ইতির_সংসার পর্ব ১৬, ১৭, ১৮

0
540

#ধারাবাহিক_উপন্যাস
#ইতির_সংসার
পর্ব ১৬, ১৭, ১৮

নাঈম ও ইতি তুলির বাসায় এলে তুলি ইতিকে দাঁত মুখ খিঁচিয়ে বলে -“বড়লোকদের বাড়িতে কিভাবে আসতে হয় সেই জ্ঞানটাও তোমার নাই। মাত্র দুই বক্স তরকারি উঠায় নিয়ে চলে আসছ। এই বাড়িতে কত মানুষ। তোমার ছোটলোকি দেখে লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছে।”

ইতি শুধু চোখ গরম করে একবার তাকায় তুলির দিকে কিন্তু কিছু বলেনা। দুজনের বডি ল্যাংগুয়েজ মুরাদের দৃষ্টি এড়ায় না। আস্তে করে তুলির পাশে বসে ফিসফিসিয়ে বলে -“তুমি নাঈমের সাথে চলে যাও, ফিরে আসার আর দরকার নাই। তুমি জীবনেও শুধরাবে না। আমার সামনেই তুমি ভাবির সাথে দাঁত পিষছ তাহলে আড়ালে কি করবা বুঝাই যায়।”

তুলি ভয় পেয়ে বারবার করে সরি বলতে থাকে। মুরাদের বাবা খুব অল্প সময়ের জন্য আসেন সবার সাথে দেখা করতে। দুইটা খাম হাতে এসে বসেন ওদের সাথে। তুলি আর ইতিকে দুই পাশে বসিয়ে খাম দুইটা হাতে দিয়ে বলেন -“এতোদিন আমার কোন মেয়ে ছিলনা। আজ একসাথে দুইটা মেয়ে পেয়েছি। তাদের জন্য আমার এই ছোট্ট উপহার। তোমরা চাইলে এখনই খুলে দেখতে পারো।”

দুজনেই খাম খুলে দেখে প্রতি খামে এয়ারটিকেট, বাসের টিকেট, কিছু রিজার্ভেশন ডিটেইল লেখা শীট আর দুইটা চেক। তুলি খুব খুশি হয়ে যায়, ইতি মাথা নিচু করে কেঁদে ফেলে। বলে -“আংকেল আপনি ভালোবেসে, মেয়ে ডেকে আমাকে উপহার দিয়েছেন। আমি ফেরত দেবনা কিন্তু আমি এতোকিছুর যোগ্য নই। আমাকে শুধু দুয়া করবেন। আমি যেন আপনাদের সবার ভালোবাসা নিয়ে জীবনটা কাটাতে পারি।”

ইতির কথায় খুশি হয়ে যান মুরাদের বাবা কিন্তু তুলি সিম্পল ধন্যবাদটাও জানায় না। মুরাদের মা ওদের খেয়ে যেতে অনুরোধ করায় ওরা খেয়েই ফিরে। বাসায় ফেরার আগে মুরাদ আর নাঈম হানিমুনে যাওয়ার ডেট ঠিক করে নেয়। তাড়াতাড়িই যেতে হবে কারণ মুরাদের ইউকে যাওয়ার দিন ঘনিয়ে আসছে।

কক্সবাজার যাওয়ার জন্য মুরাদের বাবা ব্যবস্থা করেছেন রাজশাহী টু ঢাকা প্লেনে, ঢাকায় রিজেন্সী হোটেলে দুইটা রুম বুক দেয়া, পরেরদিন ঢাকা টু কক্সবাজার প্লেনে, সেখানে ওশন প্যারাডাইসে দুদিনের জন্য দুইটা হানিমুন স্যুইট বুক করা, রয়েল টিউলিপ সী বীচ পার্ল হোটেলে দুদিনের জন্য দুইটা হানিমুন স্যুইট বুক করা, কক্সবাজার বিভিন্ন পয়েন্টের ট্যুর প্রোগ্রাম, কক্সবাজার টু ঢাকা প্লেনের টিকেট ও ঢাকা টু বগুড়া এসি বাসের টিকেট। চারজন বসে সব প্ল্যানিং করে তারিখ ঠিক করে ফাইনাল হবার পরে ইতি যায় স্কুলে ছুটি নিতে। কিন্তু ইতির স্কুল থেকে ছুটি পায়না। কয়দিন আগেই তুলির বিয়ের জন্য ৬ দিন টানা ছুটি নিয়েছিল। এখন সামনে পরীক্ষা, পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত কোন টিচারের ছুটি তো নাইই উল্টো ক্লাসের পরে এক্সট্রা তিন ঘন্টা কোচিং করাতে হবে। পরীক্ষা শেষ হলে ছুটি নিতে পারবে। নাঈমকে ফোন দেয় জানানোর জন্য। তারও ছুটি মঞ্জুর হয়নি। হেড অফিস থেকে অডিট আসতেছে। শেষ না হওয়া পর্যন্ত ছুটি নাই।

দুজনেই মন খারাপ করে বাসায় ফিরে। সন্ধ্যায় তুলির শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে কথাটা জানায়। মুরাদের মন খারাপ হয় কিন্তু তুলি খুশি হয়ে যায়। সে চাচ্ছিল তাদের হানিমুনে তারা একা যাবে। ভাই ভাবি কেন? কিন্তু শ্বশুরের উপর দিয়ে কথা বলতে পারেনি জন্য চুপ করে থাকে। এদিকে ইতিরা যখন ছুটি পাবে তখন মুরাদের যাওয়ার সময়।

মুরাদের বাবা ইতিদের ছুটি হিসাব করে সমস্ত রিজার্ভেশন পিছিয়ে নেন। সিদ্ধান্ত হয় এখন মুরাদ আর তুলি যাবে হানিমুনে। ইতি আর নাঈমের ছুটি হলে ওরা যাবে। তুলি মহাআনন্দে নিজের আর মুরাদের গোছগাছ শুরু করে দেয়।

মুরাদ হানিমুনের উদ্দেশ্যে বের হবার কিছু আগে নাঈম তাকে ডেকে নিয়ে যায় বাইরে। বাইরে গিয়ে হঠাৎ করে মুরাদের হাত চেপে ধরে হু হু করে কেঁদে উঠে। বলে -“দোস্ত, আমার কলিজার টুকরো তোকে দিছি। তুই তার অসম্মান করিসনা দোস্ত। আমি জানি তুই তুলিকে ভালোবেসে বিয়ে করিসনি কিন্তু আমার বোনটা এতোটাও খারাপ না যে ওকে ভালোবাসা যাবেনা। তুই আমাকে কথা দে তুলিকে তুই কষ্ট দিবিনা।”

যদিও মুরাদ মনে মনে ভেবেছিল তুলিকে পরিপূর্ণভাবেই স্ত্রীর মর্যাদা দিবে তারপরও এখন নাঈমের কথা শুনে ওকে হাত ধরে আশ্বস্ত করে। জড়িয়ে ধরে বলে -“দোস্ত তুই চিন্তা করিসনা। তোর বোন আমার কাছে তোর আমানত। তুই সবসময়ই বলতি আমার একটাই বোন, কার হাতে দেব, কেমন রাখবে কে জানে? তোর এই চিন্তা দূর করতেই তোর বোনকে বিয়ে করলাম। শুধু তুই ভালো থাক, চিন্তামুক্ত স্বাভাবিক জীবন কাটা এটাই আমার চাওয়া। আমি ইউকে চলে গেলে এখনকার মতো সবসময় তোর সাথে থাকতে পারবোনা সেজন্য তোকে সবচেয়ে বড় চিন্তামুক্ত করার জন্য আমার তুলিকে বিয়ে করা। তুই নিশ্চিত থাক। তুলির অমর্যাদা আমি করব না কখনও।”

ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায় মুরাদ ও তুলি। ওদের বাসে উঠিয়ে দিয়ে বাসায় ফিরে আসতেই দেখে নাজমা বেগমের মুখ ভার। মেয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, মেয়ে ভালো আছে তারপরও উনার মুখ ভারের কারণ বুঝে উঠতে পারেনা ইতি। জিজ্ঞেস করতেই চিৎকার দিয়ে উঠেন নাজমা বেগম। তার রাগ দেখে কিছু বুঝতে পারেনা ইতি। নাঈম বরাবরের মতো নির্বিকার। ইতি জিজ্ঞেস করে রাগের কারণ। উত্তরে জানতে পারে নাজমা বেগম মেয়ে আর জামাইয়ের পথে খাওয়ার জন্য কিছু স্ন্যাকস বানিয়েছেন কিন্তু ইতি সেগুলো নিয়ে গিয়ে ওদের দেয়নি কেন?

কিছুক্ষণ চুপ থেকে ইতি জানায় তুলি ওকে মানা করেছে ওসব নিতে। নাজমা বেগম কিছুতেই বিশ্বাস করেন না কারণ একটু আগে তুলি ওর মাকে কল দিয়ে বলেছে ওর খুব খারাপ লাগছে যে এতো কষ্ট করে মা স্ন্যাকস বানালো অথচ ভাবি এনে দিল না।

ইতি বুঝে যায় মুহুর্তে ব্যাপার টা কি। তুলি দূরে গিয়েও ওকে শান্তিতে থাকতে দিবেনা। সেও বিরক্ত গত কয়েকটা মাস ধরে ওদের এসব আচরণে। হঠাৎ শাশুড়িকে বলে উঠে -“এগুলো সব আমি খাবো তাই তুলিকে দেইনি। ও বড়লোক স্বামীর সাথে যাচ্ছে। রাস্তায় যা খুশি খেতে পারবে।” বলে এক মুহুর্ত না থেমে ঘরে চলে যায়।

ইতির এমন উত্তর দেয়া দেখে প্রথমে থ যান নাজমা বেগম। তারপর সম্বিৎ ফিরে পেয়ে ইতিকে ঝাড়তে গিয়ে দেখেন ইতি আর সেখানে দাঁড়িয়ে নেই উনার ঝাড়ি খাওয়ার জন্য। নিজেই গজগজ করতে করতে সব স্ন্যাকস নিয়ে উঠোনে ঢেলে ফেলে দেন। আর বলতে থাকেন -“সাহস কত, আমার মেয়ের জন্য বানানো নাস্তা তুই খাবি? আয় মাটি থেকে তুলে নিয়ে খা।”

সকালে ঘুম থেকে উঠে ইতি আর নাঈম যে যার কর্মস্থলে চলে যায়। যাওয়ার আগে দুজনেই দেখে উঠোন জুড়ে স্ন্যাকস গুলো ছড়িয়ে পড়ে আছে, গলির কুকুর সেগুলো খাচ্ছে। নাঈম যাওয়ার আগে শুধু বলে -“মা, এইগুলো ফেলার আগে একবার হিসাব করলানা এর মধ্যে কতগুলো আটা, ডিম, তেলের খরচ আছে আর আছে তোমার শ্রম।”

নাঈমের কথা শেষ হবার আগেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন নাজমা বেগম -“ও তোর কামাই খাই বলে খোঁটা দিচ্ছিস? এখন আলাদা হবার হবার জন্য এইসব বলতেছিস।” বলেই মড়াকান্না শুরু করে দেন। নাঈম ইতিকে বের হতে বলে নিজে এগিয়ে যায় রিকশা ধরতে। ইতির হঠাৎ মাথায় কি চাপে সে শাশুড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বলে -“আলাদা হবার মতো যে মেরুদণ্ড লাগে সেটা আপনার নাবালক ছেলের নাই। আর এই স্ন্যাকসের জন্য মন খারাপ করবেন না। আমি ওকে বুঝিয়ে বলব। কেউ না কেউ তো খেয়েছে। একেবারেই বৃথা যায়নি।”

নাজমা বেগম হুংকার দিয়ে উঠেন -“কি? এতোবড় সাহস? আমার মেয়ের সাথে কুকুরের তুলনা? আজ তোর একদিন কি আমার একদিন।” ইতি আর দাঁড়ায়না, বের হয়ে যায়।

বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে নাঈমকে কল দিয়ে অনুমতি নেয় মায়ের বাড়ি থাকবে। শাশুড়িকে বলে চলে যায়। রাতে নাঈম বাসায় ফিরে দেখে মায়ের মুখ ভার। কথা বললে উত্তর দেয় না। জানতে চাইলে খেঁকিয়ে উঠে -“আমার কি হইছে সেটা জেনে কি করবি? বউয়ের কি হইছে সেটা জেনেই থাক। মহারানী স্কুল থেকে এসেই ব্যাগ গুছিয়ে রওনা দিয়েছেন। কোথায় কোন বিহারে গেছেন কে জানে?”

নাঈম হেসে ফেলে মায়ের কথার ধরনে। মাকে জড়িয়ে ধরে বলে -“মা, আমিই ওকে যেতে বলেছি ওর মায়ের বাড়ি। কত্তদিন শুধু তুমি আমি সময় কাটাইনা বলত মা? আজ ভাবলাম তুলিও নাই, ইতিকেও ভাগিয়ে দেই। একাই তোমার আদর খাবো মা।”

ছেলের কথায় মুহুর্তে রাগ ভুলে হেসে উঠেন নাজমা বেগম। ছেলেকে ড্রেস চেঞ্জ করে আসতে বলে নিজে উঠে যান চা বানাতে। কিছুক্ষণ পরে নাঈম ফ্রেশ হয়ে ড্রইংরুমে এসে দেখে ওর মা ওর প্রিয় লেবু চা আর সরিষার তেল পেঁয়াজ দিয়ে মুড়ি মাখিয়ে এনেছে। মুড়ি খেতে খেতে মা ছেলে টুকটাক গল্প করতে থাকে। হঠাৎ নাঈমের মাথায় বুদ্ধি আসে, সে উঠে গিয়ে একটা বাটিতে কিছু তেল এনে মায়ের হাতে দিয়ে বলে মাথায় দিতে। ছেলের মাথায় তেল বসিয়ে দেয়া নাজমা বেগমের খুব প্রিয় কাজ।

তুলিরা ফিরে আসে ট্রিপ থেকে। তার ৬ দিন পরে মুরাদও ইউকে চলে যায়। ইতির স্কুলের পরীক্ষা শেষ হয়ে খাতা দেখা শেষে রেজাল্ট দেয়া হয়। রেজাল্টের পরে ৮ দিনের জন্য স্কুল বন্ধ হয়। এই সুযোগে নাঈমও অফিস ছুটি নিয়ে মুরাদের বাবার গিফট করা ট্যুরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। নাজমা বেগমকে জানাতেই স্বাভাবিক ভাবেই উনি রেগে যান। কিন্তু নাঈম মায়ের রাগ উপেক্ষা করেই ইতিকে নিয়ে ট্যুরে বেড়িয়ে পড়ে।

বগুড়া থেকে ওরা ঢাকায় পৌঁছে সারাদিন থেকে কক্সবাজারের রাতের বাসে উঠে পড়ে। মাঝরাতে কুমিল্লায় বাস থামতে ওরা দুজনেই নামে ফ্রেশ হতে। হঠাৎ নাঈমের ফোনে তুলির কল আসে। এতো রাতে তুলির কল পেয়ে অবাক হয়ে যায় নাঈম। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে তুলি কাঁদতে কাঁদতে জানায় ওর মায়ের প্রচন্ড জ্বর, জ্বরে অজ্ঞান হয়ে যায় সেজন্য তুলি শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে এসেছে। মায়ের অবস্থা খুব খারাপ, পারলে যেন নাঈমেরা ফিরে আসে।

ফোন রেখে নাঈমের মন খারাপ দেখে ইতিরও খারাপ লাগে। সে নিজের থেকেই নাঈমকে বলে বগুড়া ফিরে যাওয়ার জন্য। ওখানেই ওরা বাস থেকে নেমে পড়ে। ঘন্টাখানেক পরে ঢাকাগামী বাসে উঠে পড়ে। এরমধ্যে তুলিকে একবার কল দেয় নাঈম, ওরা ফিরছে সেটা জানাতে। তুলি পৌঁছানোর আগে কল দিতে মানা করে দেয়। ফোনের শব্দে ওদের মা জেগে যাবে, অসুস্থ মানুষের ঘুম প্রয়োজন।

ঢাকায় ফিরে বাসের অপেক্ষা যাতে না করতে হয় সেজন্য নাঈম ওর এক বন্ধুকে ঘুম থেকে তুলে ওদের জন্য একটা কার রেন্ট করে রাখতে বলে যাতে দ্রুততম সময়ে পৌঁছে যেতে পারে।

সারা রাস্তায় নাঈমের মন খারাপ হয়ে থাকে, বারবার নিজেকে অপরাধী মনে হয় কেন মায়ের কথা না শুনে ট্রিপে বের হল। বগুড়া পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুপুর হয়ে যায়। নাঈম কিছুই খায়না এই লম্বা সময়ে। ইতিও চাপাচাপি করে না। বাসায় ঢুকেই আগে মায়ের রুমে যায় নাঈম। দৌড়ে গিয়ে মা কে জড়িয়ে ধরে নাঈম। গায়ে হাত দিয়ে দেখে জ্বর অনেক। তুলিকে জিজ্ঞেস করে মেডিসিন দিয়েছে কি না বা কিছু খেয়েছে কি না। তুলি জানায় কিছুই খায়নি ওদের মা। নাঈম তুলিকে প্লেটে করে খাবার আনতে বলে, সে নিজে তুলে খাওয়াবে।

তুলি খাবার আনলে নাঈম খাওয়ানোর জন্য মাকে উঠাতে যায় দুই হাতের নিচে হাত দিয়ে। হঠাৎ দেখে একটা রসুন টুপ করে এসে ওর গায়ে লেগে গড়িয়ে নিচে পড়ে যায়। মুহুর্তেই নাঈম বুঝে যায় ওর মায়ের জ্বরের রহস্য। খাবারের প্লেট তুলির হাত থেকে নিয়ে মায়ের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে -“মা খেয়ে নাও। আমরা অনেক ক্লান্ত। আসো ইতি।” বলে ইতির হাত ধরে রুম থেকে বের হয়ে যায়।

পিছন থেকে নাজমা বেগম ছেলেকে ডেকে উঠেন। এবার নাঈম আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনা, চিৎকার দিয়ে উঠে -“আর কি মা? এমন মিথ্যে অভিনয় তুমি আমার সাথে কিভাবে করতে পারলা? কাল রাতে তুলির ফোন পাওয়ার পর থেকে আমরা কি অবস্থার মধ্যে এই সময়টা পার করছি বুঝতে পারো? প্রতিমুহূর্তে মনে হচ্ছিল তোমাকে দেখতে পারব তো? আর তুমি? আমি আর পারছিনা মা সত্যিই, ক্লান্ত হয়ে গেছি আমি তোমাদের এসব দেখতে দেখতে। ইতির চোখে তো নিজেকে ছোট করছই, আমার চোখে অন্তত ছোট হইওনা আর প্লিজ মা, হাতজোড় করছি।”

আর এক মুহুর্ত ওখানে অপেক্ষা না করে ইতির হাত ধরে রুম থেকে বের হয়ে যায় নাঈম। রুমে গিয়ে ইতিকে বলে……..
©সৈয়দা রাজিয়া বিল্লাহ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here