#পাগল_প্রেমিকা
#পর্ব_১১
#sharmin_akter_borsha
রুমে বসে বসে আড্ডা দিতাছে এদিকে রিমা ওড়নার নিচে ৩পিছ মুগলাই লুকিয়ে নিয়ে আসছে আস্তা চুন্নি।
কিছুক্ষণ পর হঠাৎ বৃষ্টি রুমে দৌঁড়ে ঢুকে আর বলে…
বর্ষা দরজা আটকা দরজা আটকা তারাতাড়ি। বর্ষার বিছানা থেকে নেমে গিয়ে দরজা আটকে দেয় এদিকে বৃষ্টি ওড়নার নিচ থেকে ফোন বের করে কল রিসিভ করে আর কথা বলতে বলতে বিছানায় ধুপ করে শুয়ে পরে। এদিকে একরাশ বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে আছে বর্ষা আর রিমা বৃষ্টির কান্ড দেখছে কথা বলছে বলনা সাধারণ মানুষের মতো কথা বল এত রংঢং করার কি আছে। একবার বিছানায় শুচ্ছে একবার উঠে বসছে আবার দাঁড়িয়ে রুমের মধ্যেই ঘুরছে আয়নার সামনে গিয়ে দাড়াচ্ছে আবার এক ঘুড়ান দিয়ে শুয়ে পরছে। বৃষ্টির নোটাংকি বর্ষা রিমার দেখতে অসহ্য লাগলেও দেখছে কিছুক্ষণ পর কল কেটে দিয়ে বলে।
রাইটার বাবু কল দিছিলো আর তখন আমি আম্মুর পাশে ছিলাম আল্লাহ বাঁচাইছে ফোন সাইলেন্ট ফোন হাতে কাপছিলো কল আসছে বুঝতে পেরে ওড়নার নিচে দেখি কে কল দিছে আর দেখি আমার কলিজায় কল দিছে আম্মুর পাশে কি আর বসে থাকা যায় এক দৌঁড়ে চলে আসলাম তোদের কাছে হিহিহি…
তুই পারিস ও বোটে… (বর্ষা)
এখানে না পারার কি আছে? (বৃষ্টি)
যা কাহিনি করলি এতক্ষণ দেখলামই তো সব নোটাংকি সর (রিমা)
বৃষ্টি মাথায় এক আঙুল দিয়ে চুলকাচ্ছে আর বলছে।
কি করছি আমি এতক্ষণ না মানে কি নোটাংকি করছি।
বর্ষা রিমা দু’জনেই কিছু না বলে মুখ ভেংচি দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
রাতে বৃষ্টি শুরু করছে আবারও লাভ ইউ উম্মাহ উম্মাহ🙊 মেসেজ দিতাছে কিন্তু রিমনের সময় কোই দেখার। যত সময় গেলো বৃষ্টি অনেক কিছুই রিমনের মুখেই জানতে পারলো রিমন অনেক কিছুই মিথ্যে বলেছিল বৃষ্টি কে এতকিছুর পরও বৃষ্টি রিমন বলতে পাগল পৃথিবীর সব কিছু এক সাইডে আর ওর রিমন এক সাইডে সব কিছুই ঠিক চলছিলো…
কয়েকদিন পর,,,
রিমনের গ্রুপে বৃষ্টি ওর বেস্ট ফ্রেন্ড জুম মানে জুম্মাকে এড দেয় আর জুম্মা বৃষ্টি লাইনে না থাকার সময় একটা ভুল করে ফেলে। কি করবে বন্ধুর কষ্ট যে ওর সহ্য হচ্ছিল না। বৃষ্টি রিমনকে পাগলের মতো ভালোবাসে এদিকে রিমন বৃষ্টি কে ইগনোর করে যা বৃষ্টির সহ্য সীমানার বাহিরে ছিলো। রিমন ভুল বুঝে বৃষ্টি কে আনফ্রেন্ড করে দেয় অনেক কিছু বলার পর রিমন বৃষ্টিকে রিকুয়েষ্ট দেয় কিন্তু কথা বলে না রাত হলেই ঘুমিয়ে যায় এতকিছুর পর আরও কিছু দিন পর কোনো এক কারণে রিমন বৃষ্টি কে ব্লক করে দেয়। রিমনের হঠাৎ ব্লক করায় বৃষ্টির অবস্থা অনেকটাই খারাপ হয়ে যায় এদিকে বৃষ্টি রিমনের কথা বলতো আর কাদতো। কয়েকদিন রিমনের সাথে বৃষ্টি সাথে কথা হয় না। বৃষ্টি খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয় বাড়ির সকলে বৃষ্টির অদ্ভুত আচরণের কারণ জিজ্ঞেস করলে বৃষ্টি আরও ক্ষেপে যায় সবার সাথেই উল্টা পাল্টা ব্যবহার করে রুমে চলে যায়। বাড়ির সকলকে কোনোরকম বোঝালো বর্ষা আর রিমা যতটুকু পেরেছে। বাড়ির লোকেদের কাছ থেকে সরে বর্ষা রিমা উপরে বৃষ্টির রুমে রুমে চলে যায় আর গিয়ে দেখে বৃষ্টি রুমের সবকিছু ফেলে দিয়েছে সব কিছু এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে সব কিছুর মধ্যখানে বসে বৃষ্টি কাঁদছে। বর্ষা রিমা বৃষ্টির কাছে গিয়ে ওর পাশে বসে বর্ষা রিমা বৃষ্টির কাঁধে হাত রাখতেই বৃষ্টি বর্ষাকে জরিয়ে ধরে আর কাঁদতে থাকে।
বর্ষা, রিমা কি বলবে বুঝতেই পারছে না দু’জনেই দু’জনের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। ওরাও ভাবতে পারেনি বৃষ্টি এমন এত কিছু করবে ছেলেটার জন্য সব কিছুই স্বপ্নের মতো লাগছে।
বৃষ্টির রাতে ঘুম হয় না পুরো রাতই জেগে থাকে রাতে ঘুমানোর জন্য দাদুর কাছ থেকে চুরি করে ঘুমের ট্যাবলেট নিয়ে আসে বৃষ্টি আর ট্যাবলেট খেয়েই ঘুমায়।
রাত বাজে ৩টা বৃষ্টি এই শীতে কাঁপছে আর ওর রাইটারের সাথে বেলকনিতে বসে দাড়িয়ে কথা বলছে,, বৃষ্টির রাইটার বৃষ্টি কে মাঝেমধ্যে গান শোনাইতো আহা কি গান 🤣 বৃষ্টি গান শোনে আকাশ থেকে পরতো তিন চার বার এই গুলো কোন যুগের গান বৃষ্টি নিজেও জানে না এই গান বৃষ্টি জীবনেও শোনে নাই,, গান শুনে কল মিউট করে বৃষ্টি হাসতে হাসতে বেলকনিতেই বসে পরলো আল্লাহ গান শুনাতে চাইল আর শেষে কি না এই গান যা আগে কখনো শুনেনি তবুও গান খুব সুন্দর গায় চাইলেই সিঙ্গার হতে পারবে না। এদিকে রিমন একটু পর পর রাগী কন্ঠে বৃষ্টি কে বলে এই মিউট খুলো এই মিউট খুলো। বৃষ্টির রাইটার বাবুর কথা শুনে বৃষ্টি হাসে বৃষ্টি নাচে বৃষ্টি উল্টা পাল্টা কেমন জেনো করে একলা একলাই বিড়বিড় করে গান গায়। (আপনাদের একটা কথাই বলা হলো না আমাদের বৃষ্টি গান গাইতে পারে আর ডান্স ও জানে খুব সুন্দর) রাইটারের কিছু কথায় আবার বৃষ্টি কাদেও খুব বেশি ভালোবেসে ফেলে বৃষ্টি ওর রাইটারকে যার জন্য একদিন ও রাইটার বাবুর ভয়েস না শুনলে বৃষ্টি রাতে ঘুমাতে পারে না। বৃষ্টি দিনে ১০০বার রিমনকে বলতো I love you writer babu.. আর সে অবহেলা করতো কথায় আছে না বেশি ভালোবাসলে অবহেলা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না, রিমন বৃষ্টি কে ইগনোর করছে জেনেও বৃষ্টি পাগলের মতো ছুটে যায় রিমনের কাছে কিন্তু রিমনের সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই,, একটা মেয়ে ওর জন্য পাগল পাগলের মতো ওকে ভালোবাসে জেনেও সে বৃষ্টি কে ইগনোর করতো বৃষ্টি অনেক কেঁদেছে কিন্তু কোনো লাভ হয়নি অনেকবার ভালোবাসার দাবি নিয়ে রিমনের কাছে গিয়েছে কিন্তু রিমন পাত্তা দেয়নি। এতকিছুর পরও বৃষ্টি শুধু রিমনের ভয়েস শোনার জন্য রাত জেগে থাকতো ওদের গ্রুপ কলে জয়েন্ট হয়ে শুধু রিমনের ভয়েস শুনতো। (অনেক কাহিনি এত লিখে শেষ করা যাবে না) সবার সাথে কথা বললেও রিমন বৃষ্টির সাথে কথা বলতো না এতে বৃষ্টির আরও বেশি কষ্ট লাগতো.!
ওইদিন সন্ধ্যায় অভ্র নীল আইডি থেকে আবারও রিকুয়েষ্ট দেয় তবে সেটা বৃষ্টি কে নয় বর্ষাকে.! বর্ষা কথাটা বৃষ্টি কে বললে বৃষ্টি বলে এক্সেপ্ট কর।
রিকুয়েষ্ট যখন দিয়েছে কলও দিবে তখনই বুঝা যাবে রিয়েল এই আইডি টা কে চালায় রিমন বলেছে এরা ও চালায় না এটা নাকি নিলয় চালায় কিন্তু বৃষ্টির সেটা বিশ্বাস হয়নি।
রাত বাজে ২টা অভ্র নীল বর্ষাকে মেসেজ দেয়। বর্ষাও রিপ্লাই দেয়। কিছুক্ষণ চ্যাট হওয়ার পর (অভ্র নীল ওর নাম বলে নিলয়) তো নিলয় বলে কলে কথা বলবেন। বর্ষাও বলে আপনার গার্লফ্রেন্ড নেই? নিলয় বলে গার্লফ্রেন্ড থাকলে কি আর তোমাকে বলতাম নাকি কথা বলার জন্য গার্লফ্রেন্ডের সাথেই কথা বলতাম। তারপর আরও কিছুক্ষণ কথা বলার পর নিলয় কল দিলো। বর্ষা কল রিসিভ করে ওইপাশ থেকে হ্যালো বলতেই বর্ষা কল কেটে দেয়.. আর অপলক দৃষ্টিতে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে থাকে কারণ ও পারবে না কথা বলতে। ওইদিকে কল রিসিভ করে কেটে দিয়েছে দেখে নিলয় এসএমএস দেয়। কি হয়েছে কল কাটলা কেনো পাশে কি কেউ আছে? বর্ষার ফোন বৃষ্টি কেড়ে নিয়ে রিপ্লাই দেয় হ্যাঁ আছে আমার ছোট বোন। (সত্যি বলতে বৃষ্টি রিমা দু’জনেই ছিল)
বর্ষার রিপ্লাই পেয়ে নিলয় বলে, আচ্ছা তাহলে তুমি কানে ইয়ারফোন লাগাও আমি কথা বলবো আর তুমি শুধু মেসেজে রিপ্লাই দিও.. বর্ষা ঠিক আছে বলে।
সাথে সাথেই নিলয় কল দেয়। ফোনের স্পিকার অন ছিলো। অপর পাশ থেকে নিলয়ের হ্যালো বলার পরপরই বৃষ্টির দুই চোখ ভিজে যায় পানিতে কারণ রিমন আবারও মিথ্যে বলেছিলো রিমন বলছিল ও শুধু বৃষ্টির সাথেই কথা বলে আর অভ্র নীল আইডি ও চালায় না। বৃষ্টি রিমনের ভয়েস শুনে মুখে ওড়না গুজে কাঁদছে বৃষ্টির কান্নার আওয়াজ জেনো রিমন শুনে না নেয় তার জন্য বর্ষা কল মিউট করে দেয় শুধু রিমনের কথাই শোনা যাচ্ছে বর্ষা ফোন রিমার কাছে দেয়। রিমন কথা বলছে রিমা মেসেজে রিপ্লাই দিচ্ছে এদিকে বৃষ্টি কাঁদছে আর বলছে। ও আমাকে শুধু মিথ্যে কথাই বলেছে আর আমি পাগলের মতো ওর সব কথা সত্যি মনে করেছি আমার বিশ্বাস কেন নষ্ট করল ও। ওইদিকে রিমন জিজ্ঞেস করে তুমি কি নার্ভাস? রিমা মেসেজে বলে। হ্যাঁ এই প্রথম কারো সাথে কথা বলছিলো তাই একটু নার্ভাস! রিমার রিপ্লাই পেয়ে রিমন বলল। আচ্ছা তাহলে থাক কথা বলতে হবে না রাখি। কল কেটে দিয়ে মেসেজ করল। কেউ নেইনি তাই আপনাকে বলেছিলাম কথা বলতে আর আপনাকে এত রাতে বিরক্ত করার জন্য সরি। রিমনের দেওয়া মেসেজ জোরে রিমা পড়তেই বৃষ্টি ক্ষেপে গেলো আর বলল ওর নাকি কথা বলার কেউ নাই এদিকে আমি পাগলের মতো অপেক্ষা করি কথা বলার জন্য আর ওই হারামী কুত্তা কয় ওর নাকি কথা বলার কেউ নাই। ওরে তো মোবাইলের ভেতরে উস্টা দিয়া ওর কপাল ফাটাই ফেলমু।
বৃষ্টির কথা শেষ করতে না দিয়ে বর্ষা বলল, কি করছিস কি এত রাতে ওর এত জোরে জোরে কথা বলার আওয়াজ শুনে যদি রুমে চলে আসে আর এসে যদি তোকে এভাবে ছিচকাদুনি রূপে দেখে ভাবতে পারিস কি হবে। বর্ষার কথা শেষ হতে রিমা বলল, আমরা তো আগেই বলেছিলাম এই ছেলের সাথে কথা বলিস না এ এক নাম্বার লুচ**** না জানি আরও কত মেয়ের সাথে কথা বলে। সব তোর দোষ তোকে ভালোবাসে না জেনেও তুই ওই ছেলের প্রতি নিজেকে দূর্বল হতে দিয়েছিস ও তোর যোগ্য না বৃষ্টি এখনও সময় আছে ভুলে যা ছেলেটাকে সরে আয় তোর জন্যই ভালো হবে রে। রিমা বর্ষার কথা এখন বৃষ্টির গায়ে কাটার মতো ফুটছে তাই বেড থেকে উঠে সোজা বেলকনিতে চলে গেলো। শুধু টি-শার্ট পরে গায়ে একটা চাদরও জরিয়ে নিয়ে যায়নি। বৃষ্টি কে বারান্দায় যেতে দেখে বর্ষা রিমা খাট থেকে নেমে রিমা কম্বল গায়ে মুড়িয়ে নেয় আর বর্ষা সোয়েটার হাতে বর্ষা একটা চাদর নিয়ে পেছন পেছন বারান্দায় চলে যায়। বৃষ্টি বারান্দার গিল ধরে দাঁড়িয়ে আছে আর ফুপিয়ে কাঁদছে বাহিরে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছে শীতে কাপোনি উঠে যাচ্ছে বর্ষা রিমার আর এদিকে বৃষ্টির জেনো কিছু হচ্ছেই না।বর্ষা বৃষ্টির একপাশে দাঁড়িয়ে গায়ে চাদর দিয়ে দেয়। আর রিমা বৃষ্টির উপর পাশে গিয়ে বৃষ্টির কাঁধের উপর হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে পরে। এটা দেখে বৃষ্টি রিমার উদ্দেশ্যে বলে.! তুই এখানে আমাকে শান্ত্বনা দিতে আসছি নাকি আমার উপর হেলান দিতে.. রিমা বৃষ্টি কে বলে.. ও তুই বুঝবি না। রিমার উত্তর শুনে বৃষ্টি ভ্রু কুঁচকে একটু পেছনে সরে যায় আর রিমা ঠাসসসস করে ফ্লোরে পরে যায়। পরে গিয়ে রিমা বলে। ওরে আল্লাহ গো এতদিন বিছানা থেকে ফালাইতো আর আজকে বেলকনিতেই ফালাই দিছে, রিমার কথা শুনে বৃষ্টি হেঁসে দেয় বৃষ্টি কে হাসতে দেখে বর্ষা হেসে দেয়। বর্ষা বৃষ্টি কে হাসতে দেখে রিমাও বসে বাসে হেসে দেয়।
তারপরের দিন বৃষ্টি আর রিমনকে মেসেজ দেয় না সারাদিন ও রাতে রিমন মেসেজ দেয়। কি হয়েছে তুমি আমাকে অবহেলা করছো কেনো কথা বলছো না? বৃষ্টি রিপ্লাই দেয় আপনার তো কথা বলার মানুষের অভাব নাই তাই বলছি না। বৃষ্টির কথায় রিমন রেগে মেসেজ দেয়। কি বলছে এইসব আমি কারো সাথে কথা বলি না এইসব পছন্দ করি না। I HATE THIS .
ওর মেসেজ দেইখা তো বৃষ্টির প্রচুর রাগ উঠতাছে ও বলে কথা বলে না কাল রাতেও তো বলল ভুলে গেছে নাকি? বৃষ্টি বলে আপনি যে কথা বলেন আমাকে বলছে একটা মেয়ে। তারপর তো জেরা শুরু হয় কোন মেয়ে কোন আইডি এখন বৃষ্টি কি করবে ওর বোনেরই তো কেমনে বলবে। রিমন সামিয়া দু’জনেই জিজ্ঞেস করছে কোন মেয়ে বলছে বৃষ্টি উল্টা পাল্টা অনেক গুলা মিথ্যা বলে দেয় আইডি চিনে না নাম মনে নাই কনভারসন ডিলিট করে দিছে। কথাগুলো রিমন বিশ্বাস না করলেও মেনে নেয় তারপর আরও অনেক কথা বলে। তাছাড়া আপনাদের আরও একটা কথা বলি রিমন কথায় কথায় ব্লক করে দেয় আর নয়তো আনফ্রেন্ড বৃষ্টি কেও অনেকবার করছে ব্লল ও আনফ্রেন্ড পরে আবার রিমন নিজে থেকেই বৃষ্টি কে আনব্লক করে দেয়৷ আবারও কথা বলে। সর্বপ্রথম বৃষ্টি কে ব্লক করার কারণ ছিল রিমনের সব কথা বৃষ্টি বর্ষা আর রিমা কে ছাড়া ওর বেস্টি জুম্মাকে বলতো, বৃষ্টি জুম্মাকে রিমনের গ্রুপে এড করে ছিল! কিছুদিন জুম্মা রিমনের গ্রুপেই রিমনকে লু**চ**চা বলে (কারণ জুম্মার পক্ষে ওর বেস্টির কষ্ট সহ্য হচ্ছিল না) আর তারজন্য রিমন রেগে গ্রুপ থেকে বৃষ্টি সহ জুম্মাকে গ্রুপ থেকে রিমুভ করে দেয় আরও বৃষ্টি কে রিমন মেসেজ করে রাতে রাগ করে বৃষ্টি লাইনে আসে না সকালে ফেসবুক মেসেঞ্জার এ ঢুকতেই বৃষ্টি অবাক রিমনের মেসেজ,, অন্য কাউকে দিয়া এমন ভাবে অপমান না করাইলেই পারতি তারপর ব্লক। বৃষ্টি মেসেজ দেখে শকট কারণ বৃষ্টি এইগুলোর কিছুই জানতো না সব শেষ হয়ে গেলো। আরও একটা মেয়ে মেসেজ দিলো ওই আইডি গ্রুপে দীপ্ত কে লুচ্চা বলছে ওরে এত সাহস দিছে কে? বৃষ্টি এখনও কিছু বুঝতে পারছে না কি হয়েছে কে কি বলেছে জিজ্ঞেস করলে মেয়েটা বলে গ্রুপে গিয়ে দেখ। বৃষ্টি গ্রুপে গিয়ে জুম্মার ওইগুলো মেসেজ দেখে কেঁদে দেয় এইসবের কোনো কিছুই বৃষ্টি জানতো না। বৃষ্টি সাথে সাথে জুম্মাকে কল দিলো জুম্মা বলে ও শুধু মজা করেছে আর উনি রেগে এত কিছু করছে। সব কিছু তছনছ হয়ে গেছে বৃষ্টি জুম্মার সাথে কথা বলতে বলতে বারবার কাদতে কাঁদতে বলছে তুই এটা কেন করলি জুম, তুই তো সব শেষ করে দিলি শুধু মজা করতে গিয়ে আমার সব তছনছ করে দিলি। ফোনের অপর পাশ থেকে জুম্মা বৃষ্টি কে শান্ত হতে বলে আর অনেকবার সরিও বলে। তারপরে আবারও রাগ কমলে দীপ্ত বৃষ্টি কে আনব্লক করে আর অনেক কিছু বলে সাথে এটাও বলে আর জেনো এমন না হয়।
এরইমধ্যে বৃষ্টি যে রিমনের কাছে কতবার ব্লক খাইছে হিসেব নেই আর তারপর নিজেই আনব্লক করে।
এভাবেই কিছুদিন চলতে লাগল।
এরপরে অনেক সাবধানে থাকতো বৃষ্টি যাতে ওর ধারায় কোনো ভুল না হয়ে যায়। আবার জেনো ওর রাইটার ওকে ব্লক না করে দেয় এই ভয়টা বৃষ্টির মধ্যে কাজ করতে লাগল।
বেশ কয়েকদিন পর। বৃষ্টির সব কিছু নষ্ট হয়ে যায় শুধু বর্ষার জেদের জন্য, বর্ষা বৃষ্টিকে জোর করে ওর গ্রুপে এড হওয়ার জন্য বৃষ্টি রাজি হয়না তারপরেও বর্ষা না বলেই বৃষ্টি কে গ্রুপে এড দেয় আর গ্রুপের এডমিন দেয় আরও বলে গ্রুপে কিছু মেম্বার এড করে দেওয়ার জন্য বৃষ্টি ও বোনের কথা ফেলতে পারেনি। বৃষ্টি খুব ভালো করেই জানতো ওর রাইটার বাবু অনেক রাগী আর ও যদি জানে বৃষ্টি অন্য গ্রুপে এড আছে তাহলে অনেকটাই ভুল বুঝবে। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না বৃষ্টির অজান্তেই ওর কাছ থেকে একটা ভুল হয়ে যায় আর সেটা হচ্ছে বর্ষার গ্রুপে বৃষ্টি রিমনের গ্রুপের মেম্বার এড করে ফেলে কাজটা বৃষ্টি ভুল বসত করলেও রিমনের কাছে ব্যাপারটা অন্য রকম ভাবে পেশ করে গ্রুপের অন্য একজন এডমিন আপু তারপর সবাই রিমনকে বলে বৃষ্টি ওদের সাথে বেঈমানী করেছে আরও অনেক কিছু বলে রিমনও তাদের কথাই বিশ্বাস করে বৃষ্টি জিজ্ঞেস ও করে না কেনো করেছে সব কিছু থেকে রিমুভ করে দেয়। বৃষ্টি কে রিমন এসএমএস করে, ওদের সাথে বেঈমানী কেন করেছে ওর জন্য গ্রুপের সবার কাছে ওর মাথা হেড হয়েগেছে শুধু ওর জন্য রিমন ওদেরকে কিছু বলতে পারেনি শুধু শুনেছে এর জন্য ওকে ও কখনো ক্ষমা করবে না। বৃষ্টি মেসেজ টা সিন করার পর রিমনকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু রিমন কোনো কিছুই বুজতে চায় না। হাজার বার সরি বলে বৃষ্টি কিন্তু সেগুলো রিমন দেখে বলে আর কখনো তোর সাথে কথা বলবো না কারণ তুই একটা বেঈমান, বৃষ্টি অনেকবার বলে ভুল করে করে ফেলছি ইচ্ছে করে করিনি আমি বেঈমান না তবুও রিমনের সেদিকে পাত্তা দেয়নি তারপর রিমন যা করল একদমই ঠিক করেনি রিমন (আজকের পর্বটা আমার কাছেও অনেক মানে কেমন জানি উল্টা পাল্টা লাগছে আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আর কেমন লাগল অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না। ভূলক্রটি ক্ষমা ও সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন)
চলবে….?
শারমিন আক্তার বর্ষা