শুভ্র_রঙের_প্রেম পর্বঃ০৮

#শুভ্র_রঙের_প্রেম
পর্বঃ০৮
#রুবাইদা_হৃদি
ল্যাবের কোণায় কোণায় অন্ধকারে মোড়া৷ সামনে ব্যাক্তি আমার হাত ধরে দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন৷ ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে ৷ মুখ দিয়ে একটা শব্দ উচ্চারণ করতে গিয়েও পারছি না৷ সামনে থাকা মানুষটা গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন৷ আমি হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে কাঁপা গলায় বললাম,

–‘ আ-আমার হাত ছাড়ুন?? আর কে আপনি?? ‘

–‘ কেন চিনতে পারো না আমায়?? ‘ শীতল কন্ঠে বলতেই আমি অন্ধকারে উনার মুখের দিকে তাকাই৷ চেনা স্পর্শ আবার অচেনা ৷ আমি ঝাঝালো কন্ঠে আবার বললাম,

–‘ না চিনতে পারি না৷ আর এইটা কী ধরণের অসভ্যতা?? ছাড়ুন আমাকে নাহলে চিৎকার করবো আমি৷ ‘

–‘ শাড়ির ফাঁকে পেট বের করে রাখা এইটা বুঝি সভ্যতা?? ‘

বাধান ছাড়া হাতে পেটের বা পাশে নিতেই বুঝতে পারি পিন খুলে গেছে ওখানের ৷ আমি কম্পিত চোখে তাকাতেই আমার হাত তার হাতের মুঠোয় নিয়ে অনেকগুলো সেফটিপিন ধরিয়ে শক্ত গলায় বললেন, ‘ তুমি কোথাও যাওয়ার আগে এইগুলো যেন তার আগে যায়৷ শাড়ি দরকার হলে পরবে না ৷ না না ওয়েট ওয়েট, শাড়ি পরবে কিন্তু আরো আবরণ করে৷ ‘

–‘ আমার ইচ্ছা আমার সব৷ আপনার কোনো অধিকার নেই ছাড়ুন আমায় যেতে দিন৷ ‘

আমার হাতে তার হাত আরো শক্ত করে ধরে রাগী কন্ঠে বললেন,

–‘ তোমার ইচ্ছা গুলো এখন আমার আর সেই ইচ্ছা প্রতিফলন করার সকল অধিকার আমার৷ ‘

–‘ আমার কোনো ইচ্ছা নেই এইবার হয়েছে?? আপনাকে আমি চিনতে পারি একবার তারপর দেখুন,,’

আমার হাতে থেকে পিন নিয়ে নিজেই খোলা অংশটুকু কভার করে দিলেন৷ শীতল স্পর্শে কেঁপে উঠলাম সাথে তীব্র রাগ হলো৷ উনার কত বড় সাহস ভাবতেই রাগে খোলা হাতে ধাক্কা দিতেই উনি আরো সামনে এসে দাঁড়ান৷ আঁচল উঠিয়ে নিজের মুখ মুছে বললেন, ‘ সামনে যেদিন আসবো অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকবে, ভালোবাসার প্রহর গুণবে! সেই দিনটা আসলে তুমি শক্ত হাতে জড়িয়ে ধরবে৷ ‘

–‘ কখনোই না৷ আমি সিউর আপনি স্নিগ্ধ স্যার?? ‘
–‘ যদি বলি,হ্যাঁ! ‘
_____________

নীতির তীব্র ধাক্কানোতে চোখ-মুখ কুঁচকে উঠে বসি৷ হাত মুখের উপর রেখে বিরক্ত কন্ঠে বললাম, ‘ কি হয়েছে দাঁড় কাকের মতো চেচাচ্ছিস কেন?? ‘
আমার কথায় ও কপালে গলায় হাত দিয়ে ভয় পাওয়া সুরে বলল,
–‘ তোর তীব্র জ্বর আগে বলিস নি কেন?? ‘

–‘ আ’ম ফাইন নীতি জ্বর ফর আবার কবে আসলো আজব??’

–‘ রহিমা খালা যে বললেন,জ্বরের ঘোর জ্ঞান হারিয়েছিস তুই..! ‘

নীতির কথায় চোখ কপালে আমার৷ আমি ল্যাবে ছিলাম রুমে কি করে আসলাম?? আর আমার সামনে দাঁড়ানো ব্যাক্তি স্নিগ্ধ স্যার ছিলেন যতদূর মনে পরে ৷ হঠাৎ করেই, নাকে তীব্র একটা ঝাঁঝালো গন্ধ এসে লাগতেই নিজেকে শূন্য মনে হতে থাকে তারপর অন্ধকার আরো ঝাপিয়ে নেমে আসে চোখ জুড়ে৷ তারপর?? তারপর?? আর কিছুই মনে করতে পারছি না ৷ বাইরে তাকিয়ে দেখলাম সাঝ বেলা ৷ সূর্যের কোনো তেজ নেই হালকা কুয়াশার চাঁদরে চারদিক সাদা আবরণে ঢেকে গেছে ৷ আমি শুকনো গলায় অস্থির হয়ে বললাম,
–‘ আমি ল্যাবে ছিলাম! রুমে কিভাবে আসলাম?? ‘

নীতি থার্মোমিটার এনে আমার পাশে বসে অবাক হয়ে বলল,
–‘ তুই রুমেই ছিলি ৷ ‘
–‘ সত্যি বলছি দোস্ত, আমি ল্যাবে ছিলাম আর আমার সামনে..! ‘ এইটুকু বলেই থেমে গেলাম৷ মনে করার চেষ্টা করেই চুপ হয়ে গেলাম ৷ আমাকে চুপ থাকতে দেখে নীতি জ্বর মেপে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলল,
–‘ স্বাভাবিক তো! রহিমা খালা মিথ্যা কেন বলল?? ‘

–‘ আমি কি ভাবে জানবো?? আর রুমে এসেছি কখন সেটাই তো জানি না৷ ‘

নীতি ভয় পাওয়া চাহনিতে তাকিয়ে বলল,

–‘ ভুতের ব্যাপার৷ তোকে জ্বীনে মেবি রুমে এসে দিয়ে গেছে৷ ‘
আমি মাথা ধরে বসে ওর দিকে তাকিয়ে আছি৷ শীতল কন্ঠে সমস্ত আবছা ঘটনা খুলে বলতেই ও আমার দিকে বড়বড় চোখে করে তাকিয়ে আছে৷ আমার পাশ ঘেষে বসে বলল,
–‘ মিশন রহিমা খালা৷ নির্ঘাত মিথ্যা বলেছে ৷ উনি নাকি নিজে দেখেছেন তোর জ্বরে শরীর পুড়ে যাচ্ছে৷ ‘
–‘ রেস্টুরেন্টের ঘটনার পর থেকে আজব সব জিনিস ঘটে যাচ্ছে আমার সাথে৷ আর সব কিছুর মূলে আমি সিউর স্নিগ্ধ স্যার৷ তবে উনি বিবাহিত হয়ে থাকলে এমন করার মানে কি?? ‘

–‘ হয়তো উনি বিয়েই করেন নি! তোকে মিথ্যা বলেছেন৷ আমি সিউর উনি তোকে ভালোবাসেন৷ ‘

আমি বিষ্ময় নিয়ে তাকালাম তারপর নীতির খুলে রাখা চুল গুলো টেনে দিয়ে বললাম, ‘ তোর মাথা! উনি থাপ্পড়ের প্রতিশোধ টেনশন দিয়ে নিচ্ছেন৷ এইসব ধোঁয়াশার মধ্যে রেখে সেমিস্টারের রেজাল্ট খারাপ করাতে চাইছেন যাতে ভিসি আমাকে দৌড়ানি দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়৷ ‘ আমার কথা শুনে কিছু একটা ভেবে নীতি বলল,

–‘ এইভাবে বলিস না দোস্ত! কতো কিউট একটা স্যার আর তোর কত যত্ন নেয় জানিস?? রহিমা খালাকে তোর জ্ঞান হারানোর কথা উনিই বলে….!’

–‘ মানে কি নীতি?? তারমানে সব ক্লিয়ার ল্যাবে উনিই ছিলেন বুঝতে পারছিস?? সেই আমাকে রুমে নিয়ে এসেছেন৷ ‘

–‘ হাও রোম্যান্টিক ইয়ার! নিশ্চয়ই তোকে কোলে করে নিয়ে এসেছেন৷ ‘ নীতি বলতেই আমি ওর চুল আরো জোরে টেনে দিতেই ও ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠে৷ আমার দিকে রাগী চোখে তাকাতেই আমি উঠে ফ্রেশ হতে চলে যাই৷ এদের শুধু ফাজলামো! এইদিকে আমি টেনশনে শেষ তাদের কোনো পাত্তাই নেই ৷ সব গুলা স্নিগ্ধ স্যারের সাথে থেকে থেকে মিচকে শয়তানে পরিণত হচ্ছে৷ ইয়া মাবুদ, এদের থেকে রক্ষা করো আমাকে৷

পুরো ক্লাসরুমে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে৷ কোনো স্টুডেন্ট চোখের পলক ফেললেও পরশ স্যারের চোখ রাঙানিতে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে৷ পরশ স্যারের মতে,
‘ স্কুল জীবনের থেকে ভার্সিটি জীবনে স্যার বা ম্যাডামরা বেশি কঠোর হলে ছেলে-মেয়েরা বিয়ের আগে পর্যন্ত ডিসিপ্লিনের মধ্যে থাকে৷ ডিসিপ্লিন যে মানে না সে ভবিষ্যৎ জীবনে উন্নতির ধুলোও দেখতে পারবে না৷ ‘ তার উক্ত বাণী মেনে নিয়েই ভার্সিটিতে সকল স্টুডেন্ট স্কুল জীবনের থেকেও বেশি ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করে চলে মানে তার সামনে আর কি৷ তার পিঠ পিছে মহা সুন্দর সুন্দর নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে, যেমনঃ- গোপাল দাদু,ঢাক, বউয়ের চামচা ইত্যাদি ইত্যাদি৷ তার বিশাল পেটটার জন্য সবাই মামা,আন্টি হওয়ার অপেক্ষায় দিন গুণতে গুণতে নিজেরাই ছেলে মেয়ের বাপ-মা হয়ে গেছে৷ বর্তমানে আমরা আবার সিনিয়রদের মতো অপেক্ষায় মান আছি৷ দর্শনের মতো সাব্জেক্টের প্রতি প্রচুর পরিমাণে অনিহা আমার আর সে সেই অনীহা কে আরো বাড়িয়ে ক্লাস টেনের বাংলা নিয়ে পড়েছেন ৷ সবাইকে পত্র লেখতে দিয়েছেন ৷ তার মতে, বাংলা পড়া আর পত্র প্রতি সপ্তাহে লেখা আবশ্যক৷ নিজের ক্লাস বাদ দিয়ে বাংলা নিয়ে সিরিয়াস সে৷ নিজের বিশাল পেট ভাসিয়ে সামনে একটা চেয়ারে চশমা নাকের ডগায় রেখে গম্ভীর চোখে তাকিয়ে আছেন৷ আমাদের ক্লাস এইটের বাচ্চা বাচ্চা মনে হচ্ছে৷ আমি প্রচুর অনীহা নিয়ে থেকে সম্পূর্ণ পত্র ঠিকঠাক লেখলেও প্রিয়ের সাইডে,
শুভ্র প্রেমিক উল্লেখ করেছি সেই দিকে কোনো নজর নেই আমার৷ স্যার খাতা দেখেন স্কুল স্যারদের মতো আমার খাতা দেখতেই চশমার নিচে দিয়ে অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে হঠাৎ করেই আমার মাথায় হাত রেখে বললেন, ‘ ওও তাহলে তুমিই সেই৷ যাক আলহামদুলিল্লাহ! তুমি হবে ভাবতেই পারি নি৷ সুখী থাকো সব সময়৷ ‘
স্যারের কথা শুনে আমরা সবাই গোলগোল চোখে তাকিয়ে আছি৷ উনার কথা মাথার উপর দিয়ে গেলো ৷ আমার হাতে খাতা হাতে দিয়েই স্যার হেসে চলে গেলেন আমি উনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি ৷ রাহাত খোঁচা মেরে বলল, ‘ দোস্ত,তোরে কি সেকেন্ড বিয়া টিয়া করছে নাকি গোপাল ভার?? আসতাগফিরুল্লা, মামা শেষে ইংরেজ ছাইড়া গোপাল দাদু৷ ছিঃ! এই ছিলো তোর মনে?? ‘
আমি জোরে ওর পায়ে পারা দিয়ে কটমট চোখে তাকাই ৷ ও চুপসে যাওয়া মুখেও হে হে করে হেসে উঠে ৷ নীতিও সিরিয়াস ভাবে বলল,
–‘ পুরো ভার্সিটি কেমন রহস্যময় গন্ধে ভরে গেছে ৷ এতোদিন স্নিগ্ধ স্যার ছিলেন তারপর শুভ্র প্রেমিক আবার পরশ স্যার ৷ ‘ ও বলেই আমার দিকে সন্দেহের চোখে তাকায় আমি আমতা আমতা করে বললাম, ‘ আ-আমি কিছু জানি না বিশ্বাস কর! ‘

–‘ স্নিগ্ধ স্যারের ফেসবুক আইডির নাম জানিস?? ‘
আমি ওর পাশে ধপ করে বসে বললাম, ‘ আইডি দিয়ে হবে কি??’

–‘ ওই ব্যাটা ইংরেজ একলা না জোড়া সেইটা তো রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসে দেওয়া থাকবে ৷ ‘ রাহাত বলতেই আমি জোরে ওর গাল টেনে দিয়েই দুইজনের হাত ধরে ক্লাসের বাইরে বেরিয়ে যাই৷ আপনার লুকোচুরি খেলা শেষ হবে এবার মিস্টার শুভ্র প্রেমিক ৷

স্বচ্ছ আকাশে আজ সাদা মেঘের ভেলা উড়ে বেড়াচ্ছে ৷ ক্যাম্পাসে ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে মান-অভিমানের পালা৷ ক্যাম্পাস কাঁপানো রোম্যান্টিক যুগল গুলো থেমে থেমে অহেতুক বিষয়ে ঝগড়া করেই নিমিষেই মিটিয়ে আবার হাসিতে মেতে উঠছে৷ বিশাল বটগাছের নিচে বাধানো ইটের উপর পা ঝুলিয়ে বসে আছি আমি৷ রাহাত পায়চারি করছে পুরো চত্ত্বর জুড়ে ৷ নীতি বিরক্তি হাতে ফেসবুক স্ক্রল করে চলেছে ৷ আমি বিরক্তি নিয়ে তাড়া দিয়ে বললাম, ‘ পেয়েছিস?? ‘ মুখ উঠিয়ে মাথা দিয়ে মানা করতেই সব কিছু আরো বিদঘুটে লাগতে শুরু করলো ৷ রাহাত ব্যাস্ত ভঙিতে আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বলল,

–‘ মেহেরাব স্নিগ্ধ দিয়ে দেখ তো! ‘

–‘ তোর মাথা দিবো ৷ যা আবার ছাগলের মতো পায়চারি কর ৷’ নীতির ঝাঁজালো কন্ঠ শুনে ছোঁ মেরে মোবাইল নিয়ে আমার পাশে বসে সিরিয়াস ভাবে বলল,
–‘ আমার মতো অধমের কথায় কান দেও বালিকারা কারণ আমি পুরুষ্কার প্রাপ্ত সবজান্তা মহা পুরুষ ৷ ‘ ওর কথা শুনে দুইজনেই চরম বিরক্তিকর মূহুর্তেও হেসে উঠলাম ৷ ওর পিঠে আমি চাপড় মেরে বললাম, ‘ মামা,ছোট বেলার হরলিক্স মনে হয় এখন কাজে লাগছে?? ‘
আমার কথা শুনে উঠে দাঁড়িয়ে মোবাইল আমার দিকে ছুড়ে মেরে জ্ঞানী ব্যাক্তিদের মতো বলল,
–‘ নিউটনের সূত্র কে অবহেলা করলেও আমার বুদ্ধিকে অবহেলা করো না বালিকাগণ৷ ‘
আমি আর নীতি ওর কথায় পাত্তা না দিয়ে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি স্নিগ্ধ স্যারের আইডি দেখলাম, ইংরেজি অক্ষরে মেহেরাব স্নিগ্ধ লেখা ৷ প্রোফাইলে সাদা পাঞ্জাবি পরা ছিমছাম একটা ছবি তবুও আকৃষ্ট৷ আমি সব ভুলে উনার ছবির দিকে তাকিয়ে আছি ৷ পাঞ্জাবির হাতা ফোল্ড করে এক হাত পকেটে গুজে সামনের দিকে মুচকি হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছেন ৷ আমার মনে হচ্ছে, সে আমার সামনেই দাঁড়িয়ে আছেন মুচকি হেসে ৷ ঢেউ খেলানো চুলে৷ নীতির চাপা গলার কথা শুনে তাকালাম ও হতাশ চোখে তাকিয়ে বলল,
–‘ it’s complicated! ‘
আমি ভ্রু কুঁচকে কপালে হাত দিয়ে আবারও পা ঝুলিয়ে বসে পরলাম৷ দুনিয়ায় গোল্লায় যাক আমার কি? এমন একটা ভাব নিয়ে মোবাইল নীতির হাত থেকে নিয়ে উনার প্রোফাইলে মনোযোগ সহকারে খুটে খুটে দেখতে লাগলাম৷ বায়ো তে সুন্দর করে দেওয়া,
” Surrounded by whitheness.Finding white love’s. ”
আমার কুঁচকানো ভ্রু আরো কুঁচকে এলো৷ চারদিকে সাদার ছড়াছড়ি৷ তবে এই ব্যাপারটা ভালো লাগে সাদা উনারও পচ্ছন্দের৷ ঠোঁটে হঠাৎ করেই হাসি খেলে গেলো ৷ চারদিকে কি হচ্ছে সেইদিকে কোনো পাত্তা নেই৷ প্রোফাইলে আহামরি কিছুই নেই ৷ উনার দু একটা ছবি আর কিছু শেয়ার করা পোস্ট ৷ আরেকটু নিচে স্ক্রল করতেই দেখি,
সাদা শাড়ি পরা একটা মেয়ে পেছনের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে হাতে সাদা গোলাপ ৷ কোঁকড়ানো চুল গুলো ঢেউয়ের মতো কোমর ছুঁয়েছে ৷
তার উপর ক্যাপশনে লেখা,
” I’m coming soon, white angle .
উক্ত ছবি দেখেই আমার মাথা চক্কর দিয়ে উঠে ৷ এইটা কি করে সম্ভব???

চলবে,,,,

~” গল্পটা লেখার পর থেকেই হাজার বাহানা আমার পিছু পরে আছে ৷ গ্যাপ দিয়ে আমি নিজেই অস্বস্তিতে থাকি কি আর বলবো৷ ভুল গুলো ক্ষমার চোখে দেখবেন সকলে~♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here