ভালোবাসার টান part:41,42

ভালোবাসার টান
part:41,42
writer:Tanzidaa Jannat
41

ইফতি মিসকাকে কপালে চুমু দিলে মিসকা ইফতির চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে,,,এখনো চোখ থেকে পানি ঝরছে,,,

ইফতিঃ মিসকা আরো কিছুক্ষণ থাকবে আমার সাথে,,,,

মিসকাঃ মাথা ঝাঁকিয়ে সায় দেয়,,,,

দুজনে ছাদের রেলিং ধরে দাড়িয়ে আছে,,,, জোসনা রাত ,,,,, চাদঁটা আকাশে ঝলমল করছে,,,, আশেপাশের সব কিছু দেখা যাচ্ছে,,,বাতাস বইছে,,,,পুরো পরিবেশটা নিস্তব্ধ,,,,, মনে হচ্ছে এই রাতটা ওদের শুধু দুজনের,,,,,

মিসকা রেলিংএর উপর হাত দিয়ে সামনে তাকিয়ে আছে দুচোখ যতদূর যাচ্ছে,,,,,পাশে ইফতি মিসকার দিকে তাকিয়ে আছে,,,,জোস্নার আলোতে মিসকাকে একদম মায়াবতীর মতো লাগছে,,,,,,চুলগুলো খোপা করা,,, হাত ভর্তি চুড়ি,, কপালে টিকলি,,,,, কানে গলায় ভারী হার,,,, সব মিলিয়ে জাস্ট ওয়াও,,,,ইফতি দুচোখ ভরে মিসকাকে দেখছে,,,,,,কিন্তু সে কি কখনও পারবে তার হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসাটাকে নতুন করে জন্ম দিতে,,,,, সে কি পারবে মিসকাকে উজাড় করে ভালোবাসতে,,,,মিসকাতো বেশি কিছু চায় না,,,, ও আমার কাছ থেকে একটু ভালোবাসা চায়,,, মুখ ফুটে না বললেও ইফতি বুঝতে পারে ওর চোখ দেখে,,,,মায়াকারা দুটি চোখ যে ইফতিকে সব বলে দেয়,,,,,ইফতি পলকহীন ভাবে দেখছে মিসকাকে,,,,,কখন যে ওর হাত মিসকার চুলের ক্লিপের হাতে যায় ইফতি নিজেও জানে না,,,,ক্লিপটা ছুটিয়ে মিসকার চুলগুলো উন্মুক্ত করে দিলো,,,,

মিসকা দূর সীমান্ত থেকে চোখ ফিরিয়ে ইফতির দিকে তাকালো,,,,, মিসকা বুঝতে পারছে ইফতি নেশা ভরা চোখ দিয়ে তাকে দেখছে,,,মিসকা একটু লজ্জা পেয়ে আবার প্রকৃতি দেখছে,,,,,

ইফতি ঃ ওর অবাধ্য চুলগুলো বাতাসের সাথে তাল মিলিয়ে খেলছে,,,,এযে অপরুপ মুগ্ধতা,,,, ইফতি মিসকার পিছনে দাড়িয়ে ওর হাত স্লাইড করে হাতের আঙ্গুলের উপর ওর হাত রাখে,,,,,,ওর উন্মুক্ত চুলে নিজের মুখ গুজে দেয়,,,,,

মিসকা ইফতির কান্ডে বেশ অবাক হয়,,,,, ওর সারা শরীর কেঁপে ওঠে,,,,,, নিশ্বাস এতোটাই ভাড়ী হয় যে নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে,,,, চোখ থেকে দু’ফোটা অশ্রুজল গড়িয়ে পরলো,,,মিসকা ভাবছে এই মুহুর্ত টা থমকে গেলে কি এমন দোষ হয়,,,,,

ইফতিঃ ওর চুলের মিষ্টি গন্ধে আরো মাতাল করে তুলছে,,,, মিসকার পিঠের সাথে ইফতির বুক লেপ্টে আছে।মিসকা পুরো ভর ইফতির উপর ছেড়ে দিয়েছে,,,,

ইফতি মিসকার ঘারে থুতনি রেখে,,,

ইফতিঃ মিথকা,,,,,

মিসকাঃ হুম,,,

ইফতিঃ আমি জানি না আমি তোমায় ভালোবাসতে পারবো কি না,,,,,তবে আমি চাই তুমি আমার পাশে এভাবে সারাজীবন থাকো,,,,আমি চাই তুমি আমায় তোমার করে রাখ,,,শুধু তোমার,,,,বিশ্বাস করো তুমি চোখের আড়াল হলে আমার ভিতরটা অস্থিরতা কাজ করে,,,,

মিসকাঃ একটা কথা বলবো রাখবেন,,,

ইফতিঃ বলো,,

মিসকাঃ আমাদের মাঝে যাই থাকুক আপনি হিয়া বা পরিবারের কারো সামনে তা প্রকাশ করবেন না,,,,যতই যা হোক সেটা আমারদের চারদেয়ালের মাঝে শুধু দুজনের মধ্যে থাকবে,,,,,,

ইফতিঃ হুম,,,,,চেষ্টা করবো,,,,

মিসকা মনে মনে ভাবছে সে আজ অন্য ইফতিকে দেখতে পাচ্ছে,,,, এতোদিন যাকে দেখেছে তার থেকে পুরো আলাদা এ এক অন্য ইফতি,,,,যাকে শুধু ভালোবাসা যায়,,,,এসব ভাবছে আর চোখ বন্ধ করে ইফতির বুকের সাথে লেপ্টে আছে,,,,

ওরা দুজন এভাবে কতক্ষণ দাড়িয়ে ছিলো তা ওরা নিজেরাও জানে না,,,,

ইফতিঃ মিসকা,,,,ঘুমাবে না,,,

মিসকা ঃ,,,,,,( কোনো শব্দ নেই)

ইফতিঃ এই মিসকা,,,,,,

মিসকাঃ এবারও কোনো শব্দ নেই,,,

ইফতি মিসকার মুখ ঘুড়িয়ে দেখে ও পরম সুখে ঘুমচ্ছে,,,,
ইফতি একটু হেসে দিলো,,,,একদম বাচ্চা 😃এভাবে কেউ ঘুমায়,,,,ইফতি মিসকাকে কোলে নিয়ে নিচে নেমে হিয়ার একপাশে সুইয়ে দেয়,,,,,কপালথেকে চুলগুলো সরিয়ে একটা চুমু একে দেয়,,,,
ইফতিও ওপর পাশে সুয়ে পরে,,,দুজনকে পরীর মতো লাগছে,,, আজ মনে হচ্ছে ওর রুম টা শুধু রুম বললে ভুল হবে ওর জীবনটা পুরো পরিপূর্ন,,,, বিধাতার কি খেলা একজন চলে যায় সবকিছু নিয়ে নিঃস্ব করে আরেক জন এসে সেই নিঃস্ব জীবনটাকে পরিপূর্ণতা দান করে,,,,এসব ভাবতে ভাবতে ইফতিও ঘুমিয়ে পরে,,,,,

সকালের আলো চোখে পরতেই মিসকার ঘুম ভাঙে,,,,গড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৭.১৬ বাজে,,,মিসকা পাশে তাকিয়ে দেখে হিয়া ইফতির বুকে ওকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে,,,,

মিসকা মোবাইলটা হাতে নিয়ে একটা পিক তুলে রাখে,,,, ড্রেসিন টেবিলের উপর নিজেকে দেখে খুব লজ্জা পাচ্ছে,,,,তার নাকের নাকফুলটা তার ফেইসটাই বলদে দিয়েছি,,,,গহনা, চুড়ি খুলে ওয়াশরুমে গেলো শাওয়ার নিতে,,,,,যেহেতু ইফতি ঘুমাচ্ছে তাই শাড়ি হাতেই বের হয়ে এসে ড্রেসিন টেবিলের সামনে দাড়িয়ে শাড়ি পরছে,,,,, কিন্তু কুচি গুলো দিতে পারছে না,,,,বার বার চেষ্টে করছে,,,,,,

ইফতির মুখে পানির ছিটা পরতেই ইফতির ঘুম ভেঙে যায়,,, তাকিয়ে দেখে মিসকা ড্রেসিন টেবিলের সামনে দাড়িয়ে কিছু একটা করছে আর চুলগুলো সামনে যাচ্ছে বার বার ও পিছনে চুলগুলো দিচ্ছে,,,, এতেই ওর মুখে পানি এসে পরেছে,,,,

ইফতি উঠে মিসকার সামনে গিয়ে দাড়ায়,,,,

মিসকা কুচি ঠিক করতে করতে ইফতির দিকে চোখ পরতেই হাত থেকে কুচিগুলো পরে যায়,,,,

মিসকাঃ আপনি এখানে??

ইফতিঃ হুম,,,,,, তুমিই তো ঘুম ভাঙিয়ে দিলে,,,,,

মিসকাঃ আমি?? আমি তো এখানে শাড়ী পরছিলাম,,,

ইফতিঃ কি যে পরছ তা তো দেখছি,,,,

মিসকাঃ আমি তো শাড়ি পরতে পারি না 😔।আন্টি বললো শাড়ি পরতে হবে তাই পড়ার চেষ্টা করছিলাম,,,,,

ইফতিঃ আমি হেল্প করবো??

মিসকা ঃ আপনি শাড়ি পড়াতে পাড়েন?😳

ইফতিঃ হ্যা ,,,,,, পারবো না কেনো?? আগে কতো শাড়ী,,,( বলেই থেমে গেলো)

মিসকাঃ কি হলো তাহলে আমাকেও পড়িয়ে দিন,,,😌😌 (কথাটা শুনে কেন জানি একটু কষ্ট পেলো কিন্তু তা বুঝতে দিলো না,,,,)

ইফতিঃ হুম দিচ্ছি বলেই ইফতি মিসকার শাড়ির কুচি ঠিক করে দিচ্ছে,,,

মিসকা অপলোকভাবে তাকিয়ে আছে ইফতির দিকে,,,,,মিসকা কেনো দিন ভাবতেও পারে নি এই রাগি বজ্জাত গোমড়া মুখোটা তার বর হবে তাকে এতো কেয়ার করবে,,,,,

ইফতিঃ এই মিসেস মশা কুচিগুলো ধরুন,,,,,,, নাকি আমিই গুজে দিবো,,,,

মিসকাঃ এই না না আমিই গুজে নিচ্ছি,,, বলেই কুচিগুলো ধরলো,,,

ইফতিঃ একটা শয়তানি হাসি দিয়ে নিচের কুচি ঠিক করছে,,,,

মিসকাঃ কুচি গুজে নিয়ে,,,, এই আপনি আমাকে তখন কি বললেন,,,

ইফতিঃ উঠে দাড়িয়ে,,, কি বললাম??

মিসকাঃ হাতে চুড়ি পরতে পরতে,,,,বলছে মিসেস আর কি কি বলেছন😒

ইফতিঃ তোমার নাম ই তো বললাম,,,

মিসকাঃ😒😒😒😒আমি কানে কালা নই

ইফতিঃ মশাকে মশা ই তো বলবো,,,,

মিসকাঃ কি বললেন আপনি😡😠

হিয়াঃ কি হয়েছে বাবাই ( চোখ কচলাতে কচলাতে বলছে)

ইফতিঃ হিয়ার পাশে বসে দেখো না হিয়া তোমার মাম্মাম আমাকে ধমকাচ্ছে,,,,,,

হিয়াঃ কেনো??

ইফতিঃ কি জানি

মিসকা ঃ হিয়ার পাশে বসে মোটেও না,,,,,,,, আমাকে কিসব উদ্ভট নামে ডাকছে,,,,,😔

হিয়াঃ কি বলেছ বাবাই??

ইফতিঃ তোমার মাম্মাম যেমন আমি সেই নামেই ডেকেছি,,,,,দেখনা সারাদিন মশার মতো ভন ভন করে এজন্য মশা বলেছি😜

মিসকাঃ আমি মশার মতো ভনভন করি😠

ইফতিঃ হ্যা করোই তো আমার মাথা খেয়ে নাও তুমি,,,

মিসকাঃ কি বললেন😡

হিয়াঃ উফফ তোমরা থামবে,,,😡

দুজনেই চুপ হিয়ার ধমকে,,,,,,

হিয়াঃ তুমি ছড়ি বলো,,,,

ইফতিঃ ওকে ছড়ি

হিয়াঃ আমাকে না মাম্মাম কে,,,,

ইফতিঃ ওকে হিয়ার মাম্মাম ছড়ি,,,

মিসকা😂😉

হিয়াঃ মাম্মাম তুমি বাবাইকে কিসি দাও,,,

মিসকাঃ কি😱😵

হিয়াঃ মাম্মাম😡

মিসকা ঃ আচ্ছা দিচ্ছি 😔

হিয়া মাঝে আর ইফতি একটু হাসি দিয়ে গালটা এগিয়ে দিলো,,,,,আর মিসকা ইফতির গালে চুমু একে দিলো,,,,

#চলবে,,,,,,,,,,,,,

#ভালোবাসার__টান,,,,,,😍👸😍

#part::::::::::::(42)

#writer:::::::::Tanzidaa Jannat

মিসকা চুমু দিয়ে লজ্জায় নিচে তাকিয়ে আছে,,,,

হিয়া হাত তালি দিচ্ছে,,,,,,

মিসকা একবার হিয়ার দিকে তাকিয়ে ইফতির দিকে তাকাতেই ইফতি চোখ মারলো,,,,

মিসকা লজ্জায় ওখানে থাকতে না পেরে দৌড়ে নিচে নেমে এলো,,,

হিয়াঃ দেখ বাবাই মাম্মাম লজ্জা পেয়েছে,,,মুখে হাত দিয়ে হাসছে আর বলছে,,,,

ইফতিঃ ওরে প্রিন্সেস দিনদিন পাজি দুষ্টু হয়ে যাচ্ছ,,,,,

হিয়াঃ 😂😂

ইফতি হিয়াকে কোলে নিয়ে ওয়াশরুমে যায় দুজনেই ফ্রেস হওয়ার জন্য,,,,

মিসকাঃ সিঁড়ির কাছে এসে থেমে গেলো,,,,,,হায় আল্লাহ তুমি কোথায় আনলে আমাকে,,,,যে বাপ তেমন তার মেয়ে,,,😔😌

এসব বিরবির করে বলছে আর নামছে,,,,,,

মিসেস নিলুফাঃ বাহ মিসকু তোকে তো খুব সুন্দর লাগছে। একদম আমার পার্ফেক্ট বউ,,,😍

মিসকা মিসেস নিলুফার কাছে এসে বললো কি যে বলো না আন্টি😌

মিসেস নিলুফাঃ মিসকার কান ধরে এই কি বললি আমাকে,,,,

মিসকাঃ আন্টিই তো বললাম,,,,

মিসেস নিলুফাঃ আবার😠

মিসকাঃ কি বলবো তাহলে,,,,?? 😔

মিসেস নিলুফাঃ মা বলে ডাকবি,,, আমার একমাত্র ছেলের বউ সে নাকি আমাকে আন্টি বলেই ডাকবে,,

মিসকাঃ আচ্ছা ঠিক আছে এখন থেকে মা বলেই ডাকবো,,,,, এবার তো কানটা ছাড়ো লাগছে যে😢

মিসেস নিলুফাঃ হুম,,,, আর তোর শ্বশুর কে বাবা বলবি,,,

মি. মুফতিউর রহমানঃ কি হচ্ছে এখানে,,,,

মিসকাঃ দেখনা বাবা আমাকে মা কান ধরে লাল করে দিয়েছে,,,,

মিসকার মুখে বাবা ডাক শুনে মুফতিউর রহমানের চোখ থেকে পানি ঝরে পরছে,,,,

মিসকাঃ একি বাবা তুমি কাদছো কেনো??

মুফতিউর রহমানঃ নারে না কিছু না,,,, খুশিতে চোখ থেকে পানি চলে এলো,,,,😢,,,,,তুমি আমার পরিবারটাকে আবার আশার আলো দেখিয়েছিস,,,,অন্ধকার জগৎ টাকে আলোময় করেছিস,,,,আজ তুই আমার কাছে যা চাবি তাই পাবি,,,

মিসকাঃ বাবা আমি কিছুই করি নি,,বরং তোমরা আমার জীবনে আশির্বাদ স্বরুপ এসেছো,,,,আমার জীবনে অপুর্ন বলতে কিছুই নেই,,,,ইফতির মতো বর হিয়ার মতো সন্তান পেয়ে আমি সত্যি ধন্য,,,,,শুধু দোয়া করবেন আমি যেন সারাজীবন ওদের আগলে রাখতে পারি,,,,,

মি. মুফতিউর রহমানঃ দেখেছো নিলু আমাদের মেয়েটা কতো বড় হয়ে গেছে,,,,

মিসেস নিলুফাঃ হুম,,,,,এখনও কি ছোট থাকবে এখন তো কারো বউ কারো মা হয়েছে,,,😊আর একজন মা হতে গেলে সবার উর্ধ্বে যেতে হয়,,,(মিসকার মাথায় হাত বুলিয়)

মিসকাঃ নিলুফার দিকে তাকিয়ে জড়িয়ে ধরলো,,,,

রুমাঃ ভাবি এই নেন ট্রেতে খাবার রেডি করে দিছি,,,,, হিয়ামুনি আর ছোট সাহেবের জন্য,,

মিসকাঃ কেনো সবাই একসাথে খাবে তো,,,

মিসেস নিলুফাঃ না আমিই বলেছি দিতে,,,,,,যা তুই ওদের খাইয়ে দিয়ে আয়,,,

মিসকাঃ কিন্তু মা,,,

মিসেস নিলুফাঃ কোনো কিন্তু নয়,,,,,

মিসকা বাদ্ধমেয়ের মতো ট্রে হাতে উপরে উঠছে,,,,

মিসকাঃ উফফ কি ভাবে যাবো এখন,,,, ভাবছিলাম আর ওনার সামনেই যাবো না,,,,কিন্তু মা 😑মা ইচ্ছে করেই এসব করছে সেটা আমি জানি, এসব ভাবতে ভাবতে মিসকা রুমে ঢুকে পরে,,,রুমে ঢুলে মিসকা হা করে তাকিয়ে আছে,,,,,

হিয়াঃ দেখ মাম্মাম বাবাই আমাকে আজ রেডি করে দিয়েছে,,,,

মিসকাঃ টেবিলের উপর ট্রে রেখে ওদের সামনে গিয়ে দেখে ইফতি হিয়াকে রেডি করে চুল বেনুনী করছে,,,

মিসকা তো দেখে হাসতে হাসতে বসে পরলো,,,

ইফতিঃ এভাবে হাসার কি আছে,,,

মিসকাঃ কি বেবুনী করেছেন একপাশ উচু নিচু তাও আবার মোটা আরেকপাশ চিকন😂😂😂

ইফতিঃ মোটেও ঠিক হচ্ছে না কিন্তু😑😑

মিসকাঃ হিয়া মাম্মাম আমার কোলে এসো তো,,,,বলে হিয়াকে কোলে নিয়ে ড্রেসিন টেবিলের সামনে দাড় করায়

হিয়াঃ এমা,,,,বাবাই কি করেছ এটা,,, এভাবে স্কুলে গেলে সবাই আমাকে পাগল ভাববে

মিসকাঃ 😂😂😂 আচ্ছা ঠিকাছে আমি ঠিক করে দিচ্ছি,,,,

ইফতিঃ আচ্ছা তুমি ওকে সামলাও আমি রেডি হয়ে আসি অফিস যেতে হবে,,,

মিসকা ঃ ব্যাস হয়ে গেছে,,,

মিসকাঃ হিয়াকে বসিয়ে খাইয়ে দিচ্ছে,,,, ইফতি ড্রেসিন টেবিলে দাড়িয়ে টাই বাঁধছে,,,

মিসকাঃ আপনার খাবারও মা পাঠিয়েছেন,,, খেয়ে নিন

ইফতিঃ না আমার সময় নেই,,,,বাইরে খেয়ে নেবো,,

মিসকাঃ সেকি কথা,,, আচ্ছা আপনি রেডি হন আমি খাইয়ে দিচ্ছি,,,,

ইফতিঃ এটাই তো চাইছিলাম ( মনে মনে)

মিসকা দুজনকে খাওয়াতে গিয়ে হাপিয়ে উঠেছে,,,,দু’জনের একজনও এক জায়গায় বসে খেল না,,, ইফতি অফিসে যাওয়ার জন্য এটা খুজছে ওটা খুজছে আর মিসকা পিছন পিছন খাবার নিয়ে ঘুরছে আর খাইয়ে দিচ্ছে,,,

ইফতিঃ এতটুকুতে হাপিয়ে উঠলে 😂😂সবে তো শুরু পরে কি করবা,,মহারানী

মিসকাঃ তার মানে ইচ্ছা করে এসব করছেন😵আপনাকে আমি 😡😡

ইফতিঃ কি আরেকটা চুমু দিবা😜

মিসকাঃ কি বললেন😠

ইফতিঃ আমি আর খাবো না,,, বলেই গ্লাস থেকে পানি খেয়ে নিলো,,,

মিসকাঃ হাত ধুয়ে হিয়াকে খুজছল,,,

ইফতিঃ যাকে খুজছো সে অনেক আগেই রুম থেকে বের হয়ে গেছে,,,

মিসকাঃ কি বলেন ওতো তেমন কিছুই খেলনা

ইফতিঃ বাচ্চা মানুষ এতো সকাল কিভাবে খাবে,,,, ওর কথা রেখে তুমি খেয়ে নাও

মিসকাঃ সে নিয়ে আপনার চিন্তা করতে হবে না বলেই বারান্দায় চলে গেলো,,,

ইফতিঃ সেই ক্ষেপেছে আমার উপর দাড়াও রাগ ভাঙাচ্ছি,,,

ইফতি বারান্দায় গিয়ে মিসকার পাশে দাড়ায়,,,, মিসকা ইফতির উপস্থিতি অনুভব করে পাশ থে সরে যেতে নেয়,,,,

ইফতি মিসকার আচল টেনে ধরে,,,,মিসকা আচলের টান বেজে দাড়িয়ে যায়,,,

মিসকাঃ কি হলো শাড়ির আঁচল ধরে আছেন কেনো,,,অসভ্যের মতো😒

ইফতিঃ অসভ্য তাই না দাড়াও অসভ্য কাকে বলে দেখাচ্ছি,,,,

মিসকাঃ দেখুন ভালো হবে না বলে দিচ্ছি,,,

ইফতি শাড়ির আঁচল হাতে পেচাতে পেচাতে এগুচ্ছে মিসকা নরতেও পারছে না,,,,, ইফতি মিসকার খুব কাছাকাছি চলে আসে দুজনের ভিতর এক আঙুল গেপও নাই,,,

মিসকাঃ কি করবে বুঝতে পারছে না পুরো শাড়ির আঁচল টা যে ইফতির হাতে পেচানো,,,,ওর হার্টবিট বেড়ে গেছে চোখ নিচের দিকে করে আছে।কারন ওর সাহস হচ্ছে না ইফতির চোখে চোখ রাখার,,,,

ইফতিঃ কি করবা যেন বলছিলে,,,,আসলে ভাল হবে না,,,তা কি হবে শুনি??

মিসকাঃ একটা কথাও বলতে পারছে না,,,মনে হচ্ছে ওখানে ঠান্ডায় জমে গেছে,,,,

ইফতিঃ আমি দেখাচ্ছি কি খারাপ হবে বলেই মিসকার থুতনি ধরে উচু করলো,,,

মিসকা এবার ইফতির চোখের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,দুজন দুজনের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে,,,

মিসকাঃ লজ্জা পেয়ে ইফতিকে ধাক্কা দিয়ে চলে যেতে নিলে ইফতির হাতে পেচিয়ে থাকা শাড়িধরে টান দেয়,,,,মিসকা ইফতির বুকের উপর গিয়ে পড়ে,,,

মিসকা ইফতির হার্টবিটের শব্দ পাচ্ছে,,,,এই জায়গা টা যেন ওর পরম সুখের স্থান,,,,মনে হচ্ছে ইফতিকে এভাবে জড়িয়ে রাখতে,,,,

ইফতি মিসকার কপালে চুমু একে দিলো মিসকা মাথা উচু করে তাকালো,,,,,

ইফতি মিসকার মুখে ফু দিলে মিসকা চোখ বন্ধ করে নেয়,,,,ইফতি মিসকার গাল দুহাত দিয়ে আবদ্ধ করে নেয়,,,এক অজানা নেশার টানে দুজন,,,

ইফতি ধীরে ধীরে মিসকার ঠোটের কাছে নিজের ঠোট নিয়ে আসে,,,,মিসকার শরীর কাপছে ইফতি মিসকার ঠোটের সাথে নিজের ঠোট আবদ্ধ করে নেয়,,,,,মিসকা ইফতির শার্ট খামচে ধরে,,,,,এক ভালোবাসার মাতলামোতে দুজনেই মেতে আছে,,,,

অনেক্ষণ পর ইফতি মিসকাকে ছেড়ে দিলে মিসকা পাথরের মুর্তির মতো দাড়িয়ে থাকে,,,

ইফতিঃএবার আর চিন্তা হবে না,,,, সকালের খাবারটা তো খাইয়ে দিয়ে গেলাম😂বলে মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেলো,,,,

মিসকাঃ ওখানে দাড়িয়েই রইলো,,,,,লজ্জায় লাল হয়ে আছে,,,,জীবনের প্রথম পুরুষ হচ্ছে ইফতি যে ওকে ছুঁয়েছে আজ ইফতি ওর বর এসব ভাসবতেই ব্লাসিং হচ্ছে,,,,

মিসকা একটু উকি দিয়ে দেখে রুমে কেউ আছে কি না,,,, না কেউ নেই তারমানে ইফতি চলে গেছে

মিসকা ড্রেসিন টেবিলের সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখতেই লজ্জা পাচ্ছে,,,, একটু আগে ঘটনাগুলো সবকিছু যেন আয়নায় প্রতিবিম্ব হচ্ছে মিসকা লজ্জায় দুহাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে,,,,,,কারো কথার শব্দে মিসকা বাস্তবে ফিরে আসে,,,,,

রুমাঃ বৌমনি খালাম্মা ডাকতাছে আপনাকে,,,,,,

মিসকাঃ আচ্ছা তুমি এই ট্রে টা নিয়ে যাও আমি আসছি,,,,,

চলবে,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here