#সিনিয়র_মামাতো_বোনের_পেরা,পর্বঃ২
#লেখক_কাজী_সাদ_ইসলাম_যারিফ
আমার বোনেরা ঠিকই একদিন বলে দিলো
– আমার ভাই কিন্তু আপনার উপর ক্রাশ খাইসে দিদিমণি।
– আচ্ছা, তাই?
– হুম।
– কিভাবে বুঝলি।
– আমাদের বেশি বেশি চকোলেট দেয়। এই জন্যে।
– ওহ আচ্ছা।
জীবনটাই বেদনা। আজকে যে কি হবে আল্লাহই জানে।
– ওই তুই হালার*পো। সুদা’নির পুত।
– আপু বিলিভ অন মি।
– নো, আই ক্যান্ট বিলিভ অন ইউ।
উত্তম মাধ্যম পড়তে লাগলো। মার খেতে খেতে এক পর্যায় আমি বলে উঠলাম।
– বোনেরা তোরা কই? দেখ তোদের আপু আমাকে খুন করার চেষ্টায় লেগে আছে।
আমি বুঝলাম আমার কথা বাইরে যায় নাই। কারণ আপু আমার মুখে টেপ দিয়ে রেখেছে। অনেক কষ্ট করে। টেপ খুলে বললাম কথাটা।
– হোয়াট, আমরা আসছি।
আপু মামার হতে থাপ্পড় খেলো। আমার রক্ত বের করে ফেলেছিল ও।
– আব্বু ও না……….
– যাই করুক, এভাবে মারে কেউ?
– ওহ সরি।
– সরি ওকে বল।
– সরি শোয়েব।
আমি এরপর গোসল করে আসলাম। ক্ষত জায়গায় ব্যান্ডেজ করলাম। আমি অবশ্য এই সময় মামা বাড়ি
এসেছিলাম।
আমি একদিন রেস্টুরেন্টে গেছিলাম। সেই সময় আমি আমার মামাতো বোনকে সেখানে দেখি।
আমি ওর দিকে তাকিয়ে খাচ্ছিলাম। আসলে আমি ওর প্রেমে পড়েছি। ঠিক ধরেছেন।
মনটা ভাঙ্গিয়া গেলো। কারণ ওর সাথে একটি ছেলেকে আমি দেখলাম।
সেই ছেলেটি আমারই বন্ধু। স্কুল লাইফের বন্ধু। আমি সেটা দেখে উঠে বের হয়ে গেলাম। ওরা আমার দিকে চেয়ে রইল কিছু বললো না। কিন্তু আমার ফ্রেন্ড বের হয়ে গেলো সাথে সাথেই।
আমার এই ফ্রেন্ডের নাম সূর্য। সূর্য হোসাইন। আমার স্কুল লাইফের বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল। সে এমন করলো?
– কিরে তুই না খেয়ে বের হয়ে গেলি যে?
– কী করবো। আমার ক্রাশের সাথে তোকে দেখলাম।
– ওহ আই অ্যাম সরি। বাট ও আমার গার্লফ্রেন্ড।
– বন্ধুত্বের এই পরিচয় দিলি।
– সরি দোস্ত।
মন খারাপ করে বের হয়ে এলাম। কিন্তু আমার বন্ধুর বুকটা যেনো কেমন কেমন করছিল।
– কি হয়েছে? ও তোমার কি হয় সূর্য?
– আমার বেস্ট ফ্রেন্ড হয়। আমার বুকে বেথা করছে।
– কেনো?
– না তোমার উপর ওর ক্রাশ। আর আমি ওকে ফিরিয়ে দিয়েছি।
– ভালো করেছো। সা*লা ম’রুক’গে।
সূর্য একটা থাপ্পর দিল আফসনাকে।
– লজ্জা করে না। আমার বন্ধু ও। ওকে মরতে বলিস।
– আর ও আমার মামাতো ভাই।
– হোক মামাতো ভাই। আমি ওর কষ্ট সহ্য করতে পারব না।
তখনই সূর্য………….
#চলবে