#ভালোবাসার_ভিন্ন_রং
#সাইয়্যারা_খান
#পর্বঃ১৭
রাতুল রোদকে ক্যাফেতে যাওয়ার কথা বললেও রাজি হলো না রোদ ভয়ে। আদ্রিয়ান জানলে খবর ই বানিয়ে ছাড়বে। আবার রাতুলকে ও না করতে পারছে না। তাই ভদ্রতার খাতিরে বললো,
— আসলে ভাইয়া আমাকে নিতে আসবে একটুপরই।
— ওহ্ তাহলে চলো বাকি পথটুকু যেতে যেতে কথা বলি।
নাছর বান্দা রাতুল। অগত্যা রোদ আর রাতুল পাশাপাশি হাটতে হাটতে বাইরে এলো। রাতুল কথার মাঝে বললো,
— গত কাল রাতের জন্য আ’ম ভেরী সরি।
রোদ অপ্রস্তুত হলো। তবুও বললো,
— ইটস ফাইন ভাইয়া।
— ধন্যবাদ ও দেয়ার ছিলো।
— কেন?
— কাল রাদকে পাঠালে তাই। ও মে’বি আমাকে মাফ করে দিয়েছে। কাল রাতে তোমাদের বাসায় নিয়ে গিয়েছিলো। কেউ দেখেনি অবশ্য। বন্ধু ফিরত পেলাম অনেক দিন পর। ধন্যবাদ।
রোদ একটু হাসলো। যাক ভালো কিছু হয়েছে কাল। রাদ আর রাতুল খুবই ভালো বন্ধু ছিলো। এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে সব নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। এখন যেহেতু রোদ নিজেও স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে তাই এসব দেনা মোনা না করাই বেটার। ওরা গেটের কাছে আসতেই রাতুল বললো,
— যাক তোমাক বডিগার্ড আজ ব্যাস্ত নাহলে কথা বলতে দিত না।
রোদ ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলো,
— বডিগার্ড?
— আর কে ড.ইয়াজ।
রোদ ফিক করে হেসে দিলো। রাতুলও হেসে দিলো। যথেষ্ট দূরে থেকে তাদের মধ্যে কথা হচ্ছিল তবুও কারো কাছে বিষের মতো লাগলো এই দৃশ্য। চক্ষু সূল মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে টেনে রোদকে নিয়ে আসতে। নিজেকে শান্ত করতে অপারগ হচ্ছে আদ্রিয়ান। গাড়ীর কাচ দিয়ে দেখা দৃশ্যটা যেন বুকে ব্যাথা দিচ্ছে। নিজেকে সান্ত্বনা দিলো আদ্রিয়ান। কথা বলা স্বাভাবিক। হাসা ও স্বাভাবিক। এখন তো রোদ আদ্রিয়ানের। তাহলে সমস্যা কি আর? এসব কিছু ভেবে ভেবে নিজেকে শান্ত করলো আদ্রিয়ান। ওমনি কাচে ঠক ঠক আওয়াজ হলো। তাকাতেই দেখলো রোদ দাঁড়িয়ে আছে। রোদ আবারও নক করে বললো,
— লক খুলুন।
আদ্রিয়ান লক খুলতেই রোদ বায়না করলো,
— চলুন না টি এস সি যাই।
আদ্রিয়ান ভেতর থেকেই বললো,
— বিকেল হয়ে আসছে রোদ।খাবে বাসায় চল।
— প্লিজ প্লিজ মোমস খাব।
— জেদ করে না। বাড়ী চলো।
রোদ মুখটা পেচার মতো করে গাড়ীতে ধুপ করে বসে ধাম করে ডোর লাগিয়ে ব্যাগটা পিছনে ছুড়ে মারলো। সিট বেল্ট বেঁধে মুখটা জানালার দিকে করে বসে রইলো।
কি হতো গেলে? আরে ভাই রোদতো এক প্লেট মোমস আর সাথে হয়তো এক প্লেট ফুচকাই খেত। তোর কি টাকায় টান পরতো? নাকি ব্যাবসা চাঙ্গে উঠতো? কি হবে তোর টাকা দিয়ে যদি বউকেই খাওয়াতে না পারিস?
কথাগুলো আদ্রিয়ানকে উৎসর্গ করলো রোদ। আদ্রিয়ান এতক্ষণ রোদকে পর্যবেক্ষণ করলো। গাড়ী স্টার্ট দিতে দিতে ভাবলো, কি হতো মেয়েটাকে নিয়ে গেলে? এমন টা না করলেও পারতাম? মনকে হাজার বুঝ দিলেও কেন জানি কিছু একটা বেঁধেই যাচ্ছে আদ্রিয়ানের মস্তিষ্কে। কোন ছেলের সাথে সহ্য হয় না রোদকে। বাজে চিন্তা ভাবনা এসে তাড়া করে। আদ্রিয়ান হাজার বার জানুক রোদ তেমন না। মন তা সহজে মেনেও যায় কিন্তু মানতে চায় না এই মস্তিষ্ক।
_____________
বাসায় লেগে গেল এলাহি কান্ড। জাইফ সোজা ভাবে বলে দিয়েছে জাইফাকে ও কিছুতেই বিয়ে করবে না। না মানে না। এ নিয়ে মামির আহাজারি। এ দিন দেখার জন্য বেঁচে ছিলেন উনি সহ আরো কত কি। জাইফও গলবার পাত্র না। সোজা ভাবে বললো,
— আম্মু এসব মেলোড্রামা করে লাভ নেই। আমার পছন্দ আছে। মেনে নিলে ভালো নাহলে আমার বউ নিয়ে ভেগে যাব আমি।
মামি হাহাকার করে বললো,
— বউ! তুই কি বিয়ে করে ফেলেছিস?
— উফ বিয়ে করি নি। করব সামনে।
এসব নিয়েই লেগে গেল ঝামেলা। আদ্রিয়ান বাসায় এসে সব শুনে শুধু বাঁকা হাসলো। জাইফকে ও ই উস্কে দিয়েছিলো। পছন্দ আগে থেকেই আছে। আদ্রিয়ান শুধু আগুনে হাওয়া দিয়েছে।
.
রোদ ফ্রেশ হয়েই জারবার রুমে ডুকে মিশিকে দেখে আসলো। ঘুমাচ্ছে মে’য়েটা। রোদ ওর কপালে চুমু খেয়ে রুমে ডুকলো। আদ্রিয়ান খাবার নিয়ে বসে আছে কাউচে। দীর্ঘ শ্বাস ফেললো রোদ। কার সাথে রাগ করবে? এই আদ্রিয়ানের সাথে? যাকে ছাড়া ইদানীং নিজেকেও কল্পনা করা যায় না। যত রাগ ই করুক না কেন রোদ দিন শেষে তো এই আদ্রিয়ানের বুকেই ঠাই হয়। ছোট আবদার টা চাইলেই তো আজ আদ্রিয়ান পূরণ করতে পারতো কিন্তু করলো না। রোদ ভাবলো হয়তো কিছু নিয়ে টেনসড আদ্রিয়ান তাই যেতে চায় নি। এখন আবার খাবার নিয়ে বসে আছে। নিশ্চিত রোদ গেলেই নিজ হাতে খায়িয়ে দিবে। ঠিক হলোও তাই। যেই না রোদ সামনে এসে বসলো আদ্রিয়ান ভাত মেখে মুখে তুলে দিলো। রোদ মুখ খুলে খেয়েই পটর পটর শুরু করলো। যেন খেয়ে ওর শক্তি ফিরে এসেছে। আদ্রিয়ান খেতে খেতে শুনছে ওর কথা। এক চিলতে মেঘের আড়ালে যেন সূর্য রুপের হাসি ফুটলো আদ্রিয়ানের ঠোঁটে। খাওয়া শেষ হতেই রোদ সব গুছিয়ে রেখে এসে বললো,
— আমি কিন্তু রাগ করেছি। নিয়ে যান নি আজ।
আদ্রিয়ান ওকে টেনে কাছে এনে বললো,
— অন্য দিন নিয়ে যাব।
— প্রমিজ।
— প্রমিজ।
আদ্রিয়ান রোদের ভেজা চুলের এক গোছা চুল হাতে নিয়ে ঘ্রাণ নিতে লাগলো। রোদ অপলক তাকিয়ে রইলো। আদ্রিয়ানের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে রোদের ভেজা চুলের ঘ্রাণ নেয়া। রোদ চোখ বুজে নিলো। আদ্রিয়ান ঠোঁট ছোঁয়ালো ভেজা চোখের পলকে। ভুলে গেল সকল ঘটনা। অজাচিত সকল চিন্তা। রোদকে জড়িয়ে নিয়ে শুয়ে বললো,
— একটু রেস্ট নাও।
— আপনি কি চলে যাবেন এখন?
— উহু। মিটিং সব সকালেই শেষ আজ।
— ওহ।
আদ্রিয়ান বুকে মুখ গুজে ঘ্রাণ নিয়ে রোদ আরামে শুয়ে রইলো। আদ্রিয়ান ও ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। মেয়েটা একদম আদুরে। নাদুসনুদুস রোদটাকে অনেক ভালোবাসে আদ্রিয়ান।
আদ্রিয়ানেরও চোখ বুজে আসছিলো ওমনিই মেসেজ টোন বেজে উঠলো রোদের ফোনে। আদ্রিয়ান কি মনে করে হাতে নিতেই দেখলো রিতায়া নামের একজন ম্যাসেজ করেছে,” রুদ্রিতা বাসায় পৌঁছেছো? খেয়েছো?”
আদ্রিয়ানের খটকা লগলো। রোদের এই নামের কোন বন্ধুবী আছে বলে তো জানে না আদ্রিয়ান। হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠলো। মনের খচখচনাতিতে রিসিভ করলো আদ্রিয়ান। ওমনি কানে এলো,
” রুদ্রিতা। কাল একটু দেখা করবে। কিছু কথা ছিলো।”
উত্তর দিলো না আদ্রিয়ান। ওপর পাশের ব্যাক্তি আরো কিছু বললেও তা শুনতে পেল না আদ্রিয়ান। কল্পনায় ভেসে উঠলো অতীতের কিছু জঘন্য স্মৃতি।
অতীত~
মাত্রই সাওয়ার থেকে বের হলো আদ্রিয়ান। ছোট্ট মিশান খেলনা দিয়ে খেলতে ব্যাস্ত। আদ্রিয়ানকে দেখেই আওয়াজ করে ডাকতে লাগলো,
— বাবা। বাবা।
আদ্রিয়ান হেসে কাছে যেতেই মিশানের বায়না খেলতে হবে। নতুন নতুন কাজ করে তখন আদ্রিয়ান। অফিসে যেতে হবে জরুরি মিটিং এ। তাই মিশানকে কোলে তুলে ডাকলো,
— ইশা? ইশা?
মাইশা বারান্দায় ফোনে কথা বলছিলো। বিরক্ত হয়ে রুমে ডুকে বললো,
— কি হয়েছে?
— একটু মিশানের সাথে খেলো। অফিসে যাব আমি।
— কথা বলছি আমি এখন। তুমি যাও। আমি দেখছি।
আদ্রিয়ানকে রেডি হতে দেখেই মিশান কেঁদে উঠলো। মাইশার ঐ দিকে খেয়াল নেই। বারান্দায় কথা বলছে ফোনে। আদ্রিয়ান রেডি হয়ে মিশানকে কোলে তুলে বের হলো। ভাবলো নিচে মায়ের কাছে দিয়ে যাবে। কিন্তু নিচে মাকে না পেয়ে রুমে আসতেই দেখলো মাইশা ওয়াসরুমে। আদ্রিয়ান দরজায় নক করে বললো,
— ইশা মিশানকে রেখে গেলাম।
— যাও।
মিশানকে আদর করে রেখে যেতেই হঠাৎ মাইশার কল আসে যেটাতে একটা মেয়ের নাম লিখা। আদ্রিয়ান রিসিভ করতেই একটা ছেলের কন্ঠ কানে আসে। ছেলেটা কিছুটা অপ্রীতিকর কথা বলতেই পেছন থেকে মাইশা ফোন কেড়ে নিলো। আদ্রিয়ান কিছু বলার আগেই মাইশা কিছুটা রেগে মিশানকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। যা বুঝার আদ্রিয়ান বুঝে যায়। ঐ দিন নির্বাক ছিলো আদ্রিয়ান। কিছুই বলতে পারে নি।
.
বর্তমানে~
রোদ আদ্রিয়ানের বুকে ঘুমন্ত। অতীত মনে পরতেই আদ্রিয়ান যেন হিংস্র হয়ে উঠলো। কোনমতেই নিজের ভেতরের হিংস্রতা দমিয়ে রাখতে পারলো না। বুক থেকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো রোদকে। ঘুমন্ত রোদ কিছু বুঝার আগেই আদ্রিয়ান টেনে দাঁড় করালো রোদকে। হঠাৎ এমন হওয়ায় কিছুই বুঝতে পারলো না রোদ শরীর শুধু থরথর করে কাঁপতে লাগলো। চোখ খুলেছে ঠিকই কিন্তু সব ঝাপসা মনে হচ্ছে। ঘুমন্ত কাউকে হঠাৎ করে দাঁড় করিয়ে দিলে যা হয় আর কি। আদ্রিয়ান কম্পমান রোদের এক বাহু চেপে ধরে ফোনের মেসেজ বের করে ধমকে জিজ্ঞেস করলো,
— কে করেছে এই ম্যাসেজ?
রোদ তখনও কাঁপছে। কিছু বলার অবস্থায় নেই ও। আদ্রিয়ান এবার চিৎকার করে বললো,
— এই বল কে ও?
রোদ চোখ ঝাপটালো বারকয়েক। তখনও কেঁপে যাচ্ছে। আদ্রিয়ান চাপ বাড়াতেই রোদ অস্পষ্ট দেখে বললো,
— রা.ত.তুল ভাই।
কথাটা বলতে দেড়ী কিন্তু রোদের গালে সজোরে থাপ্পড় পড়তে দেড়ী হয় নি। এমনিতেই ঘুমন্ত রোদের শরীর কম্পমান ছিলো। শক্ত পুরুষের এমন থাপ্পড়ে ছিটকে পড়লো খাটের সাইডে। সাইড টেবিলের কোনা যেয়ে বিধলো কপালে। ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠলো রোদ। আদ্রিয়ান যেন ভিন্ন রুং ধারণ করলো। রোদের ঘাড় চেপে ধরে রাগে গজরাতে গজরাতে বললো,
— এই তোকে বলেছিলাম না ওই ছেলের সাথে কথা বলবি না। শুনিস নি আমার কথা। আজ? আজও হেসে হেসে কথা বলছিলি। মেয়েদের নাম দিয়ে সেফ করে কথা বলিস? এই তোর সাহস কত? ওই রাতুলের কাছে যাবি? ভালো মনে করেছিলাম তোকে কিন্তু তুই ও..ওর মতো৷ স্বামী রেখে অন্য ছেলের সাথে ঢলাঢলি তোদের। আজ দেখ কি করি তোকে। বলেছিলাম না ছাড়ব না জোর খাটাবো।
রোদের অবস্থা এমনিতেই খারাপ হয়ে গিয়েছে। জীবনে প্রথম কেউ গায়ে তুললো। তারমধ্য এমন ঘুম থেকে টেনে তুলায় ওর মাথা ঘুরাচ্ছে, বমি বমি পাচ্ছে। অঝোর শুধু চোখ দিয়ে পানি পরছে। কোনমতে কপাল চেপে বসে আছে। আদ্রিয়ান হেচকা টানে দাঁড় করিয়ে বিছানায় ছুঁয়ে মারলো রোদকে। রোদের হাতে তখন কপালের র*ক্ত দিয়ে ভরা। আদ্রিয়ান ঐ হাতে চাপ দিতেই আদ্রিয়ানের হাতের র*ক্ত লেগে গেল। কিন্তু হুস নেই আদ্রিয়ানের। রোদকে নিজের কাছে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠলো আদ্রিয়ান। দিক বিদিক ভুলে গেল যেন। রোদকে নিজের করে নিতে চাইছে। একান্ত নিজের করে নিতে যাতে রোদ আর কখনও ওকে ছেড়ে না যেতে চায়। পুরুষত্ব ফলাতে চাইলো আদ্রিয়ান। ওর শুধু মনে হচ্ছে এটাই একমাত্র মাধ্যম রোদকে নিজের কাছে আটকে রাখার।
_______________
কিছু দূর এগিয়েও থেমে গেল আদ্রিয়ান। এ যেন পথভ্রষ্ট কেউ হঠাৎ পথ খুজে পেল। প্রায় অজ্ঞান রোদের উপর থেকে উঠে এলো। কি করতে যাচ্ছিলো মাত্রই ভাবতেই গায়ে কাটা দিয়ে উঠলো আদ্রিয়ানের। নিজের উপর ঘৃণা জন্মালো। ও কি না এমন জঘন্য কাজ করতে চাইছিলো। হাজার হোক স্ত্রী। বিয়ে করা বউ। সবার আগে সে একটা মেয়ে। তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করা মানেই রেপ। আর বিয়ের পর এটাকে মেরিট্যাল রেপ করা হয়। আদ্রিয়ান কি না এতোটা নিচে গেল। ভাবতেই নিজেকে শেষ করে দিতে মন চাইলো। রোদের দিকে ফিরেও তাকালো না। ফ্লোর থেকে টিশার্ট তুলে পরে নিলো। আলমারি থেকে কম্ফোডার বের করে রোদের অনাবৃত শরীর ঢেকে দিলো। তাকানোর সাহস হলো না রোদের দিকে। এসির টেম্পারেচার কমিয়ে ফোন নিয়ে বেরিয়ে গেল আদ্রিয়ান। বাহির হতে দরজা লাগিয়ে চলে গেল।
.
এদিকে প্রায় অর্ধজ্ঞান রোদ পড়ে রইলো বেডে। কপালের র*ক্ত এখনও চুয়ে চুয়ে পরছে। গলায়,ঘাড়ে, পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে যার দাতা স্বয়ং আদ্রিয়ান। শক্ত কামড়গুলোতে যেন রোদের শরীর নিংড়ে নিতে চাইছিলো। কাঁদতে ও পারছে না রোদ। অসহ্য যন্ত্রণায় গুমরে কেঁদে উঠলো রোদ।
মা-বাবার আদরের মেয়েটা আজ বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে আছে যাকে ধরার মতো ও কেউ নেই আজ। পড়ে রইলো রোদ। একসময় আস্তে করে চোখটা বুজে নিলো।
#চলবে…
[ বর্ধিতাংশ আসবে। ]
( যারা আমার ই-বুক “চাঁদ তাঁরা” পড়েন নি পড়ে ফেলুন ঝটপট। লিংক কমেন্টে।)