#সিনিয়র_মামাতো_বোনের_পেরা,পর্ব_০১
#লেখক_কাজী_সাদ_ইসলাম_যারিফ
আমার নাম শোয়েব হাসান। আমি কিছুই করি না। (আরে ভাই পড়াশোনা করি) আমি অনার্স ২য় বর্ষে পড়ি।
আমার বাবা মায়ের সন্তানদের মধ্যে আমি ফার্স্ট।
আমার দুই ছোট বোন আছে আরকি। একজনের নাম জান্নাত। সে ক্লাস ৬ এ পরে। আরেকজনের নামে সামিয়া। সে ক্লাস ৮ এ পরে।
আমাদের মধ্যে সবসময় মারামারি ঝগড়াঝাঁটি লেগে থাকে। যেমন আজকে সকালে।
– ভাইয়া তুমি কি মামাতো বোন আফসানার প্রেমে পড়েছ?
এমনিতেই আমার মামাতো বোন আমার সিনিয়র। তার উপরে রাগী। তার উপরে বাসায় এসেছে। তারও উপরে আমাদের সাথে একই রুমে বসে আছি।
এর মধ্যে এমন কথা বলতে বললি কেন? আমি আফসানার দিকে তাকালাম। ওরে বাপরে মুখে সেই রাগ। মুখটা যেনো আমাকে খেয়ে ফেলতে চাইছে
– কি বলছে ও? জান্নাত কি বলছে? কথা বলছিস না কেনো?
– না না আপু ওমন কিছু না। ও মজা করেছে আরকি।
– আর যেনো না শুনি।
আমি যেনো হাপ ছেড়ে বাঁচলাম। বাপরে বাপ। কি মেয়েরে বাবা! এই মেয়ের সাথে আমার প্রেম। জান্নাতের মাথা খারাপ?
– আমাকে চকোলেট দাও নইলে আরো বলবো।
– ওই হারা*মী তুই আমাকে ফাঁসিয়ে চকোলেট চাস? দ্বারা।
– পারলে ধর।
আমি ওর পিছনে লেগে গেলাম। সব শেষে কিন্তু আমাকে চকোলেট দিতেই হলো। এইটা দেখে সমিয়াও একই কাজ করলো। ধুরো জীবনটাই বেদনা।
আরেকদিন আমি গান গাচ্ছিলাম।
– তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচব না! তোমাকে আমার চাই চাই।
আর আমার ছোট বোন আমার মত শুর করে বললো
– আফসানা।
সাথে সাথে থাপ্পড় খেলো ও। আর আমিও। আমি ওকে দিলাম। আমার শুর নকল করে আফসানা বলার জন্য। আর আপু আমাকে দোষারোপ করে।
– কিরে তোকে বলি নাই? এইরকম না করতে? আর ওকে মারলি কেনো?
– আপু আমি গান গাচ্ছিলাম আর ও এইরকম করলো।
– ওহ আর যেনো না হয়। আমার তোকেই সন্দেহ লাগে। তুই কি…?
– না আপু উপরওয়ালার কসম।
– ওহ আচ্ছা।
ধীরে ধীরে আমিও আপুর ওপর ক্রাশ খেতে লাগলাম। আপুও কম সুন্দর না। আমার মনটা জানি কেমন কেমন করে।
আমি কিছুই বলি না এখন আমার বোনদের। প্রত্যেক দিন বোনদের চকলেট দেই। যাতে কিছু না বলে।
বাট কথায় আছে না? যতই সাবধানে থাকো যতই সিকিউরিটি রাখো কিছুই হবে না। তাই হলো।
আমার বোনেরা………….
#চলবে