বৃত্তের_অন্তরালে পর্ব_১৬

বৃত্তের_অন্তরালে পর্ব_১৬
#পলি_আনান

বিকালের সূর্যের কড়া রোদটা কিছুটা নেমে এসেছে।গ্রাম এলাকায় চারিদিকে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ শোনা যাচ্ছে। ওজিহা এখনো গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে লুকমান আর নাজমা।তারা নিজেদের মধ্যে কোন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনায় মেতে উঠেছে।তাদের কথা শেষ হতেই ওজিহার পাশে নাজমা বসে পরে।
“এই মেয়ে এই যে..এই শুনছো!
কিছুটা কটাক্ষ কন্ঠে বললেন নাজমা।কিন্তু ওজিহা এখনো ঘুমে বিভোর।এই শরীর নিয়ে এতো দূরের রাস্তা পাড়ি জমিয়েছে তাই সে এখন বড্ড ক্লান্ত।
” আজব তো এই মেয়ে উঠো।
নাজমার চেচামেচিতে কিছুটা নড়ে চড়ে উঠে সে। পিনপিন করে চোখ খুললে নাজমা তার হাত টেনে বসিয়ে দেয়।নাজমার এমন কান্ঠে অবাক হয়ে যায় ওজিহা অসাবধানতার কারনে তার পেটে কিছুটা ব্যথা অনুভব হয়। সব কিছু উপেক্ষা করে সে অবাক দৃষ্টিতে নাজমা আর লুকমানের দিকে তাকিয়ে থাকে।
“তোমাকে কখন থেকে ডাকছি কথা কি কানে যায় না নাকি।নাকি না শুনার ভান করে থাকো।”(চেচিয়ে)
নাজমার এমন বাজে ব্যবহারে অবাক না হয়ে পারলো না ওজিহা।অবচেতন মন বার বার চারপাশে নাহিয়ানকে খুজছে।কিন্তু নাহিয়ানের দেখা নেই।দরজার দিকে তাকিয়ে লক্ষ্য করে দরজা ভেতর থেকে আটকানো।তার মানে আসার সময় যা ভেবেছে তাই এরা তার ক্ষতি করতে এখানে ডেকেছে।ওজিহা সব টা বুঝেও না বুঝার ভান করে চুপ চাপ থাকে।লুকমান আর নাজমা নিজের দের কথার মাঝে ব্যস্ত হয়ে উঠে।ওজিহা বালিশের পাশ থেকে হাতড়ে হাতড়ে মোবাইলটা নিয়ে রেকড স্পিকার অন করে আবার সেফ জায়গায় মোবাইল রেখে দেয়।ঝড়ের আগমনী বার্তা ওজিহা বেশ বুঝতে পারছে মনে মনে পরম দয়ালু সৃষ্টি কর্তাকে ডেকেই যাচ্ছে একটু সাহায্যের জন্য।নাহিয়ানকে না দেখতে পেয়ে বুকের ভেতর ছটফট শুরু হয়ে গেছে।কোথায় আছে কি করছে সে?
লুকমান একটি বিশ্রী হাসি দিয়ে ওজিহার দিকে এগিয়ে আসে।
” ওজিহা মা তুমি আর এতো সুন্দর নাটক করো না। আমি যানি তুমি আমায় ঠিক চিনে ফেলেছো আমি তোমার একমাত্র চাচা লুকমান।জন্মের পর বুঝ জ্ঞান হওয়ার পর তো তুমি আমায় আর দেখো নি। কিন্তু যানো আমি না তোমায় অনেক খুজেছি।”

কথাগুলো বেশ নাটকিয় ভাবে বললো লুকমান।ওজিহার শরীরে মনে আগুন জ্বলে উঠে নিজের বাবার এতো বড় বাড়ি থাকতেও তাকে বড় হতে হয়েছে অনাথ হত দরিদ্রের মতো শুধু মাত্র এই লোভীদের জন্য এইসব জেনেও সে তাদের ছায়া মাড়াতে চায় না।
“কেন খুজেছেন আমায় স্বার্থ ছাড়া তো আপনার পান থেকে চুন ও খসে না তবে আমায় খোজার কারন কি?
” দেখেছো নাজমা মেয়েটা তার মায়ের মতো বেশি চালাক।এই অতিরিক্ত চালাকির কারনেই তোর মাকে আমাদের হাতে মরতে হয়েছে।”
লুকমানের মুখে এমন নির্লিপ্ত কন্ঠে মায়ের মৃত্যুর কথা শুনে ধপ করে বিছানায় বসে পড়ে।মামা-মামি যে বলেছে আমাকে জন্ম দিতে গিয়েই মা মরেছে তবে!তবে সবটাই কি মিথ্যা ছিল নাকি বিষয়টা তাদেরো অজান্তে ছিল।চোখ ফেটে জল গড়িয়ে পড়ছে ইচ্ছে করছে দা দিয়ে নিজের আপন বিষাক্ত চাচাকে খুন করতে কিন্তু তার হাত পা বাধা।
“আয়ায়াপনি আমার মাকে মেরেছেন! কিন্তু কেন?
শেষ কথাটা চিল্লিয়ে বলে ওজিহা।
” আহ মেয়েটা এতো চেচামেচি করছে কেন নাজমা! মায়ের মতো বুঝি মরার শখ হয়েছে।তুই ও মরবি তোকে ও বাচানো যাবেনা খুব শীঘ্রই মরবি কিন্তু মরার আগেতো তোকে সব সত্যিটা জানতে হবে নাকি?
“সত্যি কি সত্যি?
” শুরু থেকেই বলি তোকে,আমরা ছিলাম তিন ভাই এক বোন। মা বাবার চোখে সবচে আদরের ছিল তোর বাবা আর ফুফু। কিন্তু আমাকে সবাই যেন চোখের বিষ ভাবে ছোট থেকেই দেখে আসছি।সবটা মেনেও নিতাম কিন্তু হলো টা কি এই বাড়িটা দেখছিস তোর বাবা সবটা নিজের টাকায় করেছে দিন দিন তোর বাবা ধনী থেকে আরো ধনী হতে থাকে।গ্রামে শহরে কাড়ি কাড়ি জায়গা জমি ছিল তার।কিন্তু আমার কিছুই ছিল না। আমি যা ইনকাম করতাম তা সংসারের পিছনেই চলে যেত।তোর বাবা তোর মাকে ভালোবেসে বিয়ে করে এই বাড়িতে আনে সবাই সবটা মেনে নেয়। কিন্তু আমি যখন নাজমা কে বিয়ে করে আনি তখনি শুরু হয় সংসারে ঝগড়া ঝামেলা কেউ তাকে সহ্য করতে পারতো না হাজারটা দোষ খুজে বেড়াতো তার।আমার কিন্তু বরাবরি তোর বাবার টাকা পয়সার উপর লোভ ছিল আমি তোর বাবার অফিসে জয়েন করলে কিছু টাকা সরিয়ে দি! কি করবো বল লোভ তো আমাকে ছাড়েনা। আর সেই থেকে তোর বাবা আমার উপর ক্ষিপ্ত। একদিন অপমান করে আমাকে অফিস থেকে বের করে দেয়।আমি আর নাজমা মিলে প্লেনিং করি কিভাবে তোর বাবার টাকা পয়সা-সম্পত্তি সবটা হাতিয়ে নেওয়া যায়।
তখন তুই তোর মায়ের পেটে খবরটা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।পাঠান বাড়িতে তখন হইহই উৎসব।গরু জবাই করে চারিদিকে খাওয়ানো হচ্ছিলো।যতই দিন যাচ্ছিলো আমাদের ভয় বেড়ে যাচ্ছিল।কারন তোর বাবার সন্তান হলে সেই সম্পত্তির মালিক হবে সে।তখন আমি কাজে লাগাই নাজমাকে খাওয়ারের সাথে বিভিন্ন ভাবে তোর মায়ের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লাগে কিন্তু আফসোস কিছুতেই সফল হয় না সে যতদিন যাচ্ছিলো ততোই সবাই কানাঘুষা শুরু করে তোর মায়ের ছেলে হবে কেননা লক্ষন ছেলের মতোই লাগছিল।তখন আমাদের ভয় আরো বেড়ে গেলো।শেষ পর্যায়ে আমরা কালা যাদুর কথা যানতে পারি ব্যস কেল্লাফতে।আমরা খোজ খবর নিয়ে যারা এইসব করে তাদের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি তোর মায়ের উপর প্রয়োগ করতে থাকি সেই বিষাক্ত কালা যাদুর প্রভাব।কিন্তু তোর মায়ের উপর না কোন পবিত্রতা আছে যার কারনে তোর মাকে কিছুতেই মারা যাচ্ছিলো না। আমরা যাদের কাছে সেই যাদুর প্রার্থনা করি তারাও অবাক তোর মাকে কিছুতেই মারা যাচ্ছেনা তবে তোর মায়ের সাথে নিত্যদিন ঘটতে থাকে খারাপ কিছু কখনো তার সামনে কালো কিছু দেখে রাতে ভয়ানক কিছু ঘটছে।এবার শেষ পর্যায়ে তোর মাকে আর মারা যাচ্ছে না। নয় মাস হতে চললো কয়েকদিন পর হয়তো ডেলিভারি ডেট পরে যাবে তাই নাজমা আর আমি মিলে প্লেনিং করছিলাম কিভাবে কি করা যায় সবটা শুনে নেয় তোর মা।তোর মা আমাদের রুমে ডুকে আমাদের বকা বকি করতে থাকে আমাদের বাড়ি থেকে বের করবে বলে তোর বাবার কাছে নালিশ দিতে দ্রুত পায়ে হেটে যায় সিড়ি দিয়ে নামার সময় আমি পেছন থেকে ধাক্কা মারি ব্যস তখন পর্যন্ত তোর মায়ের খেলা সেখানেই শেষ।”
ওজিহা কাদতে কাদতে হেচকি উঠে যায় তার মাথার ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছে একটা মানুষ কিভাবে এতো নোংরা হতে পারে। ভেবে কুল পায় না সে। ওজিহার কান্না দেখে নাজমা আর লুকমান দুজনেই হেসে উঠে।
“দেখো মনিরার বাবা মেয়েটা কাদছেঁ বাকি কথা গুলো না শুনতেই সে কাদছে।
কথাটি বলেই আবারো নাজমা হেসে উঠে।লুকমান গলা ঝেরে কেশে আবারো বলতে শুরু করে,
” আরে মা কাদে না আংকেলের সম্পূর্ণ কথাটা আগে শুনো তখনো ঠিক তোমার মায়ের মৃত্যু হয় নি সবাই ভাবে সিড়ি থেকে পা মুচকে পড়ে গেছে তাই তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়।তোর মায়ের অবস্থা তখন ক্রিটিকেল ছিল।কিন্তু তারপরেও তুই সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে জন্মনিস।তোর মাকে আইসিউতে রাখা হয়। কয়েক ঘন্টা পর নার্স যখন আইসিউতে ডোকে তখন পুরো হাসপাতাল কাপিয়ে নার্স একটি চিৎকার দিয়ে বেরিয়ে আসে। কেন যানিস?হা হা হা হা কারন তোর মায়ের থেতলানো লাশ নিচে পড়ে ছিলো মাথা চোখ মুখ উফফফ সে যে কি বিভৎস তোকে বলে বোঝানো যাবে।।
ওজিহা একটি চিৎকার দিয়ে কান হাত চেপে মাটিতে বসে পরে।একটা মানুষ এতো নোংরা কি করে হয় ছিহহহ ভাবতেই অবাক লাগছে এই বংশের মেয়ে সে।
“ছিহহহ আপনারা এতো নিষ্ঠুর এতোটা! সামান্য সম্পত্তির জন্য একটা তাজা প্রান নিয়ে নিলেন।আপনাদের দিকে তাকাতেও আমার ঘৃন্য হচ্ছে”
ওজিহার কথা গুলো শুনে হেসে উঠে নাজমা আর লুকমান। নাজমা হাসতে হাসতে লুকমানকে বলে,
“বাকি কথা গুলো বলো সন্ধ্যা হয়ে আসছে হাতে সময় একদম কম।
” ও হে তোর বাবা কিভাবে মরেছে যানিস।তোর মায়ের মিত্যুর পর বেচারা একদম ভেঙ্গে গেছিলো।তখন সুযোগ বুঝে তাকেও কালা যাদুর বশে মেরে এক্সিডেন্ট কেস বলে চালিয়ে দিয়েছে।তার শোকে দুঃখে তোর দাদী এমনিতেই ধুনিয়া ত্যাগ করে। আর তুই নিশ্চই যানিস তোর একজন ফুফু ছিল জমি জামা নিয়ে আমার সাথে ক্যাচাল শুরু করেছিল তাকেও আট মাস আগে দুনিয়া থেকে বিদায় দিয়ে দি। হা হা হা হা হা ”
কথাগুলো বলে আবার হেসে উঠে লুকমান আর নাজমা ওজিহার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। কি ভুল করেছে সে এই বাড়িতে কেন এলো।তবে কি আজি তার শেষ দিন। মৃত্যুর আগে নাহিয়ানকে একবার দুচোখ ভরে দেখলে মরেয় সে শান্তি পেত।জিহ্বা থেকে গলা সম্পূর্ণ শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।জিব দিয়ে দুই ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে বলে,
“কি চাই আমার কাছে আপনার?
” এইতো মেয়ে বড্ড ভালো সোজা কথার মেয়ে।যানিস তোকে মারতে আমার কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে কিছুতেই তোর উপর যাদু কাজ করছেনা। কেন কি কারনে তোদের মা মেয়ের উপর যাদু কাজ করে না আমি ভেবে পাই না।
ওজিহা ভাবতে থাকে তাহলে এতো দিন তার সাথে ওই বিশ্রী বাজে ঘটনার দায়ী এই লোকটাই।তাকেও মারতে যাদু করেছিল।
“আপনার কি চাই বলুন কেন আমার পিছনে লেগে আছেন(চিৎকার দিয়ে ওজিহা)
” তুই যানিস কেন আমি পরে আছি!তোর ওই দলিল গুলো আমার নামে করে দে। যত জমি এখন তোর কাছে সবটা আমার চাই সবটা।
“কিন্তু আমার ওই দলিল গুলোত আমার কাছে নেই।কয়েক মাস আগে থেকে খুজে পাচ্ছি না।
” এতো কিছু আমি যানতে চাইনা আমার দলিল চাই না হলে তোর শশুড় শাশুড়ি আর ওই যে দাদী শাশুড়ী তিনজনের রক্ত দিয়েই আমি গোসল করবো।”.
লুকমানের এমন জঘন্য কথায় গা গুলিয়ে উঠে তার। মাটিতে লুটিয়ে পরে লোকমানের দুই পা চেপে বলে,
“বিশ্বাস করেন চাচাজান আমার কাছে দলিল নেই কোথাও খুজে পাচ্ছিনা।আপনি ওদের কিচ্ছু করবেন না দয়া করুন কিচ্ছু করবেন না।
……৷
সন্ধ্যার সিগ্ধ আলোতে যেকারো মন ভালো হওয়ার কথা কিন্তু মন ভালো নেই নাহিয়ানের।এই সময়টা যদি তার ওহিজান পাশে থাকতো তবে অনুভূতিটা ভিন্ন হলো। আনন্দে শিহরনে বয়ে যেত শরীর জুড়ে।কিন্তু তার পাশে আছে মুনিরা। অনেক্ষন থেকে নাহিয়ান নোটিশ করছে মুনিরা অযথাই তার গায়ে হাত দিচ্ছে বার বার গালে হাত দিচ্ছে নাহিয়া এইসব এভোয়েট করে যাচ্ছে কিন্তু মুনিরা থামছেই না। একপর্যায়ে মুনিরা নাহিয়ানের গলা জড়িয়ে গালে কিস করে দেয়।নাহিয়ান ছিটকে মনিরাকে দূরে সরিয়ে দেয়।সে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে মুনিরার দিকে একটি মেয়ে এতো নিলর্জ্জ কিভাবে হয় একটা ছেলের সাথে ছিহহহহ।রাগে জিদে শরীর কাপছে নাহিয়ানের তার ওহিজান ছাড়া কোন মেয়ে আজ পর্যন্ত তাকে ছোয়ার সাহস পায় নি কিন্তু এই মেয়ে কিনা।
” হোয়াটিস দিস।আপনি কথায় কথায় এমন গায়ে এসে পরছেন কেন।আর আমার গালে কিস করলেন কোন সাহসে(চিৎকার দিয়ে)
মুনিরা আবারো এগিয়ে আসে নাহিয়ানের দিকে তার হাত ছুয়ে বলে,
“তুমি ওজিহাকে ছেড়ে দাও প্লিজ।আমাকে বিয়ে করে নাও আমি তোমায় সুখে রাখবো প্লিজ তুমি ওই মেয়েকে ডিভোর্স দিয়ে দাও।ও রাস্তার মেয়ে।
নাহিয়ান এক ঝটকায় হাত সরিয়ে নিয়ে বলে,
” ডোন্ট টাচ মি।আমার ওহিজান কে নিয়ে একটা বাজে কথা বলবেনা ও পবিত্র আপনার মতো নোংরা না।ওর সারা শরীর মন, মস্তিষ্ক জুড়ে শুধু পবিত্রতা বিরাজ করে আমি আমার মনের মতো জীবন সঙ্গি পেয়েছি আর আমি তাকে নিয়ে হ্যাপি।এইসব নোংরামি আমার সামনে করবেন না।
নাহিয়ান রাগে গজ গজ করতে করতে চলে যায়।
….
“চাচাজান দয়া করুন চাচা জান আপনি কারো ক্ষতি করবেন না। একটু দয়া করুন আমি দলিল গুলো কিছুতেই খুজে পাচ্ছিনা।
মাটিতে লুটিয়ে পরে লোকমানের পায়ে ধরে কাদতে থাকে ওজিহা।কিন্তু কোন দয়া হয়নি তাদের। তাদের একটাই দাবি জমির দলিল গুলো তাদের চাই।ওজিহা হেচকি তুলে কাদছে এমন সময় লুকমানের ফোনে কল আসে তার গুপ্তচরের।গুপ্তচর তাকে জানায় নাহিয়ান পাঠান বাড়ির দিকেই ডুকছে।লুকমান তাড়াতাড়ি ফোন কেটে ওজিহার মাথার চুল ধরে টেনে দাড় করার। প্রচন্ড ব্যাথায় সে কুকিয়ে উঠে। কাদতে থাকে আর ফোপাতে থাকে।
” ওই শুন এইসব কথা যদি কাউকে যানাস তবে ওই সরকার বাড়ি মৃত্যুপুরী হবে।নাজমা চলো।
লুকমান আর নাজমা চলে গেলে,
ওজিহা তাড়াতাড়ি চোখ মুখ মুখে স্বাভাবিক হয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে নেয়।এমন সময় নাহিয়ান ঘরে ডুকে।নাহিয়ানকে দেখে সে একটু হাসার চেষ্টা করে কিন্তু নাহিয়ান রেগে আছে রুম থেকে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ওজিহার হাত টেনে বলে,
“ওহিজান চলো এই বাড়িতে আর এক মূহুর্তও থাকবোনা।”
ওজিহার ভেতরটা ধক করে উঠে নাহিয়ান কি সবটা জেনে গেলো?
চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here