ভালোবাসা_এমনও_হয়
Part_06,07
Writer_Nusrat_Jahan(লেখিকার আসল নাম)
Part_06
ইশান নেশাকে টেনে রুমে নিয়ে গেল।।প্রচুর পরিমানে রেগে আছে তা দেখেই বুঝা যাচ্ছে।।নেশা কিছুক্ষণ তাকিয়ে আবার হেসে দিলো।
নেশাঃ 😂😂😂😂😂
ইশানঃ 😡😡😡😡
নেশাঃ 🤫🤫🤫🤫একটুপর😂😂😂😂😂😂
ইশানের আর সহ্য হলো নাহ নেশাকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো।
নেশাঃ 😳😳😳
ইশানঃ নিহা, কনা আর লিমাকে তুই পার্কে যেতে বলেছিস তাই নাহ😡
নেশাঃ মাত্র ৩ জন🙄।।আমি তো মনে হয় ৭ জনকে বলেছিলাম।আর গুলোকে এক্টিভ পাইনি তাই মেসেজ দিতে পারিনি😆😆
ইশানঃ😡🤬🤬🤬তোকে তো আমি…..
নেশাঃ আচ্ছা ভাইয়া ওরা কি করছে গো😂😂😂।।ব্রেক আপ হয়নি তোমার🤣🤣
ইশানঃ হুহ। এতো….
হঠাৎ ইশানের মোবাইল এ কল আসলো।।নেশা উঁকি দিয়ে দেখলো নিহা ফোন দিয়েছে।
নেশাঃ যাও যাও তোমার গার্লফ্রেন্ড ফোন দিয়েছে😂
ইশানঃ 😏
ফোন ধরে-
ইশানঃ হ্যা বেবি বল
ওইপাশেঃ……….
ইশানঃ নাহ বেবি আসলে আমি অসুস্থ হয়ে গেছিলাম।।অনেক খারাপ লাগছিলো তাই তোমায় নাহ বলে চলে এসেছি।।আই এম সরি বেবি
ওইপাশেঃ……….
ইশানঃ না বেবি আই এম ওকে।।তুমি টেনশন নিও নাহ।
ইশানে খেয়াল করলো নেশা কান পেতে আছে কথা শোনার জন্য।
ইশানঃ আচ্ছা বেবি আমি তোমায় পরে ফোন দিচ্ছি।।এখন রাখি।। টাটা।।লাভ ইউ।
ইশান ফোন রেখে নেশাকে কিছু বলতে যাবে আবার ফোন আসলো।।এইবার লিমা।
ইশানঃ হ্যা বেবি
ওইপাশেঃ……
ইশানঃ আসলে আমি একটু অসুস্থ হয়ে গেছিলাম।।তাই না বলে….
ফাক দিয়ে নেশা কথা বলে দিলো
নেশাঃ তুমি এসে পড়।। তোমার বেবি তো তোমায় ছাড়া অসুস্থ হয়ে গেছে😂🤭
ইশান এক হাতে নেশার মুখ চেপে ধরলো।।নেশা উম্ম উম্ম করছে।।ইশান নেশাকে চোখ রাঙিয়ে অন্য হাতে কথা বলায় মনোযোগ দিলো।
ইশানঃনাহ বেবি আমি কোন মেয়ের সাথে নাহ।।আসলে আমি ডাক্তারের কাছে এসেছি।।ওইটা নার্সের গলা ছিলো।
ওইপাশেঃ……….
ইশানঃ আরে নাহ তোমার আসতে হবে নাহ আমি ঠিক আছি।।
ওইপাশেঃ…….
ইশানঃ আচ্ছা আমি তোমায়….আয়ায়ায়ায়ায়ায়া
নেশাঃ 😁😁
ইশানঃ নাহ কিছু নাহ লিমা।।আমি তোমায় পড়ে ফোন দিচ্ছি।
।
।
ইশানঃ তুই আমায় কামড় দিলি কেন।।রাক্ষসী 😡
নেশাঃ তো তুমি আমার দম বন্ধ করে ফেলছো।।আমি কি করবো
ইশানঃ তু……….
আবার ফোন বাজলো।
নেশাঃ 😂😂😂😂ধরো ধরো তোমার জানু ফোন দিয়েছে😂
ইশান রাগে মোবাইল অফ করে খাটে ছুড়ে মারলো।। তারপর নেশাকে আবার চেপে ধরলো।
ইশানঃ তোর মনে হচ্ছে নাহ আজ বেশি বেশি করে ফেলেছিস😤😤
নেশাঃ নাহ যদি সবাই একসাথে আসতো তাহলে মনে হত ঠিকাছে।।এখন কম কম মনে হচ্ছে😁😅।যদি ব্রেপ আপ হতো তাহলে ভালো হতো
ইশানঃ তা কেন শুনি।।আমার ব্রেক আপ করে তোর কি লাভ🤨🤨
নেশাঃ অবশ্যই লাভ।।আমার ভাই হয়ে এতো গুলো মেয়ের সাথে প্রেম করবে আর আমি মেনে নিবো তা কি হয়😒
ইশানঃ কেন তোর ভাই বলে কি প্রেম করতে পারবো নাহ
নেশাঃ পারবে নাহ কেন।কিন্তু অন্য মেয়েদের সাথে নাহ
ইশানঃ তাহলে কার সাথে করবো
নেশাঃ আরে আমা…….😶😶😶
ইশানঃ থামলি কেন বল😁
নেশাঃ ননাহ কিছু নাহ।।
বলেই নেশা চলে যেতে নিলো ইশান টেনে আবার দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো
ইশানঃ কিরে তুই কি লজ্জা পাচ্ছিস নাকি😂
নেশাঃ ককই নাহ তো
ইশানঃ তোর গাল গুলোতো টমেটো হয়ে গেছে🤣🤣
নেশাঃ 🙈🙈🙈
ইশানঃ আচ্ছা ঠিকাছে তোর কথাই হবে।
নেশাঃ মানে
ইশানঃ আমি আর অন্য মেয়েদের সাথে প্রেম করবো নাহ
নেশাঃ সত্যি 🤗
ইশানঃ হ্যাঁ সত্যি কিন্তু😉
নেশাঃ কিন্তু 🙄
ইশানঃ আমার গার্লফ্রেন্ডদের চাহিদা গুলো তো তোকেই পুরন করতে হবে তাহলে।।(নেশার ঠোঁটে আঙুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে)
নেশা শক।।কাপাকাপি শুরু করে দিলো।
ইশানঃ কিরে তোর কি ঠান্ডা লাগছে। এতো কাপছিস কেন😁
নেশাঃ ততুমি ঠোঁট থেকে হাত সসরাও😣
ইশানঃ ওমা কেন।।আমার তো ভালোই লাগছে তোর ভালো লাগছে নাহ বুঝি😉
নেশাঃ দদেখ ভভাইয়া ততু
ইশানঃ হায় হায় আমি তো যাস্ট এইটাই চাইছিলাম।।তুই কিনা সব দেখাবি।।ওকে দেখা আমি ও দেখি😂
নেশাঃ দেখ আমমি তোমার গগার্লফ্রেন্ড দদের মমতো হতে পারবো নাহ
ইশানঃ কেন পারবি নাহ।।তুই তো বললি অন্য মেয়েদের সাথে প্রেম না করতে। তাহলে তোর সাথে করবো।।আর প্রেমেতো এটা কমনই(বলেই আবার ঠোঁট স্লাইড করতে লাগলো নেশার)
নেশা আর কিছু বলতে যাবে ইশানের দিকে চোখ গেল।।ছেলেটার মুখে দুষ্টু হাসি।। তারমানে নেশার সাথে মজা নিচ্ছে।
নেশাঃ মনে মনে- তবে রে আমার সাথে মজা।।দেখাচ্ছি মজা।
নেশাঃ আচ্ছা ভাইয়া শুন
ইশান যে নেশার ঠোঁট ছেড়ে তার চোখের দিকে তাকাতে যাবে নেশা ক্যাচ করে ইশানের আঙুল কামড় দিয়ে দিলো
ইশানঃ আহহহহ
ইশান নেশার থেকে দুরে সরে গেল
ইশানঃ রাক্ষসী।। এই ভাবে কেউ কামড় দেয়।।আজ খালি তুই আমায় কামড়াচ্ছিস।।দাড়া তোর মজা দেখাচ্ছি।
নেশা তো ভো দৌড়।। ইশান ও পিছে পিছে দৌড়।
নেশা এক দৌড়ে রিনার ঘরে গিয়ে পৌছাল।
রিনাঃ অবাক হয়ে – কিরে দৌড়াচ্ছিস কেন
নেশাঃ না আম্মু এমনি।।
পিছন থেকে ইশান এসে রিনা কে দেখে ব্রেক মারলো
রিনাঃ কিরে তুই কখন এলি আর দৌড়াচ্ছিস কেন
ইশানঃ এই মাত্র আসলাম।আসলে দিন দিন মোটা হয়ে যাচ্ছি তো তাই একটু দৌড়াচ্ছিলাম।।হেহে😅( বোকা একটা হাসি দিয়ে)
রিনাঃ তাই বলে কলেজের ড্রেস না খুলেই
রিনাঃ🤨🤨🤨
ইশানঃ আসলে ভুলে গেছি চ্যাঞ্জ করতে 😶হিহি।। আচ্ছা বায়।।
বলেই ইশান পালালো।
।
।
।
।
।
।
।
পরেরদিন—
আজ নেশাকে ইশান কলেজে নিয়ে যাচ্ছে।।
গাড়িতে –
ইশানঃ শুন কলেজে গিয়ে বেশি ঘুরাঘুরি করবি নাহ
নেশাঃ আচ্ছা 😒
ইশানঃ যার তার সাথে বন্ধুত্ব করবি নাহ
নেশাঃ হুহ😏
ইশানঃ তুই মুখ বাকা করলি কেন😡
নেশাঃ তো কি করবো।। চুপচাপ ড্রাইভ করো নাহ।।কখন থেকে লেকচার দিয়ে যাচ্ছো।আমি কি ছোট বাচ্চা।।আমি কি কিছু বুঝি নাহ😒😒😒
ইশানঃ হ্যা বুঝিস তো কিভাবে প্যাচ লাগাতে হয়৷ আর আমার সাথে ঝগড়া লাগতে হয়।
নেশাঃ এই তুমি চুপচাপ ড্রাইভ করো তো।। না হলে এক্সিডেন্ট হয়ে যাবে।
ইশানঃ যা বলছি সব মন দিয়ে শুনবি।।।না হলে একদম কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দিবো।
নেশাঃ হুহ😒😒
ইশানঃ আর শুন কোন সমস্যা হলে আমায় বলবি।। ওকে
নেশাঃ 😒😒
ইশানঃ কিছু বলছি আমি
নেশাঃ শুনছি তো
ইশানঃ কথার কি ছিড়ি😡😡
নেশাঃ 😒
।
।
।
ইশান গাড়ি নিয়ে পার্কিং সাইডে চলে গেল।।।গাড়ি থেকে নেমে-
ইশানঃ আচ্ছা তুই একটু এখানে ওয়েট কর।।আমি তোর ফর্ম টা নিয়ে আসি।।
নেশা কে কিছু বলতে না দিয়ে ইশান চলে গেল।।
নেশাঃ আজব তো আমি এখানে কিছু চিনি নাহ।।আর আমাকে একা রেখে চলে গেল😡।
।
।
।
হঠাৎ নেশার ডাক পড়লো।।
সায়ানঃ হেই হটি এদিকে আসো
নেশাঃ আমি???!!!
সায়ানঃ হ্যা তুমি এদিকে আসো।
নেশা সামনে গেল।
সায়ানঃ কলেজে নতুন?
নেশাঃ জি
সায়ানঃ নাম কি
নেশাঃ নেশা
সায়ানঃ বাহ কি নাম তোমার।।তা নেশা করেছো নাকি😂😂
নেশাঃ মানে🤨
সায়ানঃ 😂😂
নেশা পিছনে তাকালো।।খেয়াল করলো কয়েকটা মেয়েই দাড়িয়ে আছে।।
নেশাঃ তোমরা এখানে দাড়িয়ে আছো কেন
সায়ানঃ ওদের সবার র্যাগিং হবে তাই।বাট এখন তোমার টা আগে করবো।
হঠাৎ আয়ান আসলো
আয়ানঃ কিরে কতোটুকু করলি
(আসলে আয়ান,সায়ান,আর ইশান বেস্টফ্রেন্ড। কিন্তু সায়ান নেশাকে চিনে নাহ।।আসলে ওইদিন পার্টিতে সায়ান যায়নি)
সায়ানঃ আরে দোস্ত একটা নতুন আইটেম পেয়েছি আগে এইটার কাজ করি।
আয়ান এতোক্ষণ নেশার দিকে খেয়াল করেনি।
আয়ানঃ আরে নেশা তুমি এখানে
সায়ানঃ ওরে তুই একে চিনিস
আয়ানঃ হ্যা ওতো….
সায়ানঃ বাদ দে।।আচ্ছা বলতো ওর কি র্যাগিং নেয়া যায়।
আইডিয়া ও যখন নেশা ওকে নেশাই করাই।
বলেই একটা সিগারেট ধরালো
আয়ানঃ আরে সায়ান তুই কি পাগল হয়ে গেছিস ওর র্যাগিং নিবি তুই
সায়ানঃ তুই চুপ থাক।
সায়ানের ঝাড়ি খেয়ে আয়ান চুপ হয়ে গেল।
আয়ানঃ তোর কপালে যে কি আছে-বিরবির করে
সায়ানঃ ওকে হটি এই সিগারেট টা হাতে নাও।
নেশাঃ সিগারেট কেন নিবো🤔
সায়ানঃ তুমি খাবে তাই
নেশাঃ ছি🤢🤢।।সিগারেট খুব বাজে গন্ধ
সায়ানঃ বাট এইটা তো তোমাকে খেতেই হবে।।না হলে যে আরো কঠিন শাস্তি পাবে
নেশাঃ আমি কিছুতেই খাবো নাহ।।আর আপনারা ও এইসব খাবেন নাহ।স্মোকিং ইজ ইঞ্জুরিয়াস ফর হেলথ
সায়ানঃ লেকচার দিতে বলিনি ম্যাডাম।চুপচাপ খাও।
নেশাঃ আপনার এতো সাহস।
জানেন নাহ কলেজে র্যাগিং এলাও না।ওয়েট আমি স্যারের কাছে আপনার নামে বিচার দিব।
সায়ানঃ ওরে বাবা আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম।
পাশের মেয়েটা নেশার কানে ফিসফিস করে বললো
মেয়েটাঃ যা করতে বলছে করে নাও।।না হলে কলেজে তোমার খুব অপমান করবে সবার সামনে
নেশাঃ কিন্তু কেন করবো
মেয়েটাঃ আরে ওদের একজন লিডার আছে খুব পাওয়ারফুল।। এই কলেজের বিপি।।তাই টিচাররাও ওদের কিছু বলে নাহ।।তাই করে ফেল যা বলছে।।না হলে পরে এই কলেজে পড়তেই পারবে নাহ।
নেশা মেয়েটার কথা শুনে ভয়ে ঢুক গিললো।। ও তো আর জানে নাহ মেয়েটি ইশানের কথাই বলছে।
সায়ানঃ কি হলো ধরছো নাহ কেন।।ওহ খেতে পারো নাহ।।ওকে আমি শিখিয়ে দিচ্ছি।।বলেই সিগারেট এ একটা টান দিয়ে সব ধুয়া নেশার মুখে ছাড়লো।।
নেশা কেশে উঠলো।
সায়ানঃ নাও এখন ধরো
নেশার খুব কান্না পাছে এইদিক সেদিক তাকিয়ে দেখছে ইশানকে পায় কিনা।।এইদিকে আয়ান ও কোথায় যেন চলে গেছে।।নেশা কাপাকাপা হাতে সিগারেট টা ধরতে নিবে
তখনই —–
চলবে
#ভালোবাসা_এমনও_হয়
#Writer_Nusrat_Jahan
#Part_07
তখনই কেউ একজন এসে সিগারেট টা নিচে ফেলে পা দিয়ে পিষে দেয়।।
সায়ান মুখ উঠিয়ে দেখে
।
।
।
।
।
সায়ানঃ আরে নিরব স্যার আপনি
(বলে ও দাড়িয়ে যায়)
(জি গল্পে নতুন কারো এন্ট্রি হইছে।।সবাই খালি ইশান আসছে ভাবছেন।
বাট আমি তো জিলাপি আপু তা কিভাবে ভুলে যাও😝তোমরা যা ভাববা তার ধারে কাছেও আমি থাকবো নাহ😁
।নিরব খান।।এই কলেজের জুলোজিকালের টিচার।)
সায়ান তাদের এতোটা কেয়ার করে নাহ।।বাট যেহেতু স্যার তাই রেসপেক্ট তো দেখাতেই হবে।
নিরবঃ কি হচ্ছে এখানে😡
নেশা এতোক্ষণে লোকটির দিকে তাকালো। লোকটির মুখ তার কাছে অচেনা। হা করে তাকিয়ে আছে।।
সায়ানঃ স্যার র্যাগিং হচ্ছে।কেন আপনার কোন সমস্যা 🤔😎
নিরবঃ তোমরা র্যাগিং করবে ভালো কথা।।কিন্তু আজ একটু বেশি হয়ে গেল নাহ।।কাউকে স্মোক করতে বাধ্য করতে পারো নাহ তোমরা।।
(আসলে সবাই জানে ইশান আর তার বন্ধুরা র্যাগিং করে।।।কিন্তু তাতে কোন স্যাররাই মাথা ঘামায় নাহ।।কারন যদি কেউ কিছু বলতে যায় তাহলে তার আর চাকরি থাকবে নাহ।।কিন্তু আজ হঠাৎ নিরব স্যার তাতে বাধা দিলো।।ব্যপারটি তে সায়ান অবাক হলেও ভয় পেল নাহ)
সায়ানঃ সো হোয়াট স্যার।। আপনি আপনার কাজ করুন আমরা আমাদের কাজ।।
নিরবঃ দেখ এইরকম চলতে থাকলে আমি প্রিন্সিপাল এর কাছে কমপ্লেন করতে বাধ্য হবো।
সায়ানঃ আহ স্যার কেন শুধু শুধু নিজের বিপদ ডেকে আনছেন।।
সায়ান আর কিছু বলতে যাবে তখন তার নজরে পরলো ইশান।।ইশান আর আয়ান একটু পিছনে দাড়িয়ে আছে।।
আসলে আয়ান গেছিলো ইশানকে ডেকে আনতে।।কিন্তু ইশান আসার আগেই নিরব এসে হাজির হয়।
সায়ানঃ আরে ইশান এসেছিস।।দেখ নাহ নিরব স্যার কি সব বলছে।।আমাদের নাকি র্যাগিং করতে দিবে নাহ।প্রিন্সিপালের কাছে কমপ্লেন করবে
ইশানের নাম শুনে নেশা পিছনে তাকালো।।দেখলো ইশান তার দিকে বাঘের চোখে তাকিয়ে আছে।।।কিন্তু কেন এইভাবে তাকিয়ে আছে তার মানে নেশা বুঝলো নাহ।।যাও একটু সাহস পেয়েছিলো ইশানের নাম শুনে ইশানকে দেখে সেই সাহস টুকুও ভয়ে পরিনত হলো।
।
সায়ান ইশানের জবাব না পেয়ে আবার জিজ্ঞাসা করলো।
সায়ানঃ এই ইশান কিছু বলছি তো
ইশানঃ হ্যাঁ!!! (হুস আসে)
সায়ানঃ স্যার নাকি প্রিন্সিপালের কাছে বিচার দিবে আমাদের নামে।
ইশান সামনে এগিয়ে আসলো
ইশানঃ হ্যা স্যার তো ঠিকই করেছে।।তোর নামে বিচার দেয়াই উচিত।।😡
সায়ানঃ হ্যা 😲😲😲(অবাক হয়ে।)
সায়ানঃ তোর কি হলো হঠাৎ আজ।।তুই কি র্যাগিং করতে নিষেধ করছিস🤨🤨
।
এইদিকে
নিরবঃ এই মেয়ে তুমি ঠিক আছো??
নেশাঃ জজি
নিরবঃ তা তোমার নাম কি
নেশাঃ জি নেশা
নিরবঃ ওহ নাইস নেম।।মনে হয় নতুন তাই আমায় চিনো নাহ।। আমি এই কলেজের টিচার।কোন হেল্প লাগলে আমাকে বলো।।
নেশাঃ জি স্যার
নিরবঃ আচ্ছা ক্লাস করবে তো। চলো তোমায় ক্লাস দেখিয়ে দেই।
নেশা একবার ইশানের দিকে তাকালো।।মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই নেশাকে জালিয়ে দিবে।
নেশাঃ মনে মনে- আল্লাহ এই ড্রাগন টা আজ এই ভাবে লুক দিচ্ছে কেন😣😣।।স্যারকে বরং না করে দেই
নিরব এইদিকে নেশার জবাব নাহ পেয়ে তার কাধে হাত দিলো।।
নিরবঃ হেই আর ইউ ওকে
নেশাঃ জজি স্যার। (হাতটা সরিয়ে)
নিরবঃ ওকে দেন চলো।
নেশা নাহ বলতে যাবে তার আগেই
ইশানঃ নেশা তুই গাড়ির কাছে যাহ আমি আসছি
ইশান এমন ভাবে বললো কথাটা যে নেশা ভয়ে মাথা নাড়িয়ে গাড়ির সামনে চলে গেল।।
নিরব পিছে পিছে যেতে নিলো ইশান আটকালো।
নিরবঃ🤨
ইশানঃ ধন্যবাদ স্যার ওকে আজ প্রটেক্ট করার জন্য
নিরবঃ ইটস ওকে।।এটা আমার ডিউটি।
বলেই আবার যেতে নিলো
ইশানঃ স্যার
নিরবঃ হোয়াট?
ইশানঃ স্যার আপনাকে প্রিন্সিপাল ডাকছে।।
নিরবঃ এখন?!
ইশানঃ জি স্যার
নিরব চলে গেল।।ডাহা মিথ্যা কথা।।নেশার কাছে যাওয়া আটকানোর জন্য ইশান এই কথা বলেছে।
।
সায়ানঃ এটা কি হলো ইশান। তুই ওই মেয়েকে ছেড়ে দিলি কেন😒।।মেয়েটা কিন্তু অনেক বোকা বোকা ছিলো।।আরেকটু হলে হয়তো সিগারেট টা খেয়েই ফলতো।।মাঝখানে স্যার এসে বাধা দি…….
সায়ান মাঝপথে থেমে গেল।।কারন ইশান রাগে ফুফাচ্ছে।।
ইশানঃ আমি চাইনাহ এখন তোর উপর দিয়ে সব রাগ দেখাতে।।সো চুপ থাক।।আর নেশার থেকে দুরে থাক।
বলেই ইশান হনহন করে বেরিয়ে গেল।
সায়ানের মাথায় কিছুই ঢুকলো নাহ।
সায়ানঃ কি হলো ব্যাপারটা 🤔
আয়ানঃ নেশা সায়ানের খালাতো+চাচাতো বোন
সায়ানঃ হোয়াট 😳😳😳😳
।
।
।
।
।
।
এইদিকে ইশান এসে সোজা গাড়ির দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে ধপ করে দরজা লাগিয়ে দিলো।।নেশা ভয়ে কেপে উঠলো।।
এইদিকে নেশা ঢুকবে কিনা বুঝতে পারছে নাহ।।ইশান তাকে ঢুকতেই বলছে নাহ।।অনেক সাহস নিয়ে যেই না বলতে যাবে
ইশানঃ গাড়িতে কি উঠবি নাকি রেখে চলে যাবো
নেশা তাড়াতাড়ি করে গাড়িতে উঠে গেল।।ইশান গাড়ি নিয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে পরলো।সেই কখন থেকে ইশান চুপচাপ ড্রাইভ করছে।।নেশা এটা ওটা জিজ্ঞাসা করছে।।ইশান কিছুই বলছে নাহ।।
নেশাঃ আরে আজব তো কথা কেন বলছো নাহ।।কি করেছি আমি।।এই রকম হুতুম পেচার মতো মুখ করে রেখেছো কেন
ইশানঃ….
নেশাঃ জানো আয়জ যদি ওই স্যার টা না আসতো তাহলে হয়তো এতোক্ষণে আমার র্যাগিং টা হয়েই যেত।।জানো আমি কতটা ভয় পেয়েছিলাম।।কোথায় ছিলে তুমি
ইশান স্যারের কথা শুনে গাড়ি জোরে ব্রেক মারলো।।
নেশাঃ আরে আরে কেউ এইভাবে ব্রেক মারে।।আর এই ভাবে বাঘের মতো তাকিয়ে আছো কেন🙄🙄
ইশানঃ আর সময় তো আমি কিছু বললে আমায় থাপ্পড় মেরে দিস।।আর আজ সায়ানকে কিছু বলতে পারলি নাহ।ভ্যা ভ্যা করে কান্না শুরু করে দিয়েছিলি😡😡😠
নেশা বুঝতে পারলো ইশান পার্টির কথা বলছে।।
ইশানঃ কি হলো জবাব দে🤬🤬
নেশা কেপে উঠলো ইশানের ধমক শুনে।।
নেশাঃ আয়াসলে এএককটা মমমেয়য়ে
ইশানঃ তোতলানো বন্ধ কর ইডিয়েট🤬🤬😡
নেশাঃ শালা ইদুরের বাচ্চা।।আমার উপর এই ভাবে চিল্লাছে আবার বলে তোতলানো বন্ধ করতে।।আমি কি ইচ্ছা করে তোতলাচ্ছি😣😣
ইশানঃ কি বিরবির করছিস।।জোরে বল😡
নেশাঃ আসলে ভাইয়া একটা মেয়ে বলেছিলো উনার কথা না মানলে নাকি কলেজে টিকতে দেবে নাহ তাই
ইশানঃ কেন কলেজ টা কি তার যে সে টিকতে দেবে নাহ
নেশাঃ নাহ তার নাহ।।আসলে তার বন্ধু নাকি ওই কলেজের বিপি তাই সবাই এমনকি টিচাররাও তাদের কিছু বলে নাহ।।
ইশানে ইচ্ছা করছে ঠাস ঠাস করে নেশার গালে দুইটা বসিয়ে দিতে।।মেয়েটা যে ইশানের কথাই বলেছে তা নেশা বুঝতেই পারেনি।।ইডিয়ট একটা।
ইশান কিছু নাহ বলে ড্রাইভিং এ মনোযোগ দিলো।
নেশাঃ দেখলো তুমিও ওই বিপির কথা শুনে ভয় পেয়ে গেলে।।আচ্ছা সবাই কি ওই বিপিকে ভয় পায়🤔😐।আচ্ছা উনি কি অনেক রাগি
ইশানঃ হুম অনেক রাগি।।আর বেশি কথা বললে মানুষকে ঠাস করে চড় মেরে দেয়
নেশা তো মাথা মোটা।। ইশান যে তাকে বলছে সে তো তা বুঝতেই পারছে নাহ
নেশাঃ কিহ চড় মেরে দেয়।।এতো সাহস।।কেন কলেজ কি তার বাপের কিনা নাকি হ্যা।।এই রকম মানুষকে তো উচিত উল্টো ঝুলিয়ে পিটানো।।
ইশানঃ কিহ বললি😡😡😡
নেশাঃ আরে আজব তুমি রাগছো কেন। আমি তো ওই কালা হনুমান বিপিকে বলছি
ইশানঃ তুই কিভাবে বুঝলি হনুমানটা কালো
নেশাঃ ওহ কালো নাহ বুঝি।।তাহলে ধলা হনুমান। এখন ঠিকয়াছে।।
ইশানঃ হুম( দাতে দাত চেপে)
নেশাঃ এই রকম মানুষদের এইসব পাওয়ার দেয়াই উচিত নাহ।।
ইশানঃ ওকে পাওয়ার দেয়া হয়নি।।সে নিজের যোগ্যতায় পেয়েছে।।
নেশাঃ আরে এই রকম মানুষকে চিনা আছে।।কোন যোগ্যতা নাহ।।এগুলো ছ্যাচড়ামো,মারামারি করেই দেখো গিয়ে এই পাওয়ার হাতিয়ে নিয়েছে।।শয়তান একটা।।আজ ওই ছেলেটার জন্য আমাকে র্যাগিং এর শিকার হতে হয়েছে।।
ইশানঃ এতে যে ওর দোষ আছে তুই কিভাবে বুঝলি।।ওতো এই সম্পর্কে জানতো ও নাহ।
নেশাঃ আহ ভাইয়া তুমি এতো ওই ছেলের হয়ে সাফাই গাইছো কেন।।সব দোষ ওই ছেলেরই।। ওকে সামনে পেলে তো আমি…
ইশান আবার ব্রেক মারলো।
নেশাঃ 🤨🤨
ইশানঃ তুই?🤨
নেশাঃ কি আমি।। আর গাড়ি থামালে কেন
ইশানঃ আগে বল সামনে পেলে কি করবি
নেশাঃ মেরে হাড্ডি গুড়ো করে দিবো।
ইশানঃ তাই বুঝি🤔
নেশাঃ হু(ভাব নিয়ে)
ইশানঃ তাহলে তো একদিন তোকে বিপির সাথে দেখা করাতেই হয়।
নেশাঃ তা আর বলতে
ইশান বাঁকা হাসি দিয়ে আবার ড্রাইভিং এ মনোযোগ দিলো।।নেশা বুঝতে পারলো নাহ এই হাসির মানে।সে মাথা ঘামালো ও নাহ
।
।
হঠাৎ
নেশাঃ এই ভাইয়া গাড়ি থামাও,গাড়ি থামাও(চিৎকার করে)
ইশানঃ কি হলো চিৎকার করলি কেন
নেশা চুপচাপ আইসক্রিম ব্যানের দিকে তাকালো।।ইশান বুঝতে পারলো ব্যাপার টা।
ইশানঃ নেভার।
নেশাঃ প্লিজ ভাইয়া।। একটু খাবো।
ইশানঃ নাহ এগুলো আন হেলদি 😡।তোকে আইসক্রিম পার্লার থেকে খাওয়াবো পরে।। বাট এইখানে নাহ।
নেশাঃ আচ্ছা আইসক্রিম পার্লারে ও খাইও। বাট এখন এই খানে খাই।বলেই নেশা বেরিয়ে গেল।
ইশান ও উপায় না পেয়ে পিছে পিছে গেল।।
নেশাঃ দাদা একটা চকলেট ফ্লেভার দিন।।ভাইয়া তুই কোনটা খাবি
ইশানঃ নাহ তুই খা।
নেশা নিয়ে খেতে লাগলো।।ইশান টাকা দিয়ে দিলো।।নেশা চুপচাপ খাচ্ছে তার মনের সুখে।।
একটুপর নেশার চোখ গেল ইশানের দিকে।।ইশান নাক টাকে আকাশে তুলে রেখেছে।।
নেশাঃ ঢং এমন করার কি আছে।।।😒
ইশানঃ এগুলো কেউ খায়🤮।এর থেকে আইসক্রিম পার্লারে গেলে ভালো হতো নাহ।
নেশাঃ আচ্ছা এখানে খেয়ে নেই তারপর আইসক্রিম পার্লারে যাবো😋😋😋
ইশানঃ তুই যে দিন দিন মোটি আর রাক্ষসী হয়ে যাচ্ছিস তা কি তুই জানিস😡।যার জন্য এই রাস্তায় ওই এইসব খাওয়া শুরু করেছিস।
নেশাঃ হুহ।।নে একটু খেয়ে দেখো কি মজা।
ইশানঃ না আমি খাবো নাহ এইসব রাস্তার আইসক্রিম।
নেশাঃ আরে খাও নাহ অনেক মজা।
নেশা জোর করে ইশানকে এক কামড় খাইয়ে দিলো
নেশাঃ কি মজা নাহ😋🥰
ইশানের ওতোটা খারাপ লাগেনি।।তবুও
ইশানঃ ছি কি বাজে।।আমার মুখের টেস্ট টাই নষ্ট করে দিলো।।ইয়াক🤢🤢🤢
নেশাঃ নে আরেক কামড় খা।
ইশানঃ ছি নাহ তুই খা।
নেশাঃ 😏😏😏😏
পরেরদিন
ইশান আজ ও নেশাকে সাথে করে নিয়েই কলেজে এসেছে।।।নেশাকে তার ক্লাসে দিয়ে ইশান চলে গেল।।
নেশা ক্লাসে ওই মেয়েটাকে দেখতে পেল।
নেশাঃ হেই তুমি।।কেমন আছো।
মেয়েটিঃ ভালো। তুমি
নেশাঃ আমিও ভালো।।তোমার নাম কি।
মেয়েটিঃ রোজা।।আর তোমার নাম তো নেশা তাই নাহ
নেশাঃ হ্যা
রোজাঃ আহ কাল যা একটা কান্ড হলো নাহ।।বিপি ভাইয়া সায়ানকে যা ঝাড়ি দিলো
নেশাঃ বিপি ভাইয়া? উনি ওখানে এসেছিলো?
রোজাঃ হ্যা এসেছিলো তো।।তোমাকে না ধমকিয়ে গাড়িতে উঠালো।।আচ্ছা উনি তোমার কে হয়
নেশাঃ হ্যা! আমাকে গাড়িতে উঠিয়েছে🤔।।কিন্তু আমাকে তো-মনে মনে
নেশাঃ আচ্ছা বিপি ভাইয়ার নাম কি
রোজাঃ ইশান চৌধুরী 😇
নেশাঃ কিহহ😳😳😳😳😳(বলেই চেয়ার থেকে দাড়িয়ে গেল)
চলবে