ভালোবাসার টান part:37,38

ভালোবাসার টান
part:37,38
writer:Tanzidaa Jannat
37
মিসেস নিলুফাঃ হ্যাপি বার্থডে আমার দিদিভাইটা😊

হিয়াঃ থ্যাংকিউ দাদিয়া,,,,,😘

মি. মুখলফতিউর রহমান ঃ আমার ছোট গিন্নিটা তো বড় হয়ে যাচ্ছে,,,,,

হিয়াঃ 😊😊

মি. মুফতিউর রহমানঃ অনেক অনেক খুশি থাকো আমার গিন্নিটা,,,,,এই খুশিটার যেনো নজর না লাগে কারো,,,,,,( কপালে একটা চুমু দিয়ে)

মিসেস নিলুফা ঃ দেখি দেখি বলেই চোখ থেকে কাজল নিয়ে হিয়ার কানের নিচে টিকা পড়িয়ে দিলো,,,,

হিয়া তো ওদের বন্ধুদের দেখে আনন্দে আত্নহারা,,,,,,

সবাই ওকে উইস করছে গিফ্ট দিচ্ছে সেকি খুশি বলে বোঝাতে পারবে না,,,,,,

মিসকা শুধু হিয়ার দিকেই তাকিয়ে আছে,,,,,অসম্ভব সুন্দর লাগছে আজ হিয়াকে,,,,,

পিছন থেকে কারো শব্দ পেলো,,,,

ইফতিঃ থ্যাংকস আজকের দিনটা এভাবে সাজানোর জন্য,,,,,,
মিসকা কিছু বলতে যাবে এমন সময় ওর ফোনের রিংটোন বেজে উঠলো,,,,তাকিয়ে দেখে মিতু ফোন করেছে,,,,,

মিসকাঃ হ্যারে বল কোথায় তুই??

মিতুঃ এইতো গেটের সামনে তুই একটু আয় আমার কেমন যেনো নার্ভাস লাগছে,,,,,,,

মিসকাঃ আচ্ছা তোরা এগোতে থাক আমি আসছি,,,,,

মিসকা পিছনে তাকিয়ে দেখে ইফতি নেই,,,,অফিস থেকে সবাই এসেছে তাদের সাথে কথা বলছে,,,কি লাগছে আজ ইফতিকে,,,, ওফ হোয়াইট পাঞ্জাবি হাতাটা উঠিয়ে রাখা হাতে একটা গোল্ডেন কালারের ঘড়ি,,,,,, মিসকা তো রীতিমত ক্রাশ খাইছে,,,,,,হায়রে মিসকু কিসব ভাবছিস বলে মাথায় টোকা দিয়ে একটু হেসে চলে গেলো

মিসকা গেটের সামনে গিয়ে মিতুকে জড়িয়ে ধরলো,,,,

ফাহিমাঃ কে আপনি আপু?? ওকে এভাবে জড়িয়ে ধরলেন কেনো??

মিসকা মিতুকে ছেড়ে দিয়ে,,,,,ফাহিমার মাথায় টোকা দিয়ে,,,,,,তোর চশমাটার পাওয়ার বাড়াতে পারিস না,,,,,

ফাহিমা চশমাটা ঠিক করে,,,,,তাকায়

মিসকার কথায় মিতু আর ফাহিমা একবার অবাক হয়ে নিজেদের দিকে তাকাতাকি করে মিসকার দিকে তাকি এক সাথে বলে উঠলো,,,মিসকু😱😱😱

মিসকাঃ কি হলো তোরা এমন করে উঠলি কেন😰😰

মিতুঃ হায় আল্লাহ মে তো মার্যাওয়া,,,,,,আজ যদি মেয়ে না হয়ে ছেলে হইতাম তোরে নিয়া এখনই পালাতাম,,,,,,

মিসকাঃ হইছে এক্টিংকি দোকান,,,,,আপনার নটাংকি আর করার লাগবে না এবার বন্ধ করেন,,,,,,

মিতুঃ আল্লাহর কসম দোস্ত আজকে আমি ছেলে হলে তোরে কিডন্যাপ করে নিয়ে বিয়ে করে ফেলতাম,,,তুই যে আমাদের মিসকু আমরা তো চিনতেই পারি নাই,,,,,

মিসকাঃ এবার চলতো ভিতরে তোদের বকবক থামানো হলে,,,,,

ফাহিমাঃ হ্যা চল,,,,

ভিতরে গিয়ে তো ফাহিয়া, মিতু দুজনেই অবাক হয়ে সবকিছু দেখছে,,,,,,

মিতুঃ মিসকা তুই এই বাড়িতে থাকিস😳

ফাহিমা ঃ কতো সুন্দর বাড়িটা তার উপর এতো সুন্দর ডেকরেট,,,,,,,,,

মিসকাঃ শোন আমি এখানে থাকি,,,, এটা আমার বাড়ি না,,,,এবার চল তোদের আঙ্কেল আন্টির সাথে পরিচয় করিয়ে দেই,,,,,

মিসকা ওদের নিয়ে মিসেস নিলুফা আর মি. মুফতিউর রহমানের সাথে ওদের পরিচয় করিয়ে দিলো,,,,,,

মিতুঃ আচ্ছা তোর প্রিন্সেসটা কোথায়,,,,,,

মিসকাঃ চল আমার সাথে,,,,

হিয়া সবার সাথে হেসে হেসে খেলছিলো,,,,,নাচছিলো,,,আজ ওর আনন্দ দেখে কে,,,,

মিসকাঃ হিয়া দেখো কে এসেছে,,,,,

হিয়াঃ আরে খালামুনি তোমরা বলেই ওদের জড়িয়ে ধরলো,,,,,

মিতু ঃ হিয়াকে একটা চুমু দিয়ে তুমি আমাদের চেনো??

হিয়াঃ কেনো চিনবোনা আন্টি তো তোমাদেরকে আমায় প্রতিদিন দেখায়,,,,,

ফাহিমা ঃ ও তাই,,,,,,এই নাও এটা তোমার গিফট,,,,

হিয়াঃ থ্যাংকইউ আন্টি,,,😊

মিসকাঃ হিয়া তুমি খেলো আমি এখানেই আছি,,,,,

হিয়াঃ আচ্ছা,,,,

মিসকা ওদের নিয়ে গল্প করছে,,,,,,

মিসকাঃ আচ্ছা দাড়া আমি তোদের জন্য ড্রিংক আনছি,,,,,

ফাহিমাঃ ড্রিংক??

মিসকাঃ আরে বুড্ডি জুসের কথা বলছি ( একটু হেসে)

ফাহিমা ঃ ও আচ্ছা,,,,

মিতু’ঃ ওকে বলে লাভ নেই ও পাল্টাবে না,,,😂😂

মিসকাঃ আচ্ছা তোরা এখানে বস আমি এখনই আসছি,,,,

মিসকা হাটছে এর মধ্যেই কারো সাথে ধাক্কা লেগে পরে যাচ্ছিল,,,,

মিসকা চোখ বুজে আছে,,,আস্তে আস্তে চোখ খুলে দেখলো আবিদ,,,,

মিসকাঃ আবিদ তুই,,,( বলেই উঠে দাড়ালো)

আবিদঃ হ্যা কেনো,,, আশা করিস নি বুঝি??

মিসকাঃ এ আবার কেমন কথা,,,,,,

আবিদঃ না কিছু না,,,,,,,এভাবে হাটছিলি আরেকটু হলেই তো পরে যেতিস,,,

মিসকাঃ আরে মিতু আর ফাহিমা আসছে,,,,ওদের জন্য ই ড্রিংক আনতে যাচ্ছিলাম হঠাৎ ই হোচট খেলাম

আবিদঃ বাই দ্যা ওয়ে তোকে খুব সুন্দর লাগছে,,,,

মিসকাঃ আর ইউ পাম্পিং মি??😂😂

আবিদঃ তুই কি বেলুন তোকে পম্প দিবো,,,,সত্যি ই তোর থেকে চোখ ফিরানো যাচ্ছে না,,,,

মিসকাঃ আচ্ছা হইছে চল ওদের সাথে তোকে দেখা করিয়ে দেই,,,

মিসকা মিতু আর ফাহিমার সাথে আবিদকে দেখা করালো,,,,

চারজন মিলে আড্ডা দিচ্ছে আর হাসছে,,,

মিতুঃ অনেক দিন পর এভাবে আড্ডা দিলাম রে,,, সব কিছু কেমন জানি হারিয়ে গেছে,,,😑😑

মিসকাঃ হুম,,,🙁

হঠাৎ ই মিসকার মেসেজ টোন বেজে উঠলো,,,,মিসকা চেক করে দেখে ইফতির মেসেজ,,,

ইফতিঃ তাড়াতাড়ি একটু দেখা করো,,,,,,

মিসকাঃ তোরা একটু বসে কথা বল আমি আসছি,,,,,

আবিদঃ তাড়াতাড়ি আসিছ,,,,

মিসকা গিয়ে ইফতিকে খুজতে লাগলো,,,,, হঠাৎ ই কারো হেচকা টানে পরে যাচ্ছিলো,,,,
মিসকাঃ ওমা,,,,,বলেই কারো বুকের উপর গিয়ে পরলো মনে হলো,,,

ইফতিঃ উহহুম,,,, কানটার দিলা তো বারোটা বাজিয়ে,,,,,,

ইফতির কথা শুনে মিসকা তাকালো ওর দিকে,,,,

ইফতিঃ আচ্ছা তোমার লজ্জা নাই এভাবে একজন পর পুরুষের বুকের উপর জড়িয়ে ধরে আছো??

মিসকা ইফতিকে ছেড়ে দিয়ে ঠিক হয়ে দাড়ালো,,,,,,

মিসকাঃআমি কি ইচ্ছা করে ধরেছি নাকি,,,,এভাবে কেনো টান দিলেন??😠😠

ইফতিঃ বাহ আমার সাথে কথা বলতে গেলেই উরন চন্ডি হয়ে যাও,,,,, বাকি সবার সাথে তো ভালোই কথা বলো,,,,

মিসকাঃ আপনার সাথে কথা বলাই বেকার ( বলেই চলে যাচ্ছিলো)

ইফতিঃ পিছন থেকে ওর হাত টানতে টানতে একটা রুমে গিয়ে দরজা লক করে দিলো,,,,,,

মিসকা রীতিমত ভয় পাচ্ছে,,,,

মিসকাঃ একি দরজা বন্ধ কেনো করলেন??

ইফতিঃ ইফতি মিসকার দিক এগুচ্ছে আর মিসকা পিছুচ্ছে,,,,
পিছোতে পিছোতে দেয়ালের সাথে মিসে গেলো,,,,মিসকা তো ভয়ে কাপছে,,,,,,ইফতি আরো কাছে চলে এলো,,,,

ইফতিঃ তোমার সাহস কি করে হয় আমার কথা শেষ করতে না দিয়ে চলে যাওয়ার( রাগি চোখে মিসকার দিকে তাকিয়ে)

মিসকাঃ ইফতিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দরজার ছিপটা খুলতে গেলে,,,ইফতি মিসকা হেচকা টান দিয়ে ইফতির বুকের সাথে মিসকার পিঠ ঠেকে গেলো,,,,,,

ইফতিঃ মিসকার পেটের দুই পাশে থেকে স্লাইড করছে,,,,মিসকার এক অদ্ভুত অনুভুতি হচ্ছে,,,,,,,,মিসকার নিশ্বাস ভারি হয়ে পরছে,,,,,বুকের ভিতর মনে হচ্ছে কে যেনো হাতুরি দিয়ে পিটাচ্ছে,,,, অদ্ভুত এক নেশা কাজ করছে,,,,,ইফতি আরো কাছে নিয়ে আসলো মিসকাকে,,,,মিসকা পুরো ভার ইফতির উপর ছেড়ে দিয়েছে দুজনে একেবারে লেপ্টে আছে,,,,,,ইফতি মিসকার চুলগুলো সরিয়ে ঘারে একটা চুমু একে দিলো,,,,মিসকার সারা শরীর কেপে উঠছে,,,ইফতি মিসকাকে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে,,কপালের চুলগুলো কানের কাছে গুজে দিলো,,,,,কপাল থেকে স্লাইড করতে করতে ঠোঁটের কাছে আসতেই মিসকা কেঁপে উঠছে,,,,দুজনেরই এক অদ্ভুত ঘোর কাজ করছে,,,,,ইফতি মিসকার কপালে একটা চুমু একে দিলো,,,,,, মিসকার থুতনিটা ধরে কাছে,, টেনে আনছে,,,,,,, মিসকা চোখ বন্ধ করে আছে,,মিসকার কাপা ঠোটের কাছে ইফতি নিজের ঠোটটা যতো এগুচ্ছে মিসকা ইফতির গেঞ্জি খামচে ধরছে,,,,,,,,

হঠাৎ ই রিংটোনের শব্দে ওদের ঘোর কেটে গেলো,,,ইফতি মিসকাকে ছেড়ে দিলো,,,,মিসকাও লজ্জায় পরে গেলো,,,,,কোনো কিছু না ভেবে দরজা সিটকানি খুলেই দৌড় দিলো,,,,,,দৌড়ে দেয়াল ধরে হাঁপাচ্ছে,,,,,

মিসকা ঃ কি করতে যাচ্ছিলাম এটা আমি??😱ছিঃ ছিঃ এটা আমি কিভাবে,,,,,,,, ( মনে মনে ভাবছে)

হঠাৎ ই কারো স্পর্শে কেঁপে উঠলো মিসকা,,,,,,পিছনে তাকাতেই,,,,,

#চলবে,,,,,,,,,

#ভালোবাসার__টান,,,,,,,😍👸😍

#part:::::::::(38)

#writer::::::::::Tanzidaa Jannat

মিসকা পিছনে ফিরতেই দেখে মিসেস নিলুফা

মিসেস নিলুফা ঃ কি হয়েছে???

মিসকাঃ না ইয়ে মানে,,,,,,

মিসেস নিলুফা ঃ কি না মানে মানে করছিস?? ঐদিকে ফাংশন চলছে আর তোকে খুজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে গেছি,,,,

মিসকাঃ আসলে আন্টি আমি একটু উপরে গেছিলাম,,,,( যাক বাবা আন্টি কিছু বুঝতে পারে নাই)

মিসকাঃ হুম চল এখন,,,,,কেক কাটতে হবে তো,,,,,

মিসকাঃ হুম চলুন,,,,

মিসকা গিয়ে দেখে ইফতিও পার্টিতে,,,, ( না না আমাকে নরমাল থাকতে হবে,,,,কেউ কিছু যাতে সন্দেহ না করে,,,মনে মনে ভাবছে)

মিসেস নিলুফা ঃ কি হলো আবার দাড়িয়ে গেলি যে,,,,

মিসকা ঃ আসছি তো ( একটু হাসি দিয়ে)

মিসকা গিয়ে হিয়ার পাশে দাঁড়ালো,,,

মিতুঃ তুই আমাদের একা রেখে কোথায় চলে গেলি হুট করে??

মিসকাঃ এ–একটু উপরে,,,,

মিতুঃ আচ্ছা ঠিক আছে,,,

মিসকার চোখ ইফতির চোখের উপর পরলো,,,দুজন দুজনের দিক তাকাতেই মিসকা সাথে সাথে চোখ নামিয়ে ফেললো,,,,ইফতি একটু হাসি দিয়ে হিয়াকে কোলে নিলো,,,,,সবার চোখ আড়াল থাকলেও আবিদের চোখ আড়াল হলো না ওদের এই ব্যপার টা,,,, ইফতি যখন মিসকাকে টেনে রুমে নিয়ে যাচ্ছিল তখন আবিদ দেখে ফেলেছিলো,,,কারন আবিদ মিসকার পিছু নিয়ে ছিলো,,,আজ ওকে মনের কথা বলবে বলে,,,,,

ওদের এই ব্যাপারগুলো ও মেনে নিতে না পেরে রাগে ফুঁসতে লাগলো,,,,

এর মধ্যেই মি. মুফতিউর রহমান কেক নিয়ে আসলো,,,,,

সবাই হাত তালি দিচ্ছে,,,, আর হিয়ার তো খুশির বাধ ই নেই,,,,

ইফতি হিয়াকে নামিয়ে দিলো,,,,

হিয়াঃ ওয়াও 😍দাদুভাই এই কেকটা আমার জন্য,,,,এত্তবড় কেক,,,

মিসেস নিলুফা ঃ হুম তোমার পছন্দ হয়েছে??😋

হিয়াঃ ভীষন 😍😍

হিয়া হাতে ছুড়ি নিয়ে কেক কাটতে গিয়েও থেমে গেলো,,,,

মিসেস নিলুফা ঃ কি হলো দিদিভাই থেমে গেলে যে//

হিয়া মিসকার হাত ধরে টেনে ওর পাশে দাড় করালো আর ইফতিকে বললো,,, বাবাই তুমিও হাত দাও,,,

মিসকার হাত হিয়া ধরে আছে আর ইফতি ওদের হাতের উপর হাত ধরে কেক কাটছে,,,,,,অনেকেই ছবি তুলছে,,,,হাত তালি দিচ্ছে, পার্টিবোম, পার্টি স্প্রে দিচ্ছে,,,,, সবাই একত্রে বলে উঠে হেপি বার্থডে টু ইউ)

কেক কাটা হলে হিয়া কেক নিয়ে প্রথমে মিসকাকে, তারপর ইফতিকে, তারপর মিসেস নিলুফা কে আর মি. মুফতিউর রহমান কে খাইয়ে দিলো,,,,,একে একে সবাই ওকে খাইয়ে দিলো,,,

মিসকা হিয়াকে কেক খাইয়ে দিয়ে গালে চুমু দিতেই দেখে ইফতিও হিয়ার আরেক গালে চুমু দিচ্ছে,,,, মিসকা তাকাতেই ইফতি চোখ টিপ পারলো,,,মিসকা চোখ নামিয়ে নিলো,,,,,

হিয়াঃ বাবাই তুমি একটা গান গাওনা প্লিজ বাবাই,,,,

ইফতিঃ তুমি কি করে জানলে আমি গান জানি,,,,( ভ্রু উচু নাচিয়ে জিগ্যেস করলো)

হিয়াঃ দাদিয়া বলেছে😉

ইফতিঃ আচ্ছা,,,,,

ইফতি হিয়ার মুখ দুহাত দিয়ে ধরে কপালে একটা চুমু দিয়ে,,,

**লক্ষী সোনা আদর করে দিচ্ছি তোকে,,,,,লক্ষ চুমু😘 মায়া ভরা তোরি মুখে,,,,(২)

কলিজা,,,
তুই আমার,,,, তুই যে নয়নের আলো,,,

লাগে না তুই ছাড়া লাগে না তো যে ভালো,,,,,,,

( হাত ধরে হিয়াকে ঘুরাচ্ছে,,,,)

রুপকথা তুই তো আমার’ই জীবনের চেয়ে আরো দামী,,,(২)

হিয়ার বন্ধুরা এসে একসাথে নাচঁছে,,,

তুই আমার জীবন তুই ছাড়া মরন তুই যে আমারি সাত রাজারই ধন,,,,(২)

মিসেস নিলুফা,মিসকা, মি. মুফতিউর রহমান,,,, হিয়ার বন্ধুরা একসাথে হাত রেখে ওদের ২জন কে মাঝে রেখে ঘুরছে,,,

কলিজা তুই আমার তুই যে নয়নের আলো,,,

লাগে না তুই ছাড়া লাগে না তো যে ভালো,,,,,

রুপকথা তুই তো আমার’ই জীবনের চেয়ে আরো দামী,,,(২)

এবার মি. মুফতিউর রহমান হিয়াকে কোলে নিয়ে,,,,,

** তুই চাঁদের কনা,,,,, তুই ছানাপনা,,, তুই যে আমারই সব সুখেরই ক্ষন,,

কলিজা তুই আমার তুই যে নয়নের আলো,,,

লাগে না তুই ছাড়া লাগে না তো যে ভালো,,,,,

ইফতি, মি. মুফতিউর রহমান একাসাথে

রুপকথা তুই তো আমার’ই জীবনের চেয়ে আরো দামী,,,,

রুপকথা তুই তো আমার’ই জীবনের চেয়ে আরো দামী,,,,,(৪)

গান শেষ হলে সবাই হাত তালি দেয়,,,,,,

গানের পর্ব শেষ হলে সবাই খাওয়ার প্রস্তুুতি নেয়,,,,

ইফতি আর ওর বাবা মুফতিউর রহমান কারো যাতে কোনো কিছুতে অসুবিধা না হয় তার দেখাশোনা করছে,,,,,,

মিসকা, মিতু আরো কয়েকজন মহিলা একসাথে কথা বলছে,,,,,

হঠাৎ ই মনে হলো কেউ ওর পেটে হাত রাখছে,,,,পিছনে ফিরে তাকাতেই একটা ছেলেকে দেখলো,,,,, মিসকা হাতটা এক ঝটকায় সরিয়ে দিলো,,,,

মিসকা ঃ কি করছেন কি??

ছেলেটিঃ কেনো কি করলাম,,,,

মিসকাঃ এভাবে অসভ্যতামী করে আবার বলছেন কি করলাম,,,,

ছেলেটি ঃ ও আচ্ছা বড়লোকের ছেলে করলে ভালো লাগে মজা পাও আর আমরা করলেই দোষ,,,,( মুখে হাতে রেখে দাড়ী ঘষে ঘষে বখাটে হাসি দিয়ে বললো)

মিসকাঃ কি বললেন আপনি বলেই থাপ্পড় দিতে হাত উচু করলে,,,

ছেলেটি হাত ধরে ফেললো,,,,,হাতটাকে শক্ত করে ধরে এতো নরম হাতে থাপ্পড় মানায় না আদর মানায়,,,,

মিসকা হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না,,,

মিতু ঃ এই ছেলে এই অসভ্যদের মতো কেনো করছেন??ছাড়ুন বলছি ওর হাত,,,,

মিতুর দিকে তাকিয়ে হাতটা ছেড়ে দিয়ে,,,বখাটে হাসি দিয়ে,

( এসবকিছু দূর থেকে একজন দেখছে আর ইনজয় করছে,,,সে আর কেউ নয় আবিদ,,,,,ওর রাগ এতোটাই হয়েছে যে এসব নোংরা খেলা খেলতে একবার ভাবলো না)

ছেলেটিঃ তোমার বান্ধবীকে একটু বলো আমাকেও আদরের পরশ দিতে,,,,, এর মুল্যে যা লাগবে পুষিয়ে দিবো,,,,,

মিসকা এসব শুনছে আর কেঁদেই চলেছে,,,,,

আশেপাশে সবাই কানাঘুষা করছে,,,,কেউ কেউ বলছে তাই তো বলি এই মেয়ে এতোদিন ধরে এখানে কি করছে,,,,আবার কেউ বলছে ছিঃ ছিঃ বড়লোকদের বেপার সেপার বুঝবেন না,,,,,,কিন্তু এই মেয়ের একটু লজ্জা সরম নাই,,,, একটা বিবাহিত পুরুষের সাথে ফস্টি নষ্টি করছে,,,,,

চারোপাশে গুঞ্জন ছড়িয়ে গেলো,,,,,

মিসকা কল্পনাও করতে পারে নি,,,, তাকে কোনো দিন এসব শুনতে হবে,,,,,(শুধু কেদেই চলছে,,,,কি বলবে ওর ভাষা ভাষা যে ও হারিয়ে ফেলেছে)

হিয়া মিসকাকে কাঁদতে দেখে দৌড়ে এসে ছেলেটিকে মারতে শুরু করে,,,,

হিয়াঃ তুমি আমার আন্টিকে কেনো কাদিঁয়েছো,,,কেনো পঁচা কথা বলেছো কেন,,,,,,,

মিসকা ঐখান থেকে দৌড়ে যাচ্ছিলো এমন সময় ধাক্কা খেলো,,,,তাল সামলাতে না পরে পরে গেলো,,,,,

ইফতিঃ একি এভাবে দৌড়াচ্ছিলে কেনো,,,,,( বলেই ওকে উঠিয়ে দাড় করালো,,,,)

মিসকা দাড়িয়ে ইফতিকে ধাক্কা দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে গেলো,,,

ইফতিঃ পিছন থেকে মিসকাকে ডাকছে আর বলছে কাদঁছো কেনো?? মিসকা,, মিসকা,,,,

সামনে এগুতে দেখে হিয়া একটা ছেলেকে মারছে আর বলছে তুমি আমার আন্টিকে কেনো কাদিয়েছো,,,,,

ইফতি গিয়ে হিয়ার কাছে হাটুগিরে বসে চোখ মুছে দিয়ে জিগ্যেস করছে,,,,

ইফতিঃ তুমি এভাবে কেনো কাঁদছো,,,,,, কি হয়েছে,,,,

হিয়াঃ হেচকি তুলে কাদছে আর হাত দিয়ে দেখিয়ে বলছে ঐ পচা আঙ্কেল টা আন্টিকে পঁচা কথা বলেছে,,,,

ইফতিঃ রাগে লাল হয়ে গেছে,,,,,কি বলেছে আন্টিকে??

হিয়াঃ শুধু কেঁদেই যাচ্ছে,,,,

মিতুঃ আমি বলছি,,,,,মিতু সব কিছু বললো,,,

ইফতিঃ কোনো কথা না বলেই ছেলেটিকে মারতে লাগলো,,,,,

এদিকে আবিদ পরিবেশ সুবিধার মনে না হওয়ায় ঐখান থেকে পালিয়ে যায়,,,,,

ইফতি মারতে মারতে ছেলেটিকে আধমরা বানিয়ে ফেলছে,,,,,

মি. মুফতিউর রহমান ইফতিকে আটকাতে চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না,,,,,,,

এদিকে মিসেস নিলুফা এসে হিয়াকে কোলে নিয়ে থামাচ্ছে,,,,,

মি. মুফতিউর রহমানঃ ইফতিকে না থামাতে পেরে ইফতির গালে থাপ্পড় মারলো,,,,

ইফতি থাপ্পড় খেয়ে গালে হাত দিয়ে দাড়িয়ে গেলো,,,,,

মি. মুফতিউর রহমানঃ এভাবে কেউ কাউকে মারে,,,,😠আরেকটু হলে তো মরে যাবে,,,,,ওরা আমাদের গেষ্ট,,, ভুলে গেছো সেটা??😠😠(রাগি গলায় বলছে)

ইফতিঃ না ভুলি নি,,,,ওকে আমি শেষ করে ফেলবো আজ,,,,😡😡

তুমি জানো ও কি করেছে,,,,, (বলে সব কিছু খুলে বললো,,)

মি. মুফতিউর রহমান ঃ পশুর সাথে তুমিও কি পশু হবে,,,,ওর ব্যবস্থা আমি করছি,,,, বলেই ফোন কানে নিয়ে চলে গেলো,,,,,

এদিকে একজন মহিলা বলে উঠলো,,,,,,কিরে বাবা সত্যি কথা বললেই গায়ে ফোসকা পরে,,,,বাসায় বসে ফষ্টি নষ্টি করবে আর কেউ বললে তাকে শাস্তি দিবে,,,,,
চারোপাশে সবাই আজে বাজে কথা বলছে,,,,

ইফতি গিয়ে মিসকাকে হাত ধরে টেনে নিচে নামিয়ে আনলো,,,আর মিসকা হাত ছাড়াতে চেষ্টা করছে আর কান্না করছে,,,,,,

মিসকাকে ছেলেটির সামনে দাড় করালো,,,

ইফতিঃ ছেলেটির কলার ধরে মিসকার পায়ের কাছে ধরে,,,,,,, ক্ষমা চা বলছি( রাগি কন্ঠে বললো)

ছেলেটি ভয়ে মিসকার পা ধরে ক্ষমা চাইছে,,,,,

মিসকাঃ পা পিছিয়ে নিয়ে কাঁদতে কাদতে বসে পরলো,,,

কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এসে ছেলেটিকে নিয়ে গেলো,,,,

মিসেস নিলুফা মিসকাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে,,,,মিসকা মিসেস নিলুফাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে শুরু করলো,,,,

মিসকাকে একটা চেয়ারে বসিয়ে,,,,,,,

মিসেস নিলুফাঃ কতোদিন তুই আমি আমরা এভাবে মানুষের মুখ বন্ধ করবি,,,,,আজ একজন বলেছে কাল দশজন বলবে,,,তখন তখন কি করবি তুই,,,,,একটা মেয়ের সম্মানের কথা ভাবিস,,,,কতোটা হেনস্তা হতে হয়েছে আজ এতোগুলা মানুষের সামনে,,,আমি তো শুনতেও পেলাম অনেকেই নোংরা কটূক্তি করছে,,,,এভাবে কতদিন ইফতি,,,??( ইফতির সামনে দাড়িয়ে)

ইফতিঃ তাহলে কি করতে বলছো তুমি মম?? ( মাথা নিচু করে)

মিসেস নিলুফা ঃ এই মেয়েকে এ বাড়িতে তুমি এনোছো,,,,আর ওর সম্মান রক্ষা ও তোমার দায়িত্ব,,,,,মিসকাকে তোমার বিয়ে করতে হবে,,,,

মিসকাঃ কথাটা শুনে দাঁড়িয়ে পরলো,,,আন্টি এসবের কোনো প্রয়োজন নেই,,,আমি কালই এখান থেকে চলে যাবো,,,তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে,,,,,আমি কারো জীবনে ৩য় ব্যক্তি হতে চাই না,,,,

মিসকার কথা শুনে হিয়া মিসকাকে জড়িয়ে ধরে,,,, আন্টি তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না 😭আমি যেতে দিবো না😭😭

মিসকাঃ আমি তো তোমার সাথে রোজ কথা বলবো সোনা তুমি একদম কেদো না,,,( হেচকি তুলে কাদছে আর বলছে)

হিয়াঃ আন্টি তুমি আমায় একটা প্রমিস করেছিলে আজ আমি তোমার কাছে যা চাইবো তাই দেবে আমায় 😭😭

মিসকাঃ দেবো তো বলো তোমার কি চাই,,,,

হিয়াঃ আমি তোমাকে মাম্মাম ডাকতে চাই,,,,,দেবে আমায় সেই অধিকার,,,,,,, হবে আমার মাম্মাম,,,( গলা জড়িয়ে ধরে)

মিসকাঃ হিয়া তুমি আমার কাছে বাকি যা চাইবে সব দিবো,,কিন্তু,😭😭

মিসেস নিলুফা ঃ কিন্তু কি তুই তো আজ সকালে ওকে সুয়ে প্রমিস করেছিস,,,,তুই কি চাস তোর জন্য হিয়ার কোনো ক্ষতি হোক,,,,,,

মিসকাঃ আন্টি😵প্লিজ এভাবে বলবেন না😭😭😭

ইফতিঃ আমি সবার সব কিছু শুনলাম,,,,মম বাবা কোথায়,,,,

মি. মুফতিউর রহমান ঃ এই তো আমি বল কি বলবি??

ইফতিঃ তুমি কাজি ডাকো,,,,আজ এক্ষুণি বিয়ে হবে,,,,,

মিসকাঃ কোনো কথা বলছে না,,,,,,,মাথা নিচু করে কেঁদেই যাচ্ছে,,,,,,

চলবে,,,,,,,,,,,

বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here