ভালোবাসার টান
part:3,4
writer:Tanzidaa Jannat❤Jannatul Ferdousy
2
(এত্ত বড় বাড়ি বিশাল জায়গা জুরে,,,,,,,)
হিয়াঃ আন্টি নামো আমরা চলে আসছি তো😊
মিসকাঃ হ্যা,,,,,না,,,নামছি!!(হিয়ার কথায় আমার ঘোর কাটলো,,,,, নামতেই দেখি চারি পাশে ফুলের বাগান বিভিন্ন প্রজাতির ফুল 💐,,,ইচ্ছে করছিলো ফুলগুলো গিয়ে তুলি)
ইফতিঃ এভাবেই দাড়িয়ে থাকবেন নাকি ভিতরে যাবেন???😒( রাগি গলায়)
মিসকাঃ হ্যা,,,,,,যাচ্ছি
( এমন কেনো গোমড়ামুখো টা একটু ভালো করে কথা বললে কি হয়। আমি কি থাকতে আসছি নাকি মনে মনে)
হিয়াঃ আন্টি কি ভাবছো চলো
মিসকাঃ হুম চলো,,,,,,,
( আমরা গিয়ে দরজার সামনে দাড়াতেই এক ভদ্র মহিলা দরজাটা খুলে দিলো আর মি. বজ্জাত মানে ইফতি হনহন করে ভিতরে ঢুকে ওপরে চলে গেলো)
হিয়াঃ দাদিয়া😊,,,,,বলেই দৌড়ে কোলে উঠলো।
দাদিয়াঃ তুই কোথায় চলে গিয়ে ছিলি হিয়াসোনা??আমি তো খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম( ওকে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো)
হিয়াঃ ওর দাদিয়ার দু’চোখ মুছে দিয়ে বললো দেখ আমি একদম ঠিকাছি😊দেখ আমার সাথে কে এসেছে
( বলেই আঙ্গুল দিয়ে আমায় দিখিয়ে দিলো)
দাদিয়াঃ হিয়ার কথা শুনে মিসকার দিকে তাকালো।তারপর উঠে মিসকার কাছে গেলো।
মিসকাঃ হিয়ার কথা শুনে দেখি আন্টি আমার দিকে তাকিয়ে আমার কাছে আসলো।আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না 😔
দাদিয়া ঃমিসকার মাথায় হাত দিয়ে বলতে লাগলো কে তুমি মা? আর ওকে কোথায় পেলে?
মিসকাঃ আসসালামু আলাইকুম আন্টি // আমি মিসকা,,,,,আসলে ও,,,,,(,বলতে না বলতেই)
হিয়ার দাদিয়াঃ এখানে দাড়িয়ে কেনো ভিতরে এসে বস। তারপর যা কথা শোনার হয় শুনবো
মিসকাঃ আস্তে মুচকি হাসি দিয়ে ভিতরে গিয়ে সোফায় বসলাম।হিয়া আমার পাশে এসে বসলো।
হিয়ার দাদিয়াঃ এই রুমা এখানে নাস্তা দাও ( রুমা হচ্ছে ওদের বাড়ির কাজের মেয়ে)
রুমাঃ জ্বি খালাম্মা দিতাছি (রান্নাঘর থেকে বললো)
হিয়ার দাদিয়াঃ আমি হচ্ছি নিলুফা রহমান. এছাড়াও আমার আরেকটা পরিচয় আছে আমি হিয়ার দিদিয়া এক মাত্র দিদিয়া বলেই হাসতে লাগলো
মিসকাঃ আমি আর হিয়াও হাসছি। ( বাইরে থেকে বাড়িটা দেখতে যতটা সুন্দর ভিতরটাও ঠিক ততটাই। সবকিছু একদম পরিপাটি😊)
নিলুফাঃ আচ্ছা এবার বলো তুমি ওকে কোথায় পেলে??
মিসকাঃ সব খুলে বললো।,,,,,
মিসেস নিলুফা ঃ তুমি না থাকলে আমার নাতনিটার কি যে হতো বলেই কেঁদে দিলো
মিসকাঃ কাঁদবেন না আন্টি প্লিজ।আপনি আমার মায়ের মতো আপনি কাঁদলে আমার একদম ভালো লাগবে না।
( রুমা একটা ট্রেতে করে নাস্তা বানিয়ে নিয়ে আসলো)
মিসেস নিলুফাঃ চোখ মুছে বললো নাও মা একটু কিছু খেয়ে নাও।
হিয়াঃ আন্টি তুমি আমায় খাইয়ে দিবে?
মিসকাঃ হিয়ার কথায় হঠাৎ একটু অবাকই হলাম। তারপর হেসে দিলাম,,, বললাম ঠিকাছে
(হিয়া তো মহা খুশি,,,,,,,ইয়ে বলেই রুমে চলে গেলো আমার হাত টানতে টানতে)
মিসেস নিলুফাঃ আস্তে দৌড়ে যেও না আন্টি পরে যাবে তো!!!!
(পাজি মেয়ে একটা কে শোনে কার কথা,,,অনেক দিন পর হিয়াকে একটু হাসতে দেখলাম মনে মনে)
হিয়াঃ দেখো আন্টি আমার রুম 😊
মিসকা রুমটা ঘুরে ঘুরে দেখলাম অনেক সুন্দর করে সাজানো রুমটা। চারোদিকের দেওয়ালে কার্টুনের পেইন্টিং করা। পুতুল দিয়ে পুরো রুম সাজানো আর একটা বাধাঁই করা বড় ছবি দেওয়ালে টানানো হিয়া আর ওর দাদীয়া আর একজন ভদ্রলোকে।বুঝলাম এ হিয়া দাদা হবে
হিয়াঃকেমন লাগছে আমার রুমটা?
মিসকাঃ খুব সুন্দর তোমার মতো প্রিনসেসের রুমটা তো সুন্দর হবেইওর দুগালে একটু টেনে দিয়ে বললাম।
হিয়াঃ এসো আমার সাথে এ বলে মিসকার হাত ধরে বারান্দায় নিয়ে গেলো।
মিসকা ঃ ওয়াও কি সুন্দর লাগছে বারান্দা থেকে চারিপাশ টা দেখতে
রুমাঃ আফামুনি এই নেন হিয়া মামুনির খাবার। খাবারটা টেবিলে রেখে চলে গেলো
মিসকাঃ চলো হিয়া খেয়ে নিবে।
হিয়াঃ আচ্ছা,,,,,,, খাবো তবে আমায় গল্প শোনাতে হবে
মিসকাঃ ওরে পাজি মেয়ে তোমার বায়নার অন্ত নেই না ☺️।আচ্ছা বলছি কিন্তু তাড়াতাড়ি খেতে হবে
হিয়াঃ আচ্ছা
এদিকে মিসেস নিলুফা দরজার পাশে দাড়িয়ে দুচোখ ভরে দেখছে আর চোখ ভরে অশ্রু বেরোচ্ছে।আর ভাবছে আজ যদি হিয়ার মা এমন করে চলে না যেত আজ আমার পরিবারটা কতো শুখের হতো😢
মিসকাঃ খাওয়া শেষ নাও এবার লক্ষি মেয়ের মতো ঘুমিয়ে থাকো।আমার যেতে হবে তো।সন্ধ্যা হয়ে গেছে।
হিয়াঃ আমার হাতটা ধরে বললো আন্টি তুমি আবার আসবে তো?
মিসকাঃ কি বলবো বুঝতে পারছি না তবুও শান্তনা দেওয়ার জন্য বললাম আসবো। তুমি এবার ঘুমায়ও।( মাথায় হাত রেখে)
( তারপর নিচে চলে আসলাম। আন্টির থেকে বিদায় নিলাম।অবশ্য রাতে খেয়ে যাওয়ার জন্য অনেক জোর করেছিলো)
মিসেস নিলুফাঃ তুমি খেয়ে গেলে না আমার খুব খারাপ লাগছে।আচ্ছা আবার একদিন এসো কেমন।
মিসকাঃ জ্বি আন্টি,,,
মিসেস নিলুফাঃ সিফাত তুই ম্যামকে নামিয়ে দিয়ে আয়। ( সিফাত হলো তাদের নিজস্ব ড্রাইভার)
সিফাতঃ জ্বি খালাম্মা,,,,,,,,,আসেন আফা আমার লগে।
মিসকাঃঃ আচ্ছা আসি আন্টি ভালো থাকবেন। আর দোয়া রাখবেন। 😊
মিসেস নিলুফাঃ আচ্ছা মা যাও তুমিও ভালো থেকো।আর সময় পেলে এসো কিন্তু আবার
মিসকাঃ বিদায় নিয়ে গাড়িতে উঠলাম। হিয়ার জন্য মোনটা কেমন যেনো করছে কয়েকটা ঘন্টা এরই মধ্যে মেয়েটাকে খুব কাছের মনে হচ্ছে। এটাই বুঝি ভালোবাসার টান।এক অদ্ভুদ টান।মিসেস নিলুফা মানে আন্টিটাও খুব ভালো কতো সুন্দর তার ব্যবহার। কিন্তু একজনের মাথাটায় মনে হচ্ছে পোকা।মুখটাকে সবসময় গোমড়া করে রাখে।আর হিয়া!!! হিয়া তো তার মেয়ে মা নেই মেয়েটাকে আদর করবে কোথায় তা না করে বকাবকি করলো।আচ্ছা হিয়ার সাথে উনি এমন ব্যবহার কেন করলো???🤔🤔এসব ভাবতে ভাবতেই ড্রাইভাব বলে উঠলো,,,,,,,
সিফাতঃ আফা আপনে কই নামবেন এখানে নাকি আরো সামনে এগিয়ে???
মিসকাঃ হ্যা এখানেই নামবো। বাসা অব্দি গাড়ি ঢুকবে না।বলেই নেমে পরলাম।
তারপর একটা রিক্সা ভাড়া করে বাসা অব্দি গেলাম।কলিং বেল টিপ দিতেই ফাহিমা এসে দরজা খুললো।
মিতু ঃকোথায় ছিলি সারাদিন?
( ওরা আমার দুই বান্ধবী আমরা তিনজন এক সাথে থাকি)
মিসকাঃবলবো আগে তো আমাকে ভিতরে আসতে দে😔।
ফাহিমাঃ হ্যা,,,,,,মহারানী আসেন 😒
মিতুঃ কত্তবার ফোন করেছি একবারও কি পিক করা যায় নি?😠আমাদের কি চিন্তা হয় না তোর জন্য??
মিসকাঃ আরে মেরী মা এবার তো একটু চুপ যা একটু ফ্রেস হতে দে তারপর সব বলছি।
বলেই ওয়াস রুমে চলে গেলাম ফ্রেস হয়ে এসে বসলাম ব্যগটা হাতে নিলাম ফাইলটা গুছিয়ে রাখতে। ঠিক তখনি দেখলাম আমার ফাইলটা ব্যাগে নেই,,,,,,
এখন কি হবে,,,,,,
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,
#ভালোবাসার__টান,,,,,😍👸😍
part::::::::::(4)
writer::::::::Tanzidaa Jannat❤Jannatul Ferdousy
মিতুঃ কিরে মিসকু কি হলো ওমন করে রেখেছিস কেনো মুখটাকে।
মিসকাঃ আমার সব শেষ হয়ে গেছে। এখন কি হবে ( ছলছল করা চোখ নিয়ে মিতুর দিকে তাকিয়ে বললাম)
ফাহিমা ঃ মিসকু তুই এভাবে কাদছিস কেনো??
মিসকাঃ আমি ফাইলটা হারিয়ে ফেলেছি। জীবনে যা অর্জন করেছি তা সব হাড়িয়ে গেলো
মিতুঃ আরে থাম তো আগেই কান্নাকাটি শুরু করেছিস। তুই সারাদিন কোথায় কোথায় গিয়েছিলি তা আগে মনে কর।🤕🤕🤕
মিসকাঃ তাহলে শোন ( আমি কাঁদছি আর ওদের সব ঘটনা গুলো খুলে বললাম)
ফাহিমাঃ এতো বলি ভালোমানুষি কম দেখাতে যা। তা না উনি ভালোমানুষি দেখাতে যায় আর ঝামেলায় জড়ায়😠
মিসকাঃ কোনো কথা না বলে কেদেই চলেছে।
মিতুঃ ফাহি তুই থামবি।😕 এমনি ও টেনশন করছে তার উপর আবার ওকে রাগাচ্ছিস।
( শোন তুই তো ভালো কাজ করেছিস দেখবি আল্লাহ ঠিক তোকে তোর জিনিস ফিরিয়ে দেবে। একটু ভরসা রাখ)
মিসকাঃ হুম,,,,,,
ফাহিমাঃ চল খেয়ে নিবি।
মিসকাঃ তোরা খেয়ে নে এমনি তেও আমার ক্ষুধা নেই।
মিতুঃ আচ্ছা তুই ফাইলটা ঐ বাড়িতে রেখে আসিস নি তো?
মিসকাঃ আমার মনে পড়ছে নারে।তবুও কাল একবার যাবো ভাবছি
মিতুঃ হ্যা তাই ভালো।যদি ফাইলটা পেয়ে যাস,,,,
(ওরা ডিনার করে ঘুমিয়ে পড়েছে।আমাকে অনেকবার খাওয়ার জন্য জোর করেছে কিন্তু আমি খাই নি)
মিসকাঃ আমার কেনো বার বার হিয়ার কথা মনে পড়ছে।মনে হচ্ছে ও আমার জন্য কস্ট পাচ্ছে।
এই দিকে ফাইলটার জন্য ও খুব খারাপ লাগছে।সারারাত এপাশ ওপাশ করে কেটে গেছে। একটুও ঘুমাতে পারি নি।সকালের দিকে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বলতেও পারবো না।
মিতুঃ এই মিসকা তোর ফোন বাজছে তো ফোনটা ধর,,,
মিসকাঃ হ্যালো,,,,,,আসসালামু আলাইকুম কে বলছেন? এতো সকালে আমাকে ফোন দিয়েছেন কেনো??( ঘুম ঘুম চোখে ফোনটা পিক করলো। নাম্বার টা আন নওউন ছিলো)
📱ঃ এখন কয়টা বাজে খেয়াল আছে? আর ফোনটা কি পিক করার আগে নাম্বারটা দেখে নেন নি??
মিসকাঃ কথাগুলো শোনার সাথে সাথে ফোনের দিকে তাকিয়ে নাম্বারটা দেখে নিলো।আরে এটা তো মি,. বজ্জা,,,,,,,আইমিন ইফতির নাম্বার।
ইফতিঃ কি ম্যাডাম চিনেছেন আমাকে???
মিসকাঃ আ,,,,আসলে ছড়ি আমি বুঝতে পারি নি।
ইফতিঃ আপনি ঠিক ১.৩০ ঘন্টার মধ্যে আমার বাসায় আসবেন।আপনার ফাইলটা আমার কাছেই আছে।
(বলেই ফোনটা কেটে দিলো)
মিসকাঃ সত্যি,,,,, উফফ কি যে ভয় পেয়েছিলাম।আমার তো এখন নাচতে ইচ্ছা করছে।💃💃কিন্তু মি. গোমড়ামুখো আমাকে কথা বলার সুযোগ না দিয়েই ফোনটা কেটে দিলো,,,,,আজব মানুষ একটা🕴
মিতু ঃ কিরে কি বকবক করছিস।
মিসকাঃ কিছু না,,,,,,
ফাহিমাঃ রাতে তো কিছু খাস নি নে এখন ব্রেকফাস্ট করে নে।
মিসকাঃ শোন আমি একটু ঐ বাড়ি যাবো। পরে এসে সব বলবো কেমন।এই বলেই ওয়াস রুমে চলে এলাম ফ্রেস হয়ে চা টা দু চুমুক দিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। মনে মনে খুশিই লাগছে হিয়াটার সাথে দেখা হবে আবার
মিসকাঃ দরজার সামনে এসে কলিং বেল টিপ দিলাম। ( রুমা দরজাটা খুলে দিলো)
রুমাঃ আরে আফামুনি আসেন ভিতরে আসেন।
মিসেস নিলুফাঃ কে এসেছে? বলেই এগিয়ে আসলো
মিসকা ঃ আসসালামু আলাইকুম আন্টি কেমন আছেন?
মিসেস নিলুফাঃ ভালো মা। তুমি এসেছো জানো মা,,,,,(বলতে না বলতেই)
হিয়াঃ আন্টি তুমি এসেছো বলেই দৌড়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।😱
মিসকাঃ আরে হিয়া তোমার একি অবস্থা? চোখ মুখ পুরো লাল হয়ে গেছে কেনো সোনা?
মিসেস নিলুফা ঃ তুমি যাওয়ার পর থেকেই আন্টি আন্টি বলে কেদেই যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কিচ্ছুটি মুখে দেয় নি 😬
মিসকাঃ হিয়া দাদিয়া যা বলছে তা কি শত্যি??
হিয়াঃ মাথা নিচু করে আছে কোনো কথা বলছে না।
মিসকাঃ রুমা তুমি ওর খাবার টা নিয়ে আসো।
রুমাঃ এখনই আনতাছে বলেই কিচেনে চলে গেলো।
মিসকা ঃ দেখি আমার দিকে তাকাও। আর কাঁদতে হবে না আন্টি তো চলে এসেছে এবার হিয়া সোনা লক্ষি মেয়ের মতো সব কথা শুনবে। তাই তো??
হিয়াঃ মাথা নাড়িয়ে সায় দিলো
রুমা খাবার এনে আমার হাতে দিলো।আর আন্টি আমার পাশে এসে বসলো।
মিসকাঃ হা করো এবার,,,,,,, তারপর এটা ওটা বলে হিয়াকে হাসাচ্ছে আর খাওয়াচ্ছে,,,,
(উপরে আড়ালে দাড়িয়ে কেউ একজন ওদের দেখছে তা একমাত্র একজনই দেখতে পেলো আর তা হলো মিসেস নিলুফা)
মিসেস নিলুফাঃ আজ কেনো যেনো মনে হচ্ছে এই মেয়েটা আমাদের সংসারটাকে আলো জ্বালাতে এসেছে।যেটা ৪ বছর আগে নিজ হাতে নিভিয়ে দিয়ে ছিলো হিয়ার মা নিলা(এটা মনে করেই আড়ালে চোখের পানি মুছে নিলো শাড়ির আচল দিয়ে)
মিসকাঃ এই তো গুড গার্ল😘।নেও তোমার খাওয়া শেষ। তুমি একটু বসো আমার কাজটা সেরে আসছি।
আন্টি মি. ইফতি স্যার কি বাসায় আছেন?
মিসেস নিলুফাঃ হুম ও এখন বাসায় আছে। উপরে গিয়ে হিয়ার রুম বরাবর ডানে যে রুমটা ঐটাই ইফতির রুম। ও ওর রুমেই আছে।
মিসকাঃ ধন্যবাদ আন্টি।এই বলে উপরে সিড়ি বেয়ে উঠছে। কেনো জানি না মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করছে। ( না না মিসকা তুই কেনো ভয় পাবি। ফাইলটা চেয়ে নিয়ে চলে আসবি ব্যাস)এটা বলতে বলতে রুমে ঢুকে গলাম
ইফতিঃ একি বলা নাই কওয়া নাই হুট করে রুমে ঢুকে গেলেন যে? কারো রুমে আসার আগে দরজা বাহিরে থেকে নক করে আসতে হয় এইটুকু ভদ্রতা কি শিখেন নি??
মিসকাঃ ভ্যাবা চ্যাকা খেয়ে গেলো কি করবে দিশা করতে পারছিলো না।
ইফতি ঃ এখনও দাড়িয়ে আছেন? 😠 কি বললাম কানে যায় নি?
মিসকাঃ ছড়ি স্যার,,,,, আসলে আমার ভুল হয়ে গেছে
ইফতিঃ ভুল হয়েছে এটা এখনই সুধরান।।
মিসকাঃ কি বলছে বজ্জাত টা কিছু বুঝতে পারছি না সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে
ইফতি,ঃঃ কি হলো দাড়িয়ে আছেন কেনো বাহিরে যান।😡 বাহিরে গিয়ে আবার নক করে রুমে আসবেন।
মিসকাঃ বাহিরের দিকে যাচ্ছে আর মনে মনে চৌদ্দ গুষ্ঠির উদ্ধার করছে কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেছে নক করে নি বলে।ব্যাটা বজ্জাত, গোমড়ামুখো, জীবনে মিষ্টি জাতীয় কিছু খেয়েছে বলে তো মনে হয় না, ইচ্ছে করছে করল্লার জুস বানিয়ে খাইয়ে দেই।
ইফতিঃ কি বিরবির করে বকছেন আর হাটছে দিন তো পার হয়ে যাবে ফেরত আসতে আসতে😠
মিসকাঃ হ্যা,,,,যাচ্ছি দরজা বাইরে থেকে নক করে আসবো স্যার??
ইফতিঃ হ্যা আসুন। বসুন ঐ সোফাটায়
মিসকাঃ আমি আসলে বসবো না। আমার ফাইল টা বলার সাথে সাথে
(ইফতিঃ মিসকাকে হেচকা টান দিয়েই দেয়ালের সাথে লাগিয়ে হাত শক্ত করে চেপে ধরলো। আর রাগি চোখ নিয়ে মিসকাকে বললো আপনার সাহস তো কম না আমার কথার উপর কথা বলেন??চোখ দুটি দিয়ে এভাবে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে আস্ত গিলে ফেলবে
আর মিসকা ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলেছে। গলা শুকিয়ে আসছে ভয়ে হাত,পা পুরো ঠান্ডা হয়ে গেছে,,,)হঠাৎ,,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,
বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।।।