নেট_দুনিয়ার_কিং,পর্বঃ ৮

গল্প:#নেট_দুনিয়ার_কিং,পর্বঃ ৮
লেখক:#মোঃ_শাহরিয়ার_ইফতেখায়রুল_হক_সরকার

এমন কি এমপি রাকিব হাসান ও শাহরিয়ারের

কাছ থেকে ভয়ে কিছুটা ধুরে চলে যায়।

___ অবশেসে এবার শাহরিয়ার মুচকি এক হাসি

দিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বলল……..

শাহরিয়ারঃ কিহ? এতদিন যাকে দেখার জন্য

আপনারা পাগল ছিলেন আর আজ সবাই আমার

এই কুৎসিত মুখ দেখে ভয়ে পিছিয়ে গেলেন।

হয়তো কেউ ভাবতে পারেন নি আমার মুখটি

এরকম হবে।সবাই কে তাহলে আমার জীবনে

ঘটে যাওয়া একটা ছোট্ট গল্প শুনাই……………

নেট দুনিয়ার আলোহীন নিষিদ্ধ জগতের প্রতি

আকৃষ্ট হয়ে আমার নিজের চাচাতো বোন নামক

অভিশাপ্তা তার সাথে যৌনো মিলনের প্রস্তাব দেয়।

কিন্তু আমি তার সাথে এমন পাপ কাজে জড়াবো না

বললে।পরবর্তীতে কায়দা করে সে আমাকে ফাসিয়ে

দিয়ে মিথ্যে অপবাদে বাড়ি ছাড়া করে আমাকে?

এতো অন্যায় করার পর ও তার একটু খানির জন্যে

ও বিভেগটা জেগে উঠলো না যার ফলে পরবর্তী

সময় সে আমাকে এসিড ছুড়ে মেরে চলে যায়।

তারপর থেকে কতটা যন্ত্রনা বেদনা কষ্ট সজ্য

করতে হয়েছে সেটা আমিই খুব একটা

ভালো যানি।প্রতিটা দিন আমার কাছে বেঁচে

থেকেও মৃত্যুর মতো লাগছিলো।তারপরেও

হাজরো কষ্টের মাঝে কি করে যে আমি বেঁচে

আছি?সেটা নিজেও আমি ঠিক যানি না।

___ শাহরিয়ারের এমন কথা শুনে সবার চোখের

জল যেনো টলমল করছে কেউ আর কোনো

কিছুই বলতে পারছে না।সবার মুখে যেনো কোনে

কিছু বলার শব্দের উদ্ভবই হচ্ছে না।হঠাৎ করে কেউ

একজন এসে শাহরিয়ার কে সবার সামনে

জড়িয়ে ধরে?আর সেই একজন হচ্ছে শান্তা।

সব মানুষ অভাক হয়ে তাকিয়ে আছে শাহরিয়ারের

দিকে?কেউ কেউ ভাবী বলে মাঝে মধ্যে চিৎকার

দিয়ে উঠছে?অতএব শাহরিয়ার শান্তাকে একটু

ধমকের সুরে বলল……..

শাহরিয়ারঃ কি কি করছেন সবার সামনে, ছাড়ুন?

শান্তাঃ আরে আমার বোকা? তোমার চেহারা

কুৎসিত বিস্রি বলে তুমি আমাকে বিয়ে করতে

চাচ্ছো না? আমি তো তোমার চেহারাকে

ভালোবাসি নি ভালোবেসেছি শুধু তোমার ফুলের

মতো সরল মনকে।আমি আর তোমার কোনো

কথাই শুনছি না। অনুষ্ঠান শেষ হলেই তারপর

আমি তোমাকে বিয়ে করবো।যদি এবারো অমত

প্রকাশ করো তাহলে আমার মৃত্যু তো নিশ্চিত তার

সাথে তোমারো মৃত্যু নিশ্চিত।

___শান্তার কথা শুনে শাহরিয়ার কিছু বলতে

চাইলেও বলতে পারেনি কারন শান্তা তাকে এ

বিষয় নিয়ে বলার কোনো সুজোগি দেয় নি।

___ অতএব অনুষ্ঠান শেষ হলে শাহরিয়ার সবার

কাছ থেকে বিদায় নিয়ে অনুষ্ঠান থেকে যাওয়ার

দশ মিনিট পাঁচ সেকেন্ড পর শান্তার সাথে বিবাহ

নামক পবিত্র এক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যায়।

অবশ্য শাহরিয়ার প্রথমে বিয়ে না করতে চাইলেও

পরবর্তীতে শান্তি তাকে বাধ্য করাতে সক্ষম হয়।

___ আজ তাদের বাসর রাত শাহরিয়ার রুমের

বাহিরে পায়ে চারী করছে এবং ভাবছে সে কি

এখন ভিতরে যাবে কি না।বেশ লজ্জাও লাগছে

তার এবং ভয় ও হঠাৎ করেই শান্তা এসে শাহরিয়ার

কে টানতে টানতে বাসর ঘরে নিয়ে যায়।

শাহরিয়ারঃ কি হলো এভাবে টেনে কেনো নিয়ে

আসলে??

শান্তাঃ তা নয় তো তোমাকে কোলে করে নিয়ে

আসবো।রাত কয়টা বাজে তার কোনো হিসাব

আছে তোমার কাছে।যাইহোক বলছিলাম কি

এখন তো আমরা বিবাহিত তাই একটু কাছে

আসো( লজ্জায় মুখ লাল করে)

শাহরিয়ারঃ জি না আমার লজ্জা লাগছে?

আমি কিছু করতে পারবো না?

শান্তাঃ তুই আসবি না?

শাহরিয়ারঃ না?

___ অতএব শান্তি রেগে গিয়ে শাহরিয়ারের কাছে

যেতেই এক মুহূর্তেই তার সব রাগ অভীমান

ধুলোয় মিশে যায়। একহাত বাড়িয়ে শাহরিয়ারের

যেই পাশটায় এসিড ছুড়ে মারা হয়েছে সেই

পাশটায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল………

শান্তিঃ খুব কষ্ট হয়েছিল তোমার তাই না সোনা?

শাহরিয়ারঃ হুম (মাথা হাল্কা নিচু করে)

শান্তিঃ আর কোনো রকম কষ্ট পেতে দিবো না।

এখন আমি আছি তো তোমার পাশে এবং কোনো

চিন্তা করো না।আমি আব্বুকে সব বলছি সে

লন্ডনে ডাক্তারের সাথে কথা বলেছে।এবং কিছু

দিন পর তোমাকে আমি লন্ডনে নিয়ে যাবো

সেখানে ভালো ডাক্তার দেখালে তুমি নিশ্চয়ই

সম্পূর্ন ঠিক হয়ে যাবে।

___ শান্তার কথা শুনে শাহরিয়ার কিছু বলতে

চাইলেও আটকে যায় কারনে শাহরিয়ার খুব

ভালো করেই যানে এখন যদি সে ডাক্তার

দেখাতে চাইনা এমনটা বললেও কোনো লাভ

হবে না।কারন শান্তি একবার যা পদক্ষেপ

নেয় সেটা পূরন করা ছাড়া থামে না।

____ কেনো যানি এখন শাহরিয়ার আস্তে আস্তে

পিছিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কেনো? তার কারন শান্তা

শাহরিয়ারের খুব কাছে আসার চেষ্টা করছে।

শাহরিয়ার যতই পিছিয়ে যাচ্ছে শান্তা ততোই

শাহরিয়ারের দিকে এগোচ্ছে। এক সময় শাহরিয়ার

পিছিয়ে যেতে যেতে বিছানার উপরে পড়ে যায়।

এবং শান্তাও শাহরিয়ারের অতি নিকটে চলে যায়।

ডুবে যায় কোনো এক পবিত্র ভালোবাসার

সাগরে।

___ প্রায় এক সপ্তাহ চলে গেলো আর এখন

শাহরিয়ার কে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে,

শাহরিয়ার প্রথমে যেতে না চাইলেও পরবর্তীতে

তাকে শান্তার জোড়াজোরি তে যেতে বাধ্য হতে হয়।

শাহরিয়ার কে লন্ডনে নিয়ে এসে প্রথমে শান্তা

তার নিজের পরিবারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।

এবং তার কিছু দিন পর শাহরিয়ারকে

অপারেশনের জন্য অপারেশন থ্রেয়েটরে নিয়ে

যাওয়া হচ্ছে।শান্তি শাহরিয়ারের হাত শক্ত

করে ধরে অপারেশন থ্রেয়েটরের সামনে পর্যন্ত

এগিয়ে দেয় এবং ছলছল চোখে বলেছিলো

বিশ্বাস রাখো সেই খোদার উপরে যে তোমাকে

আমাকে,সবাই কে সৃষ্টি করেছেন।

___ প্রায় দু ঘন্টা পর ডাক্তার এসে হাল্কা মাথা

নিচু করে বলল……..

ডাক্তারঃ সরি………..

___ সরি শব্দটা কানে যেতেই শান্তার বুকে

কম্পনের অবির্ভাব শুরু হয়ে গেলো?কেনো যানি

শান্তার পা থরথর করে কাপছে।এবং শান্তা তার

বাবার দিকে কান্না ভেজা চোখে তাকালে শান্তার

বাবা দ্রুত ডাক্তারের কলার চেপে ধরে

ধমক দিয়ে বলল………

শান্তার বাবাঃ সরি মানে………..

__________চলবে________

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here