স্বচ্ছ_প্রণয়াসক্ত #পর্ব_৭ #লেখিকা_মুসফিরাত_জান্নাত

#স্বচ্ছ_প্রণয়াসক্ত
#পর্ব_৭
#লেখিকা_মুসফিরাত_জান্নাত

পশ্চিম অন্তরীক্ষে মেহেদী রঙের ছটা খেলা করছে তখনও।স্বল্প সময়ের ব্যবধানেই ঢলে পড়বে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে।এই সময়ে সবচেয়ে ব্যস্ত দেখা যায় বন্য পাখিদের দলকে।দল বেধে পাখা ঝাপটে নীড়ে ফিরতে ব্যস্ত তারা।অপরদিকে নিজেদের ব্যাগপত্র নিয়ে গাড়ি থেকে নামতে ব্যস্ত সকল ছাত্র ছাত্রী।একদিনের শিক্ষা সফর জন্য শহর থেকে খুব বেশি দূরের জায়গা নির্বাচিত করা হয় নি।তাই ঘন্টা খানেকের ব্যবধানেই কলেজ মাঠে এসে পৌঁছায় তারা।এখন নির্দেশ পেয়ে যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে পথ ধরেছে।কয়েকটি গ্রুপের লিডার বাদে অন্য সবাই প্রস্থান করেছে।নমুনা সহ সংরক্ষণ করা তথ্যের লিষ্টটা ঐশীর কাছে।তার বন্ধু মহলে সবাই যখন বাড়ি ফিরতে ব্যস্ত সিন্থিয়াকে ডাক দেয় ঐশী।করুন সুরে বলে,

“আজকের দিনটাই ধকলময় গেলো দোস্ত।তোর ভাই এমন গাধার মতো খাটিয়েছে আমাকে।গায়ে এক ফোঁটা শক্তিও অবশিষ্ট নেই।তোর বিটকেল ভাইকে এই নমুনা ও তথ্যগুলো বুঝে দিস।আমি চললাম।”

শিক্ষা সফরের ব্যবস্থাপনার দ্বায়িত্ব নিজের হাতে থাকায় শেষ বেলায় সিন্থিয়াকে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলো সাদাত।খুশি মনে সকালে যাত্রা শুরু করলেও ভাইয়ের কড়া শাসনের যাতাকলে আর সবার মতোই চ্যাপ্টা হয়ে গিয়েছে সে।অবসন্ন মনে জবাবে সে বলে,

“মাফ কর ভাই, বাড়ি যামু আমি।সারাদিনের প্রেশারে এমনি চ্যাপ্টা হয়ে গিয়েছি,এখন এইসব টানলে একেবাড়ে ভর্তা হয়ে যামু।তারচেয়ে তোর দ্বায়িত্ব তুই পালন কর।আমি ওই খাটাসের দ্বারে যাইতাম না।”

পাল্টা উত্তরে কিছু একটা বলতে চায় ঐশী।কিন্তু তাকে দ্বিরুক্তি করার সুযোগ দেয় না সিন্থিয়া।উল্টো দিকে পা বাড়িয়ে তড়িঘড়ি করে জায়গা ত্যাগ করে।এখানে থাকলেই সাতপাঁচ বুঝ দিয়ে তার হাতে দ্বায়িত্বের ডিব্বা বুঝিয়ে দিবে ঐশী।এমনেই মেজাজ চটে আছে তার।এরপর যদি সাদাতের সামনে এসব নিয়ে হাজির হয়,ভাইয়ের নিরামিষ মার্কা মুখ দেখেই তুলকালাম লাগিয়ে ফেলবে সে।ফলস্বরূপ এতোদিন লুকিয়ে রাখা নিজেদের ভাই বোনের সম্পর্কটা স্টুডেন্টরা জেনে যাবে।তখন শাস্তি ভোগ করতে হবে তাকে। গেইটের কাছে পৌঁছে একটা রিকশা ধরে চলে যায় সিন্থিয়া।অন্য সবাই কলেজ ত্যাগ করেছে।শুধু রয়ে গেছে গুটি কয়েক লিডার ও টিচার্স রা।

নিজের দ্বায়িত্ব পালন করতে টিচার্স রুমে যায় ঐশী।গুটি গুটি পা মেলে দরজায় দাঁড়িয়ে উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করে ভিতরে কে কে আছে।সাদাতের সাথে আরও একটা স্যারকে দেখে স্বস্তি পায় ঐশী।আপন কাজে ব্যস্ত সাদাত।মিন মিন স্বরে অনুমতি চেয়ে বলে,

“স্যার ভিতরে আসতে পারি?”

নিজের কাজে মগ্ন থেকেই অনুমতি দেয় সাদাত।

“জ্বী আসেন।”

ধীর পায়ে সাদাতের কাছে গিয়ে দাঁড়ায় ঐশী। নিঃশব্দে হাতের কাগজটা এগিয়ে দিয়ে বলে,

“স্যার তখন যেই চার্টটা করিয়েছিলেন।দেখেন তো সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা?”

সাদাত চোখ তুলে গভীর দৃষ্টিতে তাকায় ঐশীর দিকে।হাত থেকে চার্টটা নিয়ে নির্লিপ্ত ভাবে পর্যবেক্ষণ করে।ডেস্কের উপর রাখা লেভেলকৃত নমুনাগুলোতেও চোখ বুলিয়ে দেখে নেয়।এর মাঝে রুমে যে স্যারটা ছিলো সাদাতের থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।পুরোটাই নিরবে লক্ষ্য করে ঐশী।বাহিরে প্রতিক্রিয়া শূন্য থাকলেও ভিতরে ভিতরে অস্বস্তি হয় তার।সবকিছু ভালোভাবে পর্যবেক্ষন শেষে গম্ভীর কন্ঠে সাদাত বলে,

“হুম সব ঠিক আছে।”

ঐশী গোপনে একটা ছোট্ট নিশ্বাস ফেলে।নেতিয়ে যাওয়া গলায় বলে,

“তাহলে আমি এখন চলে গেলাম স্যার?”

সাদাত কিছু না বলে নির্লিপ্ত নয়নে তাকিয়ে থাকে ঐশীর পাণে।এতে বেশ অস্বস্তি হয় ঐশীর।মাথা নুইয়ে ফেলে সে।মানুষটার সামনে আসলেই রাজ্যের অস্বস্তি ভর করে তার মাঝে।আগের দেওয়া বিখ্যাত অভিশাপ গুলোও ভুলে বসে।শুরু হয় ভিতরের কম্পন।আগে তো এমন হতো না।এখন কেনো এতো জড়তা কাজ করে কে জানে?

কিছু সময় নিভৃতেই অতিবাহিত হয়।নিরবতার অবকাশ দিয়ে সাদাত বলে,

“মাগরিবের আযান পড়ে গিয়েছে।কলেজও জনশূন্য।এই সময় একা বাড়ি ফেরা সেফ হবে না।তুমি গাড়িতে গিয়ে বসো।আমি নামিয়ে দিচ্ছি।”

কথাটা কর্ণ স্পর্শ করতেই ভড়কে যায় ঐশী।হাত কচলাতে থাকে।অস্ফূটস্বরে বলে,

“তার প্রয়োজন নেই।আমি রিকশা ধরেই ফিরতে পারবো।অভ্যেস আছে আমার।”

সাদাত রাগী স্বরে বলে,

“তোমার মতামত জানতে চাইনি আমি।আদেশ দিয়েছি শুধু।ভুলে যেও না আমি তোমার টিচার।”

ঐশী পুনরায় মানা করে বলে,

“শুধু শুধু কষ্ট করা লাগবে না।আমি সত্যিই যেতে পারবো।”

কঠোর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তাকায় সাদাত।তার দৃঢ় চাহনির নিকট হেরে যায় ঐশী।সাদাতের আচরণে প্রচুর অবাক হলো সে।মাথা হেলিয়ে ছোট ছোট পা ফেলে এগিয়ে গেলো পার্কিং স্পটে।সেদিকে তাকিয়ে হাঁফ ছাড়ে সাদাত।হাতে থাকা কাজটা দ্রুতই সমাপ্তি টানে সে।অতঃপর কলেজের পিওনকে ডাক দিয়ে সব নমুনা ল্যাবে সংরক্ষণ করার কথা বলে বেরিয়ে পড়ে।

_______
সরু রাস্তার শেষ মোড় পাড় হতেই প্রশস্ত রাস্তার দেখা মেলে।গাড়ির গতি বাড়ায় অল্প মাত্রায়।মৃদু পবনের প্রবাহ গা স্পর্শ করতেই শীত অনুভব করে ঐশী।গাড়ির কাচ সম্পূর্ণ রুপে নামানো বলে সম্পূর্ণ হিম প্রবাহ নিংড়ে গা ছুঁয়ে দেয় তার।গাড়ির কাচ উঠিয়ে ফেলে সে।একটু উষ্ণ অনুভুত হয়।পুরো গাড়ি জুড়ে নিরাবতার নিরবচ্ছিন্ন পর্দা আটা।কিছু প্রহর নিরবে কেটে যায়।আড়চোখে ঐশীকে একবার দেখে সাদাত।ক্লান্ত বদনেও কতো স্নিগ্ধ মেয়েটি।হটাৎ কিছু একটা মনে পড়ে সাদাতের। গম্ভীর কণ্ঠে সে জিজ্ঞেস করে,

“তোমরা সবসময় আমাকে এতো অভিশাপ দেও কেনো?”

প্রশ্নটা কর্ণগোচর হতেই ভড়কে যায় ঐশী।হৃৎপিন্ড লাফিয়ে ওঠে দ্রুত।চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে আসতে চায়।ভয়ে বুক ধুকপুক করে।লোকটা তাহলে তাদের সেদিনের সব কথা শুনে ফেলেছে?এখন কি বলবে সে?কিছু সময় আমতা আমতা করে ঐশী।ইতস্তত করে বলে,

“আপনার কঠোরতার জন্য ডিপার্টমেন্টের কম বেশি সবাই ভয় পায় আপনাকে।তাই হয়তো এসব বলে।”

“ভয় পেয়েই যদি এতো অভিশাপ দেয়।ভয় না পেলে কি করতো আল্লাহ মালুম।ফাজিলের দল সব।”

কিছুটা রাগ ঝেড়ে কথাগুলো বলে সাদাত।ভয়ে চোখমুখ খিঁচে ফেলে ঐশী। মনে মনে বলে,

“অভিশাপ দিলেই বা কি?সব তো এসে বর্তায় সেই আমার উপরেই।”

অথচ মুখে কোনো রা করে না।নিরাবতার পর্দা ঘিরে ধরে তাদের মাঝে।এভাবেই কিছু প্রহর কেটে যায়।

ড্রাইভ করার ফাঁকে এক পলক ঐশীর দিকে তাকায় সাদাত।আচমকা তার মনে হয় ঐশী খানিকটা অস্বস্তি বোধ করছে।কেমন কাচুমাচু করছে মেয়েটি।মনে হচ্ছে সুযোগ পেলেই এক ছুটে পালিয়ে যাবে।বিষ্মিত হয় না সাদাত।এটা ঐশীর অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে।মন্থর কন্ঠে রয়েসয়ে সে বলে,

“আমি মানুষটা কি ভীষণ খারাপ যে আমার সান্নিধ্যে এতো উশখুশ করো তুমি?কারণে অকারণে এভাবে পালিয়ে বেড়াও কেনো?”

কথাটা কানে এসে পৌঁছাতেই অবাক হয় ঐশী।ঘাড় ঘুরিয়ে সাদাতের পানে তাকায়।সাদাতের দৃষ্টি তখন সামনের দিকে পতিত।দেহভঙ্গিমা অমায়িক।হটাৎ এমন প্রশ্নের মানে ঠাহর করতে পারে না ঐশী।পরক্ষণেই মনে হয় বিয়ের পর থেকে সাদাতকে সতর্কতার সহিত এড়িয়ে চলার ব্যাপারটা হয়তো নোটিশ করেছে সে।আড়ষ্ট হয় ঐশী।মনে মনে বলে,

“আপনার সান্নিধ্যে আমার কি যেনো হয় স্যার।অস্বস্তিতে দম বন্ধ হয়ে আসে।লজ্জারা আচমকাই হানা দেয়।আমি স্বাভাবিক থাকতে পারি না। একটুও থাকতে পারি না।এজন্যই তো আপনার থেকে পালানোর বাহানা খুঁজি।”

সাদাত তখনো উত্তর শোনার অপেক্ষায়।ঐশীর দিকে এক পলক তাকায় সে।মুখ ঘুরিয়ে জানালার দিকে চেয়ে আছে ঐশী।যার দরুন বোঝা যাচ্ছে না মেয়েটির অভিব্যক্তি কি।কিছু সময় পর সাদাত আবারও শুধায়,

“তাহলে কি আমি ধরেই নিব আমি মানুষটা প্রচন্ড খারাপ?”

সাদাতের এমন প্রশ্নে থতমত খায় ঐশী।ভ্রু কুঁচকে পাল্টা প্রশ্নে শুধায়,

“এমনটা ধরার কারণ?”

“এইযে আমার প্রথম প্রশ্নের জবাবে তুমি নিরব।নিরবতা তো সম্মতির লক্ষণ।”

কোনো ভণিতা ছাড়াই জবাব দেয় সাদাত।কি যেন হয় ঐশীর।আনমনে জবাব দেয়,

“নিরাবতা মাঝে মাঝে অসম্মতির লক্ষণ ও হয়।”

কথাটা বলে ঐশী বিমূঢ়তায় মুখের খেই হারিয়ে ফেলে।বেখেয়ালে এটা কি বললো সে।বিষয়টা ঠিক কিভাবে নিবে সাদাত?একটু পরেই তার ভাবনাকে সত্যি প্রমাণ করে স্মিত হাসে সাদাত।স্নিগ্ধ কন্ঠে বলে,

“তারমানে আমি ধরতেই পারি আমি তোমার প্রিয় কেও।”

ঐশী এইবার আরও বিব্রত বোধ করে।এক প্রকার বিষম খেলো সে।ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে সাদাতের পাণে।এই মুহুর্তে কি বললো লোকটা?লোকটি তার প্রিয় কেও?আসলেই কি সে তার প্রিয়?উত্তর খুঁজলে দ্বিধায় পড়ে যায় ঐশী।কিছুদিন পূর্বেও বিনা ভাবনায় যাকে অপছন্দের শীর্ষে স্থান দিয়েছে, এই মুহুর্তে লোকটিকে অপছন্দ করে বলতেও বুক কাঁপে।

সাদাত এক পলক ঐশীর দিকে তাকিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে নিলো।ঠোঁটের কোনে তার প্রশস্ত হাসির রেখা।যা অবাক করে দিচ্ছে ঐশীকে।কলেজ লাইফের দেড় বছর সাদাতকে হাসতে দেখেনি সে।সর্বদা গম্ভীর্যের চাদরে আবৃত থাকাই তার প্রিয় ভূষণ।অথচ লোকটাকে বেশ প্রাণবন্ত মনে হচ্ছে এখন।এটা যেন পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য।অন্য সবার মতো সেও ধরে নিয়েছিলো সাদাত হাসতে জানে না।তবে আজকে তা ভুল প্রমাণিত হলো।কিছু প্রহর এভাবেই কেটে গেলে।হটাৎ গাড়ি থামালো সাদাত।ঐশী তখনও তার দিকে তাকিয়ে।নিজেকে ধাতস্থ করে সাদাত বললো,

“তোমার বাসার সামনে এসে পড়েছি আমরা।নামো।”

ঐশী আনমনে শুধু বললো, “হুম।”

তখনও তার খেয়াল সাদাতের মুখশ্রীতে নিবদ্ধ।হাস্যজ্জ্বল মুখ তার।আচমকা ঐশীর মনে হয় হাসলে সাদাতকে অসম্ভব সুন্দর দেখায়।আনমনেই সে বলে,

“সবসময় এতো গম্ভীর থাকেন কেনো আপনি?হাসলে তো আপনাকে অমায়িক লাগে।”

কথাটি বলেই তটস্থ হলো ঐশী।আজ কি হয়েছে তার?এতো বেখেয়াল হচ্ছে কেনো সে?হুটহাট অযাচিত কথা বলে লজ্জায় পতিত হচ্ছে শুধু।সরু চোখে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করলো কথাটি পুরুষটি শুনতে পেলো কিনা? আসলেই সে শুনতে পেলো কি?শুনলো হয়তো।ঠোঁটের কোণ প্রশস্ত হলো তার।কণ্ঠে নোশালো ভঙ্গিমা এনে বললো,

“আমার হাসিতে যদি কেও সত্যি মায়া খুঁজে পায়, আই শোয়ের সকল গম্ভীর্যতা ভুলে যাবো আমি।”

লজ্জায় নুইয়ে যায় ঐশী।আড়ষ্টতায় অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে ফেলে সে।লজ্জাবতীর লতার ন্যায় গুটিয়ে যাওয়া মায়াবতীকে দেখে যায় সাদাত। নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে হাসে সে।সকল গম্ভীর্যতা যেনো নিপাত গিয়েছে আজ।একটু এগিয়ে ঐশীর সিটবেল্ট খুলে দেয়।অসতর্কভাবে ঐশীর কোমড়ে স্পর্শ লাগে।ঈষৎ কেঁপে ওঠে মেয়েটি। দ্রুত সড়ে আসে সাদাত।ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে তার সর্বনাশী লজ্জায় চোখ মুখ খিঁচে রয়েছে।যা দেখে মনের অজান্তেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় সে।শাণিত কন্ঠে বলে,

“এভাবে বসে থাকলে বাড়ি ফেরা হবে না আমার।”

সম্বিৎ ফিরে ঐশীর।লালাভ আভা জমে তার টোল পড়া মেদুর গালে।নতমুখে সে ছোট্ট করে বলে,

“আসি।”

নিজের ব্যাগ চেপে গাড়ি থেকে নেমে পড়ে সে।
ভুল করেও পিছু ফিরে তাকায় না আর।পিছু ফিরলেই যেনো তার সর্বনাশ হয়ে যাবে।কঠিন সর্বনাশ।যেচে কেই বা নিজের সর্বনাশ ডেকে আনে?গাড়ির স্বচ্ছ চকচকে কাচ ভেদ করে এই দৃশ্য দেখে সাদাত।মনের ভেতর অজানা এক ঢেউ খেলে যায়।যা পূর্বে কখনো অনুভব করেনি সে।অজানা এক ভালোলাগায় হারিয়ে যায় অজানায়।নিজের ব্যক্তিগত নারীর লজ্জায় সব পুরুষই কি এভাবে হারায়?

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here