#ফাইন্ড_নোরা
#পর্ব_8
#দোলনা_বড়ুয়া_তৃষা
10.
-ম্যানেজার নাম কি?
– উনার পুরো নাম কি তা তো জানি না স্যার। তবে কামাল স্যার ডাকতাম।
অভি একপাশে এসে পারভীন কে ফোন দিলো,
– কামাল স্যার নামে যে ম্যানেজার ছিলো তার ডিটেইলস দাও।
– কেন? ছেলেটা কিছু বলেছে?
অভি কিছু না বলেই ফোন রেখে দিলো। বের হয়ে গেল, সাথে মিজানও।
ওরা গাড়ি নিয়ে বের হতেই মিজানের ফোন এলো। ফোন রিসিভ করতেই শিমু চেঁচিয়ে বলল-
– চেম্বারে শুধু মেয়েকে নিয়ে এলেই দায়িত্ব শেষ? দুই মিনিটে আসছি বলে এখন কোথায়? আমাকে আসতে হয়েছে আবার।
– অভির সাথে কাজে বের হয়েছি।
– এখন আসো, আমি অফিসে যাবো। কাজের মেয়েটাও নিয়ে এসেছি। তুমি ওদের বাড়িতে দিয়ে আসো।
-তোমার যেমন অফিস আমারও অফিস।
– আমার তো গাড়ি নেই।
– আমার ও নেই। এইটা ব্যক্তিগত কাজের জন্য না। ট্যাক্সি ঠিক করে দাও, কাজের মেয়েকে এনেছো যখন সে তো পারবে। কাজের মেয়ে কখন রাখলে আবার? কোথায় পেলে?
– সে চিন্তা তোমায় করতে হবে না। তুমি থাকো কাজ নিয়ে। আমিই বাসায় দিয়ে অফিসে যাব আবার।
মিজান ফোন রাখতেই অভি বলল-
– দোষ তো তোর বেশি। ও তোকে এখনো ইনভলভ রাখতে চায় ওদের লাইফে। আর
তুই -?
-তুই বল? আমি কি করতে গিয়েছিলাম? ওখানে বুঝালে, বুঝবে? না এখন কোথায় যাচ্ছি সেটা বুঝবে। তুই নোরার ব্যাপার ওকে খুলে বলবি, ও বলবে, তাহলে গলির মুখ থেকে দুই কেজি আলু আনো।
– তুই ওকে যদি ঠিকঠাক মতো সময় দিতি, সাহায্য করতি ও তোকে বুঝার চেষ্টা করত। একা হাতে সব সামলে সেও তো কারো সাহায্য চায়। আমরা এই চিন্তা থেকে এখনো বের হতে পারব যে সব কাজ শুধু মেয়েদের একার না৷ যেমন ও বলল, ও অফিসে যাবে। তুই পাত্তায় দিলি না। ওর কাজের সম্মান তুই করিস না, তাই ও করে না। বুঝার চেষ্টা করে না।
মিজান চুপ হয়ে গেল। কাচুমাচু ভঙ্গিতে বলল-
– তুই আমাকে গিল্ট ফিল করাচ্ছিস। যাব এখন? কিন্তু এখন ও আবার রাগ দেখাবে দেখিস।
অভি হেসে বলল, স্বাভাবিক।
মিজান শিমুকে আবার ফোন দিয়ে বলল- -আমি আসছি,
শিমুর তীক্ষ্ম ঝাঝালো স্বর, আর লাগবে না।
অভির মোবাইলে তখন পারভীনের মেসেজ আসতেই অভি গাড়ির স্পীড বাড়িয়ে দ্রুত ঠিকানায় টায় পৌঁছালো।
একটা বড় দশ তলা বিল্ডিং এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে ওরা। অভি আর মিজান এক সাথে না গিয়ে অভি উপরে গেল। মিজান কে নিচে দাঁড় করিয়ে রাখল। মিজান বার বার সাবধান করে দিলো যেন রাগের বশে গুলি করে না দেয়, সিনিয়রদের প্রেশার পড়বে তখন। অভি ‘ না’ মাথা নাড়লেও, মিজানের মোটেও ভরসা নেই অভির কথায়।
অভি পাঁচ তলায় উঠে E-3 ঘরে বেল দিলো। কেউ খুলল না। অনেকক্ষন বেল দেওয়ার পর দরজা ধাক্কা দিলো। তখন পাশের বাসা থেকে একজন বলল-
– ওরা একটু আগে বের হয়েছে, এয়ারপোর্ট যাচ্ছে৷
– কোথায় যাবে ওরা?
– তা তো জানি না। মনে হয় থাইল্যান্ড যাচ্ছে। কাল ওর ছোট ছেলেটা বলছিল আমার মেয়েকে ওখান থেকে শুনলাম। আমি বাপু কারো এত খবর টবর রাখি না। বলে না তো, বউ টার কি দেমাখ-
অভি এত কথা শোনার টাইম নেই, সে দ্রুত নিচে নামছে সিঁড়ি দিয়ে।
অভি আসছে না দেখে মিজান আবার উপরের দিকে আসছে। অভি দ্রুত নামছে দেখে মিজান ভাবল যা ভেবেছিল তাই। কিন্তু অভি মিজান কে দেখে বলল-
– তাড়াতাড়ি চল, এয়ারপোর্টে যাচ্ছে সে।
মিজান দ্রুত গাড়িতে গিয়ে বসলো, গাড়ি স্টার্ট দিতেই, অভিও উঠে বসলো। এইবার আরিফ কে ফোন দিলো। বলল-
-এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশনে ফোন দিয়ে কামাল কে আটকাতে বলো। আমি যাচ্ছি।
অরিফ ঠিক আছে বলে ফোন রেখে দিলো। ওরা একটু এগোতেই জ্যমে পড়লো। অভির খুব মেজাজ খারাপ হলো। যেন সে এক মূহুর্তেও অপেক্ষা করতে চায় না।
মিজান দেখল ওর পাশের যে গাড়িটা এসে থামল সে গাড়িটাতে শিমু আর ওর মেয়ে মিতু। জানালার জুড়ে বসে আছে মিতু বাইরে দেখছে সে। ওপাশে অন্য কেউ আছে, বোধহয় কাজের মেয়েটা।
মিতু মিজান কে দেখে ‘বাবা ‘বলে ডেকে উঠলো। মিজানও মাথা বের করে আদরের বলল,
– সরি মা, আমি একটু কাজে গিয়েছিলাম। এইবার আসলে অনেক গুলো কিটকেট আর রং নিয়ে আসবো।
মেয়ে হেসে মাথা নাড়লো। শিমু কোন কথা বলছে না। একবার তাকিয়ে চরম বিরক্তি নিয়ে অনে পাশে ফিরে আছে। মিজান বুঝতে পারলো৷ এখন প্রায় এগারোটা, শিমুর অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে। মিজান কি বলবে বুঝতে পারছে না। শিমুকে শোনানোর জন্য, কিংবা প্রমাণ দিতে চাইছে ওর কার সাথে আছে।
তারপর হেসে একটু সড়ে গিয়ে অভিকে দেখিয়ে বলল-
– দেখ আংকেল ও আছে,
অভি অন্য দিকে তাকিয়ে ছিলো, সিগনাল দেখছিলো। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে নিচ্ছিলো ওদের দিকে তার আগেই শিমু ড্রাইভার কে আরো সামনে নিয়ে যেতে বলল, সামান্য ফাঁকা ছিলো ।
অভি আবার আকুল চোখে মিজানের গা ঘেঁষে এসে জানলা দিয়ে মাথা বের করে চেষ্টা করল, মিজান কে সামনে নিতে বলল, তখন জ্যাম ছুটে গিয়ে ওদের গাড়ি আগে বেড়িয়ে গেল। অভি তাও গাড়িটার দিকে তাকিয়ে আছে দেখে মিজান বলল-
– কি হয়েছে?
– কিছু না বলে, ও আবার সিটে বসলো। পেছন থেকে গাড়ির হর্ণ দিচ্ছে। মিজান দ্রুত গাড়ি স্টার্ট দিলো।
অভির কেমন যেন চুপ হয়ে গেল একদম। ওর কেন আগের মতো মনে হয়? নোরা আশেপাশেই আছে ৷ কেন মনে হচ্ছে নোরা খুব কাছে আছে?
অভির ক্লান্ত শরীরে যখনিই নোরার কথা মনে পড়ে তখনিই যেন হাজার বছরে শেওয়ালা ধরা পাথর চেপে ধরে কেউ বুকে। সিটে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করল অভি।
সেদিন ওকে বাইকে করে নিয়ে বের হয়ে যে পথ টা সে শুরু করেছিলো। অভির জানা নেই সে পথের শেষ। অভি চাইছিলো যেন, শেষ না হয় সে পথ।
ওদের সম্পর্ক টা এত দ্রুত এগিয়ে গেল, অভি ভাবতেই পারে নি সে কলেজ লাইফে কাউকে নিয়ে জীবন কাটানোর মতো একটা অনুভূতি সে আবার কখনো পাবে। কখনো মনে কারো জন্য জীবন বাজি রাখা যায়। শুধু একজনের চুলের ঘ্রাণে মাতাল হওয়া যায়।
নোরাও অভির সব কিছুতেই মুগ্ধ হতো। ওর কথা বলা, মজা করা, হুটহাট কান্ড গুলো।
নোরার মধ্যে অদ্ভুত একটা সরলতা ছিলো। কিংবা ওর চেহেরাটার মধ্যে হয়ত এমন কিছু ছিলো যা ওকে ভালোবাসতে বাধ্য করতো। এতটা সরলতা যেন ওকে কষ্ট দেওয়া মানে নিজেকে কষ্ট দেওয়া।
দিন গুলো ওদের ভালোই যাচ্ছিলো। ঝড়ে পড়া বাদামী পাতার মাঝে হেঁটে যাওয়া সে বিকেল গুলো। কিংবা সূর্য আলো যখন গুটিশুটি মেরে শুয়ে থাকা নোরা উপর এসে পড়তো অদ্ভুত রকমের চকচক করত।
দুজনের কাজেও যেন একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছিলো। যেকোন মিশনের মাস্টারপ্লান নোরায় বের করে দিতো। হ্যাকিং কিংবা কাউকে খুঁজে বের করা নোরার চেয়ে ভালো কেউ যেন পারতো না। তাই অফিসে ওদের জুটির খবর সাবার জানা ছিলো।
কাজ শেষ না হতেই টেনে নিতে যেত অভি নোরাকে। ওদের পাগলামীতেও যেন ভালোবাসা।
নোরা দেশের বাইরে কোথাও গেলে অভি গিয়ে হাজির হতো, নোরাকে না জানিয়ে । অভি কোন মিশনে গেলে হুটহাট সেখানে গিয়ে চমকে দিতো নোরাও। মাঝমধ্যে বেশ বিপাকে পড়ত ওরা। হেডের কাছে বকা খেত তাও থামতো না। বছর কোন দিকে পার হয়ে গিয়েছিলো, খবর নেই ওদের।
কখনো পাহাড়ের চূড়া কিংবা কখনো মাঝ সমুদ্র গভীর চুমুতে ডুবে যেত।
অভি খেয়াল করল নোরা ওর মধ্যে এমন ভাবে ঢুকে গিয়েছিলো নোরা আশেপাশে থাকলে ও বুঝতে পারতো। দূর থেকে গলার স্বর শুনে বুঝতে পারতো কি চলছে ওর মনে।
অভির মনে আছে সে দিন টা ওর জীবনের সেরা দিন ছিলো যখন ও নোরাকে প্রপোজ করেছিলো বিয়ের জন্য। নোরার সে হাসিটা মনে পড়তেই বুক টা খুব চিন চিন করছে। চোখের পাপড়িতে সাতার কেটে এক ফোঁটা পানি যেন বের হয়ে আসতে চাইলো।
অজান্তেই বাম হাত টা অভির বুকের উপর উঠে গেল।
মিজান বলল- কি হয়েছে? খারাপ লাগছে? কাল সারারাত তো ঘুমাস নি।
অভি ওর চিন্তা থেকে বেড়িয়ে এলো। মাথাটা ঝাঁকালো। বলল-
– না, আমি ঠিক আছি, আমার অভ্যাস আছে। নোরাকে খুঁজে না পাওয়া অবধি আমি ঘুমাতে পারব না৷
কাল ভিডিও টা দেখার পর থেকেই তো একদমেই না। শুনেছিলি বিপদে পড়ে প্রথমে কার নাম বেরিয়ে এলো ওর মুখ থেকে? ও আমাকে এখনো কত টা মনে রেখেছে?
ভিডিও টা দেখে বুঝেছি কি গিয়েছে ওর উপর। অনেক বড় বিপদে পড়েছে আমার নোরা।
সামান্য আঘাত যে মেয়ে নিতে পারে না। জানি না কত কি সহ্য করতে হয়েছে ওকে? কোথায় আছে এখন?
বলতে বলতে অভির স্বর যেন ধরে আসতে চাইলো। অভির গলার স্বর শুনে ফিরে তাকালো মিজান। স্কুল থেকে চেনে ও অভিকে। কত মেয়েকে অভির সাথে জড়াতে আর ছাড়তে দেখেছে মিজান। কিন্তু এই প্রথম কারো কথা বলতে গিয়ে অভির স্বর কেঁপে উঠছে। অভি গা ঝাড়া দিতে উঠে, আঙ্গুল দিয়ে দুই চোখে হাল্কা বুলিয়ে, অনেক টা কেশে বলল-
– আমি আর নিতে পারছি না,বুঝেছিস? আমার মনে হচ্ছে আফসান হুইসেন অনেক কিছুই লুকিয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা নোরাকে খোঁজার ক্লু খুঁজে পাচ্ছি না।
মিজান মাথা নাড়ল।
– চিন্তা করিস না৷ আমি স্পাই লাগিয়েছি সবার পেছনে। কোন না কোন ক্লু পাবোই।
গাড়ির স্পিড আরো বাড়ালো মিজান।
এয়ারপোর্টের একটা রুমে বসে আছে কামাল। বেশ আয়েসী ভঙ্গিতেই সে বসে আছে। বয়স খুব একটা কম না। কিন্তু লাল গেঞ্জিতে আরো কমিয়ে দিয়েছে তার বয়স। ক্লিন সেইভ করা গালে চিকন সুরে গোফ টার জন্য যা একটু লাগছে।
দামি মোবাইল টিপছিলো, অভি ঢুকতেই একজন ওকে ইশারায় ওকে দেখিয়ে দিলো। অভি সামনে গিয়ে মোবাইল টা কেড়ে নিলো।
হতভম্ব হওয়ার মতো ভাব করে বলল-
– এইটা কি ধরনের বেয়াদবী ভাই? কে আপনি? আমাকে বসানো হলো কেন?
মিজান আর অভি ওর সামনে দাঁড়িয়ে একে অপরে দিকে তাকালো। অভি কথাবর্তা ছাড়া একটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিতেই তাল সামলাতে না পেরে সোফায় পড়ে গেল৷ এইবার সে রেগে গেল। দাঁড়িয়ে চিৎকার শুরু করল,
– আপনি জানেন আমি কে?
মিজান ওর আইডি দেখিয়ে বলল, জানি বলেই এসেছি। অভি আবার এগিয়ে আসতেই, ও বলে উঠলো,
– পুলিশ হলে কি গায়ে তুলতে পারেন? আমার একটা কল আপনাকে-
অভি ওর ঘাড় ধরে পেটে জোরে ঘুসি বসিয়ে দিলো। ব্যাথায় ওর চোখ মুখ বেকিয়ে গেল। ব্যাথা কাটিয়ে উঠার টাইম দিলো অভি। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সে বলল-
– কি চান আপনারা?
অভির মুখ টা একেবারেই যেন ওর মুখের সামনে এনে বলল,
-নোরা!
ওর চোখ ছানাবড় হয়ে গেল, অভি সেটা লক্ষ করলো,পরক্ষনে ভয়ার্ত হয়ে উঠলো,
অভি আবার বলে উঠলো, নোরা কোথায়?
আমতা আমতা করে বলল,আমি জানি না। অভি আরেক টু এগিয়ে আসতেই তাল সামলাতে না পেরে সে সোফায় পড়ে গেল।
– জিজ্ঞেস করার আগেই কেন মেরেছি, জানিস?যাতে পরে তোর সাথে কি হতে পারে সেটা আন্দাজ করতে পারিস।
– আমি সত্যিই জানি না নোরা কোথায়?
– তবে কে জানে?
উঠে দাঁড়িয়ে ও মিজান আর অভির দিকে তাকিয়ে বলল-
– আপনারা আমার লাইফ গ্যারান্টি দিলে বলতে পারি। তার আগে নয়।
মিজান আর অভি একে অপরের দিকে তাকাল।
– এর পেছনে অনেক বড় চক্র আছে। অনেক বড় বড় রাঘব বোয়াল ৷
কিন্তু এখন কেউ জানে না মেয়েটা কোথায়? বেঁচে আছে নাকি –
বাকি কথা শেষ করতে পারলো না কামাল। অভি পিস্তল বের করে ওর মুখে পুরে দিলো।
মিজান দ্রুত এসে ধরে ফেলল অভিকে।
– অভি শান্ত থাক তুই, ও এখন আমাদের মেইন ক্লু নোরাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য।
অভি পিস্তল নামিয়ে রাখতেই কামাল কাশতে শুরু করলো। হাঁফাতে হাঁফতে বসে পড়লো।
– এমন করলে আমি কোন হেল্প করব না।
এইবার মিজান রাগী চোখে ওর দিকে তাকিয়ে , ওর ছেলে মেয়ের দিকে পিস্তল তাক করে বলল,
– তোর বাপ করবে।
– প্লিজ। বললে ওরা মারবে আমার পরিবারকে তাই তো আমি পালিয়ে যাচ্ছিলাম।
-কারা?
– ওরা শক্তিশালী, ওরা খুনী, ওরা কাউকে মানে না। কোন পুলিশ ওদের কিছু করতে পারে না কারণ মন্ত্রীরাই ওদের বানানো পুতুল।
মিজান থেমে গেল, ও বুঝতে পেরেছে কার কথা হচ্ছে। পিস্তল নামিয়ে নিলো, কামাল আর মিজান এক সাথেই বলে উঠলো,
– মান্নান মোল্লা।
অভি ঘুরে তাকালো, বলল-
– কাদের কথা বলছিস?
– শহরে পুরো অন্ধকার রাত, খুন, ড্রাগসের উপর যারা দাঁড়িয়ে আছে। পুলিশের চেয়ে বেশি আধুনিক গুলি যাদের আছে। হ্যাকার বল আর মাস্টার প্লানার জিনিয়াস সব আছে ওদের। তাই তো এমন ভাবে সব হ্যাক করল আর খুন করল, নোরাকে কেউ দেখলোও না।
অভি অবাক হয়েই বলল-
– ওদের সাথে নোরার কি শত্রুতা?
মিজান বলল-
– ওরা শুধু ট্রিগ্রার টেপে, গুলি তো অন্য কেউ চালায়।
-চলবে।