হিংস্র ভ্যাম্পায়ার_২,পর্ব-৮

হিংস্র ভ্যাম্পায়ার_২,পর্ব-৮
লেখিকাঃফারু ইসলাম(ফারহান)

__”নূর কাঁদো কাঁদো মুখ করে চারিদিকে তাকাচ্ছে সবাই উৎসুক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।’
__” ড্রেক আবারও বলে উঠলো ‘ নীর(নূর) বলো না উইল ইউ ম্যারি মী?”
__” এরিক ছুটে নূর দিকে যেতে ধরলো ঠিক তখনই এভি চট করে এরিকের হাত ধরে শান্ত স্বরে বললো ‘ নো এরিক এটা সঠিক সময় না, তুমি দেখো নির কি করে।”
__”এরিক দম ধরে দাঁড়িয়ে রইলো।
__”মেলানের যেনো শরীরে কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে রাগে তার শরীর ফেটে যাচ্ছে কই আছে এনরা?”
__” নূর কাঁপা স্বরে বললো ‘ ড্রেক তোমার সাথে কী আমি একা কথা বলতে পারি?”
___” ড্রেক উৎফুল্ল গলায় বললো ‘ অবশ্যই,কেনো না?”
__” নূর ড্রেকের হাত ধরে তাকে সবাই মাঝখান থেকে নিয়ে গেলো তা দেখে এরিকের চোখ যেনো কোটর থেকে বের হওয়ার জোগাড় হলো তেমনি জেন কিন্তু শুধু এভির দৃষ্টি ভঙ্গি শান্ত ছিলো।”
__” নূর ড্রেকে একটি ফাঁকা গ্যালারি রুমে নিয়ে আসলো।”
__” ড্রেক হাসি মুখে বললো ‘ বলো নীর কি বলবে?”
__” নূর হাত মুচড়ে মৃদুস্বরে বললো ‘ ড্রেক আমি একজন কে ভালোবাসি।”
___” ড্রেকের মুখের হাসি চলে গেলো সে এক দৃষ্টিতে নূরের দিকে তাকিয়ে রইলো।”
__” নূর কাতর গলায় মাথা নুয়ে বললো’ আমি দুঃখিত ড্রেক আমি তোমাকে হ্যাঁ বলতে পারবো না।”
__ড্রেক অন্য দিকে তাকিয়ে নিজের কষ্ট চেপে আবারও নূরের দিকে তাকিয়ে বললো ‘ হেই নীর(নূর) তুমি মন কেন খারাপ করছো? আমি তোমাকে ভালোবাসি তার মানে এই নই যে তুমিও আমাকে ভালোবাসতে হবে?”
__” নূর মুখ তুলে ড্রেকের দিকে তাকিয়ে অপরাধ গলায় বললো ‘ কিন্তু আমার খারাপ লাগছে আমি তোমার মত বন্ধু হারালাম।”
___” ড্রেক চাপা হাসার চেষ্টা করে বললো ‘ ওহো নো, নো নীর(নূর) আমি তোমাকে ভালোবাসি এটা অন্য কথা কিন্তু তার জন্য আমি আমার বন্ধুত্ব ভাঙবে না।তুমি আমার খুবই ভালো বন্ধু এবং তা সারাজীবনের জন্য।”
___” নূর তৃপ্তি হাসি দিলো।”
___” ড্রেক নূরের নাক টেনে চলে গেলো তার কান্না আর আটকানো সম্ভব না। নূর পিছনে ফিরে যাওয়ার সময় কেউ একজন ছুটে এসে নূরকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো। ব্যাথায় নূর আহ বলে কুকিয়ে উঠে চিৎকার দিতে গিয়েও থেমে গেলো। এরিক! এরিক তার হিংস্র রুপে নূরের দিকে তাকিয়ে আছে ক্রুদ্ধে তার শরীর কাঁপছে।”
__” নূর অবাক হয়ে আহত স্বরে বললো ‘ এরিক কি হয়েছে! আমাকে এইভাবে চেপে ধরলে কেনো?”
__” এরিক ক্ষোপ গলায় বললো ‘ তুমি ড্রেকের হাত কেন ধরলে?”
__” নূর হালকা স্বরে বললো ‘ আমি ওকে প্রস্তাবের জন্য বারণ করতে এখানে এনেছিলাম তাই হয়তো জলদিতে।”
__” এরিক চিৎকার দিয়ে তেজি গলায় বললো ‘ তাই বলে ওর হাত ধরতে হবে তোমাকে!”
___” এরিকের বাঁজকায় ধমকে নূর যেনো ভয়ে ফ্যাকাশে হয়ে গেলো সে চোখ বন্ধ করে বিরতহীন অশ্রু ফেলতে লাগলো। চট করে এরিক রাগ পড়ে গেলো, না এইভাবে সে তার নূরের সাথে কথা বলতে পারে না।”
__” এরিক প্রায় দিশেহারা হয়ে নূরের দু-গাল নিজের দু’হাতের মুঠো নিয়ে বললো ‘ হেই নূর প্লীজ কেঁদো না আমার জাস্ট কারও সাথে তোমাকে সহ্য হয় না আই রিকুয়েষ্ট ইউ প্লীজ কান্না করোনা।”
__” নূর এরিকের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে হেঁচকি তুলে বললো ‘ আই এম স্যরি এরিক আমি একদমই নিজ ইচ্ছে ধরে নি এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে হয়েছে।”
__” এরিক নূরে বুকে জড়িয়ে শীতল গলায় বললো ‘ ইটস ওকে নূর, আমি বেশী উগ্র হয়ে গিয়েছিলাম।”
___” বেশ কিছুক্ষণ পর নূর এরিকে ছেড়ে দিলো। এরিক নূরের দু’গালে হাত রেখে মুগ্ধ গলায় বললো ‘ আজ খুবই সুন্দর লাগছে তোমাকে।”
___” লজ্জাই নূর মাথা নিচু করে মুচকি হেঁসে উঠলো।”
___” এরিক দুষ্ট গলায় বললো ‘তোমার প্রশংসা করলাম তার বিনিময়ে কিছু পাওয়া দরকার!”
___” নূর সহজ স্বাভাবিক গলায় মাথা তুলে বললো ‘ কি?”
___” এরিক নূরের কানের ফিসফিস করে বললো ‘ আমার ঠোঁটের উপরে রাজত্ব চাই, সবসময় আমার থেকে নাও এইবার তোমার পালা।”
___” নূর হচকিয়ে এরিকের দু’হাত থেকে নিজেকে ছাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করলো।এরিক চোখ ছোট ছোট করে নূরের লাফালাফি দেখছে। নূর কতক্ষণ পর হয়রান হয়ে ঠোঁট উলটিয়ে চুপসে দাঁড়িয়ে রইলো।
___” এরিক ভ্রু নাচিয়ে বললো ‘ শক্তি শেষ? ”
___” নূর কাচুমাচু গলায় বললো ‘ এরিক সবাই বাইরে অনেক মজা করছে চলো আমরা যায়।”
___” এরিক আস্তে করে তার হাতের বাঁধন হালকা করে বললো ‘ তুমি যাও,আমি আসছি।”
___” নূর অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।”
___” এরিক নূরের এক গালে আদুরী হাত রেখে বললো ‘ কি হলো যাও আমার একটা ফোনকল করা বাকী আছে আমি আসছি।”
___” নূর হ্যাঁ বোধক মাথা দুলিয়ে গুটি গুটি পায়ে সামনে দিকে এগিয়ে গেলো।এরিক হেনাকে কল ব্যাক করলো সকাল থেকে এই মেয়ে মাথা খারাপ করে দিচ্ছে ফোন দিয়ে দিয়ে। এরিক ফোন কানে দেওয়ার সাথে সাথে কেউ একজন ছুটে এসে তার ঠোঁটে চুম্মু নামক আক্রমন করে বসলো। এরিকের হাত থেকে শব্দ করে ফোনটা ফ্লোরে পড়ে গেলো সে ধাক্কা সামলানোর জন্য দেয়াল ধরে ফেললো।
সেকেন্ড যাওয়ার পর এরিক বুঝতে পারলো এটা আর কেউ না তারই নূর
এরিকও সমান তাল নূরের ঠোঁট নিজের রাজত্ব নিয়ে নিলো। নূরের শাড়ির ভিতরে হাত ডুকে তাকে আরো কাছে টেনে নিলো এরিক।”
___” নূরের চোখ বন্ধ কিন্তু এরিক তার চোখ হালকা খোলার সাথে সাথে দেখলো হেনা ফোন ধরেছে এরিক চট করে তার ফোনের উপরে পা দিয়ে দিলো। তার পায়ে অতি দামী হাইকিং বুট পরা যার ফলস্বরূপ খ্যাটখ্যাট আওয়াজ করে ফোনটা ফেটে গেলো।”
___”এরিক তার শীতল হাত নূরের গলায় স্পর্শ করলো, নূরের যেনো হৃদপিণ্ড বন্ধ হওয়ার জোগাড় হলো, এরিকের এক একটা স্পর্শে আজ বুঝি তার মরন হবে!”
___”এরিক আস্তে করে নূরকে আবারও হাত আদর করতে গেলে নূর সটাৎ এরিকের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরিক মুচকি হেঁসে শক্ত করে চেপে ধরে বুকের সাথে মিশিয়ে রেখেছে তার নূর কে।”
___”নূর এরিকের বুক থেকে মাথা উঠিয়ে এরিকের কানে ফিসফিস করে বললো ‘ আই লাভ ইউ টু এরিক গ্লোবাল।”
___” এরিক দারুন করে হেঁসে উঠলো শব্দহীন ভাবে।”
___” নূর আস্তে করে এরিকের দিকে তাকালো এতো সুন্দর ভাবে যে একটা ছেলে হাসতে পারে তা নূরের জানা নেই।
নূর তার পায়ের তালু খাঁড়া করে এরিকের ঠোঁটে আবার আলতো ঠোঁট ছুঁয়ে দিলো।লজ্জা নূর নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো এইবার কি হয়েছিলো এতোক্ষণ এই গুলো!”
___”এরিক নূরের কপালে একটা আদর দিয়ে বললো ‘ চলে সবাই অপেক্ষা করছে।”
___” এরিক আর নূর বাইরে এসে দেখলো সবাই রঙ নিয়ে মাখামাখি করছে। এভি ছুটে এসে বললো ‘ তোমাদের মধ্যে সব ঠিক হলো?”
___” নূর কিছু বলার আগে এভি দুষ্ট হেঁসে নূর কে ফিসফিস করে বললো ‘ হেই নির তোমার সাজগোজের এই অবস্থা কেন?”
___” নূর লজ্জাই এভিকে জড়িয়ে ধরলো। এরিক তার দু’হাত দু’পকেটে দিয়ে এক পেশে হেঁসে দাঁড়িয়ে নূরের লজ্জা মাখা চেহেরা দেখতে লাগলো।”
__” জেন রঙ নিয়ে এসে বললো ‘ নির(নূর) তুমি এরিকে রঙ লাগিয়ে দাও।”
__”নূর ভালোমত সব রঙ দেখে মস্করা সুরে বললো ‘ কালো রঙ নেই! জেন আমার মনে হয় ঐ রঙ লাগালে কালো রঙ লাগাবে।”
__এভি জেন একজন আরেক জনের দিকে তাকিয়ে শব্দ করে হেঁসে দিলো।
এরিক চোখ ছোট ছোট করে নূরের দিকে তাকিয়ে বললো ‘ এক্সকিউজ মী!”
__নূর ফিক করে হেঁসে দিলো।সবাই রঙ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে নূর তার ইন্ডিয়ান বন্ধুদের কাছে ছুটে চলে গেলো। নূর চারিদিকে তাকিয়ে দেখলো ড্রেকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না তার মন টায় খারাপ হয়ে গেলো। হঠাৎ তার কিছু ইন্ডিয়ান বন্ধু তাকে গান নাচের স্টেজে নিয়ে গেলো টেনে।
__”নূর অবাক হয়ে বললো ‘ তোমরা আমাকে এখানে কেন আনলে?”
__” সুস্মিতা এক গাল হেঁসে বললো ‘ কারন তুমি এখন আমাদের সাথে নাচবে।”
__” নূর ছুটে চলে যাওয়ার আগে বললো ‘ নো নো আমার পক্ষে সম্ভব না।”
__” প্রিয়া নূরের হাত চট করে ধরে পেলে দুঃখী গলায় বললো ‘ তুমি যদি এখন আমাদের সাথে নাচ না করো আমরা মনে করবো আমাদের ধর্ম আলাদা দেখে এমন করছো।”
__” নূরের আহত চোখে তাকিয়ে বললো ‘
তোমরা আমাকে এতো খারাপ ভেবো না আমি বাংলাদেশে নাচতাম ঠিক আছে কিন্তু আমেরিকানদের সামনে আমার কেমন জেনো লাগছে।”
__” পূজা নাছোড়বান্দা মতো করে বললো ‘ আমরা কোনো কথা শুনছি না তোমাকে নাচতে হবে আমাদের সাথে।”
__” নূর মুচকি হেঁসে ছোট্ট করে বললো ‘ ঠিল আছে।”
__নূর তার শাড়ির আঁচল কোমরে বেঁধে বললো ‘ লেটস স্টাট গা।”
__প্রিয়া দৌড়ে গিয়ে গান স্টাট করলো।
Itna maza, kyun aa raha hai
Tune hawa mein bhaang milaya
Dugna nasha, kyun ho raha hai
Aankhon se meetha tune khilaya
{আপুরা ভাইয়ারা পরের লাইন গুলো নিজ দায়িত্বে শুনে নিয়েন}
__নূরদের নাচ করতে দেখে রিন রেন ও ছুটে নাচতে চলে গেলো, এরিক মুচকি হেঁসে দু-হাত গুটিয়ে তাকিয়ে রইলো তার নূরের দিকে।
__” জেন হঠাৎ বলে উঠলো ‘ ওয়াও অনেক সেক্সি লাগছে নির(নূর)কে তাইনা এরিক!”
__এরিক আর এভি চট করে জেনের দিকে তাকালো। জেন স্টেজ থেকে চোখ সরিয়ে দেখলো এরিক চোখ ছোট ছোট করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। জেন একটু হাসার চেষ্টা করে পাশে তাকিয়ে দেখলো এভি কোমরে হাত রেখে তার দিকে কপাল কুঁচকে তাকিয়ে আছে।
__জেন অপরাধী গলায় বললো ‘ আ- আমি বলছিলাম এরিক অনেক ভাগ্যবান নির(নূর) আসলে অনেক চমৎকার একটা মেয়ে।”
__এভি আর এরিক শব্দ করে হেঁসে দিলো। জেন একটা বড় নিঃশ্বাস নিয়ে বললো ‘ উপপ তোমরা আমাকে ভয় পাইয়ে দিলে।”
__এরিক হাসার মধ্যে লক্ষ করলো তাদের ভার্সিটির আমেরিকান একটা ছেলে নূরের নগ্ন পেট চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে। নূরদের নাচ এতো সুন্দর হচ্ছিল সব এশিয়ান রা ছুটে স্টেজে উঠে গেলো। নূরের নাচের মাঝখান দিয়ে কেউ একজন এসে এক টান মেরে তাকে বুকে নিয়ে নিলো। নূর তাকিয়ে দেখলো সে আর কেউ না তারই এরিক। এরিক এক হাত দিয়ে নূরের গাল থেকে নামতে নামতে গলা পর্যন্ত রঙ লাগিয়ে দিলো। নূর এরিকের বুকে সাথে লেপ্টে চোখ বন্ধ করে কাঁপা শরীরে দাঁড়িয়ে রইলো। এরিক আরেক হাত দিয়ে নূরের নগ্ন পেটে সাইল্ড করে শাড়ির বাঁধা আঁচল খুলে দিলো। নূর এমন একটি স্পর্শে থমকে গিয়ে পরে যেতে ধরার আগে এরিক তাকে টান দিয়ে বুকে নিয়ে নিলো, নূর তাজ্জব হয়ে চোরা চোখে চারিদিকে তাকালো। হঠাৎ কিছু ছবি তোলার আওয়াজে নূর চট করে এরিকে ছেড়ে দিলো।
__” নূর এরিক তাকিয়ে দেখলো এভি এক গাল হেঁসে ওদের ছবি তুলছে।
__” এরিক কপাল কুঁচকে বললো ‘ এভি এই গুলো কি হচ্ছে?”
__” এভি আগের বজায় রেখে বললো’ তোমাদের দুজনের রোমাঞ্চকর কিছু মূহুর্তের ছবি।”
__নূর লজ্জাই দৌড়ে অন্য দিকে চলে গেলো।
__”মি. মারলেন বসে আছে মি. হোকার নামক ভয়ংকর ভ্যাম্পয়ারের সামনে তার হাতে একটা হাজার বছরের পুরানো একটা বই। গোল্ডেন কালারের কারুকাজে আসাধারন একটি বই যার উপরে লিখা দ্যা ব্রোঞ্জ।
__”মি. মারলেন চিন্তিত স্বরে বললো ‘ মি. হোকার আমি কবে আমার ব্রোঞ্জ পাবো?”
__মি হোকার কিঞ্চিৎ কপাল কুঁচকে বললো ‘আরো কয়েকদিন তোমাকে ধৈর্য ধরতে হবে।”
__”মি. মারলেন উত্তেজিত কন্ঠে বললো’ আর কত আমি সে পাঁচশত বছর থেকে এই ব্রোঞ্জের আশায় আছি। আপনি ভালো করে জানেন এটা জন্য আমি কত কি করলাম।”
__”মি. হোকার বললো ‘ শান্ত হও তুমি মারলেন আমি জানি এটা জন্য তুমি তোমার বাবা কে খুন করেছিলে তোমার স্ত্রী কে খুন করেছিলে।”
__মি. মারলেন রাগে নিশপিশ করে বললো ‘ হ্যাঁ হ্যাঁ করেছি খুন। কিন্তু লাভ কি হলো! সে ব্রোঞ্জ টা ঘুরে ফিরে ঐ ভ্যাম্পায়ার শিকারী দের দিয়ে গেছে।
আশ্চর্য ছিলো আমার বাবা সে ভ্যাম্পায়ার হয়ে ভ্যাম্পায়ার শিকারীদের বেশি বিশ্বাস করতো।”
__” মি. হোকার প্রশ্ন চোখে বললো ‘ মারলেন তোমার কি মনে হয় এরিক যদি জেনে যায় তার গ্যান্ডপা আর তার মা কে ভ্যাম্পায়ার শিকারী না তুমি মেরেছো ঐ জীবনেও তোমাকে ঔ ব্রোঞ্জ এনে দিবে না।”
__” মি. মারলেন আশ্বাস ভরা গলায় বললো ‘ না জানবে না। কারন এটা কেউ জানে না,শুধু তুমি আর আমি ছাড়া। এরিকে আমি কখনোই জানতে দিবো না।”
__” মি. হোকার বললো ‘ যদি তোমাকে ব্রোঞ্জ এনে দেওয়ার পর সে জেনে যায় তোমার থেকে ব্রোঞ্জ নিতে কিন্তু ওর বেশি সময় লাগবে না।”
__” মি. মারলেন বাঁকা হেঁসে বললো ‘ তুমি কি আমাকে এতো কাঁচা খেলোয়াড় মনে করো?”
__” মি. হোকার বিষ্ময় গলায় বললো ‘ কি ঘুরছে তোমার মাথায়?”
__” মি. মারলেন লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে পৈশাচিক হেঁসে বললো ‘ তেমন কিছুই না খুবই সাধারণ জিনিস আমার ব্রোঞ্জ এরিক ফিরিয়ে আনলে আমি আমার বংশের সবাই কে মেরে ফেলবো। কারন ঐ ব্রোঞ্জ শুধু আমার। ওটা দিয়ে আমি সর্বশক্তি শালী হবো।”
__” মি. হোকার যেনো বেলকি খেলে তিনি হতবুদ্ধি গলায় বললো ‘ তাই তুমি তোমার ছেলে কেও মেরে ফেলবে!”
__” মি. মারলেন উচ্চ স্বরে হাসতে হাসতে বললো ‘ হ্যাঁ মেরে ফেলবো। এরিকের হাতে ও ভ্যাম্পায়ার শিকারী বংশ ধ্বংস হবে আর আমার হাতে আমার বংশ।”
__”এরিক নূর কে বাসায় পৌঁছে দিলো।
__”নূর ভিতরে ডুকতে মিসেস ফিউ বললো ‘তোর মা আমাকে ফোন দিয়েছে সে জেনে গেছে তুই আমার কাছে।”
__”নূর শান্ত দৃষ্টিতে মিসেস ফিউ দিকে তাকিয়ে সামনে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেলো। সে একটা হট শাওয়ার নিয়ে ছোট্ট একটা টপ আর একটা টাউজার পরে বারান্দায় এসে নীল কে কল দিলো।”
__নীল মুগ্ধ চোখে দেখছে নূর কে আজ কাল খুবই সুন্দর লাগে তার নূর কে।
__” নূর শীতল গলায় নীল কে উদ্দেশ্য করে বললো ‘ নীল মা আমার কথা কীভাবে জানলো?”
__” নীল অপরাধী গলায় বললো ‘ সে এয়ারপোর্টে গিয়ে সব জেনে গেছে স্যরি নূর আমি কিছু করতে পারলাম না।”
__” নূর ভাঙা গলায় বললো ‘ হেই নীল আই এম স্যরি আমি তোমাকে এতো বড় বিপদে পেলে চলে এসেছিলাম। তারপরেও তোর থেকে জবাবদিহি নিচ্ছি!”
__” নূর হু হু করে শব্দ করে কেঁদে দিলো।
__”নীল প্রায় দিশেহারা হয়ে বললো ‘ ও নূর মাই জান কেন কান্না করছিস! একটা গুড নিউজ শুনবি?আমি কয়েকদিন পর তোর কাছে চলে আসছি।”
__নূর কান্নার ভিতরে চট করে হেঁসে উঠে বললো ‘সত্যি নীল!”
__”নীল হ্যাাঁ বোধক মাথা দুলালো।
__” নূর লজ্জা মাখা মুখে বললো ‘ নীল তোকে আমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার আছে আমি একজন কে!”
__”নূর তার কথা শেষ করতে পারলো না তার আগে এরিক বাতাসের বেগে নূরের বারান্দায় এসে দাঁড়ালো।”
__নীল উদ্বিগ্ন দৃষ্টিতে বললো ‘ কি হলো নূর বল?”
__” নূর তড়িঘড়ি করে ফোন কাটার আগে বললো ‘ নীল আমি তোর সাথে পরে কথা বলছি।”
__”এরিক এক দৃষ্টিতে নূর কে দেখছে কি যে সুন্দর লাগছে তার নূর কে।
__” নূর ফিসফিস গলায় অবাক হয়ে বললো ‘ এরিক তুমি এখন এখানে!”
__”এরিকের যেনো ঘোর লেগে গেলো সে ছুটে গিয়ে নূরের ঠোঁট তার দখলে নিয়ে নিলো,নূর টাল সামলানোর জন্য এরিকে আঁকড়ে ধরলো। এরিক নূরকে চট করে পাঁজ কোলে নিয়ে ঝড়ের বেগে বেডে নিয়ে গেলো। মুহুর্তে এরিক নূরের টপ উপরে উঠাতে গেলে নূরের হুস আসলো। এতোক্ষণ যেনো সে নিজে অন্য জগতে ছিলো,সে মৃদু ধাক্কা দিয়ে এরিক সরিয়ে বললো’ ইটস নট রাইট এরিক।”
__”এরিক দম ধরে নূরের দিকে তাকিয়ে রইলো, তার চোখ মুখে প্রশ্ন।
__’আই নো তোমাদের দেশে এটা খুবই নরমাল কিন্তু বিয়ের আগে আমার পক্ষে এইগুলো করা সম্ভব না বলে হু হু করে কেঁদে দিলো নূর।”
__”এরিক এক টান মেরে নূর কে তার বুকে নিয়ে নিলো নূর কাঁদছে এরিকের বুকে,এরিক তো জানে না এরিকের এইররম করাতে তার বাংলাদেশের ঐ বিষাক্ত রাতের কথা মনে উঠে গিয়েছিলো।”
__”এরিক নূরের দু-গালে হাত রেখে কাতর গলায় বললো ‘ আই এম স্যরি নূর আমার বুঝা উচিত ছিলো তুমি এশিয়ান আই এম স্যরি।”
__”এরিক নূর কে তার বুকে সাথে চেপে ধরলো নূর বিড়াল ছানার মত এরিকের বুকের সাথে লেপ্টে আছে। এরিক কিছুক্ষণ নূর কে ডাকলো কিন্তু নূর শুধু হুম হুম করলো। বেশ সময় পর এরিক নূরের হুম হুম করার কারন আবিষ্কার করলো। সে এরিকের বুকে ঘুমিয়ে গিয়েছে আর ঘুমের মধ্যে যে কেউ ডাকলে হুম হুম করার নূরের একটা অভ্যাস।
__” এরিক মুচকি হেঁসে বললো ‘ আসলে একটা স্লিপিং কুইন আমার।”
__” হঠাৎ ধোঁয়াশা ভাবে এভির ডাক’ এরিক তুমি কি আমাকে শুনতে পাচ্ছো যেখানে আছো আমার সাথে এই মূহুর্তে দেখা করো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে তোমার সাথে।”
__” এরিক চোখ বন্ধ করে ব্রেন কানেকশন ভাবে বললো ‘ আই এম কামিং।”
__”এরিক আলতো করে নূরের কপালে আদর দিয়ে তাকে বেডে শুয়ে দিলো,তারপর কম্বল টেনে দিয়ে এরিক ছুটে বের হয়ে গেলো।
__” এভি সামনে এসে এরিক বললো ‘ এভি হঠাৎ আমাকে এতো জরুরি তলব?”
__”এভি হতবিহ্বল গলায় বললো ‘ আমাকে একটু আগে আংকেল মারলেন বলে গেছে কয়েকদিন পর তোমার আর হেনার বিয়ের ফাংশন শুরু করবে।”
__” এরিক শান্ত দৃষ্টিতে এভির দিকে তাকিয়ে আছে কারন এমন কথা শুনার জন্য সে রেডি ছিল।”
__” জেন বললো ‘ এরিক আমার মনে হয় তোমার আংকেল মারলেন কে নূরের কথা বলা উচিত যে তুমি হেনা কে বিয়ে করতে পারবে না।”
__” এরিক শক্ত গলায় বললো ‘ না আমি এটা করতে পারবো না।”
__” জেন চমকে বললো ‘ তাহলে কি তুমি নির(নূর)কে ছেড়ে দিবে?”
__” এরিক আরো কঠোর গলায় বললো ‘ না আমি আমার নূরকেও ছাড়বো না,কারন ড্যাড আমাকে বলছে আমার জন্ম নাকি হয়েছে আমাদের শত্রু থেকে ব্রোঞ্জ ফিরিয়ে আনতে তাই আমি এটা করতে পারবো না।”
__” এভি কাঠ গলায় বললো ‘ তাহলে তো তোমাকে নির(নূর) কে ছাড়তে হবে।”
__” এরিক নাছোড়বান্দা মতো বললো ‘ না আমি সেটা জীবনেও করবো না,আমার নূর কে চাই।”
__” এভি জেন একজন আরেকজনের মুখ চাওয়াচাওয়ি করে একসাথে বললো’ মানে!”
__” এরিক দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বললো ‘ মানে টা খুবই সহজ আমার নূর কেও চাই ব্রোঞ্জ ও চাই।”
__” জেন বুদ্ধিহীন গলায় বললো ‘ এরিক তুমি কি মনে করো তুমি নূরের পরিবার মেরে ফেলবে আর ঐ তোমার কাছে থাকবে!”
__” এরিক শীতল কিন্তু আদেশ সুরে বললো ‘ হুম থাকবে ওকে, থাকতে হবে কারন সে শুধু আমার,এই এরিক গ্লোবালের।”
__” জেন বললো ‘ এরিক তুমি ভালো করে জানো তুমি কোনো নারী সাথে স্হায়ী সম্পর্ক রাখতে পারবে না,তাহলে কেমনে কি করবে!”
__” এভি বললো ‘ এটার উপায় আমার কাছে আছে কিন্তু খুবই বিপদজনক।”
__” এরিক উৎসুক গলায় বললো ‘ আমাকে বলো যেমনি হক আমি তা করতে রাজি।”
__” এভি বললো ‘কাল কালো রাত যেটা পিউর ভ্যাম্পায়ার দের রাত হয়ে থাকে।
ঐ রাতে তুমি যে মানুষ কে নিজের করে সারাজীবনের জন্য পেতে চাও তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে।”
__” এরিকের উৎসাহ চেহেরায় দপ করে কালো অন্ধকার নেমে আসলো।”
__” জেন হাসিজ্জ্যেল চেহেরায় বললো ‘ এরিক এটা তো খুবই সহজ।”
__” এরিক আহত গলায় বললো ‘ কিন্তু আমার জন্য এটা সহজ না,কারন নূর বিয়ের আগে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্কে যাবে না।”
__” এভি ছোট্ট নিঃশ্বাস নিয়ে বললো ‘ আমি সে জন্য বললাম বিপদজনক কারন আমি খবর পেয়েছি নূরের বাবা বিয়ের ব্যাপারে খুবই ধার্মিক ছিলো।”
__”এরিক চুপ মেরে রইলো,তাহলে তার নূর কে হারাতে হবে!”
__” হঠাৎ জেন বললো ‘ আমার কাছে একটা বুদ্ধি আছে।”
__” এভি আর এরিক চট করে জেনের দিকে তাকালে।”
__” নূর চিন্তিত স্বরে বললো ‘ এরিক তুমি হঠাৎ আমাকে এখানে কেন ডাকলে?”
__” এরিক শান্ত গলায় বললো’ এখানে মানুষ কেন আসে?”
__” নূর চারিদিকে তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো ‘বি-বিয়ে করতে!”
__” এরিক শীতল কন্ঠে বললো ‘ হ্যাঁ আমরা সেটাই করতে আসলাম।”
__” নূরকে যেনো কেউ বৈদ্যুতিক শক দিলো, সে অবাক দৃষ্টিতে এরিকের দিকে তাকিয়ে রইলো তার মুখ থেকে কোনো কথা বের হচ্ছে না।
__”এরিক নূরের দু-গাল হাত রেখে বললো’ আমাকে বিশ্বাস হয় না নূর?”
__” নূর ভয়াতুর মুখে বললো ‘ কিন্তু হঠাৎ আজকেই আমরা কেউকে জানাই পর্যন্ত নেই, এইভাবে বিয়ে হয় নাকি!”
__” এরিক বললো ‘ আমরা উপর বিশ্বাস আছে কি না বলো?”
__”নূর জোরে জোরে মাথা দুলালো।__”এরিক বললো ‘ তাহলে প্লীজ আর কোনো কথা আমাকে জিজ্ঞেস করো না।”
__হঠাৎ এভি এসে নূরের সামনে একটি কাগজ ধরলো, নূর অবাক হয়ে তাকালো।এভি চোখ দিয়ে ইশারা করলো কাগজটি পড়ার জন্য।নূর কাগজ টি হাতে নিয়ে সেকেন্ডের মধ্যে যেনো মূর্তি হয়ে গেলো।এরিক মুসলিম হয়েছে তার জন্য!আর তার নতুন নাম এরিক মুত্তাকী।নূর চট করে এরিকে দিকে তাকালো।এরিক হাসছে কি যে সুন্দর করে।”
__” নূর অস্পষ্ট স্বরে বললো ‘ মুত্তাকী!”
__” এরিক মাথা চুলকিয়ে হাসলো আবারও। নূর চট করে এরিকে জড়িয়ে ধরলো, বেশ কিছুক্ষণ পর তারা একজন আরেকজনকে ছাড়লো। নূরের মুখে হাসির ঝলল, না এরিকে বিশ্বাস করা যায় যে তার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে পারে, ধর্মকে শ্রদ্ধা করতে পারে সে খারাপ হতে পারেনা,কখনোই না।”
__এভি জেন উপস্থিতিতে এরিক আর নূরের বিয়ে সম্পূর্ণ হয়ে গেলো ইসলাম ধর্মের নিয়মে তাতে সাক্ষী হিসেব থাকলো নূরের এক মামা যে এইখানে তাকে আর খুবই ভালোবাসে নূরকে, তাকে ফোন করে ডেকেছিলো নূর সাথে সাথে সে এসে উপস্থিত হয়ে গেলো।
__”এভি নূরের কপালে চুম্মু খেয়ে বললো’ আজ থেকে দু’জনের উপরে সব অধিকার দু’জনের আর কোনো চিন্তা নেই তোমাদের।”
__”এরিক নূরের কানে কানে ফিসফিস করে বললো ‘তোমার ফুফু কে জানিয়ে দিবে কয়েকদিনের জন্য তুমি তোমার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাচ্ছো। তুমি বাসায় গিয়ে কাপড় চোপড় নিবে এভি গিয়ে তোমাকে নিয়ে আসবে।”
__”নূর অবাক হয়ে বলো ‘কেনো!”
__” এরিক মুচকি হেঁসে বললো ‘ কেনো পরে জানবে আগে বাসায় যাও।”
__” নূর মাথা দুলালো,নূরের মামা যার নাম মিজানুর তিনি নূরকে শুভ কামনা দিয়ে আদর করে বিদায় নিলো।
__”এরিকের কেউ না জানা সে সমুদ্রের পাড়ে মহল আসলো নূর আর এরিক।”
__”নূরের হাতে একটি ব্যাগ যা এই মাত্র এভি তাকে দিয়ে গিয়েছে।এরিক বাইরে গিয়েছে কারন জেন তার সাথে কিছু নেকড়ে নিয়ে কথা বলতে এসেছে। কিছুক্ষণ পর এভি আর জেন বিদায় নিলো এরিক থেকে। এরিক মহলের ভিতরে ডুকে দেখলো কোথাও নূর নেই সে তার বেড রুমে গিয়ে দেখলো তার ওয়াশরুম থেকে টুকটাক শব্দ আসছে সে বড় একটা নিঃশ্বাস নিলো।”
__”এরিক তার শার্টের কয়েকটা বোতাম খুলার সাথে সাথে ওয়াশরুমের দরজা খোলার আওয়াজে পিছনে থাকালো।এরিক যেনো নিজের জায়গায় জমে গেছে এটা সে কি দেখছে!”
__”অতি ক্ষুদ্র একটি লাল কালারে পেন্সিল ড্রেস পরেছে নূর চুল গুলো ছেড়ে দিয়েছে মুখে কোনো মেকআপের ছোঁয়া নেই এক দৃষ্টিতে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে সে।
__”এরিক খেয়াল করলো নূর এক হাত দিয়ে তার অন্য হাত মুচড়াছে আবার ড্রেস বারবার নিচের দিকে টানছে,এরিক এক পেশে হেঁসে উঠলো সে বুঝছে এই বুদ্ধি এভির। এরিক আস্তে করে তা পুরো শার্ট খুলে ছুড়ে পেলে দিলো। নূর ঠকঠক করে কাঁপছে। এরিক এক ঝটকা মেরে নূর কে কোলে নিয়ে নিলো। নূর চোখ বন্ধ করে এরিকের গলা খামছে ধরে আছে আস্তে আস্তে সে নূর কে এগিয়ে গেলো তাদের সুখের সন্ধানে।”
__”সকাল বেলা এরিকের বুকের সাথে মিশে ঘুমিয়ে আছে নূর এরিক এক দৃষ্টিতে নূর কে দেখছে।মিটমিট করে নূর তার চোখ খুলছে। এরিক মুচকি হেঁসে নূরের ঠোঁটে চুম্মু খেয়ে বললো ‘ গুড মর্নিং মাই স্লিপিং কুইন।”
__”নূর মুচকি হেঁসে এরিকে জড়িয়ে ধরলো,জায়গায় টা খুবই বরফ হীম শহর।
তাই দিনের বেলা সমুদ্রের থেকে মাছ ধরা বালুতে ছুটাছুটি করা রাত হলে এরিক,নূর ভালোবাসার সাগরে ডুব দিতো এইসব করে এরিক আর নূরের চমৎকার ভাবে দিন যেতো। হাসি তামাশা খুনসুটিতে পাঁচ দিন কেটে গেলো। নূরের খুবই মন খারাপ লাগছে কত ভালোবাসা দিন গেলো তাদের জোর করে করে সে এরিকে মানুষদের খাবার খাওয়াতো এরিক নাক ছিটকে তা পেলে দিতো। রান্না করতে গেলে এরিক সারাটা সময় পিছন থেকে নূরের ঘাড়ে তার নাক ডুবিয়ে রাখতো তার জন্য নূর কম ঝগড়া করে নি, কিন্তু লাভ কিছু হতো না এরিক নিজের মত চালিয়ে যেতো যার ফলস্বরূপ নূর কে পোড়া তরকারি খেতে হতো।”
__”নূর কাঁদছে এরিক নূরের কপালে চুম্মু দিয়ে বললো ‘ আমাকে একটু সময় দাও আমি সারাজীবনের জন্য তোমাকে আমার করে নিয়ে আসবো।”
__” নূর এরিকের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লো তার কেন যেনো খুবই ভয় হচ্ছে সব ঠিক থাকবে তো!

চলবে

(নূর ভক্তরা টিসু নিয়ে বসে যান আর নীল ভক্তরা খুশি হয়ে যান আপনাদের নীল আমেরিকায় আসছে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here