#সুখ_পাখি #Ayrah_Rahman #part:–10

#সুখ_পাখি
#Ayrah_Rahman
#part:–10

তেমনি একদিন,,,,

আরু নোট আনতে দিশা দের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো,

আরুদের বাড়ি থেকে ১০-১৫ মিনিট হাঁটলেই দিশাদের বাড়ি,,

আরু সোজা হাঁটা শুরু করলো হঠাৎ পেছন থেকে কোন একটা বা’চ্চার কন্ঠ শুনতে পেলো,,
মনে হচ্ছে বাচ্চা টি আরুকেই ডাকছে,,
আরু পিছনে ফিরে দেখে নবাব দাড়িয়ে,,
তবে পড়ানো শার্ট টা ময়লা নয় খুব ভালো একটা পোশাকে সে দাড়িয়ে আছে,,

নবাব ধীর পায়ে আরুর সামনে এসে দাড়ায়,,

আরুঃ- কিরে,,বাচ্চা তোর নাম টা জেনো কি ছিলো?

নবাব ঃ– আরে ভাবি আপনি আমার নাম টাই ভুলে গেলেন,,আমার নাম নবাব গো নবাব,,

আরুঃ- ওহ হ্যা মনে পড়েছে,,তো নবাব কেমন আছিস?

নবাব ঃ– আপনার দয়ায় ভালই আছি..

আরুঃ- আমার দয়ায় মানে? আমি তো তোকে আজ কত দিন পরে দেখলাম ই আমার দয়ায় কিভাবে ভালো থাকবি?

নবাবঃ– সেটা আপনার বুঝতে হবে না ভাবি,,জানেন ভাবি ভাই না আমাকে স্কুলে ভর্তি করাইছে,,নতুন নতুন জামা কাপড় কিন্না দিছে,,ভাই না অনেক ভালা,,ভাই আপনারে অনেনক ভালো বাসে,,

আরুঃ- ভাই?এই ভাই টা কে?

নবাব ঃ– এটা তো বলা যাবে না,,ভাই য়ের মানা আছে,,

আরুঃ- বল না নবাব এই ভাইটা কে? যদি বলিস আমি তোকে আরু নতুন জামা কিনে দিবো,,

নবাব ঃ– আমি যদি না বলি ভাই আমাকে আরো বেশি জামা কাপড় কিন্না দিবে,,

আইজকা আসি ভাবি আর ভাই আপনারে এই চিঠি ডা দিতে কইছে,,

( পকেট থেকে একটা চিঠি বের করে আরু হাতে দিয়ে নবার ভৌ দৌড়)

আরু চিঠিটা নিয়ে খানিক সময় দাঁড়িয়ে নিজেও দিশা দের বাড়ি যায়,,

দিয়াদের বাড়ির ক্রলিং বেল বাজার খানিক পরে দিশার মা এসে দরজা খুলে,,

আরু ঃ- আসসালামু আলাইকুম মামনি,,,

দিশার মা ঃ- ওয়ালাইকুম সালাম বাচ্চা,, কেমন আছিস?

আরুঃ- আমি তো বিন্দাজ আছি,,তোমার কি খবর?

দিশার মা ঃ- আমিও ভালো,,আয় ভেতরে আয়,,
আরুঃ- হুম চলো,,তোমার কাল নাগিনী মাইয়া কই গো?

দিশার মা ঃ- দিশা তো ঘুমাচ্ছে,, যা গিয়ে দেখ,,

আরুঃ- আরররে এতো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি,,

এতো দিন তুই আমার ঘুমের ১২ টা বাজাইছোস আজ তোর ঘুমের আমি ১৪ টা বাজামু,,,

আ’ম কামিং..
মনে মনে কথাটা বলেই আরু দিশার রুমের দিকে এগুই,,

দিশার রুমোর মাঝে আরু উকি মেরে দেখে দিশা উল্টো হয়ে ঘুমি য়ে আছে,,আরু পা টিপে টিপে দিশার কাছে যায়,,

দিশার পাশে বসে ওর মুখের দিকে তাকিয়েই আরুর মাথায় শয়তানির ভুত চাপে,,

ড্রেসিং টেবিল থেকে একটা লিপস্টিক নিয়ে দিশার সারা মুখে মেখে দেয়,, মানে জোকার সাজানোর বৃথা চেষ্টা,,

আরু কাজ শেষ করে দিশার কিছু ছবি তুলে নিয়ে নেয়,,

হঠাৎ দিশার ঘুম ভেঙ্গে যায়,,সামনে আরুকে দেখতে পেয়ে সে উঠে বসে,,

দিশাঃ- কিরে আরু এসময় তুই কি এখানে?

আরুঃ- এমনিই,, একটা নোট নিতে আসছি,,

দিশাঃ- কি নোট?

আরুঃ- ফিজিক্স ৩য় চাপ্টার

দিশাঃ- ওহ আচ্ছা,, বস দিচ্ছি

বলেই দিশা নোট বের করে আরোর হাতে দেয়,,
দিশার চোখ যায় আরুর হাতের ওই কাগজ টার দিকে,,

দিশাঃ- কিরে কি কাগজ নিয়ে ঘুরিস

আরুঃ- আরে আর বলিস না পথে নবাব এর সাথে দেখা হয়েছিল,, ওর ওই ভাই নাকি চিঠি দিসে,,

দিশাঃ- কই দেখি,,বলেই দিশা আরুর হাত থেকে চিঠি টা নিয়ে দেখতে শুরু করে,,,

_____________________

চিঠিতে লেখা…..

“””””” তোমাকে যখনই চেয়েছি
সত্তার অন্তরালে সংগোপনে
তখনই জেনেছি
আলো হয়ে আছো তুমি
………… আমার আঁধারে………”””

_____________

দিশাঃ- আরু এটা তো চিঠি না এটা একরা চিরকুট.

আরুঃ- হুুম সেটাই তো দেখছি,, বাট দিলো কে?

দিশাঃ- নবাব কে জিজ্ঞেস করিস নি?

আরুঃ- করেছি কিন্তু লাভ হয়নি,,ও কিছু বলে নি,,

দিশাঃ– তো আর কি করার,,আচ্ছা তুই বস আমি ফ্রেস হয়ে আসছি,,,

আরুঃ- হুম যা,,

দিশা বাথরুমে ঢুকে দরজা লাগিয়ে যেই না আয়নার দিকে তাকাই,,

এক চিৎকার দিয়ে আবার বের হয়ে যায়,,

আরুঃ- কিরে তোর আবার কি হলো?

দিশাঃ- আআ আমার মুখে!!

আরুঃ- কি তোর মুখে,,?

দিশা আর কিছু না বলে সোজা ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে দেখে তার সারা মুখে লিপস্টিক এ চটকানো,,

দিশা রাগী চোখে আরুর দিকে তাকায়,,

আরুকে আর পায় কে, এক দৌড়ে নিচে দিশাও ফ্রেস হয়ে নিচে আসে,

দিশা কে দেখে আরু মুখ টিপে হাসছে,
,দিশা আরুর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে মায়ের কাছে যায়,,

দিশাঃ- মা,, আমি আর আরু বাইরে গেলাম

দিশার মা ঃ- আরু তো কিছু খেলো না,,

দিশাঃ- খেতে হবে না,,গেলাম আমরা,,

বলেই দিশা আরুর হাত ধরে বাইরে বের করে আনে,,

দিশাঃ- ওই ফ*কিন্নি তুই আমার মুখে লিপস্টিক মাখছিস কেন( রাগী গলাই)

আরুঃ- কেন আবার তুই সবসময় আমার ঘুমের ১২ টা বাজাস আজ সুযোগে সৎ ব্যবহার করছি,,
হি হি

দিশাঃ- তাই না,,দাড়া তোর একদিন কি আমার

বলেই দিশা আরুকে দৌড়ানি দিলো

আরুও দৌড়,,
_________________

হঠাৎ……..

চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here