ভালোবাসার টান
part:53,54
writer:Tanzidaa Jannat
53
মিসকা দেখছে ইফতি ডান্স করছে,,,,তাও আবার কতোগুলো মেয়ের সাথে,,,,মিসকা খুশি হবে নাকি রাগ হবে ভেবে পাচ্ছে না,,,,,
খুশি এজন্য হবে এই সেই ইফতি যাকে ও রাগি বদমাস রাক্ষস বলতো সবসময়,,,,, যে কিনা সবসময় মুখ গোমড়া করে থাকতো,,,হাসতেও ভুলে গেছিল,,, হ্যা পেরেছে ইফতিকে পুরোপুরি আগের ইফতি বানাতে,,,,,,আর রাগ হচ্ছে কতোগুলো মেয়েদের সাথে ডান্স করছে তাও আবার একদম কাছাকাছি হয়ে😏
ইফতিঃ কি মেডাম এমন মুখ কালো করে হা করে কি দেখছেন,,,,,আপনাকে তো বলেছিলাম কিন্তু এটিটিউড দেখালেন,,,এখন কেমন লাগে??( ইচ্ছে করে মেয়েগুলোর সাথে মিশে ডান্স করছে আর মনে মনে হাসছে)
মিসকাঃ আমার বদমাস রাগি রাক্ষস বরটাই ভালো ছিলো,,,,,ইসসস কিভাবে নাচ্ছে মেয়েগুলোর সাথে,,,আর মেয়েগুলোই বা কি একটা ছেলের সাথে এভাবে টাচি টাচি হয়ে নাচতে লজ্জা করে না,,,( রাগে পুরা লাল হয়ে গেছে)
ইফতি নাচ শেষ করলে সবাই হাত তালি দেয়,,,,,,
মিসকার পাশের একটা মেয়ে বলছে বাহ ছেলেটা তো বেশ হ্যান্ডসাম আবার নাচ ও পারে বেশ রোমান্টিক হবে নিশ্চয়,,,,
মিসকা মেয়েটার দিকে রাগি লুকে তাকিয়ে ফুসছে,,,
( করাচ্ছি ডান্স একবার পাই তোমায় ইফতির বাচ্চা,,, 😠😠 বউ রেখে অন্য মেয়েদের সাথে ডান্স,,,,,,,এসব ভাবতে ভাবতে জুস ভেবে একগ্লাস ড্রিংকস ঢক ঢক করে খেয়ে নিল,,,
মিসকাঃ ইশশশ কি বাজে খেতে,,এটা কি?? একি আমি কি ড্রিংস খেয়ে ফেললাম নাকি?? এখন,,,, ইফতিকে দেখছে কতগুলো মেয়ের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে,,,,রাগে ওখান থেকে একটু নির্জন জায়গায় এসে দাড়ায়,,,,,
হঠাৎ করে কেউ একজন হাত ধরে টান দেয়,,,,,মিসকা ঘুরে তাকায়,,,
মিসকাঃ তুমি??
বলার সাথে সাথে ওর মুখ চেপে দুহাত পিছন থেকে ধরে নিয়ে যায়,,,,,
এদিকে ইফতি মিসকাকে খুজে না পেয়ে সব জায়গায় খুজতে লাগলো,,,
এদিকে মিসকাকে একটা রুমে নিয়ে ফেললো,,,
মিসকা হাপাতে লাগলো,,,,
মিসকাঃ কি হচ্ছে আবিদ?? তুমি এমনভাবে টেনে এভাবে কেন নিয়ে এলে??
মিসকার হাত থেকে রক্ত পড়ছে হাত চেপে নিয়ে আসায় কাচের সব চুড়ি ভেঙ্গে হাত কেটে গেছে,,,
আবিদঃ সোজা ভাবে বললে তো আর আমার সাথে আসতি না,,,,,তাই একটু ত্যারা ভাবেই আন্তে হলো,,,,😠অনেক দিন ধরে একটা সুযোগ খুজছিলাম আজ সেটা পেয়েছি,,,,,
মিসকাঃ মানে কি?? কি বলতে চাচ্ছিস??
আবিদঃ সেই কলেজ থেকে তোকে ভালোবাসি,,,কখনও বলার সাহস পাই নি,,,তারপর যখন অফিসে জয়েন করলাম তোকে দেখে খুশি হয়েছিলাম ভেবে ছিলাম আল্লাহ আমাকে আরেকবার সুযোগ দিয়েছে তোকে আমার করে নেওয়ার,,,,সব কিছু ঠিক করেও ফেলেছিলাম কিন্তু তুই😠 তুই কি করলি বড়লোকের ছেলে পেয়ে ঝুলে পরলি,,,বিয়ে করে নিলি,,
মিসকাঃ আব্বিদ😡 একদম উল্টাপাল্টা কথা বলবি না,,,,
আবিদঃ (মিসকার কাছে গিয়ে ওর মুখ চেপে ধরলো,,),ও এখন গায়ে ফোসকা পরছে না,,,,,,,সত্যি কথা বলছি এখন গায়ে লাগছে,,,
মিসকাঃ আহ ছাড় আমাকে আমার লাগছে,,,,,😣
আবিদ মিসকাকে ছেড়ে দিয়ে,,,, ওফস আই এম ছড়ি বেবি,,,,,খুব লাগছে বলেই মিসকাকে ঘুরিয়ে হাত পিছনে মুড়ে ধরে,,,,,,মিসকার কানের কাছে মুখ এনে বলতে থাকে,,
আবিদঃ ইফতি তোকে খুব আদর করে তাই না??সব মিটিয়ে দিবো,,এতো আদর করবো তোকে ইফতিকে ভুলে যাবি,,,
মিসকাঃ পায়ের হিল দিয়ে আবিদের পায়ে ঘা মারতেই আবিদ মিসকাকে ছেড়ে দিয়ে বসে পরে,,,,,
মিসকা দৌড়ে দরজার কাছে গেলে,,,,, আবিদ পিছন থেকে মিসকাকে টান দিয়ে এক চড় মেরে দেয়,,,,,
মিসকা তাল সামলাতে না পেরে নিচে পরে যায়,,,,,,মিসকা উঠতে চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না,,,,সবকিছু কেমন জানি ঘোলাটে মনে হচ্ছে,,,,,আবিদের ফেইসটাও আবছা হয়ে আসছে,,,,,
আবিদ ওকে টেনে দাড় করায়,,,মিসকা নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছে না,,,,হাত পা অবস হয়ে আসছে,,,,( কেমন জানি ঢলছে)
আবিদ এক থাক্কাদিয়ে বিছানার উপর ফেলে দেয়,,,,,,,
মিসকাঃ কিছু বলার শক্তিটুকু পাচ্ছে না শুধু মনে মনে বলে ইফতি আমাকে বাচাও প্লিজ,,,,,
আবিদ আস্তে আস্তে মিসকার দিকে এগোতে থাকে,,,,,,,
মিসকা অনেক কষ্ট করে শক্তি সঞ্চয় করে উঠে বসে,,,,,দাড়াতে নিলে আবিদ মিসকাকে টান দিয়ে ওর কোলে বসিয়ে নেয়,,,,
মিসকা নিজেকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে পারছে না,,
আবিদঃ লাভ নেই,,,,,একে তো তুই ড্রিংস করে আমার কাজ সহজ করে দিয়েছিস,,, কেউ তোকে বাচাতে পারবে না😂😂মিসকার চোখ থেকে পানি বেয়ে পরছে,,, ( বলেই মিসকার মুখ ধরে মিসকার ঠোটের কাছে নিজের ঠোট নিয়ে আসে,,,,,
হঠাৎ মনে হলো কিছু একটা শব্দ হলো,,,,,,আবিদ ফিরে তাকাতেই দেখে ইফতি দরজা ভেঙ্গে ওর সামনে দাড়িয়ে আছে,,,
আবিদ মিসকাকে ছেড়ে দাড়িয়ে যায়,,,মিসকা মাটিতে নুয়ে পড়ে,,,,,মিসকা বির বির করে ইফতির নাম নিতে থাকে,,,
ইফতিঃ মিসকার এই অবস্থা দেখে মাথার রক্ত গরম হয়ে যায়,,,,কোনো কথা না বলে আবিদকে ধরেই মুখ বরাবর পাঞ্চ করে দেয়,,,কলার ধরে বলতে থাকে তোর সাহস কি করে হলো ওর গায়ে হাত দেওয়ার বলেই পেটে ঘুষি মারলো,,,,
আবিদ গিয়ে নিচে পরে গেলো,,,,ইফতি আশে পাশে তাকিয়ে একটা লাঠি নিয়ে ইচ্ছে মতো পেটাতে লাগলো,,,আবিদ ভয়ে ইফতির পা জড়িয়ে ধরলো,,,,ইফতি আবিদকে লাত্থি মেরে ফেলে দিলো,,,,,সারা রুমে মানুষ এসে জড়ো হলো,,,,ইফতির এমন লুক দেখে সবাই ভয় পাচ্ছে,,,, তাই কেউ ছাড়ানোর জন্য সামনে গেলো না,,,পুলিশ চলে আসলে আবিদকে ধাক্কা মেরেপুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়,,,
ইফতিঃ যা শ্বশুর বাড়ি যা,,,,আর কিভাবে পার্মানেন্ট ভাবে থাকতে হয় তার ব্যবস্থাও করে দিবো চিন্তা করিস না,,,,( পুলিশ আবিদকে নিয়ে চলে যায়)
ইফতিঃ মিসকার কাছে দৌড়ে যায়,, হাত দিয়ে রক্ত পরছে,,,,মিসকাকে কোলে নিয়ে একটা রুমে যায়,,,,,,মিসকার হাত ব্যন্ডেজ করে দিয়ে,,,,,ওর মাথায় হাত বুলায়,,,,,,মিসকা সেন্স লেস হয়ে সুয়ে আছে,,,,
ইফতি ঃ আই এম ছড়ি মিসকা আমি যদি তোমার পাশে থাকতাম তাহলে এসব কিছুই হতো না,,, এসব কিছুর জন্য আমি দায়ি,,,,,,( মিসকার হাত ধরে,,,)
মিসকা আস্তে আস্তে চোখ খুলে,,,,
মিসকাঃ আমাকে ছেড়ে দাও প্লিজ আমার ইফতির কাছে যেতে দাও,,,(,বলেই উঠে বসলো)
ইফতিঃ মিসকা মিসকা আমি তো এখানেই,,,
মিসকাঃ ইফতির দিকে তাকিয়ে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো,,,,, ইফতি তুমি জানো ঐ বাজে ছেলে আবিদ আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করছে,,,,,আমাকে ব্যথা দিয়েছে খুব বাজে ছেলে,,,
ইফতি মিসকার এমনভাবে কথা বলার ধরন দেখে একটু সন্দেহ হয়,,,,,মিসকার দিকে তাকিয়ে ওর মুখের কাছে নাক নিয়ে একটু হেসে দেয়,,,
ইফতিঃ তাই তো বলি পাগলিটা এমন ভাবে নালিস কেনো করছে,,,,, ড্রিংস করেছে,,,,আল্লাহ একে এখন বাসায় নিব কিভাবে,,,,,
মিসকাঃ এই ইফতি তুমি ওকে একদম ছাড়বে না,,,, শাস্তি দিবে বলো ওকে শাস্তি দেবে,,,
ইফতিঃ ওকে বাবা দেব কিন্তু এখন তো বাসায় যেতে হবে চলো,,,,(বলেই মিসকার হাত ধরলো,,,)
মিসকাঃ ডোন্ট টাচ মি😠
ইফতিঃ আবার কি হলো??😰
মিসকাঃ তুমি খুব বাজে, পঁচা আমাকে একা রেখে ঐমেয়েগুলোর সাথে নাচছিলে,,,তাও কতো টাচি টাচি হয়ে,,,,
ইফতিঃ ওহ গড মাতাল হলে কি হলো সব মনে আছে,,,,কি করি এখন,,,
মিসকা শোনো আইম ছড়ি আর কখনও এমন করবো না প্লিজ এখন বাসায় চলো,,,
মিসকাঃ আই সেইড ডোন্ড টাচ মি,,,,,,,তুমি ঐ মেয়ে গুলোর সাথে নাচো যাও ওদের নিয়ে বাড়ি যাও,,,,,
ইফতিঃ ভেবে বলছ তো?? আচ্ছা ঠিকাছে যাচ্ছি,,,,,, বলেই উঠতে নিলে,,,,মিসকা হাত টান দিয়ে কলার ধরে,,,
মিসকাঃ একে বারে খুন করে ফেলবো অন্য মেয়ের দিকে তাকলে 😡😡😡
ইফতিঃ আচ্ছা বাবা ছড়ি এই কান ধরলাম আর কখনও এমন হবে না,,,,
মিসকাঃ সত্যি??
ইফতিঃ একদম,,,,
মিসকা উঠে দাড়াতেই পরে যাচ্ছিল,,,,ইফতি মিসকাকে কোলে নিয়ে গাড়ির দিকে যেতে থাকে,,,,,
নিসকাঃ তুমি আজকে আমাকে এতো কষ্ট কেন দিচ্ছিলে??? তুমি যখন ঐ মেয়েগুলোর সাথে নাচছিলে আমার কতোটা খারাপ লেগেছিল তুমি জানো?? 😐তুমি খুব পঁচা খুব বাজে আমাকে একটুও ভালোবাস না,,,,,আমি বুঝি বুঝলে,,,,,তুমি একটুও ভালোবাস না আমায়।
ইফতিঃ কে বললো তোমায় আমি তোমাকে ভালোবাসি না,,,,,,
মিসকাঃ কেউ বলে নি,,,,,কিন্তু আমি তো ছোট না,,,,, আমি কি এতটাই খারাপ বলো এতো বাজে তুমি আমাকে ভালোবাস না,,,,
মিসকাকে ইফতি গাড়িতে বসিয়ে দিলো,,,,,মিসকা আপন মনে বকবক করেই চলেছে,,,, ইফতি গাড়িতে উঠে মিসকার সিড বেল্ট লাগিয়ে মিসকার কপালের চুলগুলো সরিয়ে একটা চুমু একে দিলো,,,,
ইফতিঃ খুব ভালোবাসি তোমায় বিশ্বাস করো খুব ভালোবাসি,,,,,,আমাদের মাঝে কোনো তৃতীয় ব্যক্তি কোনোদিন আসবে না কখনও না,,,,,আমি আসতে দিবো না সে যেই হোক,,,
মিসকা ঃইফতির চোখের দিকে তাকিয়ে থেকে,,, মিথ্যা বলছো তুমি আমাকে ভালোবাস না,,,,
ইফতিঃ গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো,,,,
ইফতিঃ তাহলে তুমিই বলো আমি কাকে ভালোবাসি,,,
মিসকাঃ কেন ঐ মেয়েটাকে,,,,,, মেয়েটা কি সুন্দর,, কি যেন নাম,,,,,কি যেন,,,, এসব বলতে বলতে ঘুমিয়ে পরলো,,,,,
ইফতিঃ পাগলি মেয়ে,,,,,,সবসময় উদ্ভট কথা ছাড়া আর কিছু খুজে পায় না,,,,,
ইফতি বাসার সামনে এসে মিসকাকে কোলে নিয়ে রুমে এসে সুইয়ে দেয়,,,,,,
মিসকার শাড়ি পুরো নোংরা হয়ে আছে,,,,,,ইফতি কি করবে বুঝতে পারছে না,,,,,
রুমাকে ডাকতে গিয়ে দেখে মিসেস নিলুফা নিচে,,,,
ইফতিঃ মম তুমি ঘুমাও নি??হিয়া কোথায়??
মিসেস নিলুফা ঃ তোরা বাইরে থাকলে আমার ঘুম আসে?? হিয়া ঘুমিয়ে পরেছে
ইফতিঃ আচ্ছা বাবা এসেছে??
মিসেস নিলুফা ঃ বললো তো কাল আসবে,,,,
ইফতি কথা না বারিয়ে ওপরে চলে আসে,,,,,মম ওখানে রুমাও ঘুমিয়ে পরেছে কি করি যাক আমিই পাল্টে দিই,,,,,
ইফতি মিসকার শাড়ি বদলে দিয়ে ওর পাশে সুয়ে পরে,,,,মিসকা ইফতির বুকে মাথা রেখে জড়িয়ে ধরে ঘুমচ্ছে,,,, বিরবির করে বলতে থাকে আই হেইট ইউ,,,,
ইফতিঃ একটু হেসে বললো আই হেইট ইউ টু বলেই জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরে,,
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,
#ভালোবাসার__টান,,,,😍👸😍
#part:::::::::(54)
#writer::::::::::Tanzidaa Jannat
সকাল হতেই মিসকার ঘুম ভাঙলো,,,,,নিভু নিভু চোখে চারিপাশ দেখে হঠাৎ উঠে বসলো,,,,,,চারিপাশ ভালোভাবে দেখছে আর মাথা ধরে বসে আছে,,,,,মাথাটা কেমন যেন ঝিমঝিম করছে,,,,,,
ইফতিঃ গুড মর্নিং,,,,,
ইফতির কথায় মিসকা মুখ তুলে ইফতির দিকে তাকায়,,,,
ইফতি কফির মগটা টেবিলে রেখে মিসকার পাশে বসে,,,,,,
ইফতি বসা মাত্রই মিসকা ইফতিকে জড়িয়ে ধরে,,,,,শক্ত করে ধরে বসে,,,,,( ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদে ওঠে)
ইফতিঃ মিসকা কাঁদছো কেন?? দেখ কিছু হয় নি সব ঠিক হয়ে গেছে,,,,
মিসকা ইফতিকে ছেড়ে দিয়ে ওর দিকে তাকায়,,,,
ইফতি ঃ মিসকার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলে কিচ্ছু হয় নি আমি তো আছি,,,,আর আমি থাকতে তোমার কিচ্ছু হবে না,,,
মিসকাঃ কিন্তু আ আবিদ আমাকে ধরে নিয়ে গেছিলো,,,,তারপর কি হয়েছে আমার খেয়াল নেই,,,,
ইফতিঃ হুম বলছি তার আগে কফিটা খেতে থাকো ভালো লাগবে,,,,,( বলেই মিসকার হাতে কফির মগটা দিলো)
মিসকাঃ কফি নিয়ে খাচ্ছে,,
ইফতিঃ আমার ডান্স শেষ করার পর দেখি তুমি ওখানে নেই,,,,ভাবলাম তুমি হয়তো অন্য দিকটায় আছো কিন্তু তোমাকে খুজে কোথায়ও পাই নি,,,,,,আমি বেশ ভয় পেয়ে গেছিলাম,,,, তারপর আমি আমার ফ্রেন্ডসরা খুজতে থাকে,,,, আমার চোখ যায় কিছু ভাঙা চুড়ির দিকে,,,,কাছে গিয়ে৷ ভাঙা চুড়ির টুকরো উঠিয়ে হাতে নিয়ে দেখি তোমার চুড়ি,,,,শক্ত ফোটায় ফোটায় পরে আছে,,,,,আমি রক্তের ফোটা দেখে দেখে চলতে শুরু করলাম,,,,, তারপরই তোমার কন্ঠ ভেসে আসে,,,,সাথে সাথে দরজা লাত্থি মারলাম,,,,, দরজা খুলতেই দেখি তুমি পরে আছ ব্যাস,,,,
মিসকাঃ কফির মগটা টেবিলের পাশে রেখে,,,,,ইফতিকে জরিয়ে ধরে,,,, তুমি ঠিক সময় না আসলে আমার কি হতো( বলেই কেদে দেয়)
ইফতিঃ উফফ মিসকা তোমার কান্না থামাও তো,,,,,আরেকটা জিনিস আমি খেয়াল করলাম তুমি কথায় কথায় আমায় জরিয়ে ধরছো,,,,কি মেডাম কোনো দুষ্ট বুদ্ধি মাথায় নেই তো,,,,
মিসকাঃ ইফতিকে ছেড়ে দিয়ে,,,,ছিঃ ছিঃ কিসব বলছো? বয়ে গেছে তোমায় জড়িয়ে ধরতে হাহ,,,,আমি কেনো জড়িয়ে ধরবো ঐ যে আছে না নতুন নতুন রমনিরা ওরা জড়িয়ে ধরলে ভালো লাগে,,,,,
ইফতিঃ তা তো ঠিকই,,,,,কি ফিগার উফফ,,,
মিসকাঃ কি বললে,,,,😠যাও যাও ওদের কাছেই যাও,,,,( বলেই উঠে চলে যেতে নেয়)
ইফতিঃ হাত টান দিয়ে মিসকাকে ওর কোলে বসিয়ে নেয়,,,,,
মিসকাঃ আউ আমার হাতে লাগছে ছাড়,,,,
ইফতিঃ ছড়ি ছড়ি বেশি লেগেছে,,,
মিসকাঃ হ্যা লেগেছে তবে হাতে না অন্য জায়গায়,,,,,
ইফতিঃ মিসকার কপালে একটা চুমু একে দিয়ে বললো আমি তো মজা করছিলাম,,,,,, মিসকা তুমি আর যাই করো কখনও আমার উপর বিশ্বাস হারিয়েও না
মিসকাঃ যে দিন বিশ্বাসটা উঠে যাবে তোমার থেকে সেদিন তুমি আমায় আর দেখবে না,,,,,,
ইফতিঃ ছিঃ এসব কথা বলতে নেই,,,
হিয়াঃ বাবাই ছবিগুলো সবাইকে দেখিয়ে দিয়েছি,,,
ইফতিঃ তাই ( বলেই হাসছে)
মিসকাঃ কিসের ছবি?? আর তোমরা দুজনে এভাবে হাসছো কেন??
হিয়াঃ মোবাইলটা এগিয়ে দিয়ে বললল এই দেখ,,,
মিসকাঃ মোবাইল হাতে নিয়ে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে,,,,,, মিসকা ইফতির বুকে ইফতিকে জরিয়ে ঘুমিয়ে আছে,,,,আর পরের ছবিটায় হিয়া সেলফি তুলেছে তিন জনের,,,,
মিসকাঃ ইফতির দিকে তাকাতেই ইফতি চোখ মারে মিসকা চোখ নামিয়ে নিল,,,,
হিয়াঃ কি সুন্দর লাগছে আমাদেরকে,,,,,,আচ্ছা বাবাই কিছু একটা মিছিং আছে না??
ইফতিঃ কোথায় সবকিছু তো ঠিকই আছে,,,
হিয়াঃ উফফ বাবাই তুমি কিছু বোঝ না,,,,,,,
ইফতিঃ তাহলে তুমিই বলো কি মিছিং আছে,,,,
হিয়াঃ আমার ছোট ভাই,,,😊
মিসকাঃ ছোট ভাই টা আবার কে??
হিয়াঃ আমাদের ঘরে যদি ছোট একটা বাবু আসে তাহলে তো সে আমার ভাই হবে,,,
মিসকা ইফতি দুজনেই অবাক হয়ে একে ওপরের দিকে তাকাচ্ছে,,,,
ইফতিঃ তোমাকে এসব কে শিখিয়ে দিয়েছে??
হিয়াঃ দাদিয়া,,,,,,
মিসকাঃ দাদিয়া,,,,,!!
হিয়াঃ আমি যখন এই ছবিটা দেখামাল দাদীয়া আমাকে বলে তোমাদের মাঝে তো কিছু একটা নেই মনে হচ্ছে আমি জিগ্যেস করতে ছোট একটা বাবুর কথা বললো,,,,,মাম্মাম- বাবাই আমার একটা ছোট ভাই চাই ই চাই,,,,
মিসকাঃ ইফতির দিকে তাকাতেই ইফতি হেসে দিল,,,মিসকা লজ্জায় ওখান থেকে উঠে নিচে চলে গেলো,,,,
ইফতিঃ তুমি তো ছোট দাদীয়া মজা করেছে তোমার সাথে,,,,, আজ স্কুল আছে না তাড়াতাড়ি যাও,,,,রেডি হবে তো,,,
হিয়াঃ যাচ্ছি তবে আমার ছোট্ট একটা ভাই বাবু এনে দিবে প্রমিস করো,,,
ইফতিঃ আচ্ছা বাবা এনে দিবো প্রমিস,,,,
মিসকা নিচে নামতেই দেখে মিসেস নিলুফা, রুমা ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে,,,
মিসকার কাছে পুরো ব্যপারটা কেমন জানি লাগছে,,,,
মিসেস নিলুফা ঃ মিসকার হাত ধরে বললো চলতো আমরা আজকে একটু বাইরে ঘুরে আসি
মিসকাঃ মিসেস নিলুফার সাথে যাচ্ছিল,,, দুজনেই চুপচাপ হাটছে
মিসেস নিলুফা ঃ মিসকা একটা আবদার করবো রাখবি??
মিসকাঃ আমি জানি মা আপনি কি বলতে চান,,,,কিন্তু মা এটা কখনও সম্ভব না,,,
মিসেস নিলুফা মিসকার দিকে অবাক হয়ে তাকায়
মিসকাঃ মা আপনার ছেলে আমাকে আদৌ ভালোবাসতে পেরেছে কি না আমি জানি না,,, ওর এমন আচরণ কখনও দেখি নি যে আমার মনে হবে ও আমাকে ভালোবাসে,,,,,আমি ওর বন্ধু হতে চেয়েছিলাম আর তাই হয়তো এতো কেয়ার করে কিন্তু মা ভালোবাসা তো একদম ভিন্ন,,,,কেয়ার আর ভালোবাসা এক নয়,,,,( মিসকা বলছে আর চোখ দিয়ে পানি পরছে).
মিসেস নিলুফা ঃ কিন্তু আমি তো ওর চোখে তোর জন্য ভালোবাসা দেখেছি,,,তুই কেন বুঝিস না
মিসকাঃমা ও যদি আমাকে ভালোবাসতো তাহলে নীলার স্মৃতি গুলো এভাবে যত্ন করে রাখতো না,,,,,,
মিসেস নিলুফা ঃ কি বলিস?? যদি রাখে ও আর নীলা ফিরে আসলে তুই তোর জিনিস আরেক জনের হাতে তুলে দিবি,,,,পারবি তো বাঁচতে??
মিসকাঃ মা,,,,,,, 😢বলেই মিসেস নিলুফা কে জরিয়ে ধরে,,,,পারবো না মা পারো না,,,,,ওকে যে আমি বড্ড ভালোবেসে ফেলেছি মা,,,কিন্তু মা আমার সুখের জন্য আমি ইফতির সুখ কেড়ে নিতে পারবো না কিছুতেই না,,,,,( বলছে আর কাঁদছে)
মিসেস নিলুফা ঃ তোকে আমি কোথায়ও যেতে দিবো না,,,,তুই শুধু ইফতির বউ না,,, তুই এই ঘরের লক্ষী,,,,আমাদের মেয়ে আর হিয়ার মা,,,,,,, তুই কোথায় যাবে,,,,,,,,ওতো কিছু বুঝি না আমার এখন একটা নাতি চাই😂 (
বলেই চোখের পানি মুছে দিচ্ছে)
মিসকাঃ মা আপনিও না,,,,
মিসেস নিলুফা ঃ একটু হাস না,,,দেখবি সব ঠিক হয়ে গেছে,,,
ইফতি বারান্দায় দাড়িয়ে ওদেরকে দেখছে কিন্তু বুঝতে পারছে না কি হচ্ছে,,,,, কি এমন বলছে যে মিসকা কাঁদছে
ইফতিঃ না আমায় দেরী করলে চলবে না,,,, মিসকাকে আমার মনের কথা জানাতেই হবে,,,,
মি. মুফতিউর রহমানঃ কি হচ্ছে এখানে দাড়িয়ে??
মিসকা ঃ বাবা ভালো আছেন বলেই সালাম করতে নিল
মুফতিউর রহমানঃ আরে সালাম করতে হবে না,,,,ভালো মা তুই কেমন আছিস??
মিসকাঃ ভালো এখন চলুন তো ভিতরে যাই একটু রেস্ট নিবেন
মুফতিউর রহমানঃ হুম চল
সবাই ভিতরে যায় কিছুক্ষন গল্প কটে সবাই মিলে ব্রেকফাস্ট করে নেয়, ব্রেকফাস্টের পর ইফতি হিয়াকে নিয়ে বেরিয়ে পরে,,,,,,
মুফতিউর রহমানঃ বুঝলি মা তোর কাছে আমরা অনেক ঋণ। তুই আমার আগের ইফতিকে ফিরিয়ে দিয়েছিস,,,,আমার আগের ইফতির ভয়ংকর রুপটা দেখলে আমার এখনও অন্তর কেঁপে ওঠে,,,,,,
মিসকা মাথা নিচু করে সবকিছু শুনছে,,,
মুফডিউর রহমান ঃ তুই তোর অধিকার কাউকে দিবি না,,,,আর এমন কারো হাতে তুলে দিবি না যে সব কিছু ডিজার্ভ করে না
মিসকাঃ বাবা আপনি নীলার কথা বলছেন??
মুফতিউর রহমানঃ হ্যারে মা আজকে আমি নীলাকে দেখেছি,,,তখন থেকেই আমার মোনটা শান্ত করতে পারছি না,,,,ও আবার কেনো এসেছে,,
মিসেস নিলুফা ঃ কি বলছো,,,,আমার সাজানো সংসারটা আবার না না এসব কিছু হবে না আমাদের ঘরের লক্ষী আছে না,,, ও সব কিছু ঠিক করে ফেলবে,,,,,এক মিনিট মিসকা তুই সকালে কিছু বলছিলি তার মানে তুই জানতিস নীলা দেশে ফিরেছে??
মিসকাঃ হ্যা মা জানি,,,, ইভেন আমি সবার আগে জানি তবে ইফতি জানে কি না জানি না,,,,,,আর মা বাবা তোমরা টেনশন নিও না সব ঠিক হয়ে যাবে,,,,,
মিসেস নিলুফা ঃ সব ঠিক হলেই ভালো,,,,,এই শোন না আজকে তুই ইফতির জন্য দুপুরে কিছু রান্না করে নিয়ে যা
মিসকাঃ আচ্ছা বলেই উপরে উঠে গেলো,,,,,
মিসেস নিলুফা ঃ এজন্য ই তো বলি মেয়েটার কয়েকদিন ধরে মোন খারাপ কেন,,,,
মুফতিউর রহমানঃ আল্লাহ যা করবেন ভালোর জন্য ই করবেন,,,,
দুপুরে মিসকা ইফতির জন্য রান্না করে বক্সে খবার বাড়ে,,,,মিসকার মোনটা কিছুটা হলেও এখন ভালো,,,,
সিফাত কে ফোন দিয়ে গাড়ি বের করতে বলে রুমে এসে আয়নার সামনে দাড়িয়ে শাড়ি একটার পর একটা দেখছে,,,,,সেখান থেকে একটা শাড়ি চুজ করে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিল,,,,মিসেস নিলুফা আর মুফতিউর রহমানকে বলে বেরিয়েও গেলো,,,
ইফতি সকাল থেকে একটানা কাজ করে গেছে,,, এখন কিছুটা টায়ার্ড লাগছে,,,,,
এরই মধ্যে নাবিলা দরজায় নক করে,,,,
নাবিলাঃ স্যার আসবো,,,??
ইফতিঃ হ্যা এসো,,
নাবিলাঃ স্যার,,,,, একজন বললো একজন মহিলা আপনার সাথে দেখা করবে,,,
ইফতিঃ এমন সময় কে আসবে??আচ্ছা তুমি যাও ওনাকে গেস্ট রুমে বসতে বলো আমি আসছি,,,,,( ইফতি মনে মনে ভাবতে থাকে এমন সময় কে আসতে পারে,,,নিশ্চই মিসকা আমাকে সারপ্রাইজ দিবে বলেই এসেছে,,,,
ইফতি খুশি মনে গেস্ট রুমে গিয়ে৷ দেখে শাড়ি পরা একজন দাড়িয়ে আছে,,,, অপজিট দিকে৷ মুখ করে,,,,, ইফতি পা টিপে টিপে গিয়েই কোলে তুলে ঘুরতে থাকে আর বলতে থাকে কি মিসকা তুমি আমায় সারপ্রাইজ দিতে চাইছিলাতো এখন আমিই তোমায় সারপ্রাইজ দিলাম,,,,
হ্যা আমি সত্যিই সারপ্রাইজ ইফতি এই কথা শোনার সাথে সাথে ইফতি ওকে নামিয়ে নিজের দিকে ফিরায়,,,,ফেইস দেখে ইফতি পুরো আকাশ থেকে পরে,,,,,
ইফতিঃ নীলা তুমি???
নীলাঃ হ্যা আমি ,,,,,, যাক চিনতে পেরেছ তাহলে,,,,
( বলেই ইফতিকে জড়িয়ে ধরলো)
ইফতিঃ এক ঝটকায় নীলাকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিল,,,,তুমি এখানে কেন এসেছ??আর কি চাই তোমার??
নীলাঃ তোমাকে চাই ইফতি তোমাকে,,,,আমি জানি আমি অনেক বড় ভুল করেছি যার ক্ষমা হয় না,,,,কিন্তু ইফতি তুমিও আমাকে ভালোবাস আর আমিও তোমাকে,,,,,
ইফতিঃ আমি তোমাকে ভালোবাসি না,,,,,ঘৃনা করি জাস্ট ঘৃনা,,,,,, তুমি এখনই এখান থেকে চলে যাও
নীলাঃ আমি একবার যখন এসেছি তখন এত সহজে যাবো না,,,,,,, তুমি তো জানো আমি যা চাই তা হাসিল করে ছাড়ি,,,,আর ইফতি আমাদের মেয়ে,,,
ইফতিঃ মেয়ে?? কার মেয়ে তোমার?😂তোমার কোনো মেয়ে ছিল ও আচ্ছা আগে জানতাম না তো
নীলাঃ ইফতি😠 তুমি ভুলে যেও না ও আমারও মেয়ে,,,
ইফতিঃ ও তোমার মেয়ে,,,,, তা ও টা কে??
মিসকাঃ নামটা ?
ইফতিঃ হাহা নাম বলতে পারছো না ভাবতে হচ্ছে 😂আবার বলো তোমার মেয়ে,,,,,,আমার মেয়ের একজনই মা, সে আমার স্ত্রী আর তাকে আমার মেয়ে আর আমি খুব ভালোবাসি সে অন্য কেউ নয় আমার জীবন সাথী আমার মিসকা,,,যে আমার প্রতিটা নিঃশ্বাসের সাথে মিশে আছে,,,,,
নীলাঃ ইফতি( বলেই ইফতিকে চড় মারার জন্য হাত উঠায়)
ইফতিঃ তোমার সাহস তো ওফস আমি আপনাকে তুমি কেন৷ বলছি সড়ি ম্যাম আপনাকে তুমি করে বলার জন্য,,,,, নাউ ইউ কেন গেট লসট,,,,
নীলাঃ ইফতি!!
ইফতিঃ আই সেইড লিভ হিয়ার,,,,
নীলা ঃ কাজটা তুমি ভালো করলে না,,,, এর মুল্য তোমায় দিতে হবে,,,,, দিতেই হবে বলেই রাগে গজ গজ করতে করতে বের হয়ে গেলো,,,,
নীলা যাওয়ার পর ইফতি৷ মাথায় হাত দিয়ে সোফায় বসে পরে,,,,,
ইফতিঃ কেন কেন আবার এসেছ আমার জীবনে কেন😭
মিসকা গাড়ি থেকে নেমে লিফটে ওঠার জন্য যাচ্ছে এর মধ্যেই কারো সাথে ধাক্কা লাগে,,,,,
মিসকাঃ ছড়ি ম্যাম,,,,,
বলে তাকাতেই দেখে নীলা,,,,,বেশ অবাক হয় এতক্ষণ যে হাসিটা মিসকার মুখে ছিল তা ক্ষনিকের মধ্যেই মিলিয়ে যায়,,,,
নীলা রাগে ফুসতে ফুসতে বেরিয়ে যায়,,,,মিসকা দাড়িয়ে থাকে৷ নীলার যাওয়া দেখছে,,,পাটা যেন আর চলছে না দুচোখ ভরে আসছে,,,,,
মিসকাঃ ইফতি যদি খেয়ে ফেলে,,,,তাড়াতাড়ি যেতে হবে চোখ মুছে তাড়াহুড়ো করায় শাড়ি বেজে পরে যাচ্ছিল নিজের তাল সামলে দাড়িয়ে থাকে,,,লিফটে উঠে চোখের পানি মুছছে বার বার ইফতিকে বুঝতে দেওয়া যাবে না কিছুতেই না,,,,
মিসকা লিফট থেকে নেমে ইফতিকে ফোন দেয়,,,,
ইফতিঃ ফোন রিসিভ করে
মিসকাঃ তুমি কোথায়??
ইফতিঃ কেন অফিসে
মিসকাঃ খেয়েছ??
ইফতিঃ না এখনও খাই নি,,,,,
মিসকাঃ ওকে তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও
ইফতিঃ হুম এখনই খাবো
মিসকাঃ একটু হেসে ইফতির কেবিনের সামনে দাড়ায়,,,,
নাবিলাঃ ম্যাম আপনি এখানে কেন? ভিতরে চলেন
মিসকাঃ হ্যা যাবো তার আগে তুমি ওর জন্য খাবার নিয়ে যাও
নাবিলাঃ কিন্তু ম্যাম আপনার হাতে যে খাবরের বক্স
মিসকাঃ হুম তোমায় যা বললাম তা করো,,,
নাবিলা ঃ ওকে
নাবিলা ইফতির জন্য খাবার নিয়ে ইফতির কেবিনে ঢুকে,,,
ইফতিঃ আমার এখন ক্ষুধা নেই তুমি এগুলো নিয়ে যাও
নাবিলাঃ কিন্তু স্যার আপনি না খেলে তো শরীর খারাপ করবে,,,
ইফতিঃতোমায় কথা বললে শোনো না কেন?? রাগে খাবারগুলো ফেলে দিলো
মিসকা দরজা খুলে দাড়ায় খাবার গুলো ওর সামনে গিয়ে পরে,,,,
ইফতি কিছুটা ভয়ের দৃষ্টিতে মিসকার দিকে তাকায়,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,