়ে ওকে আমি এবারের অ্যাওয়ার্ড ফাংশনের বিচারক মি. মাহমুদের নিকট সঁপে দিয়ে যাব। অতঃপর যা করার তিনিই করবেন। আর কাল সকাল হতে না হতেই রিপোর্টারদের এখানে হাজির করাব আমি। তখন আপনা-আপনি হেডলাইন এটাই হয়ে যাবে যে, নিজেকে বিকিয়েই প্রাণ সেরা অভিনেত্রীর খেতাব অর্জন করেছে। তার নিজের যোগ্যতায় অর্জন করেনি। সব অ্যাওয়ার্ড তখন এভাবেই হাতছাড়া হয়ে যাবে তার কাছ থেকে। অপদস্ত হবে সকল জায়গায়। ধুলোয় মিশে যাবে প্রাণের নাম,ক্যারিয়ার। ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে যাবে এন্টারটেইনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি থেকেও। এরপর সব খ্যাতি, সুনাম পাবো আমি। আর ওইসময় তুমিও প্রাণের চরিত্রের উপর সহজেই প্রশ্ন তুলে সম্পর্ক ভেঙে বেড়িয়ে আসতে পারবে সে সাথে অ্যাটর্নির পেপারও প্রোসেস করিয়ে সব নিজের নামে করতে পারবে। প্রাণ তখন তোমার উপর মামলা করলেও তুমি সকলকে ছুতো দিতে পারবে প্রাণ সব হারিয়ে এখন তোমাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইছে, নিজের সম্মান ফিরে পেতে তোমাকে ব্যবহার করার ফন্দি আঁটছে তাই এসব গুজব ছড়াচ্ছে।”

নয়ন ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে, “আর নিহাল শিকদার সব চুপচাপ বসে দেখবেন বলে তোমার মনে হয়? নিজের মেয়েকে ডিফেন্ড করবেন না তিনি?”

জেসিকা বলে, “প্রাণের সাথে থেকে এতদিনে যা বুঝেছি প্রাণকে নিহাল শিকদারের তেমন একটা মাথাব্যথা নেই। নিজের স্বার্থের জন্যই তিনি প্রাণকে ব্যবহার করছেন। উপরন্তু তিনি নিজের সম্মানের উপরে কিছু দেখেন না। তো স্বাভাবিকভাবে প্রাণের এমন স্ক্যান্ডাল বের হলে তিনি স্বভাবসুলভ মুখ ঘুরিয়েই নিবেন, এগিয়ে আসবেন না। সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলবেন।”

নয়ন একপলক প্রাণের দিকে তাকিয়ে বিভ্রান্ত কন্ঠে বলে, “এমন না করলে কি হয় না?”

জেসিকা এবার ক্রোধানল দৃষ্টি নয়নের উপর স্থির করে বলে, “তোমার এত দরদ উথলিয়ে পড়ছে কেন ওর জন্য? ভালোবাসতে শুরু করলে না-কি ওকে?”

নয়ন প্রত্যুত্তর না করে অসহায় দৃষ্টিতে তাকায় প্রাণের নিষ্পাপ মুখ পাণে। সে প্রাণের সাথে মিশেছিল একমাত্র প্রাণ নিহাল শিকদারের মেয়ে বলে। নিজের পাবলিসিটি বাড়াতে এবং নিহাল শিকদারের চোখে পড়ে বড় বড় কাজ হাতিয়ে নিতে, বা বলা চলে প্রাণকে ব্যবহার করে সফলতার সিড়ি চড়তে চেয়েছিল। আর তাতে সে সফলও হয়েছে। এ ক্লাস অ্যাক্টরের তালিকা নিজের নাম লিখিয়েছে। অতঃপর প্রাণের সাথে প্রণয়বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর যখন প্রাণ নিজেকে গুটিয়ে চলতো, নয়নকে নিজের কাছে ঘেঁষতে দিত না তখন সে জেসিকাতে আসক্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু তার নজর আবার প্রাণের সম্পত্তির উপর ছিল বিধায় প্রাণকে সে ছাড়তে পারছিল না৷ নয়নের বাবাও প্রাণকে তার সম্পত্তির জন্যই নিজের ঘরের পুত্রবধূ করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। করিয়ে দেন তাদের এনগেজমেন্ট। সে সাথে নয়নকেও বিশেষভাবে বলে দেন প্রাণের খেয়াল রাখতে, তাকে নারাজ না করতে। নয়নও সেই কথা অনুযায়ী চলে আসছে।
যদিও এটা সত্য সে সবকিছুই করছিল নিজের স্বার্থের জন্য কিন্তু তবুও সে কখনো প্রাণের ক্ষতি বা সম্মানহানি করতে চায়নি। ভালোয় ভালোয় নিজের কাজ আদায় করে প্রাণকে বিদায় করতে চেয়েছিল সে, তাই তো জেসিকার সাথে মিলে প্রথম পরিকল্পনাটি সাজিয়েছিল তবে এখন পুরো কাহিনীটাই ভিন্নরূপ ধারণ করতে দেখে দ্বিধায় ভুগছে সে। নয়নকে কিছু বলতে না দেখে জেসিকা চেঁচিয়ে উঠে, “কথা বলছ না কেন? সত্যি কি তুমি ভালোবাসতে শুরু করেছ ওকে?”

নয়ন জেসিকার দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্য সহিত বলে, “নয়নের চয়েস এত থার্ড ক্লাস না জানোই। আর এমনেও ও আমার টাইপের না, সো ভালোবাসার প্রশ্নই আসে না। তবে বিষয়টা অন্যরকম। আমার মন সাঁয় দিচ্ছে না।”

জেসিকা এবার ন্যাকা কন্ঠে বলে, “আর ও যে আমার সাথে অন্যায় করেছে? পদে পদে নিচু করেছে? আমার সব ছি’নি’য়ে নিয়েছে? তার বেলায় কিছু না? একমাত্র ওর জন্য আমার ক্যারিয়ার এখনো এগুতে পারছি না। তাই এখন যা হচ্ছে বা হবে সবই প্রাণের প্রাপ্য। ভুল নেই তাতে। তুমি এবার ওর পক্ষ নেওয়া বন্ধ কর।”

জেসিকার কথার প্রেক্ষিতে নয়ন কথা বলার মত আর কিছু পেল না। আর জেসিকা ঠিক এই নীরবতার সুযোগ নিয়ে বো’কা পুরুষটিকে ভুলিয়ে নিজের পক্ষ করে নিল। অতঃপর নিজের পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে দরজা ভিড়িয়ে দুইজনই বেড়িয়ে এলো রুম থেকে। চলে গেল নিচে, লাউঞ্জের দিকে।
এদিকে এতক্ষণ সবটাই দাঁতে দাঁত চেপে শুনছিল প্রাণ। তাদের কথা শুনে ঘৃ’ণায়,বিতৃষ্ণায় তার গা ঘুলিয়ে আসছে। কতটা নিচু নামলে মানুষ প’শু’তে পরিণত হয়ে যেতে পারে তা হয়তো এদের না দেখলে বুঝাই যাবে না। নিজের উপর সীমাহীন রা’গ হচ্ছে প্রাণের, এতটা বছর তাদের উপর অন্ধের মত বিশ্বাস করে আসার জন্য। বুঝতে কেন এত দেরি করে ফেললো, আপনজন হতে এই পৃথিবীতে কেউ আসে, সব আসে নিজ নিজ স্বার্থের টানে৷
প্রাণ নিজের মন-মস্তিক শান্ত করে উঠে বসার সর্বস্ব চেষ্টা করলো। কিন্তু আফসোস পারলো না। তার শরীর তুলনামূলক অনেক বেশি দূর্বল হয়ে পড়েছে, মাথা তুলবারও শক্তি আর তার মধ্যে অবশিষ্ট নেই যেন। তাকে কি খাওয়ানো হয়েছে কে জানে? প্রাণ দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে জামার পকেট হাতড়ে ফোন বের করার চেষ্টা করলো। ভাগ্যক্রমে আজ এই পোশাকটা পরিধান করেছিল বলে নাহলে হয়তো ফোনটা তার সাথে সাথে রাখা সম্ভব হতো না, আর না লোকেশন অন রাখতে, না কলে কাউকে এতটা সময় হোল্ড করে রাখতে। যদিও কল কেটে গিয়েছে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। পকেট হাতড়ে ফোন বের করার এক পর্যায় অকস্মাৎ দরজা খোলার আওয়াজ কর্ণকুহর পর্যন্ত পৌঁছাতেই প্রাণ স্থির হয়ে যায়। তৎক্ষনাৎ আঁখিপল্লব বুজে ফেলে। পায়ের পদধ্বনি শুনে বুঝতে দেরি নেই রুমে কেউ প্রবেশ করেছে কিন্তু কে বুঝে উঠার জন্য কান পেতে রইলো প্রাণ। কিয়ৎক্ষণ না পেরুতেই এক মেয়েলি কন্ঠে ডাক শুনতে পেল সে, “ম্যাম উঠুন! আপনি ঠিক আছেন? ম্যাম!”

চৈতির কন্ঠ সনাক্ত করতে পেরে প্রাণ চোখ খুলে তাকায়। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে আড়ষ্ট কন্ঠে বলে, “পা..নি!”

চৈতি কথাটি বুঝতে পেরে দ্রুত পাশের টেবিলের উপর রাখা পানির বোতলটি তুলে নিল, প্রাণকে ধরে কোনরকম আধশোয়া করে বসিয়ে পানিটি পান করিয়ে দিল। পানি খেতে দিয়ে নিজেকে প্রায় ভিজিয়ে ফেললেও সবটুকু পানি শেষ করে দম নিল। এখন যেন একটু ভালো লাগছে তার। প্রাণ চৈতির দিকে তাকিয়ে শ্বাস টেনে টেনে বলল, “বে..র হব রুম থে..কে। জলদি!”

চৈতি বিনাবাক্যে প্রাণকে খুব কষ্টে নিজের উপর ভড় দিয়ে দাঁড় করায়। মন্থরগতিতেই তাকে নিয়ে বেরিয়ে আসে রুম থেকে। করিডরে আসতেই প্রাণ বলে উঠে, “রুম বুক করেছ না?”

চৈতি হাঁটতে হাঁটতে বলে, “হ্যাঁ করেছি ম্যাম। বাট আপনি সব জেনেও কেন তাদের ফাঁ’দে পা দিতে গেলেন বলুন তো? এটা কতটা রিস্কি ছিল জানেন? যদি আপনার কিছু হয়ে যেত?”

প্রাণ শ্লেষের হাসি হেসে জড়ানো কন্ঠে বলে, “কি হত? প্রাণ যেত, মুক্তি পেতাম এসব মিথ্যে মোহ-মায়া থেকে। তবে দেখার ইচ্ছে ছিল মানুষ রূপী প’শুগুলো ঠিক কত নিচে নামতে পারে। তাই রিক্সটা না নিয়ে পারলাম না।”

চৈতি জানে প্রাণ সকলের ভাবনা থেকে দুই কদম এগিয়ে চলে, তবে আজকে পদক্ষেপটা নেহাৎ ছেলেমানুষী লেগেছে তার কাছে। এভাবে নিজের জীবনে বা’জি লাগায় কেউ? হ্যাঁ, মানছে প্রাণ সকল ব্যবস্থা নিয়েই এসেছিল কিন্তু তবুও যদি কিছু হয়ে যেত? সে যদি ঠিকমতো নিজের কাজ করতে না পারতো, তখন? দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললো সে। এর মাঝে প্রাণ জিজ্ঞেস করে উঠে, “আ..র কত দূর?”

“এইতো ম্যাম এসে পড়েছি। আর একটু।”

“তাহলে চাবিটা আমাকে দিয়ে দাও, বাকি তোমাকে যে কাজটা দিয়েছি সে-টা পূরণ কর।”

চৈতি ক্ষীণ কন্ঠে বলে, “আমি আপনাকে রুমে দিয়ে তারপর না-হয় যাই?”

প্রাণ নিজেকে সামলে দাঁড়িয়ে বলে, “পারব আমি, চিন্তা কর না। তোমাকে দেওয়া কাজটা কর, আমি কিন্তু কোন ভুল চাই না।”

অগত্যা চৈতি প্রাণকে চাবিটি দিয়ে দিল এবং বলে দিল তিন রুম পরে বামদিকের রুমটি তার। প্রাণ মাথা দুলিয়ে সামনের দিকে এগুলো। প্রাণ রুমের কাছাকাছি না যাওয়ার আগ পর্যন্ত চৈতি দাঁড়িয়ে থাকতে চাইলো। কিন্তু অকস্মাৎ প্রাণ পিছন ঘুরে চৈতির দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে উচ্চকন্ঠে বলে, “যাওও!”

প্রাণের ধ’ম’ক শুনেই চৈতি দাঁড়ানোর সাহস পেল না। দ্রুত পিছন ঘুরে নিচে যাওয়ার জন্য অগ্রসর হলো। চৈতি যেতেই প্রাণ বেসামাল পায়ে এগিয়ে যেতে থাকে সামনে। হঠাৎ করেই তার মাথা বেশ ঘুরতে থাকে, শরীরের যাবতীয় শক্তি পুনরায় লোপ পেতে শুরু করে, পুনরায় দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসতে থাকে। প্রাণ কোনরকম নির্ধারিত রুমের সামনে এসে লকের চাবি ঘুরাতে থাকে কিন্তু কোনভাবেই দরজা খুলতে পারেনা। একসময় জো’র’জ’ব’র’দ’স্তি কর‍তে থাকে কিন্তু লাভ হয় না। ক্রমাগত তার অবস্থা শোচনীয় হয়ে আসতে থাকে, পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার শক্তিটুকু পাচ্ছে না সে। এই বুঝি এখনই পড়ে যাবে সে। শেষবারের মত নিজের শরীরের সবটুকু জোর দিয়ে দরজাটা খোলার চেষ্টা করলো প্রাণ, এবার ফট করেই দরজাটা খুলে গেল। প্রাণ দিগ্বিদিক না তাকিয়ে দরজা ঠেলে ঢুকে পড়লো। পরমুহূর্তেই সে কারো সুঠাম বুকে এসে বারি খেল। মাথা তুলে তাকাতেই চাইলো কিন্তু তার পূর্বেই মাথা ঘুরে উঠলো তার, আঁখিপল্লব জুড়ে ছেঁয়ে গেল অন্ধকার। দ্বিতীয়বারের মত সম্পূর্ণ অ’চৈ’ত’ন্য হয়ে হেলে পড়লো কারো বুকের মধ্যস্থলে। মানবটি দ্রুত প্রাণকে সামলে নিয়ে বিস্ময়কর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো। কিয়ৎক্ষণ অপলক প্রাণের দিকে তাকিয়ে থেকে মানবটি তার গালে হালকা চাপড় মেরে উৎকন্ঠিত কন্ঠে ডাকতে শুরু করলো, “মিস. ল্যাভেন্ডার আপনি ঠিক আছে? কি হয়েছে আপনার? এই যে মিস…..”

#চলবে

[কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ।]

[সকলে একটু কষ্ট করে রেসপন্স করবেন। ভালোবাসা অবিরাম❤️]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here