ভালোবাসার টান part:5,6

ভালোবাসার টান
part:5,6
writer:Tanzidaa Jannat❤Jannatul Ferdousy

5

হঠাৎ কারো শব্দে ঘোর ফিরে,,,,,,,,মিসকার

ইফতিঃ এই যে মিস কি হলো আপনার? হাতে তুরি দিয়ে

মিসকাঃ হ্যা,,,,,,না মানে ( মিসকা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় তাহলে কি এতোক্ষন সব আমার কল্পনা ছিলো😱আল্লাহ দিনের বলা জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছি আমি😵কি ই বা করবো যে ভয় পেয়ে আছি মনে হচ্ছে রাক্ষসের গুহায় ঢুকেছি

ইফতিঃ এই যে মিস আপনি কি কানে কালা নাকি? এতোক্ষন ধরে ঐখানে দাড়িয়ে কি ভাবছেন

মিসকা ঃ না মনে আসলে স্যার আমার ( বলতে না বলতেই)

ইফতিঃ আমি আপনার ফাইল থেকে কাগজ পত্র দেখেছি। দেখে মনে হলো আপনি এখন চাকরি খুজছেন??

মিসকাঃ হ্যা,,,,,🙁না ইয়ে মানে হ্যা,,,

ইফতিঃ আমি আপনাকে আমার কোম্পানিতে চাকরি দিবো।কাল থেকে জয়েন্ট করবেন,,,

মিসকাঃ কাল থেকে😱( মনে মনে ভাবছে যতোটা খারাপ ভেবেছি ততোটা খারাপ নন বজ্জাতটা)

ইফতিঃ হ্যা,,,,,,তবে আপনাকে রুলস সব মেইনটেইন করে চলতে হবে। আর এই পেপারগুলোতে সাইন করে দিন।

মিসকাঃ কিসের পেপার এগুলো?(পেপার গুলো হাতে নিয়ে)

ইফতিঃ আমার একদম পছন্দ না কেউ আমার কাছে কৈফিয়ত চাওয়া।চাইলে আমার মেজাজ গরম হয়ে যায়।
(মিসকার হাত থেকে পেপারগুলো টান দিয়ে নিয়ে বললো)

মিসকাঃ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে

ইফতিঃ সাইন করতে বলেছি so, সাইন করুন। ( রাগি গলায়)

মিসকাঃ সাইন করে দিলো।, (আর মনে মনে ভাবলো সাইন করতে অসুবিধা কি হয়তো দরকারী কাগজ হবে)

ইফতিঃ আর হ্যা,,,,,, কাল থেকে আপনি এই বাসায়ই থাকবেন আর আমার মেয়ে( কিছুটা থেমে)মানে হিয়ার দেখা শোনা করবেন।

মিসকাঃ মানে? (কিছুটা ভ্রু কুচকে)

ইফতিঃ কথা বার বার রিপিট করা আমি একদম পছন্দ করি না যা শুনেছেন একদম ঠিক শুনেছেন।আপনাকে আমি চাকরিটা দেওয়ার মুল কারনই হলো হিয়া।

মিসকাঃও আচ্ছা তাহলে আপনি আমাকে আমার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ দেন নি??আপনার কাজ হাসিল করার জন্য আমার উপর শুধু দয়া দেখিয়েছেন মাত্র??
আমি কি বোকা আপনার কথাগুলো চুপচাপ শুনলাম আর মেনেও নিলাম না হেসে পারলাম না। কিন্তু মি. ইফতি আমার দরকার নেই আপনার করুনার আমি এ চাকরি করতে পারবো না চলি,,,,,,
( মিসকা চলি বলে পা ফালানোর আগেই ইফতি মিসকার হাত ধরে ঘুরিয়ে মিসকার পিছনে হাত চেপে ধরলো)

( মিসকা ভাবতে লাগলো আবারও কি আমি কল্পনা করছি নাকি কিন্তু তার ঘোর কাটলো ইফতির কথা তে। নাহ আমি তো স্বপ্ন দেখছি না আমার এখন বারোটা বাজাবে কেনো যে বজ্জাত টার সাথে আমার দেখা হলো।আম্মুগো তুমি বাচাও😭)

ইফতিঃ আপনাকে আমি জিগ্যেস করি নি আপনি চাকরি করবেন কি না😠আমি আপনাকে বলেছি কাল থেকে জয়েন্ট করেন মানে করবেন ব্যাস,,আপনার সাহস দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি আমার সাথে এমন ভাবে কথা বলার সাহস হয় কি করে আপনার??

মিসকাঃ আমার হাত ছাড়ুন আমার লাগছে,,,,,,আর আপনি আমাকে এভাবে জোর খাটাতে পারেন না,,,,, আ,,,,,আমার ইচ্ছা আমি চাকরি করবো কি করবো না (ভয়ে ভয়ে কথাগুলো বলছে।আর মনে মনে বলছে আল্লাহ আমায় বাঁচাও এই রাক্ষস টা আমায় মেরে ফেলবে😭)

ইফতিঃ হাতটা আরো চেপে ধরে বললো,,,, তুমি করতে বাধ্য কারন ৪ বছরের কন্ট্রাক পেপারে তুমি অলরেডি সাইন করে দিয়েছেন।(বলেই হেসে দিলো)

মিসকাঃ গায়ের জোর দিয়ে ঝারি দিয়ে হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে বললো কি বললেন😱

ইফতিঃ জ্বি হ্যা,,,, মিস মিসকা,,,,কাল থেকে অফিসে আসবেন। আর এই বারিতেও। আমার কথার নরচর হলে বুঝেনই তো আমি কি করবো। (একটা ডেভিল মার্কা হাসি দিয়ে)চলে গেলো

মিসকাঃ ঐখানেই বসে পরলো।একি ঝামেলায় পরলাম। ফাহিমা ঠিকই বলে আমি ইচ্ছে করে ঝামেলায় জড়াই,,,,😭(হাতটা পুরো লাল হয়ে আছে) রাক্ষস,উরনচন্ডি,বদমাশ, বদমেজাজির হাড্ডি,,,,, শয়তানের খলিফা একটা আমাকে এমনভাবে ট্রাপে ফেলবে আমি কল্পনা ও করতে পারি নি এখন আমি কি করবো ( মুখ দিয়ে বকবক করে ইফতির চৌদ্দগুষ্ঠী উদ্ধার করে দিলো)

(বাইরে থেকে কারো আসার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে মিসকা তাড়াতাড়ি চোখের পানি মুছে উঠে দাড়ালো আর হাতটা ওড়না দিয়ে ঢেকে রাখলো

মিসেস নিলুফা ঃ ভিতরে ঢুকেই মিসকা কে জড়িয়ে ধরলো আর বললো তুমি খুব ভালো মা,,,,,তুমি হিয়ার কেয়ারের দায়িত্ব নিয়েছ আমি ভাবতেই পারছি না। (ঠোটের কোনে হাসি রেখে)

মিসকাঃ শুধু একটু মুচকি হাসলো

মিসেস নিলুফা ঃ ইফতি যাওয়ার সময় বললো তুমি কাল এখানে শিপ্ট করছো। তাহলে তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে সবকিছু প্যাক করে নাও কেমন।

মিসকাঃ জ্বি,,,,,,, (মাথা নেড়ে বললো)

মিসেস নিলুফা ঃ শোন ড্রাইভার তোমায় পৌছে দিবে।

হিয়াঃ আন্টি আন্টি বলে দৌড়ে এলো। আন্টি তুমি আজকে যেও না( মিসকা কিছু বলার আগেই)

মিসেস নিলুফা ঃ হিয়া আজ তো আন্টিকে যেতেই হবে কারন কাল থেকে আন্টি তোমার বাড়িতে এসে থাকবে

হিয়াঃ সত্যি ,,,,,,,,

মিসকাঃ হুম সোনা,,,,,তাহলে আজ আমি আসি,,,,, (বলেই চলে আসছে)

(মিসকার এখন একটাই চিন্তা এতোদিন ওর বান্ধবীরা ওকে আগলে রেখেছে আর ও আজ কিভাবে ওদের ছেড়ে চলে আসবে,,,,,, ঐ বজ্জাত গোমড়ামুখো টা আমার লাইফটা পুরো হেল করে ছাড়লো😭মনে হচ্ছে বজ্জাত ব্যাটাটাকে করল্লা আর নীম পাতার জুস বানিয়ে খাইয়ে দেই।)

সিফাতঃ ম্যাম চলেন আপনারে পৌঁছাইয়া দেই।

মিসকাঃ হুম,,,,,, সারা রাস্তা মিসকা শুধু ভেবেই চলেছে।আর ভাবছে এখন ভেবেও সে কিছুই করতে পারবে না

সিফাতঃ ম্যাম আমরা আইসা পরছি,,,,,,,,,,,,,,

মিসকাঃ হুম বলে গাড়ি থেকে নেমে পড়লো।কিন্তু আজ আর রিকশা নিলো না। হাটছে আর ভাবছে কোনো দিক খেয়াল নেই,,,,,,,, হঠাৎ কারো ফোনে ওর ভাবনার অবসান হলো,,,,,,,

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,

#ভালোবাসার__টান,,,,,,,😍👸😍

#part:::::::::::(6)

#writer:::::::::::::Tanzidaa Jannat😍Jannatul Ferdousy

(ফোনটা হাতে নিতেই দেখি মিতু ফোন করেছে, ফোনটা কাপা কাপা হাতে রিসিভ করলাম)

মিসকাঃ হ্যা,,,,,মিতু বল,,,,

মিতু ঃ কোথায় তুই আর কন্ঠ টা এমন লাগছে কেনো??

মিসকাঃ আমি তো বাসার সামনেই এসে পরেছি প্রায়। আচ্ছা তুই কোথায়?

মিতুঃ আমরা তো বাসায়ই আছি।

মিসকাঃ ও আচ্ছা। এই শোন না তোরা বের হ। আমরা আজকে ঘুরবো।

মিতুঃ কি হইছে তোর? সকালে কিছু খেয়ে যাস নি। একটু পর সবাই লাঞ্চ করবো আর তুই বলছিস এখন,,,,,,, 😰

মিসকাঃ আজকের জন্য একটু আমার আবদার টা রাখ প্লিজ। আর কখনও জ্বালাবো না।আর লাঞ্চ বাহিরেই করবো।

মিতু ঃ আচ্ছা যেখানে আছিস ঐখানেই থাক আমরা আসছি।

মিসকাঃ হুম,,,,,,,,

( মিসকা ফোনটা রেখে।ভাবছে আজকের দিনটা শুধু আনন্দ করবো।ওই রাগি গোমড়ামুখোর কথা একটুও ভাববো না।বলে চোখের পানি মুছে ফেললো। কিছুক্ষণ পর ওরা আসলো।তারপর তিনজন মিলে রওনা হলো। ওরা সারাদিন ঘুরলো মুভি দেখলো,, বাইরেই লাঞ্চ করলো। বিকেলের দিক ওরা হতির ঝিল গেলো।তিন জনেই বসে আছে।মিতু আর ফাহিমা মিসকার যে কিছু একটা হয়েছে বুঝতে পারলো🙁কিন্তু কিছু জিগ্যেস করে নি।কারন ওরা ভালো করে জানে ও নিজ থেকেই সময় হলে বলে দিবে।কারন এটা তো আর এই প্রথম না।আরো অনেক বার হয়েছে। রাগ হলেই মিসকা সারাদিন বাইরে ঘোরে সিনেমা দেখে,,,,,,)

মিসকাঃ এই শোন চল ফুসকা খাবো।

ফাহিমাঃ আচ্ছা চল।

মিতু ঃ মামা কড়া করে ঝাল দিয়ে স্পেশাল তিন প্লেট ফুটকা দিন তো।

ফাহিমাঃ এই তুই সবসময় আমাদের মারতে চাস কেনো ।প্রতিবার এতো ঝাল দিস তারপর আমাদের বারো টা বাজাস।

মিতু ঃ বেশ করি খেতে ইচ্ছা হলে খাবি আর না হলে আমায় দিয়ে দিস আমি খেয়ে নিবো

মিসকাঃ কোনো কথা বলছে না ওদের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আর হাসছে।এই মিতু চল আমরা সেলফি তুলি।

ফাহিমাঃ তুই আরো ছবি তুলবি😱। এখনও তোর মেমোরিতে স্পেস আছে?😰

মিসকাঃ আমার মেমরি মানে??বলেই হেসে দিলো।
মিতুও হাসছে সাথে সাথে।

ফাহিমাঃ এই একদম হাসবি না তোরা 😑সবসময় আমায় নিয়ে মজা করিস।

মিতু ঃ তুই তো সবসময় এমনই আধা আর উল্টাপাল্টা কথা বলিস

মিসকাঃ হয়েছে হয়েছে।এবার চল সেলফি তুলি,,,,,,তারপর কয়েকটা সেলফি তুলে নিলো।
( এর মধ্যেই ফুচকা চলে আসলো ওরা তিনজন ফুচকা তো খাচ্ছে সাথে চোখের পানি নাকের পানি এক করছে)😂😂

মিসকাঃ হিসাচ্ছে আর বলছে চল আইসক্রিম খাবো।

ফাহিমা ঃ চল চল আমি তো মরে গেলাম।
(তারপর ওরা আইসক্রিম খাচ্ছে আর হাসাহাসি করছে। মনে হচ্ছে রাজ্যের যতো কথা আর হাসাহাসি আছে ওরা এখনই শেষ করে ফেলবে।)

ফাহিমাঃ এই শোন চল বাসায় যাই। ৮.০০ পর তো দারোয়ান আঙ্কেল গেইটে তালা ঝুলাবে।

মিসকা ঃ হ্যা চল আমার ও তো কতো কাজ আছে।

(মিসকার কথা শুনে ওরা দুজন একটু না অনেকটাই অবাক হয় কিন্তু কেউ ওকে কিছু জিগ্যেস করে না)
তারপর বাসায় ফিরে আসে।মিসকা আগে ফ্রেস হয় তারপর ওরা যায়। তিনজনে ই ফ্রেস হয়ে নেয়।এদিকে মিসকা সব কিছু গোছাতে লাগলো।আর ওরা দুজন দেখছে।কিন্তু ওরা এবার আর চুপ করে থাকে নি।)

মিতুঃ কি হয়েছে তোর আজ?তুই সারাদিন ঘুরলি ঠিকই কিন্তু মুখের হাসিটা রিয়েল ছিলো না মনে হচ্ছে জোর করে হাসছিলি

মিসকাঃ কোনো কথা বলে না গাল বেয়ে অঝরে পানি ঝড়ে পরছে।আর ব্যাগ গোছাচ্ছে।

ফাহিমাঃ মিসকার কাছে গিয়ে মিসকার ঘারে হাত রাখায় মিসকা ওর দিকে ফিরে ওকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিল।

ফাহিমাঃ কি মিসু বল কাঁদছিস কেনো?

মিসকাঃ আমি আর তোদের সাথে থাকতে পারবো নারে। (ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে বলতে লাগলো)

মিতুঃ ওকে ছাড় আর এখানে বোস। কান্না থামিয়ে কি হয়ছে এবার বল??🤓

মিসকাঃ সবটা বললো,,,

(ফাহিমা আর মিতুর মোনটা খারাপ হয়ে গেলো🤕🤕। কিন্তু ওকে বুঝতে দিলো না)

মিতুঃ ও রিয়েলি তোর চাকরি হয়ে গেছে। এজন্যই তো বলি আমাদের আজ এতো বড় করে ট্রিট কেনো দিলো😱😱

ফাহিমাঃ তাই তো 😂এই বুদ্ধি টা পোরে পোরে কাঁদছে। মনে হচ্ছে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছে।

মিসকাঃ ওদের কান্ড দেখে হা করে তাকিয়ে আছে।😨

মিতু ঃ হা করে আছিস কেন??
আরে বাবা মি. ইফতি তো তোকে ঐবাসায় থাকতে বলেছে এটা তো বলে নি তুই আমাদের সাথে আর আমরা তোর সাথে যোগাযোগ থাকতে পারবে না।আর তুই ও তো হিয়াকে মিস করিস। তো সব দিক দিয়ে মিলে গেলো😉।দেখিস মায়ের মতো কেয়ার করতে গিয়ে আমার সত্যি সত্যি মা হয়ে যাস না যেন

মিসকাঃ ওর কথা শুনে ই ভ্রু কুচকে নিলো

ফাহিমাঃ এই মিতু তুই কিন্তু ভালো একটা কথা বলেছিস। শুনলাম মি. ইফতিও নাকি খুব হ্যান্ডসাম দেখতে ড্যাসিং😜।তো হলে খারাপ হয় না

মিসকাঃ এবার কিন্তু বাজে বকছিস তোরা।কোথায় আমাকে শান্তনা দিবি তা না আসছে আরো মেজাজটা খারাপ করার জন্য।😠 পৃথিবীতে ছেলের কি অভাব পড়ছে নাকি রে যে ঐ গোমড়ামুখো মার্কা বজ্জাত টাকে বিয়ে করবো।

মিতু ঃ আরে আমার ছুইটহার্ট মিসকু সময়ই সব বলে দিবে

মিসকাঃ 😠😠

ফাহিমাঃ এবার থাম আমরা সবাই মিলে ব্যাগ ট্যাগ একসাথে প্যাকিং করি🙃। তাহলে তাড়াতাড়ি হবে। তারপর আমরা আজ জমিয়ে আড্ডা দিবো।আর কবে এই দিন আসবে??

মিতুঃ হ্যা,,,,,,তুই একদম ঠিক বলেছিস।চল এবার হাত লাগাই সবাই।

প্যাকিং করার পর।গল্প করেই রাতটা পার করে দিয়েছে তিনজন মিলে,,,,,,,
আজ মিসকা সকালের ব্রেকফাস্ট তৈরি করেছে।😊

মিসকাঃ তোরা টেবিলে আয় নাস্তা রেডি

মিতু ঃ আরে বাহ👏 এতোকিছু 😍যাক ভালোই হলো স্বামীর ঘর ঠিক করে করতে পারবি।

মিসকাঃ হ্যা,,,,,, হইছে তোর বসমাইসি কথা রাখ আর নাস্তা কর।( মাথায় হালকা বারি দিয়ে)

মিতু ঃ হুম ভালো করে দোয়া দিয়ে দিলাম ভালো লাগলো না

ফাহিমাঃ ও এক্টিং কি দোকান এক্টিং শেষ হলে এবার খেতে বোস।🙃

মিসকাঃ হাসছে,,,,,,,

মিতুঃ 😏

এমন সময় মিসকার ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো📲

মিসকাঃ হ্যালো,,,,,,আসসালামু আলাইকুম কে বলছে?

ইফতিঃ কে বলছেন মানে?😠নাম্বার দেখে রিসিভ করো না নাকি?

মিসকাঃ বুঝতে পারলো ইফতি,,,,,,(ইচ্ছে করছে হনুমানটাকে গিয়ে আছাড় মারি😡সকাল সকাল ফোন দিয়ে মেজাজ টা গরম করে দিলো।(মনে মনে)

ইফতিঃ হ্যালো,,,,,, মিস মিসকা শুনতে পাচ্ছেন?

মিসকাঃ হ্যা শুনছি বলুন।(কিছুটা বিরক্ত নিয়ে)

ইফতিঃ৩০ মিনিটের মধ্যে গাড়ি পৌছে যাবে🚗। চলে আসবেন।আর অফিসে ঠিক ৯ টার সময় আসবেন।

মিসকাঃ হুম বলে ফোনটা রেখে দিলো।

মিতুঃ কিরে তোর হিরো ফোন দিয়েছে নাকি

মিসকাঃ হিরো না!! বল ভিলেন😠ইচ্ছে করছে কাচা খেয়ে ফেলি

ফাহিমাঃ আচ্ছা বাদ দে এখন তাড়াতাড়ি নাস্তা করতো আমার ক্ষুধায় পেট চো চো করছে

মিসকাঃ হুম চল।আমাকে ৩০ মিনিটের মধ্যে যেতে হবে

তারপর ওরা নাস্তা করে একটু গল্প হাসি ঠাট্টা করলো এর মধ্যে ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো📲।রিসিভ করার আগে মিসকা নাম্বার টা দেখে নিলো কিন্তু নাহ এ নাম্বারটা তো ও চিনে না।

মিসকাঃ আসসালামু আলাইকুম,,,, কে বলছেন??

সিফাতঃ আফা মুনি আমি সিফাত। আমি তো চলে আসছি আপনি যাবেন না।

মিসকাঃ আচ্ছা আপনি একটু ওয়েট করুন আমি এখনই আসছি।🙁

মিসকা ওর বান্ধবীদের কাছ থেকে বিদায় নিলো। আসার সময় ওরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে অনেক কেদেছে।(কারন যার ভালো বন্ধু ছিলো সেই একমাত্র বুঝে বন্ধুদের থেকে দূরে যেতে কতোটা কস্ট লাগে,,,,,,,)😫😫
মিসকা বিদায় নিয়ে একটা রিক্সা করে চলে আসলো।তারপর সিফাত সব কিছু গাড়িতে উঠালো। পরে রওনা দিলো।

মিসকাঃ শুধু ওর বন্ধুদের সাথে কাটানো দিনগুলো মনে করছে।আর অঝোরে চোখ দিয়ে পানি পরছে,,,,

গাড়িটা থামিয়ে,,,আফামনি আমরা চলে আইছি নামবেন না? মিসকার ঘোর কাটলো আর বললো এতো তাড়াতাড়ি চলে এলাম,,,,,,,,,,,,, বলে নামতে লাগলো,,,,,
এক পা বাড়াতেই দেখে,,,,,,,,

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here