#সিনিয়র_মামাতো_বোনের_পেরা,পর্ব_০৪
#লেখক_কাজী_সাদ_ইসলাম_যারিফ
আপু ঘরে এসে প্রেম প্রেম ফিল করতে থাকলো। এক সময় ভাবলো আমার সাথে ভালোবাসা কন্টিনিউ করবে। পরেই বললো না, এটা কিভাবে সম্ভব, আসতাগফিরুল্লাহ।
পরের দিন আমি নাস্তা করে রেডী হয়ে নেই। আমার অসুস্থতার কথা আমার মা বাবাকে আমি জানায়নি, নাহলে তারা শুধুই কান্না করবে।
তাছাড়া আমার মা বাবার ওই সাধ্য নেই যে আমাকে চিকিৎসার জন্য এত টাকা দিবে। এখন আমার মামার কাছ থেকে সাহায্য নিতে হচ্ছে।
সাহায্য করবে কিনা কে জানে! হয়তো করবে।কারণ অনেক মামারাই নিজের বোনের ছেলেকে ৪ চোখে দেখে।
মানে অনেক ভালোবাসে আরকি। আর মধ্যে আমার বন্ধুর সাথে দেখা করতে গেছিলাম।
– ব্যাটা তোর যে অবস্থা, এই অবস্থায় আমি কিছু সাহায্য করতে পারলে খুশি হতাম।
– থাক সাহায্য করতে হবে না। আফসানা আপু বেবস্থা করছে।
– তুই তো কারো কাছ থেকে কিছু ধর নিতে পারিস না। নিলেও ফেরত দিয়ে দেস। এখন এত টাকা পাবি কই?
– চেষ্টা করবো।
– আচ্ছা তাহলে শোন আমার কথা।
– শুনতেছি তো।
– মনে আছে, ছোটবেলার কথা?
– হুম, আছে তো। সব মনে আছে। আমরা মাঠে খেলা করতাম। সেই মাঠে যাবো একদিন।
– মিথ্যা কথা। তোর অনেক কিছুই মনে নেই।
– কে বলছে?
– আমরা যেখানে আছি এই জায়গায় আমরা খেলা করতাম।
– ওহ, জায়গা টা বদলিয়েছে তাহলে। আগে অনেক গাছ ছিল।
– হুম।
আমি এইসব চিন্তা করছিলাম। আমার মামা এইসময় ডাক দিলো।
– বাবা শুনলাম। তোমার কিডনির সমস্যা?
– হুম।
– শোনো কেউ কিডনির সমস্যায় ১০ বছর বাচে না।
– তাহলে কতদিন।
– এখন আমি কিছু বলতে পারছি না। কিন্তু আমার মতে তুমার হাতে আর ১ মাস সময় আছে।
– মামা তাহলে কি করবো? আমার ১৪ দিন পর পরীক্ষা।
– আজকেই চিকিৎসা করাও। এই নাও টাকা। আর শোনো টাকা ফেরত নেওয়া লাগবে না। আমি তোমার মামা তাই টাকা ফেরত দিতে পারবা না।
– কিন্তু মামা……
– কোনো কিন্তু নয়।
আমি ঐদিনই চিকিৎসা করে এলাম। আমি ৭ দিন পর পড়তে বসলাম।
যথারীতি পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে আসলো। পরীক্ষার দিন আমি পরীক্ষা দিলাম। সব পরীক্ষায় ভালো করেছি।
কিন্তু আমার এই পরীক্ষার মধ্যে আমার মা বাবা আমেরিকা চলে যান। আমি আমার পড়ালেখার কারণে যেতে পারিনি।
তো আমি একদিন আফসানা আপুকে প্রপোজ করে ফেললাম। উনি বললেন
– তোমার এই প্রপোজ যদি আমার অ্যাকসেপ্ট করতে হয় তাহলে আমার মামার অনুমতি নিতে হবে।
#চলবে