রূপবানের_শ্যামবতী #৭ম_পর্ব #এম_এ_নিশী

#রূপবানের_শ্যামবতী
#৭ম_পর্ব
#এম_এ_নিশী

অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়ার পালা চলছে। আদ্রিকা সেদিকটা একবার দেখে বাড়ির ভেতরের দিকে যাচ্ছে। হুট করে পুরুষ কন্ঠের গলা খাঁকারি শুনে পিছু ফিরে তাকায়। শাহাদাতকে দেখতেই অস্বস্তিতে জড়োসড়ো হয়ে যায় আদ্রিকা। শাহাদাত এগিয়ে এসে বলে,

–হাতটা ধোয়া প্রয়োজন। যদি একটু হেল্প করতে..

হাত ধোয়ার ব্যবস্থা খাওয়া দাওয়ার জায়গাতেই করা হয়েছে। তারপরও শাহাদাত কেন এদিকে এসেছে বুঝতে পারছে না আদ্রিকা। তবে ভদ্রতার খাতিরে কিছু বললো না। ইতস্তত করতে করতেই বলে,

–আসুন..

শাহাদাতকে কলপাড়ে এগিয়ে দিয়েই সে চলে যাচ্ছিলো। শাহাদাতের ডাকে আবার পিছু ফিরতে হয়।

–একটু পানিটা ঢেলে দিবে প্লিজ।

বিরক্ত হয় আদ্রিকা। কিন্তু তা প্রকাশ করে না। মগভর্তি পানি নিয়ে শাহাদাতের হাতে ঢালতে থাকে সে। হাত ধুতে ধুতেই শাহাদাতের দৃষ্টি আদ্রিকার দিকে নিবদ্ধ। সেদিকে চোখ পড়তেই আদ্রিকার অস্বস্তি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কারণ শাহাদাতের নজর আদ্রিকার কাছে স্বস্তিকর ঠেকেনি। সে তাড়াহুড়ো করে পানি ঢালার কাজ শেষ করে বলে উঠে,

–আমি যাই..

আচমকা শাহাদাত আদ্রিকার আঁচলে টেনে হাত মুছতে থাকে। এবার আর আদ্রিকা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। রাগমিশ্রিত স্বরে বলে উঠে,

–এটা কি করলেন আপনি?

–হাত মুছার জন্য তো কিছু নেই। তাই তোমার আঁচলেই মুছে নিলাম। মাইন্ড করো না কেমন।

রাগে, বিরক্তিতে গা রি রি করছে আদ্রিকার। আঁচলটা টেনে নিয়ে কিছু না বলেই এগোতে নিলে পুনরায় শাহাদাতের বাধাপ্রাপ্ত হয় সে। এক হাত সামনে দিয়ে পথ আগলে রেখেছে শাহাদাত।

–আরে আরে, কোথায় যাচ্ছো? রাগ করলে নাকি? রেগে গেলে আরো সুন্দরী লাগে তোমায়..

বলতে বলতে গালে আঙ্গুল ছোঁয়ানোর লিপ্সা নিয়ে হাত বাড়ায় শাহাদাত। তার দুরভিসন্ধি আদ্রিকার বোধগম্য হয়। সে মুখটা সরিয়ে নিতে যায় তার আগেই শাহাদাতের হাত থমকে যায়। কারণ কেউ একজন শক্তপোক্ত হাতে কড়াভাবে চেপে ধরেছে তার হাত। আদ্রিকা চেয়ে দেখে শাহাদাতের হাত আটকে রাখা মানুষটি আর কেউ নয়। স্বয়ং আয়াজ। হাতটা মুচড়ে দেওয়ার ভঙ্গিতে ধীর ধীর নামিয়ে দিতে দিতে আয়াজ বলে,

–যেখানে সেখানে যেমন তেমনভাবে হাত ব্যবহার করা উচিত নয়। নয়লে দেখা যাবে মানুষটা আছে হাত নেই, নয়তো হাত আছে মানুষটাই নেই।

বলতে বলতে ভদ্রহাসি দেয় যেন কিছুই হয়নি। শাহাদাত বেশ শান্ত চোখে একবার আদ্রিকা আরেকবার আয়াজের দিকে তাকিয়ে প্রস্থান করে।
আয়াজের এমন কাজে আদ্রিকা বিস্মিত হলেও পরক্ষণেই হি হি করে হেসে ওঠে। আদ্রিকার হাসি দেখে আয়াজ অবাক হয়ে প্রশ্ন করে,

–কি আশ্চর্য! এখানে হাসার মতো কি হলো?

আদ্রিকা হাসি চেপে বলে,

–আপনাকে যতোটা খারাপ ভেবেছি ততোটা খারাপ নন আপনি। ভিষওওওণণ মিষ্টি।

এই বলে আয়াজের গাল দুটো টেনে দিয়ে খিলখিলিয়ে হাসতে হাসতে চলে যায়। এদিকে দুগালে হাত রেখে আহাম্মকের ন্যায় আদ্রিকার চলে যাওয়া দেখে আয়াজ। তারপর বিরবিরিয়ে বলে উঠে,

–এই মেয়ের আসলেই মাথায় সমস্যা আছে।

~~~
হলুদের অনুষ্ঠান, খাওয়া দাওয়ার পর্ব সবকিছু শেষে এবার সকলের বিশ্রাম নেওয়ার পালা। কারণ বিয়ের দিন আরো বড় ধকল আছে। ঘরের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে ভাবনায় বিভোর হয়ে আছে অরুনিকা। চোখের কাজল এখনো মোছেনি সে। আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বের ওপর এক হাত রেখে আপনমনে বলে উঠে সে,

–আজ কতোদিন পর তুই চোখে কাজল দিয়েছিস অরু? চোখে কাজল দেওয়া তোর সবচেয়ে পছন্দের কাজ ছিলো। তবে.. কটু মন্তব্যের দাপটে ওই পছন্দকে ত্যাগ করেছিলি? শুধু কি পছন্দ? না! নিজেকে আড়াল করেছিস, লুকিয়েছিস নিজের সত্তা। আজ সেই চাপা দেওয়া স্তুপের ভেতর হতে নিজের হারিয়ে যাওয়া সত্তা টেনেহিঁচড়ে বের করে আনার চেষ্টা করেছিস? কেন? ওই মানুষটার কথায়? তার কথার এতো দাম তোর কাছে?

ঝট করে আয়নার ওপর থেকে হাত সরিয়ে নেয় অরুনিকা। নাহ! নাহ! তার কথা আমার ভেতরের কথার সাথে মিলেছে কেবল। এর বেশি কিছু নয়। এর বেশি কিছু হতেও পারে না।

–বুবু!

আদ্রিকার ডাকে নিজের ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে এলো অরুনিকা। কিন্তু নিজের জায়গা থেকে নড়লো না একটুও। আদ্রিকা এগিয়ে এসে তার বুবুকে পেছনে থেকে জড়িয়ে ধরে কাঁধে মাথা ঠেকায়। অরুনিকা পিছু ফেরে। আদ্রিকার মুখ আজলায় ভরে ওপরে তোলে। স্নেহময়ী কন্ঠে শুধায়,

–কি হয়েছে বনু, মন খারাপ?

আদ্রিকা দুপাশে মাথা নাড়ায়। তারপর কেমন যেন ক্লান্ত স্বরে বলে উঠে,

–মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিবে বুবু?

হেসে ফেলে অরু। বিছানায় বসে বোনকে ঈশারায় কোলে মাথা রাখতে বলে। কালবিলম্ব না করেই আদ্রিকা অরুর কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ে। অরু পরম যত্নে আদ্রিকার চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে। আদ্রিকা বলে উঠে,

–আচ্ছা বুবু, শাহাদাত ভাইকে তোমার কেমন মনে হয়?

–তার তো অনেক সুনাম গ্রামে। বেশ ভদ্র ছেলে বলেই তো জানি তাকে। কেন বল তো?

–তার সাথে কি আমার বিয়েটা দিয়েই দিবে?

–তা তো জানি না রে। তবে সবাই তো তাই চাচ্ছে।

–বুবু?

–হুমম!

–মা, দাদু, চাচু ওরা তো কেউ আমার খারাপ চাইবে না বলো।

–ধুর পাগলি। ওরাই তো তোর সবচেয়ে আপন। আপন মানুষেরা কখনো খারাপ চায় বল।

আদ্রিকা আর কিছু বলে না। দীর্ঘশ্বাস ফেলে চোখ বুজে নেয়। ক্লান্ত দেহে মুহূর্তেই ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে যায় সে। এদিকে বোনের কথাবার্তার ভঙ্গিমা কেমন যেন অন্যরকম ঠেকে অরুর কাছে। তবে তা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামালো না অরু। পাগলি মেয়ে! কখন কি বলে ঠিক নেই।

~~
বাড়ি ভর্তি মেহমান থাকায় অরুনিকা আদ্রিকা আজ অন্য ঘরে আছে। সেই ঘরে আরো অনেকেই ঘুমিয়েছে। এমন হিজিবিজির মধ্যে অরুর ঘুম আসছে না। সে উঠে গিয়ে জানালার পাশে দাঁড়ায়। জানালা দিয়ে পুরো আকাশ দেখা যাচ্ছে। আকাশে আজ চাঁদ নেই। তবে শতশত তারাদের উঁকিঝুঁকি দৃশ্যমান। জানালার গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে ওই তারার মেলা দেখছে অরুনিকা। আর ঠিক তার পাশের জানালাতে দাঁড়িয়ে একইভাবে আকাশের তারা দেখছিলো আহরারও। আহরারদের পাশের ঘরেই অরুনিকারা থাকছে আজ। তা আহরার, অরুনিকা দুজনেই জানে। তবে এই মুহুর্তে তারা যে পাশাপাশিই দাঁড়িয়ে আছে তা জানে না। নয়নে তারকারাজির দর্শন তবে অন্তরে শ্যামবতীর বিচরণ। কি অদ্ভুত! মেয়েটা এমন দিশেহারা করে দিলো। দিন নেই, রাত নেই কেবল তারই কথা স্মরণ হতে থাকে। ঘুমন্ত হোক বা জাগ্রত মস্তিষ্ক জুড়ে সেই সুনয়নার কি দাপুটে বিচরণ। তার কথা ভাবতে গেলে আকাশের তারাগুলোও যেন ফুল হয়ে ঝড়তে থাকে। ভাবতে ভাবতেই আনমনে হেসে ফেলে আহরার। মৃদুমন্দ হাওয়ায় কোথা হতে যেন গন্ধরাজ ফুলের সুবাস ভেসে আসছে। হুট করেই পাশের জানালা গলে একটি হাত বাহিরে এলো। আহরারের নজরে আসতেই সে ধড়মড়িয়ে উঠে। এই হাত চিনতে তার অসুবিধা হয় না। ওই হাতে থাকা ব্রেসলেট সে নিজের হাতে পরিয়ে দিয়েছিলো। হয়তো বৃষ্টি হচ্ছে কি না তাই দেখলো। পরপরই হাত ভেতরে ঢুকিয়ে নিলো। আহরার সেদিক চোখ ফিরিয়ে একবার আকাশের দিকে চায়। আকাশ ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে আছে। কিছু কিছু তারা মাঝে মাঝে উজ্জ্বল আলোর বিচ্ছুরন ঘটাচ্ছে। সেদিকে তাকিয়ে অরুনিকাকে কল্পনা করে আহরারের মনে একটি গানের কিছু লাইন ভেসে বেড়াতে থাকে। গুনগুন করতে করতে সুর তুলতে থাকে সে। নিশুতি রাতের শান্ত পরিবেশে সেই সুর অরুনিকার কর্ণকুহরে এসে প্রবেশ করে পরিষ্কার ভাবে। মাথা উঁচিয়ে পাশের জানালা বরাবর উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে সে। তবে কাওকেই দেখতে পায় না।
আহরার গাইতে শুরু করে,

~আমার রাত জাগা তারা
তোমার আকাশ ছোঁয়া বাড়ি,
আমি পাইনা ছুঁতে তোমায়
আমার একলা লাগে ভারি।

জানালার গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বুজে রয়েছে অরুনিকা। সেই সাথে শুনছে আহরারের কন্ঠ নিঃসৃত সুরতালের ছন্দ।
গাইতে গাইতে আহরার পাশের দেয়ালের দিকে তাকায়। আলতো হাতে সেই দেয়াল স্পর্শ করে মনে মনে বলে,

–একদিন ভেঙে যাবে এই দেয়াল। সব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তুমি আমার সামনে এসে দাঁড়াবে.. আমার শ্যামবতী হয়ে।

~~~

মাঝরাত–

সকলে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। হুট করে ঘুম ভেঙে যায় দাইয়ানের। পেটের অবস্থা তো ভালো মনে হচ্ছে না। ধাম করে উঠে বসে সে। বাথরুম.. বাথরুম.. বাথরুম যেতে হবে। এই বলে পেট চেপে উঠতে গেলে তার পা চেপে ধরে ঈশান।

–ওই শা লা কই যাস? আমার তো পেটের অবস্থা শেষ। বাথরুম যাওয়া লাগবে।

–একই কেস বন্ধু। তাড়াতাড়ি চল।

দুইবন্ধু পেট চেপে ধরে দ্রুতবেগে ছুট লাগায় বাথরুমের উদ্দেশ্যে। রাতের খাওয়া দাওয়াটা তিন বন্ধু একটু অতিরিক্তই করেছে। তাদের পেটে এসব সইবার কথা নয়। কিন্তু কেউ সেটা না ভেবেই ইচ্ছেমতো খেয়েছে। তবে আহরার যথেষ্ট কন্ট্রোল রেখেছে। হালকা খাবার খাওয়ায় সে বেঁচে গিয়েছে। এদিকে দুই বন্ধু যাওয়ার কিছু সময় পরপরই তৃতীয় জনের ডাক পড়ে যায়।
বাড়ির ভেতরে দুটো বাথরুম। আরেকটা বাইরে। ভেতরের দুটো দুই বন্ধুর দখলে। তাই রাদিফকে বাইরেরটাতেই যেতে হবে। কিন্তু তার আবার ভুতের ভয়। একা কিছুতেই যেতে পারবেনা। তাই ছুটে এসে ঘুমন্ত আহরারকে টেনেহিঁচড়ে তুলে আনলো। ঘুমে ঢুলতে ঢুলতে হাজারটা গালি দিতে দিতে আহরার রাদিফের পিছু পিছু আসে। রাদিফ বাথরুমে গেলে আহরার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। রাগে বিরবির করছে

–বারবার বলেছি ওমন হাভাতের মতো গিলিস না গিলিস না। আরে পেটেরও তো একটা লিমিটেশন বলে কথা আছে। শুনলি না। এখন মাঝরাতে বাথরুম-বেডরুম ছুটে বেড়া।

এদিকে মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে রাগ যেন আরো তুঙ্গে চড়ে গেলো।

–কি ইতিহাস রচলি তোরা? একবন্ধু পেট খারাপ সারতে বাথরুমে আসন গেড়ে বসে আছে, আরেক বন্ধু তাকে সঙ্গ দিতে বাইরে দাঁড়িয়ে মশার কামড় খাচ্ছে।

কিছুসময় পর দাইয়ান বের হয়। তারপর পরই রাদিফও বের হলো। কিন্তু বের হতে না হতেই পেটে আবার মোচড় পড়তেই সে বাথরুমের দিকে ছুটলো। কিন্তু আহরার তাকে টেনে ধরতেই সে করুণ সুরে বলতে লাগলো,

–বন্ধু ছাড় ছাড় ছাড়.. সহ্য হচ্ছে না।

–চোওওপপ ব্যাটা! দাইয়ান বেরিয়েছে যা ভেতরেরটাতে যা।

আহরারের কথা শুনে রাদিফ ভেতরে ছুটলো। কিন্তু তাকে টপকে দাইয়ান এগিয়ে যেতে যেতে বলে,

–সর সর আমার যাওয়া লাগবে..

রাদিফ দাইয়ানের হাত টেনে ধরে বলে,

–ওই তুই বাইরে যা আমাকে ভেতরে যেতে দে..

–ধুর শা লা তুই যা বাইরে.. গেলো রে গেলো

এই বলে একপ্রকার ঠেলেঠুলে ভেতরে ঢুকে গেলো দাইয়ান। তখনই ঈশানও বেরিয় এলো। সাথে সাথে রাদিফ সেটাতেই ঢুকে পড়ে। আর তা দেখো ঈশান হাসতে থাকে। তবে মুহুর্তেই তার হাসি উবে গেলো যখন তার অবস্থাও বেগতিক হলো। পাগলের মতো দুটো বাথরুমের দরজা ধাক্কাতে থাকে। রাগের চোটে দাইয়ান ভেতর থেকে চিৎকার করে বলে উঠে,

–ভাগ শা লা।

আহরার এসে দুম করে পিঠে কিল বসিয়ে বলে,

–ছুটে ছুটে প্যান্ট খারাপ করিস না বন্ধু। বাইরেরটাতে যা।

–তাইলে আয় তুই দাঁড়িয়ে থাক বাইরে।

–হ্যা হ্যা নিশ্চয়ই। এই কাজের জন্যই তো সৃষ্টিকর্তা আমাকে ওপর থেকে ছুঁড়ে মেরেছিলেন এই ধরনীতে। চলুন। আপনার পাহাড়ায় আমি নিযুক্ত।

ঈশানের কানে কোনো কথায় প্রবেশ করেনি। কারণ সে ততক্ষণে ছুট লাগিয়েছে বাইরে। আহরার বেচারারই বা আর কি করার। বাইরে দাঁড়িয়ে আবার মশার কামড় খায়। বাইরেটা মোটামুটি ভালোই অন্ধকার। কারণ আপাতত লাইটিং অফ রাখা হয়েছে সব। তাই ফোনের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে দাঁড়িয়েছিলো সে। হুট করে মেয়েলি কন্ঠস্বর শুনে ফ্ল্যাশ অফ করে দাঁড়িয়ে আছে সে। কেউ একজন বাইরে বেরোলো। বিরক্তিতে বিরবির করছে সে,

–সবকটা বাথরুম দখল করে রেখেছে। আজব কারবার।

আহরার বুঝতে পারলো মেয়েটি রূপা। এদিকে এই বাথরুম ও যে দখল হয়ে আছে সেটা ভাবতেই আহরারের হাসি পেয়ে গেলো। রূপা এগিয়ে আসতে আসতে আহরারের উপস্থিতি টের পেলো। চেঁচিয়ে বলে উঠে,

–কে রে, কে ওখানে?

বলতে বলতে আহরারের কাছাকাছি এসে হারিকেনটা তুলে ধরে সে। আহরারের মুখ খোলা। এই মুখ রূপা আগে দেখেনি। হারিকেনটা মুখের কাছে ধরতেই আহরারের মুখটুকু প্রদশর্ন হয়। চোখ দুটো বিশাল আকার ধারণ করে রূপা চেয়ে থাকে। হুট করেই তার কাঁপা-কাঁপি শুরু হয়ে যায়। তোতলানো স্বরে বলে উঠে,

–ও মা.. ও..ম..মা..

আচমকা উল্টো পথে ছুট লাগায় সে। আর চিৎকার করে করে বলতে থাকে,

“ও মা গোওওওওও… জ্বীইইইনননন!”

আহরার বেকুব হয়ে রূপার ছুটে যাওয়া দেখছে।

চলবে….

(কষ্ট করে লিখার পর যখন তা ডিলিট হয়ে যায়। আহ! সেই কষ্ট। তবে যেহেতু কথা দিয়েছি গল্প দিবো তাই আবার নতুন করে লিখে দিয়ে দিলাম। শুধুমাত্র আমার প্রিয় পাঠকদের জন্য।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here