মেঘের অন্তরালে,পর্বঃ ০১
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা
১.
নিজের বউয়ের জায়গায় অন্য একটা মেয়েকে বউ সাজে বাসরঘরে বসে থাকতে দেখে ছিটকে দূরে সরে গেলো নিহান। আজই ধুমধামে বিয়ে হয়েছে নিহান রেজওয়ান আর আনজুম ইসরার। বিয়ের আগে নিহান ইসরাকে দেখেছিলো এক সুন্দরী রমণী আর এখন তার সামনে বধূ সেজে বসে আছে এক শ্যামবর্ণ মেয়ে। নিহান অবাকের চাইতেও চরম অবাক তার সামনে বসে থাকা মেয়েটিকে দেখে।
বিস্ময়ে চিৎকার করে বললো, আপনি কে আর আমার স্ত্রী ইসরা কোথায় ?
কাঠের পুতুলের ন্যায় মেয়েটার উত্তর, আমিই আপনার স্ত্রী আনজুম ইসরা। যাকে মাত্র ঘন্টা তিনেক আগে নগদ ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর দিয়ে বিয়ে করেছেন আপনি।
রেগে চিৎকার করে নিহান বললো, ফাজলামি করেন আমার সাথে ? কোথায় এক ফালি চাঁদের টুকরো ইসরা আর কোথায় অমাবস্যার আঁধার আপনি।
মেয়েটা ফোঁস করে একটা নিশ্বাস ছেড়ে বললো, আপনি যে চাঁদের টুকরো খোঁজছেন সে আমার একমাত্র মামাতো বোন হুমাইরা হুর।
নিহান বিস্মিত কণ্ঠে বললো, মানে ?
ইসরা মলিন হেঁসে বললো, এতো ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট আর দক্ষ ইন্জিনিয়ার হয়েও এটুকু বুঝতে পারছেন না এখনো ?
নিহান চিৎকার করে বললো, হেয়ালি না করে স্পষ্ট করে বলুন।
ইসরা ফুলে সাজানো বেড থেকে নেমে নিহানের সামনে দাঁড়িয়ে বললো, মানেটা হচ্ছে আমার পরিচয়ে আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে দেখনো হয়েছে আমার বোন হুরকে। বাসররাতে বর বউয়ের মুখ দেখার আগে আর কেউ বউয়ের মুখ দেখতে পারবে না এমন কোনো নিয়ম আমাদের বংশে নেই। এই নিয়মটা স্পেশালি আমার জন্য তৈরি করা হয়েছিলো যাতে আপনারা আমাকে চিনতে না পারেন আর বিয়েতে কোনো বাঁধা না আসে।
নিহান সজোরে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো ইসরার গালে আর রেগে দাঁত কিটিমিটি করে বললো, লজ্জা করছে না নিজের কুকর্তি এতো সাবলীল ভাষায় বর্ণনা করতে ? একটুও লজ্জা করলো না এতোগুলো মানুষকে এভাবে ঠকাতে ?
থাপ্পড় খেয়ে ইসরার ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি ফোটে উঠলো, নিজের প্রতি তাচ্ছিল্যের হাসি। কারণ তার জানাই ছিলো প্রত্যেকটা নারীর মতো তার বহু প্রতীক্ষিত এই রাতে এমন কিছুই অপেক্ষা করছিলো তার জন্য।
ইসরা মনে মনে বলে উঠলো, কেনো এমন করলে বাবা, এতোটাই বোঝা হয়ে গিয়েছিলাম ? তাহলে কী সেই বুক ভড়া ভালোবাসাগুলো মিথ্যা ছিলো ?
চোখের কোণে পানির বিন্দু চিকচিক করছে ইসরার। বুকের ভেতর অভিমানের পাহাড় তৈরি হয়েছে জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ, নিজের জন্মদাতা পিতার উপর আর মমতাময়ী মায়ের উপর। তার মা যদি আর একটু চেষ্টা করতো তাহলে হয়তো আজকের এই দিনটা দেখতে হতো না ইসরার। বাইরে চেঁচামেচির আওয়াজে ইসরার ঘোর কাটলো। সামনে তাকিয়ে দেখলো নিহান তার সামনে নেই আর রুমের দরজা হাট করে খোলা। বাইরে থেকে অনেকের অনেক কথাই ইসরার কানে আসছে তবে সে নিশ্চুপ পাথর।
এতোবড় ধোঁকা কী করে করতে পারলেন উনারা ?
এই জন্যই বুঝি এতো নাটক করছিলো ? কেউ বউয়ের মুখ দেখতে পারবে না। তখন কে জানতো এতবড় জঘন্য পরিকল্পনা লুকিয়ে রেখেছিলো মনে।
পুরো পরিবার আর আত্নীয় স্বজন সবাই ধোঁকাবাজ। এই মেয়েকে আর এক মুহূর্ত এই বাড়িতে রাখবো না আমরা।
কালই থানায় গিয়ে প্রতারণার মামলা করবো।
হঠাৎ সবার আওয়াজ ছাপিয়ে নিহানের আওয়াজ ইসরার কানে এসে পৌঁছালো, আমি কালই ডিভোর্স দিতে চাই এই মেয়েকে।
এসব শুনে হয়তো কান্নায় ভেঙে পরা উচিত ছিলো ইসরার। কিন্তু তার চোখে এক বিন্দু অশ্রুকণার উপস্থিতি দেখা গেলো না। এমন কিছুর জন্য সে নিজেকে আগে থেকেই প্রস্তুত করে রেখেছিলো। বিয়ে নামক পবিত্র সম্পর্ক থেকে মুক্তির জন্য ডিভোর্স নামক একটা তিক্ত প্রক্রিয়া যে পূর্বে থেকেই আছে সেটা তার পরিবার ভুলে গেলেও সে ভুলে যায়নি। মাত্র কিছুদিন আগেই আঠারোতে পা দিয়েছে ইসরা আর মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষাও দিয়েছে। কেবল যৌবনে পা দেওয়া গোলগাল মুখের শ্যামবর্ণ মেয়েটাকে এখনই বিয়ে দেওয়ার কীসের এতো তাড়া ছিলো তার পরিবারের সেটা অজানা। সদ্য ইন্জিনিয়ারিং শেষ করে মোটা অংকের বেতনে, বড় কোম্পানিতে জয়েন করা ছেলে হাতে পেয়ে লোভ সামলাতে পারেনি ইসরার বাবা ইখতিয়ার আহমেদ। একমাত্র মেয়েকে সুখী দেখতে চায় না এমন বাবা হয়তো পৃথিবীতে খোঁজে পাওয়া অসম্ভব। ইখতিয়ার আহমেদ মেয়েকে সুখী দেখার লোভে এতোটাই অন্ধ ছিলেন ঠিক ভুল বিচার করতেই ভুলে গিয়েছিলেন। ইসরা তো স্বপ্ন দেখেছিলো মন দিয়ে পড়াশোনা করে ভালো ডক্টর হতে। তাহলে স্বপ্ন দেখানো মানুষটাই আজ কেনো স্বপ্নগুলো কেড়ে নিলো তার উত্তর নেই ইসরার কাছে।
২.
সকাল সাতটা বাজে ইসরার ঘুম ভেঙে গেলো। আশেপাশে তাকিয়ে কিছুটা সময় লাগলো কোথায় আছে সেটা বুঝতে। যখন সব মনে পড়লো বুক চিঁড়ে দীর্ঘ শ্বাস বেড়িয়ে এলো তার। পুরো রুমে চোখ বুলিয়ে বুঝতে পারলো এখনো রাতের মতোই আছে সব। তার মানে এই রুমে কেউ প্রবেশ করেনি। দরজাটা এখনো গতরাতের মতো হাট করে খোলা দেখা যাচ্ছে। ক্লান্ত শরীর বেডে এলিয়ে দেওয়ার পর কখন ঘুমে তলিয়ে গিয়েছিলো জানা নেই ইসরার। উঠে রুমের এক কোণে থেকে নিজের লাগেজ টেনে আনলো। হালকা নীল রঙের একসেট থ্রিপিস নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লো। লম্বা একটা শাওয়ার নিয়ে চেঞ্জ করে রুমে এলো। ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো। ৫.৫” উচ্চতার ছিপছিপে গড়নের একটা মেয়ে, মাথা ভর্তি ঘন কালো চুল, সামনের ছোট চুলগুলো ভিজে লেপ্টে আছে কপালের উপর। জোড় ভ্রু যেনো সৌন্দর্যটা আরো একটু বাড়িয়ে তুলেছে। সরু তীক্ষ্ণ নাকটায় গতকাল নিহানদের দেওয়া ছোট্ট ডায়মন্ডের নাকফুল জ্বল জ্বল করছে। গতকালের হালকা কাজলের রেষ লেগে থাকা ডাগর ডাগর চোখদুটো ঘন পাপড়ির মাঝে রক্তলাল বর্ণ ধারণ করেছে অজানা কারণে। নিজেকে দেখে কালো আর গোলাপি রঙ মিশ্রিত ঠোঁটের কোণে তাচ্ছিল্যের হাসি ফোটে উঠলো ইসরার। সবাই বলে গায়ের রঙটা যদি সাদা হতো তাহলে ইসরার থেকে সুন্দরী মেয়ে হয়তো সারা বিশ্ব খোঁজেও পাওয়া যেতো না। এতো এতো পূর্ণতার মাঝে একটা শূন্যতা সব তুচ্ছ করে তুলেছে সবার চোখে। বাইরে আবার চেঁচামেচির শব্দে ইসরার পূর্ণতা আর শূন্যতার হিসাবে গড়মিল হয়ে গেলো। মাথায় লম্বা একটা ঘোমটা টেনে রুমের বাইরে পা রাখলো ইসরা। দোতলা থেকে নিচের ড্রয়িংরুমে তাকিয়ে মাথা নিচু করে সোফায় বসে থাকতে দেখলো নিজের বাবা, বড় চাচা আর একমাত্র মামাকে। যাদের কখনো কারো সামনে মাথা নত করতে দেখেনি ইসরা। এতোক্ষণ নিজেকে অনুভূতিহীন পুতুল মনে হলেও নিজের আপনজনদের এভাবে অন্যের সামনে মাথা নিচু করে বসে থাকতে দেখে বুক ফেটে কান্না আসছে ইসরার। আবারও বাবাকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে, খুব কী ক্ষতি হয়ে যেতো এসব না করলে ?
ইসরাকে নিহানের চাচাতো বোন আমিরার চোখে পড়তেই নিচ থেকে চেঁচিয়ে বললো, ছিহ্ ভাইয়া, এটাই সেই আলকাতরার কৌটা নাকি ?
আমিরার আওয়াজে চমকে উঠলো ইসরার বাবা, বড় আব্বু আর মামা। নিহানের বাড়ির সবাই চরম বিরক্তি নিয়ে উপরের দিকে তাকালো, সাথে নিহানও। প্রত্যেকের বিরক্তি মাথা মুখটা যেনো আরো বিষিয়ে গেলো ইসরাকে দেখে। হুরের সাথে আকাশ পাতাল তফাৎ ইসরার। হুরের গায়ের রং দুখে আলতা আর ইসরা সেখানে এক ফোঁটা কালি যেমন। মেয়ের দিকে তাকিয়ে চোখ ভড়ে উঠলো ইখতিয়ার আহমেদের। বড্ড আফসোস হচ্ছে কেনো মেয়ের কথা শুনলো না তখন। তিনি তো ভেবেছিলেন একবার বিয়েটা হয়ে গেলে আর কী করার থাকবে নিহানের ? বাধ্য হয়ে থাকবে ইসরার সাথে আর একসময় ভালোও বাসবে কিন্তু সেগুড়ে বালি।
লম্বায়, সৌন্দর্যে বা যোগ্যতায় কোনোদিক থেকে কম নয় আমার ভাগ্নে। সবকিছুতে সফলতা আর্জন করে এসেছে সবসময়। কোনোদিক থেকে আপনার মেয়ে আমাদের ছেলের সাথে দাঁড়ানোর যোগ্যতা রাখে আপনারা নিজেরাই বলুন। আমরা ভদ্র ফ্যামিলি তাই গতরাতেই আপনাদের মেয়েকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেইনি।
নিহানের মামার কথা শুনে টলমলে চোখে তাকালো ইখতিয়ার সাহেব। ইসরার মামা কিছু বলতে চাইলে তিনি হাত চেপে ধরে তার। কারণ এখানে উনাদের কোনো দোষ নেই, সম্পূর্ণ দোষ নিজেদের। তাই এখন এমন কথা কেনো, গায়ে হাত তুললেও কিছু বলার মুখ নেই।
নিহানের ছোট চাচা গম্ভীর গলায় বললো, কাজটা একদমই ঠিক করেননি আপনারা। সবাই থানায় যেতে চেয়েছিলো শুধু আমার কথায় আগে আপনাদের খবর দেওয়া হয়েছে। আমরা কোনো ঝামেলা চাই না। নিহান আপনাদের মেয়েকে নিয়ে সংসার করতে পারবে না তাই আপনারা আপনাদের মেয়েকে নিয়ে যান। ডিভোর্স পেপার সময় মতো পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এর বাইরে কিছু করতে চাইলে আমরা বাধ্য হবো থানায় মামলা করতে। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এই যুগে এসে আপনারা কতবড় একটা প্রতারণা করেছেন। আমরা কেউ কল্পনাও করতে পারিনি। এই যুগে এসে কেউ এমন প্রতারণা করার পরিকল্পনা করতে পারে।
ইসরার বাবা মাথা নিচু করে চোখের জল ফেলছে, ইসরার বড় আব্বু গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ, তিনি নিজের স্বত্বা বজায় রেখে গম্ভীর মুখে বসে আছে। সে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছিলেন ছোট ভাইকে কিন্তু বিনিময়ে তাকে শুনতে হয়েছে ইসরা তার নিজের মেয়ে নয় বলে তার ভালো চায় না। এসব শোনার পর তিনি আর একটা শব্দও করেননি। তবে ভাইয়ের এমন সংকটের দিনে মুখ ফিরিয়েও থাকতে পারেনি, তাই সাথে এসেছে। অপরদিকে ইসরার মামা রাগী মানুষ অনেক কষ্টে নিজের রাগ চেপে রেখেছে। এখন এই পরিবারের চাইতে নিজের দুলাভাইয়ের উপর বেশি রাগ হচ্ছে তার। বরাবরই হুটহাট সিদ্ধান্ত নেওয়া মানুষ ইখতিয়ার আহমেদ। এভাবে একমাত্র মেয়ের জীবন নিয়েও হুটহাট সিদ্ধান্ত নেবে কল্পনাও করতে পারেনি তারা। এসবই গোপন ছিলো ইসরার মামার কাছে আজই সব জানতে পেরেছেন তিনি। আগে থেকে জানতে পারলে কখনোই একমাত্র ভাগ্নীর জীবন এভাবে নষ্ট হতে দিতেন না। অন্যদিকে ইসরা এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার বাবার দিকে। নিজের গায়ের রং নিয়ে কখনো আফসোস না হলেও আজ বড্ড বেশি আফসোস হচ্ছে। ইচ্ছে করছে এই বিষাক্ত জীবন থেকে নিজেকে আর নিজের আপনজনদের মুক্তি দিতে। কিন্তু সেটা করা সম্ভব নয় ইসরার পক্ষে। আত্মহত্যা মহাপাপ নামক একটা বাক্য তার পা বেঁধে রেখেছে লোহার শিকলের মতো। পৃথিবীর সব কষ্ট হেরে গেছে নিজের লজ্জিত বাবার নিচু মাথা দেখে। ইসরার মনে হচ্ছে এর চেয়ে কষ্টের হয়তো এই পৃথিবীতে তার কিছু নেই তার জন্য।
৩.
আমাদের সমাজে ভালো খবর ছড়াতে যতটা সময় নেয় তার থেকে কয়েকগুণ কম সময়ে খারাপ খবরগুলো ছড়ায়। নিহানের বউ পাল্টে যাওয়ার কথা যেনো বাতাসের আগে ছড়িয়ে পড়লো পুরো মহল্লায়। যাদের বউ দেখতে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনাও ছিলো না তারও রেজওয়ান বাড়ির দিকে ছুটতে লাগলো বউ দেখার জন্য। পুরো মহল্লা জানাজানি হয়ে যাওয়ার খবর শুনে রেজওয়ান বাড়ির সকলে ইসরার বাবাকে তাড়া দিতে লাগলো, মেয়েকে নিয়ে এখনই এখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য। আর বাধ্য হয়ে তিনি করলেনও তাই। এতোদিন সবাই কালো উপাধিতেই ভূষিত করেছিলো ইসরাকে। খুব তাড়াতাড়ি হয়তো তার সাথে আরো একটা উপাধি যুক্ত হতে যাচ্ছে তার নামের পাশে। আর সেটা হচ্ছে ডিভোর্সি।
ইসরা নিজের জিনিসপত্র যেভাবে এনেছিলো সেভাবেই নিয়ে বের হলো রুম থেকে। ড্রয়িংরুমে এসে নিহানের দিকে তাকালে নিহান মুখ ফিরিয়ে নিলো তার থেকে। নোনাজলে ভড়ে উঠলো ইসরার লাল টকটকে হয়ে যাওয়া চোখ জোড়া।
চলো বাবা।
মেয়ের ভারী গলা শুনে টলটলে চোখে তাকালো ইখতিয়ার আহমেদ। ইসরা চোখ সরিয়ে নিলো বাবার থেকে। ইসরার বড় চাচা হাত জোড় করলেন সবার সামনে তবে মুখে কিছু বললেন না। হনহনিয়ে বের হয়ে গেলেন সদর দরজা দিয়ে। সবাই বের হয়ে গেলে ইসরা আর একবার ঘুরে তাকালো নিহানের দিকে কিন্তু নিহান অন্যদিকে তাকিয়ে আছে। ইসরা ধীরপায়ে বের হয়ে গেলো বাড়ি থেকে। ইসরা বের হয়ে যেতেই নিহান বড় বড় কদমে নিজের রুমের দিকে চলে গেলো। রুমে গিয়ে সব ভাংচুর করতে লাগলো। ইসরা গাড়িতে বসে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে, কোনো কথা বলছে না কারো সাথে।
চলবে,,,