মধ্যবিত্ত
পর্ব ২
লেখকঃMD_Bipul_Imran
.
.
ভাইয়া কি করে ভুলে গেল সেই ছোটবেলার স্মৃতি গুলো
তার কি একটুও মনে পড়ে না এসব
যে বাড়িতে সেই আমাকে সব কিছু শিখিয়েছে
আজ সেই বাড়ি থেকেই বার করে দিলো
বাবা বেচে থাকলে হয়তো এরকমটা হতোনা
কেন যে আমাকে এরকম করে রেখে চলে গেল
হয়ত ভেবেছিলেন ভাইয়া ভাবি অনেক যত্ন করবে করবে
বাবা তুমি কি দেখছো এসব কি হচ্ছে
যার কলিজার টুকরা ছিলাম
সে আজ আমাক তোমার বাসা থেকে বার করে দিলো বাবা
।
চোখের পানি মুছে আসিফকে ফোন দিলাম
ওর বাসা আমাদেরর বাসা থেকে কাছে
আমিঃহ্যালো দোস্ত(কান্না জড়িত কন্ঠে)
আসিফঃরাখ তোর হ্যালো
কি হয়েছে তোর
কন্ঠ এরকম শোনা যাচ্ছে কেন
আমিঃওসব পড়ে বলবো
তোর বাসায় কি দুদিন থাকা যাবে
আসিফঃদুদিন কেন তুই সারা মাস থাকিস ভাই
আয় আমার বাসা আমি গেইটে আসতেছি
।
ফোন কেটে দিয়ে হাটতেছি
ওই বাসায় যা যা ছিলো সব নিয়ে এসেছি
ব্যাগের ওজন টা একটু বেশিই হইছে
হাটতেও কষ্ট হচ্ছে
।
হাটতেছি আর ভাবতেছি কি ছিলো জীবন
আর এখন কি হয়ে গেলো
হঠাৎ কোথায় যেন উষ্ঠা খেয়ে জুতা একটা ছিড়ে গেলো
কথায় আছেনা যখন বিপদ আসে
সব দিক দিয়েই আসে
আমারো কপাল টা তাই
।
আসিফের বাসা আসতেই দেখলাম সে দাড়ে আছে
আসিফঃদোস্ত ব্যাগ টা দে আমাক
আমিঃনা ঠিক আছে।আমার কাছেই থাক
আসিফঃধ্যাত দেতো।বলেই ব্যাগটা নিয়ে ভিতরে গেলো
গিয়েই দেখলাম আন্টি দাড়ায় আছে
আমিঃআসসালামু ওয়ালাইকুম আন্টি
আন্টিঃওয়ালাইকুম আস-সালাম বাবা
আসিফ আমাকে সব বলেছে
তুমি যতদিন ইচ্ছা থাকো সমস্যা নেই
এখন ওই রুমে থাকো
পরের মাসে ওই রুমে ভারাটিয়া আসার কথা
তারা আসলে তুমি আসিফের রুমে চলে যাইয়ো
আমিঃসমস্যা নেই আন্টি আমি ততোদিনে রুম খুজে নিবো
আন্টিঃআরে বাবা রুম খুজবা কেন তুমি
আমাদের এখানেই থাকো
সমস্যা হবে না আমাদের বুঝছো
আমিঃহ্যা আন্টি
রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও মানুষ গুলো
কতো আপন করে নেয়।আর রক্তের সম্পর্ক থেকেও
কিছু মানুষ দুরে
সরিয়ে দেয়।
।
আসিফঃমা অনেক কথা হইছে এখন খাইতে দাওতো
আন্টিঃতুমি আসবা শুনে আসিফও খায়নি এখনো
তারাতাড়ি ফ্রেস হয়ে আসো বাবা
আমিঃআচ্ছা
।
বাসায় ভাইয়ার কথা শুনে কেদে বার হয়ে আসছি
এখানে আবার এদের কান্ডকারখানা দেখে
চোখে পানি চলে এসেছে।সত্যি এরকম বন্ধু সবার ভাগ্যে জোটে না
।
এরপর খেয়ে আসিফ বললো চল ছাদে যাই
আমিঃআচ্ছা চল
।
আসিফঃএখন বলতো কি হয়েছে বাসায়
আমিঃবাসা থেকে বার করে দিছে ভাইয়া
আমাক নাকি আর খাওয়াতে পাবেনা সে
বাড়ি টাও তার নামে করে নিছে
মাকে আমার সাথে নিয়ে আসতে চাইছি কিন্তু
মা আসেনাই।নিজে কোথায় থাকবো তারেই ঠিক নাই
মা আসলে আবার কোথায় থাকবে এসব ভেবে আসে নাই
আসিফঃএই তোর ভাই।যাকে নিয়ে আমাদের সামনো গল্প করতি
তোর ভাইনা তোকে সব শিখাইছে
ক্রিকেট,ফুটবল,ব্যাডমিন্টন,দাবা, পড়ালেখা
সব কিছুই না শিখাইছে তোকে
কিভাবে ছোট ভাইকে ভালোবাসতে হয় তা নিজেই জানেনা
ভাই বাদ দে ওসব
তুই এখন কি করতে চাস
আমিঃকি করবো আবার। জব খুজবো নাহলে প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের খরচ টা চালাতে হবে
তোর এখানে তো আর সারাবছর থাকা যাবেনা
আসিফঃতুই সারাবছর এখানেই থাকবি
কে কি বলে সেটা আমি দেখবো
আর আমার মা ওরকম না
সবাইকে নিজের ছেলের মতই দেখে
তা তুই ভালো করেই জানিস
তুই শুধু কলেজ ফি টা কষ্ট করে মেনেছ কর
বাকি থাকা খাওয়া সব আমি দেখবো
চল এখন নিচে যাই
আমিঃহুম চল।কাল আবার পরিক্ষা আছে
।
পরেরদিন সকালে আন্টি আমায় ডাকতেছে
আন্টিঃইমরান ইমরান
ওঠো বাবা আজ তো পরিক্ষা আছে জলদি ওঠো
উঠে নিচে আসো
আমি আসিফ কে ডেকে নাসতা রেডি করি
আমিঃআচ্ছা আন্টি
ফ্রেস হয়ে আসিফকে নিয়ে নিচে চলে আসলাম
তারপর খেয়ে আবার পরিক্ষার রুমে চলে আসলাম
আমি একাই একরুমে বাকি সব বন্ধু অন্য রুমে
।
একটু পর স্যার চলে আসলো
খাতা দিলো আমিও লিখতেছি
কোথায় থেকে যেন কালকের স্যার চলে আসলো
স্যারঃকি বেপার ইমরান।মুখটা এরকম কেন
মনে হচ্ছে টেনশনে আছো
কমন পড়ে নাই নাকি
আমিঃজীবনের চলার পথেই কমন নাই
পরিক্ষার খাতায় কমন আছে কিনা তা জেনে কি হবে স্যার
স্যাররঃমানে বুঝলাম না তোমার কথা
আমিঃজীবনের চলারর পথ নদীর মতো আকাবাকা
তাই বললাম আরকি
এটা আমার কথা না স্যার রবীন্দ্রনাথেরর কথা
স্যারঃহুম জানি।আসলে তোমার সাথে এরকম মনমরা লুকটা মানায় না
হাসিখুসি থাকবা
আমিঃসবসময় হাসিখুশি থাকা যায়না স্যার
স্যারঃতোমার কি হয়েছে ইমরান কোনো সমস্যা
আমিঃনা স্যার কিছু হয়নি
স্যারঃতুমি এরকম থাকলে ক্লাসটা ভালো লাগেনা
যে ছেলে সবাইকে হাসিখুশি রাখে সে আজ এরকম হয়ে আছে
কারণটা নিশ্চই জটিল হবে
তাছাড়া তোমার মতো ছেলে এত সহজে হার মানতে পারেনা
কি হয়েছে তোমার সাথে তা আমি জানিনা
তবে এটা বলতে পারি যে জীবনে থেমে থেকো না
তাকে তার গতিতেই চলতে দাও
সব সমস্যার সমাধান একদিন পাবে
আমিঃতাই তো করতেছি স্যার।
সুমায়া হঠাৎ পিছনে ফিরে
সুমায়াঃকি হয়েছে আপনার
এরকম করে আছেন কেন
আমিঃকিছু হয়নি লেখতে দেন আমাক
।
এরপর সুমায়া রহস্যময় চোখে তাকিয়ে নিজের লেখায় মন দিলো
২.৫০ ঘন্টা হতেই খাতা জমা দিয়ে চলে আসলাম
একটুপর বন্ধুরাও চলে আসলো
রাফিদঃকি হয়েছে তোর।এরকম করে আছিস কেন
আমরা আছি তো নাকি
আমিঃআমার কিছু কথা আছে তোদের সাথে
আসিফঃচল ঐদিকটায় বসি
।
বসে পড়লাম তারপর আসিফ বাদাম কিনে আনলো।
সবাই চুপ করে খাচ্ছি
একটুপর আমি শুরু করলাম
আমিঃদোস্ত আমি জানিনা আল্লাহ কেন তোদের মত উচ্চবিত্তদের সাথে
আমার বন্ধুত্ব করিয়েছে
আমি শুধু প্রতিদিন খেয়েই গেছি তোদের কাছ থেকে
আর নিজে কোনোদিন ঝালমুড়ি ছাড়া কিছুই খাওয়াতে পারি নাই তোদের
জানিস আমারো ইচ্ছা করে তোদের খাওয়াতে
কিন্তু কেন যে পারিনা
জানিস দোস্ত আমি না একটা প্রাইভেট পড়ায় ওটা দিয়েই চলতে হয় পুরো মাস
জানিস মাসের বেশিরভাগ দিন রাতে আমায় না খেয়ে থাকতে হয়
৫০০টাকা বেতন পাই সেটা দিয়ে আর কতো কি করবো
মায়ের একদিন ঔষধ আনতেই ১০০ শেষ হয়
আর প্রতিদিন ভাইয়ারো মনে থাকেনা ঔষধ আনার কথা
প্রতিমাসে একবার দুইবার আমাকেই ঔষধ আনতে হয়
এরপর মায়ের ইচ্ছা করেনা ডাল ভর্তা খাইতে
ভাবি প্রতিদিন রান্না করে সব ফ্রিজে রাখে ডাল ভর্তা বাদে
আর ফ্রিজের খাবার মায়ের খাওয়া নিষেধ
তাই আমাকে মাঝে মাঝে হোটেল থেকে মাছ মাংশ ডিম নিয়ে যেতে হয়
আমি ভাবি তোদের খাওয়াতে আর কত টাকা লাগবে
২০০ হলেই হবে
এ মাসের বেতন তুলে খাওয়াবো কিন্তু পারিনা
বেতন পেলেই মনে হয়
এই বুঝি মা বলে বাবা আমারর ঔষধটা তোর ভাই আনতে ভুলে গেছে
এই বুঝি মা বলে বাবা আমার এসব খাবার আর ভালো লাগেনা
তাই আর পারিনা দোস্ত
কলেজের পরিক্ষার ফি এর টাকা ভাইয়ার কাছে নিতেই অনেক কথা শোনাইছে ভাবি
কিন্তু তার আগেরদিনো ভাইয়ার কাছ থেকে ১০০০টাকা নিয়ে ভাবি তার ভাইকে বিকাশ করে দিলো
৭ এ পড়ে তারনাকি হাত খরচ লাগে
অথচ আমি ৫০ টাকা চাইছি সেটাই দেয়নি
মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে মরে যাই
কিন্তু মায়ের কথা ভেবে আর পারিনা
মাকে ঐ ভাবি কাছে রেখে আসছি
জানিনা মা খাইছে কিনা সারাদিনে
মা না খেলেও ভাবি জিজ্ঞাস করবেনা খাইছে কিনা।কি করে ভালো থাকি বল তোরা।এতদিন তোদের সামনে সবারর সামনে হাসিখুশি থাকলেও আমি জানি আমি কতটা কষ্টে ছিলাম
দোস্ত ক্ষমা করে দেন তোদের এই বাপ মরা ছেলে টাকে
।
আমার চোখে পানি দেখে সকলেই কেদে দিয়েছে
আসিফঃদোস্ত তুই পাবিনা আমার ভাই হতে
আমার মা বাবার আর একটা ছেলে হতে
রাফিদঃ(চোখের পানি মুছে দিয়ে)আমরা আছিনা এত চিন্তা করিস কেনো
আর কিসের জন্য ক্ষমা চাচ্ছিস
আমরা কি কোনোদিন কিছু বলছি তোদের
হঠাৎ পিছন থেকে কারো কথা শুনলাম।পিছোনে ফিরে দেখি সুমায়া
-ও তাহলে এ বেপার।যে ছেলে সবসময় হাসিখুশি থাকে তার চোখে পানি মানায় না বুঝছেন।আপনি যখন বলেছেন যে বিরক্ত না করে লিখতে দেন
তখনি বুঝছি আমি কোনো না কোনো সমস্যা হয়েছে
ক্ষমা করবেন লুকিয়ে শোনার জন্য
সরাসরি তো বললেন না তাই শুনেছি
এরপর ব্যাগ থেকে মোবাইল বার করে কাকে যেন ফোন দিয়ে মাঠে আসতে বললো
।
কি করতে চাচ্ছে এ মেয়ে কিছুই বুঝতেছিনা
আমরা আগের মত বসেই আছি
একটু পর একজন এসে সুমায়াকে বলতেছে
কি হয়েছে মা
এরা কি কিছু করেছে
সুমায়াঃনা বাবা
।
বাবা। তারমানে সুমায়া তার বাবাকে ডাকছে
মাথা তুলে দেখি কলেজের প্রিন্সিপাল স্যার
তারমানে ইনিই সুমায়ার বাবা
সুমায়াঃবাবা আমি চাই এনার সবকিছু ফুল ফ্রি করা হোক
ওনার সমস্যার কথা পড়ে শুনিও।
আজ থেকে ইনি কলেজে কোনো টাকা দিবেন না
স্যারঃআচ্ছা এই কথাতো ফোনেও বলতে পারতি
সুমায়াঃনা বাবা সেটা বললে ইনি কখনো আমার পরিচয় জানতেন না
তাই আগ বাড়িয়ে নিজেই নিজের পরিচয় প্রকাশ করলাম
আর বাবা ইনি আজ থেকে সাজিদ কে পড়াবে।
এর জন্য ৪০০০ দিবো
উনি চাইলে আরো দিবো তবু পড়াতেই হবে
স্যারঃইমরান আমি জানি তুমি কিরকম
একটা কথা বলি
জানি তুমি আমার কথা ফেলতে পারবানা
আজ পর্যন্ত এর ব্যাতিক্রম হয়নি
আজও হবেনা মনে করি
পরিক্ষা শেষ হলে চলে আসিও পড়াতে
আমিঃহ্যা স্যার
।
কি হলো কিছুই বুঝলাম না
সুমায়াঃআসলে সেই প্রথমদিন থেকে আপনার কথা বাবার কাছ থেকে শুনতেছি
কখনো কলেজে আসা হয়নি তাই দেখাও হয়নি
প্রথমদিন আপনাকে দেখে মনে হইলো বেশ সুখি মানুষ আপনি
কিন্তু এর পিছনে যে এতবড় গল্প ছিলো তা জানা ছিলোনা
বাবা বলছে আমাকে আপনি নাকি পড়া লেখায় যেমন খেলাধুলা গানেও তেমন
আমাদের কলেজকে নাকি আপনি একাই জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন করেছেন
একাইেনাকি পুড়ো কলেজকে মাতিয়ে রাখেন
আর শোনেন ৫দিন পড় পরিক্ষা শেষ
পরিক্ষার দুইদিন পড় পিকনিকে যাব
আপনাকে যেন পাই সেখানে
আমিঃআমি কিভাবে যাব আমার কাছে তো টাকা নেই
ফোনটা বিক্রি করতে বলেন নাকি আপনি
সুমায়াঃআজব মানুষতো আপনি
টাকারর চিন্তা আপনাকে করতে হবেনা
আমি এখনি আসতেছি দাড়ান
আমিঃবসে আছি দাড়াতে পাবোনা আমি
সুমায়াঃপুরাই আজব
।
একটু পর সুমায়া ফিরে এসেই আমার হাতে ৪০০০টাকা দিয়ে বললো
সুমায়াঃঅগ্রিম বেতন দিয়ে দিলাম আমার ভাইকে পড়ানোর জন্যে
ও৬ এ পড়ে
পিকনিকের পড় থেকেই পড়াবেন বুঝছেন
আমিঃনা আমি নিবো না
আপনি আগে বলেন আমার জন্য কেন এসব করতেছেন
দেখেন আপনি যদি বন্ধু ছাড়া অন্য কিছু ভাবেন তাহলে এখনে সেটা ভুলে যান
আমার দ্বারা এসব হবেনা
আমার স্টাটাস আর আপনার স্টাটাস একনা
ক্ষমা করবেন আমাক
সুমায়াঃএত বেশি কথা বলেন কেন
বন্ধু এ ভাবি বুজছেন
আমিঃহ্যা
সুমায়াঃএখন থেকে তুই করে বলবেন
আর অন্য তিনটা বন্ধুধুরমত আমাকেও বন্ধু ভাববেন।
চলেন এখন খাওয়াবেন আমাদের
আমিঃহুম চল
।
এভাবেই কেটে গেলো ৬ টা দিন
আজ পিকনিক
পিকনিক জন্য আন্টি আমাদের জন্য দুইটা নতুন ড্রেস কিনছেন। সকালে উঠে ফ্রেস হয়ে এসে দেখি ফোনে মেসেজ এসেছে
কেউ মনে হয় ভুল করে বিকাশে ২০০০ টাকা পাঠিয়েছে।
একটু পড় ফোনে একটা মেসেজ আসলো
-ভাই আমার
ভুল বুঝিসনা আমাকে
তোর কি মনে হয় যে আমার কলিজার ভাই তাকে আমি বাসা থেকে বার করে দিবো
কখনো আমি স্বপ্নেও ভাবিনি ভাই যে এরকম হবে
তোকে বার করে না দিলে মাকে বাসা থেকে বার করতো তোরর ভাবি
মা বৃদ্ধ মানুষ কোথায় যাবে কোথায় খাবে
তাই আমি সেটা মানতে পারিনি
মায়ের জন্য পাবিনা তুই এটুকু সেকরিফাইস করতে
আর বাড়ি আমার নামে না তোর নামে রেজেস্টারি করা আছে ভাই।তোে ভাবি জানেনা এসব।জানলে হয়তো আমাকেই মাকে ছেড়ে যেতে হতো। কিন্তু আমি সেটা চাইনি ভাই তাই এরকম একটু নাটকক করেছি।তুই একটু কষ্ট করে এ বছর টা থাক।আমি এদিকে সব সামলে নিয়ে মা কে নিয়ে তোর কাছে চলে আসবো ভাই
বউকে ছাড়তে রাজি আছি আমি মা ভাইকে না
ভাই তোর মনে পড়ে সেসব দিনের কথা একসাথে ঘুরতাম খেলতাম
একবার তো বক্সিং খেলে তোর মাথা ফাটিয়েছি ভাই।
তুই অপেক্ষা কর আবার সব ফিরে নিয়ে আসবো তোর জীবনে
আমি জানি আজ তোর কলেজে পিকনিক তাই টাকাটা পাঠালাম
ওখান থেকে আমার জন্য কিছু নিয়ে আসবি কিন্তু
আর মায়ের জন্য চিন্তা করিসনা।ভালো আছে মা
ভালো থাকিস ভাই
টাকা লাগলে মেসেজ দিবি
ফোন দেস না।বুঝিসতো তোর ভাবি কেমন
।
মেসেজটা পড়ে পানি এসে গেছে চোখে
কিছু বলতে পাচ্ছিনা।
চোখটা মুছে আন্টির কাছে গিয়ে বিদায় নিয়ে চলে আসতেছি
আন্টি তখন ডাকদিয়ে আমায় ২হাজারর আর আসিফকে ২ হাজার দিয়ে বললো
আমার জন্য গিফ্ট আনতে ভুলবিনা কিন্তু
।
এরপর চলে আসলাম কলেজে
.
.
.
চলবে……….