শ্রাবণের_শেষ_সন্ধ্যা ১০ম_পর্ব

শ্রাবণের_শেষ_সন্ধ্যা
১০ম_পর্ব
মুশফিকা রহমান মৈথি

নবনীতাকে চুপ থাকতে দেখে শান্ত তুড়ি বাজায়। অবাক কন্ঠে বলে,
“কই হারায়ে গেলে? বলো, সেদিন কাউকে না নিয়ে একা একা কেনো গিয়েছিলে ওয়াশরুমে?”
“কে বলেছে একা গিয়েছিলাম? নীতি আপু আমার সাথেই ছিলেন।“

নবনীতার কথায় খানিকটা নড়ে চড়ে বসে শান্ত। তার যতদূর মনে পড়ছে নীতি তাদের সাথেই ছিলো যখন নবনীতাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। শান্ত নিশ্চিত হতে পুনরায় প্রশ্ন করে,
“নীতি, তোমার সাথে ছিলো?”
“মিথ্যে কথা কেনো বলবো, নীতি আপুই আমাকে ওয়াশরুমে নিয়ে যান। আমাদের ফ্লোরের ওয়াশরুমগুলো ব্লক ছিলো তাই নীতি আপুই আমাকে সেকেন্ড ফ্লোরে নিয়ে যান। আমি লিফট এবং এস্কেলেটর ভয় পাই। এস্কেলেটরে উঠতে ভয় হয়। এটা নীলয় বেশ ভালো করেই জানতো। আর ছোট বেলায় একবার লিফট এ আটকে যাই আমি। তাই একা কখনই লিফট ইউজ করি না। তাই নীতি আপু আমার সাথে গিয়েছিলো। কিন্তু আমি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে উনাকে পাই নি। নীতি আপুকে না পেয়ে আমি সিদ্ধান্ত নেই একা একাই দোকানটা খুজে নেবো। ওয়াশরুমের কাছে সে সিড়িটা ছিলো আমি সেটাই ব্যাবহার করি। আমি যখন সিড়িতে ছিলাম তখন আমার মনে হতে লাগে কেউ আমাকে ফলো করছে। কিন্তু পেছনে ফেরার আগেই সজোরে কেউ মাথায় আঘাত করে। আমার মনে হয় একটা কালো আস্তরণ আমার চোখের সামনে চলে এসেছে। আমি ব্লাকআউট হয়ে যাই।যখন সেন্স ফেরে তখন আমি আপনাদের সামনে ছিলাম। এটাই সেদিনের কাহিনী। মাঝে কি হয়েছে আমার মনে নেই। আমি জানি ও না।“

শান্ত দুহাত জড়ো করে তাতে থুতনি ঠেকিয়ে তাকিয়ে থাকে নবনীতার দিকে। নবনীতার বক্তব্যে কোনো জড়তা নেই। কিন্তু কোথাও একটা খটকা লাগছে। খটকাটার নাম নীতি। নীতি শান্তের ফুপাতো বোন। নীলয়ের একমাত্র বড় বোন। মেয়েটিকে শৈশবকাল থেকে দেখে আসছে শান্ত। সে কখনো মিথ্যে বলে না। নবনীতাকে যখন খুজে পাওয়া যাচ্ছিলো না তখন নীতি ই সর্বপ্রথম বলে
“নবনীতা তো ওয়াশরুমে গিয়েছিলো।“

কিন্তু যখন নীলয় চিন্তিত হচ্ছিলো নবনীতা পথ হারিয়ে ফেলেছে কি না, তখন নীতি ই বলেছিলো,
“এই ফ্লোরেই তো ওয়াশরুম আছে। ও হারিয়ে ফেলবে কেনো?”

অথচ নবনীতা বলছে নীতি তার সাথেই ছিলো। তাকে একা ফেলে সে উপরে চলে আসে। দুজন মানুষের দুটো ভিন্ন বক্তব্য। কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যে? আর নবনীতার মাথায় বা কে আঘাত করেছিলো? ওই সিড়িতে কোনো সিসি টিভি ও নেই। শুধু তাই নয় যেখান থেকে নবনীতাকে পাওয়া গিয়েছে, সেখানেও কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিলো না। শপিং মল কতৃপক্ষ অবশ্য বলেছে তারা সেদিনের নবনীতা সংক্রান্ত সকল ফুটেজ তাকে মেইল করে দিবে। ফুটেজ গুলো পেলে যদি এই গোলকধাধার কোনো অন্ত হয়! শান্ত নবনীতাকে মিথ্যেবাদী বলতে চাইছে না। একটা মেয়ে কখনোই নিজের সাথে হয়ে যাওয়া দুঃস্বপ্নময় সময়টাকে নিয়ে মিথ্যে বলবে না। আবার নীতি যে কি না তার আপন ফুপাতো বোন, সেও এমন কোনো কাজ করবে না যার জন্য অন্য কারোর ক্ষতি হয়। ব্যাপারটা এখন সাধারণ মনে হচ্ছে না শান্ত এর কাছে। না চাইতেও এক অজানা গোলকধাধায় জড়িয়ে গেছে সে, অজান্তেই এই প্রশ্নের চোড়াবালিতে একটু একটু করে ঢুবে যাচ্ছে সে। কিন্তু কেনো? কার জন্য? নবনীতার জন্য? যে মেয়েটিকে দুচোখে সহ্য হয় না, তার জন্য? হয়তো, হয়তো।

নবনীতা আগের মতো বসে রয়েছে। তার দৃষ্টি স্থির। পরণে এখনো সেই ভিজে যাওয়া, কর্দমাক্ত বেনারসি। সেই কাজলে লেপ্টে যাওয়া চোখ, শুকনো মুখটি এখনো অক্ষুন্ন। মেয়েটাকে এতোটা শান্ত বেশ বেমানান লাগে। শান্ত নবনীতার পানে চেয়ে শান্ত গলায় বলে,
“ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে যাও। এসব নিয়ে আগামীকাল কথা বলবো।“

নবনীতার কোনো ভ্রুক্ষেপ হলো না। সে কিছুক্ষণ মেঝের দিকে তাকিয়ে রইলো। কেনো যেনো সবকিছু বিতৃষ্ণা লাগছে। শান্ত এর রহস্য উম্মোচন তার মন্দ লাগার কথা নয়। কিন্তু সেই ঘটনাকে বারবার মনে করলে ঘা গুলো যেনো তাজা হচ্ছে। মনে হচ্ছে এও তার পচন ধরা অংশটা খুচাচ্ছে। খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে রক্তক্ষরণ করছে। অবচেতন মনের এক অংশ জানতে চাইছে সেদিন কি হয়েছিলো, কিন্তু মস্তিষ্ক বাঁধা দিচ্ছে। হয়তো ভয় পাচ্ছে। অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা জানতে চাইছে না সে। এটাই মানুষের মস্তিষ্কের এক দোষ, সে সুন্দর ঘটনা, মূহুর্তগুলোকে মনে রাখতে চায়, শুনতে চায়। তদ্রুব মস্তিষ্কের কুৎসিত জিনিস অপছন্দ। সে কুৎসিত মানুষকে পছন্দ করে না, কুৎসিত মূহুর্ত ভালোবাসে না। তাই তো তাকে চরম ভাবে নিষেধ করছে। নিষেধ করছে সেদিনের ঘটনা নিয়ে ঘাটতে। যদি এমন কোনো মূহুর্ত সামনে এসে পড়ে যা তার মস্তিষ্ক কল্পনাও করে নি, তবে নিজেকে সামলাতে পারবে না নবনীতা। বুক চিরে একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো তার। বরফ শীতল কন্ঠে বললো,
“মিস্টার শান্ত, এসব নিয়ে কথা না বললেই কি নয়?”

নবনীতার প্রশ্নে খানিকটা থমকে যায় শান্ত। অবাক কন্ঠে বলে,
“নবনীতা, তোমার জানতে ইচ্ছে করছে না সেদিন কি হয়েছিলো। কে তোমাকে আঘাত করেছিলো? কে তোমার শাড়ির আঁচল ছিড়ে ফেলেছিলো, কে তোমার সাথে অশ্লীল আচারণ করেছিলো?”

নবনীতা চুপ করে রইলো। তার ঠোঁট কাঁপছে, শরীরটা ঈষৎ নড়ে উঠলো। তার দৃষ্টিতে এক সূক্ষ্ণ অস্থিরতা উঁকি দিচ্ছে। শান্ত বুঝতে পারলো নবনীতার অস্বস্তি হচ্ছে। তাই কথাটা বেশি না আগানোই হয়তো ভালো হবে। এই তিনদিনে কম কিছু তো হয় নি তার সাথে। হয়তো একটু সময় দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। শান্ত তার ঠোঁটে হাসি প্রলেপ দিয়ে বললো,
“সমস্যা নেই, তুমি না চাইলে আমি ঘাটাবো না। ফ্রেশ হয়ে আসো।“

নবনীতা শান্তের দিকে তাকালো। শান্তের হাসিটা খুব অমায়িক, অসম্ভব সুন্দর। অতিসাধারণের মাঝেও অসাধারণ। পুরুষের হাসি সুন্দর হয় না কথাটা ভুল। যে এই কথাটা বলেছে সে হয়তো শান্তের হাসি দেখে নি। নবনীতার মনে হলো তার ভীরু হৃদয়ে এক অজানা উষ্ণতা কাজ করছে। বরফ শীতল কুঠরীতে এক চিলতে কুসুমপ্রভার উষ্ণ পরশ লাগছে। কিন্তু সেটা স্থায়ী হলো না, বিরক্তির লিস্টের উপরে অবস্থান করা মানুষের প্রশংসা করতে হয় না। এটা রুলস এর বাহিরে। তাই শান্ত থেকে দৃষ্টি সরিয়ে উঠে পড়লো দেরি না করে। তারপর তড়িৎ গতিতে ছুটলো ওয়াশরুমে। নিজের বেহায়াপনায় অবাক সে। কি দেখে ওই দাঁড়িওয়ালা হনুমানটার হাসি ভালো লেগেছে তার! নাহ! অতিশোকে পাগল হয়ে গিয়েছে সে। তাইতো এখন কুৎসিত জিনিস ও তার ভালো লাগছে।

মিনিট দশেক বাদে কাপড় ছেড়ে বেরিয়ে এলো নবনীতা। শান্ত তখন ঘুমে বিভোর। ঘরে খাট ব্যাতীত আরাম করার কোনো জায়গা নেই। তাই বেশ চিন্তায় পড়ে গেলো নবনীতা। ছোটবেলা থেকে একা রুমে থেকে অভ্যাস তার। ছোট হলেও রুম ছিলো তার একান্ত নিজের। একাই ছিলো তার রাজত্ব। কিন্তু এখন এক অপরিচিত মানুষের সাথে একটা বিছানা শেয়ার করতে হবে ভেবেই অস্বস্তি লাগছে। ঘুমের মাঝে শান্তকে লাথি টাথি মেরে বসলে আরেক কান্ড হবে। তখন বাধবে বিস্তর ঝামেলা। কিন্তু শরীর ও চলতে চাইছে তার সে একটু বিরাম দরকার। বেশ কিচ্ছুক্ষণ চললো এই টানাপোড়েন। অবশেষে ক্লান্ত নবনীতা সিদ্ধান্ত নিলো, সে ঘুমোবে। পরের টা নাহয় পরেই দেখা যাবে। তাই সকল অস্বস্তিকে ঝেড়ে শুয়ে পড়লো শান্তের পাশে। বিছানায় গা লাগাতেই তলিয়ে গেলো গভীর ঘুমে, যেনো কতো দিবস, কতো রজনী ঘুমায় নি সে_____________________

সোনালী উষ্ণ রোদের মেলা বসলো অন্দরমহলে। এক চিলতে উষ্ণ কোমল কিরণ অধর ছোয়ালো নবনীতার কপালে। পিটপিট করে চোখ খুললো সে। তার মনে হলো অত্যন্ত কঠিন কোন কিছুর উপর তার অবস্থান। ঘুমের রেশ কাটে নি, মস্তিষ্ক সজাগ হয় নি। গতকালের ক্লান্তির পর এতো গভীর ঘুম ছাপিয়ে আসবে দু চোখে এটা জানা ছিলো না। এখনো পাতাগুলো খুলতে চাইছে না। কিন্তু একি ফজরের নামায কাজা গেছে। এখন না উঠলে জোহরের নামাযটাও যাবে। তাই খুব কষ্টে মাথা তুললো নবনীতা। ঠিক তখন ই কানে এলো,
“অবশেষে মহারানী ভিক্টোরিয়ার ঘুম ভাঙ্গলো?”

কন্ঠ কানে যেতেই মাথা ঘোরালো নবনীতা। তার ঠিক মাথার কাছে শান্তের মুখশ্রীর। চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে সে। এবার নিজের অবস্থানটা লক্ষ্য করলো নবনীতা। সে এতোক্ষণ শান্তের প্রশস্থ বুকের উপর ভোস ভোস করে ঘুমাচ্ছিলো। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে তড়িৎ গতিতে লাফিয়ে উঠলো সে। ছিটকে খাটের অপরকোনায় চলে যায় নবনীতা। শান্ত শোয়া থেকে উঠে, আড়মোড়া দিয়ে বুকে হাত দেয় সে। তারপর বলে,
“যাক পাথর নেমে গেলো। উফফ আমার বুকটা ব্যাথা হয়ে গিয়েছে। তা তোমার কি লজ্জা নেই নাকি? এভাবে ঘুমের মধ্যে কাউকে জড়িয়ে ধরতে হয়?“

শান্তের ঠেস দেওয়া কথা শুনলেই গা পিত্তি জ্বলে উঠে নবনীতার। তার ভাব দেখে মনে হচ্ছে নবনীতার মাথাটা একশ টনের কোনো পাথর। আর ঘুমের মাঝে তাকে জড়িয়ে ধরে সে কোনো গভীর পাপ করে ফেলেছে। সেও দমে যাবার পাত্রী নয়। ঝাঁঝালো কন্ঠে বললো,
“সামান্য মাথা রাখাতে আপনার বুক কি ফুটো হয়ে গেছে নাকি? এতো ভাব নেবার কি আছে?”
“বাহ রে, একটা অবলা ছেলের বুকের উপর দিব্ব্যি তো ঘুমাচ্ছিলে। এখন আমি মোলেস্টেশনের কেস করবো? আমিও তো বলতে পারি তুমি আমার ঘুমের ফয়দা নিচ্ছিলে।“
“আজিব তো! আমার একা শুয়ে অভ্যেস। তাই ঘুমের মধ্যে আপনার আছে চলে এসেছি। এতে এতো বাড়াবাড়ি করা কি আছে?”
“ওহ! আমি করলে বাড়াবাড়ি। আর সেদিন বাসে যে তুমি আমাকে থাপ্পড় মেরেছিলে, সেটা?”

এবার শান্তের আচারণের কারণটা বুঝতে পারে সে। শান্ত সেদিনের বাসের ঘটনার বদলা তুলছে। তাই এতো রঙ্গ। নবনীতা তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলে,
“আমি কি ক্ষমা চাই নি? আমি তো সরি বলেছিলাম নাকি?”
“জুতো মেরে গরু দান করলে কি আদৌ তা দান হয়?”
“এবার আপনি কিন্তু মাত্রা ছাড়াচ্ছেন!”
“তাই বুঝি, বেশ অভ্যাস করে নেও। এই মাত্রাহীন লোকটির সাথেই তোমাকে থাকতে হবে।“

বলেই ওয়াশরুমে চলে গেলো শান্ত। নবনীতার ইচ্ছে হলো খাটের পাশের ল্যাম্পটা ছুড়ে মাথাটাই ভেঙ্গে দেবে এই বিরক্তিকর মানুষটার। কিন্তু সেটা করলে জেলের ভাত খেতে হবে তাকে। তাই নিজেকে সংযত করলো সে। মনে মনে বললো,
“খুব সুন্দর লাগছিলো না হাসি? এবার বোঝ ঠেলা। যতসব।“
__________________________________________________________________________

ডাইনিং রুমে জড়ো হয়েছে সকলে। আজ দুপুরে সকল আত্নীয়দের দাওয়াত দিয়েছেন হেনা বেগম। তার বউমাকে দেখে যাবে তারা, যেও সবাইকে দেখাতে চায় তার ছেলের বউ কতোটা চমৎকার হয়েছে। এর মাঝেই আগমণ ঘটে শান্ত এবং নবনীতায়। নবনীতা সালাম দেয় হেনা বেগমকে। হেনা বেগম বলেন,
“এখানে এসে বসো নবনীতা।“

নবনীতান শ্বাশুড়ীর পাশে বসলে তিনি বলেন,
“আজ দুপুরে সবাই আসবে। আমি প্রিয়া আর নীতিকেও আসতে বলেছি। যত হোক আমার পরিবার। তোমার এতে আপত্তি আছে নবনীতা?”
“জ্বী না।“
“বেশ।“

নবনীতার মুখে না বললেও মনটা খচখচ করছে। সম্পর্কের নাম পাল্টালেও মানুষগুলো একই রয়ে গেছে। এজন্য অস্বস্তিটা ঘন হচ্ছে। এদিকে শান্তের মন খানিকটা প্রফুল্লিত। এই ফাঁকে নীতিকে জেরা করার সুযোগ পাবে সে। নবনীতা না চাইলেও কেনো যেনো ব্যাপারটা মাথা থেকে ঝাড়তে পারছে না শান্ত। নীতির সাথে কথাটা বলাটা তাই অতি জরুরী।

দুপুর দুটা,
দুপুরে হেনা বেগমের সকল আত্নীয়রা জড়ো হয়েছে। জড়ো হয়েছে শান্ত এর সব কাজিনরা। কিন্তু তাদের মধ্যে আমেজটা নেই। অন্য সময় হলে দীপু খোঁচাখোচি করতো শান্তকে। যদি স্বাভাবিক ভাবে বিয়েটা হতো তাহলে হয়তো এই অনুষ্ঠানটা বেশ আড়ম্বরতার সাথেই হতো। সবার অবস্থা খারাপ হলেও নীতির অবস্থাটা যেনো একটু বেশি খারাপ। যে মেয়েটি তার ভাইয়ের বউ হবার কথা ছিলো এখন সে শান্তের বউ। এজন্য সে ঠিক মত কথা ও বলতে পারছে না নবনীতার সাথে। খানিকটা লজ্জাও করছে। এর মাঝেই শান্ত এসে দাঁড়ায় তার কাছে। ফাঁক বুঝে কথাটা পাড়ে সে,
“মাইন্ড না করলে একটা কথা বলবো?”
“হ্যা, বল। মাইন্ডের কি আছে?”
“আচ্ছা সেদিন তুই নবনীতাকে ওয়াশরুমে একা ফেলে কেনো চলে এলি?”

শান্তের প্রশ্নে চমকে যায় নীতি। অবাক কণ্ঠে বলে,
“আমি তো ওর সাথে যাই ই নি তাহলে……………

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here